Tag: Bangkok

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

  • Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের হাতে বন্দি (Thai Captives) ছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়। শেষমেশ ঘুঁচল বন্দিদশা। রবিবার গাজা (Gaza) থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ থাই নাগরিক। এদিন সকালে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক থায়েন্না, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, সারুসাক রুমনাও এবং বান্নাওয়াত সায়েথাওকে তাঁদের স্বাগত জানান পরিবারের সদস্যরা।

    থাই নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন (Thai Captives)

    এক বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরায় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। দেশের মাটিতে পা রাখার পর পংসাক বলেন, “জন্মস্থানে ফিরতে পেরে আমরা সকলেই গভীরভাবে মুগ্ধ। আমি আর কী বলব জানি না। আমরা সবাই সত্যিই কৃতজ্ঞ।” ছেলেকে আর বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চান না সোমবুন। উত্তর থাইল্যান্ডের নান প্রদেশের এই প্রৌঢ় বলেন, “আমি আর আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাব না।”

    বন্দিদশা ঘুঁচল

    গত মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের এই পাঁচজন। টানা ১৫ মাস ধরে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজারায়েলের সঙ্গে গাজার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ। পরে স্বাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেই চুক্তির কারণেই বন্দিদশা ঘুঁচল হামাসের হাতে বন্দি থাকা এই পাঁচ থাই নাগরিকেরও। থাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা বন্দিদের ফিরিয়ে এনেছেন ইজরায়েল থেকে। নাগরিকরা দেশে ফিরে আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। বলেন, “এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত … তাঁরা তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। এটি (Thai Captives) তারই ফল।”

    প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “দেশের পাঁচ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় আমরা উল্লসিত। ধন্যবাদ ইজরায়েল, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাদের জন্যই আমাদের দেশের নাগরিকদের বন্দিদশা ঘুঁচল।” জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডে ফেরা পাঁচ নাগরিকই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সরকার আগামী কয়েক মাস ধরে তাঁদের ওপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তাই এই নজরদারি।

    ইজরায়েলে কাজের খোঁজে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন সব মিলিয়ে মোট ৩১জন থাই নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের বন্দি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেই। গত মে মাসে বন্দি দশায়ই মৃত্যু হয় দুজনের (Gaza)। পাঁচজন ফিরলেন দেশে। থাই প্রশাসনের আশা, বাকিদেরও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে (Thai Captives)।

LinkedIn
Share