Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সোর্ড অফ অনার’ (Sword Of Honour) পুরস্কারে ভূষিত হল অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রকল্প। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের তরফে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এ কথা জানান চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কারটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের অন্যতম সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল তাদের অডিটে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে।

    ‘সোর্ড অফ অনার’ (Ram Mandir)

    কেবলমাত্র যারা পাঁচ-তারকা মূল্যায়ন পায়, তারাই ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির প্রকল্প ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের দেওয়া মর্যাদাপূর্ণ ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কার পেয়েছে। এটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের তরফে একটি সম্মানজনক পুরস্কার। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রমের মূল্যায়ন করার মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়। এই বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে থাকা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কোম্পানিও নির্মাণকাজ চলাকালে গৃহীত সেফটি ব্যবস্থার জন্য ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন ট্রফি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

    মন্দির নির্মাণ শেষ

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, যার মধ্যে চূড়াও রয়েছে, নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দিরটি রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট পাথর। এর পাশাপাশি বসানো হয়েছে মার্বেলও। প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।

    আরও পড়ুন: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    রামজন্মভূমি (Ram Mandir) মন্দিরটি ঐতিহ্যগত নগরা শৈলীতে নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট, উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরে থাকবে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা। মন্দিরের স্তম্ভ ও প্রাচীরগুলোয় থাকবে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি। মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহে, যেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপিত, সেখানে রাখা হয়েছে (Sword Of Honour) ভগবান শ্রী রামের শৈশব রূপ (Ram Mandir)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুন মাসে। তবে জুনে কাজ শেষ হচ্ছে না। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “বর্তমানে আমাদের শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে।”

    কর্মী-সঙ্কট (Ram Temple)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় ২০০ জন কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। কমিটি মন্দিরের প্রথম তলায় কিছু পাথর পরিবর্তনের পরিকল্পনাও করছে। তিনি বলেন, “প্রথম তলার কিছু পাথর দুর্বল ও পাতলা বলে মনে হচ্ছে। নতুন পাথর দিয়ে সেগুলি প্রতিস্থাপন করলে মন্দিরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ৮.৫ লাখ ঘনফুট লাল বাঁশি পাহাড়পুর পাথর মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”

    কাজ বাকি

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি (Ram Temple) এক বৈঠকে কমিটি অডিটোরিয়াম, সীমানা প্রাচীর তৈরি এবং প্রদক্ষিণ পথ-সহ অন্যান্য স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ কতদূর এগোল, তাও পর্যালোচনা করেছে। সূত্রের খবর, এখনও বাকি রয়েছে রাম দরবারের কাজ। সম্পূর্ণ হয়নি আশপাশের ছ’টি মন্দিরের মূর্তি তৈরির কাজও। মূর্তিগুলি আসবে জয়পুর থেকে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা। রামলালার যে দুটি মূর্তি ট্রাস্ট গ্রহণ করেছে, সেগুলিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মিশ্র বলেন, “শিল্পী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে সমস্ত মূর্তি বছর শেষের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    তিনি জানান, মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে কবে বিগ্রহগুলি স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। ব্যাপক ভিড়ের কারণে যে মন্দিরে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশদ্বার বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। দৈনিক দর্শনার্থীর আগমন (Ayodhya) সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও চলছে আলোচনা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পরিচালিত অযোধ্যার গুরুকুল বিদ্যাপীঠ (Ayodhya Gurukul) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পেল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলে চার বেদের (Vedic Education) ওপরে শিক্ষাদান করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বৈদিক শিক্ষা ত্বরান্বিত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি হলেন আচার্য মনোজ দীক্ষিত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার কথা একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন গুরুকূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 

    তিনি বলেন, এই গুরুকুলে বৈদিক শিক্ষা প্রদানের জন্য আচার্যের পদও তৈরি করা হয়েছে। ৬ জন আচার্য থাকবেন। এদের মধ্যে তিনজন শুক্ল যজুর্বেদের বিষয়ে পাঠদান (Ayodhya Gurukul) করবেন। বাকি তিনজন যথাক্রমে অথর্ববেদ, সামবেদ এবং ঋকবেদ পড়াবেন। তিনি আরও বলেন, এই গুরুকুলে (Ayodhya Gurukul) আধুনিক বিষয় হিসেবে গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সও পড়ানো হবে ছাত্রদের। সংস্কৃত ভাষারও আচার্য নিয়োগ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ১২ হাজার বর্গমিটার জুড়ে গুরুকূল, মিলবে স্কলারশিপও (Ayodhya Gurukul) 

    শুধুমাত্র তাই নয়, গুরুকুলের ছাত্ররা স্কলারশিপও পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কুড়িজন ছাত্র যারা বাটুক ব্রহ্মচারী নামে পরিচিত, তাদেরকে ৬০০০০ টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে বছরে। এছাড়া ১২ জন ছাত্রকে বছরে ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। স্কলারশিপের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবে। প্রসঙ্গত গুরুকুলটি ১২,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত রয়েছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে এখানে পাঁচটি স্কুল (Vedic Education) চলছে। আরও অন্যান্য স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ২০০ ব্রহ্মচারী থাকার মতো হস্টেল নির্মাণেরও কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০ ছাত্র একসঙ্গে বসতে পারে, এমন একটি সেমিনার হল তৈরির কাজও ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বড় একটি গ্রন্থাগার নির্মাণেরও কাজ চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    Diwali 2024: রামনগরীতে ২৫ লাখেরও বেশি প্রদীপের গণনা কীভাবে? জানালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অযোধ্যায় (Ayodhya) দুটি বিশ্ব রেকর্ড করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। একসঙ্গে ২৫ লাখ ১২ হাজার ৫৮৫টি প্রদীপ জ্বলে ওঠে রাম নগরীতে। একই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জনতা গতকাল বুধবার হাজির হয় সরযূ নদীর তীরে। এই দুটো ইভেন্টই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত হয়। কিন্তু কীভাবে গণনা করা হল এত বিপুল সংখ্যক প্রদীপ।

    তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা (Diwali 2024)

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি মন্দিরে প্রবেশ করেন রামলালা। তারপরে এটিই ছিল অযোধ্যার প্রথম দীপোৎসব। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একজন আধিকারিক নিশচাল বাড়ুল জানিয়েছেন, তিনটি পদ্ধতিতে প্রদীপ গণনা করা হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দল দীপোৎসবের (Diwali 2024) চারদিন আগেই অযোধ্যায় পৌঁছে যায়। প্রথমে প্রদীপগুলি যখন জ্বলে ওঠেনি, তখন সেই শুকনো প্রদীপগুলিকে গণনা করা হয়, তারপরে যখন তা আলোকিত হয়, সেগুলির একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটাল ভাবে গণনা করা হয় এবং সবশেষে ড্রোনের মাধ্যমে প্রদীপগুলি আরেকবার গণনা করা হয়। এর পরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই

    প্রসঙ্গত, এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো (Ayodhya) হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই। এ নিয়ে নিশচাল বাড়ুল আরও জানিয়েছেন, অযোধ্যার (Diwali 2024) এই দীপোৎসব, অলিম্পিকের থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তিনি জানিয়েছেন যে এই ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালানো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল অযোধ্যার মানুষদের খুব গর্বের দিন ছিল। কারণ তারা নতুন একটি অ্যাচিভমেন্ট তৈরি করতে পেরেছেন। আমি বিশ্বাস করি অযোধ্যার এই দীপোৎসব নতুন ভাবে সৃজনশীলতার, এক আলাদা পরিবেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি (Deepawali) উৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। চলতি বছরই জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। তার পর এবারই দীপাবলি উৎসবে মেতেছে অযোধ্যা। দীপোৎসবে (Deepotsav) মেতেছে রামলালার শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপালও। সেখানকার জনকপুরে পালিত হচ্ছে দীপোৎসব। এই জনকপুরই মা সীতার জন্মস্থান বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। কেবল দীপোৎসব নয়, উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটায়ও মেতেছেন জনকপুরবাসী।

    কী বলছেন অযোধ্যার মহন্ত (Deepawali)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহন্ত রাম রোশন দাস চলতি বছরের দীপোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “২২ জানুয়ারি রামলালা মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি সারা বিশ্বের হিন্দুদের, সনাতনীদের কাছে একটা স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। যে মন্দিরে রামলালা প্রতিষ্ঠিত, সেখানে প্রথমবারের মতো দীপোৎসব পালিত হতে চলেছে। এটি সাধারণ দীপোৎসব নয়। কারণ কিশোরী (সীতা) ও রামজি দুজনকেই সজ্জিত করা হবে। কিশোরীজির রূপে লক্ষ্মী এবং রামলালার রূপে বিষ্ণুজি। এটি তাঁর নতুন গৃহ নির্মাণের পর প্রথম দীপোৎসব, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় (Deepawali)।”

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    দীপোৎসব রামের শ্বশুরবাড়ির দেশেও

    অযোধ্যার জন্মস্থানে যখন উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন বুধবার সরযূ নদীর তীরে দীপোৎসব উপলক্ষে ২৫ লাখ দীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। দীপাবলি নিয়ে সমানভাবে উৎসাহী জনকপুরের বাসিন্দারাও। দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতিতে শহরের রাস্তাগুলো আলোকিত করে রাখা হয়েছে। জনকপুরের বাসিন্দা অমর নাথ গুপ্ত বলেন, “অযোধ্যা এবং জনকপুরে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো আমরা দীপাবলি উদযাপন করছি। জনকপুর হল ভগবান রামের শ্বশুরালয়। জনকপুরধামের মানুষদের মধ্যে এবার দীপাবলি নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস রয়েছে। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে (Deepotsav) রাখতে আমরা বিভিন্ন স্থানে রং করার কাজ, নির্মাণ করার কাজ সম্পন্ন করেছি। দীপাবলির দিনে পুরো শহরকে আলোয় ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এবারের দীপাবলি সত্যিই এমন কিছু হবে যা সারা জীবনের জন্য মনে থাকবে (Deepawali)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akshay Kumar: দীপাবলিতে অযোধ্যায় বানরদের ভোজনে ১ কোটি টাকার অনুদান দিলেন অক্ষয় কুমার

    Akshay Kumar: দীপাবলিতে অযোধ্যায় বানরদের ভোজনে ১ কোটি টাকার অনুদান দিলেন অক্ষয় কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) অযোধ্যায় বানরদের ভোজনের জন্য কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। তাঁর এই অর্থদানের উদ্যোগটি জগৎগুরু স্বামী রাঘবাচার্যজি মহারাজের নির্দেশনায় অঞ্জনেয়া সেবা ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হবে। উল্লেখ্য প্রভু শ্রী রামের জন্ম স্থলে প্রচুর বানর রয়েছে। আবার রামায়ণে শ্রীরামচন্দ্রের পরম ভক্ত ছিলেন হনুমান। এই হনুমান ছিলেন বানর সমাজের প্রতিনিধি। ফলে রামায়ণের রামের সঙ্গে বানরদের একটা আত্মিক যোগ রয়েছে। বলিউড অভিনেতার এই ভোজন দানে দেশ ব্যাপি রামভক্তদের মনে প্রবল উচ্ছ্বাসের সঞ্চার হয়েছে।

    বানরদের পূর্ণ ভোজন (Akshay Kumar)

    অযোধ্যায় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) ভগবান রাম ভক্ত বানর জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। অক্ষয়ের পক্ষ থেকে একটি সূত্রে বলা হয়েছে, “দীপাবলির আগে শুধুমাত্র রাম নগরীতে ভগবান রামের ভক্ত বানরদের পূর্ণ ভোজনের জন্য ১ কোটি টাকা দান করেছেন। একই ভাবে তারকা অক্ষয় নিজের পিতামাতা, প্রয়াত শ্বশুর তারকাকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ফিডিং ভ্যানে নাম লেখা আছে রাজেশ খান্নার।”

    রাস্তায় আবর্জনা যাতে পড়ে না থাকে

    অঞ্জনেয়া সেবা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি প্রিয়া গুপ্তা বলেন, “আমরা সুনিশ্চিত করব যাতে একই কাজে যেন লোকেদের কোনও অসুবিধা না হয়। আমি সর্বদা অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) একজন অত্যন্ত দয়ালু এবং উদার মানুষ হিসাবে জানি। তিনি নিজের কর্মী, সহ-অভিনেতা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত সখ্যতা বজায় রেখে কাজ করেন। তিনি কেবল তাৎক্ষণিক এবং উদারভাবে দান করেননি, সেই সঙ্গে এই মহান সেবাকাজে পিতামাতা হরি ওম, অরুণা ভাটিয়া এবং তাঁর শ্বশুর রাজেশ খান্না উভয়ের নামে উৎসর্গ করেছেন। অক্ষয় কেবলমাত্র একজন উদার মানুষই নন, ভারতের একজন সামাজিকভাবে সচেতন নাগরিকও। তিনি অযোধ্যার নাগরিক এবং শহর সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে এই কাজে আমরা নিশ্চিত করব যাতে বানরদের খাওয়ানোর সময় কোনও রকম নাগরিক সমাজকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়। রাস্তায় কোনও আবর্জনা যাতে না পড়ে থাকে সেই দিকেও আমাদের সর্বদা নজর থাকবে।”

    আরও পড়ুনঃ যৌন হেনস্থা মন্তব্য! স্বরূপের বিরুদ্ধে ২৩ কোটির মানহানির মামলা ২৩৩ জন পরিচালকের

    নতুন সিনেমা আসছে ‘সিংহম এগেইন’

    এদিকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে অক্ষয়কে (Akshay Kumar) অজয় ​​দেবগন, রণবীর সিং, টাইগার শ্রফ, দীপিকা পাড়ুকোন এবং কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে ‘সিংহম এগেইন’-এ অভিনয় করতে দেখা যাবে। এই দীপাবলিতেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। পরিচালক রোহিত শেঠি পরিচালিত এই সিনেমা দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Security in Ayodhya: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    Security in Ayodhya: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে বারাণসী এবং অযোধ্যাকে (Security in Ayodhya) আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় প্রতি বছরই। তবে এ বছরই প্রথম বার দীপাবলির (Diwali in Ayodhya) সাক্ষী হতে চলেছে রাম মন্দির। অষ্টমতম দীপোৎসবে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলতে তাই পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তিন দিন ধরে দীপোৎসব চলবে। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে অযোধ্যায়। তার আগেই গোটা শহরকে দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। পুলিশ তো আছেই, নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কমান্ডো। তৈরি রয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখাও (এটিএস)।

    কড়া নিরাপত্তা অযোধ্যায়

    প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা (Security in Ayodhya) বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাম মন্দির-সহ এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০০০ পুলিশ, ১৫০ এনএসজি কমান্ডো, সন্ত্রাসদমন শাখা। দীপাবলিতে অযোধ্যার নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন পুলিশ সুপার রাজকরণ নায়ার। মন্দির শহরে দীপোৎসব যাতে মৃসণ ভাবে পালন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। শহরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই অযোধ্যানগরীর প্রতিটি কোনা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, এনএসজি কমান্ডোর পাশাপাশি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জল পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আরও উদ্ধারকারী দল। সরযূ নদীতে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে।

    প্রকৃতিবান্ধব দীপাবলি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার সরযূ নদীর তীরে ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে। এই দীপোৎসবের (Diwali in Ayodhya) জন্য বিশেষ প্রকৃতিবান্ধব দীপ আনানো হয়েছে। রাম মন্দির সেজে উঠবে সেই প্রকৃতিবান্ধব দীপে। যাতে মন্দিরের কোনও রকম ক্ষতি না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রকৃতিবান্ধব এই দীপোৎসবের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার একটা বার্তা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। দীপোৎসবে যাতে সাধারণ মানুষ শামিল হতে পারেন তার জন্য ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেন্বরের মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। দর্শনার্থীরা ৪বি গেট থেকে মন্দিরের সজ্জা দেখার সুযোগ পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya: বছরের প্রথম ছ’মাসে ১১ কোটি পর্যটক! বারাণসীকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রাম জন্মভূমি

    Ayodhya: বছরের প্রথম ছ’মাসে ১১ কোটি পর্যটক! বারাণসীকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রাম জন্মভূমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীকে পিছনে ফেলে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উত্তরপ্রদেশে প্রথম স্থান দখল করল অযোধ্যা (Ayodhya)। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মোট ১১ কোটি পর্যটকের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে বারাণসীতে পা পড়েছে ৪.৬১ কোটি পর্যটকের। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার যোগী রাজ্যের পর্যটন দফতর এই তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৩৩ কোটি পর্যটকের পা পড়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। উত্তরপ্রদেশ ক্রমশই পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠছে, একথাও জানিয়েছেন যোগীর মন্ত্রী।

    গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে পর্যটক বেড়েছে ১৩ কোটি 

    ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে সংখ্যার বিচারে ৩২ কোটি ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ১২২ জন পর্যটক উত্তরপ্রদেশে এসেছেন। যোগী রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এর আগে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে পা পড়েছিল ৩১.৮৬ কোটি পর্যটকের। ২০২৪ সালের হিসেবে দেখা যাচ্ছে ৩২ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৮ জন দেশীয় পর্যটক এসেছেন উত্তরপ্রদেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৪ জন। ২০২৩ সালে উত্তরপ্রদেশে (Ayodhya) পা পড়েছিল ১৯ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৭ জন পর্যটকের (Ayodhya)। গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে পর্যটক বেড়েছে ১৩ কোটি, এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী।

    মথুরা-প্রয়াগরাজেও পর্যটকের ঢল

    বারাণসীতে পা পড়েছে মোট ৪.৬১ কোটি পর্যটকের। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯৯ জন। এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রয়াগরাজ, মথুরা এবং আগ্রাতেও বিপুল পর্যটকের পা পড়েছে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার। প্রয়াগরাজের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রথম ৬ মাসে ৪,৫৩,৯৪,৭৭২ দেশীয় এবং ৩,৬৬৮ জন বিদেশী পর্যটকের পা পড়েছে। কৃষ্ণ জন্মভূমি মথুরার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৩,০৭,০২,৫১৩ জন দেশীয় এবং ৪৯,৬১৯ জন বিদেশী পর্যটকের পা পড়েছে। রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে ৩৫ হাজারেরও বেশি দেশীয় ও ৭ হাজারের বেশি বিদেশী পর্যটকের পা পড়েছে। আগ্রাতে দেখা যাচ্ছে এই বছরের জুন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার দেশীয় এবং ৭ হাজার বিদেশী পর্যটক (Ayodhya) এসেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share