Tag: Atmanirbhar Bharat

Atmanirbhar Bharat

  • Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে আর একটি পালক। বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (Solar Defence and Aerospace Limited) নির্মিত আক্রমণাত্মক ড্রোন ‘রুদ্রাস্ত্র’-র সফল (Rudrastra Drone Tested) পরীক্ষা সম্পন্ন হল রাজস্থানের পোখরানে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই ট্রায়ালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর মানদণ্ড ছাপিয়ে গেল রুদ্রাস্ত্র। এই ড্রোনটি সীমান্তের ওপারে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হবে। এটি ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    পোখরানে সফল পরীক্ষা

    ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশীয়ভাবে তৈরি ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (VTOL) ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছে। রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে ‘রুদ্রাস্ত্র’। সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ড্রোন কিনতে চায় কারণ এগুলি শত্রু অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করতে সক্ষম। হেলিকপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে সক্ষম রুদ্রাস্ত্রের জন্য আলাদা রানওয়ের প্রয়োজন হয় না। ফলে দুর্গম ও অপ্রবেশযোগ্য এলাকা থেকেও সহজেই পরিচালনা করা যায়। পরীক্ষার সময়, ‘রুদ্রাস্ত্র’ ড্রোনটি মোট ১৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তু এলাকার উপর দিয়ে ঘোরাফেরা করা এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ভেসে থাকা অন্তর্ভুক্ত। ড্রোন থেকে ফেলা শেলটি মাটির ঠিক উপরে বাতাসে বিস্ফোরিত হয়। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব কম উচ্চতায় বিস্ফোরিত হয় এবং সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে বিশাল এলাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সফল হয়। পরীক্ষার সময় এটি ৫০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে এবং নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

    মহাকাব্যিক নাম, বিধ্বংসী ক্ষমতা

    ‘রুদ্রাস্ত্র’ নামটি প্রাচীন হিন্দু পুরাণ থেকে নেওয়া, যেখানে এটি শিবের সঙ্গে যুক্ত একটি বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে বিবৃত। ড্রোনটির অস্ত্রসজ্জায় রয়েছে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-পার্সোনেল ওয়ারহেড, যা লক্ষ্যবস্তুর উপরে বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে উচ্চবেগে টুকরো ছড়িয়ে দেয়, ফলে শত্রুপক্ষের মানুষ ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

    লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা পর্যবেক্ষণ

    রুদ্রাস্ত্র ২,০০০ থেকে ৩,৫০০ মিটার উচ্চতা থেকে আক্রমণ চালাতে পারে এবং সেই সময় লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে কমান্ড সেন্টারে সরাসরি হামলার দৃশ্য পাঠায়। এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। সেনা সূত্রে খবর, সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (SDAL)  ‘রুদ্রাস্ত্র’কে সেনাবাহিনীর জন্য অনেক কাজ করার জন্য প্রস্তুত করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ড্রোন-ভিত্তিক যুদ্ধ কৌশলে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং তাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আধুনিক যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি অস্ত্রের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।

  • Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে যুক্ত হল আরেকটি পালক। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল ভারত। এআই চালিত এই লাইট মেশিন গান (LMG) সিস্টেম, শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চলে আসবে বলে খবর। আগামীতে সেনার আঙিনায় নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে এআই চালিত এই মেশিনগান, অভিমত সমর বিশেষজ্ঞদের।

    এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

    সূত্রের খবর, এই নতুন এআই সিস্টেম কেবল সেনাবাহিনীর (Indian Army) শক্তি বৃদ্ধি করবে না, বরং সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যদের জীবনের নিরাপত্তাও দেবে। তাঁদের কাজকে আরও সুগম করে দেবে। বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে দেশীয়ভাবে তৈরি এই এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়ে গেল ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায়, ভারতের দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে। এই আধুনিক প্ল্যাটফর্ম (AiD-AWSSA|LW) হালকা এবং ছোট অস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইট মেশিনগান সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে স্থিতিশীল কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আধুনিক এই অস্ত্রটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের আওতায় তৈরি হয়েছে।

    প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

    থার্মাল ও অপটিক্যাল সেন্সর ফিউশন—নির্ভুল লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক

    ব্যালিস্টিক কম্পেনসেশন—বাতাস, দূরত্ব এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়

    এনক্রিপটেড রিমোট কমান্ড ফিচার—নিরাপদ দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা

    বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অস্ত্রের (AI-Enabled Light Machine Guns) মূল প্রযুক্তি একটি উন্নত মাল্টি-সেন্সর এআই মডিউল যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু-বন্ধু শনাক্ত করতে পারে। উপযুক্ত সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম এই অস্ত্র। এটি ঘাঁটি প্রতিরক্ষা, কনভয় সুরক্ষা এবং সীমান্ত নজরদারির মত ক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে। যেখানে জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রতিনিয়ত শত্রুপক্ষের হামলার ভয় থাকে সেখানে এই অস্ত্র উপযোগী। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই এআই মডিউলটি প্ল্যাটফর্ম-অ্যাগনস্টিক, অর্থাৎ বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গেই একত্রিত করা যায়—যেমন হালকা মেশিন গান, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, রিমোট ওয়েপন স্টেশন প্রভৃতি।

  • LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় বিরাট বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষাকে আরও জোরদার করতে দেশে তৈরি ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) বা এলসিএইচ কেনায় চূড়ান্ত ছাড়পত্র (Defence Acquisition) দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindusthan Aeronautics Limited) বা হ্যালের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করতে চলেছে সরকার। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মোদি মন্ত্রিসভা যে এই হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিতে চলেছে, তা আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই কথাই সত্যি হল।

    মার্চ মাসে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় ছাড়পত্র

    এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের (T-90 Bhisma) জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এবার, ৬২ হাজার কোটি টাকার হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) কেনায় ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড (LCH Prachand) দেশের গর্ব

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এই সামরিক চপার (অ্যাটাক হেলিকপ্টার) তৈরি হবে কর্নাটকে হ্যালের বেঙ্গালুরু ও টুমকুরের কারখানায়। এটাই এখনও পর্যন্ত হ্যালের সবচেয়ে বড় মূল্যের প্রতিরক্ষা বরাত হতে চলেছে। এই ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে, একদিকে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র (LCH Prachand) বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    হ্যাল-নির্মিত ‘প্রচণ্ড’ বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-সীমান্তে (India China Border) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আর্টিলারি বা কামান-শক্তি বাড়াতে এবার স্বদেশীয় অত্যাধুনিক ‘ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম’ (ভিএমআইএমএস), সংক্ষেপে ভিমিমস্-ও বলা হয়ে থাকে, মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগের আওতায় দেশে তৈরি ‘আলাক্রান-এল’ নামের এই অত্যাধুনিক মর্টার (Alakran-L VMIMS) সিস্টেমের সিকিমে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে বিরাট বড় একটা সুবিধা প্রদান করবে এবং একইসঙ্গে ‘ড্রাগনের দেশ’কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    সিকিমে ‘ভিমিমস্’ মোতায়েন কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ভিমিমস্। আবার, চিন-সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সিকিম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। অতীতে, এই সিকিমেই একাধিকবার ভারত ও চিনা ফৌজের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। ফলে, এই সিমান্তাঞ্চলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার (Modi Government)। যার জেরে, এবার সিকিমের উঁচু, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আলাক্রান-এল হাল্কা মর্টার সিস্টেমকে (Alakran-L VMIMS) মোতায়েন করেছে সেনা। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) সিকিমে ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম (ভিএমআইএমএস) মোতায়েন করেছে। এই স্বনির্ভর ব্যবস্থা বাহিনীর গতিশীলতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া বা জবাব দেওয়ার যোগ্যতা এবং গোলাবারুদের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির উন্নতি ঘটাবে।’’ সেনার মতে, এই সিস্টেম সমর পরিস্থিতিতে বাহিনীকে কঠিন ও দুর্গম ভূখণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ করার সুযোগ করে দেবে।

    ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম কী?

    আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেমে (Alakran-L VMIMS) একটি ৮১ মিমি কামান রয়েছে যা আর্মার্ড লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিক্যেল (এএলএসভি) নামে পরিচিত একটি বিশেষ সামরিক গাড়িতে স্থাপন করা হয়। ভারতে এই গাড়িটিকে ‘আর্মাডো’ বলা হয়। এই গাড়ির দুদিকে থরে থরে সাজানো থাকে কামানের বিশেষ গোলা। এই গাড়িটির জন্য কামানটিকে অল্প সময়েই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। ফলে, দ্রুত জায়গা পাল্টে আক্রমণ করার সুযোগ পায় বাহিনী (Indian Army)। যার ফলে, সেনার সমক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

    আলাক্রান-এল ভিমিমস্-এর কার্যকারিতা ও গুরুত্ব

    দুর্গম অঞ্চলেও যাতে সহজে মর্টার সিস্টেমকে সহজে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই সিস্টেমটি। নেভিগেশন এমন ডিজাইন করা হয়েছে, যা অপারেশনাল রেসপন্সিভনেস বাড়ায়।

    এই সিস্টেমে দ্রুত কামান মোতায়েন ও গোলা নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। দ্রুত সেটআপ এবং ফায়ারিংয়ে সহায়তা করার জন্য ‘আলাক্রান-এল’ মর্টার সিস্টেমটি (Alakran-L VMIMS) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।

    এই সিস্টেমটি শত্রুর অবস্থানগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ৮১ মিমি শক্তিশালী মর্টার ব্যবহার করে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগকে সমর্থন করে মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড এবং মিলানিয়ান এনটিজিএস যৌথভাবে এই সিস্টেমটি তৈরি করেছে।

    ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জায়গা করে নিয়েছিল আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেম (Alakran-L VMIMS)। এতেই পরিষ্কার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) কাছে এর গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।

  • Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার (Defence Acquisition) বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়।

    দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে বিরাট পদক্ষেপ

    জল-স্থল-আকাশ, দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে বিরাট পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition) বৃহস্পতিবার এক বারেই বিপুল সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেয়। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে স্থলসেনার অন্যতম ভরসা টি-৯০ (T-90 Tank) যুদ্ধট্যাঙ্কের জন্য আরও উন্নত ইঞ্জিন। বর্তমানে এই ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয় ১০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার এই ট্যাঙ্কে আরও শক্তিশালী ১৩৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন বসানো হবে। এই নতুন ইঞ্জিন কেনার জন্য এদিন ‘অ্যাকসেপট্যান্স অফ নেসেসিটি’ (এওএন) বা প্রয়োজনীয়তার গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন উন্নত ইঞ্জিনের ফলে, ট্যাঙ্কটির শক্তি বনাম ওজনের অনুপাত ভালো হবে। এর ফলে, দুর্গম অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে এই ট্যাঙ্কগুলির গতিশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

    বিপুল সংখ্যায় বরুণাস্ত্র টর্পিডো কিনবে নৌসেনা

    একইভাবে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি বরুণাস্ত্র টর্পিডো (Varunastra) কেনার জন্য অনুমোদন (Defence Acquisition) দিয়েছে কাউন্সিল। দেশীয় সংস্থা নেভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নির্মিত জাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল সংখ্যায় কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে, দেশের জলসীমা আরও নিরাপদ হবে। আবার, আকাশসীমার নিরাপত্তায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম কেনার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছে ডিএসি। এর ফলে, বায়ুসেনার সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে, যা বিভিন্ন সমরাস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যুদ্ধের সম্পূর্ণ পট-পরিবর্তন করতে সক্ষম।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক ‘এটিএজিএস’

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একদিকে ৫৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় অনুমোদন (Defence Acquisition) দেওয়ার আগে, একই দিনে ৭ হাজার কোটি টাকার দেশে তৈরি ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) প্রতীক ১৫৫ মিমি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি। সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ মারণশক্তির এই আর্টিলারি গান (কামান) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত। ৫২ ক্যালিবার ব্যারেল সমন্বিত এটিএজিএসের পাল্লা ৪০ কিমি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধে গেমচেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বর্তমানে সেনায় যে সমস্ত ১০৫ মিমি এবং ১৩০ মিমি আর্টিলারি গান রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করে এই নতুন শক্তিশালী, উন্নত এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আর্টিলারি গান মোতায়েন করা হবে। বিশেষ করে, দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তে এটির মোতায়েন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে উল্লেখযোগ্য কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।

    সময়ের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি…

    ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ হিসাবে উদযাপন করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যে কারণে, সামরিক কেনাকাটাকে (Defence Acquisition) আরও ত্বরাণ্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে মোদি সরকার (Modi Government)। সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যাতে সময়ের অপচয় না হয় এবং বিষয়টি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি গাইডলাইনও অনুমোদন করেছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা পরিষদ। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মোদি সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) লক্ষ্যকে মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, সরকারের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনাথ সিং প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩-২৪ সালে প্রতিরক্ষা উত্পাদন ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালে তা আরও অতিক্রম করে মধ্যে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা রফতানি (India Defence Exports), যা ২১ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল ওই একই সময়ে, এবার তা বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

  • PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতের’ ১১৫তম অনুষ্ঠান। এখানেই উঠে এল আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি মেকিং ইন্ডিয়াতে দেশের সাফল্যের কথা। প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর রয়েছে দীপাবলি। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘এই সময়ে আত্মনির্ভর ভারতের ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার।’’ তিনি বলেন, ‘‘আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র আমাদের নীতিই নয়, বরং গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দশ বছর আগেও যদি কেউ বলত যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ভারতে তৈরি হয়েছে, তাহলে অনেকেই এটা বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। দেশের সাফল্যের সাক্ষী ভারতের প্রতিটি নাগরিক। ভারত আত্মনির্ভর হয়েছে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে চমৎকার ফল করছে।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে অ্যানিমেশন এবং গেমিং-এই দুটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব এসেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘ছোটা ভীম বলুন অথবা অ্যানিমেশনের শ্রী কৃষ্ণ, মটুপাতলু, বাল হনুমান-এই সমস্ত কিছুর ফ্যান জগৎ জুড়ে রয়েছে। ভারতের অ্যানিমেশন চরিত্রগুলির জনপ্রিয়তা সারা পৃথিবী জুড়ে। কারণ এগুলোর মৌলিক গল্প ও চমৎকার সৃজনশীলতা।’’

    ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ আনেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) 

    কয়েকমাস আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেই আমি ভারতের শীর্ষস্থানীয় গেমারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সৃজনশীলতা সম্পর্কে জানবার।’’ অ্যানিমেশন ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া এবং মেড বাই ইন্ডিয়ানস- খুব দ্রুততার সঙ্গে সাফল্য পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে 

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘বর্তমান সময়ে আমাদের যুবকরা মৌলিক ভারতীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারছেন, যা সমাজে ভালো প্রভাব ফেলছে এবং সেগুলি পৃথিবী জুড়ে মানুষ দেখছেন। অ্যানিমেশন ক্ষেত্র বর্তমানে একটি শিল্পের আকার ধারণ করেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে আমরা কীভাবে গ্লোবাল অ্যানিমেশন পাওয়ার হাউসে পরিণত করতে পারি, তা ভাবতে হবে।’’

    লাদাখের ইমেজিং টেলিস্কোপ

    অন্যদিকে আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি এখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তার কারণ এই মাসেই আমরা লাদাখে উদ্বোধন করেছি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইমেজিং টেলিস্কোপ। ৪,৩০০ মিটার উচ্চতায় গড়ে উঠেছে এটি। সেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতা। অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানী এবং শিল্পপতিরা এটা করে দেখিয়েছেন।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন দীপাবলিতে ভোকাল ফর লোকাল কর্মসূচি চালানোর জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manu Bhaker: বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন প্যারিসে জোড়া পদকজয়ী মনু

    Manu Bhaker: বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন প্যারিসে জোড়া পদকজয়ী মনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জিতেছিলেন শুটার মনু ভাকের (Manu Bhaker)। তারপর থেকেই মনুর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এবার বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের (Ministry of Ports Shipping & Waterways) ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন মনু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই কথা ঘোষণা করেন। মনুর বাবা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ের এই সাফল্যে স্বভাবতই তৃপ্ত তিনি। প্যারিসে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ জিতে আগেই নয়া ইতিহাস তৈরি করেছিলেন মনু ভাকের। ভারতের প্রথম মহিলা শুটার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক জিতেছিলেন। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত বিভাগের পর মিক্সড বিভাগেও ব্রোঞ্জ জেতেন মনু। স্বাধীনতার পরে একমাত্র ভারতীয় হিসাবে একই অলিম্পিক্স থেকে দুটি পদক জেতার রেকর্ড গড়েন তিনি।

    মনুকে সম্মান

    মোদি সরকারের (Modi Government) হাত ধরে খেলার জগতে প্রতিদিন উন্নতি করছে ভারত। ক্রিকেট-ফুটবল-হকি তো ছিলই, এখন অন্য খেলাতেও ছুটছে ভারতের বিজয়রথ। এই ভিত তিলে তিলে তৈরি করেছে মোদি সরকার। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পই হোক বা টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম (TOPS) প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণা উদ্বুদ্ধ করেছে খেলোয়াড়দের। এদিন এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি  বলেন, “এটি প্রত্যেক ভারতীয় এবং সেই সঙ্গে ভারতের মেরিটাইম সেক্টরের প্রতিটি সদস্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। ভাকের প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করেছেন। দেশের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে একটি অলিম্পিকে দুটি পৃথক পদক জমিতেছেন মনু। একজন সফল ক্রীড়াবিদ হিসাবে তাঁর কৃতিত্ব চিরস্মরণীয়। সামুদ্রিক খাতের মূল্যবোধ, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় এবং নম্রতার দ্বারা চালিত একটি পরিবারে বড় হয়েছেন মনু। তাই তিনি আমাদের প্রেরণা।”

    মনুর (Manu Bhaker) জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। নানান সরকারি প্রচারে এখন দেশের যুব সম্প্রদায়ের মুখ মনু। ৪০টি সংস্থার বিজ্ঞাপনের মুখও মনু ভাকের। কয়েক কোটি টাকার বিজ্ঞাপন পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অলিম্পিক্সের আগে তিনি বিজ্ঞাপনের জন্য ২০-২৫ লক্ষ টাকা নিতেন। এখন নাকি দেড় কোটি টাকা নিচ্ছেন মনু। প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ভাকেরকে। গোয়ালিয়রের জিওয়াজি ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁদের নতুন শুটিং রেঞ্জের নাম মনুর নামে রেখেছেন। এমন সম্মানে উচ্ছ্বসিত অলিম্পিক্স পদকজয়ী শুটার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুখোই ফাইটার (Su 30 Fighter Jet) জেট রফতানি করবে ভারত। ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (HAL) তৈরি করবে এই সুখোই যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থা এবার থেকে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট তৈরি করবে এবং বিদেশে রফতানি করবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতার এটি একটি অসাধারণ নিদর্শন। রাশিয়ার এই বিমান পৃথিবীর বহু দেশে বিমান বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব ভান্ডারেও ২৫০-র বেশি সুখোই-৩০ ফাইটার জেট রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফাইটার জেট তৈরি নয়, ফাইটার জেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও রফতানি করা হবে।  

    ফাইটার জেট রফতানি করবে ভারত (Su 30 Fighter Jet)

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হ্যালের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে ভারত প্রতিরক্ষা রফতানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এর আগে ভারত শুধুমাত্র ছোটখাটো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করত। এবার থেকে ভারত বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় (Su 30 Fighter Jet) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতকে আরও মজবুত করবে।

    নাসিকে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান (HAL)

    সূত্রের খবর (HAL) নাসিকে এই ফাইটার জেট তৈরি করা হবে। এর জন্য রাশিয়ার তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। রাশিয়া এই বিমানের আসল নির্মাতা। রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করায় ভারত নিজ দেশেই বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তারপরেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    ভারত এবং রাশিয়া উভয়পক্ষই যৌথ উদ্যোগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই (Su 30 Fighter Jet) রাশিয়ান বিমান তৈরি করবে। দুই দেশের বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় লড়াকু বিমান তৈরি করার পাশাপাশি তৃতীয় কোনও বন্ধু রাষ্ট্রকেও এই বিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share