Tag: attack

attack

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেজার ও ওয়াকি-টকি হামলা (Attack), দুই সপ্তাহের বিমান হামলার পর এবার স্থলপথে লেবাননে আক্রমণ শুরু করল ইজরায়েল। এবার রীতিমতো আগাম ঘোষণা করেই লেবাননে (Israel-Lebanon Conflict)  ঢুকে অভিযান শুরু করল তারা। মঙ্গলবার ভোরে ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হবে। মূলত স্থলপথে হওয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দার্ন অ্যারো’।

    ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা (Israel-Lebanon Conflict)  

    ইজরায়েলি সেনা সূত্রে খবর, হামাসের মতো হিজবুল্লারও গোপন সুড়ঙ্গগুলিকে নজরে রাখা হচ্ছে। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ ‘নেটওয়ার্ক’ ধ্বংস করতে চাইছে ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই হিজবুল্লার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ লেবানন ধরে সুড়ঙ্গগুলিতে এগোচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লা ঘাঁটি দাহিয়ে থেকে সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েল স্থলাভিযান শুরুর ঘোষণা করার পরেই আমেরিকা বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারকে’ সমর্থন করছে পেন্টাগন।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

     গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জন নিহত

    গত সপ্তাহে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে হত্যার পর ইজরায়েলের এটাই প্রথম স্থলপথে আক্রমণ। লেবানন (Israel-Lebanon Conflict)  সরকারের মতে, ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইজরায়েল অনেক হিজবুল্লা কমান্ডারকে নির্মূল করেছে। ইজরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ ছুঁয়েছে। এছাড়া, ১০ লক্ষ মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল, পূর্ব বেকা উপত্যকা এবং বেইরুটে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত এবং ১৭২ জন আহত হয়েছেন।

    হুথিকেও নিশানা

    লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী, ইয়েমেনের হুথিকেও নিশানা করছে ইজরায়েল। রবিবার ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা শহরে হুথি নিয়ন্ত্রিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সমুদ্রবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। গত শনিবার ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুথি। ঠিক সেই সময়ই আমেরিকা সফর শেষ করে ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন নেতানিয়াহু। তবে তাঁকে নিরাপদেই বিমানবন্দর থেকে বার করে আনা হয়।

    নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা মোদির

    পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা রোধ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আমাদের বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই। আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করা এবং সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ভারতেই! গণেশ মূর্তি কিনে ফেরার পথে একতরফা হামলা, জখম যুবক

    Muslims Attack: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ভারতেই! গণেশ মূর্তি কিনে ফেরার পথে একতরফা হামলা, জখম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের (Hindu Youth) ওপর হামলা মুসলমানদের (Muslims Attack)। না, না, বাংলাদেশ নয়, এই ঘটনা ঘটেছে ভারতেই। আরও স্পষ্ট করে বললে, গুজরাটের কচ্ছ জেলার মুন্দ্রা এলাকায়। ইসলামপন্থীদের ওই হামলায় জখম হয়েছে যুবরাজ সিং জাদেদা নামে একজন। হামজা, ফারুক-সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কাঠগড়ায় পাঁচ (Muslims Attack)

    জানা গিয়েছে, গণেশ পুজো উপলক্ষে মূর্তি কিনে বাড়িতে ফিরছিলেন মুন্দ্রা তালুকের সমঘোঘা গ্রামের বাসিন্দা জাদেজা-সহ তিন হিন্দু যুবক। অভিযুক্তরা রাস্তায় সাইকেল দাঁড় করিয়ে গল্পগাছা করছিল। জাদেজারা তাদের সাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এনিয়ে শুরু হয় দুপক্ষে বচসা। অভিযোগ, এর পরেই ওই মুসলমান যুবকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। জখম হন জাদেজা। ঘটনায় মুন্দ্রা থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    তরোয়াল উঁচিয়ে হুমকি

    কেবল জাদেজারা নন, বারংবার হর্ন দিয়ে ওই যুবকদের রাস্তার মাঝখান থেকে বাইক সরাতে বলেন এক টেম্পো চালকও। অভিযোগ, তাতেও কর্ণপাত করেনি অভিযুক্তরা। জাদেজারাও তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেন। এর পর চোটপাট করতে শুরু করে ওই যুবকরা। তার পরেই জাদেজাদের ওপর চড়াও হয় ওই যুবকরা। অভিযুক্তরা লোহার পাইপ দিয়ে যুবরাজকে মারধর করে। তাঁর ডান কাঁধে আঘাত লাগে। মাটিতে পড়ে যান জাদেজা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কোথাও থেকে একটি তরোয়াল নিয়ে আসে (Muslims Attack)। তরোয়াল উঁচিয়ে হুমকি দেয়, জাদেজাদের শেষ করে দেবে, জীবিত থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

    অভিযুক্তদের কয়েকজনের কাছেও ধারালো অস্ত্র ছিল। ভিড় জমে গেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জাদেজা বলেন, “মামুলি একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু করে দেয় ওরা। গাড়িতে রাখা গণেশ মূর্তিকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।” যদিও মূর্তিটির (Hindu Youth) কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানান তিনি (Muslims Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির মেয়েকে অশ্লীল টেক্সট পাঠানোর প্রতিবাদ করায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এক হিন্দু তরুণীর বাড়িতে গিয়ে শ’চারেক মুসলমান (Muslims Attack Hindus) হুমকি দিচ্ছে, “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব (বাংলাদেশ বানা দেঙ্গে)”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুমকিই প্রমাণ করে ভারতে মুসলমানদের বাড়বাড়ন্ত।

    হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ 

    ফেরা যাক খবরে। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে এক হিন্দু তরুণীকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছিল মুজাম্মেল নামে এক মুসলমান যুবক। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পরেই শ’চারেক মুসলমান হামলা চালায় ওই হিন্দু তরুণীর বাড়িতে (Muslims Attack Hindus)। তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এই সময়ই হেনস্থাকারীরা তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দেওয়ার। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয় বাংলাদেশে। সেই আবহে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ অত্যাচার করা হয়। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বহু হিন্দু মহিলাকে। অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    বাড়ি বিক্রির হিড়িক

    বিজনোরের এই ঘটনার পরে ওই মহল্লায় বাড়ি বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদস্বরূপ, হিন্দুরা জানিয়ে দেয়, তাঁরা ওই মহল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বহু বাড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘হাউস ফর সেল’ লেখা বোর্ড। তবে, দ্রুত পদক্ষেপ করে যোগীর পুলিশ (Muslims Attack Hindus)। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তাই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেলকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনোরের চাঁদপুরের সারাই রফি মহল্লার মহম্মদ মুজাম্মেল এলাকারই এক হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠায়। ঘটনাটি ওই তরুণী তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পর ওই তরুণীর এক আত্মীয় মুজাম্মেলকে ভয়েস মেসেজ পাঠায়। ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মুসলমনরা। শুধু তা-ই নয়, এর পর তিন থেকে চারশো মুসলমান হামলা চালায় ওই তরুণীর বাড়িতে। হুমকি দেওয়া হয় বাংলাদেশ বানানোর।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    এ কোন সকাল!

    এই সময় প্রতিবাদ করেন স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু। অভিযোগ, তাঁদের ওপরও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জখম হন কয়েকজন। এক মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করে মুসলমানরা। ভয়ে বাড়ি-ঘরদোর বিক্রি করে মহল্লা ছেড়ে অন্য চলে যেতে চাইছেন সেখানকার হিন্দুরা (Muslims Attack Hindus)।

    উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা ভয়াবহ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। তবে বাংলায় মাস কয়েক আগেই এমন হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরকে। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি দু’ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে তোমাদের (হিন্দুদের!) ডুবিয়ে না দিই, রাজনীতি ছেড়ে দেব। শক্তিপুরে আপনাদের লোককে থাকতে দেব না। মনে রাখবেন, এখানে আপনারা ৩০ শতাংশ, আমরা ৭০ শতাংশ।”

    এ কোন সকাল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Bangladesh Crisis: মেহেরপুর ইসকন মন্দিরে মুসলিমদের আক্রমণ, বাঁচতে কুয়োতে ঝাঁপ হিন্দুদের!

    Bangladesh Crisis: মেহেরপুর ইসকন মন্দিরে মুসলিমদের আক্রমণ, বাঁচতে কুয়োতে ঝাঁপ হিন্দুদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) মেহেরপুর ইসকন মন্দিরে (Meherpur ISKCON temple) কট্টর মৌলবাদী মুসলিমদের দ্বারা সংগঠিত দাঙ্গা থেকে বাঁচতে হিন্দুরা একটি কুয়োয় ঝাঁপ দেন। এই পৈশাচিক হামলার বিবরণ সংবাদমাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সেই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কতটা নির্মম অত্যাচার নেমে এসেছে। সেনাবাহিনী এবং অন্তর্বর্তী সরকার মৌখিক নিরাপত্তার কথা বললেও, হিন্দু ধর্মের মানুষের জনজীবন এখনও বিপন্ন। আইনের শাসন নেই ওপার বাংলায়। প্রতিবাদে একাধিক শহরে লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের বিক্ষোভে নেমেছেন।

    ভিডিওতে কী দেখা গিয়েছে (Bangladesh Crisis)?

    জানা গিয়েছে, ভিডিওটি ৫ অগাস্টের। সেদিন বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ ছিল, গণভবনে চলছিল লুট, প্রায় সব থানা হয়ে গিয়েছিল পুলিশ শূন্য! এমন অবস্থায় কট্টর ইসলামি মৌলবাদীরা মেহেরপুর (Bangladesh Crisis) ইসকন মন্দিরে (Meherpur ISKCON temple) নৃশংস হামলা চালায়। হামলার কয়েকদিন পর একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে একাধিক সংবাদ মাধ্যম সেই ভিডিওকে সম্প্রচার করছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মন্দিরে আটকে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা জীবন বাঁচাতে কুয়োর জলে ঝাঁপ দিয়ছিলেন। জানা গিয়েছে, মোট ১৬-১৭ জন মানুষ কুয়োতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। পরে মন্দিরের আশেপাশের লোকজন দড়ি ফলে কুয়ো থেকে ঝাঁপ দেওয়া সমস্ত হিন্দুকে বের করে নিয়ে আসেন। মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাসও আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    ১৯৭১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অত্যাচারের শিকার হিন্দুরা

    মেহেরপুরের (Meherpur ISKCON temple) ইসকন মন্দিরের পাশাপাশি ওইদিন ১টি কালী মন্দির ও ২টি দুর্গা মন্দির লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। ১০টির বেশি হিন্দু বাড়ি এবং ৮/৯টি হিন্দু মালিকানাধীন দোকান লুট করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ২ জন হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়। মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস পরিস্থিতির ভয়াবহ বিবরণ দিয়ে বলেন, “উগ্র মুসলিম মৌলবাদীরা আমাদের ইসকন মন্দিরকে টার্গেট করেছে এবং ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরেও বোমা ছোড়া হয়। সারা রাত আমাদের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল, যখন আমরা কারও বাড়িতে আশ্রয় চাইছিলাম তারা বলেছিল, আমরা যদি আপনাকে আশ্রয় দিই তাহলে মুসলমানরা আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, হিন্দুরা সর্বদা অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) শিকার হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান

    প্রতিবাদে লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের বিক্ষোভ

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুরা ইসলামি মৌলবাদীদের হাতে ক্রমাগত হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। মুসলিম মৌলবাদীরা ক্রমাগত হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ব্যাপক নির্যাতন করছে। গত কয়েক দিনে হিন্দুরা, বাংলাদেশে চট্টগ্রামের (Bangladesh Crisis) চিরাগী পাহাড় মোড়, বগুড়ার সাত মাথার মোড়, ঢাকার শাহবাগ, খুলনার শিববাড়ি এবং গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করে গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হিন্দুদের মূল শ্লোগান ছিল, ‘আমার মাটি আমার দেশ, বাংলা ছেড়ে যাব ক্যান।’ একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, আসানসোল, কল্যাণী, শিলিগুড়ি, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু সংগঠন আরএসএস-এর পক্ষ থেকেও ভারত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র শ্রাবণ মাসে গুজরাটে (Gujarat) উৎসবের মরসুমও শুরু হয়েছে। দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করে পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। আচমকা, দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে কয়েকজন মুসলিম যুবক। এতে ওই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় রাজকোটে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভীষণভাবে আতঙ্কিত। হিন্দু পরিবারে এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দোষীদের দ্রুত কঠিন শাস্তির দাবি করেছে হিন্দু সংগঠন।

    অভিযুক্ত মুসলিম যুবকদের পরিচয় (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু পরিবারের দুই সদস্য দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করতে যাচ্ছিলেন। তখন সিকান্দার, আফজাল, সমির ও দারেড নামের ৪ মুসলিম যুবকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর যুবকরা, ওই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হিন্দু পরিবারের সদস্য জগদীশভাই ভাঘেলা ভগবতীপাড়া স্ট্রিটেই থাকেন। সেই সঙ্গে একটি মণ্ডপে পরিষেবা দিয়ে থাকেন৷ পাশেই মিহির ও আশিস নামে তাঁর ২ ছেলে ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। 

    এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করি!

    হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মিহির অভিযোগ করে বলেছেন, “আশাবা পীরের দরগার কাছে বসবাসকারী হিন্দুদের পক্ষ থেকে দশম ব্রতের জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করতে প্রধান সড়কে যাওয়া হচ্ছিল। পথে সিকান্দার, আফজাল, দারেড ও সমির নামে মুসলিম যুবকরা বাধা দেয়। সেই সঙ্গে আমার বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পরের বার যেন এই এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করা হয়। এরপর আমার বাবা অন্য একজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আমরা পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় চারজন মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বাড়িতে। সেই সঙ্গে আমার বাবা-মাকেও মারধর করে। আমার ভাই আশিসের (১৯) পেটে ছুরি দিয়ে পর পর কোপ মারা হয়। বর্তমানে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরপর রাজকোট (Gujarat) বি বিভাগে একটি মামলা দায়ের করেছি।”

    পরিবারের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Gujarat)

    আক্রমণের শিকার এই হিন্দু পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজকোটের (Gujarat) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা ইনচার্জ আশিস শেঠ বলেছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে ভগবতীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা পরিবারের জন্য সবরকম সাহায্য করব। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। ভিএইচপি সহ সমস্ত হিন্দু গোষ্ঠী পরিবারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পরিবারের আহত ছোট ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তরা তাকে নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করেছে এবং চিৎকার করে বলেছে, ‘‘ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

    আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মামলা দায়ের

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপরাধ গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে হালকা ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু আক্রান্ত পরিবার মামলার ধারা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এরপর পরিবার বি ডিভিশন থানায় গিয়ে ফের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর উচ্চপদস্থ আধিকারিক জাদেজা, পরিবারকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর অভিযুক্ত চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে গুজরাট (Gujarat) পুলিশ। অভিযুক্ত চার মুসলিম যুবক সিকান্দার, আফজাল, দারেড (ডালিও নামেও পরিচিত) এবং সমির রউমার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ১১৮(২), ১১৫(২), ৩৫২ এবং ৫৪ এনএস ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার গুজরাট পুলিশ আইন (GPA) এর ১৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণী গান্ধি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের ‘দাদাগিরি’! রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের

    Kalyani: কল্যাণী গান্ধি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের ‘দাদাগিরি’! রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীদের ‘দাদাগিরি’। যার জেরে রক্ত ঝরল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার কল্যাণী (Kalyani) গান্ধি মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কল্যানীর ওই হাসপাতালের কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সরকারি আধিকারিকের নাম সুশান্তকুমার বালা। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তবাবুর বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। শুক্রবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের ভাই উকিল বালাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সুশান্তবাবু অসুস্থ ভাইকে দেখতে  হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু, তাঁদের হাসপাতালের গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আর হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। এরপর সুশান্তবাবুর এক আত্মীয়কে ধরে হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীরা মারধর করেন। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। হাসপাতাল থেকে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    আক্রান্ত সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    হাসপাতালে (Kalyani) নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে মার খাওয়ার পর আক্রান্ত সুশান্তবাবু বলেন,  ভাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা শুধু ভাইকে দেখতে চেয়েছিলাম। ওরা এভাবে রক্তপাত করল। আমি জখম হয়েছি। যা বলার পুলিশ-প্রশাসনকে বলব। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে বচসা হচ্ছিল। আচমকাই মারধর করা শুরু হয়ে যায়। তবে, হাসপাতালের (Hospital) মধ্যে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    নিরাপত্তারক্ষীরা কী সাফাই দিলেন?

    হাসপাতালে (Hospital)  নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য, রোগী দেখার সময় ওরা আসেনি। ওরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল। আমরা বাধা দিয়েছি। কোনও হামলা করিনি। ওরা মারধর করেছে। কারও গায়ে আমরা হাত দিইনি। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হকার উচ্ছেদ শুরু হল নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল থানার কাছে রাস্তার পাশে ফুটপাতে তৈরি হওয়া একাধিক দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা। উচ্ছেদ হওয়া হকাররা (Hawker) প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    বুলডোজার চলতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা (Nadia)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ। যারা মূলত বেআইনিভাবে রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য প্রথমে মাইকে প্রচার চালানো হয়। যদিও কৃষ্ণনগরে প্রথমে হকার উচ্ছেদ শুরু করলেও বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে তা কিছুটা থমকে ছিল। বিশেষ করে জেলা বিজেপি নেতারা হকারদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। বেশ কিছুদিন উচ্ছেদ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এরইমধ্যেই শনিবার সকালে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার সামনে রাস্তার পাশে যে সমস্ত দোকানদাররা ফুটপাতে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদের দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে দেখা যায়। দোকান ভাঙা নিয়ে সুচিত্রা মিত্র নামে এক হকার বলেন, “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব।” সংসার চালাবো কী করে, তা বুঝে উঠতে পারছি না বলে বুক চাপড়ে কাঁদতে শুরু করলেন। অন্য এক হকার (Hawker) বিপ্লব সাহা বলেন, “৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। শুধু মাইকিং করা হয়েছিল। এরপরই এদিন দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আমাদের পুনর্বাসন দিতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর (Nadia) পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাস বলেন, “এতে আমাদের কিছু করার নেই। ওপর থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, আমরা তা শুধু পালন করছি। তবে, বিরোধীদের যে সমস্ত লিখিত অভিযোগ রয়েছে তা আমরা ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই ছেলে ধরা সন্দেহে গণ-পিটুনির অভিযোগ উঠছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক জায়গায় গণ-পিটুনির জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ছেলে ধরার জের কাটতে না কাটতেই এবার চোর সন্দেহে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি এলাকায়। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে আলমপুরে (Burdwan) চারজনকে ঘিরে চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এলাকায় কয়েকদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ওই ব্যক্তিরা। প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রি করতেন তাঁরা। মূলত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সকলে। তাঁদেরকে চোর সন্দেহ করে এলাকার লোকজন বেধড়ক পেটান। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হন গ্রামের লোকজন। হেনস্থার শিকার হন পুলিশ কর্মীরা। গ্রামের লোকজনের বক্তব্য, এলাকায় এসে তাঁরা চুরির ছক কষছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবে। সেটা চলবে না। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, চারজনকে উদ্ধারে বাধা দেন এলাকাবাসী। পরে, বিশাল বাহিনী গিয়ে পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশ (Police) সুপার (Burdwan) আমন দীপ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আসে চোর সন্দেহে গ্রামে চারজনকে মারধর করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের দু’টো গাড়ি পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ (Police) সেখানে গিয়ে চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ডিএসপির নেতৃত্বে একটা টিম সেখানে ফের যায়। বড় বাহিনী পাঠানো হয়। পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে আমরা মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা হেফাজতে নিতে চাই তাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ধমানে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। আর তাতে নাম জড়ালো তৃণমূলের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রবি পাশোয়ান(৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমান (Burdwan) শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শেখ ইনসান ওরফ গাবুর বাড়ি একই জায়গায়। ঘটনার পর থেকে সে উধাও। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী (Trinamool Congress) গাবুর সঙ্গে থাকতেন রবি। শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সে তোলাবাজিও করত। মাঝে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। রবি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। আর গাবুর এলাকায় (Burdwan) চায়ের দোকান রয়েছে। কোনও একটি বিষয় নিয়ে রবির সঙ্গে গাবুর বচসা হয়। এরপরই তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় গাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীরা। মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বলেন, আমার স্বামীকে গাবু বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে আঘাত লাগে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু হয়। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মৃতের দাদা প্রেমনাথ পাশোয়ান বলেন, গাবু সব সময়ে অসামাজিক কাজকর্ম ও তোলাবাজি করত। আর তৃণমূল করত বলে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। ভাই পরিবারে একমাত্র রোজগার করত। ও চলে যাওয়ার পর সংসার কী করে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আমরা চাই, গাবুর শাস্তি হোক।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কে কি রাজনৈতিক দল করে সেটা কোনও বিষয় নয়। আইনে অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। অপরাধী শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share