Tag: attack

attack

  • Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলা। কোথাও ব্যালট ছিনতাই, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমানের ভাতারে রোড শো চলাকালীন দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মালদাতেও তাঁর কনভয় আটকে গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথা বলেছিলেন। এবার ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কনভয়ে থাকা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো কুড়মিরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন।

    কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    গজাশিমুলের মঞ্চ থেকে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন , “কুড়মিদের আন্দোলনের নাম করে বিরবাহা হাঁসদা আদিবাসী মেয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভেঙেছে। আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে ফেলা হয়েছে। আপনারা আন্দোলন করুন শান্তিপূর্ণভাবে। গাড়ির উপরে পাথর মেরে হামলা করেছে। এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না কোনও বুথ সভাপতি। আপনারা কথা বলতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে পারেন। এই ঝাড়গ্রামের মানুষ আজকে শপথ নিন, এর পিছনে কারা রয়েছেন তা আমরা সব জানি। আমি দেড় কিমি পথ হাঁটলাম, তখন দেখলাম কেউ নেয়। আদিবাসী কুড়মি সমাজ জয় গরাম তো বলবে, তাহলে তারা জয় শ্রীরাম কেন বললেন? আদিবাসী কুড়মি সমাজ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনাদের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি লোকেরা কুড়মিদের নামে আন্দোলন করছে। এ কোন আন্দোলন?”

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলায় তাদের হাত নেই বলে দাবি করলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত। তিনি বলেন, “এখানে লোকজন জড়ো হয়েছিল। স্থানী লোকজন ছিল। অন্ধকারের মধ্যে কনভয় যাওয়ার সময় কে কোথায় ঢিল ছুঁড়েছে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের কোন উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মিদের কোনও যোগ নেই”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    BJP: ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যজুড়়ে সন্ত্রাস ও এগরার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি মিছিল শুরু হওয়ার পর পরই তাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ। এদিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে  ভগবানপুরের পাঁউশি বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির (BJP) অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন বিকেলের দিকে পাঁউশি বাজারে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভগবানপুর বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক পাঁউশি বাজারে হাজির হয়েছিলেন। বিশাল জমায়েতের পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে কিছুটা দুরেই বেশ কয়েকজন জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আগে থেকেই সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। মিছিলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, মিছিল কিছুটা যেতেই বিজেপির (BJP)  মিছিল লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলিও। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, তৃণমূল সরকার নয়, রাজ্যে তালিবান সরকার চলছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর তৃণমূল বোমাবাজি করেছে। গুলি চালিয়েছে। বোমার আঘাতে ৪ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে। মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করেছে। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল যদি মনে করে এভাবে সন্ত্রাস করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। কারণ, ওদের এসব কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত ভোটে তারা টের পেয়ে যাবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, মিছিল করার নামে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছিল বিজেপি (BJP)। প্রতিবাদ জানালে ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়। গুলিও ছোঁড়া হয়। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Murder: শ্বশুরবাড়িতে কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা জামাইয়ের, প্রাণ গেল কিশোরীসহ ৩ জনের

    Malda Murder: শ্বশুরবাড়িতে কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা জামাইয়ের, প্রাণ গেল কিশোরীসহ ৩ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা চালাল স্বামী টুবাই মণ্ডল। স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এলোপাথারি কোপানোর (Malda Murder) অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। আর তার এই নৃশংস এই হামলা জেরে মৃত্যু হল কিশোরী সহ দুজনের। আর ঘটনার পর নিজে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তারও মৃত্যু হয়।  শনিবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের (Malda Murder) ইংরেজবাজারের কমলাবাড়ি বাঁধাপুকুর এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম লক্ষ্মী মণ্ডল (১৪), দীপ্তি সিংহ মণ্ডল (২৪) এবং টুবাই মণ্ডল (৩৫)। লক্ষ্মী মণ্ডল হচ্ছে টুবাইয়ের শালীর মেয়ে। দীপ্তি সিংহ মণ্ডল হচ্ছে টুবাইয়ের শ্যালকের স্ত্রী। আর হামলায় গুরুতর জখম হন টুবাইয়ের স্ত্রী নির্মলা মণ্ডল। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত টুবাই মণ্ডল ভিন রাজ্যে কাজ করত। গত কয়েক মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি সে ভিন রাজ্য থেকে বাড়িতে ফেরে। তার স্ত্রী নির্মলাদবী বাপের বাড়িতে ছিলেন। শনিবার টুবাই স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়িতে যায়। অভিযোগ, স্ত্রী তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে রাজি হননি। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা হয়। হাতের সামনে কুড়ুল নিয়ে সে তার স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপ (Malda Murder) মারে। মাসিকে কোপাতে দেখে চোদ্দ বছরের লক্ষ্মী মেশোমশাইকে বাধা দিতে যায়। তাকেও টুবাই এলাপাথারি কোপায়। পরে, শ্যালকের স্ত্রীও টুবাইকে বাধা দিতে যান। তাঁকেও সে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। ঘরের ভিতর যখন এরকম নৃশংস তাণ্ডবলীলা চলছে, সেই সময় বাইরে প্রতিবেশীরা ভিড় করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কুড়ুল ফেলে সে ছাদ থেকে লাফ দেয়। সেখান থেকে নীচে পড়ে  ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  

    কী বললেন মৃতের বাড়ির লোকজন?

    টুবাইয়ের শ্যালক মৃদুল মণ্ডল বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। জামাইবাবু সন্ধ্যার সময় আমাদের বাড়িতে আসে।   বাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে এই তাণ্ডব চালায় সে। হামলার জেরে আমার স্ত্রী আর বোনঝির মৃত্যু হয়েছে। আর আমার বোন গুরুতর জখম। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও আমার বোনকে ও মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। ওর অত্যাচারের জন্যই আমার বোন শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হয়নি। তারজন্য এভাবে ও হত্যালীলা (Malda Murder) চালাবে তা ভাবতে পারিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চক, পেন্সিল হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছেন স্কুলের (Malda School) শিক্ষক। পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠাসা ক্লাসরুম। শিক্ষক সবে ক্লাস শুরু করেছেন। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আর দুটি কাচের বোতল নিয়ে অপরিচিত মাঝবয়সী একজন ক্লাসরুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন। তাঁকে দেখে শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন। শিক্ষকের বই-খাতা রাখার টেবিলে দুটি কাচের বোতল রাখেন ওই বন্দুকবাজ। ওই ব্যক্তি ক্লাসের পড়ুয়াদের বলেন, কাচের বোতলে অ্যাসিড আর পেট্রল বোমা রয়েছে। স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের এরকম দাপাদাপির খবর শুনলে মনে হতেই পারে মার্কিন মুলুক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোনও এলাকার ঘটনা। কিন্তু, ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেই। ঘটনাস্থল পুরাতন মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল (Malda School) । চোখের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ারা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

    কেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি?

     বন্দুকবাজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের (Malda School)  অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল গেটের বাইরে ভিড় করেন। স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে স্কুল গেটের সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মালদহ থানার পুলিশ আসে। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাসরুমের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাতে একটি কাগজ নিয়ে বলতে থাকেন, তৃণমূল আর পুলিশ প্রশাসন আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবছর ধরে অপহরণ করে রেখেছে। আমি বিডিও থেকে নবান্ন পর্যন্ত সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আমি এর আগে ফেসবুকে বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি। আজ, আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছি। আমার ব্যাগের মধ্যে ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। হাতে নাইন এমএম রয়েছে। আর দুটি কাচের বোতলের একটিতে অ্যাসিড বোমা, অন্যদিতে পেট্রল বোমা রয়েছে।  বোমা ফাটলে গোটা ক্লাসরুম ঝলসে যাবে। এই কথাগুলি তিনি যখন বলছিলেন, তখন ক্লাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। আর ক্লাস রুমের বাইরে তখন শিক্ষক, অভিভাবক আর পুলিশ অফিসারদের ভিড়। এক পুলিশ আধিকারিকের তত্পরতায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অ্যাসিড বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দেববল্লভ রায়। তার বাড়ি পুরাতন মালদহের নেমুয়া এলাকায়। একসময় তার স্ত্রী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। পরে, তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনও কারণ থেকে ওই ব্যক্তি এসব করেছে। তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল। তখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এবার স্কুলে (Malda School) এভাবে কেন এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগোয়া গ্রাম। ফুল মহম্মদ নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মীসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান তা প্রতিহত করেন। ইতিমধ্যেই থানায় দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর শনিবার গ্রাম পুরুষশূন্য। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এমনিতেই বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আসমানা খাতুনের ভাসুর হচ্ছেন এলাক খান। তিনি দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস নেই। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূল সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরইমধ্যেই বিজেপি (BJP) কর্মী ফুল মহম্মদের বাড়়িতে পটকা ফাটাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এলাক খানের অনুগামী মহিবুল দলবল নিয়ে এসে বাড়িতে বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলে ফুল মহম্মদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান ছুটে আসেন। তাঁরা তৃণমূলী হামলা প্রতিহত করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বারিক খানের নেতৃত্বে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা এলাক খানের গাড়ি ভাঙচুর করে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বারিক খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন মজবুত হচ্ছে। তৃণমূল বুঝতে পারছে বিজেপি-র সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার মতো ক্ষমতা নেই। তাই, নানা অছিলায় সন্ত্রাস করে ওরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ফুল মহম্মদের বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। আর তার জেরেই  ওরা হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,  আসলে  বিজেপি-র (BJP) কোনও সংগঠন নেই। এখন বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে ওরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: দলীয় কর্মীদের হামলায় টিএমসিপি-র নেতাসহ জখম চার, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Attack: দলীয় কর্মীদের হামলায় টিএমসিপি-র নেতাসহ জখম চার, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই কামারহাটি পুরসভা এলাকায় বেআইনি বাড়ি নির্মাণে বাধা দেন তৃণমূল কাউন্সিলর। আর তারজন্য কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের কামারহাটিতে তৃণমূলের  গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলায় (Attack) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা সহ চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূলের রোহিত সিংয়ের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দেবজ্যোতি দে-এর লোকজনের গণ্ডগোল হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। এদিন এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এবার বেলঘড়িয়া আদর্শপল্লি এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দেবজ্যোতি দে এবং তাঁর সঙ্গীদের ওপর রোহিত সিং এর দলবল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Attack) চালায় বলে অভিযোগ । অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশ, হকি স্টিক ও পিস্তল দিয়ে হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন জখম তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী?

    জখম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী দেবজ্যোতি দে বলেন, আমরা ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা বাইকে করে ১০-১২ জন এসে আমাদের ওপর হামলা (Attack) চালায়। হামলা (Attack)  চালানোর সময় রোহিত সিংসহ কয়েকজনের নাম করে হুমকিও দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কে রয়েছি। থানায় অভিযোগও জানিয়েছি। অভিযুক্ত রোহিত সিং নির্দল কাউন্সিলর বাবু মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। রোহিত সিং এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনায় যাদের দিকে অভিযোগের আঙুল সেই নির্দল পুরপিতা বাবু মণ্ডল ও রোহিত সিং এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি?

    বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সায়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সংগঠনের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা বাবু মণ্ডল আর রোহিত সিংয়ের নাম নেয়। আসলে দুষ্কৃতীরা এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। ছাত্র, যুব কর্মীরা তাতে বাধা দিচ্ছে। এটাতেই তাদের আপত্তি। তাই, এই ধরনের হামলা (Attack) চালানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, তৃণমূলের সময় ঘনিয়ে এসেছে । কামারহাটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মার ও মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ! কেন এই নির্যাতন?

    BJP: বিজেপি নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মার ও মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ! কেন এই নির্যাতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেলের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মাশুল! চুরির অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে বিজেপি (BJP) নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মাথার চুল কেটে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। ১৪ এপ্রিল রাতে এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া এলাকায়। আক্রান্ত রাজীব ভট্টাচার্য্য নামে ওই যুবক সুবিচারের দাবিতে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব ভট্টাচার্য্য দুর্গাপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ধোবিঘাট এলাকার বাসিন্দা। তার মা সুমনা ভট্টাচার্য বিজেপি-র (BJP) আসানসোল সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি। বছরখানেক ধরে রাজীববাবু দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার এক হোটেলে কাজ করতেন। সম্প্রতি অন্য একটি হোটেলে ভালো মাইনের সুযোগ পাওয়ায় ওই কাজ তিনি ছেড়ে দেন। নতুন ওই হোটেলের কাজে তিনি যোগও দেন। পুরানো ওই হোটেলের মালিক আই কার্ড, ব্যাগ, ডায়েরি ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সেইমতো ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুচিপাড়ার ওই হোটেলে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি (BJP) নেত্রী যান। অভিযোগ, সেখানে সব ফেরত দেওয়ার পর, আচমকা হোটেল মালিক হিরন্ময় দাস ও তাঁর ছেলে রাজীববাবুকে মারধর শুরু করেন। টেনে হিঁচড়ে হোটেলের পিছনে নিয়ে যান। সেখানে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে হোটেলের কয়েকজন কর্মীকে দিয়ে তাঁকে নগ্ন করে নির্মমভাবে মারধর শুরু করা হয়। রাজীববাবুর ভাই বাঁচাতে গেলে, তাঁকেও মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) নেত্রীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তিনি রাস্তায় এসে আর্তনাদ করেন। কিন্তু, বাইরের লোককে হোটেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাজীববাবুকে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। রাজীববাবুর মাথার চুল কেটে  অমানবিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

    ছেলেকে মারধর করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা আক্রান্ত রাজীববাবুর মা সুমনা ভট্টাচার্য বলেন, আমার সামনেই হোটেল মালিক ছেলের ওপর নির্যাতন চালায়। ছেলের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে খবর দিই। মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ এসে ছেলেকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

    কী বললেন অভিযুক্ত হোটেলের মালিক?

    যদিও এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন হোটেল মালিক হিরন্ময় দাস। তিনি বলেন, হোটেলের গেটের বাইরে চুরি করার বিষয় জানতে পেরে জনতা মারধর করেছে। চুল কেটে দিয়েছে। আমি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে খেজুরির ঠাকুরনগরে ৩ রা এপ্রিল প্রশাসনিক জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল ১০ এপ্রিল সেই মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা রাজনৈতিক জনসভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রশাসন সভার অনুমতি না দিলেও কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে। আর সেই সভার আগেই তৃণমূলীদের তাণ্ডব ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হল খেজুরিতে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, খেজুরি-১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্ঠীবাড়ী গ্রামে।  রাস্তাঘাট নেই। বারবার আবেদন জানিয়েও মেলেনি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। ফলে, এই ক্যাম্পের কোনও প্রয়োজন নেই বলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  পাশাপাশি খেজুরির বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাতলা অঞ্চলের ১৭০ নম্বর বুথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি (BJP)  কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় একজন মহিলা কর্মী কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন। হাতও ভেঙে দিয়েছে। দু- তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আলো বালা রঞ্জিত, আঙ্গুরবালা রঞ্জিত, দিপালী পাত্র ,স্বপন মালি ,সুকুমার বেরা, সুমন মালি সহ কয়েকজন বিজেপি (BJP)  কর্মী জখম হয়ে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    কেন হামলা চালাল তৃণমূল?

    রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও তার পাশের বিধানসভা খেজুরি। গত বিধানসভা ভোটে জমি রক্ষার আন্দোলন খ্যাত নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশের বিধানসভা খেজুরিতেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যে জমি আন্দোলন,  যে নন্দীগ্রাম খেজুরির হাত ধরে রাজ্যের মসনদে বসেছে তৃণমূল সেই নন্দীগ্রাম ও খেজুরি পুন:দখলই এই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য।  উল্টোদিকে, বিধানসভা ভোটের সাফল্য ধরে রেখে নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে তৃণমূলকে একদমে উৎখাত করে দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপির (BJP) । এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা ও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমে বাড়ছে খেজুরি, নন্দীগ্রাম সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।  পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে তৃণমূল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এলাকায় বিজেপি (BJP)  কর্মীদের উপর সন্ত্রাস তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির (BJP) ।

    কী বললেন বিজেপির বিধায়ক ?

    তৃণমূলীদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার খেজুরির গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ মোড়ে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসলে ভয় দেখিয়ে কেউ জনসভায় না যায়, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। দলীয় সভায় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়বে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খেজুরি ২ ব্লকের সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, তৃণমূল উন্নয়ন করেছে, গন্ডগোল করার দরকার নেই। মানুষ ভালোবেসে ভোট দেবেন আমাদের। এইসব মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP) ।  পঞ্চায়েত ভোটের পর এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share