Tag: ATS

ATS

  • Mizoram: মিজোরামে বাজেয়াপ্ত ৩৫০ কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার গাড়িচালক

    Mizoram: মিজোরামে বাজেয়াপ্ত ৩৫০ কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার গাড়িচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে (Mizoram) আটক প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ এবং হেরোইন (Drug)। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। রবিবার এ খবর জানান সে রাজ্যের এক শীর্ষকর্তা। জানা গিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে রাজধানী আইজলের কাছাকাছি এলাকায় অভিযান চালায় অপরাধ দমন শাখা এবং স্পেশাল নারকোটিক্স থানার যৌথ দল।

    বাজেয়াপ্ত প্রচুর মাদক (Mizoram)

    তখনই বাজেয়াপ্ত হয় ২০.৩০৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ। এর বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ১২৮টি সাবানের কেসে রাখা ১.৬৫২ কেজি হেরোইনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মূল্য প্রায় ৪৯.৫৬ লাখ টাকা। এই মাদকগুলি লুকোনো ছিল একটি গাড়ির গোপন চেম্বারে। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় গাড়িচালক, বছর পঁয়তাল্লিশের বি লালথাজুয়ালাকে। ১৯৮৫ সালের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টান্সেস আইনের বিভিন্ন ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা।

    আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল পাচারকারীকে

    প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাইও জোখাওথার গ্রামে আর (Mizoram) একটি বড় মাদক চালানকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কুদামসেন কাইয়ের কাছে একটি পরিত্যক্ত নাইলনের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক। গ্রেফতার করা হয় বছর কুড়ির মায়ানমারের নাগরিক লালনুনতলুয়াঙ্গাকে। বর্তমানে সে থাকে জোখাওথারে। টানা জেরায় সে কবুল করে, এই মাদক ভর্তি ব্যাগটি সে মায়ানমারের খাওমাউই অঞ্চল থেকে নিয়ে এসেছিল। ব্যাগটির ভেতর থেকে পুলিশ ২০টি হেরোইনের ইট উদ্ধার করে। প্রতিটি ইট স্বচ্ছ পলিথিনে মোড়ানো এবং অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে সিল করা ছিল। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের মোট ওজন ছিল ৭.৪২২ কিলোগ্রাম, বাজার দর ২.২২ কোটিরও বেশি টাকা। তাকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে। এদের মধ্যে তিনজন জোখাওথার এবং একজন আইজলের বাসিন্দা।

    এই ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট, মায়ানমার এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচারের প্রধান প্রবেশদ্বারে পরিণত হয়েছে। মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমারের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ খোলা সীমান্ত রয়েছে। এই রুটেই পাচার হচ্ছে মাদক। রাষ্ট্রসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অ্যামফেটামিন-ধরনের উত্তেজক পদার্থ(ATS) বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরিমাণ ২০১৮ সালে ছিল ৪৩১ কেজি (Drug)। তার পরের বছরই আটক করা হয় ২.২ টনেরও বেশি মাদক (Mizoram)।

  • Malegaon Blast: হিন্দু সন্ত্রাসের মিথ্যা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এটিএস আধিকারিক, তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

    Malegaon Blast: হিন্দু সন্ত্রাসের মিথ্যা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এটিএস আধিকারিক, তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত প্রসাদ পুরোহিতসহ ৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, তৎকালীন মহারাষ্ট্র এটিএস-এর আধিকারিক শেখর বাঘদে-র (বর্তমানে মুম্বইয়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার) বিরুদ্ধে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যে প্রমাণ প্রতিস্থাপনের অভিযোগে (Malegaon Blast) তদন্তের সুপারিশ করেছেন এনআইএ আদালতের বিশেষ বিচারক একে লাহোটি।

    আরডিএক্সের প্রমাণ রেখে আসেন এটিএস কর্তা (Malegaon Blast)

    প্রসঙ্গত, মালেগাঁও বিস্ফোরণ (Malegaon Blast) মামলার তদন্তভার ২০১১ সালে মহারাষ্ট্র এটিএস-এর হাত থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) গ্রহণ করে। NIA-এর তদন্ত অনুসারে, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন এটিএস কর্তা শেখর বাঘদে সুধাকর চতুর্বেদীর বাড়িতে যান। চতুর্বেদী একজন মিলিটারি ইনফর্মার হিসেবে কাজ করতেন এবং তাঁর সঙ্গে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতের যোগাযোগ ছিল। এনআইএ চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে শেখর বাঘদে অবৈধভাবে সুধাকর চতুর্বেদীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে RDX-এর ছাপ রেখে আসেন, যাতে তাঁকে মামলায় ফাঁসানো যায়। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দুই সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারক নিজেও এই সাক্ষ্যের গুরুত্ব স্বীকার করেছেন (Malegaon Blast Case)।

    ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করার প্রচেষ্টা (Malegaon Blast Case)

    তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, সুধাকর চতুর্বেদী যখন বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন, সেই সময়েই শেখর বাঘদে চুপি চুপি তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে বিস্ফোরকের প্রমাণ রেখে আসেন। আদালত জানিয়েছে, শেখর বাঘদের কার্যকলাপ অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করার প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছে (Malegaon Blast)। বিচারকের হাজার পাতার রায়ে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা এটিএস বা এনআইএ—কোনও পক্ষই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো ও নিরপেক্ষ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। আদালত আরও জানিয়েছে, এটিএস যে দাবি করেছিল, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি প্রজ্ঞ ঠাকুরের। সেই দাবিরও কোনও প্রমাণ তারা আদালতে পেশ করতে পারেনি। এ দিনের রায়ের একটি অনুলিপি মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজিপি, এটিএস প্রধান এবং এনআইএ ডিজির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক একে লাহোটি।

  • Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় ১৭ বছর পর বেকসুর খালাস সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya)। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-কে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। এই ঘটনায় তাঁর উপর বছরের পর বছর ধরে চলে নির্মম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। দীর্ঘ নয় বছর কারাবন্দি অবস্থায় থাকতে হয় তাঁকে। ২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের এটিএস (ATS) সাধ্বী প্রজ্ঞাকে গ্রেফতার করে (Malegaon Blast)।
    তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকেই তাঁকে কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই নির্যাতন করা হয়।

    সাধ্বী প্রজ্ঞা কী বলেছিলেন অত্যাচার নিয়ে?

    জবানবন্দিতে সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya) বলেন: “সেই দিনগুলি ছিল আমার জীবনের এক বিভীষিকা। ১৩ দিন ধরে আমাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছিল।
    প্রথমেই কোনও প্রশ্ন না করেই চওড়া বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, আমাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং নগ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলেছিল। একজন নারী হিসেবে (Malegaon Blast) এমন অভিজ্ঞতা যেন আর কোনো নারীর না হয়।”

    তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না, হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো

    তিনি (Sadhvi Pragya) আরও জানান, তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না। হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো, পরে তা লবণ জলে ডুবিয়ে রাখা হতো। তাঁকে জোর করে অশ্লীল সিডি শুনতে বাধ্য করা হতো। বারবার তাঁকে বলা হতো শীর্ষস্থানীয় আরএসএস নেতাদের নাম করে স্বীকারোক্তি দিতে। তাঁর ওপর চালানো হয় নার্কো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট-সহ নানা বৈজ্ঞানিক নির্যাতনমূলক প্রক্রিয়া।

    এই নির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল তথাকথিত “গেরুয়া সন্ত্রাস” প্রমাণ করা এবং হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা। তবে, দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে, ২০২৫ সালে আদালত তাঁকে সম্পূর্ণভাবে বেকসুর খালাস দেয়। সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, “হিন্দুত্ব জয়ী হয়েছে, ভগবান জয়ী হয়েছেন। আমি আশাবাদী, ঈশ্বরই একদিন দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেবেন।” ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোপাল কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং সেই থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ঘটে।

  • ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ হারুনকে। অন্যদিকে, বারাণসী থেকে তুফায়েল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাতে আঘাত হানা, দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    পহেলগাঁও হামলার সময় পাকিস্তানেই ছিল হারুন

    দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া হারুন পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দূতাবাসের আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গুপ্তচর হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে (ATS)।

    পাক দূতাবাসের কর্মীর নির্দেশে টাকা তুলত হারুন

    সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশেই পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত হারুন। হারুনের কথায় অনেক লোকই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে বলে খবর। এই টাকা ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হত বলে জানা গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য হল, হারুনের দু’জন স্ত্রী রয়েছে। একজন থাকে পাকিস্তানে। তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয় হামলার সময় সে পাকিস্তানেই ছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন (ATS), ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় হারুন, সে ফেরে ২৫ তারিখ।

    ৬০০-এর বেশি পাকিস্তানের নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের

    অন্যদিকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার হওয়া তুফায়েল ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাকিস্তানে পাচার করেছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন (ATS) শাখা বলছে, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে তুফায়েল। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে এক পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল তুফায়েল।

  • Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ঢুকছে। তারা পাকুড়ে (Jharkhand) নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। পরে ফের সীমান্ত পার হয়ে ফিরে গিয়েছে (JMB)। এই মর্মে উচ্চস্তরের সতর্কতা জারি করেছে ঝাড়খণ্ড অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। সেগুলিই ভারতে ঢুকে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

    গোয়েন্দা তথ্য (Jharkhand)

    এটিএসের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর জঙ্গি আবদুল মামুন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সে পাকুড়ে পৌঁছেছে। সেখানে থাকার সময় সে ডুবরাজপুরের ইসলামি দাওয়া সেন্টারে জেএইচএ ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। ১৫ জন স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্তকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর মামুন ৭ জানুয়ারি ধুলিয়ান রুট দিয়েই আবার বাংলাদেশে ফিরে যায়।

    এটিএসের সতর্কবার্তা

    জানা গিয়েছে, এটিএস (JMB) সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলদের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে তারা কার্যকর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় কঠোর প্রতিরোধমূলক ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে (Jharkhand)। এটিএসের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে তাদের কার্যকলাপ প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেএমবি সহ চরমপন্থী সংগঠনগুলি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতীয় রাজ্যগুলিতে অনুপ্রবেশ করে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র করছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, পাকুড়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটিএসের নজরদারিতে পাকুড়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কিছু ব্যক্তির যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়ে, সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেখানে আগে জেএমবি সক্রিয় ছিল, সেখানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত গোপন কর্মী ও সমর্থকদের সন্ধান করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও (JMB) করা হয়েছে এটিএসের তরফে (Jharkhand)।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে নকল টাকা ছড়ানোর চক্রান্ত ভেস্তে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, এটিএস প্রয়াগরাজ এলাকার কাছে সারনাথ থেকে সুলেমান ও ইদ্রিশ নামে দু’জনকে আটক করে। তাদের কাছে প্রায় ১.৯৭ লক্ষ মূল্যের নকল টাকা মেলে। এদের ধরতে পারলেও পুলিশ এখন জাকিরের খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জাকির।

    বাংলার যোগ

    উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, জাকির পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। জাকিরই সুলেমান ও ইদ্রিশকে ভুয়ো মুদ্রা সরবরাহ করত। যেগুলি তারা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করত। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, জাকির ভুয়ো ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসত। সুলেমান ও ইদ্রিশ, বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। মালদায় সুলেমানের পরিচয় হয়েছিল জাকিরের সাথে। সুলেমানকে জাল টাকা সহ আগেও বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তখন সে হাজিপুর জেলে প্রায় ৬ মাস ছিল।

    কীভাবে অভিযান

    এটিএস-এর (ATS) ইনস্পেক্টর ভারতভূষণ তিওয়ারি সারনাথ থানায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর এটিএস গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, একটি দল ভুয়ো মুদ্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বারাণসীতে এসেছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজ করতে শুরু করে। ফরিদপুর বাইপাসে দুজন ব্যক্তিকে ব্যাগসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পুলিশকে সামনে দেখে পালিয়ে যায় তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের কাছে ছিল একটি মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, টিকিট ও নগদ টাকা। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার ভুয়ো নোটের ব্যান্ডেল উদ্ধার হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    জেরায় সুলোমান ও ইদ্রিশ জানায়, দুই দিন আগে তারা বৈশালী থেকে মালদা এসেছিল এবং জাকির তাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার ভুয়ো নোট সরবরাহ করেছিল। তারা আরও জানায় যে, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ভুয়ো নোটগুলি বারাণসীতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল এবং বাকি নোটগুলি আগামী জানুয়ারি মাসে পরবর্তী মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mumbai ATS: লোকসভার ভোটও দিয়েছে! জাল নথি সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কোথায় লুকিয়ে ছিল?

    Mumbai ATS: লোকসভার ভোটও দিয়েছে! জাল নথি সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কোথায় লুকিয়ে ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো তথ্য সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshis)। তাদের গ্রেফতার করেছে মুম্বই অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড, সংক্ষেপে এটিএস (Mumbai ATS)। এদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি আরও পাঁচজনকে মুম্বই পুলিশের এটিএস খুঁজছে বলেও খবর।

    লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল! (Mumbai ATS)

    এটিএস সূত্রে খবর, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছে ওই বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshis)। জাল নথিপত্র বানিয়ে এদেশে দিব্যি বাস করছিল তারা। ভুয়ো তথ্য দেখিয়েই তারা তৈরি করেছিল জাল ভোটার আইডি কার্ড। সেই কার্ড দেখিয়েই লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা (Mumbai ATS)। কয়েকদিন আগেই ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৯ বাংলাদেশি মহিলা ও তাদের আশ্রয় দানকারী স্থানীয় এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মিরা রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের।

    গ্রেফতার আগেও

    কয়েক মাস আগেই মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (Mumbai ATS) বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে বসবাসের জন্য নবি মুম্বইয়ে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার (Illegal Bangladeshis) করেছিল। ঘানসোলিতে এটিএস ভিখরোলি ইউনিটের তরফে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এটিএস গ্রেফতার করেছিল ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে। এদের কারও কাছেই বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ঘানসোলির জানাই কম্পাউন্ড ও শিবাজি তালাওয়ের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের।

    আর পড়ুন: সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে বৌদ্ধ রিজিজুকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মোদির

    এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হল রুবেল হুসেন শেখ, সুলতান মাহমুদ শেখ, হাফিজুর রহমান শেখ এবং ফকরুল উদ্দিন শেখ। জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে (Illegal Bangladeshis) ভারতে প্রবেশ করেছিল। এদেশে ঢুকে তারা জাল পাশপোর্টও বানিয়েছিল। সেইসব জাল নথিপত্র তারা ভারত-বিরোধী কাজে লাগাচ্ছিল বলেও অভিযোগ। ভিনদেশিরা কীভাবে ভারতে ঢুকল, পাশপোর্ট-সহ অন্য নথিপত্র তারা জোগাড়ই বা করল কোথা থেকে, তা জানতে ধৃতদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা (Mumbai ATS)। জাল নথিপত্র তৈরির কারখানার খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan Boat Caught: ভারতে মাদক পাচার করতে গিয়ে আটক ১৪ নাবিক সহ পাকিস্তানি জলযান

    Pakistan Boat Caught: ভারতে মাদক পাচার করতে গিয়ে আটক ১৪ নাবিক সহ পাকিস্তানি জলযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে অশান্তি জিইয়ে রাখার পাকিস্তানি প্রচেষ্টা অব্যাহত! ভারতে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাচার করতে গিয়ে কোস্টগার্ডের হাতে ধৃত সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জলযান (Pakistan Boat Caught)। ভারতে মাদক পাচারের এই পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে কোস্টগার্ড। তাদের সঙ্গে ছিলেন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী স্কোয়াড ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা।

    বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত (Pakistan Boat Caught)

    ৮৬ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানি ওই জলযানের ১৪ জন নাবিককেও। কোস্টগার্ডের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাতভর অভিযান চালানোর পরে ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড সমুদ্রে মাদক পাচার বিরোধী অভিযান চালায়। আগাম পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালানো হয়। প্রায় ৮৬ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই পরিমাণ মাদকের মূল্য ৬০০ কোটি টাকা। পাকিস্তানি ওই জলযান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জন নাবিককেও। অভিযান চালাতে গিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল জাহাজ এবং এয়ারক্র্যাফ্ট। এই অভিযানে শামিল হয়েছিল কোস্টগার্ডের জাহাজ রাজরতনও। এই জাহাজটিতে এনসিবি এবং এটিএসের আধিকারিকরাও ছিলেন।’

    ‘রাজরতনে’র খেলা

    জানা (Pakistan Boat Caught) গিয়েছে, গ্রেফতারি এড়াতে সন্দেহভাজন জাহাজটি চেষ্টা কম কসুর করেনি। তবে নজরদারি জাহাজটি সেটিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি আটক করে। একটি বিশেষজ্ঞ দল পাকিস্তানি জাহাজটিতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তখনই জানা যায়, জাহাজটিতে মাদক রয়েছে। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আইসিজি গোত্রের রাজরতনের ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। তাই পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তানি মাদক বোঝাই জলযানটি। রাজরতনের স্পেশালিস্ট টিম সন্দেশভাজন পাকিস্তানি জাহাজটিতে গিয়ে ওঠে। খানাতল্লাশির পর ওই টিমের সদস্যরা জাহাজটিতে মাদক রয়েছে বলে নিশ্চিত হন। তার পরেই বাজেয়াপ্ত করা হয় ৬০০ কোটি মূল্যের মাদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাকিস্তানি জলযানটিকে গুজরাটের পোরবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। জাহাজটির সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে তার নাবিকদেরও (Pakistan Boat Caught)।

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Dinajpur: পাকিস্তানে তথ্য পাচারে বাংলা যোগ! ধৃতের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ

    Uttar Dinajpur: পাকিস্তানে তথ্য পাচারে বাংলা যোগ! ধৃতের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের এক যুবককে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের  এটিএস (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতের নাম মুক্তা মাহাত। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার কাকড়া মোড় এলাকায়। রবিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টের বিচারকের অনুমতিক্রমে ধৃত যুবককে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে মুম্বই রওনা দিয়েছে এটিএস। মঙ্গলবার ধৃতকে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জেলা আদালতের এপিপি কী বললেন? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ জেলা আদালতের এপিপি পিন্টু ঘোষ বলেন, দেশের তথ্য বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে মুক্তা মাহাতর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মুম্বই থেকে এই একই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কালিয়াগঞ্জের এই যুবকের নাম উঠে আসে। তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও সামনে আসে। এরপরই মুম্বই পুলিশের এটিএস কালিয়াগঞ্জে থেকে মুক্তা মাহাতকে গ্রেফতার করে। পরে, রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করে ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতকে ১৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের থানে সিজেএম আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন।

    ধৃতের কাছে থেকে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলল

    গোয়েন্দাদের একটি সূত্রে খবর, মুক্তা মাহাত মোবাইলে অনলাইন গেম খেলতেন। একবার মুক্তা মাহাত অনলাইন গেম খেলে জেতার পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ক্রেডিট হয় বলেও জানা গিয়েছে। তার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও নাকি হদিশ পেয়েছে এটিএস। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের খবরও মিলেছে। দেশের কী কী তথ্য পাচার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তথ্য পাচারের জন্য কতটা তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সানা আক্তার ফোনে জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতারণার কারনে মুক্তা মাহাতকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি মুম্বই এটিএস তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share