Tag: attack

attack

  • Tamluk: চোর সন্দেহে শিশুসহ দুই মহিলাকে পিছমোড়া করে বেঁধে গণপিটুনি, তমলুকে শোরগোল

    Tamluk: চোর সন্দেহে শিশুসহ দুই মহিলাকে পিছমোড়া করে বেঁধে গণপিটুনি, তমলুকে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও শিশু চুরির ঘটনায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) নিশ্চিন্তবসান গ্রাম। চোর সন্দেহে দুই মহিলা এবং এক শিশুকে পিছমোড়া করে বেঁধে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tamluk)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপালি বেরা নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে দুই অপরিচিত মহিলা ঢুকে চুরি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দীপালি বলেন, “সোমবার দুপুরে দুই মহিলা একটি বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে আসে। এক জন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য মহিলা বাড়ির ভিতরে ঢুকে  পড়ে। সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে। চোখের সামনে দেখে আমি চিৎকার করি। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা আমার বাড়িতে ছুটে আসেন। সেই সময় অভিযুক্ত মহিলাকে ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এরপরই তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে আমার গয়নার ব্যাগ উদ্ধার হয়।” জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের কয়েকজন দুই মহিলাসহ তিনজনকে পিছমোড়া করে বেঁধে বেধড়ক মারধর চলে। ওই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তারা দুই মহিলা-সহ শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মহিলার চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। বাড়ি থেকে অপরিচিত মহিলা দুজনকে দেখে আমরা চেপে ধরি। তাদের কাছে থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী পাওয়া যায়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর চড়াও (Lynching) হয় এলাকার লোকজন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তারা আর কোথাও এই ধরনের কাজ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ওই দলে আর কোনও সদস্য রয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে পুলিশ খোঁজখবর চালাচ্ছে। আর কারা হামলা (Lynching) চালাল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে কোমর কষে নেমেছে কেন্দ্র। তাতে সাফল্যও মিলেছে। গত কয়েক মাসে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী। এমতাবস্থায় পাল্টা আঘাত হানল ‘বনপার্টি’। রবিবার আধাসামরিক বাহিনী ভর্তি একটি ট্রাকে হামলা চালায় মাওবাদীরা (Maoists Attack)। আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ট্রাকটি। শহিদ হন আধাসামরিক বাহিনীর দুজন।

    শহিদ দুই জওয়ান (Maoists Attack)

    ছত্তিশগড়ের সুকমার ঘটনা। বাহিনীর যে দুজন শহিদ হয়েছেন, তাঁরা সিআরপিএফের জওয়ান। মাও-বিরোধী কোবরা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সুকমার সিলগের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে একটি ট্রাক ও বাইকে করে টেকুলাগুদেম গ্রামের দিকে রুটিন টহল দিতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। শহিদ হন কোবরা বাহিনীর বিষ্ণু আর এবং শৈলেন্দ্র (Maoists Attack)।

    আইইডি-ই বড় বাধা

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে আরও বাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদী দমনে সব চেয়ে বড় বাধা এই আইইডি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাস্তার পাশের ঘন জঙ্গলের কোনও গাছে বেঁধে রাখা হয় এই বিস্ফোরক। পরে প্রশাসনের লোকজন দেখলেই ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে।

    সিআরপিএফের বিশেষ গেরিলা বাহিনী হল কোবরা। পুলিশ জানিয়েছে, সেনার ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন বিষ্ণু। সঙ্গে ছিলেন শৈলেন্দ্র। বস্তার পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১ কোবরা ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা বাইক ও ট্রাক নিয়ে যখন এগোচ্ছিলেন, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। যে জওয়ান ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন তিনি এবং আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।”

    আর পড়ুন: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    গত মাসেই ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড়ের জঙ্গলে মাওবাদী গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয়। বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলায় এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আট মাওবাদীর। নিহত হন নিরাপত্তাবাহনীর এক জওয়ানও।

    ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সে রাজ্যে নকশাল- বিরোধী অভিযানের গতি বেড়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর ৭২টি অভিযানে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়েছে। খতম হয়েছে ১৩৬ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৯২জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পন করেছে ৩৯৯জন (Maoists Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Santipur: শান্তিপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি! রক্ত ঝরল অধ্যাপকের

    Santipur: শান্তিপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি! রক্ত ঝরল অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি। কাজের বরাত না পাওয়ায় শুক্রবার রক্ত ঝরল অধ্যাপকের! শিক্ষাঙ্গনে চরম নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) কলেজ। আক্রান্ত অধ্যাপকের নাম রামকৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কলেজের স্টাফরুমে আক্রান্ত অধ্যাপক বসেছিলেন। এরপর কয়েকজন ছাত্র এবং সঙ্গে বহিরাগতরা এসে অধ্যাপককে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলেন। অধ্যাপক বাইরে বের হতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের কারণে তাঁর মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। অন্যদিকে, হামলাকারীদের বক্তব্য, “অধ্যাপক লাইব্রেরির মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীর হাত ধরে টানেন। তাকে কুপ্রস্তাব দেন।” অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে হামলাকারীরা বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রীও ছিলেন। তিনি বলেন, আমাকে অধ্যাপক হাত ধরে টেনেছেন। কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর আমি শাস্তি চাই। কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    আক্রান্ত অধ্যাপক কী বললেন?

    আক্রান্ত অধ্যাপক বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। আসলে, সম্প্রতি কলেজের পাঁচিল তৈরির জন্য কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা শান্তিপুরের (Santipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর নির্দেশে আমি ওই কাজ দেখাশোনা করতাম। এরজন্য প্রায়ই আমার কাছে ছাত্রদের কয়েকজন এবং বহিরাগত কয়েকজন দুষ্কৃতী তোলা চাইত। তোলা না দিলে হুমকি দিত। একইসঙ্গে আমাকে কলেজে  কাজ চাইত। ই টেন্ডারের মাধ্যমে কলেজে সব কাজ হচ্ছে। ওরা কাজ পায়নি। তাই, আমার ওপর রাগ। এমনকী বাড়িতে গিয়েও পর্যন্ত হুমকি দিয়ে আসে। এদিনও একই দাবিতে তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে কলেজের মধ্যেই। এমনকী কলেজ কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতে গেলেও তাদের মধ্য থেকেও একজনকে মারধর করা হয়। আমাকেও ওরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

    কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    শান্তিপুর (Santipur) কলেজের অধ্যক্ষ শুচিস্মিতা সান্যাল বলেন, একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমি বিশ্বাস করি না। আর এদিন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই অধ্যাপক লাইব্রেরিতে যাননি। তিনি স্টাফ রুমে বসেছিলেন। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে এবং থানায় জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এক্ষেত্রে শান্তিপুর কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের কী নিয়ে সমস্যা তা জানি না। তবে,তোলাবাজির কোনও বিষয় নয়, কারণ টেন্ডার দেখাশোনা করে অন্য একটি কমিটি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। যদি অধ্যাপক দোষী হয়ে থাকে, তাহলে তিনি শাস্তি পাবেন। আর যদি ছাত্ররা অপরাধ করে থাকে তারা শাস্তি পাবে। এক্ষেত্রে আমার আলাদাভাবে কিছু বলার নেই।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনার নিন্দা জানান শান্তিপুর (Santipur) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত বৈরাগী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র শান্তিপুর কলেজ নয় রাজ্যের প্রতিটি কলেজে তৃণমূল এই নোংরা রাজনীতি করছে। এরা অধ্যাপক, শিক্ষক কাউকে মানে না। নিজেদের স্বার্থে আঘাত পড়লে হিংস্র পশুর মত আচরণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় বেধড়ক মারধর

    South 24 Parganas: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় বেধড়ক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এমনকী গোটা শরীরের লঙ্কা ঘষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার নৃশংস ছবি ধরা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানার বউবাজার এলাকায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার প্রতিবেশী হচ্ছেন বিপুল বিশ্বাস নামে অভিযুক্ত হামলাকারী। মূলত ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে বিপুলবাবুর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের কোনও একটি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। ওই বিপুল বিশ্বাসের ছেলে কিছুদিন আগেই আত্মহত্যা করেন। ওই আক্রান্ত গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, এমনটাই অনুমান করেন বিপুলবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। গত ৩ মে বিপুল বিশ্বাস ওই গৃহবধূকে জোর করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসেন। তাঁর পরিবারের পাঁচ থেকে সাত জন মিলে ওই বধূকে পরকীয়া সন্দেহে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাঁর মাথা ন্যাড়া করে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। রাস্তার পাশে খুঁটিতে বেঁধে সারা শরীরে লঙ্কা ঘষে দেন। এমনকী যৌনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দেন বলে অভিযোগ।  ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন গোটা এলাকার (South 24 Parganas)  মানুষ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে গোটা গ্রাম।

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

    পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরই এই ঘটনায় কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ পাঁচজন মহিলা সহ দুজন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। কীভাবে প্রতিবেশীরা সন্দেহের বসে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। শনিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের চাঁদঘর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক  মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বারুইহুদা মনীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীর ওপর ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের রাগ ছিল। কারণ, বিজেপি না করার জন্য বলার পরও ভোটে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিজেপি কর্মীকে মাঝ রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। মারের চোটে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আরও একজন জখন হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, আচমকা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা। ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এক প্রতিবেশী যুবতী বলেন, যেহেতু মলয় বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।  

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত। তাই,  কাউন্টিং সেন্টারে যাতে আমাদের এজেন্টরা ঢুকতে ভয় পান, তারজন্য এসব সন্ত্রাস তৈরি করছে। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত আকারে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসিকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বরানগর। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বহিরাগতদের দাপাদাপি লেগেই ছিল। বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভোটের শেষ বেলায় বরানগরে (Baranagar) বিজেপির পাটি অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (Baranagar)

    এদিন বরানগরে (Baranagar) বিজেপির কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ছুটতে ছুটতে এসে  পার্টি অফিসের ভিতরে  ঢোকেন। এরপরই পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর  করা হয় আসবাবপত্র।  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, বরানগরের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে এদিন ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আলমবাজারে ভুয়ো ভোটার ধরার পরই তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী অপদার্থ!

    বরানগরে (Baranagar) পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে গর্জে উঠে বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাবে। বুথ দখল করবে। সবকিছু লুট করবে তৃণমূল, তাহলে আপনাদের থেকে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? আপনারা তো ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আপনার একজন তো পালিয়েও গেল! ‘কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী বলবেন আপনি?’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক কোনও মুখ খোলেননি। পরে, সজলবাবু বলেন, সেন্ট্রাল বাহিনী অপদার্থ।

    বুথের সামনে তৃণমূলের জমায়েত!

    এদিন সকাল থেকেই বরানগর জুড়ে বুথে বরিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বেলা বাড়তেই বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূল বেআইনিভাবে জমায়েত করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সেখানে গেলে তৃণমূলের বাহিনী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকপোল করতে আসা বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) ফকির চাঁদ কলেজে চলছিল মকপোল। আর সেই সেখানেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের হয়ে মকপোল করতে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অনুপম রায় ও তাঁর সঙ্গীরা। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁদের ওপর। তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে মকপোল করতে আসা আমাদের দোষ। ওরা চর-কিল -ঘুষি-লাথি মারার পাশাপাশি আমাদের মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে ডিএম থেকে শুরু করে এসপি প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনই পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    শনিবার ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) থানায় যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ডায়মন্ডহারবার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। তবে এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী ও অভিজিৎ দাস বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় ভাইপো অভিষেকের দুষ্কৃতী বাহিনীর সন্ত্রাসের আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে এলাকার মানুষজন। বিরোধী কর্মীদেরকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে না এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ধীমান নামে এক জমি মাফিয়া শিলিগুড়িতে (Siliguri) রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার মূল পান্ডা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার সেভক রোডে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে ফিরে আসেন মহারাজরা।

     কে এই ধীমান? (Siliguri)

    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীমান নামে জনৈক জমি মাফিয়া কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার ওঠাবসা। সেই সুবাদে রাজ্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই পুলিশ প্রশাসনকে হাতের পুতুল করে তিনি শিলিগুড়িতে অনেকদিন ধরেই জমির অবৈধ কারবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর জমির এই অবৈধ করাবারের সুবিধার জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে সেখানে এসে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা?

    আইনি জটিলতা, পারিবারিক কলহ থাকা জমির ওপর নজর ধীমান নামে ওই ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে তাঁর একাধিক এজেন্ট বা গুন্ডা রয়েছে। তাদের দিয়েই জমি দখল নেওয়া হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের কাজে তিনি প্রদীপ রায়কে ব্যবহার করেছিলেন। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জমির দখল নেওয়া হয়। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের প্রাণকেন্দ্র সেভক রোডের ধারে যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি রয়েছে সেখানে এক কাঠা জমির দাম কোটি টাকারও বেশি। রামকৃষ্ণ মিশনের এখানে প্রায় দু’একর জমি রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এই জমির মোট মূল্য ১০০কোটি টাকারও বেশি। পুলিশ জানিয়েছে এই জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনের।

    ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশের মদত রয়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি দীপক সরকার বলেন, জমিটি প্রথমে টুকরে সিং বলে এক ব্যক্তির ছিল। তিনি ওই জমি হরদওয়াল সিং গিল নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন। হারদওয়াল সিং গিল পরেওই জমি এসকে রায় নামে একজনকে বিক্রি করেন। সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার না থাকায় জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেন। তবে, মিউটেশন না হওয়ায় সরকারি নথিতে জমিটির মালিক এখনও টুকরে সিংকে দেখাচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন, এতদিন পর কীভাবে প্রদীপ রায় ও সঙ্গীরা এখবর পেল। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফরের একাংশ  এধরনের জটিল জমির খবর জমি মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ধীমান নামে জনৈক ব্যক্তি এই ধরনের জমির খোঁজে থাকেন। 

    অবশেষে সেবকে রামকৃষ্ণ মিশনে ফিরলেন মহারাজ

    বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ভক্তিনগর থানার আইসি’র নেতৃত্বে মিশনের ভেতরে প্রবেশ করেন। মিশনের জমির দ্বায়িত্ব মহারাজের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, সেবক হাউস থেকে ফের আগের মতো আমাদের মিশনের বিভিন্ন কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: অগ্নিমিত্রার সমর্থনে মিঠুনের রোড শোয়ে ছোড়া হল ইট-বোতল, দাদাগিরি তৃণমূলের!

    Mithun Chakraborty: অগ্নিমিত্রার সমর্থনে মিঠুনের রোড শোয়ে ছোড়া হল ইট-বোতল, দাদাগিরি তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে রোড শো করছিলেন মিঠুন। আর সেই প্রচারে বেরিয়ে (Mithun Chakraborty) কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। অভিযোগ, আচমকাই  বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে ইট-বোতল ছোড়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করে। একইসঙ্গে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে মিছিলে হামলা চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্যের শাসকদল।

    অগ্নিমিত্রার সমর্থনে মিঠুনের রোড শোয়ে ছোড়া হল ইট-বোতল (Mithun Chakraborty)

    মঙ্গলবার হুড খোলা গাড়িতে মেদিনীপুর শহরে প্রচার করছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) । পাশে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। জানা গিয়েছে, ভালোভাবেই চলছিল রোড শো। তার মাঝেই ঘটল বিপত্তি। রোড শো ঘিরে আচমকাই উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের অভিযোগ, যে রাস্তা দিয়ে রোড শো হওয়ার কথা ছিল সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে কিছু ব্যানার-পোস্টার লিখে এনেছিলেন। সেই বিষয়টি নিয়ে বচসা বাধে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। পুলিশের সামনেই মিছিলে ইট, প্লাস্টিকের জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইট ছোড়া হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আরও পড়ুন: অর্জুনের খাসতালুকে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুলিশের সামনেই তৃণমূলের হামলা,সরব বিজেপি

    পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে গাড়ি থেকে অগ্নিমিত্রা আবেদন জানান, বোতল ছুড়বেন না। যদিও এই আবেদনে কোনও লাভ হয়নি। এদিকে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) বাঁচাতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা শিল্ড ব্যবহার করেন। কোনওক্রমে রক্ষা পান মিঠুন-অগ্নিমিত্রা। পুলিশের সামনেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মিছিলে যোগদানকারী বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, এদিন সকালে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের মিছিলেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে গড়িয়া এলাকায় হুডখোলা গাড়ি চেপে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সৃজন। পিছনে অটো-বাইকে ছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পঞ্চসায়র থানা এলাকায় মিছিল পৌঁছতেই সৃজনের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: একের পর এক মন্দির ভাঙল দুষ্কৃতীরা, অগ্নিগর্ভ ধূপগুড়ি, বনধের ডাক

    Jalpaiguri: একের পর এক মন্দির ভাঙল দুষ্কৃতীরা, অগ্নিগর্ভ ধূপগুড়ি, বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয়, পশ্চিম বাংলার বুকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সকাল থেকে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের সামনে বিক্ষোভ- প্রতিবাদও চলতে থাকে। ধূপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    ধূপগুড়ির (Jalpaiguri) মোড়ঙ্গা চৌপথি এলাকার কালী মাতা মন্দির, সাতভেন্দি শিব মন্দির, জঙ্গলিবাড়ি কালী মন্দির, শনি মন্দিরে শুক্রবার রাতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের মূর্তি ভেঙ্গে বাইরে ফেলে দেয়। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। তখনই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। দাবানলের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধূপগুড়ি বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অবরোধ। ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    ধূপগুড়ি মহকুমা বনধের ডাক

    পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি (Jalpaiguri) থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। নিমেশে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দু পক্ষের মারামারিতে আহত হন দুই পক্ষেরই লোকজন। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে আনতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান ধূপগুড়ি থানার আই সি। কিন্ত, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় জলপাইগুড়ি থেকে পুলিশ সুপার আরও বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকা বেশ থমথমে রয়েছে। গোটা এলাকায় পুলিশি টহল রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা মোড়ঙ্গা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় মোড়ঙ্গা এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। আগামীকাল গোটা ধূপগুড়ি মহকুমায় বনধ ডাকা হয়েছে।  উত্তরবঙ্গের সমস্ত থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে।

    রাস্তা-রেল অবরোধ

    স্থানীয় হিন্দুরা জাতীয় সড়ক (Jalpaiguri) সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শালবাড়ি ও ফালাকাটা স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ভিএইচপি এবং এইচজেএম সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের হাজার হাজার সাধারণ হিন্দু উপস্থিতিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রেলওয়ে রুটেও বেশ কয়েকটি অবরোধ দেখা দেয়। যার ফলে কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আন্দোলনকারীরা অনেক জায়গায় রেলপথে বসে পড়ে, যার ফলে দিল্লিগামী যোগাযোগ ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ যাওয়ার তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ব্যাহত হয়। খালিগ্রাম স্টেশনেও একটি পণ্যবাহী ট্রেন আটকে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসপি খান্ডেবাহলে উমেশ গণপত বলেন, যা ঘটেছে তা ভালো হয়নি। তাই আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share