Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: দেশের ৭৪ শতাংশ মুসলিম খুশি রাম মন্দিরের নির্মাণে, সমীক্ষায় প্রকাশ

    Ram Mandir: দেশের ৭৪ শতাংশ মুসলিম খুশি রাম মন্দিরের নির্মাণে, সমীক্ষায় প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণে দেশের ৭৪ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই সন্তুষ্ট, শনিবার এমনটাই জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের সংগঠন ‘মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’। সংগঠনের মতে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানই আস্থা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতিতে। প্রসঙ্গত, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের পক্ষ থেকে ‘আয়ুর্বেদ ফাউন্ডেশন চারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে একটি সংস্থা সারা দেশ জুড়ে এই সমীক্ষা চালায়। সংস্থাটির মূল অফিস রয়েছে গুজরাটে। ওই সমীক্ষা আসার পরেই দেখা যাচ্ছে যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজের মানুষই রাম মন্দিরের নির্মাণে খুশি। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের।

    বিশ্বনেতা নরেন্দ্র মোদি 

    সমীক্ষার পরেই মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে সারা দেশের সর্বত্র বিরাজমান করছেন ভগবান রামচন্দ্র (Ram Mandir) এবং দেশের মধ্যে সফলতম প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মতে,  ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলেন এমন একজন মানুষ যাঁর কথা শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়, ভারতের বাইরে বহির্বিশ্বেও গ্রহণযোগ্য। ওই সমীক্ষাতে আরও দাবি করা হয়েছে অগণিত মুসলমান চাইছেন যে তথাকথিত উলেমা, মৌলানারা যেন ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা না তোলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    মুসলিম সম্প্রদায় নিরাপদ মোদি জমানায়

    ওই সমীক্ষা মোতাবেক ৭৪ শতাংশ মুসলিম খুশি রাম মন্দিরের নির্মাণে। ৭০ শতাংশ মুসলমানেরই আস্থা রয়েছে মোদি সরকারের উপরে। ৭২ শতাংশ মুসলমান সমর্থন জানিয়েছেন যে বিরোধীদের এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই এবং ৭০ শতাংশ মুসলমান অনুভব করছেন যে ভারত বিশ্বশক্তি হিসেবে (Ram Mandir) উঠে আসছে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মতে,  ‘‘ভারতবর্ষের মুসলমানরা মোদি জমানাতে যথেষ্ট নিরাপদ এবং এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের মতোই তাদের সমান সুযোগ সুবিধা রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    Ram Mandir: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ভগবান রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই রামের ভজন (Ram Mandir) শুরু করেছে।’’, শনিবার ঠিক এই ভাষাতেই ভণ্ড ধর্মনিরপেক্ষদের একহাত নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজির ছিলেন বলবীর পুঞ্জের লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেখানেই এই কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    রাম বিরোধীরাও করছে রামের নাম

    শনিবার রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘এই দেশে কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা ভগবান রামের অস্তিত্ব (Ram Mandir) সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেন। তাঁর প্রশ্ন তুলেছিলেন ভগবান রামের জন্মভূমি নিয়েও। সেই সমস্ত মানুষগুলিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে কিছু মানুষ রামের ভজনা শুরু করেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বড় সাফল্য যে ভগবান রামচন্দ্রের অস্তিত্ব সম্পর্কে যাঁরা প্রশ্ন তুলতেন, তাঁরাই আজ বাধ্য হয়ে রামের ভজন করছেন।’’

    মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্র

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘রামজন্মভূমি (Ram Mandir) নিয়ে ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পরে সুবিচার পাওয়া গিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এটাই ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের  সময়। রাম মন্দিরের উদ্বোধন দেশের জাতীয় গর্বকে  প্রতিষ্ঠিত করবে। সারা ভারতের চেতনা হল রাম এবং অযোধ্যা হল তার নিউক্লিয়াস। ৫০০ বছরেরও বেশি এই সংঘর্ষে আমরা জিতেছি এবং প্রভু রামের জন্মস্থানকে অনেক ষড়যন্ত্রের পরেও ছিনিয়ে নেওয়া যায়নি।’’ রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণ দেশে তোষণের রাজনীতিকেও শেষ করবে বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভগবান রামচন্দ্রকে কেন মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা হয়, সে বিষয়েও তিনি নিজের মত রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘রামচন্দ্র (Ram Mandir) একজনই কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ছিল। তিনি সমস্ত জাতি, বর্ণ, ধর্মের উর্দ্ধে ছিলেন। এমন একজন প্রজাপালক রাজা যিনি মানুষ থেকে পশু সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন রয়েছে ২২ জানুয়ারি। তার আগে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রাম নগরীকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই ওই বিশেষ দিনে জঙ্গি হামলার আশহ্কার কথা জানিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যায় নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী গড়ল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি)-এর তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বাছাই করা ২০০ অফিসারকে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দায়িত্ব যাবে ওই বাহিনীর হাতে। জানা গিয়েছে প্রত্যেক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অফিসারেরই বয়স ৩৫ এর নীচে। দলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কীভাবে কুইক রেসপন্স টিমের নির্দেশে কাজ করতে হবে, হামলার সময় ভিভিআইপি ব্যক্তিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, শত্রুপক্ষের ওপর কীভাবে আঘাত হানতে হবে, পণবন্দিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে। এর পাশাপাশি মোটর সাইকেলে চেপে অপারেশন চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

    হরিয়ানার মানেসরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এই বিশেষ বাহিনী

    যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Ram Mandir) এক্ষেত্রে ভরসা রেখেছে রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবলদের ওপরে। ভিভিআইপি নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসদমন অভিযানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এনএসজি-এর কমান্ডোদের বলা হয় ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ বাহিনী। হরিয়ানার মানেসরে সেই বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। জানা গিয়েছে, এই শিবিরেই যোগী পুলিশের বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষিত হয়েছে। খাকি ড্রেসের বদলে তারা পরবে ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের মতোই পোশাক।

    রাজ্য পুলিশেই ভরসা

    ২০০৮ সালে যখন মুম্বইয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটে, তখন তুকারাম নামের এক কনস্টেবলই কাসভকে ধরে ফেলে। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশও যে সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করতে সিদ্ধহস্ত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল মুম্বইয়ে। এবার সেই মডেলই কাজ করবে রাম মন্দির রক্ষায়। তবে শুধুমাত্র রাম মন্দিরই নয় সমগ্র রাম নগরীর (Ram Mandir) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে যোগী পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতো সিআরপিএফ। এবার থেকে মন্দির রক্ষার দায়িত্বে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিনই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর একটি অডিওবার্তা ভেসে এল। যেখানে তিনি বলছেন, ‘‘১১ দিনের পবিত্র অনুষ্ঠান আজ থেকেই শুরু করছি।’’ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে ওই অডিওবার্তা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলছেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান, এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর। আজ থেকেই আমি ১১ দিনের অনুষ্ঠান শুরু করছি। আমি খুবই আবেগপ্রবণ বর্তমানে। জীবনে প্রথমবার আমি এইরকম অনুভূতি পাচ্ছি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘জীবনের কিছু মুহূর্ত আসে, যা সম্ভব হয় সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদের কারণে। এটাই হল সেরকম একটি পবিত্র অনুষ্ঠান। যা আমাদের সবার জীবনে এসেছে।’’

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গেই সারাক্ষণ হাজির থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেদিন রামনগরীতে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অযোধ্যায় আমন্ত্রিত প্রায় ৭ হাজার অতিথি। যার মধ্যে ভিভিআইপি প্রায় ৩ হাজার। ইতিমধ্যে অযোধ্যার অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সতর্কতাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোটা রামনগরীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    রামনগরী অযোধ্যা-আট

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: জোরকদমে চলছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের প্রস্তুতি। তাই সরাসরি কোনও ট্রেনই ঢুকছিল না অযোধ্যায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে নেমে সড়ক পথেই অযোধ্যায় রওনা দিয়েছিলাম আমরা। উদ্দেশ্য রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠক। প্রায় ৪ ঘণ্টা চলার পরে গাড়ি ঢুকল অযোধ্যার শহরতলিতে। তখন থেকেই চোখে পড়তে থাকল স্বাগত জানানোর প্ল্যাকার্ড। পদ্মফুলের ওপরে জোড়হাতের প্রতীক। শহরে প্রবেশের আগেই একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড জানান দিল নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। শহরে প্রবেশ করতেই বাঁদিকে বড় পুকুর। তার চারপাশে তৈরি হয়েছে মন্দিরের মতো ধাঁচা। পুকুরের পাড় ইঁট দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁধানো রয়েছে। তার ওপর প্লাস্টার। প্লাস্টারের ওপর রংবেরঙের চোখ ধাঁধানো কারুকার্য।

    জলাশয়ের মধ্যেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ

    মনে পড়ল অযোধ্যা (Ram Mandir) আগামী দিনে হতে চলেছে ভারতের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা পা রাখবেন রামনগরীতে। তাই জলাশয়গুলিতেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। জনা তিরিশেক শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাই পুকুর বাঁধানোর মতো কাজেও শ্রমিকরা মাথায় হলুদ হেলমেট পরেছেন। এমন চিত্র পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় না বললেই চলে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, জলাশয়ের নামকরণ করা হয়েছে দিব্য কুণ্ডু। পুকুরের সৌন্দর্যায়নের কাজ বিগত ১ বছর ধরেই চলছে বলে জানালেন শ্রমিকরা। দিব্য কুণ্ডু ছাড়িয়ে গাড়ি ছুটতে থাকল। ফের পুলিশের ব্যারিকেড। গাড়ির গতি কমে এল জ্যামের কারণে। নজরে পড়ল রাস্তার ডানদিকে দেবদেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে।

    কী বললেন অযোধ্যার মূর্তি নির্মাণকারী সঞ্জয় শর্মা?

    হনুমান, দুর্গা, রাম-সীতা-লক্ষণ প্রভৃতি দেবদেবীর বিভিন্ন আকারের মূর্তি নিয়ে বসে রয়েছেন বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়। ভিড় রাস্তায় গাড়ি থেকে নামার উপায় ছিল না। অগত্যা গাড়িতে থেকেই ইশারা করে ডাকা হল তাঁকে। সাংবাদিক পরিচয় দিলাম। ভদ্রলোক জানালেন, নাম সঞ্জয় শর্মা। ভিড় কমতেই গাড়িকে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড় করালাম। মূর্তি কেমন বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন শুনতেই সঞ্জয়বাবুর উত্তর, ‘‘এখন যেমন অযোধ্যা দেখছেন, কয়েক বছর আগেও এখানে এমন চিত্র ছিল না। বর্তমানে ভিড় লেগেই থাকে। রাম-সীতা (Ram Mandir) ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিরও চাহিদা ভালোই রয়েছে।’’ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতার রাজধানী বলা হয় বারাণসীকে। পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরেরও স্বীকৃতি মিলেছে বারাণসীর। তবে আগামী দিনে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করেই যে আধ্যাত্মিক ভারতের পরিবেশ নির্মাণ হতে চলেছে, অযোধ্যায় পা রাখতেই তা উপলব্ধি করা গেল। রাস্তার নামও রামপথ, সরযূ নদীও বয়ে চলেছে রামায়ণের ঐতিহ্যকে নিয়ে, পুকুরের নামও দিব্যকুণ্ডু। স্বাধীনতা দিবসের দিন যেমন প্রতিটি বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা দেখা যায়, তেমনি পতপত করে অযোধ্যার বাড়ির ছাদগুলিতে উড়ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। নজর কাড়ল দোকানের ওয়াল পেন্টিংগুলিও। সেখানেও তীরধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রভু রামচন্দ্র। এয়ারপোর্টের নামও মহর্ষি বাল্মিকীর নামে। সব মিলিয়ে অযোধ্যার অলিখিত নাম রামনগরী (Ram Mandir) যেন সার্থক হয়ে উঠেছে। (শেষ)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য নগর পরিক্রমায় বেরনোর কথা ছিল ‘রামলালা’র। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই পরিকল্পনা বাতিল করল মন্দির প্রশাসন। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি ‘রামলালা’র বিগ্রহ নিয়ে অযোধ্যা ভ্রমণে বেরনো হবে। এর ফলে মন্দিরে বিগ্রহ প্রবেশের আগেই ভক্তেরা বিগ্রহকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পেতেন। ৮ দিন আগেই পরিকল্পনা বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রামলালার (Ram Mandir) নগর ভ্রমণের বিষয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভক্তদের ভিড় থেকে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা

    ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তদের ভিড় থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। প্রসঙ্গত, রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরা নিয়ে উন্মাদনা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় অযোধ্যায় বিগত দুই মাস ধরেই উৎসবের মেজাজ রয়েছে। এমন সময়, রামলালাকে নগর পরিভ্রমণে বের করলে বিপুল ভক্ত সমাগম হতে পারে। সেখানে বিশৃঙ্খলাও হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত বদল। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগেই কাশীর আচার্য এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন ট্রাস্টের সদস্যেরা। সেখানেই জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রামলালার বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে বের করে আনা হলে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হতে পারে।

    কী বলছেন অযোধ্যার জেলাশাসক?

    অযোধ্যার জেলাশাসক এবিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রামলালার দর্শন পেতে কেবলমাত্র স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসবেন রাম ভক্তরা (Ram Mandir)। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, যে কোনও মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১৭ জানুয়ারি রামলালার অযোধ্যা সিটি ট্যুরের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    রামনগরী অযোধ্যা-ছয়

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: প্রভু রামের মন্দিরে ফেরা ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অযোধ্যার উৎসবের ঢেউ গিয়ে পড়ছে আসমুদ্র হিমাচলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক, অথবা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি। সর্বত্রই রামভক্তরা এখন থেকেই আনন্দে মেতেছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে সোনার জুতো নিয়ে রামনগরীতে (Ram Mandir) পৌঁছাচ্ছেন, তো কোথা থেকে আসছে রামের রথ। তবে ভগবান রামের সব থেকে বড় শিষ্য রাম জন্মভূমির অদূরে তাঁর নিজের মন্দিরেই দীর্ঘকাল বিরাজমান রয়েছেন। অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরও ভক্তদের অন্যতম তীর্থস্থল হিসেবে পরিচিত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মন্দির চত্বরে পৌঁছালাম, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁয়েছে। শীতের রাতেও মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থানেই থাকেন বজরঙ্গবলী। হনুমানগড়ি মন্দির যেতে রামপথের ওপর দিয়ে সোজা হাঁটতে হবে ঠিক রাম মন্দিরের দিকে। তারপরেই ডানদিকে ভেঙে যাচ্ছে রামপথ। সেখানেই রয়েছে হনুমানগড়ি মন্দির। রাম মন্দিরের মতোই এখানেও ২৪ ঘণ্টাই পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে।

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী (Ram Mandir)

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী। হনুমানের দর্শন পেতে তাই ভাঙতে হবে ৭৬টি সিঁড়ি। হলুদ ধুতি পরা তরুণ পুরোহিতরা ভক্তদের পুজো পৌঁছে দিচ্ছেন হনুমানের চরণতলে। কপালে তিলকও এঁকে দিচ্ছেন তাঁরা। হনুমানের দর্শন পেতে সে কী হুড়োহুড়ি! বোঝাই গেল রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হনুমানগড়িতে যদি এত ভিড় হয়, তাহলে ২২ জানুয়ারির পর ঠিক কী হতে চলেছে। ভগবান রামের পাশাপাশি অযোধ্য়ার উদ্দেশে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য যে হনুমানগড়ি হবে, একথা বলাই যায়। বিরাট মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চারপাশে অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকান তৈরি করেছেন, বেশ কিছু নতুন দোকানও তৈরি হচ্ছে দেখা গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। মন্দিরের ডানদিক বরাবর সোজা গেলে পড়বে দশরথ ভবন। এই রাস্তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে অযোধ্যার (Ram Mandir) কোনায় কোনায়, পথে পথে, সরযূর জলে।

    হনুমানগড়ির পৌরাণিক কথা (Ram Mandir)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামের দর্শনের (Ram Mandir) আগে তাঁর প্রিয় ভক্ত বজরঙ্গবলীর দর্শন ও আজ্ঞা নেওয়া জরুরি। হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এই মন্দিরে ৬ ইঞ্চির বালক বজরঙ্গবলীর প্রতিমা রয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তাঁর মা অঞ্জনীও আছেন এই মন্দিরে। মন্দির পরিসরে অঞ্জনীর কোলে দেখা যায় হনুমানকে। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে হনুমান চালিশার পংক্তি লেখা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানগড়িতে রাজা হিসেবে বজরঙ্গবলীর রাজতিলক করেন রাম। একটি গুহায় বসবাস করে বজরংবলী রামজন্মভূমি ও অযোধ্যাকে রক্ষা করেন। বজরঙ্গবলীর সেবা ও ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে রাম বলেন, যাঁরা অযোধ্যায় আমার দর্শনের জন্য আসবেন, তাঁদের সবার আগে হনুমানের দর্শন, পুজো ও অনুমতি নিতে হবে। হনুমানের অনুমতি না-নিয়ে ও পুজো না-করে রামের দর্শন ও পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ডে বলা হয়েছে, বজরংবলী রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত। তাই রামের দর্শন ও আশীর্বাদ লাভের জন্য বজরংবলীর দর্শন ও আশীর্বাদ নিতে হয়। এ কারণে হনুমানগড়িতে বজরঙ্গবলীর পুজোর পর রামের দর্শনের পরম্পরা প্রচলিত। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপ্রথম হনুমানগড়িতেই পুজো দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলগুলিতেও সরাসরিভাবে সম্প্রচার করা হবে। শনিবারই এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন যোগী সরকারের কারামন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি। সে রাজ্যের বন্দীরাও সরাসরি দেখতে পাবেন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্ত। উত্তরপ্রদেশের কারামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে। তারাও দেশের নাগরিক। তাই তাদের এই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জেলগুলিতে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যারা বন্দী হয়ে রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী নয়। যখন কোনও ঘটনা ঘটে তখনই তারা অপরাধী হয়ে যায়। তাই পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় এদের এক ঘরে করে রাখার কোনও মানে হয় না। সে কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’’

    বুথে বুথে সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাম জন্মভূমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতিটা বুথস্তরে সরাসরি ভাবে সম্প্রচারিত করবে করা হবে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৫০০ মিটার হেঁটে রাম লালাকে (Ram Mandir) কোলে করে তা গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে বিজেপি।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    রামনগরী অযোধ্যা-দুই

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল, মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। যে দিকেই তাকাই, শুধু হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকরা কাজ করে চলেছেন। বড় সাইজের দুটো রোলার তখন উঁচু-নীচু জায়গা সমতল করতে ব্যস্ত। রোলার নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন, নির্দেশ দিচ্ছেন অপরজন। বাঁশের তৈরি পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে পুরো মন্দিরের পাশে উলম্বভাবে। তাতেও অজস্র শ্রমিক শেষ মুহূর্তের ছোঁয়া দিচ্ছেন। শুকনো শীতকাল, তাই প্রচুর ধুলো। অনেকের মতো তাই মুখে মাস্ক বেঁধে ফেলতে হল। মন্দিরের ঠিক বাঁদিকেই আমরা দাঁড়িয়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরার ফোকাস ততক্ষণে আটকে গিয়েছে নব নির্মিত রাম মন্দিরের দেওয়ালে। গোটা চত্বর ঘুরে দেখাচ্ছেন ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা। হাজির রয়েছেন সম্পাদক চম্পত রাই সমেত উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্য়মন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। মন্দির প্রাঙ্গণে আসার আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল, রাম মন্দির চত্বরে নির্মাণ হবে আরও ৭টি মন্দির (Ram Mandir)। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর ভবনেই সেকথা জানিয়েছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই। এবার ঘুরিয়ে দেখালেন মন্দিরগুলি ঠিক কোথায় গড়ে উঠবে। পাঠকের মনে এতক্ষণে প্রশ্ন জাগছে, রাম মন্দির চত্বরে আরও ৭টি মন্দির কার কার তৈরি হবে! এর উত্তর সেদিন সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দেয় ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। রামচন্দ্রের জীবনে অবদান রয়েছে, এমন ৭ জনের মন্দির তৈরি হচ্ছে প্রাঙ্গণে। তাঁরা হলেন, বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা।

    রাম মন্দির চত্বরে মূর্ত রামায়ণ

    যুগ বদলাচ্ছে, বদলেছে দেশ। বাংলার কথা বলতে গেলে, রোজ দুপুরে ভাতঘুমের বদলে বড়রা রামায়ণ পাঠ করতেন এবং ছোটরা তা শুনত। সে অবশ্য অনেক আগের কথা। তারপর রামায়ণ টিভিতে এল। রামানন্দ সাগরের ‘শো’ দেখতে সাদাকালো টিভির সামনে বসত সবাই। এরপরে অবশ্য কার্টুনে রামায়ণ, ছোটদের রামায়ণ, সিনেমাতে রামায়ণ এসেছে। এবার গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠবে রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই। মহাকাব্যের স্রষ্টা থেকে বনবাসে বিষ্ণুর অবতারের সঙ্গীরা সকলেই স্থান পেতে চলেছেন রাম মন্দির চত্বরে। 

    ৭ মন্দির যাঁদের তৈরি হবে, রামের জীবনে তাঁদের অবদানগুলি একনজরে দেখে নেব আমরা  

    বাল্মিকী: প্রথম জীবনে দস্যু রত্নাকর পরবর্তীকালে বাল্মিকী মুনি হয়ে ওঠেন। রামায়ণ মহাকাব্যের রচনা তিনিই করেছিলেন।

    বশিষ্ট: রামের গুরু ছিলেন বশিষ্ঠ। 
     
    বিশ্বামিত্র: রামের অপর গুরু ছিলেন বিশ্বামিত্র। ধর্মোপদেশ ছাড়াও সীতার স্বয়ম্ভর সভায় তিনি অযোধ্যার রাজপুত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

    অগস্ত্য মুনি: রাবণের আসুরিক চরিত্র সম্পর্কে রামকে প্রথম উপদেশ দেন অগস্ত্য মুনি। মুনির পরামর্শ মতোই রাম গোদাবরীর তীরে পঞ্চবটি নির্মাণ করেন।

    মাতা শবরী: দক্ষিণ ভারতের অচ্ছুত আদিবাসী এই পৌরাণিক চরিত্রের কুটিরে পৌঁছে রাম ও লক্ষণ জল খান। শবরী মাতার এঁটো ফল খেয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন রামচন্দ্র।

    নিষাদরাজ গোহু: বনবাসের সময় রাম-সীতা-লক্ষণকে গঙ্গাপার করেছিলেন নিষাদরাজ গোহু। তিনিও স্থান পাচ্ছেন রাম মন্দিরে।

    অহল্যা: রামের উপস্থিতিতে শাপমুক্ত হয়েছিলেন মহর্ষি গৌতমের পত্নী অহল্যা। তাঁর মন্দিরও থাকছে রাম মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share