Tag: attack

attack

  • Bhupatinagar: এনআইএ-র  ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারা পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন এনআইএ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁদের গাড়ি। হামলার পরই এনআইএ আধিকারিকরা ভূপতিনগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    জামিনযোগ্য ধারায় মামলা! (Bhupatinagar)

    জানা গিয়েছে, ৬ এপ্রিলই এনআইএ-র তরফে লিখিত অভিযোগ হয়েছে ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ৩৪১, ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৩৫৩ নম্বর ধারা ছাড়া বাকি সবই জামিনযোগ্য। এ ক্ষেত্রে আরও কড়া ধারা প্রয়োগ করা যেত বলেই মত আইনজীবী মহলের। কাঁথি মহকুমা আদালতের আইনজীবী দীপককুমার মিশ্র বলেন, ” ভিডিও ফুটেজে যে ভাবে মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানদের হাত থেকে লাঠি কাড়ার চেষ্টা ও সশস্ত্র অবস্থায় হুমকি ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেক কঠোর ধারায় মামলা করা যেত। পুলিশ না করলেও পরে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা দায়িত্ব পেলে নিশ্চিত ভাবেই তা করবে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার সকালেও নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তবে তাদের দাবি, হামলায় অভিযুক্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। সে ক্ষেত্রে গ্রামবাসীর বয়ানের ভিত্তিতে আরও কয়েক জনকে নোটিস পাঠানো হতে পারে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে পুলিশ লঘু ধারায় মামলা করেছে। গ্রামে লোক দেখানো তল্লাশি চলছে।”

    আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই থ পুলিশ, টাকায় ঠাসা প্যাকেট, হাওড়া ব্রিজের কাছে একী কাণ্ড?

    বিস্ফোরণে কাণ্ডে ধৃত দুজনের ফের এনআইএ হেফাজত

    বুধবারই আদালতে তোলা হয় বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা, বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে। রুদ্ধদ্বার শুনানির পরে এনআইএ-র বিশেষ আদালত দু’জনকেই আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এনআইএ সূত্রের খবর, গত ৬ এপ্রিল ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) নারুয়াবিলা গ্রাম থেকে ধৃত এই দু’জনকে আরও ছ’দিন হেফাজতে চেয়ে এদিন আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    Keshpur: “দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারল তৃণমূল,” বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর (Keshpur)। এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Keshpur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশপুর (Keshpur) ব্লকের ২ নম্বর অ়ঞ্চলের গোপীনাথপুর এলাকায় বিজেপির স্থানীয় এক বুথ সভাপতি অঙ্কন নিয়োগীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। দলীয় পতাকা লাগানোর সময় এই হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি দলীয় পতাকা ছিঁড়়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস আহত বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আনন্দপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের গড়ে বিজেপি নেতার ছেলেকে ‘অপহরণ’ তৃণমূলের! মামলা হাইকোর্টে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ-প্রসঙ্গে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, কিছুদিন আগে কেশপুরে (Keshpur) এসে দেব বলে গিয়েছিলেন, আমি চাইনা এই সন্ত্রাস হোক, রক্ত ঝড়ুক। তিনি চলে যেতেই আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় আমাদের এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী অঙ্কন নিয়োগীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দলীয় কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে আসে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায়। আমি সাংসদ ও এখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে সন্ত্রাস না করার অনুরোধ করবো। এলাকার গরিব মানুষের প্রাপ্য অধিকার তৃণমূল চুরি করেছে। মানুষ পাশে নেই তৃণমূলের। নির্বাচনের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। যদিও স্থানীয় তৃণমূলে নেতৃত্বের বক্তব্য,  হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের দলের নামে বদনাম দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    Bhupatinagar: এনআইএ-র ওপর হামলা কাণ্ডে ফের তদন্তকারী আধিকারিক বদল, কে দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন তোলপাড়। রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনআইএ-র ওপর হামলা নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহের মধ্যে হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে এই ঘটনায় দুবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল।

    নতুন তদন্তকারী আধিকারিক কে হলেন? (Bhupatinagar)

    এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানার ওসি গোপাল পাঠককে সরিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকের  দায়িত্বে আনা হয়েছিল ভূপতিনগরের সার্কেল ইনস্পেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে। এবার দুদিন যেতে না যেতেই এবার তাঁকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় নতুন তদন্তকারী অফিসার করা হল ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার সত্যমকুমার ঘোষকে। তিনি এবার থেকে এই ঘটনার তদন্তভার পরিচালনা করবেন। তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই মঙ্গলবার দুপুরে অর্জুনপুর গ্রামে যান তিনি। কথা বলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে। ধৃত মনোব্রত জানার বাড়িতে ঢুকে কথা তিনি বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। যদিও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক।

    আরও পড়ুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, তলব করার পরও হাজিরা দেননি বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার তদন্তে গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। সেই ঘটনায় এনআইএ-র পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ঘটনায় ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ভূপতিনগরে এনআইএ-র টিমের ওপর ‘হামলা’ হয়েছিল। তবে, হামলার ঘটনায় বার বার তদন্তকারী আধিকারিক পরিবর্তন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার পর ফের উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar)। এবার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে এক নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    ২০২২ সালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। আর তাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের হামলা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে চর্চায় রয়েছে ভূপতিনগর। তার মধ্যেই সোমবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় ভূপতি নগরে। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ভূপতিনগর থানা ওসি গোপাল পাঠক তাঁর বাহিনী নিয়ে অর্জুননগরে বিজেপি বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেই সময়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি কার্যালয়েই ছিলেন। পুলিশের দাবি, এক অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছিল। পুলিশের তাড়া খেয়ে সেই অভিযুক্ত বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। এরপর বিধায়ক পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। তখনই শুরু হয় বিতণ্ডা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, চায়ের দোকান থেকে বিজেপির সহ-সভাপতি বিভাস প্রধানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ঘটনাকে ঘিরে সোমবার রাতে বিধায়কের কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ ওসি অবশ্য খালি হাতেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। এবার সেই ওসি-র বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হল। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানায় এনআইএ যে অভিযোগ করেছিল, সেই মামলারও প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গোপাল পাঠক। এখন অবশ্য এই মামলায় তাঁকে সরিয়ে শ্যামল চক্রবর্তীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যেই থানার ওসি নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি অফিসে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে  কমিশনের কাছে গোপাল পাঠককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাকপুর চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যে এবার সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী কিরণ দে-কে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore) 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী কিরণবাবু বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ায় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেকা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বাধে। সুব্রতবাবু কিরণবাবুকে বলেন, স্বাস্থ্য সাথি পান, কন্যাশ্রী পান, লক্ষ্মী ভান্ডার পান লজ্জা করে না তৃণমূলের সমস্ত সুবিধা নিচ্ছেন আর বিজেপি করছেন। এরপরই কিরণ বাবুকে মারধর করে। টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কিরণ বাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যেটা হচ্ছে ভালো হচ্ছে না। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে, তাই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে। এভাবে মানুষকে মেরে ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও হামলা চালানো হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আসলে আমাদের নামে এসব অভিযোগ এনে বিজেপি রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভাটপাড়ায় বিজেপি-র ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ

    বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলঘর রবীন্দ্রপল্লিতে একাধিক ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পাঁচ-ছয়টি ফ্লেক্স ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। রবিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। নির্বাচন কমিশন ও জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজু বাবুর দাবি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আসলে এসব করে এলাকায় তৃণমূল ভয় দেখাতে চাইছে। এসব করলে সাধারণ মানুষের ভোট তৃণমূল আর পাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এবার বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর এসবই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে।   যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Locket Chatterjee)

    ২০১৯ সালে হুগলি আসন বিজেপির কাছে হেরেছে তৃণমূল। এবারও বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে। জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লকেট। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এখানকার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলায় যাই। কালীপুজোয় গিয়েছিলাম। ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক হাতে তাঁদের বাঁশ। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা আসছেন। অশ্রাব্য কথা, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আমার গাড়ি ঘিরে গাড়িতে মারতে থাকে। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও শোনেননি। আমি ভিডিও করছি বলে ওরা আরও বেশি করে করছে। এরপর ভিডিওটা বন্ধ করে দিই। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, একজন গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাঁশবেড়িয়ার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন প্রার্থীর যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ভোটারদের কী অবস্থা!” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কী বললেন?

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ, তারা জানে মমতার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি তাঁদের সরাতে গেলে লকেটের (Locket Chatterjee) নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধাক্কা দেন। তাতে আমার আঘাত লাগে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    NIA: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তলব করার পরও হাজিরা দেননি। এরপর সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA)। বিস্ফোরণ মামলার ঘটনার তদন্তে গিয়ে তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন এনআইএ-এর আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। শনিবারই ধৃতদের এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হয়। এই দু’জনকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক সেই নির্দেশ মঞ্জুর করেন।

    বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা, মোবাইল (NIA)

    ধৃত দুজনকে আদালতে তোলার পর এনআইএ-এর (NIA) পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই গ্রামে গিয়েছিল। শনিবার সকালের হামলার ঘটনায় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা সরাসরি যুক্ত ছিল। একজন আধিকারিক জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়িও। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে চার জন গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে যখন দু’বার হাজিরা এড়িয়েছিল, তখনই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। মামলার তদন্তে ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ও বেশ কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    এনআইএ-এর আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ডাকা হয়েছিল, আবার মাঝে ডাকল না। এখন নির্বাচনের আগে ডাকা হল। কেন? ভোট আসলে ডাকা হচ্ছে কেন?’ এই যুক্তিতে অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট ভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করা হচ্ছে।’ যদিও সেই যুক্তি উড়িয়ে দেন এনআইএ-র আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নীতি নিয়ে এনআইএ (NIA) চলে না। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে এনআইএ-র কাছে। এখনও চার জন পলাতক, তাদেরও ধরতে হবে। কোনও যোগসূত্র না থাকলে গ্রেফতার হত না। যদি এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনআইএ  (NIA)। ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ-র পক্ষ থেকে নিয়ম মেনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তলব করার পরও হাজিরা দেননি কেউ। এবার সেই ঘটনার তদন্তে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যা নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, যখন তদন্তকারীরা ওই দু’জনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়িতে করে, তখনই হামলা চালানো হয়। এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    থানায় অভিযোগ করলেন এনআইএ আধিকারিকরা (NIA)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন এনআইএ (NIA) অফিসাররা। জানা গিয়েছে, হামলার জেরে আহত হয়েছেন দুজন অফিসার। গাড়ি আটকে, গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা চালানো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা

    ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। শনিবার সকালে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে যায় এনআইএ-র (NIA) একটি দল। সেখানে আক্রান্ত হওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া দেখা গেল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ফের আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা(NIA)। তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র অফিসারদের। ভূপতিনগরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই এভাবে আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ (NIA)। জানা যাচ্ছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি। সূত্রের খবর, এনআইএ তলব করলেও তিনি নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতির বাড়িতে যাওয়ার পথেই এই হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রায় ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ছিল ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলাইকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরেই এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও হয় ধস্তাধস্তি। রাতের অন্ধকারে ছোড়া হয় ইট, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ধস্তাধস্তির পরও বলাই মাইতিকে আটক করতে পেরেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি কার্যত একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সে বার ইডি হানা দিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের ডেরায়। সাতসকালে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকেরা। একাধিক ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার জের মিটে না মিটতেই ফের হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share