Tag: attack

attack

  • TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নির্বাচনে জেতার পরই নির্দল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এরপরই নির্দলরাও পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল এবং নির্দল সমর্থকদের এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন। তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের সুরুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বুধবার তৃণমূল ডামডোলিয়া এলাকায় একটি বিজয় মিছিল করে। রাতে হঠাৎই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (TMC) টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থন করেছিলেন। ভোটে জেতার পর নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদকে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। বাবাকে বাঁচাতে আসলে মেয়ে নাসিমা খাতুনকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল সমর্থক?

    আক্রান্ত নির্দল সমর্থক মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ওরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমার মেয়েকে বেধড়ক মেরেছে। অপর এক নির্দল সমর্থক রেফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটে জিতেই নির্দল সমর্থকদের ওপরে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী মুজাহিদ আলমের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    এই সংঘর্ষে জখম তৃণমূল (TMC) কর্মী কাজিমুল হক বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে নির্দল সমর্থকরাই আমাদের উপরে হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফলের পরেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের কলোড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লস্কর পাড়ায়। তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য, মিছিলে ইট-বোতল যারা ছুড়ে হামলা করেছে, তারাও তৃণমূল। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে ডোমজুড়ে (Howrah)?

    বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্থানীয় সদ্য বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করেন। পাড়ার (Howrah) মধ্যে দিয়ে যখন মিছিল এগোতে থাকে, সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী মিছিলকে লক্ষ্য করে বড় বড় ইট এবং বোতল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এমনকী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি বাইকেও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অভিযোগ করেন, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের আগে থেকেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। গতকাল বিজয় মিছিলে যেমন হামলা হয়, তেমনি মিছিলের পর সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা যখন রাস্তার ধারে বসে চা খাচ্ছিলেন, সেই সময় সিপিএম কর্মীরা পরিকল্পনামাফিক গন্ডগোল সংগঠিত করে। এরপর ইট দিয়ে আঘাত করে বেশ কয়েক জনকে। এরপরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আহত হন। তিনি আরও বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল।

    বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিজয়ী সদস্যের স্বামী অবশ্য স্বীকার করেছেন, মিছিলে হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এদিকে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Howrah) তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি জিতলেও জোর করে তৃণমূল হারিয়ে দেওয়া দিয়েছে। চোরেরা ভোট চুরি করেছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম কেন হামলা করবে! এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহে ভোট সম্পন্ন হল। মালদায় (Malda) তৃণমূলের মন্ত্রী এবং পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী এক পুলিশ কর্মীকে পাথরের আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট এলাকায় পুলিশ কর্মী দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ চলছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুরে (Malda) পুলিশ আক্রান্ত

    জানা যায়, ভোটের দিন শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন ও হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থানার পুলিশ এলাকার ২ নং ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভোট পরিদর্শন করে ফিরছিলেন। হঠাৎ বস্তা গ্রামে একদল দুষ্কৃতী রাজ্যের মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়ি আটকে পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাচ এবং এক পুলিশকর্মী জখম হন। আক্রান্ত পুলিশ কর্মী হচ্ছেন মালদার ট্রাফিকের ডিএসপি বিপুল ব্যানার্জি। রাতেই এই পুলিশ কর্মীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। তবে অনুমান করা হচ্ছে বিহার থেকে এসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে পুলিশ।

    মগরাহাটে আক্রান্ত পুলিশ

    একই দিনে মালদায় পুলিশ আক্রান্তের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশ আক্রান্তের খবর মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মগরাহাট থানার ৩ পুলিশ কর্মী। মগরাহাট থানার একজন এসআই সহ দুই কনস্টেবল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের নৈনান এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে নৈনান এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সেখানেই কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে জানা যায়। ঘটনায় মাথা ফেটেছে পুলিশ কর্মীদের। আহত তিন পুলিশ কর্মী হলেন এসআই আরিফ মহম্মদ ও ২ কনস্টেবল লালটু ও প্রসেনজিৎ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার পর নৈনান এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হল, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা

    Siliguri: প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে এক যুবককে গুলি করে খুন করা হল, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিকোণ প্রেম। প্রেমিকা কার? এই লড়াইয়ে খুণ হতে হল এক যুবককে। প্রেমিকাকে পেতে এক প্রেমিককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল অন্য এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারির দেবীডাঙ্গার কোয়ার্টার লাইন এলাকা। ক্ষোভে এদিন সকালে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।  অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম অমৃত গোস্বামী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির (Siliguri)  চম্পাসারি এলাকায় এক কিশোরীর সঙ্গে এলাকারই দুই যুবক অমৃত গোস্বামী ও অরুণ লোহারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ওই দুই যুবকের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল।  সোমবার গভীর রাতে অরুণ গণ্ডগোল মিটিয়ে নেওয়ার নাম করে  অমৃতকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই অমৃতকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল কুমার বলেন, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গভীর রাতে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে।

    পুড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তের বাড়ি

    ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সকালে মৃত অমৃতের পরিবারের লোকেরা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীরা অরুণের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রধাননগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দমকল ও পুলিশ  সময় মতো না পৌঁছলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। অপরাধীর কড়া শাস্তি হোক।”

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত অরুণ লোহার ও তার পরিবারের লোকজন। পরে, শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধাননগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেল অভিযুক্ত যুবক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার মধ্যে ঢুকে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। জখম কাউন্সিলরের নাম সত্যেন রায়। তিনি বরাবরই সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মা রেবা রাহা ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারপার্সন। পুরসভার চেয়ারপার্সন সহ একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। পুরসভাকে ব্যবহার করে কয়েকজন কাউন্সিলর লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই পুরসভার ভিতরে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। তার আগেই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)  কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “আমাকে একা পেয়ে সাত-আটজন মিলে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পেরেছি। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আসলে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ওরা আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাই এই হামলা।” ঘটনার পর অবশ্য ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে দলের কাউন্সিলরের ওপর আরেক কাউন্সিলারের হামলার ঘটনাটি উত্থাপিত হয়।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় আমি পুরসভায় ছিলাম না। তবে, বিষয়টি মোটেই কাঙ্খিত হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রকম ঘটনা ঘটবে না বলে প্রত্যেক কাউন্সিলর জানিয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এমনকী হাসপাতালে চিকিত্সক ও নার্সদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (TMC) নেতা সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিপ্লব কুণ্ডু, সুবীর মণ্ডল, সাজিদুল ইসলাম,মনিরুল ইসলাম সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার জয়দুল হক নামে এক যুবককে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রোগীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সম্পাদক বিপ্লব কুণ্ডুর নেতৃত্বে রোগীর পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে পড়েন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর তারা চড়া হয়। তারা মদ্যপ অবস্থায় মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে চিকিৎসকও নার্সদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। চিকিত্সকদের গায়ে হাত তোলা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে, হাসপাতালের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পাঠানো হলে ছয় দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    জেনারেল সার্জারি বিভাগের জুনিয়র রেসিডেন্ট আকাশদীপ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা যাবে না। ওই সময়ে আমি ওখানে গিয়ে দেখি, অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় রোগীর সঙ্গে আসা সাতজন যুবক আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের গায়ে হাত তুলেছেন। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল। আমরা  চিকিৎসা শুরু করি। এরকম সময় রোগীর পরিবারের লোকজন আমাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন। মনে হচ্ছে তারা পরিকল্পিতভাবে ঝামেলা করতে এসেছিল”।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, হাসপাতালের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলা। কোথাও ব্যালট ছিনতাই, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমানের ভাতারে রোড শো চলাকালীন দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মালদাতেও তাঁর কনভয় আটকে গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথা বলেছিলেন। এবার ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কনভয়ে থাকা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো কুড়মিরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন।

    কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    গজাশিমুলের মঞ্চ থেকে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন , “কুড়মিদের আন্দোলনের নাম করে বিরবাহা হাঁসদা আদিবাসী মেয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভেঙেছে। আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে ফেলা হয়েছে। আপনারা আন্দোলন করুন শান্তিপূর্ণভাবে। গাড়ির উপরে পাথর মেরে হামলা করেছে। এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না কোনও বুথ সভাপতি। আপনারা কথা বলতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে পারেন। এই ঝাড়গ্রামের মানুষ আজকে শপথ নিন, এর পিছনে কারা রয়েছেন তা আমরা সব জানি। আমি দেড় কিমি পথ হাঁটলাম, তখন দেখলাম কেউ নেয়। আদিবাসী কুড়মি সমাজ জয় গরাম তো বলবে, তাহলে তারা জয় শ্রীরাম কেন বললেন? আদিবাসী কুড়মি সমাজ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনাদের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি লোকেরা কুড়মিদের নামে আন্দোলন করছে। এ কোন আন্দোলন?”

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলায় তাদের হাত নেই বলে দাবি করলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত। তিনি বলেন, “এখানে লোকজন জড়ো হয়েছিল। স্থানী লোকজন ছিল। অন্ধকারের মধ্যে কনভয় যাওয়ার সময় কে কোথায় ঢিল ছুঁড়েছে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের কোন উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মিদের কোনও যোগ নেই”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share