Tag: attack

attack

  • South 24 Parganas: মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশ, জখম ১৩ জন, শোরগোল

    South 24 Parganas: মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশ, জখম ১৩ জন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে পুলিশের ওপর মানুষের সব থেকে বেশি আস্থা। সেই অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে গিয়ে মাদক কারবারীদের হাতে বেধড়ক মার খেতে হল পুলিশকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর থানার বৃন্দাখালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকও আক্রান্ত হয়েছেন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বৃহস্পতিবার বিকালে বারুইপুর থানার (South 24 Parganas) পুলিশের কাছে খবর আসে বৃন্দাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের একটি বাড়িতে প্রচুর মাদক মজুত করা রয়েছে। মজুত থাকা মাদক উদ্ধার করতেই বারুইপুর থানার পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, মাদক কারবারীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ই আচমকা একদল দুষ্কৃতী পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। লাঠি, বাঁশ, রড, বটি নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলা চালানোর পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকে ঘিরে ফেলে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ১২-১৩ জন পুলিশ আক্রান্ত হন। শাবল, লাঠি নিয়ে তাড়া করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের তালিকায় ৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব- ইন্সপেক্টর-সহ মোট ১৩ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এরপর সন্ধ্যায় এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি স্থানীয়দের

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এই এলাকায় মাদক কারবার চলে। বহুবার অভিযোগ করেও কোনও কাজ হয়নি। পুলিশের একাংশের মদতেই এসব কারবার চলত। মাদক কারবারীদের প্রশয় দেওয়ার উচিত শিক্ষা পুলিশ পেল। তবে, পুলিশই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কারণ, মাদক কারবারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের

    Bankura: শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়র থানার জামকুড়ি গ্রামে। ভোটের আগে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে হামলা তৃণমূলের (Bankura)

    মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়রে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে, বুধবার বিকালে বাঁকুড়ার বালসীতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভায় যোগ দিতে বুধবার বিকালে বিজেপির কোতুলপুর মণ্ডলের কর্মীরা একটি ছোট ট্রাকে করে বালসীর দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ট্রাকটি পাত্রসায়র ব্লকের জামকুড়ির কাছাকাছি যেতেই জনা দশেক দুষ্কৃতী হাতে লাঠি, টাঙি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ট্রাকটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। ট্রাকটি লক্ষ্য করে একাধিক বোমাও ছোড়া হয়। যদিও সেই ভাঙা ট্রাকে চড়েই সভায় হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। পরে, আক্রান্ত কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি দলীয় প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র কাছে জানান। আক্রান্ত কর্মীদের বত্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিষ্ণুপুরের (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় মানুষের ভিড় দেখে তৃণমূলের কিছু ছিঁচকে আমাদের গাড়ির ওপর আক্রমণ করেছে। ভাবছে এই ভাবে সন্ত্রাস বজায় রাখবে। এখানে আমরাই জিতব। আমি কমিশনের অবজারভারের সঙ্গে দেখা করব। আর পাত্রসায়র, কোতুলপুর এই সব জায়গায় বারবার এমন হচ্ছে। আমি কথা বলব বিষয়টি নিয়ে।” যদিও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “শুনছিলাম ওদের মিছিলে লোক আসতে চাইছে না। বিজেপি প্রার্থী সেই কারণে মদ- মাংসের ব্যবস্থা করেছিলেন। দেখুন নেশা করে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে কি না। তৃণমূল এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    Siliguri: “ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের ৭২  ঘণ্টার মধ্যে রক্ত ঝরল শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, বিজেপির হয়ে ভোটে কাজ করা ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার কারণে তৃণমূলের হাতে  গুরুতরভাবে আক্রান্ত হলেন বিজেপি বুথ সভাপতি সহ ছ’ জন কর্মী। এর মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। আক্রান্তদের শিলিগুড়ি (Siliguri) জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে মাটিগাড়া ব্লকের কলাইবক্তিয়ারিতে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর করে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার রাতেই মাটিগাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মাটিগাড়া ব্লক বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি, হেড কোয়ার্টার তন্ময় সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    মাটিগাড়া -নকশালবাড়ি বিধানসভা এলাকায় কলাইবক্তিয়ারিতে  বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি নন্দকিশোর ঠাকুরকে বিজেপির হয়ে কাজ করতে বারণ করেছিল তৃণমূল। সেই নিষেধ অমান্য করে এলাকায় তাঁরা প্রচার করেছিলেন। এমনকী ভোটের দিন বুথের কাছে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন। ভোট শেষ হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির বুথ সভাপতিসহ ছ’জন বিজেপি কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা চালায় দুস্কুতিরা। দু’জন মহিলা সহ ছয়জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মন্ডল বলেন, তৃণমূল নেতা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৈলাশ মণ্ডল ও তাঁর দলবল ভোটের আগে থেকেই আমাদের বুথ সভাপতি  নন্দকিশোর ঠাকুরকে হুমকি দিচ্ছিল। রবিবার সকালে বাড়ি গিয়ে নন্দকিশোরকে  প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। রাতেই প্রাণঘাতি হামলা চালায় তৃণমূল নেতা কৈলাশ মণ্ডল ও তাঁর দলবল। আক্রান্ত বিজেপি নেতা নন্দকিশোরবাবু বলেন, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। আমার পাশাপাশি দু’জন মহিলা সহ আমাদের ছ’জন কর্মী গুরুতর জখম হন। এর প্রতিবাদে সোমবার আমরা মাটিগাড়া বনধের ডাক দিয়েছি। মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যে আসছেন মোদি-যোগী

    তৃণমূলের দালাল পুলিশের মদতেই এই ঘটনা, বললেন রাজু বিস্তা

    বিজেপির দার্জিলিং লোকসভা আসনের প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা এই ঘটানার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার সকালে পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই ঘটনা ঘটত না। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সকালে অভিযোগ পেয়েও এই ঘটনা ঘটানোর জন্য পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসেছিল। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের মুখে সৌমেন্দুর মিছিলে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল, শোরগোল

    BJP: ভোটের মুখে সৌমেন্দুর মিছিলে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে রাজ্যের একাধিক লোকসভা এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বিজেপি (BJP) প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    শনিবার কাঁথির বিজেপি (BJP) প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল কাঁথির ভাজাচাউলি অঞ্চলের সরপাই বাজারে। তিনি মিছিল করে যাওয়ার পথে ভাজাচাউলি অঞ্চলের পশ্চিম সরপাইতে কাঠপুলের কাছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা র‍্যালির ওপর পাথর ছোড়ে এবং হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলায় দুই বিজেপি নেতা গুরুতর আহত হন। একজনের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং অন্যজনের মাথায় আঘাত লাগে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দুজন হলেন সূর্যকমল বাগ এবং শম্ভু পাল। আহতদের অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা খড়িপুকুরিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী, উত্তর কাঁথির বিধায়িকা সুমিতা সিনহা, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল, বিজেপি নেতা কনিষ্ক পন্ডা আক্রান্ত দলীয় নেতৃত্বদের দেখতে খড়িপুকুরিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রাতেই পৌঁছে যান। পরে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য তমলুকে পাঠানো হয়।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের হার্মাদ ও দুষ্কৃতীরা বুঝে গিয়েছে ওদের দিন অতিক্রান্ত। মানুষের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে, মানুষের হৃদয়ে আছে পদ্ম প্রতীক, তাই সেই স্বতঃস্ফূর্ততাকে কখনও ভয় দেখিয়ে, হামলা করে আটকানো যাবে না।” পালটা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, “এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল শান্তিতে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এটি বিজেপির আদি-নব্যের লড়াই। ভোটের মুখে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ভোটের ময়দানে জমি পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার তো বাড়ির মহিলারা পান। তারপরেও কেন বিজেপি করবি?’ প্রশ্ন করেই বিজেপির বুথস্তরের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা এলাকার কুমারগঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের খাসতালুকে এই হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর পঞ্চায়েতের জল্পর গ্রামে বিজেপির বুথ সহসভাপতি সঞ্জয় রায় বাড়িতে খেতে বসেছিলেন। সেই সময় পাশের গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সঞ্জয়ের মা প্রথমে সামনে যান। খানিক বাদে সঞ্জয়ও সামনে আসেন। তখনই তাঁকে হামলাকারীরা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার সুবিধা নিবি, আবার বিজেপি করবি।” এরপরই বেদম পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি করি বলে ভোট আসলেই আমার ওপর আক্রমণ নেমে আসে। এখনও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নিতে ফোনে হুমকি আসছে। আমাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সঞ্জয়ের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা (Balurghat) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত হারার ভয়েই এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। ভোটে ওদের হার নিশ্চিত। প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। তৃণমূল এই কাজে যুক্ত বলে মানতে নারাজ এলাকার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কুমারগঞ্জে। একটাও গণ্ডগোল হয়নি। এখন কেন হবে। সঞ্জয় রায় নামে বিজেপির কাউকে চিনি না। তবে, যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে আমরা অবশ্যই তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এই ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: এনআইএ-র  ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন এনআইএ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁদের গাড়ি। হামলার পরই এনআইএ আধিকারিকরা ভূপতিনগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    জামিনযোগ্য ধারায় মামলা! (Bhupatinagar)

    জানা গিয়েছে, ৬ এপ্রিলই এনআইএ-র তরফে লিখিত অভিযোগ হয়েছে ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ৩৪১, ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৩৫৩ নম্বর ধারা ছাড়া বাকি সবই জামিনযোগ্য। এ ক্ষেত্রে আরও কড়া ধারা প্রয়োগ করা যেত বলেই মত আইনজীবী মহলের। কাঁথি মহকুমা আদালতের আইনজীবী দীপককুমার মিশ্র বলেন, ” ভিডিও ফুটেজে যে ভাবে মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানদের হাত থেকে লাঠি কাড়ার চেষ্টা ও সশস্ত্র অবস্থায় হুমকি ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেক কঠোর ধারায় মামলা করা যেত। পুলিশ না করলেও পরে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা দায়িত্ব পেলে নিশ্চিত ভাবেই তা করবে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার সকালেও নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তবে তাদের দাবি, হামলায় অভিযুক্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। সে ক্ষেত্রে গ্রামবাসীর বয়ানের ভিত্তিতে আরও কয়েক জনকে নোটিস পাঠানো হতে পারে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে পুলিশ লঘু ধারায় মামলা করেছে। গ্রামে লোক দেখানো তল্লাশি চলছে।”

    আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই থ পুলিশ, টাকায় ঠাসা প্যাকেট, হাওড়া ব্রিজের কাছে একী কাণ্ড?

    বিস্ফোরণে কাণ্ডে ধৃত দুজনের ফের এনআইএ হেফাজত

    বুধবারই আদালতে তোলা হয় বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা, বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে। রুদ্ধদ্বার শুনানির পরে এনআইএ-র বিশেষ আদালত দু’জনকেই আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এনআইএ সূত্রের খবর, গত ৬ এপ্রিল ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) নারুয়াবিলা গ্রাম থেকে ধৃত এই দু’জনকে আরও ছ’দিন হেফাজতে চেয়ে এদিন আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর (Keshpur)। এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Keshpur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশপুর (Keshpur) ব্লকের ২ নম্বর অ়ঞ্চলের গোপীনাথপুর এলাকায় বিজেপির স্থানীয় এক বুথ সভাপতি অঙ্কন নিয়োগীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। দলীয় পতাকা লাগানোর সময় এই হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি দলীয় পতাকা ছিঁড়়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস আহত বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আনন্দপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ-প্রসঙ্গে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, কিছুদিন আগে কেশপুরে (Keshpur) এসে দেব বলে গিয়েছিলেন, আমি চাইনা এই সন্ত্রাস হোক, রক্ত ঝড়ুক। তিনি চলে যেতেই আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় আমাদের এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী অঙ্কন নিয়োগীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দলীয় কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে আসে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায়। আমি সাংসদ ও এখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে সন্ত্রাস না করার অনুরোধ করবো। এলাকার গরিব মানুষের প্রাপ্য অধিকার তৃণমূল চুরি করেছে। মানুষ পাশে নেই তৃণমূলের। নির্বাচনের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। যদিও স্থানীয় তৃণমূলে নেতৃত্বের বক্তব্য,  হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের দলের নামে বদনাম দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন তোলপাড়। রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনআইএ-র ওপর হামলা নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহের মধ্যে হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে এই ঘটনায় দুবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল।

    নতুন তদন্তকারী আধিকারিক কে হলেন? (Bhupatinagar)

    এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানার ওসি গোপাল পাঠককে সরিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকের  দায়িত্বে আনা হয়েছিল ভূপতিনগরের সার্কেল ইনস্পেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে। এবার দুদিন যেতে না যেতেই এবার তাঁকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় নতুন তদন্তকারী অফিসার করা হল ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার সত্যমকুমার ঘোষকে। তিনি এবার থেকে এই ঘটনার তদন্তভার পরিচালনা করবেন। তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই মঙ্গলবার দুপুরে অর্জুনপুর গ্রামে যান তিনি। কথা বলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে। ধৃত মনোব্রত জানার বাড়িতে ঢুকে কথা তিনি বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। যদিও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক।

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, তলব করার পরও হাজিরা দেননি বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার তদন্তে গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। সেই ঘটনায় এনআইএ-র পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনায় ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ভূপতিনগরে এনআইএ-র টিমের ওপর ‘হামলা’ হয়েছিল। তবে, হামলার ঘটনায় বার বার তদন্তকারী আধিকারিক পরিবর্তন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার পর ফের উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar)। এবার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে এক নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    ২০২২ সালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। আর তাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের হামলা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে চর্চায় রয়েছে ভূপতিনগর। তার মধ্যেই সোমবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় ভূপতি নগরে। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ভূপতিনগর থানা ওসি গোপাল পাঠক তাঁর বাহিনী নিয়ে অর্জুননগরে বিজেপি বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেই সময়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি কার্যালয়েই ছিলেন। পুলিশের দাবি, এক অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছিল। পুলিশের তাড়া খেয়ে সেই অভিযুক্ত বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। এরপর বিধায়ক পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। তখনই শুরু হয় বিতণ্ডা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, চায়ের দোকান থেকে বিজেপির সহ-সভাপতি বিভাস প্রধানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ঘটনাকে ঘিরে সোমবার রাতে বিধায়কের কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ ওসি অবশ্য খালি হাতেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। এবার সেই ওসি-র বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হল। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানায় এনআইএ যে অভিযোগ করেছিল, সেই মামলারও প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গোপাল পাঠক। এখন অবশ্য এই মামলায় তাঁকে সরিয়ে শ্যামল চক্রবর্তীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যেই থানার ওসি নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি অফিসে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে  কমিশনের কাছে গোপাল পাঠককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share