Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমির সঙ্গে জড়িয়ে গেল রামায়ণের রচয়িতা, মহর্ষী বাল্মীকির নামও। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন। তার আগে, ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হবে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের (Ayodhya airport)। বৃহস্পতিবার এর নাম বদলে ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যাধাম’ করা হল। আগামী কাল, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বিমানবন্দরে সুবিধা

    উদ্বোধনের দিনেই অযোধ্যা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Ayodhya airport) চলাচল করবে। এই দুই বিমান সংস্থা ইতিমধ্যে দিল্লি, মুম্বই এবং আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিমান চলাচলের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। অযোধ্যা বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকার্যে আনুমানিক ১,৪৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাড়ে ছ’হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে সেখানে তৈরি হয়েছে নতুন টার্মিনাল ভবন। ব্যস্ত সময়ে অন্তত ৬০০ জন যাত্রী সেখানে অপেক্ষা করতে পারবেন। সারা বছরে এর যাত্রীধারণ ক্ষমতা ১০ লাখের বেশি। সূ্ত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি টার্মিনাল ভবন তৈরি করা হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরে। ৫০ হাজার বর্গমিটারের সেই ভবনে ব্যস্ত সময়ে অন্তত তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন। বছরে তার যাত্রীধারণ ক্ষমতা হবে ৬০ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    বিমানবন্দরে রামায়ণের কাহিনি

    বিমানবন্দর (Ayodhya airport) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন বিমানবন্দরটি। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পর, রামের প্রত্যাবর্তনের সময়, অযোধ্যাবাসী যে আনন্দ অনুভব করেছিলেন, বিমানবন্দরে আগত এবং এখান থেকে প্রস্থানকারী সকল যাত্রীরা যাতে সেই অনুভূতি পান, বিমানবন্দর নির্মাণের সময় সেটাই মাথায় রাখা হয়েছিল। টার্মিনাল ভবনের ভিতগুলি রামায়ণ মহাকাব্যের মূল ঘটনাগুলির ছবিতে সাজানো হয়েছে। কাজেই টার্মিনালের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময়ই যাত্রীরা রামের পুরো কাহিনি জেনে নিতে পারবেন। এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য শনিবারই অযোধ্যা যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখবেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির সংলগ্ন ৮৪-কোশী পরিক্রমা অঞ্চল ‘মদবিহীন এলাকা’ হিসাবে ঘোষিত করা হল। ওই এলাকায় মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা বা প্রস্তুত করা যাবে না। এমনকি, এলাকায় আগে থেকে যে মদের দোকান রয়েছে,  সেগুলিকেও তুলে দেওয়া হবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এমনই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। 

    ‘মদবিহীন’ অঞ্চল

    আগামী ২২ জানুযারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। সূচনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র অযোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এখন থেকে আর মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা- কোনওকিছুই করা যাবে না। জারি করা নির্দেশিকার জেরে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকে থাকা সরকারি মদ দোকানগুলিও সরতে চলেছে। সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনও মদ ব্যবসায়ী দোকান সরাতে না চাইলে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পৎ রাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল। তার পরেই মন্দির সংলগ্ন এলাকা ‘মদবিহীন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কে? চিনে নিন

    নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

    রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সরযূ নদীর তীরে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তার মাঝেই নতুন নিয়মের কথা জানাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সিদ্ধান্ত, ৮৪ কোশী পরিক্রমা মার্গে মদ বিক্রি বন্ধ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সঙ্গে আলোচনা করেই এলাকাকে মদ-বিহীন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ওখানে অবস্থিত দোকানগুলি সরিয়ে দিয়েছি। ১৫০-১৭৫ কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তায় সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মদ বিক্রি। নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল অযোধ্যা রেলস্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নাম। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই হবে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হবে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এদিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা রেলস্টশনেরও। বদলে যাচ্ছে এই স্টেশনের নামই।

    অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম বদল

    অযোধ্যা রেলস্টেশনটি আদতে একটি জংশন। যেহেতু মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হওয়ার পরে এই পুণ্যভূমিতে ঢল নামবে ভক্তের, তাই ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনটিকে। স্টেশনটির পরতে পরতে রয়েছে অত্যাধুনিকতার ছাপ। এহেন রেলস্টেশনের নাম বদলে যাওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অযোধ্যা স্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নতুন নাম হবে অযোধ্যা ধাম।” নবনির্মিত স্টেশনের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যা জংশন হল অযোধ্যা ধাম জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম জংশন করা হয়েছে।”

    বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের

    সাংসদের এই দাবির আগেই অবশ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়েছে রেল। রেলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার থেকে অযোধ্যা জংশনের নাম হল অযোধ্যা ধাম জংশন’। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের। রেলস্টেশনের নাম যেমন হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন, তেমনি বিমানবন্দরের নামেও রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। নবনির্মিত বিমানবন্দরটির নাম দেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন প্রথমে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ কিলোমিটার পথে করবেন রোড-শো। এভাবেই তিনি পৌঁছবেন রেলস্টেশনে। উদ্বোধন করবেন নবকলেবর-প্রাপ্ত এই স্টেশনেরও। পরে একটি জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে ২২ জানুয়ারি। দেবদর্শন শুরু হবে তার পরের দিন (Ayodhya Railway Station) থেকে। অযোধ্যা প্রশাসনের অনুমান, এদিন থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যায় আসবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরাও, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসু মানুষও। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রামজনমভূমিকে।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে তার আগেই একবার অযোধ্যা সফরে যাচ্ছেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় রোড-শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন জনসভায়ও। এদিন তাঁর হাতেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরেরও। এর পরেই রোড-শো ও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আসছেন ৩০ ডিসেম্বর। প্রথম দফার কাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন।” তিনি জানান, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। পরে অযোধ্যা রেলস্টেশন থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে সূচনা করবেন ট্রেনযাত্রার। রোড-শো করে তিনি যাবেন বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ ১৫ কিলোমিটার। পরে একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রামলালার দর্শন কবে থেকে?

    কমিশনার জানান, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ আসবেন মন্দির দর্শনে। এই দর্শনার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন উদ্বোধনের আগে মন্দির দর্শন হবে না। ২১ এবং ২২ জানুয়ারি ভক্তরা রামলালাকে দর্শন করতে পারবেন না। দেবদর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে যাঁরা অযোধ্যায় আসবেন, তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হোটেলের ঘর নেওয়া হয়েছে। অনেক অতিথি চাটার্ড প্লেনে করে আসতে পারেন। তাই প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে সেই বিমানগুলি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। ঠিক কতগুলি চাটার্ড বিমান আসবে, তা জানা গেলে এভিয়েশন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তা জানাব।”

    আরও পড়ুুন: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ‘প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে দেশের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন বিজেপি  নেতা-কর্মীরা। অন্তত ১০ কোটি পরিবার যাতে এই কর্মসূচি পালন করেন, সেই জন্যই তাঁরা ঘুরবেন দোরে দোরে। নতুন (PM Modi) বছরের প্রথম দিন সোমবার থেকেই পথে নেমে পড়বেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির ২২ তারিখে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। প্রত্যাশিতভাবেই এদিন কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আগত ভক্তদের জন্য লঙ্গরখানা খুলবেন সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর। তিনি নিহাঙ বাবা ফকির সিং খালসার ১৮তম বংশধর। ঘটনাটি ঘটছে ১৬৫ বছর পরে। ১৮৫৮ সালে তাঁর পূর্বপুরুষ অযোধ্যার বাবরি মসজিদের দখল নিয়েছিলেন। কীভাবে? ভগবান রামের জন্মভূমির ওপর মুঘলরা মসজিদ গড়েছিলেন। ১৬৫ বছর আগে সেই মসজিদের দেওয়ালে রাম নাম খোদাই করে দিয়েছিলেন তাঁরই এক পূর্বপুরুষ।  

    মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই

    ভগবান রামের প্রতি তাঁর বংশের ভক্তি অটুট। রসুলপুর জানান, ১৮৫৮ সালে ফকির সিং ও তাঁর নিহাঙ সিং সঙ্গীরা মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই করে দিয়েছিলেন। উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরুয়া ধ্বজা। ঘটনার (Ram Mandir) প্রেক্ষিতে নভেম্বরের ৩০ তারিখে আওয়াধ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের আগেও তিনি জানিয়েছিলেন একথা। শিখ এবং হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ কোনওদিনই চাইতেন না ফকির সিং। রসুলপুরের দাবি, তাঁদের পরিবারের বরাবর সমান বিশ্বাস শিখ ও হিন্দু ধর্মের প্রতি। তিনি জানান, রাম মন্দিরের দাবিতে প্রথম যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তা কোনও হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, এক শিখের বিরুদ্ধে।

    মাথায় পাগড়ি, পরেন রুদ্রাক্ষ 

    কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন রসুলপুর। তিনি জানান, একই সঙ্গে নিহাঙ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। শিখ হয়েও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন রসুলপুর। একই শরীরে বহন করেন শিখ ও হিন্দুধর্মের প্রতীক। এই মানুষটিই মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় খুলবেন লঙ্গরখানা। শিখধর্মে লঙ্গরখানার চল রয়েছে। এই লঙ্গরখানার অর্থ হল নিখরচায় আগত অতিথিদের খাওয়ানো। সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক এই লঙ্গরখানা। রসুলপুর জানেন, মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আসবেন ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হতে। লঙ্গরখানায় তাঁদের খাইয়ে তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ও নিঃস্বার্থ সেবার বার্তাই দিতে চান রসুলপুর।

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা যখন মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের শেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখন রসুলপুর দিন গুনছেন কবে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সেই দিন। যেদিন তাঁর লঙ্গরখানায় সেবা করিয়ে তামাম ভারতকে রসুলপুর মনে করিয়ে দেবেন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সুমহান বাণী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ভজনলাল শর্মার

    Rajasthan: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ভজনলাল শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রাজস্থানের (Rajasthan) ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভজনলাল শর্মা। এদিনই তাঁর সঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখা যায় দিয়া কুমারী এবং প্রেমচাঁদ বৈরওয়াকে। শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে (Rajasthan) হয় এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি। বিজেপির সূত্রে খবর, পরবর্তী সময় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে।

    কারা হাজির ছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি, উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য সমেত অন্যান্যরা। এই দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজস্থানের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও।

    শপথের আগে জয়পুরের একটি মন্দিরে পুজো দেন ভজনলাল

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের (Rajasthan) আগে জয়পুরের একটি স্থানীয় মন্দিরে পুজো অর্পণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তার আগে তিনি বাবা এবং মায়ের পা ধুয়ে প্রণামও করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রসঙ্গত, ছত্তিসগড়, রাজস্থান (Rajasthan), মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় ৩ ডিসেম্বর। সেদিনই তিন রাজ্যে বিপুল জয় পায় বিজেপি। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাকি ২ রাজ্যের মতো রাজস্থানেও পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। পর্যবেক্ষক দল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন ভজনলালকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও ছিলেন এই পর্যবেক্ষক দলে। তাঁর উপস্থিতিতে ভজনলালের নাম ঘোষণা করেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

    প্রাক্তন এবিভিপি কর্মী ছিলেন ভজনলাল

    এর আগে ভজনলাল বিজেপির রাজস্থানের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ভজনলাল শর্মা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের প্রাক্তন কর্মী বলে পরিচিত। তিনি ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়ণের বিরুদ্ধে এবিভিপির আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন। সেই সময় অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান (Rajasthan) বিধানসভাতে বিজেপি জিতেছে ১১৫টি আসনে কংগ্রেস জিততে সমর্থ হয়েছে ৬৯ আসনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অযোধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশ-বিদেশের শিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অযোধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশ-বিদেশের শিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। সেই দিনই অযোধ্যাতে হাজির থাকবেন দেশ-বিদেশের শিল্পীরা। সেখানে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তাঁরা। এমনটাই জানা গিয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ সূত্রে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনটিকে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে উপহার দিতে চাইছে। জানা গিয়েছে, সরকার চাইছে যে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের আদর্শ এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে দেশ-বিদেশের সকল স্তরের মানুষ জানুক। এজন্যই জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। ইতিমধ্যে দেশের বিশিষ্টজনদের কাছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছাতেও শুরু করেছে। উদ্বোধনের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার হেঁটে গর্ভগৃহে রাম মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

    কোন কোন দেশের শিল্পীরা যোগ দেবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে?

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৫০০ বছর আগে রাম মন্দির (Ram Mandir) ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। তারপরে ৫০০ বছর ধরে লড়াই-আন্দোলন। অবশেষে তৈরি হতে চলেছে রাম মন্দির। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না যোগী সরকার। জানা গিয়েছে, নেপাল, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে শিল্পীরা আসবেন।

    সাংস্কতিক অনুষ্ঠানের বাজেট ধরা হয়েছে ২ কোটি

    এছাড়াও ভারতবর্ষের মধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, কর্নাটক, সিকিম, কেরল, ছত্তিসগড়, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং চণ্ডীগড়ের শিল্পীরা অংশ নেবেন রামলীলা অনুষ্ঠানে। মঞ্চস্থ হবে রামচন্দ্রের আদর্শ ও জীবনীর ওপর নানা অনুষ্ঠান। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে দু কোটি টাকারও বেশি। আগামী বছরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হতে রামনগরীতে (Ram Mandir)। অযোধ্যার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হবে বিভিন্ন মঞ্চও। যেমন রামকথা পার্কে পুরুষোত্তম মঞ্চ তৈরি হচ্ছে, ভজন সন্ধ্যাতলে তৈরি হচ্ছে সরযূ মঞ্চ। তুলসী উদ্যানে তৈরি হচ্ছে কাকভুষণ্ডি মঞ্চ, তুলসী স্মারক ভবনে তৈরি হচ্ছে তুলসী মঞ্চ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: অযোধ্যায় চলছে ১৭৮ প্রকল্প, বরাদ্দ সাড়ে ৩০ হাজার কোটি, সৌর শহর হিসেবে গড়ে উঠছে রামনগরী

    Ayodhya: অযোধ্যায় চলছে ১৭৮ প্রকল্প, বরাদ্দ সাড়ে ৩০ হাজার কোটি, সৌর শহর হিসেবে গড়ে উঠছে রামনগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে অযোধ্যাকে (Ayodhya) ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের যোগী সরকার এবং কেন্দ্রের মোদি সরকার। জানা গিয়েছে দুই সরকার মিলে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। চলছে ১৭৮টি প্রকল্পের কাজ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সৌরশক্তি ভিত্তিক নগর হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে। এক্ষেত্রে সরকার ৮টি নীতি নিয়েছে, সেগুলি হল সাংস্কৃতিক অযোধ্যা, সক্ষম অযোধ্যা, আধুনিক অযোধ্যা, সুগম্য অযোধ্যা, সুন্দর অযোধ্যা, আবেগপূর্ণ অযোধ্যা, স্বচ্ছ অযোধ্যা ও আয়ুষ্মান অযোধ্যা।

    নয়া অযোধ্যা নির্মাণে সরকারের ৮ নীতি

    সাংস্কৃতিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে সারা ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে অযোধ্যাকে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য। মঠ, মন্দির, আশ্রম এই সমস্ত কিছুই বানানো হচ্ছে এই নীতির আওতায়।

    সক্ষম অযোধ্যা

    নরেন্দ্র মোদি সবসময় আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সক্ষম অযোধ্যা মানে হল আত্মনির্ভর অযোধ্যা (Ayodhya)। চাকরি, পর্যটন সমস্ত ক্ষেত্রে অযোধ্যা যেন আত্মনির্ভর হয়।

    আধুনিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে (Ayodhya) বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য।

    সুগম্য অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এর জন্য সেখানে তৈরি করা হচ্ছে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর পাশাপাশি সরযূ নদীর জলপথকেও ব্যবহার করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।

    সুন্দর অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার সৌন্দর্যায়নে দৃষ্টি দিচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। পুকুর জলাশয়ের পাশে বাগান  তৈরি করা হচ্ছে।

    আবেগপূর্ণ অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মের মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

    স্বচ্ছ অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে।

    আয়ুষ্মান অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। শহরে নাগরিকদের প্রভূত উন্নতি করা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থায়।

    অযোধ্যার উল্লেখ মেলে পুরাণেও

    অত্যন্ত পুরাতন নগর বলে পরিচিত অযোধ্যার কথা পাওয়া যায় পুরাণ থেকে শুরু করে বেদ সর্বত্র। ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবেও তা প্রসিদ্ধ। ২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর থেকেই অযোধ্যার উপরে বিশেষ দৃষ্টি দেয় কেন্দ্র সরকার। পরবর্তীকালে ২০১৭-তে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাতেও আসে বিজেপি সরকার। সেই সময় থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে অযোধ্যার উন্নয়নে দৃষ্টি দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Temple: হাজার বছরেও সংস্কার করতে হবে না অযোধ্যার রাম মন্দির, টলবে না ভূমিকম্পেও!

    Ram Temple: হাজার বছরেও সংস্কার করতে হবে না অযোধ্যার রাম মন্দির, টলবে না ভূমিকম্পেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধনের দোরগোড়ায় অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Temple)। মন্দির নির্মাণ হয়েছে নাগারা স্টাইলে। নির্মাণ করছে চন্দ্রকান্ত ভাই সোমপুরা। গোলাপি স্যান্ড স্টোন দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্দির। খোদাই করা হয়েছে রাজস্থানের মির্জাপুর ও বাঁশি-পাহাড়পুর থেকে আনা মার্বেল পাথর। ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, “এ পর্যন্ত ২১ লক্ষ কিউবিক ফিট গ্রানাইট, স্যান্ডস্টোন এবং মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে।”

    ভূমিকম্পে নড়বে না মন্দির

    মন্দির নির্মাণে স্টিল এবং সাধারণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। চেন্নাই আইআইটির পরামর্শে মন্দিরের ভিত ১২ মিটার গভীর। ভিত ভরতে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে, আঠাশ দিনের মধ্যেই তা পাথরে পরিণত হতে পারে। রাই জানান, যেভাবে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে অন্ততপক্ষে হাজার বছর মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৫ হলেও, ভিত নড়বে না মন্দিরের। মন্দিরের সিংহদুয়ার পেরিয়ে ভগবৎ দর্শনে যেতে পার হতে হবে ৩২টি সিঁড়ি। মন্দির নির্মাণে (Ram Temple) যেসব ইট-পাথর ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি ১৯৯২ সালের আগে-পরে শিলাদান কর্মসূচিতে দিয়েছিলেন ভক্তরা। গত তিন দশক ধরে বিশ্বহিন্দু পরিষদ এগুলি অযোধ্যাক্ষেত্রে জমা করেছিলেন। মন্দির কমিটির তরফে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রাউন্ড ফ্লোরের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে নির্মাণ কর্মীদের। কারণ ২২ জানুয়ারি এখানেই হবে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা।

    নির্মাণ কাজ শেষ হবে কবে?

    ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্লোরের কাজ হবে দ্বিতীয় দফায়। এই দুই তলে থাকবে ৩৬০টি অতিকায় পিলার। এই পিলারগুলিতে থাকবে ম্যুরাল, খোদাই কার্য। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই দুই তলের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে নির্মাণ কর্মীদের। ফার্স্ট ফ্লোরে হবে রাম দরবার। এখানকার প্রতিটি স্তম্ভে ২৫-৩০টি মূর্তি খোদাই করা হবে। মন্দির বাইরে নির্মাণ করা হবে মহর্ষি বাল্মীকি, বিশ্বামিত্র, নিষাদ, শাব্রি প্রমুখের সাতটি মন্দির। মন্দির নির্মাণের তৃতীয় দফার কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। এই দফায়ই গড়ে উঠবে ওই সাতটি মন্দির। তৈরি হবে অডিটোরিয়াম, ব্রোঞ্জের ম্যুরাল ইত্যাদিও।

    আরও পড়ুুন: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এরই একটি বসানো হবে মন্দিরের গর্ভগৃহে। বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭ জানুয়ারি সকাল থেকে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার। রামলালার যে তিনটি বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার একটি মাকরানা মার্বেল পাথরে তৈরি। আর বাকি দুটি তৈরি করা হয়েছে কৃষ্ণ শিলা থেকে। শিলাগুলির গুণমান যাচাই করতে পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্সে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মেলার পর মূর্তি নির্মাণ করতে বলা হয়েছে ভাস্করদের। তিনটি মূর্তিও ৫১ ইঞ্চি লম্বা। দেব দর্শন করতে হবে ২৫ ফুট দূর থেকে। ফি বছর রাম নবমীর দিন বেলা ১২টায় গর্ভগৃহে থাকা রামলালার কপালে পড়বে সূর্যালোক। মন্দির কমিটির দাবি, এই দৃশ্য দেখতেও রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনে আসবেন বহু অনুসন্ধিৎসু মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share