Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Lalla: রামলালার সঙ্গে হোলি খেলতে ভক্তের ঢল অযোধ্যায়  

    Ram Lalla: রামলালার সঙ্গে হোলি খেলতে ভক্তের ঢল অযোধ্যায়  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন হোলিতে মাতত বৃন্দাবন। এবার মাতবে অযোধ্যাও। সৌজন্যে বালক রাম (Ram Lalla)। এবারই প্রথম বালক রামের সঙ্গে হোলি খেলতে ইতিমধ্যেই ভক্তেরা জড়ো হয়েছেন অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হয়েছে রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বালক রামের মূর্তির। তার পর থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে অযোধ্যায়।

    বিশেষ পোশাকে রামলালা

    সোমবার হোলি। তাই আক্ষরিক অর্থেই তিল ধারণের জায়গা নেই অযোধ্যায়। অযোধ্যার রাম মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। এক্স হ্যান্ডেলে ভক্ত সমাগমের ছবি শেয়ার করেছে তারা। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রামলালা (Ram Lalla) পরেছেন গোলাপি রংয়ের পোশাক। ভক্তদের দেওয়া একাধিক মালায় সজ্জিত হয়েছেন তিনি। দেবদর্শনের উদ্দেশে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভক্তেরা। অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভক্তেরা সম্মিলিত কণ্ঠে গাইছেন জয় শ্রীরাম নাম। ছবি শেয়ার করে ট্রাস্ট বলেছে, “প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর রামলালা ও ভক্তদের প্রথম হোলি।”

    বিশেষ আবির

    রামলালা ও ভক্তদের জন্য বিশেষ আবির বানানো হয়েছে। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ন্যাশনাল বোটানিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই রং তৈরি করেছে। কাচনার ফুল থেকে তৈরি করা হয়েছে এই স্কিন-ফ্রেন্ডলি রং।” সূত্রের খবর, আরও একটি রং তৈরি করা হয়েছে রামলালার জন্য। এক আধিকারিক বলেন, “বিজ্ঞানীরা আরও একটি ভেষজ আবির তৈরি করেছেন। গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের পুজোর ফুল দিয়ে এই আবির তৈরি করা হয়েছে। দুটি গন্ধে মিলবে এই আবির – ল্যাভেন্ডার ও চন্দন।”

    আরও পড়ুুন: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    দীর্ঘ আন্দোলনের পর শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে জট কাটে রাম মন্দির নির্মাণের। মন্দির নির্মাণের পর হয় বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা। ২২ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠানের পরের দিন থেকে মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। সেই বিগ্রহ দেখতেই নিত্যদিন অযোধ্যায় ভিড় করছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। সোমবার দোলপূর্ণিমা। উত্তর ভারতে দিনটি হোলি উৎসব নামে পরিচিত। হোলির এই উৎসব চলে পাঁচদিন ধরে। শেষ দিনের উৎসবকে বলে পঞ্চম দোল। সেই কারণেই এবার বৃন্দাবন নয়, হোলি খেলতে ভক্তেরা ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। যেখানে বালক রাম অপেক্ষা করছেন ভক্তেরা তাঁকে রাঙিয়ে দিয়ে যাবেন বলে (Ram Lalla)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধন হয়েছে মাস খানেক আগে। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বালক রামের। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ram Temple) মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরের দিন থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে সর্ব সাধারণের জন্য। তার পর থেকেই ভক্তদের দানে উপচে পড়ছে মন্দিরের দান বাক্স।

    বালক রামের আয়

    জানা গিয়েছে, গত এক মাসে ভক্তরা দেবতাকে দিয়েছেন ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর গয়না। নগদ প্রায় ২৫ কোটি টাকাও জমা হয়েছে দান বাক্সে। শনিবার মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে এ কথা। রাম মন্দির ট্রাস্টের অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্তা বলেন, “চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ মিলিয়ে মন্দিরের দানবাক্সে জমা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে অনলাইনে মন্দিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা হয়েছে, তা জানা যায়নি।” তিনি জানান, জানুয়ারির ২৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ লাখ ভক্ত দেব দর্শন করেছেন।

    কী বলছে মন্দির কমিটি?

    তিনি বলেন, “রামের (Ram Temple) ভক্তদের মধ্যে যাঁরা সোনা-রুপো দিচ্ছেন রামলালাকে, সেগুলি কখনওই রাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা হয়নি। ভক্তরা বিগ্রহকে যেসব গয়না দিচ্ছেন, পুজোর বাসনকোসন এবং সোনা রুপোর তৈরি পুজোপকরণ দিচ্ছেন, সেগুলিই গ্রহণ করা হচ্ছে।” রাম নবমীর সময় ভক্তদের দান সামগ্রীর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা মন্দির কমিটির। এই সময় অযোধ্যায় প্রায় ৫০ লাখ ভক্তের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মন্দিরের দানের টাকা গুণতে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে চারটি অটোমেটিক হাইটেক কাউন্টিং মেশিন বসানো হয়েছে রাম জন্মভূমি এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    প্রকাশ জানান, রাম মন্দির চত্বরে গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত দানবাক্সও রাখা হচ্ছে। থাকবে কম্পিউটারাইজড কাউন্টার। মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল মিশ্র জানান, রামলালাকে যেসব মূল্যবান উপহার দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টাঁকশালকে। ইতিমধ্যেই যে সব চেক, ড্রাফ্ট ও নগদ জমা পড়েছে, তা প্রতিদিন দুটি শিফ্টে গণনা করছে স্টেট ব্যাঙ্ক (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় জমি কেনার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী ভারতীয়দের, কেন জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় জমি কেনার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী ভারতীয়দের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple)। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। দেব-দর্শনে ফি-দিন আসছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। স্বাভাবিকভাবেই খুলে গিয়েছে বিশাল বাজার। লোভনীয় এই বাজার ধরতেই মরিয়া বিশ্বের বিক্রেতারা। ক্রেতাদেরও গন্তব্য হয়ে উঠছে অযোধ্যা ধাম।

    ডেস্টিনেশন রামক্ষেত্র

    প্রবাসী ভারতীয়দের কাছেও এই মুহূর্তে প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠছে রামক্ষেত্র। ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ডে বসবাসকারী এমনই তিন প্রবাসী ৫ একর জমি কিনতে চেয়ে আবেদন করেছেন অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে। অযোধ্যায় জমি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরাও। ব্যবসায়ীদের এই আগ্রহের (Ram Temple) কারণ অযোধ্যাকে গ্লোবাল ডেস্টিনেশন বানানোর পরিকল্পনা। অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সম্পাদক সত্যেন্দ্র সিং বলেন, “তাইল্যান্ডের তিনজন আমার কাছে এসেছিলেন অন্তত পাঁচ একর জমি নেবেন বলে। হাউসিং ও ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে তাঁদের সেই আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”

    নব অযোধ্যা

    অযোধ্যায় (Ram Temple) জমির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আড়েবহরে বাড়ছে শহরও। যেহেতু মূল শহরে চাহিদা অনুযায়ী জমি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই যাঁরা জমি খুঁজচ্ছেন, তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নব অযোধ্যায়। এখানে জমি রয়েছে ১৪০৭ একর। আবাস বিকাশ পরিষদ উন্নয়ন করছে এই জমির। আবাস বিকাশ পরিষদের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পিকে সিং বলেন, “জমি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম ও গাইডলাইন রয়েছে, সেগুলি যাতে ঠিকঠাক মেনে চলা হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আবেদনপত্রগুলি বিবেচনার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে।”

    আরও পড়ুুন: বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রুখতে লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের হাতিয়ার এআই প্রযুক্তি

    আবাস বিকাশ পরিষদের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “প্রাইভেট সেক্টর ও রিয়েল এস্টেট সেক্টর সক্রিয় রয়েছে। সরকারি প্রকল্পে যাঁরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই বিদেশি। বিদেশিদের জমি পেতে গেলে দূতাবাসের মাধ্যমে উপযুক্ত ক্লিয়ারেন্স জোগাড় করতে হবে (Ram Temple:)।” জমি দেওয়ার ব্যাপারেও যথেষ্ঠ সতর্ক সরকারি আধিকারিকরা। যাঁরা আনঅথরাইজড কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জমি দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক অথরিটি। অযোধ্যা শহরটি গ্লোবাল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক হাবে পরিণত হয়েছে। তাই এই শহরে যে কেবল তীর্থযাত্রীদের ভিড় বাড়ছে তা নয়, ভিড় বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    Ram Mandir: ১১ দিনে অযোধ্যা ধামে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের, দক্ষিণা প্রাপ্তি ১১ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, বিগত ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

    প্রত্যহ সন্ধ্যায় গোনা হয় প্রণামী

    তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গড়ে দু লাখেরও বেশি রামভক্ত (Ram Mandir) এসেছেন মন্দির দর্শনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে চারটি বড় আকারের প্রণামী বাক্স রাখা হয়েছে। এগুলি রয়েছে দর্শন পথের সামনেই। যেখানে ভক্তরা তাঁদের দান করছেন। এর পাশাপাশি দশটি কম্পিউটারাইজ কাউন্টারও খোলা হয়েছে প্রণামীর জন্য। জানা গিয়েছে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগও করেছে এই ডোনেশন কাউন্টারগুলির জন্য। প্রণামী থেকে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাস্ট অফিসে জমা পড়ে প্রত্যহ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক প্রণামী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ গোনা হয় রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট-এর (Ram Mandir) অফিসে। এ কাজে লেগে রয়েছেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই হলেন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ৩ জন হলেন ট্রাস্ট এর সদস্য। প্রণামী গোনার কাজ সম্পন্ন হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতেই।

    ১১ দিনে পর্যটকরা ব্যয় করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি

    উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় থেকে ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে যেমন দেশীয় পর্যটক রয়েছে, তেমনি বিদেশের পর্যটকরাও রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির যথেষ্ট সফল, তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা গতকাল উঠে এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণেও। তিনি বলেন যে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: অযোধ্যায় ১০০ ঘর বিশিষ্ট রিসর্ট গড়তে চুক্তি সই মার্কিন সংস্থার

    Ayodhya: অযোধ্যায় ১০০ ঘর বিশিষ্ট রিসর্ট গড়তে চুক্তি সই মার্কিন সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় যেখানে ছিল মসজিদ, তাঁবুতে ছিলেন রামলালা, এখন সেখানেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে আস্ত মন্দির (Ayodhya)। অযোধ্যার এই রাম মন্দির উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে ২২ জানুয়ারি। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বালক রামের মূর্তির। এহেন অযোধ্যায় যে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, তা ভালোই বুঝেছেন ব্যবসায়ীরা।

    ১০০ ঘর বিশিষ্ট রিসর্ট

    তাই অযোধ্যায় ১০০ ঘর বিশিষ্ট রিসর্ট তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন সংস্থা। উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতরের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে তারা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ জানুয়ারি ট্যুরিজম ডিরেক্টর প্রখর মিশ্রর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। মার্কিন সংস্থা অঞ্জলি ইনভেস্টমেন্ট এলএসসি পর্যটন ভবনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গড়া হবে রিসর্ট। অযোধ্যায় (Ayodhya) গড়া হবে ১০০ ঘর বিশিষ্ট রিসর্ট। মার্কিন এই সংস্থার মাথায় রয়েছেন রমেশ নাঙ্গুরনুরি। এই রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ী পর্যটকদের সুবিধার্থে গড়ে তুলবেন এই রিসর্ট।

    মউ স্বাক্ষর

    মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পর্যটক ও অতিথিদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হবে রিসর্টটি। এই এলাকায় বাড়তে চলা পর্যটনের কথা মাথায় রেখেই এই রিসর্ট তৈরি করা হচ্ছে। রমেশ নাঙ্গুরনুরি অযোধ্যায় পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য উপযুক্ত জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হওয়ায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই। উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতরের বিনিয়োগ-বান্ধব নীতিরও প্রশংসা করেছেন বিনিয়োগকারী।

    আরও পড়ুুন: মাঝ সমুদ্রে থাকা জাহাজে মিসাইল হানা, আগুন নেভাল ভারতীয় রণতরী

    ২২ জানুয়ার রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পরের দিন থেকেই দেব-দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের দ্বার। তার পর থেকে আক্ষরিক অর্থেই ঠাঁই নাই রব মন্দির চত্বরে। প্রথম দু’দিন পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাও ঘটতে চলেছিল। যদিও প্রশাসনিক তৎপরতায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তার পরের দিন থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দেব-দর্শনের সময়। অযোধ্যাকে নিয়ে করা দেশ-বিদেশের একাধিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নিত্যদিন অযোধ্যা বাড়বে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। ফি বছর কয়েক কোটি মানুষ আসবে মন্দির নগরী অযোধ্যা দর্শনে। স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন হবে হোটেল-রিসর্টের। তাই এই ক্ষেত্রেই বাড়বে বিনিয়োগের পরিমাণ। যাতে আদতে লাভবান হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারই। রাজকোষাগার ফুলে ফেঁপে ওঠার পাশাপাশি, পর্যটন মানচিত্রের প্রথম সারিতে নাম করে নেমে বিজেপি শাসিত এই (Ayodhya) রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরে অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। তথ্য বলছে, গতকালই অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের পা পড়েছিল পবিত্র অযোধ্যা ধামে। বালক রামের মূর্তি দর্শনে ইতিমধ্যে সময়সীমা বাড়িয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তের রাম মন্দির দর্শন করতে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ংসেবকরাও। আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে ইতিমধ্যে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছেন এব্যাপারে।

    ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব হাজির ছিলেন অযোধ্যায়

    যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ মতো, ২৬ জানুয়ারিও উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ, আইনশৃঙ্খলার ডিজি প্রশান্ত কুমার অযোধ্যা পৌঁছে যান এবং সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। দিনভর ভক্তদের ভিড় সামলে দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকর্তা লখনউতে ফেরেন সন্ধ্যাবেলায় এবং দিনের শেষে রিপোর্ট দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আমলার সঙ্গে অযোধ্যা ধামে (Ram Mandir) সর্বক্ষণই ছিলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপার।

    ভোরের মঙ্গল-আরতি ও রাতে শয়ন-আরতির সময়

    ২৬ জানুয়ারি সকাল নাগাদ মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসনও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গল আরতির জন্য বালক রামের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। এরপরে শ্রীঙ্গার আরতির জন্য পরবর্তীকালে দরজা খোলা হয় সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। ভক্তদের দর্শন শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে। দুপুর ১২টা নাগাদ ভোগ আরতি হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সন্ধ্যা আরতি হয়। পরবর্তীকালে রাত্রিতে আবার নটার সময় ভোগ আরতি হয়। রাত্রি দশটা নাগাদ শয়ন আরতি হয়। সকালের মঙ্গল আরতির সময় অবশ্য ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) হয়েছে ২২ জানুয়ারি সোমবার। ঠিক তার একদিন পরেই অনলাইনে প্রণামী পড়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এমনই তথ্য পাওয়া গেল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, প্রণামীর জন্য দশটি কাউন্টার খোলা হয়েছিল বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে। অনেক ভক্ত সারা দেশ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রণামী পাঠিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন মঙ্গলবার অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক একদিন পরেই। একই সংখ্যক ভক্তদের দেখা গিয়েছে বুধবারও। অনিল মিশ্রের কথায়, ‘‘তিন কোটি সতেরো লাখ টাকা প্রণামী অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রণামী এসেছে শুধু মঙ্গলবারই।

    প্রতি সোমবার গোনা হবে মন্দিরে প্রাপ্ত প্রণামী বাবদ টাকা

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir)  যে সমস্ত ভক্তরা গিয়ে প্রণামী দিয়েছেন সেই তার মূল্য নির্ধারণ হবে আগামী সোমবার। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতি সোমবারই প্রণামী বাবদ যত টাকা পড়বে তা গোনা হবে। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে রাম মন্দির ট্রাস্টের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্বয়ংসেবকরা মন্দির চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ভূমিকা পালন করবেন। রাম ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় মন্দির দর্শনে তাও দেখবেন স্বয়ংসেবকরা।

    বালক রামের দর্শনের নতুন সময়

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বালক রামের দর্শন করা যাবে। অর্থাৎ কেবল ভোগদান ও সন্ধ্যা আরতির সময় মন্দিরের মূল দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ২ দিন সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত বিগ্রহ দর্শন করতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু, ভিড়ের চাপ সামাল দিতে এবার এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) ভারতের অর্থনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সোমবার, এই অনুষ্ঠানটি বহু ইতিহাস সৃষ্টি করল। এই  ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। অনেকে একে “সনাতন অর্থনীতি”র ধারণা বলে অভিহিত করেছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। দিল্লিতে নানা পণ্য বিক্রি করে আয়ের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    কীভাবে রেকর্ড আয়

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) অনুসারে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইতিমধ্যে ভক্তরা সারা দেশে নানা পণ্য বিক্রি করে ১.২৫ লক্ষ কোটি রুপি আয় করেছে৷  সিএআইটি এর জাতীয় সভাপতি বিসি ভরতিয়া এবং প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন,”ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণে ব্যবসার মাধ্যমে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজারে এসেছে। লক্ষণীয় বিষয় হল ছোট ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা যে সমস্ত বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছিল, তা অর্থনৈতিক বাজারে বিপুল সাফল্য এনেছে।”

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    হর ঘর অযোধ্যা অভিযানে  সাড়া

    খান্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির (Ram Mandir Inauguration) খোলার ফলে দেশে ব্যবসার জন্য অনেক নতুন সুযোগ এসেছে। বৃহৎ পরিসরে এর ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে “হর শহর অযোধ্যা, হর ঘর অযোধ্যা” প্রচারের অংশ হিসাবে, সারা দেশে ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট এবং বড় ব্যবসায়িক সংগঠন ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসূচি পালন করেছে। এর ফলে  রাম মন্দিরের মডেল, মালা, ঝুলন্ত সজ্জা-সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হয়েছে সারা দেশে। হিন্দু পুরোহিতরাও অসংখ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণা’ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করেন। রেকর্ড সংখ্যক মিষ্টি ও শুকনো ফল বিক্রি হয় প্রসাদ হিসেবে।  লাখ লাখ টাকার আতশবাজি, মাটির প্রদীপ, পিতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও সারাদেশে বিক্রি হয়। ইতিমধ্যেই উপহার হিসেবে রাম মন্দিরের মডেল বিক্রি হতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। পর্যটন-ব্যবসা তো রয়েছেই। তাই শীঘ্রই রাম মন্দির বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালা নয়, এখন থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) অধিষ্টিত প্রভু রামের শিশুসুলভ অবতারের নাম রাখা হল ‘বালক রাম’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় মানবশিশুর মতোই করতে হয় নামকরণ। 

    বালক রাম

    অযোধ্যাধিপতিরও নামকরণ হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত। তিনি জানান, বিগ্রহের নাম রাখা হয়েছে ‘বালক রাম’। রামলালার বয়স যেহেতু পাঁচ, তাই সেটি দেখতে পাঁচ বছরের বালকের মতো। সেই কারণেই এমন নাম। প্রস্তর এই মূর্তির আগেও পুজো হত রামলালার। সেই মূর্তিটি রাখা হয়েছে নবপ্রতিষ্ঠিত মূর্তির সামনে। মন্দির পরিচালন কমিটিই জানিয়েছে, প্রতিদিন ছ’বার করে আরতি হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন যে আচারে পুজো হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার থেকে তা হচ্ছে না।

    আস্থম সেবা

    রামলালার পুরোহিতদের প্রশিক্ষক আচার্য মিথিলেশনন্দিনী শারণ বলেন, “এখন থেকে দিনের আট ঘণ্টা ধরে চলবে আস্থম সেবা। আরতি (Ram Mandir) হবে ছ’বার। রামলালা বিরাজমানের ক্ষেত্রে দু’বার আরতি হত। তবে এবার থেকে হবে ছ’বার। এই আরতিগুলির নাম হল মঙ্গল, শৃঙ্গার, ভোগ, উথাপন, সন্ধ্যা এবং শয়ন। রামলালাকে জাগাতে হবে মঙ্গল আরতি। পুজোর পর হবে শৃঙ্গার আরতি। পুরি-সবজি-ক্ষীর নিবেদনের পর হবে ভোগ আরতি। রামলালার চোখ থেকে বাজে জিনিস দূর করতে হবে উথাপন আরতি। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যায়। রাতের খাওয়া শেষে হবে শয়ন আরতি। পুরি-সবজির পাশাপাশি রামলালাকে নিবেদন করা হবে রাবড়ি, ক্ষীর, দুধ, ফল এবং পেড়া। দুপুরে রামলালার মেনু এই।

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    রামলালা রাজপুত্র। তাই পোশাক পরিকল্পনাও করা হয়েছে তার মতো করে। সোমবার তিনি পরবেন সাদা রঙের পোশাক। মঙ্গলবার লাল। বুধবার তাঁর শ্রীঅঙ্গে উঠবে সবুজ পোশাক। বৃহস্পতিবার হলুদ পোশাক। ঘিয়ে রংয়ের পোশাক পরবেন শুক্রবার। শনিবার তিনি সাজবেন নীল পোশাকে। রবিবার ভগবান সজ্জিত হবেন গোলাপি রংয়ের পোশাকে। বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনে রামলালা সাজবেন হলুদ পোশাকে। দীর্ঘ গবেষণা ও শাস্ত্র অধ্যয়ন করে গয়না তৈরি করা হয়েছে রামলালার। এজন্য শিল্পীকে পড়তে হয়েছে অধ্যাত্ম রামায়ন, বাল্মীকি রামায়ন, রামচরিত মানস এবং অলাবন্দার স্ত্রোস্ত্রম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Ram Mandir Inauguration: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    Ram Mandir Inauguration: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম, রাম জয় রাজা রাম, রাম রাম জয় সীতা রাম…! রাম-নামে মাতল অযোধ্যা। রাম-ভজনে ভাসল সরযূ তীর। সোনু নিগম, শঙ্কর মহাদেবণ, অনুরাধা পারোয়ালের কণ্ঠে  রামসীতার ভজনে মোহিত গোটা অযোধ্যা। অযোধ্যায় গত কয়েকদিন ধরেই সাজোসাজো রব। অবশেষে এসেই গেল সেই বহু প্রতিক্ষীত দিন। ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রাম মন্দিরে। অযোধ্যা জুড়ে ভারতীয় সংস্কৃতির উদযাপন চোখে পড়ল।

    সোনুর সুরে চোখে জল

    রাম মন্দির অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পেয়েই আপ্লুত হয়েছিলেন সোনু নিগম। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে গায়ক লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক নিমন্ত্রণ’। এদিন দেখা গেল সাদা পোশাকে মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করছেন সোনু। কপালে কমলা রঙের টিকা। তাঁর ‘রাম সিয়া রাম, সিয়া রাম জয় জয় রাম’ গানটি শুনে চোখে জল এল অনেকেরই। 

    সুরে সুরে রাম-নাম

    ইতিমধ্যেই মূল যজমান হিসেবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিভি এবং মোবাইলের পর্দায় সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় গর্ভগৃহের মধ্যে মোদি ছাড়াও ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

    অযোধ্যায় এদিন ছিল তারকার সমাহার। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি।  ছিলেন  রণবীর কপুর, আলিয়া ভাট, ভিকি কৌশল, ক্য়াটরিনা কাইফ, কঙ্গনা রানাওয়াত, অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন। অযোধ্যায় ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক ক্রীড়াতারকাও। ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর অনিল কুম্বলে, সাইনা নেওয়াল, মিতালি রাজ, বাইচুং ভুটিয়ারা। এদিন উদ্বোধনের পুণ্য লগ্নে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়েছে আকাশ থেকে। হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়িয়ে দেওয়া হয় অযোধ্যার উপর। হাজার হাজার ভক্তের ভিড়ে মিশে যান ভগবান রাম। রাম নামে মুখরিত হয়ে ওঠে অযোধ্যা নগরী। আজ, গোটা দেশের একটাই সুর “ভজে হাম, ভজে হাম সদা রামচন্দ্রম…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share