Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ২৪ ঘণ্টা ভারত এবং ভারতবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের (Indo-Pak Conflicts) আবহে এমনটাই জানালেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ (ISRO chairman V Narayanan)। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-এর (ISRO) প্রধান জানান, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কৌশলগত উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজের প্রথম মহকাশ স্টেশনও পেয়ে যাবে বলে প্রত্যয়ী নারায়ণ।

    ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর

    সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইসরো চেয়ারম্যান জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। ইসরো প্রধান বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমাদের তা পূরণ করতে হবে। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে। সমগ্র উত্তর ভাগের উপর আমাদের লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।” ইসরো প্রধানের মতে, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের ভূমিকা

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে পাকিস্তানের (Indo-Pak Conflicts) তাবড় জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সেনার স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দিয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ছবি। ভারতীয় সেনার তরফেও বিভিন্ন স্যাটেলাইট-মাধ্যমের ছবি তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন সশস্ত্র সংঘাত পর্বে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় প্রযুক্তি বিজ্ঞান, নতুন নতুন অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষার জন্যই শুধু ১০টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই উপগ্রহগুলি সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজর রাখছে। যাতে শত্রুপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকতে পারে।’’ যেমন- সীমান্তের ছাউনিতে পাক সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি বা যুদ্ধাস্ত্রের পজিশন পরিবর্তন তাও জানা সম্ভব স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’-সহ পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাতের প্রতিটি পদক্ষেপ ও তার অভিঘাতের প্রমাণ স্বরূপ স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এমনকী, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিকেই টার্গেট করা হয়েছিল সে প্রমাণও ভারত স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমেই গোটা বিশ্বকে দিয়েছে।

    জাতীয় নিরাপত্তায় উপগ্রহ

    নারায়ণ জানান, ইসরোর (ISRO) বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। যেমন কৃষি টেলি মেডিসিন, টেলি এডুকেশন ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের স্যাটেলাইট। এছাড়াও পরিবেশে নজরদারি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিভিশন সম্প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের জন্য ভারতের স্যাটেলাইটগুলি রয়েছে। তিনি বলছেন, স্যাটেলাইটের ভূমিকা দেশকে বহু স্তরে সুবিধা এনে দিয়েছে। নারায়ণের কথায়, “দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের স্যাটেলাইটকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে। স্যাটেলাইট আর ড্রোন টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব।” ইসরো সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইসরো ১২৭টি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে কেবল সরকার পরিচালিত মিশনই নয়, বরং বেসরকারি কোম্পানি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি উপগ্রহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি উপগ্রহ লো আর্থ অরবিটে (LEO) এবং ২৯টি জিওসিনক্রোনাস আর্থ অরবিটে (GEO) অবস্থিত। এই উপগ্রহগুলির অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ নজরদারিও। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জায়গায় আকাশপথে নজর রাখতে পারে ইসরো। এই ১২৭টি উপগ্রহের রয়েছে কার্টোস্যাট (CARTOSAT) এবং রিস্যাট (RISAT) সিরিজের মতো শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে এমিস্যাট (EMISAT) এবং মাইক্রোস্যাট (MICROSAT) সিরিজও রয়েছে। এগুলি পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও নানা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়।

    পাঁচ বছরে আরও ৫২টি উপগ্রহ আসছে

    ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) এর চেয়ারম্যান পবন কুমার গোয়েঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছেন আরও উন্নত ৫২টি নতুন উপগ্রহ শীঘ্রই আসছে। মহাকাশ-ভিত্তিক নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী পাঁচ বছরে এগুলি কক্ষপথে ছাড়া হবে। নতুন উপগ্রহগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে সীমান্তে পর্যবেক্ষণ ও সামরিক অভিযানেও কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে ভারত।

  • PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে ব্যাপকভাবে প্রত্যাঘাত করার পরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণে নয়া দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট হল গোটা পৃথিবীর সামনে। পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং যে তাদের সন্ত্রাস তোষণকে কোনওভাবেই বাঁচাতে পারবে না তাও স্পষ্ট হয়ে উঠল। সোমবারের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাক ভূখণ্ডের এতটা অভ্যন্তরে গিয়ে এই ব্যাপক সামরিক অভিযান স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমন দুঃসাহসিক অভিযান মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারতকেই বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠিত করল। ভারতীয় সেনা সাংবাদিক সম্মেলনে আগেই জানিয়েছে মাত্র ৯০ মিনিটেরও কম সময়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১১টি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয় তারা। দেশের সামরিক ইতিহাসে অত্যন্ত অভূতপূর্ব এই ঘটনা।

    পরমাণু হুমকি ফাঁকা আওয়াজ

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাষণেও উঠে এল সেই নতুন ও শক্তিশালী ভারতের কথাই। অপারেশন সিঁদুরের হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এতেই বোঝা গিয়েছিল ভারত এখন পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেইলকে একেবারেই পাত্তা দেয় না। মোদির ভাষণেও ধরা পড়ল সেই একই কথা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই ব্ল্যাকমেলিং বিগত কয়েক দশক ধরে সফল হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) আমলে তা একেবারেই ভেঙে গিয়েছে। তাদের পরমাণু বোমা যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয় তা প্রমাণিত হয়েছে। ঠিক এই কারণে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে ভারতীয় সেনার গর্জন।

    আগে এমন হুমকি দিয়ে সফল হলেও, মোদি জমানায় বদলাল চিত্র

    বিগত দশকগুলিতেও এদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলেছে। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে এবং সেদেশের প্রত্যক্ষ মদতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হয় এদেশে ২০০৮ সালে মুম্বইতে। ভয়ঙ্কর সেই সন্ত্রাসী হামলায় ১৭১ জন মানুষের মৃত্যু হলেও কোনও রকমের পাল্টা প্রত্যাঘাত থেকে বিরত থাকে মনমোহন সরকার। কারণ ছিল একটাই, পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মোদি (PM Modi) জমানায় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিংকে একেবারে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। অনেকেই তাই বলছেন, পরমাণু ব্ল্যাকমেলিং নয়, পাকিস্তানের এই ফাঁকা আওয়াজ আসলে পরমাণু বোকামি।

  • PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে।” সোম-সন্ধ্যায় (India Pakistan Ceasefire) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস ও আলোচনা) এক সঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।”

    স্টেট স্পনসর্ড টেররিজম (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের বড় উদাহরণ হল পহেলগাঁওকাণ্ড। প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।” সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। আকাশ, জল থেকে মাটি – সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নয়া নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবারও জবাব দেওয়া হবে। ভারত আর কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না।”

    পাকিস্তান ব্যর্থ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান আমাদের স্কুল-কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দিরকে নিশানা করল। এখানেও ওরা ব্যর্থ হল। দুনিয়া দেখল, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল ভারতের কাছে ধুলিসাৎ হল। আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “তিনদিনে পাকিস্তানের যা হাল করা হয়েছে, তা ওরা ভাবতেই পারেনি। এখন ওরা বাঁচার রাস্তা খুঁজছে। গোহারা হেরে যাওয়ার পর ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বরস্থ হন। তার আগেই আমরা পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পৃথিবীতে বড় বড় সব সন্ত্রাসবাদী হামলা একই সুতোয় বাঁধা। তাই ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের হেড কোয়ার্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান হতাশ। এই অবস্থায় ওরা আরও একটা ভুল করেছে। ভারতকে সঙ্গ দেওয়ার বদলে ভারতের ওপরই হামলা করল।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের প্রাপ্তির জন্য, সেনার পরাক্রমকে আমরা উৎসর্গ করেছি দেশের সব মা, সকল মহিলাদের। স্ত্রী, সন্তানের সামনে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ে। আমার কাছে এটা ক্রূরতা। জঙ্গিরা বুঝে গিয়েছে, মা-বোনেদের সিঁদুর মোছার পরিণাম কী।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে (India Pakistan Ceasefire) সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে এবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আজ বুদ্ধপূর্ণিমা, শান্তির পথও যুদ্ধ দিয়েই হয়।”

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতের আইনে তারা বিদেশি হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিদেশি আইন অনুযায়ী তাদের ডিপোর্টেশন অপরিহার্য (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ ৮ মে নির্ধারিত বহিষ্কার বন্ধে দায়ের করা জরুরি আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ জুলাই।

    আবেদন উত্থাপন (Supreme Court)

    প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেস এবং প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদনগুলি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গনসালভেস আদালতের এই অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে চরম সীমা অতিক্রম আখ্যা দেন। পূর্ববর্তী রায়ে আদালতের এই জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ভূমিকাকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ভূষণ এও উল্লেখ করেন, মণিপুরের পক্ষ থেকে দাখিল করা একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন।

    বিচারপতি দত্তের মন্তব্য

    আবেদনকারীদের ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর নির্ভরতার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, “আদালত এই বিষয়টি অস্বীকার করে না যে অভিবাসীরা শুধুমাত্র এই নথির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোনও স্বস্তি দাবি করতে পারেন না।” ভূষণ রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত গণহত্যা কনভেনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যা ভারত দ্বারা অনুমোদিত, এবং আদালতকে এর বিধানগুলি বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে বিচারপতি কান্ত সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের মাটিতে অভিবাসীদের থাকার অধিকার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি ভারতের আইনের অধীনে তাদের থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বহিষ্কার করা হবে।” বিচারপতি দত্তের গলায়ও এই মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। তিনিও বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় আসা বিদেশিদের মতো রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারের যুক্তি

    সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল আবেদনকারীদের যুক্তির বিরোধিতা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলির উল্লেখ করেন তাঁরা। ওই রায়গুলিতে অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া থামানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তারা ফের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের কথা বলেন, যে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ (Supreme Court)।সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্যও নয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী স্বীকৃতি প্রশ্নের মুখে।” তিনি বলেন, “বহিষ্কারের বিরুদ্ধে অধিকারটি মূলত বসবাসের মৌলিক অধিকারটির সঙ্গে যুক্ত, যা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই সংরক্ষিত।”

    সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ

    ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবনের অধিকার প্রযোজ্য বলে স্বীকার করলেও, বেঞ্চ তাদের বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফলে আদালত জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থা বিদেশি আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, আটক ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসন এবং বিদেশিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় আইনের প্রাধান্যকে তুলে ধরে (Supreme Court)। ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর আবেদনকারীদের নির্ভরতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকারীরা ত্রাণ দাবি করতে পারবেন না, এমন কোনও কিছুই অস্বীকার করা হয়নি।”

    গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত

    ভূষণের যুক্তি, ভারত কর্তৃক অনুমোদিত গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কান্ত একটি চূড়ান্ত রায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, “যদি তাদের (রোহিঙ্গাদের) এখানে থাকার অধিকার থাকে, তবে তা স্বীকার করা উচিত। এবং যদি তারা তা না করে, তারা পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং আইন অনুসারে নির্বাসন দেবে।” বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, তারা (রোহিঙ্গারা) সকলেই বিদেশি এবং যদি তারা বিদেশি আইনের আওতায় আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে বিদেশি আইন অনুসারেই। এদিন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় বসবাসের অধিকার কেবলমাত্র তার নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যা ইঙ্গিত দেয় যে অ-নাগরিকদের বিদেশি আইন অনুসারে পরিচালিত করা হবে (Supreme Court)।

  • Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সংকটজনক অবস্থা উঠে আসছে। তা সে আর্থিক সংকট হোক কিংবা সেদেশের অন্দরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু পাকিস্তান বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার মাদ্রাসা (Pakistans Madrasa) শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সে দেশে উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে মাদ্রাসাগুলি সদা ব্যস্ত। সাধারণভাবে মাদ্রাসাগুলিতে হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসাগুলিতেই জন্ম নেয় উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সেদেশের সংদসদে দাঁড়িয়ে জানান, সেনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তান রক্ষা করবে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত।

    জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর! পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সামনে আসে। এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে,পাকিস্তানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে। এই মাদ্রাসাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তকমা দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য সে দেশের দরিদ্র পড়ুয়াদের বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদেরকে খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। গরিব দেশ পাকিস্তানের বেশিরভাগ দরিদ্র পড়ুয়া তাই এভাবেই পাকিস্তানের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাগুলি একটি বিকল্প বিদ্যালয়ের আকার নিয়ে নিয়েছে সেখানে। এই ভাবেই যে সরকারি স্কুল ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। এখানেই গড়ে উঠছে জেহাদি কার্যকলাপ। শিশুমনে বপন করা হচ্ছে মৌলবাদের বীজ। শুধু তাই নয়, জেহাদি হিসেবে নিয়োগ করার অন্যতম কারখানা হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে যারা আসছে তাদেরকে এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে তারা একজন জেহাদি হয়ে উঠছে, সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছে। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলাতে অন্যতম দোষী ছিল আজমল কাসভ। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির হাতে খড়ি হয় মাদ্রাসা থেকেই। তার প্রাথমিক হাতে খড়ি সম্পূর্ণ হয় করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসা।

    সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলির নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে

    সমস্ত মাদ্রাসাকে নিয়ে যে সমস্যা এমনটা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এখান থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা জেহাদি হওয়ার জন্য প্রথম খড়ি নেয়। এই মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামিক ব্যবস্থায় শিক্ষাদান করা হয়। এখানেই শেখানো হয় ভেদাভেদ। সংজ্ঞায়িত করা হয় ইসলামের শিয়া, সুফি, সুন্নি। পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় অমুসলিমদের কাফের কেন বলা হয়। পাকিস্তানের (Pakistan) এই মাদ্রাসাগুলি থেকেই জন্ম নেয় ভারত বিরোধিতা। হিন্দু প্রধান দেশ ভারতবর্ষ তাদের কাছে কাফের। এখানেই জন্ম নেয় জঙ্গি মতাদর্শ। তাই একথা বলাই যায়, মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবা কিংবা জইশ-মহম্মদ অথবা তালিবান- এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর কাছে একটি নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে। রিপোর্ট বলছে, মাদ্রাসাগুলি থেকে জেহাদি তৈরির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব অংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

    অসংখ্য মাদ্রাসা চালায় মাসুদ আজাহার

    মাদ্রাসাগুলিতে (Pakistans Madrasa) ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এরকম অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। যেমন, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহার। এই জঙ্গি নেতা ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা মাসুদ আজহার ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়। পাকিস্তানে বহু মাদ্রাসা মাসুদ আজাহার চালায় বলে জানা যায়। যেগুলি থেকে জঙ্গি তৈরি হয় এবং এগুলিই পাকিস্তানের কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেনা ব্যর্থ হলে মাদ্রাসা ছাত্ররা যুদ্ধ করবে, এমন বয়ানে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলিই জঙ্গি তৈরির আতুঁড়ঘর। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বিবৃতি আদতে পৃথিবীর কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি।

    বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক মাদ্রাসাগুলি

    প্রসঙ্গত, এভাবেই পাকিস্তানের জেহাদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা মাদ্রাসা থেকেই নেয়। আজকের দিনে তাই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানে যেভাবে মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি তৈরি আঁতুড়ঘর করে ফেলেছে, সেই সমস্যা কি শুধু একা পাকিস্তানের নাকি সমগ্র পৃথিবীর? বিশেষত ভারতবর্ষকে একথা গ্রহণ মানতেই হবে যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নয় এটা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার দিকটিও উঠে আসছে। পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি যেভাবে জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন এবিষয়ে ভারতবর্ষের পদক্ষেপ করাও প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ, অঞ্চল ভিত্তিক পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তোলা এবং কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।

  • Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠক (Joint Military Briefing) করলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। উপস্থিত ছিলেন জল-স্থল ও আকাশ – তিন বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। সফল (DGMO) অপারেশন সম্পর্কে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, “আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু পাক সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নামে।” তিনি বলেন, “আফশোস এই যে পাক সেনা জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই উচিত বলে মনে করল। এই লড়াইয়ে তারা নিজেরাই ময়দানে নামল। আজ পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী।”

    মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা (Joint Military Briefing)

    ভারতে ছিল মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা। লো লেভেল গান থেকে শুরু করে সারফেস টু এয়ার মিসাইল – সবই ছিল। এয়ার কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের লং রেঞ্জ মিসাইল, কপ্টার, ড্রোন সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউই আঘাত হানতে পারেনি। আমাদের আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব সময় কাজ করেছে।” প্রমাণ হিসেবে এদিন এয়ার মার্শাল একগুচ্ছ ছবিও দেখিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে চিনা পিএল-১৬ মিসাইল। জায়ান্ট স্ক্রিনে তার টুকরোগুলোও দেখানো হয়। দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের ছোড়া একটি রকেটের টুকরোও। পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসের কতটা ক্ষতি হয়েছে,  তাও দেখিয়েছেন (Joint Military Briefing) এয়ার মার্শাল একে ভারতী।

    কী বললেন ডিজিএমও? 

    ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, “পাকিস্তানের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা যেহেতু লাইন অব কন্ট্রোল পার না করেই আঘাত করেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম পাকিস্তানও বর্ডারের ওপার থেকেই হামলা করবে। তাই এয়ার ডিফেন্স জোরদার করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান পরপর আমাদের বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে হার মানতে হয় তাদের।” ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সব সিস্টেম পার করলেও এয়ারফিল্ডে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তান। এমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।” ভারতের সব এয়ারফিল্ড সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “বিএসএফের ডিজি থেকে শেষ জওয়ান পর্যন্ত প্রত্যেক সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে জঙ্গি কার্যকলাপের চরিত্র বদলেছে। এখন সাধারণ মানুষকে নিশানা করে জঙ্গিরা। পাক হামলা প্রতিহত করতে বিএসএফের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’’

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদও। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, “শত্রুপক্ষের কোনও বিমান কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম ভারত।” এয়ার মার্শাল বলেন, “প্রয়োজন হলে আমাদের সব মিলিটারি বেস পরবর্তী (DGMO) মিশনের জন্যও প্রস্তুত হয়ে (Joint Military Briefing) যাবে।”

  • Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনা ঘাঁটির বিভিন্ন তথ্য ও ছবি তুলে দেওয়ার কারণে পাঞ্জাব (Punjab Police) থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জনকে। জানা গিয়েছে, ওই দুজনের নাম গুজালা এবং ইয়ামিন মহম্মদ। এই দু’জন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ একই অপরাধে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী জানাল পাঞ্জাবের প্রশাসন?

    পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) ডিজিপি গৌরব যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দুই অভিযুক্তের। পাকিস্তান থেকে সেনার বিভিন্ন ছবি ও তথ্যের বিনিময়ে দু’জনকে টাকাও পেমেন্ট করা হত বলে জানা গিয়েছে। মালেরকোটলার এসএসপি গগন অজিত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গুজালাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দ্বিতীয় অভিযুক্ত ইয়ামিন মহম্মদের খোঁজ পায় পুলিশ (Punjab Police)। সেনার এই গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এই দুজনে। এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে কোচিতে গ্রেফতার এক

    অন্যদিকে, কোচির বন্দর পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে সে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের বাসিন্দা মুজিব রহমান কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ নাগাদ ফোন করে এবং জানতে চায় আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান ঠিক কোন জায়গায়! মুজিব রহমান ফোনে জানায়, তার নাম রাঘবন। সে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করছে বলে জানায়। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ফোন কল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে আটক মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল বিরাট অধ্যায় (Virat Kohli)। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর বিরাট কোহলিও সোমবার সমাজমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। রাখলেন না বিসিসিআই-এর অনুরোধ। দেশের হয়ে আর সাদা জার্সিতে দেখা যাবে না ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। সাদা জার্সিটা তুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে এই সিদ্ধান্ত জানান ‘চেজ মাস্টার’।

    বিদায়-বার্তায় কী লিখলেন কোহলি 

    সমাজমাধ্যমে কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

    হাসিমুখেই বিদায়!

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তারপর কোহলির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব এতটাই ছিল যে, খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই মরিয়া হয়ে কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। যাতে জুন-জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল অনভিজ্ঞ না থেকে যায়, বোর্ডের তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে খবর। তবে, দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়নি। বরং, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোহলিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, খারাপ ফর্মের কারণে ভারতের টেস্ট দলে তাঁর জায়গা পাওয়ার নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজে কোহলি পাঁচটি টেস্টে সাকুল্যে ১৯০ রান করেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩-এর সামান্য বেশি। আসলে সেই ১৯০ রানের মধ্যে ১০০ রান বিরাট একটি ইনিংসেই করেছিলেন। বাকি সিরিজে তাঁর সার্বিক অবদান ৯০ রানের। তবে পারফরম্যান্স যাই হোক তিনি কিং কোহলি। মাঠে তাঁর উপস্থিতি যে কোনও দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর।

    খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়

    সচিন-গাভাসকর পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ম্যস্ট্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগঘন এক পোস্টে লিখলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা এক হৃদয় নিয়ে সরে যাচ্ছি, এই খেলাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি মাঠ শেয়ার করেছিলাম তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এই ফরম্যাট থেকে সরে আসার পরে মনে হচ্ছে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি সর্বস্ব দিয়েছি এই ফরম্যাটে এবং এই ফরম্যাট আমাকে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ শেষে কোহলি লেখেন, ‘‘আমি সবসময় আমার টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবো।’’ দিনান্তে কোহলির নামের পাশে লেখা রইল ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ। ৯২৩০ টেস্ট রানের মালিক তিনি। ৩০টি সেঞ্চুরি তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট পরিক্রমা শেষ হল কোহলির। মাঝে কেটে গেল দীর্ঘ ১৪ বছর।

    সচিনের একশোয় একশো ধরা হল না

    সচিনের একশোয় একশো ধরা আর হল না কোহলির। বিরাট (Virat Kohli) লিখলেন, #২৬৯, সাইনিং অফ। আসলে টেস্টে বিরাট যে ভারতীয় দলের ক্যাপ পরতেন, সেটার নম্বর ছিল ২৬৯। কারণ তিনি ভারতের ২৬৯তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট খেলেছিলেন। কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাও যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিজের টেস্ট ক্যাপের ছবি দেখিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল ২৮১। কারণ ভারতের ২৮১ তম খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের টেস্টে অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চান তিনি। সে কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আগেই জানান কোহলি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। কয়েক দিন আগেই রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এই অবস্থায় কোহলিকে হারানো মানে এক ধাক্কায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে বিশাল অভিজ্ঞতা সরে যাওয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

    নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোহলি

    ব্যাটার কোহলিকে (Virat Kohli) আর লাল বলে দেখা না গেলে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। এমনটাই মনে করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তাই লারা বলেছিলেন, কোহলিকে বুঝিয়ে টেস্টে আরও খেলতে রাজি করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, কেরিয়ারের বাকি সময়টা কোহলি টেস্টে ৬০-এর বেশি গড়ে রান করবে। তবে লারার সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন শূন্যতা। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। সচিনের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কিন্তু কোহলির পর সেই শূন্যতা কি পূরণ করতে পারবেন গিল, যশস্বীরা?

  • Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে (Ramakrushna Dasmohapatra) ৩০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হল। জগন্নাথ ধাম লেখা থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন দিঘার মন্দিরে উদ্বোধনে হাজির ছিলেন! এই মর্মে তাঁর কাছ লিখিত জবাব চায় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মতো সেবায়ত রামকৃষ্ণ জবাবও দেন বলে জানা গিয়েছে। তবে উত্তরে খুশি নয় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কঠোর পদক্ষেপ করা হল তাঁর বিরুদ্ধে। পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বরখাস্ত হওয়ার ফলে কী কী করতে পারবেন না রামকৃষ্ণ দাস?

    জানা যাচ্ছে, আগামী এক মাস ধরে, রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র (Ramakrushna Dasmohapatra) মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অথবা কোনও পুজো বা সেবায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাদ্দি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেবায়েতের বিরুদ্ধে মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্ত অরবিন্দ পাদ্ধি নিজেই করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুরীর মন্দির প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা চিরাচরিত নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েতকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    সমাজমাধ্যমে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, “দিঘা জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার বিতর্কে অনৈতিকভাবে জড়িত থাকায় দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। পুরীর (Puri) মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ ধামের পবিত্র রীতি-নিয়ম পালনের বিষয়ে তিনিই সব জানান। পরে স্থানীয় প্রশাসন অপপ্রচার শুরু করে। দিঘা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে পুরীর জগন্নাথ ধামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ধর্মীয় ভাবাবেগে রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র আঘাত করেছেন।” এরপর শুভেন্দু লেখেন, “এই দ্বৈতাপতিকে সাসপেন্ড করে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায় এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবে খুশি হবে।”

LinkedIn
Share