Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ramlala Pran Pratishtha) প্রথম বর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশীতে হয়েছিল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha)। যাকে কুর্ম দ্বাদশীও বলে। সেই তিথি পড়েছে আজ, শনিবার। এদিন দুধ, দই, ঘি, মধু সহকারে পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হয় রামলালার। এরপর গঙ্গাজলে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৫ হাজার ভক্তকে রাম-কথা শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার বর্ষপূর্তি (Ramlala Pran Pratishtha) উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সবাইকে শুভকামনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এই মন্দির আমাদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দিকটিই তুলে ধরে।’’‌

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ 

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ। ৬ লক্ষ বার শ্রীরামের মন্ত্রোচ্চারণ হবে এদিন। একইসঙ্গে পাঠ করা হবে রামরক্ষা স্তোত্র ও হনুমান চালিশা। শনিবার মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) একতলায় দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত চলবে রাগসেবা। এরপর ৬টা থেকে শুরু হবে ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রামলালার (Ramlala) জন্য ৫৬ রকমের ভোগ তৈরি করা হয়েছে। রামলালার পুজো সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অযোধ্যাকে (Ayodhya)

    প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir)। এদিনই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। এত ভক্তের ভিড় সামাল দিতে পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ফুলদিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা রাম মন্দিরকে (Ramlala Pran Pratishtha)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, বছরের পয়লা দিনে ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramlala: ৫০ হাজারের ‘স্পাই’ চশমায় লাগানো গোপন ক্যামেরা! রামলালার ছবি তুলে ধৃত যুবক

    Ramlala: ৫০ হাজারের ‘স্পাই’ চশমায় লাগানো গোপন ক্যামেরা! রামলালার ছবি তুলে ধৃত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চশমায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রামলালার (Ramlala) ছবি তোলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নজরে আসতেই অভিযুক্তকে আটক করে অযোধ্যা পুলিশ। পরে অবশ্য ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি তিথি পড়েছে আগামী ১১ জানুয়ারি। ওই দিন রামলালার অভিষেক করবেন যোগী আদিত্যনাথ। এই আবহে সামনে এল গোপন ক্যামেরায় রামলালার (Ramlala) ছবি তোলার ঘটনা। অযোধ্যার (Ayodhya) এসপি সিকিউরিটি বলরামচারি দুবে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন চশমাটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

    গর্ভগৃহের মধ্যে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে ওঠে বারবার

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরে (Ramlala) ঢোকার মুখে নিরাপত্তারক্ষীরা সকল দর্শনার্থীদের ওপর কড়া নজর রাখেন। সব চেকিং পয়েন্ট পার করে ঢুকতে হয় মূল মন্দিরে। অভিযুক্ত যুবকের চোখে ছিল সানগ্লাস। প্রাথমিকভাবে কেউই তাঁকে সন্দেহ করেনি। তবে এরপরেই নিরাপত্তারক্ষীরা লক্ষ্য করেন, গর্ভগৃহের মধ্যে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে উঠছে বারবার। তখনই ওই যুবককে দেখে এক নিরাপত্তারক্ষীর সন্দেহ হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয় ‘স্পাই’ চশমাটি। খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে, চশমার মধ্যেই ছিল গোপন ক্যামেরা। প্রসঙ্গত, মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভগৃহের ছবি কেউই তুলতে পারবেন না।

    গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জানি জয়কুমার

    জানা গিয়েছে, গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জানি জয়কুমার। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ মন্দিরের সিংহদুয়ারের ভিতরে তিনি প্রবেশ করেন বলে জানা যায়। অভিযোগ, সেই সময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি চশমার গোপন ক্যামেরা (Ramlala) দিয়ে বালক রামের ছবি তোলেন তিনি। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে। তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গোপন ক্যামেরার সাহায্যে রামলালার বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার মূর্তির। সামনেই তার বর্ষপূর্তি। সেই দিনটা ধুমধাম করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ। সেজে উঠবে গোটা রামনগরী। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার মূর্তি অভিষেকের প্রথম বছর ভারতীয় সময় অনুসারে গণনা করে পালিত হবে।

    কীভাবে উদযাপন

    ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যা একটি ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে শ্রী রাম জান্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা (সংকৃতিতে consecration) এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবেন। চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিতে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনটিকেই ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পূর্ণ থাকবে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক উক্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায়।

    কী কী আয়োজন 

    মন্দির চত্বরের যজ্ঞ মন্ডপে হবে বিশাল মহাযজ্ঞ। যজ্ঞ চলাকালীন শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যদানী শাখার ৪০টি অধ্যায় থেকে ১৯৭৫টি মন্ত্র পাঠ হবে। পুজিত হবেন অগ্নিদেব। জপ করা হবে ১১টি বৈদিক মন্ত্র। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে হোমের এই কাজ। যজ্ঞ চলাকালীন সময় এই সব মন্ত্রের সঙ্গেই জপ করা হবে শ্রী রাম মন্ত্রও। ৬ লক্ষ মন্ত্র জপ করা হবে। এছাড়াও রাম রক্ষা স্তোত্র, হনুমান চালিসা, পুরুষ সুক্ত, শ্রী সুক্ত, আদিত্য হৃদ্য স্তোত্র, অথর্বশীর্ষ সহ ইত্যাদি পাঠ করা হবে। এই প্রাচীন সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান কেবল পরিবেশকে পবিত্র করবে না, বরং দিনের অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আধ্যাত্মিক মনোভাব সৃষ্টি করবে।

    রাগ-সঙ্গীতের আসর

    মন্দিরের দক্ষিণ দিকে প্রার্থনা কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে রাগ সেবা। বসবে রাগ সঙ্গীতের আসর। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরের কলিতে রামলালার সামনে অভিনন্দন গীতি পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় তলে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সংগীত মানস আবৃত্তির আয়োজন করা হবে। শ্রী রামচারিতমানসের সঙ্গীততালপূর্বক পাঠও সংগীতের সাথে শোনা যাবে, যা ভক্তদের শ্রী রামের জীবন এবং মহিমার এক নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    অঙ্গদ টিলার বিশেষ অনুষ্ঠান

    অঙ্গদ টিলার ময়দানে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রামকথা এবং বিকাল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মানস বক্তৃতা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১১ জানুয়ারী সকাল থেকে শুরু হবে ভগবান রামের প্রসাদ বিতরণ। অঙ্গদ টিলার সকল অনুষ্ঠানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বাধা থাকবে না। ভক্তরা কোনও বাধা ছাড়াই প্রসাদ খেতে পারবেন, অঙ্গদ টিলার অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

    রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নতুন মন্দির 

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ঘটা করে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ফটক। উপছে পড়ে ভিড়। রামলালার মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ৬টি মন্দির নির্মাণের ছবি প্রকাশ করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মূল মন্দির চত্বরে এই ৬টি মন্দির হল, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও হনুমান মন্দির। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ই জানিয়েছিল যে, অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণ করা হবে। যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ৬টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং ৭টি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে। রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরে এই ৬টি মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সোর্ড অফ অনার’ (Sword Of Honour) পুরস্কারে ভূষিত হল অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রকল্প। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের তরফে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এ কথা জানান চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কারটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের অন্যতম সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল তাদের অডিটে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে।

    ‘সোর্ড অফ অনার’ (Ram Mandir)

    কেবলমাত্র যারা পাঁচ-তারকা মূল্যায়ন পায়, তারাই ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির প্রকল্প ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের দেওয়া মর্যাদাপূর্ণ ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কার পেয়েছে। এটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের তরফে একটি সম্মানজনক পুরস্কার। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রমের মূল্যায়ন করার মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়। এই বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে থাকা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কোম্পানিও নির্মাণকাজ চলাকালে গৃহীত সেফটি ব্যবস্থার জন্য ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন ট্রফি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

    মন্দির নির্মাণ শেষ

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, যার মধ্যে চূড়াও রয়েছে, নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দিরটি রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট পাথর। এর পাশাপাশি বসানো হয়েছে মার্বেলও। প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।

    আরও পড়ুন: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    রামজন্মভূমি (Ram Mandir) মন্দিরটি ঐতিহ্যগত নগরা শৈলীতে নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট, উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরে থাকবে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা। মন্দিরের স্তম্ভ ও প্রাচীরগুলোয় থাকবে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি। মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহে, যেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপিত, সেখানে রাখা হয়েছে (Sword Of Honour) ভগবান শ্রী রামের শৈশব রূপ (Ram Mandir)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুন মাসে। তবে জুনে কাজ শেষ হচ্ছে না। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “বর্তমানে আমাদের শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে।”

    কর্মী-সঙ্কট (Ram Temple)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় ২০০ জন কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। কমিটি মন্দিরের প্রথম তলায় কিছু পাথর পরিবর্তনের পরিকল্পনাও করছে। তিনি বলেন, “প্রথম তলার কিছু পাথর দুর্বল ও পাতলা বলে মনে হচ্ছে। নতুন পাথর দিয়ে সেগুলি প্রতিস্থাপন করলে মন্দিরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ৮.৫ লাখ ঘনফুট লাল বাঁশি পাহাড়পুর পাথর মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”

    কাজ বাকি

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি (Ram Temple) এক বৈঠকে কমিটি অডিটোরিয়াম, সীমানা প্রাচীর তৈরি এবং প্রদক্ষিণ পথ-সহ অন্যান্য স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ কতদূর এগোল, তাও পর্যালোচনা করেছে। সূত্রের খবর, এখনও বাকি রয়েছে রাম দরবারের কাজ। সম্পূর্ণ হয়নি আশপাশের ছ’টি মন্দিরের মূর্তি তৈরির কাজও। মূর্তিগুলি আসবে জয়পুর থেকে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা। রামলালার যে দুটি মূর্তি ট্রাস্ট গ্রহণ করেছে, সেগুলিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মিশ্র বলেন, “শিল্পী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে সমস্ত মূর্তি বছর শেষের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    তিনি জানান, মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে কবে বিগ্রহগুলি স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। ব্যাপক ভিড়ের কারণে যে মন্দিরে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশদ্বার বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। দৈনিক দর্শনার্থীর আগমন (Ayodhya) সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও চলছে আলোচনা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পরিচালিত অযোধ্যার গুরুকুল বিদ্যাপীঠ (Ayodhya Gurukul) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পেল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলে চার বেদের (Vedic Education) ওপরে শিক্ষাদান করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বৈদিক শিক্ষা ত্বরান্বিত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি হলেন আচার্য মনোজ দীক্ষিত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার কথা একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন গুরুকূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 

    তিনি বলেন, এই গুরুকুলে বৈদিক শিক্ষা প্রদানের জন্য আচার্যের পদও তৈরি করা হয়েছে। ৬ জন আচার্য থাকবেন। এদের মধ্যে তিনজন শুক্ল যজুর্বেদের বিষয়ে পাঠদান (Ayodhya Gurukul) করবেন। বাকি তিনজন যথাক্রমে অথর্ববেদ, সামবেদ এবং ঋকবেদ পড়াবেন। তিনি আরও বলেন, এই গুরুকুলে (Ayodhya Gurukul) আধুনিক বিষয় হিসেবে গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সও পড়ানো হবে ছাত্রদের। সংস্কৃত ভাষারও আচার্য নিয়োগ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ১২ হাজার বর্গমিটার জুড়ে গুরুকূল, মিলবে স্কলারশিপও (Ayodhya Gurukul) 

    শুধুমাত্র তাই নয়, গুরুকুলের ছাত্ররা স্কলারশিপও পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কুড়িজন ছাত্র যারা বাটুক ব্রহ্মচারী নামে পরিচিত, তাদেরকে ৬০০০০ টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে বছরে। এছাড়া ১২ জন ছাত্রকে বছরে ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। স্কলারশিপের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবে। প্রসঙ্গত গুরুকুলটি ১২,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত রয়েছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে এখানে পাঁচটি স্কুল (Vedic Education) চলছে। আরও অন্যান্য স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ২০০ ব্রহ্মচারী থাকার মতো হস্টেল নির্মাণেরও কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০ ছাত্র একসঙ্গে বসতে পারে, এমন একটি সেমিনার হল তৈরির কাজও ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বড় একটি গ্রন্থাগার নির্মাণেরও কাজ চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অযোধ্যায় (Ayodhya) দুটি বিশ্ব রেকর্ড করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। একসঙ্গে ২৫ লাখ ১২ হাজার ৫৮৫টি প্রদীপ জ্বলে ওঠে রাম নগরীতে। একই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জনতা গতকাল বুধবার হাজির হয় সরযূ নদীর তীরে। এই দুটো ইভেন্টই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত হয়। কিন্তু কীভাবে গণনা করা হল এত বিপুল সংখ্যক প্রদীপ।

    তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা (Diwali 2024)

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি মন্দিরে প্রবেশ করেন রামলালা। তারপরে এটিই ছিল অযোধ্যার প্রথম দীপোৎসব। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একজন আধিকারিক নিশচাল বাড়ুল জানিয়েছেন, তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা করা হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দল দীপোৎসবের (Diwali 2024) চারদিন আগেই অযোধ্যায় পৌঁছে যায়। প্রথমে প্রদীপগুলি যখন জ্বলে ওঠেনি, তখন সেই শুকনো প্রদীপগুলিকে গণনা করা হয়, তারপরে যখন তা আলোকিত হয়, সেগুলির একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটাল ভাবে গণনা করা হয় এবং সবশেষে ড্রোনের মাধ্যমে প্রদীপগুলি আরেকবার গণনা করা হয়। এর পরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই

    প্রসঙ্গত, এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো (Ayodhya) হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই। এ নিয়ে নিশচাল বাড়ুল আরও জানিয়েছেন, অযোধ্যার (Diwali 2024) এই দীপোৎসব, অলিম্পিকের থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তিনি জানিয়েছেন যে এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল অযোধ্যার মানুষদের খুব গর্বের দিন ছিল। কারণ তারা নতুন একটি অ্যাচিভমেন্ট তৈরি করতে পেরেছেন। আমি বিশ্বাস করি অযোধ্যার এই দীপোৎসব নতুন ভাবে সৃজনশীলতার, এক আলাদা পরিবেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি (Deepawali) উৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। চলতি বছরই জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। তার পর এবারই দীপাবলি উৎসবে মেতেছে অযোধ্যা। দীপোৎসবে (Deepotsav) মেতেছে রামলালার শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপালও। সেখানকার জনকপুরে পালিত হচ্ছে দীপোৎসব। এই জনকপুরই মা সীতার জন্মস্থান বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। কেবল দীপোৎসব নয়, উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটায়ও মেতেছেন জনকপুরবাসী।

    কী বলছেন অযোধ্যার মহন্ত (Deepawali)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহন্ত রাম রোশন দাস চলতি বছরের দীপোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “২২ জানুয়ারি রামলালা মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি সারা বিশ্বের হিন্দুদের, সনাতনীদের কাছে একটা স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। যে মন্দিরে রামলালা প্রতিষ্ঠিত, সেখানে প্রথমবারের মতো দীপোৎসব পালিত হতে চলেছে। এটি সাধারণ দীপোৎসব নয়। কারণ কিশোরী (সীতা) ও রামজি দুজনকেই সজ্জিত করা হবে। কিশোরীজির রূপে লক্ষ্মী এবং রামলালার রূপে বিষ্ণুজি। এটি তাঁর নতুন গৃহ নির্মাণের পর প্রথম দীপোৎসব, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় (Deepawali)।”

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    দীপোৎসব রামের শ্বশুরবাড়ির দেশেও

    অযোধ্যার জন্মস্থানে যখন উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন বুধবার সরযূ নদীর তীরে দীপোৎসব উপলক্ষে ২৫ লাখ দীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। দীপাবলি নিয়ে সমানভাবে উৎসাহী জনকপুরের বাসিন্দারাও। দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতিতে শহরের রাস্তাগুলো আলোকিত করে রাখা হয়েছে। জনকপুরের বাসিন্দা অমর নাথ গুপ্ত বলেন, “অযোধ্যা এবং জনকপুরে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো আমরা দীপাবলি উদযাপন করছি। জনকপুর হল ভগবান রামের শ্বশুরালয়। জনকপুরধামের মানুষদের মধ্যে এবার দীপাবলি নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস রয়েছে। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে (Deepotsav) রাখতে আমরা বিভিন্ন স্থানে রং করার কাজ, নির্মাণ করার কাজ সম্পন্ন করেছি। দীপাবলির দিনে পুরো শহরকে আলোয় ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এবারের দীপাবলি সত্যিই এমন কিছু হবে যা সারা জীবনের জন্য মনে থাকবে (Deepawali)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share