Tag: attack

attack

  • South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি বাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক চট্টা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সিপিএম কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয়। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের এই এলাকা উত্তপ্ত হয়েছিল। এর আগেও বিরোধীদের মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছিল এক বিজেপি কর্মীর। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় বারে বারে দাবি করেছেন, বিরোধীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনীতি করতে পারে তার জন্য তিনি সহযোগিতা করবেন। আর তাঁরই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এমন ঘটনা আরও একবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এটাই কি তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল! বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। ইট দিয়ে জানলার কাচ ভেঙে দেয়। এছাড়াও একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি ও সিপিআইএমের দুজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কালীতলা আশুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি নেতা দ্বিজেন নস্কর বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই ওরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার সামান্য একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। কর্মীদের মারধর করে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে আশুতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান পার্থ কয়াল বলেন, হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পিকনিক করা নিয়ে দুটো পাড়ার মধ্যে ঝামেলার জেরে এই মারপিট বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে যুক্ত নয়। বিরোধীরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নাম না করে তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এরপর রবিবার রাতেই ভাটপাড়ার (Bhatpara) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকপীড় এলাকায় চলল দুষ্কৃতী তাণ্ডব। রাত দুটোর পরে বেশ কয়েকজন যুবক সাত-আটটি বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্তরা সোমনাথ শ্যাম অনুগামী হিসেবে দলে পরিচিত।  ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান সোমনাথ শ্যাম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটা বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। পরে, তিনি বলেন, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কিছু দুষ্কৃতী এটা করেছে। পিছনে মদতদাতা অন্য কেউ আছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তিনি নাম না বললেও এই হামলার পিছনে অর্জুন অনুগামীরা রয়েছে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    থানায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা! (Bhatpara)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইট-পাটকেল, মদের বোতল ছোঁড়া হয়  বাড়িগুলিতে। ভাঙা হয়েছে দরজা, জানালা। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এই জিনিস করা হয়েছে। দল বেঁধে এসে এলাকায় তান্ডব চালানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে ভাটপাড়া (Bhatpara) থানায় বিক্ষোভ দেখান। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ জানালেন ভাটপাড়া থানায়। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    নাম না করে ফের অর্জুনকে আক্রমণ করলেন সোমনাথ

    সোমবার নৈহাটির মামুদপুরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অর্জুনের নাম না করে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ছেলে বিজেপিতে, আর বাবা তৃণমূলে। ছেলের সাক্ষী দেওয়ার জন্য ১৩ জন তৃণমূল কর্মী এখন জেলে রয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বিজেপির ভাটপাড়ার (Bhatpara) বিধায়ক পবন সিং ওই সাক্ষী দিয়েছিলেন। তাঁর বাবা দলকে শক্তিশালী করবেন? আসলে তিনি দুর্বল করতে এসেছেন। দলে থেকে দলের কর্মীদের খুন করাচ্ছে কে, তা বারাকপুরের মানুষ জানে। কেন তিনি প্রকাশ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে বলছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি (অর্জুন সিং) যা করেছেন, আমি সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমাকে কেউ বলতে বারণও করেনি। অবশ্য সুব্রত বক্সির নির্দেশে অর্জুন সিং মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফলে, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের বাণে বার বার বিদ্ধ হচ্ছে অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chatterjee: পুলিশকে তৃণমূলের ‘গুন্ডা’ বলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন হিরণ

    Hiran Chatterjee: পুলিশকে তৃণমূলের ‘গুন্ডা’ বলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ তথা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। দলের নেতার সঙ্গে পুলিশ অমানবিক আচরণ করায় কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন যুব মোর্চার এই নেতা। পুরাতন মালদার সেতু মোড়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দলীয় নেতা-কর্মীরা মনোবল ফিরে পেয়ে গিয়েছে।

    যুব মোর্চার নেতাকে অমানবিক অত্যাচার চালায় পুলিশ!

    গত, ২৫ ডিসেম্বর গাজলের শহিদপুর মোড়ের বাড়ি থেকে যুব মোর্চার জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত মাহাতকে মোটর বাইক চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁর উপরে অমানবিক অত্যাচার চালায় পুলিশ। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতা-কর্মীদের। পুলিশের মারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন বিজেপির এই যুব মোর্চার নেতা। গাজল গ্রামীণ হাহপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তবে, সরকারি হাসপাতালে শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিশ যে হামলা চালিয়েছে তা অভিযোগে কোথাও লেখা হয়নি বলে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশান্তকে পাশে নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন যুব মোর্চার রাজ্য নেতা (Hiran Chatterjee)।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ? (Hiran Chatterjee)

    দলীয় নেতাকে মোটর বাইক চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলে পুলিশকে ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যুব মোর্চার উপর অত্যাচার করে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। তৃণমূলের দলদাস পুলিশ। তাই, পুলিশ গুন্ডার মতো কাজ করছে। আমাদের নেতাকে নৃশংসভাবে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ মারধর করেছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আগামীদিন আন্দোলন শুরু করব। এছাড়া রাজ্যের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সলমন খানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাচ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, সলমন খান রাজ্যের পরিস্থিতি জানলে তিনি নাচা তো দূরের কথা বাংলাতেই আসতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    সূত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেই রাস্তা তৈরির দাবি নিয়ে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা। সেই সময়ই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তৃণমূল নেতা দেবাশিস দাস ওই বিজেপি নেতাকে প্রথমে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দলবল নিয়ে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে এদিন রানাঘাটে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিজেপির এই পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।

    আক্রান্ত বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অসীম দেবনাথ বলেন,পঞ্চায়েত সদস্য থাকার সময় একটি রাস্তা করতে পারেনি। সেই রাস্তার জন্য এলাকায় গণ স্বাক্ষর করছিলাম। তার জন্য তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আমি চরম আতঙ্কিত বোধ করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা দাস এবং তাঁর স্বামী দেবাশিস দাস। তৃণমূল নেতা দেবাশিসবাবু বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার বিষয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। সেটা জেনে মানুষের সই সংগ্রহ করে নিজের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। দলীয় কর্মীরা আপত্তি করেছেন। তা নিয়ে বচসা হয়। কোনও হামলা করা হয়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকী দোকানে ভাঙচুরও করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) থানার কল্যাণনগর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে খড়দার রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম ডাম্পার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল সাহার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গোপালবাবু খড়দা (Khardah) শহর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। গোপালের ছায়াসঙ্গী হচ্ছেন তোলাবাজিতে অভিযুক্ত ডাম্পার। তাঁর মাথায় তৃণমূল নেতার হাত থাকায় এলাকায় রমরমিয়ে তোলাবাজি করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খড়দার কল্যাণনগর এলাকায় রাস্তার উপরে দীপু সাহার দোকান রয়েছে। রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী ডাম্পার দলবল নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চড়াও হন। প্রথমে তিনি প্রায় পাঁচ হাজার টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী তোলার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায়, তাঁর দোকানের ভিতরে ঢুকে মারধর করা হয়। দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ব্যবসায়ী দীপু সাহা বলেন, দাদা আর আমি দোকানে ছিলাম। ওরা এসে প্রথমে টাকা দাবি করে। অতগুলো টাকা একসঙ্গে দিতে রাজি ছিলাম না। এরপরই আমার উপর চড়াও হয়। আমার দাদাকে দোকানের মধ্যে ঢুকে মারধর করে। আমার জামা ছিড়ে দেয়। দোকানের আসবাবপত্র নষ্ট করে। আমার দাদাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনা পর আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছে। আমাদের দাবি যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন পুলিশ প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে, আমরা ব্যবসা চালাতে পারব না। পুলিশ প্রশাসনের অবশ্যই দেখা দরকার।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    খড়দা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার বলেন, গোপাল একসময় সিপিএমের কর্মী ছিলেন। এখন আমাদের দলে ঢুকেছেন। এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে তিনি যুক্ত। তার জন্য এলাকা অশান্ত রয়েছে। এই ঘটনার জন্য দলের মুখ পুড়ছে। এই ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) পঞ্চায়েত অফিস পরিদর্শন করেন। তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে তৃণমূল এবং পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন,  সরকারি পঞ্চায়েত অফিস কীভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভেঙেছে তা আপনারা দেখেছেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সোমনাথবাবু ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে থানার সামনে বিক্ষোভ হবে। গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় জানি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়ে তৃণমূলদের এই পঞ্চায়েত থেকে তাড়িয়েছেন। সোমনাথ একটা ডাকাত কুড়ি কোটি টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে। ভারত সরকারের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে সবই জানা। এখানকার তৃণমূলীদের বলছি, জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন। প্রধান-উপপ্রধানদের সাহায্য করুন মানুষের সেবার জন্য। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই পঞ্চায়েতকে যারা কালিমালিপ্ত করল গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করে পুনরায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শুরু করুন।

    পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তমলুক থানাকে বলছি তিনদিনের মধ্যে সোমনাথ, জাকিরের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় বিক্ষোভ হবে। কীভাবে এই গুন্ডাদের জব্দ করতে হয় তা আমরা জানি। ভাঙচুরের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুরের ছবি তোলা হয়েছে।  পুলিশ একটা জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে। সরকারি অফিস চলাকালীন ভাঙচুর করলে কী ধারা যোগ করতে হয় মমতা পুলিশ না জানলেও  সিআরপিসি , আইপিসিতে সেই বিষয়ে লেখা রয়েছে। প্রয়োজনে ধারা যোগ করার জন্য আদালতে যাব।

    তৃণমূলের সভা থেকে পঞ্চায়েত অফিসে হামলা!

    প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখল থেকে বিজেপির দখলে এনেছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এই ইস্যু তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও এলাকার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সোমনাথ বেরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর প্রায় ২০০ জন কর্মী ওই অঞ্চলের বিরোধী দলনেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে হামলা চালায়। অঞ্চল অফিসের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাণ্ডবে এলাকার পাশের দোকানদাররা পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দিয়ে ছুটে পালান। উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে সরকারি কর্মীরা কাজ করছিলেন। সেই সময় শাসক দলের কর্মীদের আক্রমণে তাঁরাও হেনস্তার শিকার। মঙ্গলবার রাত তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সভা। আর সেই সভা থেকেই বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শতাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tamluk)

    মঙ্গলবার তমলুক (Tamluk) ব্লকের উত্তর সোনামুই অঞ্চল অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ। সোমনাথবাবু বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে ছুটে যান বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। চলে পঞ্চায়েত অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

    গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক, সরব বিজেপি

    পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছেন বিজেপির তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এবার তাদের হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির হাতে গিয়েছে। তারই শোধ তুলতে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য। তৃণমূলের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দায়ী এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। এলাকার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অঞ্চল সহ- সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। হামলায় মাথা ফাটল সহ- সভাপতির। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ নং ব্লকের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) এলাকায়। গুরুতর জখম তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল মানকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কেন হামলা? (Gram Panchayat)

    জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) ১৯টি আসনের মধ্যে – ১৮টি আসনে রয়েছে তৃণমূল ও একটি আসন রয়েছে বিজেপির। বোর্ড গঠনের দিন থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ভোটাভুটি হয় বোর্ড গঠনে। তাতে পঞ্চায়েত উপপ্রধান হন দলের অঞ্চল সভাপতি তন্ময় ঘোষ। তারপর পঞ্চায়েতের কাজ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে আসে। গত অক্টোবর মাসে অঞ্চল সহ- সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্য মিলু মালিক মণ্ডল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকী, বিষয়টি তিনি স্থানীয় গলসি-১ নং বিডিওর কাছে জানান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরই দোকান খোলার সময় অঞ্চল সভাপতি স্বরূপ মণ্ডলের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল বলেন,’পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৮ সদস্য থাকলেও ৭ জন সদস্যকে কোনওরকম গুরুত্ব দেওয়া হয় না। পঞ্চায়েতের কোনও কাজকর্মে, ছাগল বিলি, ত্রিপল বিলি-সহ সুবিধা প্রদানে কোনওরকম জানানো হয় না। বৈমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়। তাই বিষয়টি বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবং সকলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পঞ্চায়েত কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। এসব না করে আমার উপর হামলা করা হল।’

    হামলা নিয়ে অভিযুক্ত উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের মানকর অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, সুযোগ-সুবিধা সমস্ত গ্রাম সংসদে সমানভাবে দেওয়া হয়। তার বাড়তি যদি কেউ চায়, সেটা সম্ভব নয়। পঞ্চায়েতে কোনওরকম দুর্নীতি নেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে হামলার শিকার হয়েছে।

    হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ‘গোটা বিষয়টি সন্দেহজনক। এখন বখরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট শুরু করেছে। আর তার মাশুল সাধারণ মানুষকে পরিষেবায় ভুগতে হয়।’ অন্যদিকে, গলসি-১ নং ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে। দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মার অন্য গোষ্ঠীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের ঢোলা থানার ভগবানপুর এলাকায়। আর সেই সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।

    সিসি টিভি ফুটেজে কী দেখা হল? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভগবানপুর এলাকায় স্থানীয় একটি কাঠের মিলের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে কাঠ মিলের কর্মীদেরকে বেধড়ক মারধর করে। সেই হামলার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী  ওই কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছে। তবে, এই সিসিটিভি ফুটেজ এর সত্যদার যাচাই করেনি মাধ্যম নিউজ। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে।

    পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সমর্থন করার অপরাধে হামলা

    জখম তৃণমূল কর্মী নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লার বক্তব্য, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। দলে সন্মান, গুরুত্ব না পেয়ে পঞ্চায়েতে সিপিআইএমকে সমর্থন করেছিলাম। এটাই ছিল অপরাধ। তারজন্যই ভগবানপুর এলাকার তৃণমূলের সদস্য নইম সাহার ঘনিষ্ঠ মইমুর পিয়াদা ও তাঁর নেতৃত্বে দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল সদস্য নইম সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুর রহমান মোল্লাই মইমুর পিয়াদাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনিও গুরুতর জখম হয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে ঢোলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে ঢোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share