Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথ দেখার পাশাপাশি হবে কলা বেচাও! ব্যতিক্রম নয় অযোধ্যাও। ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এই শহরে হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত হাজার জনকে। মন্দির উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশে এক লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল।

    অর্থনীতিতে প্রভাব

    সোমবার তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যে কেবল ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তা নয়, অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। মানুষের ভগবৎ বিশ্বাসের কারণে দিন দিন কত নতুন নতুন ব্যবসা হচ্ছে দেশে। যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে।” তিনি জানান, দেশের ৩০টি শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এ খবর পাওয়া গিয়েছে। খাণ্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে সমাজের সর্বস্তরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস মানুষ কিনবেন। আমজনতার এই চাহিদা পূরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

    মন্দিরের মডেলের চাহিদা তুঙ্গে

    সিএআইটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাম মন্দিরের মডেলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশে মন্দিরের মডেল বিক্রি হবে পাঁচ কোটি। চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত এক করে দেশের বহু শহরে কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা।” রাজধানীর দু’শোর বেশি বড় এবং ছোট বাজারে শ্রী রামের (Ram Mandir) ছবি আঁকা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বিক্রি আরও বাড়বে। তিনি জানান, বাজারে শ্রী রাম পতাকা, ব্যানার, টুপি, টি-শার্ট এবং রাম মন্দির আঁকা কুর্তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। অংশ নেবেন বৃন্দাবন ও জয়পুরের শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন এবং গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। যদিও মূল ওই অনুষ্ঠানের আচার শুরু হয়ে গিয়েছে আজ, মঙ্গলবার থেকেই। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই দেব দর্শন করতে পারবেন আমজনতা। মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা, ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার দেবভক্ত আসবেন রামরাজ্য অযোধ্যায়, চাক্ষুষ করবেন শিশু রামের অনিন্দ্যসুন্দর বিগ্রহ (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি কিনলেন অমিতাভ বচ্চন

    Ram Mandir: অযোধ্যায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি কিনলেন অমিতাভ বচ্চন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করে জমি কিনলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। প্রসঙ্গত, রামলালার (Ram Mandir) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে আগামী ২২ জানুয়ারি। তারপরেই সারা পৃথিবীর হিন্দুদের কাছে অযোধ্যা একটি বড় তীর্থক্ষেত্র হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় প্রশাসন। এখন থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ ভক্তের পা পড়তে চলেছে অযোধ্যায়। রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) ঘিরে বদলে যেতে শুরু করেছে অযোধ্যার অর্থনৈতিক মানচিত্রও। আদতে উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা হলেন অমিতাভ বচ্চন। এখানকার প্রয়াগরাজে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। অযোধ্যা থেকে ৪ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত হল প্রয়াগরাজ। অমিতাভ বচ্চনের কেনা জায়গা থেকে রাম মন্দিরের দূরত্ব ১০ মিনিট, মহর্ষি বাল্মিকী বিমানবন্দরের দূরত্ব ২০ মিনিট এবং সরযূ নদীও ২ মিনিট দূরে অবস্থিত।

    কোন সংস্থার কাছ থেকে জমি কিনলেন বিগ বি? 

    অযোধ্যার (Ram Mandir) জমির দামও আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের জমির দাম ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ১,৫০০ বর্গফুটের জমির দাম ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং ১,৭৫০ বর্গফুটের জমির দাম আড়াই কোটি টাকা। এখানেই সাত তারা এনক্লেভ কিনেছেন বলিউডের বিগ বি। মুম্বইয়ের এক নির্মাতা সংস্থার কাছ থেকে তিনি এই জমি কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই নির্মাতা সংস্থার নাম ‘দ্য হাউস অফ অভিনন্দন লোধা’।  এখানে মোট ৫১ একর জমির উপরে আবাসন তৈরি হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা। অযোধ্যায় এই আবাসন নগরীর নাম হতে চলেছে ‘সরযূ’। সেখানকারই প্রথম নাগরিক হতে চলেছেন বলিউডের বিগ বি।

    কী বলছেন অমিতাভ বচ্চন?

     জানা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনের কেনা জমির আয়তন ১০ হাজার বর্গফুট। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিনই, এই প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার কথা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, “আমি অযোধ্যার সরযূতে নতুন যাত্রা শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এই শহর আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে রেখেছে। অযোধ্যা, যেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা সহাবস্থান করে। বৈশ্বিক আধ্যাত্বিকতার কেন্দ্রে আমি বাড়ি বানাতে চলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের রাজত্বে সমাধান হয়েছে বিতর্কের। গড়ে উঠছে মন্দির। আর যাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দির, তিনি প্রতিষ্ঠিত হবেন ওই মন্দিরে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে অবশ্য ফারাক রয়েছে। একজন ভক্ত, অন্যজন ভগবান। একজন পার্থিব, অন্যজন অপার্থিব। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে রং-বেরঙের মাটির প্রদীপ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রামলালার ছবি (Ram Mandir)। আলোকমালায় দেখা যাবে রাম জন্মভূমি মন্দিরের ছবিও।

    রাম মন্দির উদ্বোধন

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালার বিগ্রহ। মন্দির প্রতিষ্ঠার এই পুণ্যলগ্নের সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠান। ১৬ তারিখ থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভক্তরা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মাটির প্রদীপ (স্থানীয় ভাষায় দিয়া) হাতে (Ram Mandir)। তীর-ধনুক হাতে রাম এবং হিন্দিতে জয় শ্রীরাম লেখা জায়গায় প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। প্রদীপ দিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও।

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির…

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জয় শ্রীরামের ছবি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ প্রদীপ। এঁদের আঁকা ছবির রেখা বরাবরই জ্বালানো হয়েছিল প্রদীপ। ‘রাম পরাক্রমী রথযাত্রা’ শুরু হয়েছিল বিহার থেকে। রবিবার সেটি এসে পৌঁছানোর কথা অযোধ্যায়। এই সময় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট থেকে। এদিনই ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার পর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে রাম মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। দশকের পর দশক ধরে যে অযোধ্যা পড়েছিল নিতান্তই অবহেলিত, সেই অযোধ্যারই ভোল বদলাচ্ছে রাতারাতি। যার মূলে রয়েছেন সেই ভগবান রাম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঠিক আগেই রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বসানো হল সোনার দরজা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দরজাটি ১২ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চওড়া। আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও ১৩টি দরজা বসবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে মোট ৪৬টি দরজা বসবে। যার মধ্যে ৪২টি দরজায় আনুমানিক ১০০ কেজি সোনার আবরণ দেওয়া থাকবে।

    ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুল ছুটি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন যে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হবে। এদিন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে জাতীয় উৎসব বলেও আখ্যা দেন যোগী আদিত্যনাথ। শুধু তাই নয়, অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন উত্তরপ্রদেশের সরকারি দফতরগুলিকে নতুনভাবে সাজানোর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন বছর পড়ার পরে গত মঙ্গলবাড়ই যোগী আদিত্যনাথ প্রথম অযোধ্যায় পা রাখেন। অযোধ্যাকে কুম্ভ মেলার মতোই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলেন তিনি। রাম নগরীকে (Ram Mandir) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং একটি সুন্দর শহর গড়ে তোলার কথাও বলতে শোনা যায় যোগী আদিত্যনাথকে।

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার জন

    মন্দির প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যে হাতি, সিংহ, ভগবান হনুমান এবং গরুড়ের মূর্তিও বসানো হয়েছে। এগুলিকে দেখা যাবে ঠিক রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের মুখেই। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ মুহূর্ত ঠিক হয়েছে। অযোধ্যাতে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন। যার মধ্যে ৩ হাজার জন ভিভিআইপি ব্যক্তিরাও রয়েছেন। অযোধ্যার হোটেল, গেস্ট হাউসগুলি ইতিমধ্যে সব বুকিংও হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    রামনগরী অযোধ্যা-পাঁচ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বারাণসীর গঙ্গা-আরতির প্রসিদ্ধি দেশজুড়ে রয়েছে। দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা-আরতির সময় তিল ধারণের জায়গাটুকুও থাকে না। কপালে তিলক এঁকে ভক্তরা সমবেত হন গঙ্গার ঘাটে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতেই অযোধ্যার সরযূ নদীর আরতিও বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ অযোধ্যায় (Ram Mandir) পৌঁছাতেই তা বোঝা গেল। সরযূ অবশ্য অযোধ্যাবাসীর কাছে শুধু নদী নয়, সরযূকে মাতা সম্বোধন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, অযোধ্যায় কোনও নদী না থাকার কারণে বশিষ্ঠর প্রার্থনায় ব্রহ্মা সরযূ নদীকে সৃষ্টি করেন। সরযূর ধারে যখন পৌঁছালাম সূর্য তখন সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে। ভক্ত ও সাধুসন্তদের ভিড়ে সরযূর ধারে তখন পা রাখারও জায়গা নেই। প্রশাসনের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান ঘাট। তবে সেখানে শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। সরযূ নদীর ওই ঘাটের ওপরেই সম্পন্ন হয় আরতি। পঞ্চপ্রদীপের আলোর প্রতিফলন সরযূর (Ram Mandir) জলে। সঙ্গে বৈদিক শ্লোক উচ্চারণ। সন্ধ্যার আলো-আঁধারি পরিবেশে মনে হচ্ছিল, এ যেন সত্যিই দেবভূমি। রাম মন্দিরের পাশাপাশি সরযূ নদীর আরতিও যে ভক্তদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

    তরুণ-তরুণীদের ঘোরার জায়গা সরযূর পাড়

    স্মার্ট ফোন হাতে তরুণ-তরুণীদের সন্ধ্যার আড্ডারস্থলও হয়ে উঠেছে সরযূর ধার। যুব প্রজন্ম এখন কপালে দীর্ঘ হলুদ টিকা লাগিয়ে সামিল হচ্ছে সরযূর বন্দনায়। ভারতের প্রাচীন শাশ্বত সংস্কৃতিতেই যে আস্থা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের তা বোঝা যায় সরযূর ধারে। হোটেল ব্যবসায়ী ধর্মেন্দ্র মিশ্র তাই কথায় কথায় জানালেন, ‘‘গোয়া নয়, মানুষজন এখন অযোধ্যাতেই আসছেন ঘুরতে।’’ সরযূ নদীর আরতির পরে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করলেন আরতির মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ত শশীকান্ত দাস। স্থানীয় একটি আশ্রমের মহন্তের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ওপরে। তিনিই জানালেন, অযোধ্যা বদলে যাচ্ছে। আমাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘‘আগে আপনারা অযোধ্যায় এসেছেন কখনও?’’ আমরা তিনজন ছিলাম। প্রত্যেকেই সমবেতভাবে উত্তর দিলাম ‘না’।

    কী বলছেন সরযূ নদীর আরতি কমিটির প্রধান?

    শশীকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে ঝামেলা অশান্তির ভয়ে কেউই সেভাবে অযোধ্যা আসতে চাইতেন না। অপপ্রচারও চলত, অযোধ্যা (Ram Mandir) এলেই অশান্তি হতে পারে। রামনগরী তাই হয়ে উঠেছিল উদাসী। কিন্তু এখন আপনাদের মতো লাখো মানুষ আসছেন অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের পরে এই সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে বদলে গিয়েছে অযোধ্যার চিত্র। ’’শশীকান্ত দাসের কথায় ঝরে পড়ল নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসাও। তাঁর মতে, ‘‘অযোধ্যাকে বদলে দেওয়ার কারিগর নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছিলেন বলেই রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হল অযোধ্যায়। বদলে গেল অযোধ্যার চিত্র। তার সঙ্গে নগরীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।’’ সরযূর ঠিক পাশেই বিশালাকার পার্ক। সেখানে প্রত্যহ সন্ধ্যায় আরতির পরে লেজার শো-এর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে সম্পূর্ণ রামায়ণ। রাম মন্দির থেকে সরযূ যাওয়ার সড়ক রামপথ নামে পরিচিত। মন্দির-সড়ক-নদী সবই যেন রামচন্দ্রময় হয়ে উঠেছে অযোধ্যায়। শুধু তীর্থকেন্দ্র নয়, পর্যটনস্থল হিসেবেও ঘুরে আসা যেতেই পারে অযোধ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিল ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ধামসা এবং ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড। যাত্রার সূচনা করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই সামগ্রী নিবেদন করা হয়েছে। এই বিরাট ধামসা এবং ধ্বজ দণ্ড স্থাপনা করা হবে রাম মন্দিরে।

    উল্লেখ্য, আগেও নানান সামগ্রী মন্দিরের উদ্দেশে পাঠানোর কথা জানা গিয়েছে। যেমন বিরাট মাপের ঘণ্টা, বিরাট মাপের তালা-চাবি, বিরাট মাপের ধুপকাঠি, এবং বাংলা থেকে বিরাট ফাইবারের রামের মূর্তি পাঠানোর কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এছাড়াও সীতার বাপের বাড়ি নেপাল থেকে আসবে শ্রীরাম লালার অভিষেকের গয়না, অলঙ্কার, সাজ এবং ভোগের সামগ্রী। রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই মন্দিরের উদ্বোধন।

    ৭০০ কেজি ওজনের রথ

    সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে এই বিরাট পতাকা এবং দণ্ড বহনকারী রথটির ওজন হবে ৭০০ কেজি। এগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই বিরাট নির্মাণ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া ডাবগার সমাজ’। আগামী ২২ জানুয়ায়রি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং অভিষেক সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তাই প্রস্তুতি ব্যাপক তুঙ্গে। বারাণসীর পুরোহিত, লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার অনুষ্ঠান করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যায় অমৃত মহোৎসব পালন করা হবে। একটি ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    হনুমানের দেশ থেকে আসবে মূর্তি

    কর্নাটকের ভাস্কর শিল্পী যোগীরাজ অরুণের খোদাই করা মূর্তিটি নির্বাচিত হয়েছে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তিটির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হনুমানের দেশ থেকে একজন প্রখ্যাত প্রতিমা নির্মাতার মূর্তি রাম মন্দিরে স্থাপনের স্বরূপটি সকলে দেখতে পাবেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির ঘিরে বদলে যাচ্ছে অযোধ্যা, ১০ বছরে বিনিয়োগ হবে ৮৫ হাজার কোটি!

    Ram Mandir: রাম মন্দির ঘিরে বদলে যাচ্ছে অযোধ্যা, ১০ বছরে বিনিয়োগ হবে ৮৫ হাজার কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করেই বদলে যাচ্ছে সামগ্রিক অযোধ্যার চিত্র। আগেই জানা গিয়েছে, ১৭৮টি প্রকল্প বর্তমানে চলছে অযোধ্যায়। আন্তর্জাতিক মানের শহর গড়ে তোলা হচ্ছে রামনগরীকে। গত ৩০ ডিসেম্বর মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১০ বছরে অযোধ্যায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০৩১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে 

    সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ২০৩১ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরেই প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ মানুষের পা পড়বে অযোধ্যার পূণ্যভূমিতে। অযোধ্যা শহর লাগোয়া নতুন টাউনশিপ গড়ে উঠবে ১,২০০ একর জায়গাজুড়ে। এই নতুন উপনগরীকে নতুনভাবে এবং ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। এর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ২,২০০ কোটি টাকা। বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হবে অযোধ্যাকে। আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত ভূমিতে পরিণত হবে রামনগরী। স্থপতিশিল্পী এবং শহর পরিকল্পনাকারী দিক্সু কুকরেজা যিনি এই পুরো পরিকল্পনাটির নীল নকশা তৈরি করেছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, সমস্ত রকমের অত্যাধুনিক মানের সুবিধা এবং পরিষেবা মিলবে অযোধ্যায়। পুণ্যার্থীদের ঢল এখানে এতটাই নামতে চলেছে যে অনুমান করা হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রীদের অনুপাত দাঁড়াবে ১:১০।

    ৮৭৫ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে গড়ে উঠবে পর্যটন ব্যবস্থা

    তীর্থযাত্রীদের পা পড়তেই ফুলে ফেঁপে উঠবে অযোধ্যার বাণিজ্য। সব থেকে ভালো চলবে হোটেল ব্যবসা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তীর্থযাত্রীদের (Ram Mandir) থাকার জন্য সেখানে গড়ে উঠবে সরকারি গেস্ট হাউস, হোটেল সমেত আরও অন্যান্য বাসস্থান। নকশা অনুযায়ী, ৩১.৫ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত মূল শহরের এলাকা ও ১৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত বর্তমানে পরিকল্পিত শহর এলাকা সহ মোট ৮৭৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় বিভিন্ন পরিকাঠামো ও পর্যটন কেন্দ্রিক কাজ হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) বিগ্রহের। তার আগে মঙ্গলবার এনিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিটি রাজ্যের দলের দুই কর্মকর্তা।

    বিজেপির বৈঠক

    এ বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাম মন্দির উদ্বোধনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনী প্রচারে কীভাবে একে হাতিয়ার করা হবে, তা নিয়েও হবে আলোচনা। রাম মন্দির আন্দোলন ও মন্দির নির্মাণে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করা হবে। নতুন ভোটারদের সঙ্গে পরিচয় করতে বুথস্তরের কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে পদ্ম-পার্টি। মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে কীভাবে বিরোধী দলগুলি পদে পদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাও তুলে ধরা হবে ভোটারদের কাছে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আরএসএস এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদ যেসব কর্মসূচি হাতে নেবে, সেগুলিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।

    মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, মন্দিরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। এর মধ্যে ৩ হাজার জনই ভিভিআইপি। জানা গিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। প্রতি ঘরে রামের মহিমা পৌঁছে দেওয়া হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। বিজেপি নেতারা রামের ছবি নিয়েও ঘুরবেন দুয়ারে দুয়ারে।

    আরও পড়ুুন: কনভয়ে বিস্ফোরণ, নিহত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার!

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাম মন্দির দেশের পরিচয় এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” অযোধ্যায় যেদিন রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন বাংলার ঘরে ঘরেও জ্বলবে প্রদীপ। গ্রামে-গঞ্জে যত মন্দির রয়েছে, সেখানে ছোট করে হলেও, উৎসব করতে বলা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। সর্বত্র বড় পর্দায় অযোধ্যার (Ram Mandir) অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যগুলির নেতাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: অযোধ্যায় গটগটিয়ে গৃহস্থের ঘরে প্রধানমন্ত্রী, কী জিজ্ঞাসা করলেন গৃহকর্ত্রীকে?  

    PM Modi: অযোধ্যায় গটগটিয়ে গৃহস্থের ঘরে প্রধানমন্ত্রী, কী জিজ্ঞাসা করলেন গৃহকর্ত্রীকে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গটগটিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ছেন এক ব্যক্তি। পক্ককেশ, চশমা পরিহিত যে মানুষটি ঘরে ঢুকলেন, গৃহকর্ত্রী তাঁকে অনেকবার দেখেছেন টিভিতে। বাড়িতে ঢুকে পড়ায় খানিক হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘরে ঢুকেই অতিথি সটান গিয়ে বসে পড়লেন চেয়ারে। গৃহকর্ত্রীর দেওয়া চায়ে চুমুক দিয়ে খুঁতও ধরলেন আগন্তুক। এই আগন্তুক দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আর যাঁর বাড়িতে শনিবার তিনি গিয়েছিলেন, তিনি উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের গ্রাহক মীরা।

    অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী

    শনিবার গুচ্ছ কর্মসূচিতে যোগ দিতে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মাঝে এক সময় মীরার বাড়িতে ঢুকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বাড়িতে ঢুকে একটি চেয়ারের ওপর বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছেই বসে রয়েছেন। একটি শিশুর গাল টিপে আদরও করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তার পরেই কথা বলতে শুরু করেন মীরার সঙ্গে। বলেন, “আমরা উজ্জ্বলা প্রকল্পে দেশের ১০ কোটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। আপনি তাঁদের মধ্যে একজন। তাই এই বাড়িতে এলাম।” রান্নাঘরের দিকে উঁকি মেরে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আজ কী রান্না করছেন?” গৃহীনির সলাজ উত্তর, “ভাত, ডাল ও সবজি রান্না হয়েছে। আপনার জন্য চা-ও বানিয়েছি।”

    গৃহস্থকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চা বানিয়েছেন, নিয়ে আসুন।” চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “খুব মিষ্টি চা খান তো আপনারা!” লজ্জায় মুখ নামিয়ে নেন গৃহিনী। উত্তর দেন, “কোনওভাবে বেশি মিষ্টি পড়ে গিয়েছে।” এরপর কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। মীরার পরিবার কী কী সুবিধা পেয়েছেন, আগে কোথায় থাকতেন জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। মীরা জানান, আগে তাঁরা বস্তিতে থাকতেন।

    আরও পড়ুুন: নতুন সংসদ ভবন থেকে চন্দ্রযান, ২০২৩ সালে দেশের ঝুলিতে আর কোন কোন সাফল্য?

    আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন। তিন বছর ধরে বিদ্যুৎও পাচ্ছেন। মাসে ১০০-২০০টাকা বিল আসে। শুক্রবারই তাঁদের বাড়িতে উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস সংযোগও পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, মীরা হলেন ১০ কোটিতম গ্রাহক, যিনি উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন। এর পর অযোধ্যায় বেশ কিছু শিশুর সঙ্গেও সময় কাটান প্রাধানমন্ত্রী (PM Modi)। ছবি তোলেন তাঁদের সঙ্গে। অটোগ্রাফ দেওয়ার পাশাপাশি তুললেন সেলফিও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকও বাকি নেই রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের বহু অতিথি। এঁদের মধ্যে যেমন সাধু-সন্তরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন বিনোদন জগতের লোকজনও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদেরও।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্তও তাঁরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা, অফিসিয়ালি তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে অবশ্য কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেছিলেন, “না যাওয়ার তো কোনও কারণ নেই। এ ব্যাপারে সোনিয়াজি খুব পজিটিভ। হয় সোনিয়াজি স্বয়ং যাবেন, নয়তো কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হবে।”

    কী বলছে সিপিএম?

    মন্দির উদ্বোধনের দিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তিরও। মূর্তিটিকে মন্দিরে নিয়ে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় পুরোহিতদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিনিধি এলেও, অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন না সিপিএমের কেউ। কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা থাকবেন না বলে দিন দুই আগেই জানিয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “সিপিএমের নীতি হল ধর্মীয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা।

    আরও পড়ুুন: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    প্রত্যেকে যাতে শান্তিতে ধর্মাচরণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। ধর্ম একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তাই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে একে ব্যবহার করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “সংবিধানে বলাই হয়েছে রাষ্ট্র কোনও বিশেষ ধর্মকে গুরুত্ব দেবে না।” অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। তিনি বলেন, “ভগবান রাম আমার হৃদয়ে। তাই অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।” বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এলকে আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশীকে।

    আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অনুপম খের এবং মাধুরী দীক্ষিত নেনেকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিল্পপতি রতন টাটা, মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিকে। ক্রিকেটার শচিন তেণ্ডুলকর ও বিরাট কোহলিও উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। ট্রাস্টের (Ram Mandir) তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭০০০ জনকে। এর মধ্যে ভিভিআইপি ৩০০০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share