Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বিহারে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষা (Bihar Electoral Revision) বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনে, সংক্ষেপে ‘SIR’, উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভোটার তালিকায় নাম থাকা ১৮ লক্ষ মৃত ব্যক্তি এখনো তালিকায় রয়েছেন। এর পাশাপাশি, ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের (ECI) তথ্যে জানা গেছে, ৭ লক্ষ ভোটারের নাম দুটি স্থানে একসঙ্গে রয়েছে।

    মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন

    ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ECI) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৯৭.৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের নাম তালিকায় যাচাই করা হয়েছে। বাকি ২.৭০ শতাংশ এখনো যাচাই বাকি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (Bihar Electoral Revision) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫২.৩০ লক্ষ ভোটার তালিকায় রয়ে গেছেন, যাঁরা আসলে বাতিল হওয়ার কথা — হয় তাঁরা মারা গেছেন, নয়তো স্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন, অথবা তাঁদের নাম দুটি জায়গায় রয়েছে।

    ১ অগাস্ট থেকে চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (Bihar Electoral Revision) জানিয়েছে, এক মাস সময় ধরে — ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত — ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে সংযোজন, সংশোধন ও অপসারণ হবে। এই পরিস্থিতিতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, আবার বিরোধীরা ভোটার তালিকার সংশোধন বা সংযোজন প্রক্রিয়ায় সম্মত হচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে ইন্ডিয়া সরকার। চলতি বছরের শেষের দিকে, অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে বিহারে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটার কার্ড ও তালিকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিহারের (Bihar Electoral Revision) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হলো বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং এলজেপি।

  • Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই রয়েছে, ‘চায়নার মালের কোনও গ্যারান্টি নেই।’ বাজারে সস্তার জিনিসকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বোঝাতেও মানুষজন ‘চাইনিজ মাল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে থাকে। এই ধারণা যে অমূলক নয়, তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণিত। সাংসারিক হোক বা সামরিক— চিনা জিনিস কোথাও নির্ভরযোগ্য নয়। একে ভরসা করেছে কী মরেছে! ঠিক যেমনটা টের পাচ্ছে ভারতের দুই প্রান্তের দুই প্রতিবেশী। হালে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের বিরুদ্ধে চিনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে একেবারে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশও টের পেতে শুরু করেছে ‘চাইনিজ মাল’-এর অর্থ। সোমবার, ঢাকার উত্তরায় একটি স্কুল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ বায়ুসেনার একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ‘এফ-৭বিজিআই’ বিমানটি চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে। সংস্থার নাম চেংডু এয়ারক্র্যাফট কর্পোরেশন। যারা কিনা পাকিস্তানকে জে-১০ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে।

    ৩৩ বছরে ২৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস

    পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক দশকে একাধিক চিনা যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বাংলাদেশে চিনা যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খতিয়ান। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৯২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের অন্তত ২৭টি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সেই সব বিমানের বেশিরভাগই চিনের তৈরি। বিশেষ করে এফ-৭, এফটি-৭ এবং পিটি-৬ মডেলের বিমানই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। গত ২০ বছরের সময়সীমা ধরলে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা ১১। তার মধ্যে ৭টি চিনের তৈরি। আবার, শেষ ১৭ বছরে ভেঙে পড়েছে চিন থেকে কেনা চারটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলে একটি এফ-৭ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে বিমানটির পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ নিহত হন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে প্রশিক্ষণের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ে। এর আগে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ বিমান ধ্বংস হয়ে তামান্না রহমান নামের এক পাইলট নিহত হন।

    রুশ মিগ-২১ বিমানের সস্তা কপি এফ-৭

    আদতে, বাংলাদেশের এফ-৭ যুদ্ধবিমানটিকে রাশিয়ার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সস্তা কপি-ও বলা যেতে পারে। সাবেক সোভিয়েতের তৈরি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে নকল করে ষাটের দশকে লাল ফৌজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল জে-৭ নামে এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানটি। পরে বিদেশেও রফতানি হয় এই যুদ্ধবিমানকে। তবে, জে-৭ নামে নয়, এফ-৭ নাম দিয়ে। চিনের তৈরি এফ-৭ যুদ্ধবিমান এক সময় অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য ছিল তুলনামূলক কম খরচে আকাশ প্রতিরক্ষার একটি সমাধান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সমাধান আজ পরিণত হয়েছে বিপদে। মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এফ-৭ জেটের দুর্ঘটনার হার বেশি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যবহার হওয়া এই বিমানটি এখন প্রায়ই শিরোনামে আসে—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণে। এর প্রধান কারণ, পুরনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা, আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি। ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থেকে শুরু করে কারিগরি এবং পাইলটের ত্রুটির সঙ্গে জড়িত অসংখ্য কারণ বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে, সোমবারের দুর্ঘটনার কারণ ঠিক কী, এখনও অবধি সবিস্তার তা জানা যায়নি।

    বাংলাদেশের মধ্যেই এবার উঠছে প্রশ্ন

    বর্তমান বাংলাদেশের কাছে ২০১৩ সালে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এফ-৭ সংস্করণের ৩৬টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। একাংশের মতে, চিনের তৈরি এই সব ফাইটার এয়ারক্র্যাফটকে যুদ্ধবিমান না বলে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলাই ভালো। সোমবারের দুর্ঘটনার পর থেকেই চিন থেকে সস্তায় সমরাস্ত্র কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই বিষয়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনা কিংবা তদারকি সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে, বাংলাদেশ মুখে কুলুপ আঁটলেও, সময়টা খারাপই চলছে চিনের, বিশেষ করে চেংডুর চিনা যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থাগুলির। প্রথমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাক বায়ুসেনার জে-১০ ও জেএফ-১৭ বিমান ভূপতিত। সম্প্রতি, মায়ানমারে বিদ্রোহীদের স্টিঙ্গার মিসাইলে ভূপতিত জুন্টার বায়ুসেনার চিনা যুদ্ধবিমান। এখন বাংলাদেশে দুর্ঘটনার কবলে চিনা যুদ্ধবিমান। গত কয়েক মাসে, চিনা যুদ্ধবিমান সংস্থাগুলির শেয়ারের মূল্যে বিরাট পতন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারেই চেংডুর শেয়ার দর ২ শতাংশ পড়েছে।

    খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায়…

    সামান্য কিছু খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায় চিন থেকে একের পর এক মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কিনেই চলেছে বাংলাদেশ। তার ফলে খেসারত দিতে হচ্ছে সেদেশের বায়ুসেনাকেই। তবে, সোমবারের ঘটনার পর চিন থেকে সরে অন্য দেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে বাংলাদেশ, এমন খবর সেদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি অবশেষে চিন থেকে মন উঠল মহম্মদ ইউনূসের? কিছুদিন আগে পর্যন্ত তো চিনে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব তথা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন তিনি? এবার কি তাহলে ‘চিনা মাল’-এ ভরসা রাখতে পারছেন না মহম্মদ ইউনূস? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।

  • Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাকাণ্ডে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই খারাপ অবস্থার সময়ে ভারত সবরকমভাবে পাশে থাকতে রাজি। সেই মতো এবার মহম্মদ ইউনূসের দেশে ভারত থেকে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের টিম। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসক এবং নার্সদের দলকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, তাঁরা এরকম পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। শীঘ্রই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও পাঠাচ্ছে ভারত।

    সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি

    সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণরত একটি বিমান। ফলে আগুন ধরে যায়। দগ্ধ হয় অনেক পড়ুয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১২ বছরের নিচে। আহতের সংখ্যা ২০০-র মতো। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার প্রায় ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তরার ওই স্কুলের অনের শিশু আহত হয়। বেশিভাগই অগ্নিদগ্ধ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
    এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও ব‌লেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’

    বার্ন-স্পেশালিস্ট ডাক্তার ও মেডিক্যাল টিম

    মোদি সাহায্যের বার্তা পাঠানোর পরে দুই দেশের বিদেশ সচিব স্তরে যোগাযোগ বজায় ছিল টানা। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন। যে কোনও দরকারে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথাও জানিয়ে দেন। কী ধরনের চিকিৎসার সাহায্য প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছিল ভারত। তার উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু জখমরা সকলেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, সেই কারণে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আলোপ আলোচনা চলার পরই ভারত সেই দেশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে কাজ করার অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমে দিল্লির দুজন ডাক্তার রয়েছেন- একজন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এবং অন্যজন সফদরজং হাসপাতালের। প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে বলে ভারতের তরফে থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    ভারতেও চিকিৎসার আশ্বাস

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ভারতের বিশেষ চিকিৎসার সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ তাঁরা সুপারিশ করলে আহতদের ভারতে নিয়ে আসার দরজাও খুলে দিচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকী প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য ভারত আরও এরকম বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেড়েছে দূরত্ব। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক লড়াই। বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল ভারত বিরোধিতার সুর। সবকিছুকে উপেক্ষা করে, প্রতিবেশীর বিপর্যয়ে সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারত।

  • Islamabad: “আমাকে শুধু গুলি করতে পারো”, পরিবারের হাতে খুন হওয়ার আগে পাকিস্তানি তরুণীর শেষ কথা

    Islamabad: “আমাকে শুধু গুলি করতে পারো”, পরিবারের হাতে খুন হওয়ার আগে পাকিস্তানি তরুণীর শেষ কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতটা পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান, আবারও তা সামনে এল। চোখে পড়ল মধ্যযুগীয় নৃশংসতা। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি মর্মান্তিক “অনার কিলিং”-এর ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভালবেসে করে বিয়ে করার “অপরাধে” পরিবারের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন এক তরুণ-তরুণী।

    কী ঘটেছিল

    ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকটি এসইউভি ও পিকআপ ট্রাক থেকে কিছু লোক একদল মানুষের সামনে একটি নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে এক দম্পতিকে নামিয়ে দেয়। তরুণীর মাথায় ওড়না ঢাকা। তাকে একটি কোরানের কপি দেওয়া হয়। তিনি সেটি হাতে নিয়ে সামনের দিকে হাঁটতে থাকেন। ব্রাহাভি উপভাষায় তরুণী বলেন, “আমার সাথে সাত কদম হাঁটো, তারপর তুমি আমাকে গুলি করতে পারো।” কিছুদূর হাঁটার পর তিনি আবার বলেন, “তুমি আমাকে শুধু গুলি করতে পারো, এর বেশি কিছু না।” তার কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি পিস্তল তুলে তার পিঠে গুলি চালায়। কাছ থেকে পরপর তিনটি গুলি ছোড়া হয়, এবং তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ভিডিওতে আরও গুলির শব্দ শোনা যায় এবং এক রক্তাক্ত তরুণকে তরুণীর পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশেপাশের লোকজন তখন চিৎকার করে উল্লাস প্রকাশ করে।

    মানবাধিকার কর্মীদের ক্ষোভ

    ঘটনাটি চলতি বছর মে মাসের। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা দ্রুত এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন। এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত তরুণীর নাম বানো বিবি এবং তরুণের নাম আহসান উল্লাহ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর ভাই তার বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে একটি স্থানীয় গোষ্ঠীপতির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সর্দার সাতকজাই নামের সেই গোষ্ঠীপতি এ হত্যার নির্দেশ দেন। ওই সর্দার ও নিহত তরুণীর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান নাভিদ আখতার। মানবাধিকার কমিশন অব পাকিস্তানের (HRCP) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে অন্তত ৪০৫টি অনার কিলিং-এর ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি, কারণ এসব ঘটনার অনেকটাই রেকর্ডে আসে না।

  • Chanda Kochhar: ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও ছন্দা

    Chanda Kochhar: ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও ছন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে গিয়ে ঘুষ (Videocon Bribe Case) দিতে হয়েছিল ৬৪ কোটি টাকা! এই মামলায় আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি তথা সিইও ছন্দা কোচরকে (Chanda Kochhar) দোষী সাব্যস্ত করল আপিল ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের এই ঋণ ছন্দা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দিয়েছিল ভিডিওকন সংস্থাকে। ওই টাকা আবার ভিডিওকন পাঠিয়ে দেয় ছন্দার স্বামী দীপক কোচরের সংস্থাকে। এই মামলায় ইডির তরফে ছন্দার যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই সিদ্ধান্তকে বৈধ বলেও জানিয়ে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

    ঋণ বাবদ ভিডিওকনকে ৩০০ কোটি টাকা (Chanda Kochhar)

    ২০০৯ সালের ২৭ অগাস্ট আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফে ঋণ বাবদ ভিডিওকনকে মঞ্জুর করা হয় ৩০০ কোটি টাকা। অভিযোগ, এর ঠিক পরের দিনই ভিডিওকনের তরফে ৬৪ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দীপকের সংস্থা নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলসকে। ট্রাইব্যুনালের তরফে এই ঘটনাকে ঋণের বদলে ঘুষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ছন্দাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনালের তরফে জানানো হয়, ঋণ মঞ্জুরের নামে যে ঘুষ নেওয়া হয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই অপরাধের যাবতীয় তথ্য-প্রমাণও হাতে এসেছে।

    কী বলল ট্রাইব্যুনাল?

    ট্রাইব্যুনালের তরফে জানানো হয়েছে, ছন্দা ঋণ মঞ্জুর করার সময় ভিডিওকনের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রকাশ করেননি। এতে ব্যাংকের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে। ছন্দা একথা বলতে পারেন না যে তিনি তাঁর স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কোচর দম্পতির ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেই সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ছন্দা (Chanda Kochhar) ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল আর এক (Videocon Bribe Case) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁদের গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে জানিয়ে ছন্দাদের জামিন দিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট। এবার ঋণ সংক্রান্ত ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন ছন্দা (Chanda Kochhar)।

  • Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় (Mumbai Train Blasts Case) অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। ২১ জুলাই ওই রায় দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। উচ্চতর আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত পশ্চিম রেলওয়ের উপনগর ট্রেনে সাতটি আরডিএক্স বোঝাই বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ১৮৯ জন। জখম হয়েছিলেন ৮০০-র বেশি মানুষ। ওই মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে (Mumbai Train Blasts Case)

    অথচ, ২০১৫ সালে বিশেষ মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৭জনকে। প্রায় এক দশক ধরে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর পরিকল্পিত ওই জঙ্গি হামলায় অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে ওই রায় দেয় নিম্ন আদালত। সেই মামলাই যখন বোম্বে হাইকোর্টে উঠল, তখন বেকসুর খালাস পেয়ে গেল অভিযুক্ত ১২ জনই। ২১ জুলাই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তিযুক্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে গিয়ে দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। তারা জানিয়েছে, মামলায় নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব ছিল এবং এটিএসের তদন্তে ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি।

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    ২২ জুলাই, মঙ্গলবার (Mumbai Train Blasts Case) সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে তুলে ধরেন। জরুরি শুনানির আবেদন জানান স্পেশাল লিভ পিটিশনের। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রস্তুত রয়েছে। দয়া করে আগামিকালই তালিকাভুক্ত করুন। এটি জরুরি।” সলিসিটর জেনারেলের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এই আবদেনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বোম্বে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব (Maharashtra)। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে সুপ্রিম কোর্টে।” তার পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার (Mumbai Train Blasts Case)।

  • Pakistan: পাকিস্তানে পালাবদলের ইঙ্গিত, জারদারিকে হঠিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলেছেন মুনির?

    Pakistan: পাকিস্তানে পালাবদলের ইঙ্গিত, জারদারিকে হঠিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলেছেন মুনির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) কি পালাবদল হতে যাচ্ছে? সে দেশের একটি সূত্রের খবরে ইঙ্গিত, ইতিমধ্যেই গঠিত হয়ে গিয়েছে একটি নীরব অভ্যুত্থানের রূপরেখা। এই জল্পনার ফোকাসে রয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir)। সম্প্রতি তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি, উচ্চ পর্যায়ের কাজকর্ম, কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি এবং দৃশ্যমানতার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি – এই সব মিলিয়ে ইসলামাবাদে পট পরিবর্তনের একটি জল্পনা জোরালো হয়েছে।

    জোরালো হয়েছে অভ্যুত্থানের গুঞ্জন (Pakistan)

    গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মুনিরের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তার পর থেকে আরও জোরালো হয়েছে অভ্যুত্থানের গুঞ্জন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে সেনাপ্রধানকে। যদিও এ সব পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের গতিবিধি দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের ক্ষমতার কাঠামো পুনর্গঠিত হতে পারে। সেখানে মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দেশের অসামরিক প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের কর্তৃত্ব আরও জোরদার করতে পারে।

    জল্পনার কারণ

    এহেন জল্পনার একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এমন দৃষ্টান্ত পাকিস্তানে আগেও তৈরি হয়েছে। ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলে করেন আয়ুব খান। পরে তিনি নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আয়ুব খানেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন মুনির। তিনি ইতিমধ্যেই পাক সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল পদেও উন্নীত হয়েছেন। মুনিরই হলেন পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যিনি আয়ুব খানের পথে হাঁটছেন। সেই কারণেই ছড়িয়েছে যাবতীয় জল্পনা। পাক সেনার সব প্রধান পদে কোনও না কোনও সময় থেকেছেন মুনির। তিনি পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন। ছিলেন কোর কমান্ডারের সর্বময় কর্তাও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি প্রতীকী ও কৌশলগত উভয় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে দেশটির শক্তিশালী সামরিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    আয়ুবের সঙ্গে তুলনা মুনিরের

    কেন ১৯৫৮ সালের আয়ুবের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ২০২৫-এর মুনিরের? রাজনৈতিক মহলের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে মুনিরের (Pakistan) সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই। চলতি বছরের শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, তুরস্ক, ইরান এবং আজারবাইজানের মতো ইসলামি রাষ্ট্র কিংবা মুললিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সফর করেছেন (Asim Munir)। ওই দেশগুলিতে তিনি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছেন বলে খবর। এহ বাহ্য! সম্প্রতি মুনির গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি সফরে। এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রে তাঁর সঙ্গে না ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, না ছিলেন পাকিস্তানের অন্য কোনও পদাধিকারী। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এশিয় দেশগুলিতে মুনিরের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিও ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানের কূটনৈতিক আচরণে একটি নয়া মোড় এসেছে। শুধু তাই নয়, ফোকাসে রয়েছেন পাকিস্তানের সেনা সর্বাধিনায়ক মুনির।

    মুনিরকে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের

    চমকের আরও বাকি আছে। গত মাসে মুনিরকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনাটি একটি বিরল কূটনীতির অঙ্গ। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাধারণত ভোজে আমন্ত্রণ জানান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। মুনির রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও সেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এতেই পাকিস্তানে পালাবদলের জল্পনার পারদ আরও চড়তে থাকে। হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুম এবং ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মুনিরের বৈঠক হয়। এটাও বিশ্বমঞ্চে মুনিরের গুরুত্বকে তুলে ধরে (Asim Munir)। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এখনও এই ধরনের কোনও আমন্ত্রণ পাননি হোয়াইট হাউস থেকে। মুনিরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বিবৃতি জারি করে পাক সেনাবাহিনী, ১০ জুলাই (Pakistan)। অথচ, রীতি অনুযায়ী, এটি করার কথা পাক বিদেশমন্ত্রকের। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রককে স্রেফ অন্ধকারে রেখেই এহেন ব্যতিক্রমধর্মী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাক সেনা।

    ইমরান খানের অভিযোগ

    মুনিরকে নিয়ে জল্পনা ছড়ানোর আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি অভিযোগ। বর্তমানে তিনি বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বন্দি অবস্থায় যদি তাঁর কিছু হয়, তাহলে তার দায় নিতে হবে মুনিরকেই। একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এহেন দাবি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পালাবদলের ইঙ্গিত দেয় বই কি! তাছাড়া, মুনির যেভাবে একের পর এক একক কূটনৈতিক মিশনে অংশ নিচ্ছেন, তাতে আরওই স্পষ্ট হচ্ছে যে মুনিরের রাষ্ট্রপতি পদে বসার চিত্রনাট্যটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত (Pakistan)।

    চিত্রনাট্যটি মঞ্চায়িত হয় কিনা, এখন তাই দেখার (Asim Munir)।

  • India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: চিন সীমান্তের (China) গা ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ করছে ভারত (India)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি, যার নাম দৌলত বেগ ওল্ডি (সংক্ষেপে ডিবিও)। লাদাখে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অস্ত্র, বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। এই আবহে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর অদূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।

    লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এই রাস্তা

    এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের (India)। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখে অবস্থিত গাপসান ক্যাম্প থেকে এই রাস্তাটি সরাসরি ডিবিও পর্যন্ত যাবে। এই রাস্তাটি ১৩০ কিলোমিটার লম্বা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই রাস্তা তৈরি করছে এবং তারা জানিয়েছে, নতুন এই রাস্তাটি লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।

    সহজেই পৌঁছানো যাবে রসদ (China)

    এতদিন পর্যন্ত এই দুর্গম পথে যাতায়াত করতে সময় লাগত প্রায় দুই দিন। পাহাড়ি ভূখণ্ড, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)-তে পৌঁছানো ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। কিন্তু এই নতুন বিকল্প সড়ক তৈরির ফলে সেই দীর্ঘ যাত্রা অনেকটাই সহজ এবং দ্রুততর হয়ে উঠবে। এই পথ ব্যবহার করে এখন মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ডিবিও-তে পৌঁছানো যাবে। এই রাস্তা নির্মাণ শুধু সময় সাশ্রয়েই সাহায্য করবে না, ভারত যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর নজরদারির ক্ষমতা বাড়াতে পারবে—তাও নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। সীমান্তবর্তী এই স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে দ্রুত রসদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সেনা সহায়তা এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাবে। চিনের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, এই রাস্তা কেবল প্রতিরক্ষার দিক থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (India)।

    নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে, বহন করবে আরও বেশি ভার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী যানবাহন ও কামান চলাচলের সুবিধার্থে এই নয়া রাস্তায় নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে, এতদিন যা ৪০ টন ভার বহন করতে পারত, তা এখন ৭০ টন পর্যন্ত বহন করতে পারবে। সিয়াচেন সেনা ক্যাম্পের কাছে নুব্রা উপত্যকার শাসুমা থেকে এই রাস্তাটি শুরু হয়েছে এবং লেহকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম না করেই ডিবিও-র সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

    প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, চরম আবহাওয়াতেও এই রাস্তা কার্যকর থাকবে। জানা গিয়েছে, ১৭ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে বছরে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস কাজ চালানো সম্ভব হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে ‘অক্সিজেন ক্যাফে’।

    দেশের সীমান্তে রাস্তা তৈরি হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে

    এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, সারা দেশে (India) এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ কখনো একভাবে হয় না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, আর সেই কাজ তদারকি করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। লাদাখের এই নতুন সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও তাদের হাতেই।

    আগামী বছরেই তৈরি হয়ে যাবে এই রাস্তা

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে গালওয়ান সংঘর্ষ ঘটে। সেই আবহেই এই নির্মাণকাজ শুরু করে BRO। এই রাস্তা একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বহু সুবিধা মিলবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষত লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন, কবে সম্পূর্ণ হবে এই নতুন সড়ক? প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বিকল্প পথ তৈরির কাজ ধাপে ধাপে শুরু করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না, আর তার বড় কারণ আবহাওয়া। তবুও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এই রাস্তা এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরেই বিকল্প এই পথ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

  • Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বড়সড় ধর্মান্তকরণ চক্র ফাঁস করেছে আগ্রা পুলিশ। এই আবহে দিল্লি থেকে ধর্মান্তকরণ চক্রের (Islamic Conversion) মাস্টারমাইন্ড আবদুল রহমানকে (Abdul Rehman) গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আবদুল রহমানের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং সেখানে ধর্মান্তরের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে পরে তাদেরকেই এই চক্রে কাজে লাগানো হত। এরমধ্যে কলকাতার দুজনের নাম সামনে এসেছে। যাদের হিন্দু থেকে মুসলিম করা হয়। পরে তাদেরকেই ধর্মান্তকরণের কাজে লাগানো হয় (Islamic Conversion)।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১ জন (Islamic Conversion)

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ফিরোজাবাদের বাসিন্দা আবদুল রহমান আগে হিন্দু ছিল এবং তার নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, এরপর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। জানা গেছে, এই চক্রে সে কলিম সিদ্দিকীর সংস্পর্শে আসে। তারপরেই কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য, কলিম সিদ্দিকী বর্তমানে জেলবন্দি এবং ধর্মান্তকরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল রহমানের ভাগ্নে বর্তমানে লন্ডনে থাকে এবং সন্দেহ করা হচ্ছে, ধর্মান্তকরণ চক্র চালানোর জন্য বিদেশি তহবিল সংগ্রহে সে সহায়তা করত। তদন্তের স্বার্থে এটিএস ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বর্তমানে দিল্লি ও কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, হেফাজতে থাকা ১০ জন ব্যক্তি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে (Islamic Conversion)। বর্তমানে তারা ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে (Abdul Rehman)।

    হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে কাজে লাগানো হত চক্রে

    এই দশজনের মধ্যে অনেকেই আগে হিন্দু ছিল এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের মগজধোলাই করা হয়েছিল এবং পরে এই চক্রে নিয়োগ করা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছিল—ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমেই ‘জান্নাত’-এর দরজা খুলবে। এজন্য তারা দুর্বল ব্যক্তিদের লক্ষ্য করতে শুরু করে এবং নতুনভাবে সম্পর্ক তৈরি করে। আবদুল রহমানের বাড়ি থেকে পুলিশ মমতা নামে এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে, যাকে হরিয়ানা থেকে আনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকেও ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। ধর্মান্তকরণ উৎসাহিত করে এমন বহু বইও উদ্ধার করা হয়েছে (Islamic Conversion)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় তদন্তকারীরা ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের অনেকের পূর্ব পরিচয় সামনে এনেছেন। দেখা গিয়েছে, এদের অনেকেই একসময় হিন্দু ছিলেন। যেমন—

    গোয়ার এসবি কৃষ্ণাকে ধর্মান্তরিত করে ‘আয়েশা’ করা হয়।

    কলকাতার শেখর রায়কে ‘আলি হাসান’ করা হয়।

    দেরাদুনের রূপেন্দ্র বাঘেলকে ‘আবু রহমান’ করা হয়।

    জয়পুরের পীযূষ সিং পানোলকে ধর্মান্তরিত করে ‘মোহাম্মদ আলি’ করা হয়।

    দিল্লির মনোজকে ধর্মান্তরিত করে ‘মুস্তাফা’ করা হয়।

    কলকাতার রিত বণিককে ধর্মান্তরিত করে ‘মহাম্মদ ইব্রাহিম’ করা হয়।

LinkedIn
Share