Tag: Arunachal Pradesh

Arunachal Pradesh

  • Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার অরুণাচলের চিন সীমান্তে সেলা ট্যানেলের (Sela Tunnel) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সুড়ঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ সম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার চিন সীমান্তে সংঘাত বেঁধেছে। শুক্রবারই আবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক কার্যত হুমকি দেয় ভারতকে সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে। ঠিক সেই আবহে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে দিলেন সেলা টানেলের। দুর্গম এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থাও কঠিন হয়ে পড়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে। সেই ছবিই এবার বদলে দিল মোদি সরকার। সেলা টানেলের (Sela Tunnel) মাধ্যমে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে যেতে বাধাহীনভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবার।

    কী বলছেন সেনার আধিকারিক?

    সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জওয়ানরা যাতে সীমান্তের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন, যাতে অস্ত্রশস্ত্র তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে এই সেলা টানেল। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শীতকালে এই টানেল আরও অনেক বেশি কাজে আসবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তাগুলি শীতকালে সম্পূর্ণভাবে বরফে ঢেকে যায়। যেগুলি পেরিয়ে দ্রুত পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, এই টানেল (Sela Tunnel) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে এই টানেল শুধু সেনা জওয়ানদের ক্ষেত্রে যে কাজে আসবে তা নয়, পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তুষারপাতে যখন রাস্তা ঢেকে যাবে, পর্যটকরা এই পথে যাতায়াত করতে পারবেন।

    সেলা টানেল সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন

    ১) ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেল।

    ২) এই সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সহজেই সেনার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এবং ভারত সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তাইওয়ানের কাছে পৌঁছে যাবে সেনাবাহিনীর গাড়ি।

    ৩) এই টানেল (Sela Tunnel) ব্যবহার করলে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে আসবে।

    ৪) সুড়ঙ্গের প্রথম টানেলটি ৯৮০ মিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল টিউব। অন্যদিকে ২ নম্বর টানেলটি হল ১,৫৫৫ মিটার দীর্ঘ।

    ৫) দ্বিতীয় টানেলে দুটি রাস্তা থাকবে একটি যাতায়াতের জন্য এবং অন্যটি জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য।

    ৬) প্রবল বর্ষা বা শীতকালেও সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা যাবে।

    ৭) টানেল তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের প্রযুক্তি অনুযায়ী।

    ৮) সুড়ঙ্গের ভিতরে পর্যাপ্ত আলো এবং অগ্নি নির্বাপক সুবিধা রাখা হয়েছে।

    ৯) এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার গাড়ি এবং দু হাজার ট্র্যাক চলাচল করতে পারবে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টানেলের (Sela Tunnel) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন করলেন ২০২৪ সালের মার্চে। টানেলটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘সেলা টানেল অনেক আগেই নির্মাণ হতে পারতো কিন্তু কংগ্রেস সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’’ প্রসঙ্গত সেলা টানেলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন করেন ১২৩টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ৯৫টি নতুন প্রজেক্টর। যেগুলিতে খরচ হবে ৫৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবগুলিই উত্তর পূর্ব ভারতের মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে অবস্থিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ALH Helicopter: ফের চীন সীমান্তে সেনা চপার ভেঙ্গে পড়ার পরেই ঘটনার তদন্তে সেনা

    ALH Helicopter: ফের চীন সীমান্তে সেনা চপার ভেঙ্গে পড়ার পরেই ঘটনার তদন্তে সেনা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালেই অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং জেলায় সেনার একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter) মিগিং নামে এক গ্রামের কাছে ভারতীয় সেনার একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টার তল্লাশির পর, মিলেছিল তার ধ্বংসাশেষ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল, হেলিকপ্টারটির ৪ জন জওয়ানের দেহ পাওয়া গেলেও একজনের দেহ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার পঞ্চম জওয়ানের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার 

    দুর্ঘটনাস্থলটি অত্যন্ত দুর্গম এবং জায়গাটি কোনও সড়কপথে যুক্ত নয়।একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ছাড়া মিগিং গ্রামে যাওয়ার অন্য কোনও রাস্তা নেই। ফলে, গাড়ি বা অন্য কোনও যানবাহন যাওয়ার উপায় নেই। তাই, সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার তিনটি যৌথ দল একটি এমআই-১৭ এবং দুটি ধ্রুব হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকার্য চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
    সেনাসূত্রে তরফে জানানো হয়েছে মৃত ৫ জন জওয়ানের মধ্যে ২ জন অফিসার পদমর্যাদার পাইলট ছিলেন। মৃতরা হলেন মেজর বিকাশ ভাম্ভু, মেজর মুস্তফা বোহরা, সিএনএফ অশ্বিন কে ভি, হাভিলদার ব্রিজেশ সিনহা, এবং রোহিতস্য কুমার। হাবিলদার ব্রজেশ সেনার দেহটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানা যায়। এই জওয়ান অসমের বাসিন্দা ছিলেন।

    [tw]


    [/tw] 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ঠিক আগেই এটিসিকে (ATC) সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিলেন ওই বিমানের পাইলট। কপ্টারে যে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেটা নাকি এটিসিকে জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগে নাকি পাইলট নাকি এটিসিকে ‘মে ডে কল (May Day Call) পাঠিয়েছিলেন। যার অর্থ তাঁর কপ্টারে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস ওয়ালিয়া জানান,  কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি, সেটা দেখার জন্য ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ বসানো হবে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই এনিয়ে দ্বিতীয়বার হেলিকপ্টার দূর্ঘটনা ঘটল।  ৫ অক্টোবর তাওয়াং এলালায় একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। তাতে একজন পাইলট মারা যান। ১৯৯৫ সাল থেকে থেকে অরুণাচল প্রদেশে এখন পর্যন্ত ১৩টি সেনা বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তাতে মারা গিয়েছেন ৪৭ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arunachal Pradesh: ‘‘চিনের দাবি অবৈধ’’, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অংশ, বলল আমেরিকা

    Arunachal Pradesh: ‘‘চিনের দাবি অবৈধ’’, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অংশ, বলল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতেরই অংশ, এনিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই মত আমেরিকার। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে অরুণাচল নিয়ে চিনের দাবি সম্পূর্ণ অবৈধ বলে জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও আমেরিকার এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, ভারত-চিন সীমান্ত প্রশ্নে আমেরিকার মতদানের প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অবশ্য আগেই অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছিল।

    কী বলল আমেরিকা

    ভারতীয় ভুখন্ড হিসাবে অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি মার্কিন সরকারের (US State Department) মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল (Vedant Patel) জানান, সীমান্ত পেরিয়ে কোনও ধরনের উস্কানি কিংবা একতরফা সিদ্ধান্ত বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই মার্কিন আধিকারিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার এহেন দাবি চিনের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    চিনের দাবি

    আমেরিকা অরুণাচল (Arunachal Pradesh) নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পরই চিন এর নিন্দা করে। চিনের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন-ভারত সীমান্ত প্রশ্ন দুই দেশের মধ্যে একটি বিষয় এবং মার্কিন পক্ষের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। চিন এর তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় বিরোধিতা করে।” সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চিন। শুধু তাই নয়, জায়গাটির নাম ‘জাংনান’ বলেও মন্তব্য করেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল জাং শিয়াওজাং।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    ভারতের জবাব

    অরুণাচল (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাবি কোনওভাবেই মানা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। অরুণাচলের জনগণ আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং পরিকাঠামোগত প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে থাকবেন।’’ গত ৯ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অরুণাচল প্রদেশ সফরের বিরুদ্ধে বেজিং তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। সেই আপত্তিকে ভারত বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। আর, তারপরই নানা রকম মন্তব্য করে চিন। ভারতও এর কড়া জবাব দেয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান অরুণাচলবাসী ভারত সরকারের পাশে রয়েছে। ভারত অরুণাচলের উন্নতির চেষ্টা করছে। চিন শুধুই দখল করতে চায় । যা বরদাস্ত করবে না দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: ‘‘অরুণাচল ভারতের ছিল, আছে, থাকবে’’, চিনকে কড়া বার্তা দিল্লির

    Arunachal Pradesh: ‘‘অরুণাচল ভারতের ছিল, আছে, থাকবে’’, চিনকে কড়া বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের ছিল, আছে ও থাকবে। এই বিষয়ে কোনও অযৌক্তিক দাবিকে মান্যতা দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এ নিয়ে ফের স্পষ্ট বার্তা দিল বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। আমরা চিনা সামরিক বিভাগের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি নজরে রেখেছি।’’

    কী বলেছে চিন

    অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) তাদের অংশ বলে দাবি করে বসেছে চিন (India-China Conflict)। এবার আর কূটনৈতিক স্তরের কেউ নয়। চিনের সেনাবাহিনী এই দাবি করেছে। সোমবার চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অরুণাচলকে ‘চিনা ভূখণ্ডের অংশ’ বলে চিহ্নিত করেছিল। মঙ্গলবার তার কড়া জবাব দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত ৯ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অরুণাচল প্রদেশ সফরের বিরুদ্ধে বেজিং তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। সেই আপত্তিকে ভারত বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। আর, তারপরই রবিবার চিনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে অরুণাচল প্রদেশ তাদের ভূখণ্ড। চিন অরুণাচল প্রদেশের অন্য নাম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বারবার নিজেদের ম্যাপে অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করে চিন বোঝাতে চায় যে, ওই অঞ্চল তাদের। বারবারই যার প্রতিবাদ করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: বানচাল নাশকতার ছক, ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র সীমানায় পুলিশের গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    ভারতের জবাব

    অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি চিন। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এই দাবিকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দিল্লির তরফে বলা হয়েছে অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ভারতেরই।  বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, এই ব্যাপারে চিনকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তার ‘বাস্তব অবস্থান’ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।

    এই ব্যাপারে জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের অযৌক্তিক দাবি লক্ষ্য করেছি। এই বিষয়ে চিন বারবার ভিত্তিহীন যুক্তি দিচ্ছে। বারবার ভিত্তিহীন যুক্তি দিলেই কোনও কিছু বৈধ হয়ে যায় না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। অরুণাচলের জনগণ আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং পরিকাঠামোগত প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে থাকবেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Polls 2024: সিকিম-অরুণাচলে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন এগোল, কেন জানেন?

    Assembly Polls 2024: সিকিম-অরুণাচলে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন এগোল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদ্যি বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। এই সময়ের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Polls 2024) হবে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যে। এই রাজ্যগুলি হল, অরুণচল প্রদেশ ও সিকিম। এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ২ জুন। রবিবার এই খবর জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগে ঠিক ছিল, লোকসভা নির্বাচনের ফল যেদিন ঘোষণা হবে, সেই ৪ জুন ফল ঘোষণা হবে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেরও। পরে ঠিক হয়, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের ফল প্রকাশ করা হবে দুদিন (Assembly Polls 2024) আগেই।

    এগিয়ে এল ফল প্রকাশের দিন (Assembly Polls 2024)

    কেন এই দুই রাজ্যের ফল প্রকাশের দিন এগিয়ে আনা হল? জানা গিয়েছে, এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে ২ জুন। ৪ জুন ফল ঘোষণা হলে, পরিস্থিতি দাঁড়াবে এই যে দু’দিন রাজ্যে বিধানসভাই থাকবে না। এই পরিস্থিতি এড়াতেই ফল ঘোষণার দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। দু’তারিখই ফল ঘোষণা করা হলে রাজ্য বিধানসভাহীন হল, এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না। কারণ সেদিনই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে যাবে।

    নির্বাচন কবে?

    তবে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন এগিয়ে নিয়ে আসা হলেও, লোকসভা নির্বাচনের যে সূচি এ রাজ্যের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে, তার হেরফের হবে না। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচন। ভোট হবে সাত দফায়। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হবে। অরুণাচল প্রদেশে লোকসভার আসন ২টি। আর সিকিমে রয়েছে একটি। এই তিন আসনেই ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায়। এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও হবে এই দিনই।

    আরও পড়ুুন: বাকি আসনের প্রার্থী ঘোষণা শীঘ্রই? রাজ্যের ৪ শীর্ষ নেতাকে দিল্লি তলব বিজেপির

    ২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনে অরুণাচল প্রদেশে সরকার গড়ে কংগ্রেস। পরে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। আর উনিশের নির্বাচনে সিকিমে পঁচিশ বছরের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিংয়ের দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে গদিচ্যুত করে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রধান প্রেম সিংহ তামাং (Assembly Polls 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্ত ঘেঁষা অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির বিকাশের জন্য, সড়ক যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার এই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিকাশের জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত মহাসড়ক হিসেবে মনোনীত জাতীয় মহাসড়ক-৯১৩ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই ৬ হাজার ৬২১ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের বিভিন্ন অংশের জন্য মোট ১৭,০০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    কোন কোন জায়গা দিয়ে যাবে এই সড়ক

    এই প্রকল্পের অন্তর্গত মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৭০০ কিলোমিটার। অরুণাচল প্রদেশের জনবসতিহীন বা অল্প জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে এই রাস্তা যাবে। এতে ভারত-চিন সীমান্তে নতুন টানেল এবং সেতু ছাড়াও ৮০০ কিলোমিটার গ্রিনফিল্ড সেকশন থাকবে। এটি বোমডিলা থেকে শুরু হয়ে নাফরা, হুরি ও মনিগং হয়ে যাবে। কিছু পয়েন্টে, রাস্তাটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছাকাছি— চিন সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্ব দিয়ে যাবে। রাস্তাটি শেষ হবে বিজয়নগরে— ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কাছে। এই সড়ক তৈরি হলে যেমন একদিকে চিনের সীমান্তবর্তী অরুণচলে ভারতীয় (India-China Border) সেনা জওয়ানদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তেমনি পর্যটন শিল্পেরও প্রসার ঘটবে। অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নতি হবে।

    কবে শেষ হবে এই রাস্তা

    ২০২৭ সালের মধ্যে এই রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্র। রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান— তাওয়াং, মেচুকা, টুটিং, কিবিথু এবং ডং-কে সংযুক্ত করবে এই নতুন রাস্তা। এটা তৈরি করতে মোট খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। গত কয়েক সপ্তাহে, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এই মহাসড়কের ৭৭০ কিলোমিটারের জন্য তহবিল অনুমোদন করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি বলেছেন এখনও পর্যন্ত হুরি-তালিহা বিভাগ, বিলে-মিগিং বিভাগ, খারসাং-মাইও-গান্ধীগ্রাম-বিজয়নগর বিভাগ এবং বোমডিলা-নাফরা-লাদা বিভাগের জন্য ছয়টি প্যাকেজের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    চিনকে ঠেকাতে এই প্রকল্পের গুরুত্ব

    গালওয়ানকাণ্ডের পরে লাদাখ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের এলএসি-তে চিনা ফৌজের সক্রিয়তার কথা মাথায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে ভারত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম চিন সীমান্তে পাঠানোর জন্য বিশেষ ভাবে সড়কপথ (Arunachal Pradesh) নির্মাণে গুরুত্ব দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। কিছুদিন আগেই, অরুণাচলেই সেলা টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। জওয়ানরা যাতে সীমান্তের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন, যাতে অস্ত্রশস্ত্র তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে এই সেলা টানেল।  ঠিক একইভাবে, নতুন সড়ক পথও কেন্দ্রের সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    সামরিক সরঞ্জাম এবং রসদ পরিবহণের পাশাপাশি এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হল স্থানীয় পর্যটন শিল্পে উন্নতি আনা। এই সড়ক পথের ফলে বহু দুর্গম জায়গায় সহজে পৌঁছনো যাবে। প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা দূরবর্তী গ্রামগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে পর্যটন শিল্পও প্রসার পাবে।

    আরও পড়ুন: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

    চিনকে গুরুত্ব নয়

    সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে তিনি ৮২৫ কোটি টাকার সেলা টানেল উদ্বোধন করেন। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে বরাবর দাবি করে আসছে চিন। ফলে অরুণাচল প্রদেশে যে কোনও ভারতীয় কর্মকাণ্ডকে নিশানা করে বেজিং। তবে চিনের সমস্ত কৌশল, সওয়ালকে বারংবার নস্যাৎ করেছে কেন্দ্র। দিল্লির তরফে বলা হয়েছে, বাস্তব অবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না অরুণাচল, ভারতের অংশ ছিল ও থাকবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছিল বেজিং। তবে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে, নানা সময় চিনকে সে বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে ভারত। 

    তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’

    দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেদিন তিনি তাওয়াং যুদ্ধের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করেন। শ্রদ্ধা জানান চিন-ভারত যুদ্ধের শহিদদের। এই তাওয়াংয়েই রয়েছে লেজেন্ডারি ছুমি গিস্তে। এখানে রয়েছে ১০৮ পবিত্র জলপ্রপাতও। এটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী। তাদের ধারণা, জায়গাটির ভোল বদল করতে পারলে অভাব হবে না পর্যটকের। ফলে সমঝে দেওয়া যাবে চিনকেও।

    পবিত্র প্রপাত

    চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) দখলের চেষ্টার খামতি নেই। গত ডিসেম্বরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে নজরদারি কেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল চিনের লালফৌজ। যদিও শেষমেশ আর তা দিনের আলো দেখেনি। এর পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে যাতায়াত বাড়িয়ে দেয় ভারত। লালফৌজের কার্যকলাপ যাতে নজরে পড়ে তাই এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে এবার পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাতের কাছে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    তিব্বতি উপাখ্যানে পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই জলপ্রপাতকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। তিব্বতিদের বিশ্বাস, এই প্রপাতের জলের নানা ক্ষমতা রয়েছে। নানা রোগের উপশমে ব্যবহার করা হয় এই জল। বছরের এক বিশেষ সময়ে এখানে আসেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষও আসেন এই সময়। প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা সবাই সংগ্রহ করেন পবিত্র প্রপাতের জল। আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে, বছরভর এখানে ঢল নামবে পর্যটকের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে সারা বছরই আসতে থাকবেন পর্যটকরা। তাওয়াং শহর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন সোনম সেরিং। তিনি বলেন, “জায়গাটার ভোল ক্রমেই বদলাচ্ছে। এখানে এখন মন্দির, গুম্ফা মায় লামাদেরও দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। শেষমেশ তা পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।” অসমের গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন (Arunachal Pradesh) পর্যটক রাজু তামাং। তিনি বলেন, “এই পবিত্র প্রপাতের বিষয়ে নানা কাহিনি শুনেছিলাম। চিন সীমান্তের কাছের এই পবিত্রভূমে আসতে পেরে আমি ধন্য। পবিত্র প্রপাতের জল সংগ্রহ করেছি আমিও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Map: অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন বেজিংয়ের! চিনা আগ্রাসনে রুষ্ট ভারত

    China Map: অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন বেজিংয়ের! চিনা আগ্রাসনে রুষ্ট ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করল চিন। কেবল তাই নয়, আকসাই চিনকেও তাদের বলে দাবি করেছে ড্রাগনের দেশ। সোমবার স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপের ২০২৩ সালের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছে বেজিং। তাতেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। চিনা মানচিত্রের (China Map) নয়া সংস্করণ প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত।

    চিনের নয়া মানচিত্র 

    চিনের এই মানচিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। এক্স হ্যান্ডেলে গ্লোবাল টাইমসের একটি পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে বিষয়টি। চিনের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি একাধিকবার জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    আগ্রাসনের চেষ্টা ড্রাগনের 

    অথচ এই অরুণাচল প্রদেশকেই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেজিং (China Map)। তাদের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ আসলে হচ্ছে দক্ষিণ তিব্বত। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের সময় আকসাই চিন দখল করে নেয় বেজিং। তার পর থেকে আকসাই চিনকেও তারা নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে যেমন তাদের বলে দাবি করে আসছে বেজিং, ঠিক তেমনই তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চিন সাগরকেও নিজেদের মানচিত্রের (China Map) অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরের ওপর অধিকার রয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া ব্রুনেই এবং তাইওয়ানের। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    এই প্রথম নয়, ২০২১ সালেও ভারতের ১৫টি জায়গা দখল করে নিজেদের মানচিত্রে প্রকাশ করেছিল বেজিং। অরুণাচল প্রদেশের এই জায়গাগুলির নতুন নাম দিয়ে নয়া একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চিনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক। ভারত ভূখণ্ডের যে ১৫টি জায়গাকে চিন নিজেদের বলে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল আটটি বসতি এলাকা, চারটি পর্বত, দুটি নদী এবং একটি গিরিপথ। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, অরুণাচল প্রদেশের (China Map) বিভিন্ন অংশ চিনের দখল করার চেষ্টা এই প্রথম নয়, ২০১৭ সালের এপ্রিলেও চিন একইভাবে কয়েকটি নাম তাদের মানচিত্রে তুলে ধরেছিল।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arunachal Pradesh: ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    Arunachal Pradesh: ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, বৃহস্পতিবার এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করল ইউনাইটেড কংগ্রেসনাল সেনেটরিয়ার কমিটি। অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের নিন্দাও করা হয়েছে প্রস্তাবে। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগেনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন এবং টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।

    ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা

    প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ভারত ও চিনের সীমান্তে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা দেয় আমেরিকায়। তাই অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই।’ চিনের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এই প্রস্তাব। তাতে বলা হয়েছে, ‘অরুণাচল প্রদেশের একটা বিরাট অংশ তাদের (ভারতে) ভূখণ্ড। ভারতের সেই ভূখণ্ডে ক্রমাগত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন।’ প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকেই সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে।‘

    অরুণাচল চিনের নয়, ভারতের

    সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কলেও বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কমিটি এই প্রস্তাব পাশ করেছে এটা বোঝাতে যে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারত সাধারণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা বোঝাতে। এই ভূখণ্ড পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার নয়। এবং এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমেরিকা এ ব্যাপারে ভারতকে সমর্থন ও প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে, যেমনটা আমেরিকা করে সমমনস্ক আন্তর্জাতিক সব দেশের ক্ষেত্রেই।”  

    সেনেটর জন করনিন বলেন, “সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। আমেরিকা সব সময় গণতন্ত্র রক্ষা করতে শক্তিশালী অবস্থান নেবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সাহায্যেই এটা করা হবে।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেরই, চিনের নয়, তা বোঝাতেই পাশ করা হয়েছে প্রস্তাব।” হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি করিনে জিন পিয়ারে বলেন, “অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মেনে আসছে আমেরিকা। তাই সেখানে আগ্রাসনের কোনও চেষ্টাই আমরা মেনে নেব না।”

    আরও পড়ুুন: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকারের অধীনে ভারতের (India) দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা কারও নেই। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে চিনা সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের সূচনা করতে দু দিনের সফরে শাহ এসেছেন অরুণাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্তবর্তী গ্রাম কিবিথুতে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ বলেন, আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, আমাদের দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বলেন, কেউ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। তাদের বক্তব্য, সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে শাহ বলেন, এই মনোভাবই সে দিন হামলাকারীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছিল। ওই যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ((Amit Shah)) অরুণাচল প্রদেশ সফরের আগেই বিবৃতি জারি করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই এদিন চিন সীমান্তে সভা করেন শাহ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন শেষ গ্রাম নয়, প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম বদলে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি মালভূমি অঞ্চল, দুটি আবাসিক এলাকা এবং দুটি নদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, ২০১৪ সালের আগে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রীর লুক ইস্ট নীতির কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share