Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Temple: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    Ram Temple: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। রাম মন্দির নির্মাণের অর্ধেক কাজই শেষ। এমনটাই জানাল মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুর রামমন্দির নির্মাণে সাধু-সন্তদের ভূমিকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের।” 

    ২০২০-র অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ঐতিহাসিক রায়ের পর রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। এর আগেই রামমন্দির (Ram Mandir) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪-এর জানুয়ারিতে মকর সংক্রান্তির দিন নবনির্মিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবে ভগবান রামের মূর্তি। ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই মন্দির। জোড়কদমে চলছে কাজ।     

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    ২০১৯-এ অযোধ্যা (Ayodhya) সংক্রান্ত ঐতিহাসিক রায় দেয় শীর্ষ আদালত। আর তারপরেই সেখানে রাম মন্দির তৈরীর প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ২০২০-র ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমিপূজা হয়। এরপর চলতি বছরের জুনে মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যোগী আদিত্যনাথ। রাম মন্দিরের কাজ কবে শেষ হবে? প্রশ্নে যোগী জানান, ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ট্রাস্ট সূত্রে খবর, তিন তলা মন্দির (Mandir) তৈরি করতে ১৭ হাজার একই মাপের গ্রানাইড স্টোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি পাথরের মাপ ৫ ফুট×২.৫ ফুট×৩ ফুট। প্রতিটি পাথরের ওজন ৩ টন। একইসঙ্গে মন্দিরের প্রতিটি দেওয়ালে থাকছে কারুকাজ।

    ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শম্পত রাই জানান, নির্ধারিত গতিতেই এগোচ্ছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। তিনি জানান, মন্দিরের ৫০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির গোড়াতেই মন্দির নির্মাণ এবং মূর্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের ৩-৪ মাস আগেই খুলে যাবে মন্দির। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে বড় সমর্থন পাবে বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দাঁত, নখ বের করতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামিক এই সংগঠনকে। তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিজেপির (BJP) এক বিধায়ককে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে পিএফআইয়ের (PFI) এক সদস্য। ইসলামিক এই সংগঠনের সঙ্গে আইসিস এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠন ভারত বিরোধী কাজেও লিপ্ত। এই জোড়া অভিযোগের জেরে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। হুমকি চিঠি পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

    দায়ের করা এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার দেশমুখ অভিযুক্ত করেছেন পিএফআই (PFI) নেতা মহম্মদ সফি বিরাজদারকে। তাঁর দাবি, সফি তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, আত্মঘাতী বম্বারদের দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিএফআইয়ের (PFI) ওই নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরও কয়েকজন দক্ষ রাজনীতিবিদও তাঁদের র‌্যাডারে রয়েছেন। পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা যাচাই করছে সোলাপুর পুলিশ।

    পুজোর আগে আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলামিক ওই সংগঠনকে। কেবল পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই বেআইনি নানা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে।

    প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডেরায় হানা দিয়ে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই জানা গিয়েছিল, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর ও বিজেপির শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতাও ছিলেন পিএফআইয়ের র‌্যাডারে। পিএফআইয়ের টার্গেট যে বিজেপিই, এদিন ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: ২০২৩-এই খুলে যাবে দরজা! রাম মন্দির তৈরিতে খরচ ১৮০০ কোটি টাকা

    Ayodhya Ram Mandir: ২০২৩-এই খুলে যাবে দরজা! রাম মন্দির তৈরিতে খরচ ১৮০০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু চর্চিত রাম মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। অযোধ্যায় (Ayodhya) শুরু হয়ে গিয়েছে তিনতলা মন্দিরের নির্মাণের কাজ। মন্দির তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৮০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে, মন্দির ট্রাস্ট। মূল মন্দির আর তিনটি মণ্ডপ তৈরি করার কাজ প্রায় শেষের পথে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩-র ডিসেম্বরেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা।

    আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দির উঠে এল মহারাষ্ট্রে!  
     
    যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মন্দির তৈরির কাজ। মন্দির নির্মানের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন মন্দির ট্রাস্টের সদস্যরা। তাতে জানানো হয়েছে, কাজ প্রায় অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। মূল মন্দির আর চারটি মঞ্চের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। মূল মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। ট্রাস্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১৮০০কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে মন্দির। এদিন বৈঠকে মন্দিরের সাজ সজ্জার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কোথায় রাম লালার মূর্তি বসানো হবে তা নিয়ে হয়েছে আলোচনা।  

    ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরে রাম লালাসহ রামায়ণের সমস্ত চরিত্রের মূর্তি রাখা হবে এই মন্দিরে। মূর্তি নির্মিত হবে সাদা মার্বেল দিয়ে। এর ফলে বাজেট আরও খানিকটা বেড়েছে। মন্দির নির্মাণের কাজে দেশের নানা প্রান্তের হিন্দু দেবস্থানের জল-মাটি ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ রাজ্য থেকে পাঠানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, নবদ্বীপ, ত্রিবেণী সঙ্গম, কলকাতার ভূতনাথ মন্দিরের মাটি ও জল। উত্তরবঙ্গেরও কয়েকটি মন্দির ও নদীর জল, মাটি অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    ১৭,০০০ গ্র্যানাইটের ব্লক দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দির। চার টাওয়ারের ক্রেনে করে পাথর ওপরে তোলা হয়েছে। এক একটি পাথরের ওজন প্রায় ৩ টন। গ্র্যানাইট পাথরের ব্লকগুলি দিয়ে কাজ করতে একাধিক মোবাইল ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে। কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পাথর গুলি নিয়ে আসা হয়েছে। ৩৫০০ স্কোয়ার মিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে মন্দিরের চাতাল। 

    সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, ‘‘বহুবার বিবেচনা করার পর আমরা খরচের একটি সম্ভাব্য মাত্রা ঠিক করতে পেরেছি। তবে এই খরচ আগামী দিনে বাড়তে পারে।’’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yogi Adityanath: অযোধ্যার পর জেগে উঠছে কাশী, মথুরা, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম দাবি যোগীর 

    Yogi Adityanath: অযোধ্যার পর জেগে উঠছে কাশী, মথুরা, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম দাবি যোগীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রামমন্দির-বাবরি মসজিদ (Ram Mandir Babri Masjid) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর দেশজুড়ে একটি ডাক উঠেছিল। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তখন থেকেই বলতে শুরু করেছিল, “অযোধ্যা তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্য়ায়।”  অর্থাৎ, অযোধ্যা সারা হয়েছে, কাশী-মথুরা এখনও বাকি আছে।

    গত একমাস ধরে খবরের শিরোনামে চলে আসা কাশী (Kashi) ও মথুরার (Mathura) মন্দির-মসজিদ বিতর্কে এবার ঘুরিয়ে সেই ডাক মনে করালেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid) চত্বরে হিন্দুদের পূজাপাঠের আর্জি, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান (Sri Krishna Janmabhoomi) থেকে শাহী ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Masjid) সরিয়ে নেওয়ার দাবি নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি কোনও মন্তব্য না করে যোগী বলেন, “অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর মনে হচ্ছে কাশী, মথুরাও নতুন করে জেগে উঠছে।”

    গত একমাস ধরে বারাণসী ও মথুরার জেলা আদালতে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক নিয়ে মামলা অব্যাহত। বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পূজার্চনার আর্জি জানিয়ে হওয়া একাধিক মামলার শুনানি চলছে। অন্যদিকে, মথুরায় (Mathura) হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, শাহী ইদগাহ মসজিদের জায়গাটিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান বা গর্ভগৃহ। ওই জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে। এই সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার শুনানি চলছে মথুরার আদালতে।

    দ্বিতীয়বার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার প্রথম বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হন যোগী। সেখানেই তিনি কাশী, মথুরার প্রসঙ্গ টানেন। এদিন যোগী বলেন, “বারাণসী, মথুরা বৃন্দাবন, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম (Vindhyavasini Dham), নৈমিশ ধামের মতো সমস্ত তীর্থস্থান আবার জেগে উঠছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমাদের আবার এগিয়ে যেতে হবে।”

    আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা দাসত্বের নিদর্শন, বলেছিলেন গান্ধীজি

    নানা ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে যোগী বিজেপি কর্মকর্তাদের এখন থেকেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেন। তিনি জানান, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডর নির্মাণের পর সেখানে দিনে একলাখ ভক্তের সমাগম হচ্ছে। প্রশাসন কঠোর এবং সংবেদনশীল বলেই, রাজ্যে এখন আর সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা চোখে পড়ে না, দাবি যোগীর। তাঁর অভিমত, তিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বড় উৎসব ছিল রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী এবং ইদ। যোগী জানান, এই সব উৎসবে শান্তি বজায় ছিল রাজ্যে। এবারই প্রথম রাস্তায় ইদের নমাজ হয়নি। সবাই নিজ নিজ ধর্মস্থানে শান্তিতে ধর্মাচরণ করতে পেরেছেন। দলীয় সভায় উপাসনাস্থলগুলির নিরাপত্তা জোরদারেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান যোগী।

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

LinkedIn
Share