Tag: Arrest

Arrest

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    Kolkata Police: দিল্লি থেকে আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আপত্তি করেছিলেন আইনের এক ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা পোস্ট একটি মুসলমান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। তার জেরে শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে  গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ (Law Student Arrest)।

    অবমাননাকর মন্তব্য! (Kolkata Police)

    পুলিশ সূত্রে খবর, শর্মিষ্ঠা ইনস্টাগ্রামে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে তিনি বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি প্রচুর ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দেখে কলকাতার একটি থানায় শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কলকাতা পুলিশও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ মে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ভিডিওতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই পানোলিকে প্রাণনাশ এবং ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। এক্স হ্যান্ডেলে অ্যারেস্ট শর্মিষ্ঠা হ্যাসট্যাগটি ট্রেন্ড হতে শুরু করে। মুসলমান ইউজাররা পানোলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।

    ক্ষমা প্রার্থনা করে পোস্ট

    পরের দিনই দুঃখ প্রকাশ করে পানোলি বলেন, “আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি যা কিছু বলেছিলাম, তা ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি, এবং আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। যদি কেউ এতে আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আগামীতে আমি আমার প্রকাশ্য পোস্টে আরও সতর্ক থাকব। আবারও অনুগ্রহ করে আমার এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন।” ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি বিতর্কিত ভিডিওটি মুছে ফেলেন। একটি আলাদা পোস্টে দেশপ্রেমের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, মেরে লিয়ে মেরা দেশ পহলে আতা হ্যায়” (আমার জন্য আমার দেশই সবার আগে)।

    কলকাতা পুলিশের তৎপরতা

    ক্ষমা (Kolkata Police) চাওয়ার পরেও ২০ মে মহারাষ্ট্র পুলিশ পানোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করে। এই মামলা আরও গুরুত্ব পায় যখন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর নেতা ওয়ারিস পাঠান প্রকাশ্যে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানান এবং বলেন, “আমাদের নবীর সম্পর্কে অপমানজনক বক্তব্য কোনও মুসলমানই সহ্য করবে না (Law Student Arrest)।” ওই পোস্ট দেখেই গত ৩০ মে দিল্লিতে পানোলির বাসভবনে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতারির সময় বা তার আগে ওই ছাত্রীকে কোনও আইনি নোটিশ কিংবা পরোয়ানা জারি করা হয়নি। এই গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অনেকে একে অবৈধ বলছেন। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, একজন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গির সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমন করে। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া আইনি প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। দিল্লি হাইকোর্ট গত নভেম্বরে একটি রায়ে বলেছিল, কাউকে গ্রেফতারের আগে তাঁকে লিখিত কারণ প্রদর্শন করতে হবে, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি সহায়তার সুযোগ পেতে পারে।

    ছাত্রী গ্রেফতারে ব্যাপক বিতর্ক

    পানোলির গ্রেফতারিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ভিজিল্যান্ট হিন্দুত্ব এবং দেবদেবাঙ্কসের যুক্তি, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় দেশপ্রেমমূলক অনুভূতি প্রকাশ করায় তাঁকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, তাঁর ক্ষমা চাওয়া ও ভিডিওটি মুছে ফেলাই যথেষ্ট ছিল। দেবদেবাঙ্কসের অভিযোগ, এই গ্রেফতার একটি চক্রান্ত, যার উদ্দেশ্য জাতীয়তাবাদী কণ্ঠরোধ করা। এদিকে, ইন্ড-স্পিকমুসলিম এবং ইএলিটমেলের মতো ব্যবহারকারীরা পানোলির গ্রেফতারিকে ন্যায়ের বিজয় আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, ধর্মের অবমাননা এবং ঘৃণাভাষণ কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না (Law Student Arrest)।

    কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত

    পানোলির পরিবার আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশের পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিচ্ছেন পালোনি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রমাণ হয় যে গ্রেফতারের সময় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বিশেষ করে আগে থেকে কোনও নোটিশ না দেওয়া এবং তাড়াতাড়ি করে ট্রানজিট রিমান্ডের কারণে, তাহলে এটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। মামলাটি বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক ছড়ানোর ভূমিকা নিয়ে বৃহত্তর টানাপড়েনকে সামনে এনেছে। পানোলির সমর্থকদের মতে, তাঁর মন্তব্যগুলি আপত্তিকর হলেও, তা উসকানির প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছিল এবং তিনি ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়াই উচিত (Kolkata Police)।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশনের নাম ‘ডেভিল হান্ট’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘শয়তানের খোঁজ’ (Operation Devil Hunt)। এই অপারেশনের ব্যানারেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করল মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। শনিবার রাতে শুরু হয় অপারেশন। চলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত। এই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৮ জনকে। এদিন দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য।

    গ্রেফতার আওয়ামি লিগের সমর্থক (Operation Devil Hunt)

    জানা গিয়েছে, কেবল গাজিপুরেই ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সবাই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। গাজিপুরের পুলিশ সুপারের কথায়, “আটক ব্যক্তিরা সকলেই ফ্যাস্টিস্ট সরকারের লোকজন”। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অভিযোগ, তার পরেই হাসিনার দলকে একেবারে শেষ করে দিতে কোমর কষে নেমেছে ইউনূস প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটির একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলে উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করা হয় হাসিনার বাড়ি। তাঁর কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা

    বাংশাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে চালানো হয় হামলা, অগ্নিসংযোগ। শুক্রবার রাতে গাজিপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও চড়াও হয় একদল জনতা। প্রতিরোধ করেন স্থানীয়রা। দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই শনিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানেই জানানো হয় অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’র খবর। সেই সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তারাই গ্রেফতার হবে (Operation Devil Hunt)।”

    ওয়াকিবহালের মতে, হাসিনার দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের রাশ করায়ত্ত করতে চাইছেন ইউনূস। কারণ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। চিকিৎসার কারণে বিএনপি সুপ্রিম খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডনে। এহেন ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস। জানা গিয়েছে, নয়া রাজনৈতিক দল গড়তে চাইছেন ইউনূস। তার মোক্ষম সময় এটাই। কারণ ধরপাকড়ের জেরে যেমন গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-নেত্রীরা, তেমনি ভয়ে ফোঁস করতে পারছেন নাম বিএনপির নেতা-নেত্রীরা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই (Bangladesh) কাজে লাগাতে চাইছেন ইউনূস (Operation Devil Hunt)।

  • Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই। এবার গ্রেফতার করা হল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে (Yoon Suk Yeol)। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছিল। শেষমেশ বুধবার তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইওলকে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন সিওলের হান্নাম ডংয়ের বাসভবন থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের গাড়ি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সির কার্যালয়ে। সেই গ্রেফতারির পরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে দাবি করা হয়, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ফেরানোর ক্ষেত্রে এটা (ইওলকে গ্রেফতার) হল প্রথম পদক্ষেপ।

    সরকারি বাসভবনে হানা (Yoon Suk Yeol)

    এর আগেও একবার ইওলকে গ্রেফতার করতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএসের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে সেবার তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। এদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ইওলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএস কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলে দু’পক্ষে। ইওলের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। তাঁদের সরিয়েই ৩ হাজার পুলিশ নিয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকেন তদন্তকারীরা। তার পরে ইওলকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।

    ইওলের আইনজীবীর বক্তব্য

    ইওলের (Yoon Suk Yeol) আইনজীবী জানান, এদিনই ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি তদন্ত অফিসে হাজিরা দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ইওল। তবে তার আগেই তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করাটা দেশবাসী ভালোভাবে নেবেন না। ইওল স্বয়ং দাবি করেন, তিনি সব সময়ই তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তাঁর এই গ্রেফতারি দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ার উদাহরণ।

    আরও পড়ুন: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    দেশে মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করার কারণে ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইওল বলেছিলেন, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পরেই ইওলকে বরখাস্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে বরখাস্তের প্রস্তাবও আনেন তাঁরা। ১৪ ডিসেম্বর ভোটাভুটি হয়। হেরে যান প্রেসিডেন্ট (South Korea)। তার জেরেই বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে (Yoon Suk Yeol)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (CM Yogi Adityanath) শিরশ্চেদ করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। এবার বেরিলি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত এই যুবক আগেও একাধিকবার হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে নাশকতার হুমকি দিয়েছিল। সে রামমন্দিরকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।

    মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না (CM Yogi Adityanath)!

    জানা গিয়েছে, প্রেমনগর থানায় এই মুসলিম যুবকের (Muslim Youth) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। নাম মাইজান রাজা। তার বয়স মাত্র ৩০। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের উদ্দেশ্যে উস্কানি মূলক মন্তব্য করে প্ররোচনা দেওয়ার কাজ করে। রামমন্দির যেমন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, একই ভাবে আবার কুম্ভমেলায় আক্রমণ করার কথাও ঘোষণা করেছিল। হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে বলে, “মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত প্রত্যেক হিন্দুর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা। এই বছর ২০২৫ সাল হবে রাম মন্দিরের শেষ বছর।” মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে (CM Yogi Adityanath) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় তার পোস্ট।

    আরও পড়ুনঃ অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    সামাজিক মাধ্যমে উস্কানি এবং নাশকতার ছক

    অপর দিকে, রাজ্যের বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা কেকে শঙ্খধর, এডিজি বেরেলি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে অবিলম্বে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের (Muslim Youth) সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র (CM Yogi Adityanath) এবং নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের মুসলিম সমাজের একাংশ যে হিন্দু সমাজের প্রতি ব্যাপক হিংসার মনোভাব পোষণ এবং ধারণ করে, তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। একই ভাবে মহাকুম্ভ মেলায় মেলার জায়গা নিয়ে বড় দাবি করেছেন সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি। তিনি বলেন, “৫ বিঘা ওয়াকফ জমি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাকুম্ভে শুধুমাত্র হিন্দুদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন শুধু হিন্দু সাধুদের আহ্বান করা হয়েছে? প্রয়াগরাজের স্থানীয় মুসলমানরা মহাকুম্ভ মেলায় দোকান দিতে চায়। এত বিশাল জনসমাগমে ভালো বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। তাদের বসতে না দিয়ে বঞ্চনা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন দক্ষিণের অভিনেতা অল্লু অর্জুন (Allu Arjun)। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ (Pushpa-2) ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়ে ছিল এক মহিলার। এবার এই মৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। উল্লেখ্য যখন ওই মহিলার মৃত্যু হয়, তখন সেই সময় উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেতা। উল্লেখ্য অল্লু অভিনীত সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পুস্পা’ বক্স অফিসে ব্যাপক সফল হয়েছিল। সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। তাই প্রিমিয়ারে অত্যধিক ভিড়ে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

    অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি (Allu Arjun)

    জানা গিয়েছে, অল্লু অর্জুন (Allu Arjun) অভিনীত ‘পুস্পা ২’ (Pushpa-2) সিনেমার প্রিমিয়ার মৃত মহিলার বয়স ছিল ৩৯। এই মহিলার সঙ্গে তাঁর নাবালক ছেলেও ছিল। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অনেক মানুষ পদপৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন। পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর আয়োজক সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, “চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের উপস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে জানানো হয়নি। অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি।”

    মৃতের পরিবারের সদস্য অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা

    ঘটনায় বড়সড় গাফিলতি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অভিনেতা অল্লু অর্জুনকে (Allu Arjun) আটক করে নিয়ে আসা হয় চিক্কাদপল্লী থানায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারার ১০৫ নম্বর ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে ধারা ১১৮(১) আর ডবলু ৩(৫)-তে স্বেচ্ছায় আঘাত করার মামলাও দায়ের হয়েছে। সেন্ট্রাল জোনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, অক্ষাংশ যাদব বলেন, “মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থিয়েটারের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) এলাকার হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi National Arrested)। নাম ভাঁড়িয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে দিব্যি কাজ করছিলেন পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে।

    সেলিম মাতব্বর (Bangladeshi National Arrested)

    পুলিশ জানিয়েছে, বছর বিয়াল্লিশের ওই বাংলাদেশির নাম সেলিম মাতব্বর। বছর দুয়েক আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন তিনি। তারপর মিশে গিয়েছিলেন কলকাতার জনস্রোতে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ডের জেরক্স। এই সব নথিপত্রে তাঁর নাম হিসেবে লেখা হয়েছে রবি শর্মা। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজস্থান। দিল্লির একটি ঠিকানাও রয়েছে। বাংলাদেশি ওই নাগরিকের ভারতীয় ওই পাসপোর্টটি জাল, না কি নাম ভাঁড়িয়ে বানানো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    বাড়ি বাংলাদেশে

    জানা গিয়েছে, পুলিশের টানা জেরায় সেলিম নামের ওই বাংলাদেশি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে। তিনি সেই দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক ঝামেলার কারণে বাড়ি ছেড়ে সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়া জেলায় ঢোকেন। এরপর দালালের সাহায্যে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে সেখানে ছিলেন। পরে ভুয়ো তথ্য দিয়ে পাসপোর্টও বানিয়েছিলেন। তার পরেই চলে আসেন কলকাতায়। হোটেলে কাজও জুটিয়ে নেন। ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট ও জালিয়াতির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Bangladeshi National Arrested)।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    সেলিম গ্রেফতার হওয়ায় বাংলায় যে ক্রমেই অনুপ্রবেশ বাড়ছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাদের দাবি, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এ রাজ্যের শাসক দল তত্ত্বতালাশ করে দেখে না বাংলাদেশ থেকে কারা আসছে। উল্টে তাঁদের দলেরই এক শ্রেণির নেতানেত্রী ভুয়ো নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করেন অনুপ্রবেশকারীদের। সেই জাল কাগজপত্র নিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পরে আস্তে আস্তে মিশে যায় ভারতের জনস্রোতে। এদের একটা বড় অংশ বাংলায় থেকে গেলেও, অনেকেই চলে যায় ঝাড়খণ্ডে। সেখানে আদিবাসীদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের সেই সব অভিযোগ যে নিছক কল্পনা প্রসূত নয়, জাল নথি বানিয়ে খাস কলকাতায় দুবছর ধরে চাকরি করে তা প্রমাণ করে দিলেন (Park Street) অনুপ্রবেশকারী সেলিম (Bangladeshi National Arrested)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share