Tag: Assam

Assam

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে খতম চার কুকি জঙ্গি। মণিপুরের (Manipur) চূড়াচাঁদপুর জেলার ঘটনা। সোমবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অসম রাইফেলস গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান শুরু করে। ‘অপারেশন খানপি’ নামের এই অভিযান চালানো হয় জেলা সদর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরের খানপি গ্রামে। অভিযান শুরু হয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। সেই সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists)-র জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মির চার জঙ্গি নিকেশ হয়। ওই দলের বাকি জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয় পাশের জঙ্গলে। ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি একটি নন-সাসপেনশন অফ অপারেশনস গোষ্ঠী, যারা সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি হিংসার ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাম প্রধানকে হত্যা, সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা। আধিকারিকরা জানান, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল সংগঠনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা দমন করা এবং স্থানীয় জনগণের ওপর সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করা।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৪ নভেম্বর ২০২৫ সালের সকালে গোয়েন্দা-তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানের সময় জঙ্গিরা বিনা উসকানিতে একটি সেনা কনভয়ের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা অভিযানে চার সশস্ত্র জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি ও ঘেরাও অভিযান চলছে। কোনও জঙ্গি যেন পালাতে না পারে, তাই এই তল্লাশি (Manipur)।

    প্রসঙ্গত, কুকি-জো গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অপারেশন স্থগিত (SOO) চুক্তির অংশ হলেও, ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।  তাই তাদের কাজকর্মই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অভিযান মণিপুরের সংঘাতে দীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ (Manipur)।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (Bangladesh National Anthem Controversy) ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অসমের করিমগঞ্জ জেলার শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেস সেবাদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি-র দাবি, কংগ্রেসের ‘বাংলাদেশ প্রীতি’ দেখার মতো৷ বিজেপি-র কথায়, যে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিজের মানচিত্রের মধ্য ঢুকিয়ে ভারত বিরোধী বার্তা দিতে চায়, সে দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত ভারতে বসে গাইছেন কংগ্রেসকর্মী৷

    বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল

    গত ২৭ অক্টোবর অসমের শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন৷ কংগ্রেস সেবাদলের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ সেই ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দাবি করেন, ‘কংগ্রেস সব সময় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” অসমের শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের সভায় গাওয়া হয়েছে – সেই দেশ যারা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভারতের থেকে আলাদা করতে চায়! সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে৷ এখন এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেস কেন কয়েক দশক ধরে অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়ে এসেছে এবং উৎসাহিত করেছে – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যা তথা ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এনে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” তৈরি করতে চেয়েছে।

    অসম বিজেপি ইউনিটের তীব্র প্রতিক্রিয়া

    অসম বিজেপি ইউনিটও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিজের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশ-আচ্ছন্ন কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে অসমে। যদি কেউ এই উদ্দেশ্য দেখতে না পায়, তবে সে হয় অন্ধ, নয় সহযোগী, নয়তো উভয়ই।’ অসম বিজেপির দাবি, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের তোষণ করতেই কংগ্রেস এই গান গেয়েছে৷ রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অভিযোগ দায়ের করা হলে ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হতে পারে।

    কংগ্রেসের বাংলাদেশ-প্রীতি নিয়ে সরব নেটিজেনরা

    প্রসঙ্গত, ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে রচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন সে সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯১১ সালে তা রদ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন৷ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিচয় ঘুচিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার পরে সে দেশ রবি ঠাকুরের এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করে৷ অসমের শ্রীভূমি জেলা, যা আগে করিমগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল, সেটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন৷ বরাক উপত্যকার এই অংশটি বাঙালি অধ্যুষিত৷ যদিও গানটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট, কিন্তু বিজেপির দাবি, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ‘দেশদ্রোহিতার সামিল’। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি আইনবিদ নই, তবে সাধারণ বুদ্ধি বলছে এটি দেশদ্রোহিতা। যদি এটি সত্যি হয়, তবে এসব লোকদের ভারতের পতাকা তলে থাকার কোনও অধিকার নেই—আশা করি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।” অন্য একজন বলেন, “এদের লজ্জা হওয়া উচিত… ভিন্ন মতাদর্শ থাকা ঠিক, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” একজন ব্যবহারকারী কংগ্রেসকে “দেশের বিরুদ্ধে সবকিছুর পক্ষে দাঁড়ানো” বলে অভিহিত করেছেন, এবং আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কংগ্রেস অসমকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়, এবং এটি তার প্রমাণ।”

  • Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে ঘটেছিল নেল্লি  গণহত্যাকাণ্ড। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গঠিত হয় তিওয়ারি কমিশন। ১৯৮৫ সালে রিপোর্টও (Tiwari Commission Repot) দেয় কমিশন। তার পর থেকে প্রায় চার দশক পার হয়ে গেলেও, প্রকাশ্যে আসেনি ওই রিপোর্ট। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ঘোষণা করল অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। অসমবাসী জানতে পারবেন বর্তমান নগাঁও জেলার এই নৃশংস গণহত্যার প্রকৃত সত্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা (Tiwari Commission Repot)

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৩ সালে নেল্লিতে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল, নাম ছিল তিওয়ারি কমিশন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিশনের রিপোর্ট কখনও রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের বিধানসভার অধিবেশনে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৯৮৩ সালের নেল্লি গণহত্যার প্রেক্ষিতে গঠিত তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব।” তিনি বলেন, “এটি অসমের ইতিহাসের একটি অংশ, যা পরে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা স্টাডি এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে অন্তত মানুষ সেই সময়ে কী ঘটেছিল, তার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।”

    নেল্লি হত্যাকাণ্ড

    ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের মধ্যাঞ্চলের নেল্লি এলাকায় এবং তার আশপাশে ঘটেছিল নেল্লি হত্যাকাণ্ড। এই সময় অসম আন্দোলন বা বিদেশি বিরোধী আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মানুষ। সেই সময় এলাকার শয়ে শয়ে আদিবাসী বাঙালি মুসলমানদের বসতিতে আক্রমণ চালিয়েছিল। দা, বর্শা ও লাঠি হাতে নিয়ে উন্মত্ত জনতা তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, অবরোধ করেছিল রাস্তা, যারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন নারী এবং ২৫৩ জন শিশু। যদিও মানবাধিকার সংগঠন এবং গবেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা এই হিসেবের তুলনায় অনেক বেশি। অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সিআরপিএফ পৌঁছনোর পর (Tiwari Commission Repot)।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই শূন্য ছিল ১৯৮০ সাল থেকে। বিদেশি-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ১৯৮২ সালে ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভাও। পরের বছর ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় চার দফায় হবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন বয়কট করেন অসম আন্দোলনের সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও হিংসা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সোনিয়া গান্ধীর দল। অসম আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে, আসু। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করা হোক। তাদের নাম মুছে ফেলা হোক ভোটার তালিকা থেকে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশের মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাবে অসমের জনসংখ্যাগত কাঠামো (Tiwari Commission Repot)।

    কাঠগড়ায় কংগ্রেস

    নেল্লি হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বাধীন অসমের কংগ্রেস সরকার তৎকালীন আইএএস কর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির নেতৃত্বে তিওয়ারি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৮৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর সইকিয়ার কাছে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বিধানসভায়। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের নথিপত্রে মাত্র তিনটি শ্রেণিবদ্ধ (classified) কপি সংরক্ষিত রয়েছে (Tiwari Commission Repot)। গত চার দশকে রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। অনেকে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ায়।

    কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট

    যদিও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রিপোর্টটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, “অসম সরকারের কাছে থাকা ৬০০ পৃষ্ঠার তিওয়ারি কমিশন রিপোর্টের কপিগুলিতে কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির সই ছিল না। তাই প্রতিবেদনটি আসল কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তখনকার বিভিন্ন কেরানির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, ফরেনসিক পরীক্ষাও করেছি এবং রিপোর্টটি সত্য বলে জানতে পেরেছি। আগের বিভিন্ন সরকার রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু কোনও না কোনও সরকারকে এটি প্রকাশ করতেই হত। কারণ এটি আমাদের ইতিহাসের একটি অধ্যায় (Tiwari Commission Repot)।”

  • Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় (Tripura) ধর্ষণের শিকার ১৪ মাসের সংখ্যালঘু শিশুকন্যা (Infant Raped)! পরে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুটিরই সম্পর্কিত মামাদাদু। শিশুটিকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমার জয়নালউদ্দিন। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় অসমের নীলম বাজার এলাকা থেকে জয়নালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে ত্রিপুরায়।

    শিশুটি নিখোঁজ (Tripura)

    জানা গিয়েছে, শিশুটিকে নিয়ে তার মা বেড়াতে গিয়েছিলেন মামাদাদুর বাড়িতে। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই মহিলা শিশুটিকে তাঁর কাকার কাছে রেখে কাছের বাজারে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন, শিশুটি নিখোঁজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁকে জানান, জয়নালউদ্দিন শিশুটিকে কাছের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে না আসায় শিশুকন্যাটির মা এবং পরিবার পুলিশে খবর দেয়। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দেখা যায়, ঘরের পেছনের উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে।

    যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই একরত্তির। অভিযুক্ত জয়নাল গা-ঢাকা দেন। রবিবার সকালে শিশুটির মামাদাদু এফআইআর দায়ের করেন। এদিনই অভিযান শুরু করে পুলিশ। জয়নালকে গ্রেফতার করা হয় অসমের শ্রীভূমি জেলার নীলম বাজার এলাকা থেকে (Tripura)। জানা গিয়েছে, অসমের শিলচর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল জয়নাল। তার সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়  পুলিশ। এসডিপিও রাহুল বলহারা জানান, অভিযুক্ত জয়নালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শিশুটির ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে (Infant Raped)। এই অমানবিক ও জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী (Tripura)।

  • Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরের লাজারাস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভেরর সময় খিঁচুনির শিকার হন। যা শেষপর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। মৃত্যুকালে জুবিন গর্গের বয়স হয়েছিল ৫২।

    কী ঘটেছিল

    প্রয়াত গায়কের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ জানিয়েছেন, “জুবিন প্রায় সাত-আট জনের একটি দলের সঙ্গে ইয়ট করে লাজারাস দ্বীপে গিয়েছিলেন। দলের মধ্যে ছিলেন ড্রামার শেখর ও সিদ্ধার্থ সহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটেন এবং পরে ইয়টে ফিরে আসেন। কিন্তু জুবিন আবার একা সাঁতারের জন্য নামেন এবং সেই সময়েই খিঁচুনির আক্রমণ হয়।” তিনি আরও জানান, “জুবিন আগেও একাধিকবার খিঁচুনির সমস্যায় পড়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এবারও সহযাত্রীরা কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দু’ঘণ্টা আইসিইউ-তে রাখা হয়।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জুবিন।

    বলিউডে পরিচিত নাম জুবিন

    জন্মসূত্রে অসমের হলেও বলিউডে বেশ পরিচিত নাম জুবিন। গান গেয়েছেন ‘ফিজা’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘রাজ’, ‘থ্রিডি’, ‘কৃষ থ্রি’র মতো সিনেমায়। বাংলা চলচ্চিত্রেও একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। রংবাজ, খিলাড়ি, খোকা ৪২০-এর মতো সিনেমায় দিয়েছেন কণ্ঠ। অসমিয়া ছবিতে গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে বছরখানেক ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না জুবিনের। গায়কের ঘনিষ্ঠমহলও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অত্যধিক মদ্যপানের অভিযোগ তুলেছে। যার জেরে তাঁর একাধিক শো-ও বাতিল সাম্প্রতিক অতীতে। একসময়ে যে গায়কের কণ্ঠে ‘ইয়া আলি…’ শুনে গোটা দেশে ঝড় উঠেছিল, সেই গায়কের এহেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অনুরাগীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। খিঁচুনি একটি জিনঘটিত রোগ হলেও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই রোগে অনুঘটকের কাজ করে।

    খিঁচুনি কী?

    খিঁচুনি হল মস্তিষ্কে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ইলেকট্রিক্যাল ক্রিয়াকলাপের ফলে ঘটে যাওয়া সাময়িক অস্বাভাবিকতা, যা আচরণ, অনুভূতি কিংবা চেতনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি খিঁচুনির ধরন একরকম হয় না। কেউ হঠাৎ থেমে গিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারেন, আবার কারও দেহে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি দেখা দিতে পারে। একজন ব্যক্তি হয়তো জীবনে একবারই খিঁচুনি অনুভব করবেন, আবার কেউ প্রতিদিন একাধিকবার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ জীবনে অন্তত একবার খিঁচুনির অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

    খিঁচুনির ধরন

    জেনারেলাইজড সিজার (Generalized Seizure): এ ধরণের খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের উভয় পাশেই একযোগে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়। এতে দেহে প্রবল ঝাঁকুনি দেখা যায় অথবা ব্যক্তি হঠাৎ স্থির হয়ে যায়। সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনও বয়সে এটি হতে পারে।

    ফোকাল সিজার (Focal Seizure): এতে খিঁচুনির সূত্রপাত মস্তিষ্কের একটি পাশে হয় এবং দেহের একদিকে লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় ব্যক্তি এই খিঁচুনির অভিজ্ঞতা মনে রাখতে পারেন না। ফোকাল সিজার ধীরে ধীরে উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়তেও পারে।

    খিঁচুনির লক্ষণসমূহ

    খিঁচুনির লক্ষণ ধরণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে, জ্ঞান হারানো, শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি, মাংসপেশির টান, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, দাঁত শক্ত করে চেপে ধরা, লালা পড়া, চোখে অস্বাভাবিক নড়াচড়া, প্রস্রাব বা পায়খানা ধরে রাখতে না পারা, অজানা শব্দ তৈরি হওয়া, হঠাৎ আবেগের পরিবর্তন – ভয়-বিভ্রান্তি-আনন্দ বা উদ্বেগ।

    খিঁচুনির কারণ কী?

    সাধারণত মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানের ফলে খিঁচুনি হয়। এই সংকেত মস্তিষ্কের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে সামগ্রিক বৈদ্যুতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এটি প্রধানত দুই ধরনের।

    প্রোভোকড সিজার (Provoked Seizure): যেটি কোনও সাময়িক অবস্থার কারণে ঘটে। যেমন: জ্বর, রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মাথায় আঘাত।

    আনপ্রোভোকড সিজার (Unprovoked Seizure): যেগুলি নিজে নিজেই ঘটে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি মৃগী বা এপিলেপসির লক্ষণ হতে পারে।

    সাঁতারের সময় খিঁচুনি কেন বিপজ্জনক?

    জলের মধ্যে খিঁচুনি হলে ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারেন, ফলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাইফ জ্যাকেট থাকলেও হঠাৎ শরীরের কাঁপুনি ও অঙ্গ সঞ্চালনে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও ব্যক্তি আগে খিঁচুনির শিকার হলে, সাঁতারের সময় তাঁর সবসময় নজরদারির মধ্যে থাকা উচিত। জলে একা নামা একেবারেই উচিত নয়।

    জুবিনের জনপ্রিয়তা

    ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন বোর ঠাকুর। পরে তিনি তাঁর পরিবারের গোত্র থেকে গর্গ উপাধিটি গ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তাঁর বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন। তিনি কপিল ঠাকুর নামে লিখতেন। তাঁর মা হলেন ইলি বোরঠাকুর, তিনিও একজন গায়িকা। অভিনেত্রী তথা গায়িকা জংকি বোরঠাকুর তাঁর বোন। তিনি ২০০২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর আর এক বোন, ডঃ পাম বোরঠাকুর। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো উপজাতি ভাষা সহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন। তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগত শোকাহত। তাঁর স্মৃতি, গান এবং অবদান শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।

  • Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি মা কামাখ্যার কৃপায় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর প্রথমবার অসমে এসেছি। অপারেশন সিঁদুর আমাদের একটি বড় সাফল্য।” অসমের (Assam) মংগোলদৈ এলাকায় এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Assam)

    কংগ্রেসের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন বিজেপি ভারতরত্ন দিচ্ছে শুধুমাত্র যাঁরা নাচেন এবং গান গান, তাঁদের। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পণ্ডিত নেহরু উত্তর-পূর্বকে বিদায় জানিয়েছিলেন, সেই ক্ষতির বেদনা এখনও ভরেনি এবং কংগ্রেস পার্টির বর্তমান প্রজন্মও তাতে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত।” তিনি বলেন, “আপনি আমায় যত অভিশাপ দিন, আমি কেয়ার করি না। আমি ভগবান শিবের ভক্ত, আমি সমস্ত বিষই গ্রহণ করি। কিন্তু যখন কংগ্রেস দেশের সৎ সন্তানদের—যেমন ডঃ ভূপেন হাজারিকাকে—অপমান করে, তখন আমার মনে কষ্ট হয়।”

    জঙ্গি হামলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা ভারত উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য এটি তাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ছ’দশকেরও বেশি সময়ে কংগ্রেস ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩টি সেতু তৈরি করেছে,  আর আমরা এক দশকে এই নদীতেই ৬টি সেতু নির্মাণ করেছি। রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস সেই সব মানুষ ও ব্যবস্থার পাশে দাঁড়ায়, যারা সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস শাসন কালে ভারতে বহু জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার চুপচাপ বসে ছিল।”

    তিনি বলেন (Assam), “আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কংগ্রেস আমাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর বদলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের অ্যাজেন্ডা বহন করার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের মিথ্যা কথা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাংকের স্বার্থ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। তারা ‘দেশের স্বার্থ’ নিয়ে কখনও ভাবে না।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করে। তারা চায় অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হোক এবং এই অনুপ্রবেশকারীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করুক (Assam)।”

  • PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমূল পরিবর্তন আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দেশের রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে আইজল (Bairabi-Sairang Railway Line)। একটা সময় যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে মনে করা হতো এক দূরবর্তী অঞ্চল। উন্নয়নের অপেক্ষায় থাকত উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন। সেই চিত্রপটে আমূল বদল এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi in Mizoram) উদ্যোগে। কারণ, তিনিই সূচনা করেছিলেন ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির। তারই সাফল্য হিসেবে শনিবার বৈরাবি-সায়রাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মিজোরামে মোদি

    বৃহস্পতিবার এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১ কিলোমিটারের প্রকল্পটি এই প্রথম আইজলকে যুক্ত করবে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। পাশাপাশি সায়রাং থেকে দিল্লি (রাজধানী এক্সপ্রেস), কলকাতা (মিজোরাম এক্সপ্রেস) এবং গুয়াহাটি (আইজল ইন্টারসিটি) পর্যন্ত তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির এটি মিজোরামে দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি তুরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (৬০ মেগাওয়াট) উদ্বোধন করতে এসেছিলেন, যা আসাম সীমান্তবর্তী কলাসিব জেলায় অবস্থিত। এদিন আইজলের লামমুয়ালে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি মোদি নতুন রেলপথের উদ্বোধন ও ট্রেন সার্ভিসগুলির সূচনা করবেন। এছাড়াও তিনি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন এবং ছয়টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

    কলকাতা-আইজল রেল যোগাযোগ

    মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আগামিকাল। আইজলের সাইরাং স্টেশন থেকে ০৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা স্পেশাল সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে পরের দিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩১২৫ কলকাতা – সাইরাং ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে সাইরাং পৌঁছাবে। একই ভাবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সাইরং থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর আড়াইটেতে কলকাতা পৌঁছাবে। যাতায়াতের পথে ট্রেন টি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া টাউন, গোলকগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও মালদা টাউন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম

    এই অঞ্চলের জন্য রেলে বাজেট বরাদ্দ দ্বিতীয় ইউপিএ জমানার তুলনায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র এই আর্থিক বছরে ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গম মিজোরামকে রেলপথে যুক্ত করতে ১৪৩টি সেতু এবং ৪৫টি টানেল নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর মধ্যে সাইরাং-এর কাছে ১১৪ মিটার উচ্চতার ব্রিজ নম্বর ১৪৪ বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে উঁচু পিয়ার রেল ব্রিজ। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই রেলপথ আইজলকে আসামের শিলচর-এর সঙ্গে যুক্ত করবে এবং মিজোরামকে প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ২০০৮-০৯ সালে এই প্রকল্প অনুমোদন পায় এবং ₹৮,২১৩.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    উত্তর-পূর্বে উন্নয়নের জোয়ার

    গোটা দেশে রেল (Bairabi-Sairang Railway Line) যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন আইজলে নতুন ট্রেন চালু হলে দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে যাতায়াত সহজ হবে। এই রেলপথ চালু হলে আইজল থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কমে ১২ ঘণ্টা হবে, যেখানে সড়কপথে এটি ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আইজল-শিলচর যাত্রাও সাত ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে সহজ হবে খাদ্যশস্য ও সারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ। উপকৃত হবেন কৃষকরা। পাশাপাশি জোয়ার আসবে পর্যটন শিল্পেও। চাঙ্গা হবে স্থানীয় ব্যবসা। যুব সমাজের কাছে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Mizoram) সফরকে ঘিরে মিজোরাম জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) এইচ রামথলেংলিয়ানা জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে এবং আইজলে বিএসএফ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুটে যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিজোরাম সফরের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির মণিপুর সফরের কথাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মণিপুর সফর।

LinkedIn
Share