Tag: Attacks on Hindu

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Crisis) বুলডোজার চালিয়ে দুর্গামন্দির ভেঙে দিল ইউনূস প্রশাসন। হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিল সেনাবাহিনী (Bangladesh Army), র‍্যাব (Rapid Action Battalion), বিজিবি (Border Guard Bangladesh), রেল (Bangladesh Railway)। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) খিলক্ষেত (Khilkhet) অঞ্চলে দুর্গামন্দির (Shri Shri Durga Mandir) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশের হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) ঠিক আগেই বাংলাদেশে এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আতঙ্কিত হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা। দুর্গা মন্দির ধ্বংসের নিন্দায় ভারত বলেছে, এই ঘটনা সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অক্ষমতারই প্রতিফলন।

    হিন্দু হলে রেহাই নেই

    বাংলাদেশে এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়। আওয়ামি লিগ (Awami League) সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এখন ফের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু সেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মেয়ে সরাসরি যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতেই থাকুন না কেন, হিন্দু হলে রেহাই নেই। ঢাকার এই মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গা ও কালীপুজো হত। নিয়মিত দেবীর নিত্যসেবা হত। গত ২৪ জুন রাতে সেই মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেই চাপে পড়েই মন্দির ভেঙে ফেলা হল।

    কেন দুর্গামন্দির ধ্বংস?

    বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের খিলক্ষেতের ওই মন্দিরের কাছে মোতায়েন করা হয়। তখনই স্থানীয়রা আঁচ পায়, বড় কিছু হতে চলেছে। তারই মধ্যে ঢাকার পূর্বাচল সেনা ক্যাম্প থেকে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে বুলডোজার আনা হয়। আর বুঝতে বাকি থাকেনি হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের। তারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে তুলে মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সাফাই, রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই দুর্গামন্দির তৈরি করা হয়েছিল। খিলক্ষেত থানার ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী মন্দিরের চারপাশে টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেওয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে এই মন্দির ভেঙে দিতে হবে। সোমবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষপর্যন্ত এই মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হল।

    ভারতের তীব্র প্রতিবাদ

    মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। আগে থেকেই বাংলাদেশের মৌলবাদী-উগ্রপন্থীরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিল। সেই মন্দিরকে রক্ষা করার পরিবর্তে অন্তর্বতীকালীন সরকার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ যে এমন ঘটনা বারবার হচ্ছ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’’

    বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ

    হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। তবে নিজের মতো করে যুক্তি সাজিয়ে সেই সবের থেকে দায় ঝেরে ফেলছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সে দেশে কয়েক হাজারের খুনে দায়ী রাজাকার বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। যে কি না আবার ফাঁসির আসামী। তবে সেখানেই জোর করে ভুয়ো মামলার আছিলায় আটকে রাখা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু সন্ন্যাসীকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা। কখনও ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে, কখনও মন্দির। কখনও আবার প্রকাশ্যেই খুন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বারংবার ইউনূস সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ।

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

  • Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খ্রিষ্টান, শিখ, হিন্দু বা আহমদিয়াদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindu) প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সংখ্যালঘু সমাজের নারী বা বাচ্চা মেয়েরা পর্যন্ত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রতিনিয়ত খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হওয়ার কারণে তাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলে পাক-সরকার ও প্রশাসনের মদতেই। বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চরম অত্যাচার এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

    নানা প্রতিবেদনে উঠে আসছে নির্যাতন প্রসঙ্গ

    সংসদে বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানান, বহু প্রতিবেদনে পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Attacks on Hindu) বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, অপহরণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনা উঠে আসছে। এর ফলে ওয়াঘার ওপারের লোকেরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে সিং বলেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে এমন ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে হিন্দুদের অপহরণ, ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’’

    পাকিস্তান থেকে এসে ভারতে বসবাস

    এছাড়াও, সংসদে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের (Attacks on Hindu) বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না। সিং জানান, ‘‘পাকিস্তানের অনেক হিন্দু সদস্য ভারতীয় ভিসার জন্য ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন। এই আবেদনগুলি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া করা হয়। কিছু হিন্দু যাঁরা বৈধ ভিসায় ভারত এসেছে, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানে ফিরে যাননি।’’ তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থী যারা স্থায়ী বসবাস এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার (LTV) অধিকারী হতে পারেন, যা বিদ্যমান আইনী ব্যবস্থার অধীনে।

  • Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ঢাকার উপর চাপ বাড়াল ভারত। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের সরকারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ও অপরাধীদের মুক্তির পর তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। এই অপরাধীদের গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশের পক্ষে, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দ্বারা সমাধান করা যায়।”

    সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জরুরি

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।” তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩৭৪টি ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র ১২৫৪টি ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯৮% ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ এবং সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে, এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য না দেখিয়ে এসব বিষয় তদন্ত করবে।”

    বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে ভারত

    বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত প্রশ্নে, জয়সওয়াল বলেন, “উন্নয়ন সহযোগিতা হল ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র। সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয় সমস্যা কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করেছে। সরকার তাই প্রকল্প পোর্টফোলিওর যুক্তিসঙ্গতীকরণ এবং যৌথভাবে চূড়ান্ত করা প্রকল্পগুলি সময়মত বাস্তবায়ন করার উপর মনোযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা এগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।”

LinkedIn
Share