Tag: balochistan

balochistan

  • Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) বিভিন্ন কোম্পানির ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিল বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন ফ্রন্ট। টাওয়ারগুলি ছিল বালুচিস্তান প্রদেশের কেচা জেলার তহশিল দস্ত এলাকায়। বুধবার এমনই দাবি করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট পাকিস্তানি মোবাইল কোম্পানি ইউফোন এবং চিনা কোম্পানি জংয়ের মোবাইল টাওয়ারে হামলাও চালিয়েছে। এই টাওয়ারগুলি রয়েছে কেচা জেলার দস্ত ক্যাম্বেল, জান মহম্মদ বাজার, প্রিন্ট বাজার এবং জরিনবাগ এলাকায়। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের দাবি, ওই টাওয়ারগুলির সমস্ত মেশিনারি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডরে থাকা ইউফোনের একটি টাওয়ার এবং সাংগাই বাজার এলাকায় জং কোম্পানির একটি মোবাইল টাওয়ারও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের।

    বালুচিস্তান (Balochistan)…

    বালুচিস্তানের (Balochistan) বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইছে চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা ও সৈন্যদের স্বার্থেই এটা করতে চাইছে দুই প্রতিবেশী দেশ। বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্যও ওই টাওয়ারগুলি ব্যবহার করা হয়। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডর রক্ষা করা ও মোবাইল টাওয়ারগুলি বসানোর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বালুচিস্তান ও বালুচদের উন্নতি প্রকল্পেই এই টাওয়ারগুলি বসানো হয়েছিল। প্রশাসন এও প্রচার করেছিল, এলাকায় লুঠতরাজ রুখতে এবং বালুচবাসীর সম্পদ রক্ষার স্বার্থেই বসানো হয়েছিল টাওয়ার।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ২০২১ সালের জুন মাসেও বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট দাবি করেছিল, এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসাতে যাওয়ায় মার্গেটস চোখবি ওয়াধা কোম্পানি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তাদের যোদ্ধারা। ধরে নিয়ে গিয়েছিল ওই মোবাইল কোম্পানির ৬ জন সদস্যকেও। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র আজাদ বালুচ জানিয়েছিলেন তাঁরা যাঁদের ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন গুল শাহ খান, আবদুল আদি এবং কোয়েট্টার বাসিন্দা মেহরাজ, জোব কুইলা সইফুল্লা, কোয়েট্টারই মহম্মদ ইউসুফ, গুজরাটের আমানত আলি এবং কুইলা সফিউল্লার রহমতউল্লা। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এও জানিয়েছিল দখলিকৃত বালুচিস্তানে (Balochistan) চিন এবং পাকিস্তানের কোনও কোম্পানি যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা না করে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, তারই প্রতিশোধ নিতে এদিন জ্বালিয়ে দেওয়া হল ৬টি মোবাইল টাওয়ার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে ঘটল ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। রবিবার ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। এদিন ভোরবেলা একটি বাস কোয়েটা থেকে করাচিতে যাচ্ছিল। সেই বাসে ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে সিন্ধ প্রদেশের বালোচিস্তানের কাছে একটি পিলারে ধাক্কা দেয় বাসটি। ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপরই বাসে আগুন লেগে যায়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে, দেহাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি কার দেহ। সকালে দুর্ঘটনার পর তিন জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে একজন মহিলা এবং একজন শিশুও আছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ভোর ৪ টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হামজা অঞ্জুম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে অনুমান, লাসবেলার কাছে বাসটি দ্রুতগতিতে ইউ টার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারে ধাক্কা দিয়ে পাশের উপত্যকায় গড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ৪১ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো চেনার বাইরে। এক শিশু-সহ ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাসের জানলা দিয়ে টেনে তাঁদের বের করা হয়। মৃতদেহগুলিকে করাচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে অনুমান করা হয়েছে, বাসের গতি অনেকটা বেশি ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পাকিস্তানে এমন দ্রুত গতির জেরে পথ দুর্ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। বর্তমানে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ও আত্মীয়রা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share