Tag: balochistan

balochistan

  • US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (US)। স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিএলএ-র সহযোগী মজিদ ব্রিগেডকেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। সোমবারই এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালেই বিএলএকে ‘স্পেশাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরটিস্ট’ বলে দেগে দিয়েছিল আমেরিকা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরেই এই বিবৃতি দেওয়া হল মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

    স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহী (US)

    বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা। গত মঙ্গলবার রাতেও বালুচিস্তানের নৌশকি জেলায় বিএলএর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার আগে গত মে মাসে বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় ১৪ জন পাক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির জেরে নাকানিচোবানি খাচ্ছিল পাক সরকার ও পাক সেনাপ্রধান। এই আবহেই বালুচ স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ঘোষণা করা হল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে।

    জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকল বিএল

    সোমবার বিবৃতি জারি করে বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকিয়ে দিল আমেরিকা। বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলও। গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই ট্রেন (US) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং সেনাকর্মী-সহ ৩১ জন নিহত হন।

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের স্বঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘোষণা করা হল এমন একটা সময়ে যখন পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে তারা বিএলএ কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তেহরান (ইরানের রাজধানী) প্রায়ই অস্বীকার করে। তবে এই সহযোগিতা এমন একটা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে যেখানে পাকিস্তান নিজেই বালুচিস্তানে (Balochistan) কঠোর দমননীতির অভিযোগের মুখে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করছে, অসামরিক জনগণকে টার্গেট করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে (US)।

  • Balochistan Killings: বালোচিস্তানে পাকিস্তানের গণহত্যা নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার

    Balochistan Killings: বালোচিস্তানে পাকিস্তানের গণহত্যা নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচ জনগণের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান সরকার, একথা বললেন মানবাধিকার কর্মী কাম্বার বালোচ (Qambar Baloch)। বালোচ অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড স্টাডি সেন্টার-এর সাধারণ সম্পাদক কাম্বার বালোচ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান ও ইরান সরকার বালোচ জনগণের ওপর প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। এবিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন (Balochistan Killings)। তাঁর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মঞ্চ বারবার এড়িয়ে যাচ্ছে বালোচদের ওপর এই অত্যাচার।

    ৩০ জুলাই লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার (Balochistan Killings)

    গত ৩০ জুলাই লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে বালোচ অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড স্টাডি সেন্টার (BASC) -এর উদ্যোগে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের শিরোনাম ছিল: “Hidden in the Shadows: Human Rights Violations Against the Baloch in Iran and Pakistan”। এই সেমিনারে কুম্বার বালোচ তাঁর মতামত তুলে ধরেন।

    সাংবাদিকদের কী বললেন বালোচিস্তানের নেতা কাম্বার বালোচ?

    সেমিনার শেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাম্বার বালোচ (Qambar Baloch) বলেন, “চলতি বছরের মে মাসে আমরা ‘বালোচ অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড স্টাডি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করি (Balochistan Killings)। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছি, এবং সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, কীভাবে ইরান ও পাকিস্তানে বালোচ জনগণের ওপর দমনপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে।”

    অত্যাচারিত পরিবারগুলিও হাজির ছিলেন (Balochistan Killings)

    সেমিনারে সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়। কাম্বার বালোচ আরও বলেন, “আমাদের গবেষণা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে বালোচ জনগণের ওপর চরম অত্যাচার চলছে। আমরা এই বাস্তবতা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তুলে ধরতে চাই এবং রাষ্ট্রসংঘের কাছেও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছি।” এই সেমিনারে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক, মানবাধিকারকর্মী, গবেষক, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকরাও অংশগ্রহণ করেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেমিনারে এমন অনেক বালোচ পরিবার উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের প্রিয়জন পাকিস্তান ও ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ‘Balochistan Killings’-এর শিকার পরিবার হিসেবে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

  • Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগেই পরিচয়পত্র দেখে বাস থেকে নামিয়ে ৯ জন পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা করেছিল বালুচ স্বাধীনতাকামীরা (Baloch Rebels)। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল ঝোব জেলার সুর-ডাকাই এলাকায় জাতীয় সড়কে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের খবরের শিরোনামে বালুচিস্তান। ১৬ জুলাই রাতের দিকে কালাত জেলার নেমারঘ এলাকায় একটি বাসে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামীরা।

    দু’দিক থেকেই বাসে গুলি (Baloch Rebels)

    বাসটিতে ছিলেন পাক সেনারা। বাসটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুয়েটা-করাচি আরসিডি জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই রাস্তার দু’দিক থেকেই বাসটিতে গুলি চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পাক সেনা নিহত হন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও অনেকেই। কড়া নিরাপত্তায় নিহত পাক সেনাদের দেহ এবং জখমদের কালাত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। তাই ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, জখমই বা হয়েছেন কতজন, তা জানা যায়নি (Pakistani Soldiers Killed)।

    বাসে ছিলেন সেনাকর্মীরাও

    পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাটিকে সাধারণ একটি বেসরকারি বাসে হামলা হিসেবে উল্লেখ করলেও, ইধি ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকারী দল ও সূত্রের খবর, বাসটিতে সেনাকর্মীদের পাশাপাশি ছিলেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি, তবে জুলাই মাসের শুরু থেকে কালাত ও আশপাশের এলাকায় সামরিক বাহিনীর ওপর একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানোর কারণে বালুচ স্বাধীনতাকামীদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই হামলার পদ্ধতি পূর্ব পরিকল্পিত। রাস্তার দু’দিক থেকে চালানো আক্রমণ যা একটি কৌশলগত জাতীয় সড়কের ওপর হয়েছে (Baloch Rebels), তা থেকে স্পষ্ট এটি একটি সামরিক পরিবহণ টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এটি বালুচ লিবারেশন আর্মির অপারেশনের বৈশিষ্ট্য।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে তুলকালাম

    গত ১১ জুলাই বালুচ স্বাধীনতাকামীরা আরসিডি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন চার ঘণ্টা ধরে। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। অবরোধ তুলতে গেলে পাকিস্তান সেনার সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের গুলির লড়াই হয়। সেদিনও নিহত হন দুই পাক সেনা। এর পরে পরেই কালাত ও খারানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে স্নাইপার হামলা, বোমা বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত হামলাও রয়েছে। এই সব অভিযানে কমপক্ষে ১১ জন পাক সেনা নিহত হন। জখমও হন ১২-১৩জন পাক সেনা (Pakistani Soldiers Killed)।

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ 

    কালাত সিভিল হাসপাতালে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে। কারণ নিহত এবং আহতদের এই হাসপাতেলেই নিয়ে আসা হয়েছিল। গণমাধ্যমের কর্মীদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে মোবাইলের নেটওয়ার্কও মাঝে মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এটি পাক প্রশাসনের একটি কৌশল, যা বড় ধরনের বিদ্রোহী দমন অভিযানের সময় প্রায়ই ব্যবহার করা হয় (Baloch Rebels)।

    কী বলছে সরকার

    পাক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাসটির তিনজন যাত্রী নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চিত করেননি, নিহতদের মধ্যে কোনও সেনা সদস্য ছিলেন কি না। যদিও উদ্ধারকারী কর্মীদের তরফে পরস্পরবিরোধী তথ্যগুলি থেকে জানা গিয়েছে (Pakistani Soldiers Killed), সরকারি বিবৃতিতে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যাটা হতে পারে তার অনেক বেশি।

    গেরিলা যুদ্ধ কৌশল

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের হামলাটি বালুচ স্বাধীনতাকামীদের, বিশেষ করে বালুচ লিবারেশন আর্মির পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে যৌথ গেরিলা যুদ্ধ কৌশলের এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছনোর ইঙ্গিত দেয়। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে বালুচ স্বাধীনতাকামীরা যেসব হামলা চালিয়েছে, সেগুলি হল – ৫ জুলাই শেখারিতে একটি সেনা চৌকিতে ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ৫জন সেনাকে হত্যা এবং আরও ৫জনকে জখম করা। ১২ জুলাই বেনচায় একটি সেনা কনভয়ের ওপর পূ্র্ব পরিকল্পিত ঘেরাও এবং হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ৩জন সেনাকে (Baloch Rebels)। ১৩ জুলাই খারানে ডিআইজি অফিস লক্ষ্য করে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। স্নাইপার হামলা এবং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংশ্লিষ্ট লজিস্টিক অপারেশনে ব্যাঘাতও ঘটানো হয় বিভিন্ন জেলায়। বালুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র আজাদ বালুচ এক বিবৃতিতে জানান, “এই সব কর্মসূচি হচ্ছে অধিকারের দখল ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ। যতক্ষণ (Pakistani Soldiers Killed) না স্বাধীন ও মুক্ত বালুচিস্তান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে (Baloch Rebels)।”

  • Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) পাকিস্তানের ভেতরে শুরু করেছে বড়সড় অভিযান—‘অপারেশন বাম’ (Operation Baam)। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে , এই অভিযানের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৭টি হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বালোচিস্তানের বিভিন্ন সরকারি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে, যা গোটা অঞ্চলকে নাড়িয়ে দেয়।

    ‘অপারেশন বাম’ শব্দের অর্থ কী?

    ‘বাম’ শব্দটি স্থানীয় ভাষায় ‘ভোর’ বোঝায়। এই নামেই অভিযান চালাচ্ছে বিএলএফ, যারা বহুদিন ধরেই স্বাধীন বালোচিস্তানের (Operation Baam) দাবি তুলে আসছে। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালোচিস্তানের তুরবাত এলাকায় এক বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নারী ও শিশু সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে বাড়িটির পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গ্রেনেড ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া সিবি এলাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। কেচ জেলার তুরবাতে মকরান ডিভিশনের এক ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারের আধিকারিক মহম্মদ ইউনুসের বাড়িও হামলার শিকার হয়। এসব হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বালোচ বিদ্রোহীরা (Operation Baam) আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

    হামলার লক্ষ্য পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন

    এএনআই জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো। বিএলএফ মুখপাত্র গওহারাম বালোচ এক বিবৃতিতে জানান, ‘অপারেশন বাম’ বিস্তৃত হবে মাকরান উপকূল থেকে শুরু করে কোহ-ই-সুলেমানের পাহাড়ি অঞ্চল পর্যন্ত।বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বালোচিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনা হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই অভিযানের জেরে অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরোতে পারেননি। আতঙ্কে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, যানবাহন চলাচল—সব কিছুই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।‘অপারেশন বাম’-এর কারণে পাকিস্তান এখন রীতিমতো কোণঠাসা।একের পর এক বিস্ফোরণ ও হামলায় সেনা ও প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে।

  • Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিন মাসের মধ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express)! বালোচিস্তানের কাছে বুধবার সকালে পাকিস্তানের (Pakistan) জাকোবাবাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল জাফর এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাক সেনা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হল?

    বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, এদিনও কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷ এমনিতে স্বাধীনতার দাবিতে অশান্ত বালুচিস্তান ৷ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর আগে মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিল ৷

    অতীতেও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস

    প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীদের। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার বড় হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসে। এর আগে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় ট্রেনে থাকা পাক সেনাদের। পালটা বালোচদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৪ জনের। যার মধ্যে ছিলেন, ১৮ জন পাক সেনা ও ৩৩ জন বিদ্রোহী।

     

  • Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা। এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরকারি ভবনের দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিএলএ বা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ঘোষণা করেছে যে শহরে পুলিশ স্টেশন, প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস সহ পুরো সুরাব শহরকেই তারা দখল করেছে। বালোচ কমান্ডাররা দাবি করেছেন যে তাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী পিছু হঠে। অভিযানের সময় একজন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হত্যার দায়ও তারা নিয়েছে (Balochistan Liberation Army)। পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্রও তারা কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

    কী বললেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচ (Balochistan)

    সুরাব শহরকে দখলের পরেই বিবৃতি সামনে আসে বিএলএ মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যোদ্ধারা সুরাবের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পাশাপাশি কোয়টা ও করাচির যে জাতীয় সড়ক, সেই সড়কের চেকপোস্টগুলি এবং টহলদারি ব্যবস্থাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

    শুক্রবার সন্ধ্যাতে চলে হামলা (Balochistan)

    প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গোটা শহর। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সড়ক যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তারা সিল করে দিয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যাতে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলিতে হামলা শুরু করে। পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

    জোর করে বালোচিস্তান দখল করে পাকিস্তান (Balochistan)

    বালোচিস্তান (Balochistan) হল পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং ইউরেনিয়াম সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় এই প্রদেশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান জোরপূর্বক এই অঞ্চলটি দখল করে। সেই থেকেই শুরু বিদ্রোহ।বর্তমানে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধরাণ করে। পাকিস্তানি সেনা ও সরকার কোনওভাবেই নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

  • Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে সেদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদও ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা এবং সরকারের পক্ষে এই প্রবণতা দমন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পশতুন প্রভৃতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। পাকিস্তানি সেনা তাদের ওপর নির্মম অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাক সরকার এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই উন্নয়ন করেনি বলে অভিযোগ। এই আন্দোলনগুলি পাকিস্তান সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাকিস্তানজুড়ে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে অনেকেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছায়া দেখছে। সেই সময় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখে মনে হচ্ছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।

    ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে গতি পেয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ। সম্প্রতি, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সরকার ও তার সেনার ওপরে ব্যাপক আঘাতে হেনেছে। এই আবহে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও ঘোষণা করে দিয়েছে। বালোচিস্তান তার স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই সিন্ধু প্রদেশ থেকে একইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়ে সিন্ধ প্রদেশে। এই সময় সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার দাবি ওঠে এবং পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিভিন্ন সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনগুলিকে দমন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বালোচিস্তানের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে পশতুনদের আবাসভূমি। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা নিজেদের জন্য পশতুনস্তানের দাবি জানিয়েছে।এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে।

    স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি বালোচিস্তানের (Pakistan)

    ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan News) যুদ্ধ আবহে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন জানায় তাদেরকে যেন গণতান্ত্রিক একটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হল পাকিস্তানের এই প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রদেশকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান সরকার, এমনটাই অভিযোগ। বালোচিস্তান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল কিন্তু ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে জোর করে পাকিস্তান এই বালোচিস্তানকে দখল করে বলে অভিযোগ। বালোচিস্তানের শাসক ছিলেন কালাত খান। কালাত খান চাপের মুখে পড়ে এবং বালোচিস্তানের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এই পাঁচটি বড় বিদ্রোহ দেখা দেয় বালোচিস্তানে। ১৯৪৮, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৩ থেকে ৭৭, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয় পাকিস্তান ও বালোচিস্তানের মধ্যে। এই সময় বালোচিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপরে হামলা শুরু করে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা। অপহরণ , লুট, হত্যা এই সমস্ত কিছুই ঘটতে থাকে।

    সিন্ধু রাজ্যের পৃথক দাবি

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে, সিন্ধু দেশ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে আসছে সেখানকার জনগণ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, একটি স্বাধীন সিন্ধু রাষ্ট্রের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। তারা জোর করে তাদের ওপরে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, সেখানকার জমি দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। পাকিস্তানের সেনা বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ।

    পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবিদের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হল পশতুনরা। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ, তাদেরও নানারকম অভিযোগ রয়েছে যে পাকিস্তান তাদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আবহে তারাও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পশতুনরা ১৮৯৩ সালে যে ডুরান্ড লাইন- এর মাধ্যমে সীমা নির্ধারণ করা হয়, তার বিরোধিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলনের নাম পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন।

    গিলগিট-বালটিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    একই চিত্র দেখা গিয়েছে গিলগিট-বালটিস্তানেও। সেখানেও পাকিস্তানের সেনা তথা সরকারকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই গিলগিট-বালটিস্তান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধশালী অঞ্চলটিকে পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত রেখেছে। উত্তরে রয়েছে আফগানিস্তানের সীমা, উত্তর-পশ্চিমে চীনের সীমা, পূর্বে রয়েছে লাদাখ এবং দক্ষিণ দিকটি কাশ্মীর দ্বারা বেষ্টিত। পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কারণে এই অঞ্চলের মানুষজন পাকিস্তান (Pakistan News) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে।

  • Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা (Baloch Liberation Army) হাইজ্যাক করেছিলেন পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express Hijack)। এই অভিযানের কোড নেম ছিল “দর্রা-ই-বোলান ২.০”। সম্প্রতি এই মুক্তি বাহিনীর মিডিয়া শাখা ‘হাক্কাল’ ৩৬ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে তাদের অভিযানের আদ্যন্ত চিত্র। এই ভিডিওতেই স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে অভিযানের সময় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব। ভিডিওটিতে পাকিস্তানের সরকারি দাবি-দাওয়াকে খণ্ডনও করা হয়েছে।

    ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (Baloch Liberation Army)

    ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ট্রেনের ভিতরে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছে। প্রথমেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য রয়েছে। অথচ পাক সেনা দাবি করেছিল, ঘটনাটি নৃশংস।আস্ত একটা ট্রেন হাইজ্যাক করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এক বালোচ স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের সংগ্রাম ও যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে (Baloch Liberation Army) পৌঁছেছে যেখানে আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদের তরুণরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। কারণ তারা জানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। একটি বন্দুক থামাতে আর একটি বন্দুকের প্রয়োজন। বন্দুকের গুলির শব্দ হয়তো এমন এক জায়গায় পৌঁছতে পারে।”

    বালোচদের বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বালোচ তরুণরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শত্রুর ওপর আঘাত হানার, কোনওরকম দ্বিধা বা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই। আজ যখন একজন ছেলে তার বাবাকে পেছনে রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে যাচ্ছে, তেমনি একজন বাবা-ও তার ছেলেকে পেছনে রেখে এই সংগ্রামের জন্য আত্মবিসর্জন দিচ্ছেন।” সংগঠনটি তাদের ফিদাঁয়ে ইউনিট মাজিদ ব্রিগেডের সদস্যদের নাম, ছবি এবং বিদায়বার্তা প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম। কারণ তাদের অভিযান ছিল শক্তিশালী এবং নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত (Jaffar Express Hijack)।

    যদিও পাক সেনার মুখপাত্র ডিজিআইএসপিআরের বক্তব্যের সঙ্গে এই বক্তব্যের বিস্তর অমিল ধরা পড়ে। কারণ পাক সেনা দাবি করেছিল, বালোচ লিবারেশন আর্মি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে (Baloch Liberation Army)।

  • Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ইসালামাবাদ আরও একটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সেটি হল বালুচিস্তান সঙ্কট (Balochistan Conflict)। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানের একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। এই বালুচিস্তানের সঙ্গেই দক্ষিণ ভারতের সংযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পাকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানজুড়ে এই অঞ্চলটির সীমানা। এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশগুলির একটি হওয়া সত্ত্বেও, তুলনামূলকভাবে অনুন্নত এবং জনবসতিহীন (South Indian Links)। ‘ব্রাহুই’ একটি দ্রাবিড় ভাষা, যা পার্সো আরবি লিপিতে লেখা হয় বলে ধারণা করা হয়। পাকিস্তানের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই ভাষা ব্যবহার করেন। এর সিংহভাগই থাকেন বালুচিস্তানে। যেহেতু ব্রাহুই ভাষার মধ্যে দ্রাবিড় ভাষাগুলির সাসৃশ্য রয়েছে, সেহেতু এটি দুই অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

    দ্রাবিড় ভাষাবিদের বক্তব্য (Balochistan Conflict)

    দ্রাবিড় ভাষাবিদ রবিশঙ্কর এস নাইয়ার জানান, এই বিষয়ে দুটি তত্ত্ব নিয়মিত আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, “প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতীয়রা এই অঞ্চল (বালুচিস্তান) থেকে অভিবাসিত হয়েছে, আর একটি তত্ত্ব বলছে বালুচ জনগণ দক্ষিণ ভারত থেকে অভিবাসিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী প্রথম তত্ত্বটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য।” তিনি জানান, এই অভিবাসনের সময় হতে পারে ২০০০ বছর আগে। নাইয়ার বলেন, “যদিও আমরা ব্রাহুই ভাষাটিকে দ্রাবিড় ভাষা বলে থাকি, এখন এর মধ্যে দ্রাবিড় উপাদান খুব কমই আছে। কিছু শব্দের প্রতিফলনের ক্ষেত্রে — যেমন মালয়ালম ভাষায় ‘কানুকা’ — এর সঙ্গে সংযোগ দেখা যায়। বাকি অংশে পশতু ও বালোচি ভাষার প্রবল প্রভাব পড়েছে। ফলে শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।” তিনি বলেন, “যেসব মৌলিক শব্দ দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে কিছু মিল আছে, যদিও তা এখন অনেক কম (South Indian Links)।”

    স্বাধীনতার দাবি

    প্রসঙ্গত, বালোচ (Balochistan Conflict) অঞ্চলটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বহু আগেই একটি বিচ্ছিন্ন সমাজব্যবস্থার জন্য পরিচিত ছিল। অষ্টাদশ শতকে এই অঞ্চলের গোত্রগুলো একজোট হয়ে একটি নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করে। ১৮৮৪ সালে বালুচিস্তান ব্রিটিশ ভারতের অংশ হয়ে গেলেও, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক বালুচ নেতা অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় এই প্রদেশটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। তার পর থেকেই জোরালো হয়েছে স্বাধীন বালুচিস্তানের (Balochistan Conflict)।

  • Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে ভারতের পড়শি এই দেশে গৃহযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত (Baloch Rebels)। মাস দুয়েক আগে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এবার পাকিস্তানের আস্ত একটা শহরেরই দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের পতাকা খুলে সেখানে ওড়ানো হয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ঝান্ডা। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার কয়েকজন সদস্যকে।

    পাক সেনার অস্ত্র লুট (Baloch Rebels)

    সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ডেথ স্কোয়াড। কোয়েটা-করাচি হাইওয়েতে সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে পাক সরকার বা সেনার কোনও যোগ পাওয়া গেলেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চার নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণ গিয়েছে বালোচ আর্মির গুলিতে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা আবদুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে। পাক সেনার হয়ে আলোচনা চালাতেন তিনি। বালোচ লিবারেশন আর্মি বহুদিন ধরে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে।

    পোস্ট ভাইরাল

    এই আবহে অজয় কল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট ভাইরাল হয়েছে (Baloch Rebels) সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বালোচ আর্মির লোকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এটি বালুচিস্তানের কলাট জেলার মাঙ্গোচর শহর। যেখানে বালুচিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল। প্রধান সড়কগুলির নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে, একটি ব্যাঙ্ক ও আদালতের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।”

    গত ২৮ এপ্রিল পাসনি এলাকায় মহম্মদ নওয়াজ নামে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বিএলএ। পরিচয় লুকিয়ে বিদ্রোহীদের ডেথ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করতেন নওয়াজ। তারপর (Pakistan) থেকেই নতুন করে বিএলএর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ (Baloch Rebels)।

     

LinkedIn
Share