Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    রামনগরী অযোধ্যা-এক

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম রাজ্যের ধারণা ছোট থেকেই শুনে আসছি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অযোধ্যায় পা রাখতেই স্বচক্ষে দেখলাম রামের রাজত্ব। রামনগরীর প্রতিটি ইট থেকে সরযূ নদীর জল, সবটাই রামচন্দ্রময়। লঙ্কাজয়ের পর রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার সময় অযোধ্যানগরী কেমন সেজে উঠেছিল, তা জানার উপায় নেই। তবে ২২ জানুয়ারি রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরার আগে উত্তেজনার পারদে যে ফুটছে অযোধ্যা, তা বোঝাই গেল। সব থেকে কর্মব্যস্ততা রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন কর্তারা। মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ‘তীর্থ ক্ষেত্র ভবন’। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কড়া নিরাপত্তার বলয়।

    ৭৫ বছরের বৃদ্ধ চম্পত রাই। যুবক বয়স থেকেই যুক্ত রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে তিনি। পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। তিনি ট্রাস্টের সম্পাদক। সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ভার তাঁর ওপরেই। সাদা ধুতি, খাদির পাঞ্জাবির ওপর শীত আটকাতে জ্যাকেট। কপালে তিলক আঁকা বৃদ্ধ হাতে মাইক নিয়ে শুরু করলে সাংবাদিক বৈঠক। পিছনে রামমন্দিরের ৭০ একর জায়গার ম্যাপ। চেয়ারে বসে ম্যাপ দেখাতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই উঠে দাঁড়ালেন সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধ। চম্পত রাইয়ের নিঁখুত বর্ণনায় উঠে এল সামগ্রিক রাম মন্দির (Ram Mandir)। জানা গেল মন্দির তৈরি হচ্ছে জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনায়। কী সেই ভাবনা?

    জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনা

    হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদতে কেরলে জন্মগ্রহণ করা আদিগুরু শঙ্করাচার্য। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ রচনা থেকে দেবদেবীর স্তোত্রের সংকলন, সবটাই করেছিলেন তিনি। গীতার ভাষ্য তিনিই রচনা করেছেন। পূজা পদ্ধতি, আচার অনুষ্ঠানের বিধি ও নিয়মও লিখে গিয়েছিলেন তিনি। জগদ্গুরু শঙ্করাচার্যের ‘পঞ্চায়তন’ ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠছে রাম মন্দির। ‘পঞ্চায়তন’ কথার আক্ষরিক মানে হল পাঁচ দেবদেবীর পুজো। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, প্রতিটি ধর্মস্থানে বা মন্দিরে পাঁচ দেবদেবীর পুজোর বিধান দিয়ে গিয়েছিলেন জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য। কোন পাঁচ দেবদেবী? এঁরা হলেন সূর্য, শঙ্কর, গণপতি, ভগবতী ও বিষ্ণু। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পাঁচদেব দেবীর আরাধনা করলেই সম্পন্ন করা যায় সম্পূর্ণ পুজো। রাম মন্দিরেরও থাকবেন এই পাঁচ দেবদেবী। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, রামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর অবতার। তাই রাম মন্দিরে আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মূর্তি থাকবে না বলেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন চম্পত রাই। হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থল ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরে জগদ্গুরুর ছোঁয়া

    ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে বলে অনুমান মন্দির কমিটির। তাই সব দিক থেকেই নিঁখুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে রাম মন্দিরকে (Ram Mandir)। প্রাচীন ভারতের ধর্মগুরু শঙ্করাচার্যের ভাবনাই প্রতিফলিত হচ্ছে রাম মন্দিরে। হিন্দু ধর্মের প্রতিটি রীতিই পালন করা হচ্ছে মন্দির নির্মাণে। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের গঠন প্রণালীরও মেলবন্ধন দেখা যাবে রাম মন্দিরে। দেশের চার কোনায় চারটি মঠ স্থাপন করে গিয়েছিলেন শঙ্করাচার্য। চারধাম যাত্রায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণার্থী রওনা হন। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় শঙ্করাচার্যের ভাবনা ও ধারণার। এবার রাম মন্দিরেও মিলবে জগদ্গুরুর ছোঁয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। শনিবারই মোদিময় হয়ে ওঠে অযোধ্যা। রামনগরীতে মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সেখান থেকে তিনি মন্দিরের উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনেরও বার্তা দেন। এর পাশাপাশি অযোধ্যা আগামীদিনে দেশের উন্নয়নে নয়া শক্তি জোগাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) অযোধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের জন্য আমাদের নতুন সংকল্প নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে নতুন শক্তির সঞ্চার করতে হবে। সেই জন্য অযোধ্যার এই পবিত্র মাটি থেকে আমি ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি, ২২ জানুয়ারি আপনারা সবাই নিজেদের ঘরে শ্রীরাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করুন।’’  এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন যে উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য এই দুই শক্তিই আগামীদিনে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর মতে, ‘‘ঐতিহ্য এবং পরম্পরার সঙ্গে আধুনিকতাকে মিশিয়েই আমাদের দেশের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অযোধ্যা নতুন শক্তি যোগাচ্ছে।’’

    স্মার্ট সিটি অযোধ্যা

    প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে সাজো সাজো রব চলছে অযোধ্যায়। ওই দিনে হোটেল ভাড়া পর্যন্ত গিয়েছে এক লাখ টাকা। তবে হোটেলে তাঁরাই থাকতে পারবেন যাঁদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) অফিসের চিঠি অথবা রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চিঠি থাকবে। তবে উদ্বোধনের পরে যে অযোধ্যায় ভক্তদের ঢল নামতে চলেছে, তা এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মন্দির তৈরি হওয়ার পর এখানে প্রচুর পুণ্যার্থী আসবেন। সেই কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে। অযোধ্যাকে স্মার্ট করা হচ্ছে। রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে, ফুটপাথ করা হচ্ছে, উড়ালপুল বানানো হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর উন্নয়ন করা হচ্ছে।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যার ভাষণে উঠে আসে দেশের প্রান্তিক গরিব মানুষদের কথাও। তিনি জানান, এদেশে ষাট সত্তর বছর আগে গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৪ কোটি মানুষের কাছে গ্যাসের কানেকশন ছিল। কিন্তু তাঁর সরকারের আমলে গত ১০ বছরে ১৮ কোটি নতুন এলপিজি গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দিয়েছে তাঁর সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি তো এখনও ঢের দেরি। নয় নয় করে আরও ২৮ টা দিন। কিন্তু সোমবার অযোধ্যায় (Ram Mandir) পা রাখতেই মনে হল, উৎসব শুরুই হয়ে গেছে। পুণ্যভূমির সর্বত্র শুধু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। দোকানে, বাড়ির দেওয়ালে, এমনকী বাড়ির দরজাতেও। বুঝতে অসুবিধা হল না, গোটা অয্যোধ্যা এখন রামচন্দ্রময়। জলে, স্থলে, আকাশে, বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই ধ্বনি, ‘জয় শ্রীরাম’। আগের অযোধ্যার সঙ্গে ফারাকও বিস্তর। ২২ জানুয়ারির সেই শুভ মুহূর্তটা যত এগিয়ে আসছে, কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। কারণ, প্রশাসনও জানে, ক’টা দিন পরই গোটা বিশ্ব হয়ে উঠবে অযোধ্যামুখী। তাঁদের আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই।

    রামের ঘরে ফেরা (Ram Mandir)

    ২৮টা দিন অয্যোধ্যাবাসীর কাছে অবশ্য কিছু নয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, তাঁদের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পুরাতন বাড়ি, সব জায়গায় চলছে সংস্কার। আমার মতো অযোধ্যায় পা রেখে যে কারও মনে হতেই পারে, হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অযোধ্যা (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে পার্ক, সর্বত্রই ছাপ সনাতন সংস্কৃতির। দোকানের দরজাতেও লেখা ‘জয় শ্রীরাম’। দেদার বিক্রি হচ্ছে রামচন্দ্র-হনুমানের ছবি আঁকা গৈরিক পতাকা। এ যেন সত্যিই রামের ঘরে ফেরা।

    ভগবান রাম যেন সবার (Ram Mandir)

    এখানকার মানুষ একটা বিষয় নিয়ে বেজায় খুশি। তা হল, এ শুধু রামের ঘরে ফেরাই নয়, অযোধ্যার (Ram Mandir) অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন আসছে। রামসীতা-হনুমানের মূর্তি তৈরি করেন জনৈক সন্তোষ শর্মা। তাঁর চোখেমুখে যেন খুশি ঝরে পড়ছে। তাই প্রতিবেদককে অকপটেই বলে দিলেন, ‘‘আগের থেকে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’’ রামনগরীতে ঢোকার মুখে দিব্য কুণ্ড জলাশয় বাঁধানোর কাজ চলছে। দেখলাম, সেটাও প্রায় শেষের দিকে। শ্রমিকরা বললেন, ‘‘গত ১ বছর ধরেই চলছে কাজ। আর কয়েক দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ প্রশাসনও নিরাপত্তার নিরিখে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই পথের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল পুলিশি ব্যারিকেড। বুঝলাম, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামনগরী। অযোধ্যার অলি-গলি-তস্য গলি চষে বেড়িয়ে দেখলাম, কমবেশি সব বাড়ির ছাদেই উড়ছে শ্রীরামের ছবি বসানো পতাকা। কোনও ধনী-দরিদ্র ভাগ নেই। ভগবান রাম যেন সবার হয়ে উঠেছেন।

    ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা (Ram Mandir)

    ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট দাখিল করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, রামের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অযোধ্যার রাস্তাঘাট, পার্ক, জলাশয়, দোকান, বাড়ির ছাদ সবেতেই দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্রকে। সন্ধ্যায় পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর ধারে ভক্ত সমাগমই বলে দিচ্ছে আধ্যাত্মিক ভূমির (Ram Mandir) মাহাত্ম্য। জানা গেল, এখানে রোজই চলে সরযূ আরতি। চলতি বছরের দীপাবলি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় লেজার শো। গোটা রামায়ণকে লাইট শো-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সরযূ আরতির পরে দেখানো হয়। অযোধ্যা কি বদলে গিয়েছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন শুনে সরযূ-আরতি সমিতির সভাপতি মহারাজ শশীরকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে তো কেউই অযোধ্যা আসতেন না। দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে দেখাও যেত না। কারণ সবাই ভীত ছিলেন কখন ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে! তখন অযোধ্যার প্রতি সবাই ছিলেন একেবারেই উদাস। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, যার অবদান, কৃতিত্ব অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির। বদলেছে অযোধ্যা। পাঁচশো বছর পরে নগরী ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Airport: প্রস্তুত অযোধ্যার বিমান বন্দর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    Ayodhya Airport: প্রস্তুত অযোধ্যার বিমান বন্দর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন মন্দিরের। তার আগে খুলে যাচ্ছে অযোধ্য়ার (Ayodhya Airport) বিমান বন্দরও। পুরো বিমান বন্দরকে মন্দিরের ধাঁচে গড়ে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রথম উড়ান সম্পন্ন হবে এই বিমান বন্দর থেকে। বাণিজ্যিকভাবে উড়ান চালু হচ্ছে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে। জানা গিয়েছে, বিমান বন্দরটির অবস্থান রাম মন্দির থেকে ১০ কিমি দূরে। নাম রাখা হয়েছে, ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে।

    জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অযোধ্যায়

    ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর প্রথম বিমানটি অযোধ্যা (Ayodhya Airport) বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। দিল্লি থেকে অযোধ্যা সরাসরি ফ্লাইট ৬ জানুয়ারি এবং আহমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার বিমান যাত্রা ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য রাম ভক্ত হাজির হবেন অযোধ্য়ায়, আবার মাস কয়েক আগেই রাম মন্দিরে জঙ্গি হামলা ষড়যন্ত্রে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে। ঠিক এই কারণে অযোধ্যার বিমান বন্দরে তাই জোরদার নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে।

    বিমান বন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, বিমান বন্দরটির (Ayodhya Airport) উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৮২১ একর জমির উপর নির্মিত বিমানবন্দরে একটি ২২০০ মিটার রানওয়ে রয়েছে। টার্মিনাল ভবনও সেজে উঠছে। নাইট ল্যান্ডিং যন্ত্রপাতি, এটিসি টাওয়ার, ফায়ার স্টেশন এই সমস্ত ব্যবস্থাগুলিও গড়ে তোলা হয়েছে। কুয়াশার মধ্যেও যাতে বিমান অবতরণ করতে পারে এর জন্যও নানা ব্যবস্থা থাকছে। জানা গিয়েছে, ৬ জানুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর চালু হতেই দিল্লি থেকে বিমান অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ঠিক দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। অযোধ্যায় আসবে ১টা ১৫ মিনিটি। দিল্লি ফেরার বিমান থাকবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে আহমেদাবাদ থেকে প্রথম বিমান দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে আগামী ১১ জানুয়ারি। ৬ জানুয়ারি দিল্লি থেকে অযোধ্যা গেলে বিমানের ভাড়া পড়বে ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, এমনটাই জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিলেন বহরমপুরের হাতিনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বম্ভর কলিতা। যাত্রা শুরুর আগেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান অনেক বিশিষ্টজনই। যাঁর মধ্যে ছিলেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কও। ছেলেকে রওনা করে দেন বাবা-মা। বিশ্বম্ভরবাবুর সঙ্গী বলতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাগ, জয় শ্রী রাম লেখা পতাকা এবং তাঁর আরাধ্য বজরঙ্গবলীর মূর্তি।

    কী বললেন বিশ্বম্ভর কলিতা?

    এদিন সকালে বিশ্বম্ভরবাবু মাধ্যম নিউজ পোর্টালকে জানিয়েছেন যে, ৮৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তাঁর সময় লাগবে অনেকটাই এবং ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তিনি পৌঁছাতে পারবেন অযোধ্যায় (Ram Mandir)। বিশ্বম্ভরবাবুর আক্ষেপ, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন তিনি থাকতে পারছেন না অযোধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বজরঙ্গবলীর ভক্ত। বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি প্রতিদিন পূজা করি। তাই আমার বজরঙ্গবলীকে দর্শন করাতে চাই প্রভু রামচন্দ্রের।’’ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অত্যাচার ও হিংসার ঘটনা ঘটে চলছে তা থেকে মানুষের মুক্তির জন্য তিনি রামমন্দিরে প্রার্থনাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

    বিশ্বম্ভরবাবুর যাত্রাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই

    পেশার গাড়িচালক বিশ্বম্ভরবাবুর এই পদযাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের  সর্বস্তরের মানুষ। মাধ্যম’কে ফোনে বিশ্বম্ভরবাবু আরও জানিয়েছেন যে রামমন্দিরের আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধাম যাবেন এবং তারপরে গোরক্ষনাথ মন্দির হয়ে তিনি রামমন্দির (Ram Mandir)  দর্শন করবেন। শুক্রবারে তিনি পদব্রজে পৌঁছান বীরভূমের সিউড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তা পোস্টও করেন বীরভূম জেলা সভাপতি। ধ্রুব সাহা বিশ্বম্ভরবাবুর এই যাত্রা সম্পর্কে বলেন, ‘‘ ওনার যাত্রার সাফল্য কামনা করি। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ওনার গভীর নিষ্ঠা রয়েছে। ওনাকে গতকালই আমি স্বাগত জানিয়েছি সিউড়িতে।’’

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ লাখেরও বেশি ভক্ত সমাগমে গমগম করছে অযোধ্যা। তবে এই বিপুল তীর্থযাত্রীদের একত্রিত হওয়ার কারণ রামমন্দির নয়। চৌদ্দ কোশী (Chaudah Kosi Parikrama) পরিক্রমা উৎসবের জন্যই এই ভিড়। হিন্দুধর্ম মতে এটি একটি পবিত্র উৎসব। এই উৎসবে শ্রদ্ধার বস্তুকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। এই উৎসব সম্পন্ন হয় কার্তিক অক্ষয় নবমীতে। জনপ্রিয় উৎসব চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা ব্রত শুরু হয় গত ২০ নভেম্বর রাত্রি ২:০৯ মিনিট থেকে, শেষ হয় ২১ নভেম্বর রাত্রি ১১:৩৮ মিনিটে। ভক্তরা এই সময়ের মধ্যে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমার (Chaudah Kosi Parikrama) বিভিন্ন আচার পালন করেন। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ভক্তই রয়েছেন রামনগরীতে।

    কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর

    জানা গিয়েছে, কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর বেলা ৩টে ১১ মিনিটে এবং তা শেষ হবে ২৭ নভেম্বর ২টো ৩৬ মিনিটে। বিপুল ভক্তদের সমাগমের কারণে অযোধ্যায় ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাস দমন শাখা সেখানে সর্বক্ষণে নজরদারি চালাচ্ছে। এমনিতেই দুমাস পরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে ঠিক সে কারণেই সাজোসাজো রব চলছে এখন। উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়া ২২৭বি জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশের নামই হয়ে গিয়েছে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা মার্গ (Chaudah Kosi Parikrama)। এই পথ ধরেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তীর্থযাত্রীদের।

    তীর্থযাত্রীদের জন্য হাসপাতালগুলিতে বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে

    উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য জায়গায় জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি যদি কোনও তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে যায় ঠিক সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশের নামী মেডিক্যাল কলেজগুলির হাসপাতালের বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালগুলিতে (Chaudah Kosi Parikrama) ২০টি করে বেড সংরক্ষণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, পুরোহিত ও মহন্ত নির্বাচন করা হচ্ছে কীভাবে?

    Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, পুরোহিত ও মহন্ত নির্বাচন করা হচ্ছে কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমন্দিরের (Ram Mandir) পুরোহিত ও মহন্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ৩ হাজার প্রার্থী। যাঁদের মধ্যে ২০০ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সোমবারই এ কথা জানিয়েছে ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের জানুয়ারিতেই খুলে যাচ্ছে রামমন্দিরের (Ram Mandir) দরজা। ২২ জানুয়ারি রামের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জানুয়ারি বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে রামভক্তদের মধ্যে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। ঠিক এই আবহে সামনে এল রামমন্দিরের পুরোহিত ও মহন্ত নির্বাচনের সমস্ত রকম প্রক্রিয়া।

    কীভাবে হবে পুরোহিত ও মহন্ত বাছাই?

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাছাই হওয়া ২০০ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হবে অযোধ্যাস্থিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর ‘করসেবক পুরম’-এ। ইন্টারভিউ বোর্ডে তিনজনের প্যানেল থাকবে, এমনটাই জানিয়েছে ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। তিনজনের ওই প্যানেলে থাকবেন জয়কান্ত মিশ্র, যিনি একজন হিন্দু ধর্মের প্রচারক এবং বৃন্দাবন নিবাসী। অন্য দু’জন মহন্ত থাকবেন। মিথিলেশ নন্দিনী স্মরণ এবং সত্যনারায়ণ দাস। দুজনেই অযোধ্যার নিবাসী। ইন্টারভিউ বোর্ড ২০০ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে বাছাই করবে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে হবে এই বাছাই? সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতে নির্মিত রামমন্দিরের (Ram Mandir) পুরোহিত ও মহন্ত হওয়ার ইন্টারভিউ যে খুব সহজ হবে না, তা মানছেন অনেকেই। এখানে পুরোহিত ও মহন্ত পদপ্রার্থীদের ধর্মশাস্ত্রের জ্ঞান, পুজোর আচার বিষয়ক ধারণা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এ সমস্ত কিছুই দেখা হবে।

    পুরোহিত ও মহন্ত পদপ্রার্থীদের কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে? 

    ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সন্ধ্যা বন্দনা’, পুজোর আচার, ভগবান রামের পুজোর পদ্ধতি, রামের পুজোর মন্ত্র, রামের উপাসনায় কোন কোন আচার মেনে চলতে হয়, এই সমস্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে পুরোহিত ও মহন্ত পদপ্রার্থীদের (Ram Mandir)। যে ২০ জন প্রার্থীকে বাছা হবে, তাঁদেরকে মন্দিরের বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হবে। ছ’মাস তাঁদের প্রশিক্ষণও চলবে। যাঁরা ইন্টারভিউতে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তাঁদেরকে শংসাপত্র দেবে ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। ইন্টারভিউতে নির্বাচিত হতে না পারা প্রার্থীরাও প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রত্যেক প্রার্থী সাম্মানিক ভাতা হিসাবে পাবেন মাসিক ২ হাজার টাকা। একথা জানিয়েছেন গোবিন্দদেব গিরি, ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর কোষাধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: সিংহাসন, দরজা, স্তম্ভ সবেতেই সোনার প্রলেপ! বিশেষ চমক রামমন্দিরে

    Ram Mandir: সিংহাসন, দরজা, স্তম্ভ সবেতেই সোনার প্রলেপ! বিশেষ চমক রামমন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর কদমে চলছে রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন প্রায় ৫০০ মিটার পথ খালি পায়ে হেঁটে রামলালাকে কোলে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতে নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। অযোধ্যায় নির্মিত এই মন্দিরে (Ram Mandir) বহু চমক অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য। রামমন্দিরের বিভিন্ন কারুকার্যতে শিল্প নৈপুণ্য একেবারে ফুটে উঠেছে। সিংহাসন, মূর্তি, স্তম্ভ দেওয়াল, মন্দিরের দরজা সর্বত্র দেখা যাবে বিশেষ বিশেষ চমক।

    সোনার প্রলেপ থাকছে দরজা, থাম এবং সিংহাসনে

    ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর তরফে জানানো হয়েছে মন্দিরের দরজায় এবং থামগুলিতে থাকবে সোনার প্রলেপ। সারাদেশ থেকেই কারিগররা লেগে রয়েছেন রামমন্দির তৈরীর কাজে। রামমন্দিরের প্রতিটি তলায় থাকছে ১৮টি দরজা। জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহের দরজাটি সবথেকে বড়। গর্ভগৃহে অধিষ্ঠান করবেন রামলালা (Ram Mandir)। রামলালার অবস্থান হবে যে সিংহাসনে সেটি ৮ ফুট লম্বা সোনার প্রলেপ যুক্ত মার্বেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। গর্ভগৃহের দরজাতে যে বিশেষ নৈপুণ্য ছোঁয়া থাকবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মূল মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে ৩৫০ ফুট বাই ২৫০ ফুট এলাকায়।

    রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগে নামছে আরএসএস

    অন্যদিকে, রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি দেশের গ্রামে গ্রামে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবেন আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকরা। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৫ লাখ গ্রামে চলবে এই প্রচারাভিযান। গুজরাটের ভুজে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই ঘোষণা করতে শোনা যায় সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে। জানা গিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশের সকল ছোটবড় ধর্মস্থানগুলিতে উৎসবেরও আয়োজন করবে আরএসএস। চলতি বছরে নাগপুরে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেন, উদ্বোধনের দিন প্রত্যেক হিন্দু, বাড়িতে যেন পঞ্চ প্রদীপ অবশ্যই জ্বালান। অন্যদিকে, অযোধ্যার রামমন্দির থেকে তিনটি কলসিতে ‘অক্ষত চাল’ চলে এসেছে বাংলায়। গত রবিবার অযোধ্যায় রামজন্মভূমিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এরপরেই দেশের সমস্ত রাজ্যে সেই অক্ষত চাল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। হলুদ এবং ঘি মাখিয়ে তৈরি করা হয় এই অক্ষত। কোনও শুভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যা মঙ্গলজনক বলেই মনে করা হয়। ১০০ কুইন্টাল চাল এনে গত রবিবারই অক্ষত পুজো সম্পন্ন হয় অযোধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, কড়া নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা

    Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, কড়া নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমাস বাদেই জানুয়ারিতে রয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা। ঠিক এমন সময় গোপন সূত্রে খবর, রামমন্দিরে হামলা চালানোর ছক করছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা এবং লস্কর-ই-তৈবা হামলার ষড়যন্ত্র করছে। 

    কড়া নিরাপত্তার চাদরে রামমন্দির

    নাশকতার ষড়যন্ত্রের খবর সামনে আসতেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রামমন্দিরকে (Ram Mandir)। এমনিতেই রামমন্দিরকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা সত্ত্বেও সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এটাই নতুন নয় রামমন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ছক কষেছিল আইএসআইএস জঙ্গি মহম্মদ শাহানওয়াজ সহ তিনজন। গত অক্টোবর মাসেই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে বসে এই ষড়যন্ত্র কষা হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের মত।

    ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ফারহাতুল্লা 

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পাশাপাশি কেরলের শবরীমালা মন্দির এবং দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরও ছিল জঙ্গিদের নিশানায়। অন্তত ধৃত সন্ত্রাসবাদীদের জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন বিজেপি ও আরএসএস নেতাকে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা। রামমন্দিরের নাশকতার ব্লু প্রিন্ট প্রথম তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতেই। এর মাস্টারমাইন্ড ছিল জঙ্গি ফারহাতুল্লা। সেখানেই শাহনওয়াজ সমেত তিনজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বাসিন্দা ফারাতুল্লাহ পাকিস্তানের পালিয়ে জঙ্গির প্রশিক্ষণ নেয় এবং কাশ্মীরের একাধিক যুবককেও সে ট্রেনিং দেয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে আইএসআই-এর মডিউলে সদস্য ছিল শাহনওয়াজ। গত অক্টোবরে তল্লাশির সময় গোয়েন্দারা জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে বেশ কয়েকটি বই, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ সমেত ধৃত তিনজনই বিটেক ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লিতে একটি সংস্থা চাকরি করত শাহনওয়াজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দির নির্মাণকে ঘিরে সেজে উঠছে অযোধ্যা, স্থানীয় ব্যবসাতেও বিপুল বৃদ্ধি

    Ram Mandir: রামমন্দির নির্মাণকে ঘিরে সেজে উঠছে অযোধ্যা, স্থানীয় ব্যবসাতেও বিপুল বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রামলালা কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার পথ অতিক্রম করতেও দেখা যাবে। ঠিক ২ মাস পরে হতে চলা অযোধ্যায় রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের উদ্বোধনকে ঘিরে এখন সাজোসাজো রব সেখানে। অযোধ্যার ২৫ লাখ বাসিন্দাই সাক্ষী থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতে নির্মিত রাম মন্দিরের। পাশাপাশি সারা দেশ থেকে বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে  ‘তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ এর পক্ষ থেকে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।

    অযোধ্যাকে ঘিরে বাড়ছে ব্যবসা

    সম্পূর্ণভাবে ভোলবদল করা হচ্ছে অযোধ্যার। হনুমানগড়ি মন্দির পর্যন্ত যে রাস্তা রয়েছে, সেখানকার পরিকাঠামো সম্পূর্ণভাবে বদল করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার পাশে কিছু দোকানকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজেই এই সিদ্ধান নিয়েছে যোগী সরকার। সারা বছর ধরেই রামভক্তদের ভিড় চলবে এই রাস্তায়। যাঁদের দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে যোগী সরকারের তরফে। গত কয়েক মাস ধরে হনুমানগড়িতে ব্যবসা ক্ষেত্রের অভূতপূর্ব উন্নতি দেখা যাচ্ছে এবং এর সবটাই যে রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণকে কেন্দ্র করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানকার স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, ‘‘আগে সেভাবে পর্যটকদের ভিড় এখানে থাকতো না কিন্তু এখন তাঁরা কাতারে কাতারে আসছেন। এতেই বিক্রি বাড়ছে দোকানের।’’ রাইস মহম্মদ নামে আর এক দোকানদারের দাবি, ‘‘ব্যবসার উন্নতি এখানে অসম্ভব রকমের বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী দিনেও বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।’’

    চলতি বছরে অযোধ্যায় দীপাবলিও বিশেষ হতে চলেছে

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে চার বছর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দেয় রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের। রামমন্দির নির্মাণের ভূমি পূজন প্রধানমন্ত্রী সম্পন্ন করেন ৫ অগাস্ট ২০২০ সালে। অন্যদিকে চলতি বছরের দীপাবলিও বিশেষ হতে চলেছে অযোধ্যাবাসীর কাছে। তার কারণ দুমাস পরেই উদ্বোধন রামমন্দিরের। সেদিকে থেকে তাকিয়ে এ বছর দীপাবলিতে ২১ লাখ প্রদীপ চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। এর পাশাপাশি সেখানে ‘লেসার শো’-এরও আয়োজন করা হয়েছে। তুলে ধরা হবে সম্পূর্ণ রামায়ণের কাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share