Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষর করতে দু’দিনের জন্য ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্যই হল ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। ব্রিটেন থেকে তিনি যাবেন ভারত মহাসাগরের বুকের দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। মহম্মদ মুইজ্জু জমানায় ভারত-মলদ্বীপ তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক মজবুত করতেই ব্রিটেন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। ২৬ জুলাই তিনি যোগ দেবেন দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে।

    ব্রিটেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ’২৩-’২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ব্রিটেনে। স্বাক্ষর করবেন এফটিএ-তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তা হবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ব্রিটেনে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমে যাবে। ভারতে বিক্রি করা সহজ হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো ব্রিটিশ পণ্যও। প্রসঙ্গত, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে গত তিন বছর ধরে এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মূল লক্ষ্য হল, দেশীয় বাজারে প্রবেশাধিকার অর্জনের পথ মসৃণ করা এবং উভয় দেশের জন্য বাণিজ্য সহজ ও উন্নত করা।

    এফটিএ-র লক্ষ্য

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশেরই লক্ষ্য হল একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কমিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ভারত (PM Modi) ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতের ৯৯ শতাংশ রফতানি করা পণ্যের ওপরই ট্যাক্স কমে যাবে। ব্রিটেন থেকে আমদানি সহজতর হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো পণ্যের (FTA)।এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘ তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চলেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাজারেই সুগম হবে পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ। কেন্দ্রের দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে একটি উন্নততর বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দুই দেশের এই চুক্তি কেবল যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করবে তাই নয়, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতাও আরও দৃঢ় হবে।

    মোদিকে আমন্ত্রণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই কারণেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে থাকাকালীন অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। খতিয়ে দেখবেন কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অগ্রগতি। একটি সূত্রের (PM Modi) খবর, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে। ষোড়শ শতকের এই প্রাসাদোপম বাড়িটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কান্ট্রি রেসিডেন্স। স্টার্মারের পাশাপাশি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পরে চলতি বছরের দীপাবলির আগে ভারত সফরে আসবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “সফরের সময় মোদি-স্টার্মারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মত বিনিময়ও করবেন (PM Modi)।”

    চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই

    উল্লেখ্য, গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি বিবৃতিতে (FTA) বলা হয়েছিল, “টেলিফোনে মোদি-স্টার্মার আলোচনার পরে চূড়ান্ত হয়েছে চুক্তির রূপরেখা।” তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার লিখেছিলেন, “একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা কমানোই আমাদের পরিবর্তিত পরিকল্পনার অংশ।”

    কে কী রফতানি করে

    মনে রাখতে হবে, ভারত ব্রিটেনে রফতানি করে চর্মজাত জিনিস, কাপড়, জুতো, খেলনা, সামুদ্রিক পণ্য, দামি জহরত এবং গয়না। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানি করে স্কচ হুইস্কি, জিন, জাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ি, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী, চকোলেট এবং নরম পানীয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। তবে স্থানীয়দের স্বার্থের কথা ভেবে আপেল, চিজ, দুগ্ধজাত পণ্য চুক্তির আওতায় আনেনি ভারত। আর তাই এগুলি আমদানির ক্ষেত্রে মিলবে না কর ছাড় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাতে অনুমোদন দিতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে। ছাড়পত্র লাগবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টেরও। তবেই কার্যকর হবে চুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তা কার্যকর হতে বছরখানেক সময় লাগবে (FTA)।

  • NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর আরও এক বিরল কৃতিত্ব। ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেবে শক্তিশালী পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ নিসার (NISAR) অর্থাৎ নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) এবং মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) যৌথভাবে তৈরি করেছে এই কার্যকরী উপগ্রহ। আগামী ৩০ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে নিসার। ইসরো নিশ্চিত করেছে, ভারতের জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (GSLV) ব্যবহার করে বিকেল ৫:৪০ মিনিটে এই উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি হবে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী উপগ্রহ মিশন।

    বিশ্বের প্রথম দ্বৈত-ফ্রিকোয়েন্সি রেডার সহ উপগ্রহ

    নিসার উপগ্রহে রয়েছে নাসার এল-ব্যান্ড এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার প্রযুক্তির সমন্বয়, যা একসঙ্গে পৃথিবীর ভূমি ও বরফ আবরণের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র প্রস্তুত করবে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। এই রেডারগুলো একসঙ্গে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সূক্ষ্ম পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধ্বস, মেরু বরফ গলা, ভূমিকম্প ইত্যাদি নজরদারি করতে পারবে। প্রতি ১২ দিনে একবার পৃথিবীর নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করবে। এটি আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ, যা ডুয়াল এসএআর রেডার প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২,৫০০ কোটি টাকা), যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইটে পরিণত করেছে।

    নিসারের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য ও গুরুত্ব

    নিসার যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে রয়েছে,

    প্রতিবেশ ব্যবস্থার পরিবর্তন ও বায়োমাসের বণ্টন।

    ভূমিকম্প, ভূমিধস ও আগ্নেয়গিরির ফলে ভূমির বিকৃতি।

    হিমবাহ ও বরফচাদরের গতি।

    মাটির আর্দ্রতা ও ভূগর্ভস্থ জলের হেরফের।

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও শহরাঞ্চলের পরিবর্তন।

    এই ডেটা ব্যবহার হবে পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি পরিকল্পনা ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায়। উপগ্রহটি দিন-রাত, মেঘ বা আবহাওয়ার বাধা অগ্রাহ্য করে কার্যক্ষম থাকবে।

    ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি

    উৎক্ষেপণের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে ইসরো। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার আরেক নিদর্শন হিসেবে এই মিশনে ১২ মিটার ব্যাসের বিশাল ভাঁজযোগ্য অ্যান্টেনা সফলভাবে সংযোজন করা হয়েছে। নিসার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্বের গবেষক ও জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য ফ্রি ও ওপেন থাকবে। দুর্যোগের সময়ে প্রায় তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে সাহায্য করবে এই মিশন। ২০১২ সালে ইসরো এবং নাসার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ২০১৪ সালে, দুটি সংস্থার মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার অধীনে একটি রেডার ভারতে এবং অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করার কথা ছিল। আমেদাবাদের এসএসি (SAC) সেন্টারের পরিচালক ডঃ নীলেশ দেশাইয়ের মতে, এটি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক।

  • National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ২২ জুলাই জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনেই গৃহীত হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ভারতের গণপরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তিরঙ্গা’কে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করে। জাতীয় পতাকার (National Flag Day) বর্তমান নকশাটি তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। ‘তিরঙ্গা’ শব্দের অর্থ হল ‘ত্রিবর্ণ রঞ্জিত’।

    নিবেদিতার পতাকা (National Flag Day)

    প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা বিকশিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা কেমন হবে, তার বিভিন্ন নকশা প্রস্তাবিত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম পতাকাটি ছিল ১৯০৪ সালে, যা তৈরি করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এই পতাকাটি ছিল লাল এবং হলুদ রঙের এবং তা বিজয় ও শক্তির প্রতীক ছিল। ওই পতাকায় লেখা ছিল ‘বন্দেমাতরম’।

    বর্তমান জাতীয় পতাকায় তিনটি রঙ (National Flag Day)

    পরবর্তীতে জাতীয় পতাকার বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা রয়েছে, তাতে তিনটি রঙ দেখা যায়—গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। জাতীয় প্রতীক হিসেবে চরকার পরিবর্তে অশোকচক্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত (India) স্বাধীনতা লাভ করে এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশপ্রেমের অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে (India)

    ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশবাসীর জন্য গর্ব, দেশপ্রেম এবং জাতীয় ঐক্যের এক অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। একই সঙ্গে, এই দিনটি নাগরিক কর্তব্যকেও মনে করিয়ে দেয়। ভারতের জাতীয় পতাকা ‘ফ্ল্যাগ কোড’-এ বর্ণিত রয়েছে। ভারতীয় জাতীয় পতাকার প্রতিটি রঙের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ আছে, যা দেশের মূল আদর্শ ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

    জাতীয় পতাকার তিন রঙ কিসের প্রতীক (National Flag Day)

    এছাড়া, এটি ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ ও সংগ্রামকেও তুলে ধরে। যেমন—

    গেরুয়া রঙ সাহসিকতা ও ত্যাগের প্রতীক,

    সাদা রঙ পবিত্রতা, সত্য ও শান্তির প্রতীক,

    সবুজ রঙ উর্বরতা, বৃদ্ধি ও শুভভাগ্যের প্রতীক।

    পতাকার মাঝখানে নীল রঙের যে অশোকচক্র রয়েছে, তা জীবনের অবিচ্ছিন্ন গতির প্রতীক এবং একটি জাতির অগ্রগতিকে (National Flag Day) চিহ্নিত করে।

  • CBSE Schools: পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সিবিএসই-র নয়া নির্দেশিকা, সমস্ত স্কুলে বসাতে হবে সিসিটিভি

    CBSE Schools: পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সিবিএসই-র নয়া নির্দেশিকা, সমস্ত স্কুলে বসাতে হবে সিসিটিভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই-এর অনুমোদিত সমস্ত স্কুলে (CBSE Schools) এবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি (CCTV) বসানো হচ্ছে। সোমবার এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিএসই-এর তরফ থেকে। স্কুলগুলোকে এই নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুলের সমস্ত প্রবেশপথ, প্রস্থানপথ, শ্রেণিকক্ষ, যেকোনও করিডর এবং অন্যান্য সাধারণ জায়গাতেও অডিও-ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

    কেন এই নির্দেশিকা (CBSE Schools)

    সিবিএসই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই নির্দেশিকার লক্ষ্য হল যাতে ক্যাম্পাসজুড়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায় এবং যে কোনও ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রোধ করা যায়। ছাত্রদের যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিরাপদ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (CCTV)।

    ১৫ দিনের ফুটেজ ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস থাকতে হবে

    সিবিএসই (CBSE Schools) আরও জানিয়েছে, এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিতে কমপক্ষে ১৫ দিনের ফুটেজ ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস অবশ্যই থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ীই ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ, সমস্ত স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে যেন কমপক্ষে ১৫ দিনের ব্যাকআপ সংরক্ষণ করা যায়, যাতে প্রয়োজনে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ তা অ্যাক্সেস করতে পারে—এমনটাই বলা হয়েছে সিবিএসই-এর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে।

    পড়ুয়াদের সুরক্ষা (CBSE Schools)

    সিবিএসই জানিয়েছে, পড়ুয়াদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্কুলগুলিকে অভ্যন্তরে এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যা পড়ুয়াদের যে কোনও ধরনের নির্যাতন, হিংসাত্মক কার্যকলাপ, প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ও পরিবহন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এই প্রসঙ্গে সিবিএসই মানসিক নিরাপত্তার ওপরেও জোর দিয়েছে। তারা বলেছে, এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ শিক্ষক ও অভিভাবকদের পক্ষে পড়ুয়াদের মানসিক সমস্যা ও অসুবিধাগুলি সনাক্ত করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। সিবিএসই (CBSE Schools) জানিয়েছে, স্কুলে একটি নিরাপদ এবং সুসংগঠিত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

  • Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য, আমি সংবিধানের ৬৭(এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এখন থেকেই তা কার্যকর।” অর্থাৎ আজ, মঙ্গলবার থেকেই আর দায়িত্বে থাকছেন না ধনখড়।

    সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ

    ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত বলে জানিয়েছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। দায়িত্বে থাকাকালীন কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি লিখেছেন, “যে আন্তরিকতা পেয়েছি, যেভাবে আমার উপর আস্থা রাখা হয়েছে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যে অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের জাতির ইতিহাসের এই রূপান্তরমূলক যুগে সেবা করা সত্যিই সম্মানের।”

    ধনখড়ের কর্মজীবন

    ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে জন্ম ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar)। ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজস্থান হাইকোর্টে তাঁর দীর্ঘ আইনি কেরিয়ার রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। চন্দ্রশেখর সরকারে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীও থেকেছেন অল্প সময়ের জন্য। জনতা দল, কংগ্রেস হয়ে ২০০৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেন ধনখড়। তার মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় ১০ বছরের। বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েই রাজনৈতিক কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩৪৬ ভোটে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে তিনি পরাজিত করেন। ৫২৮টি ভোট পেয়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ধনখড়। অন্যদিকে, বিরোধী প্রার্থী ১৮২টি ভোট পেয়েছিলেন মাত্র। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত মার্চ মাসে ৭৩ বছরের ধনকড়কে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়। শুধু তাই নয়, গত মাসে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

  • Agniveer Result: ২০২৫ সালে ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে

    Agniveer Result: ২০২৫ সালে ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল (Agniveer Result) খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ বা অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। যাঁরা কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (CET) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা joinindianarmy.nic.in এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের রেজাল্ট ডাউনলোড করতে পারবেন (Agniveer Result 2025)।

    পরীক্ষার বিবরণ (Agniveer Result)

    সম্প্রতি, অগ্নিবীর ২০২৫ নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় বিভিন্ন পদে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ছিল:

    জেনারেল ডিউটি

    টেকনিক্যাল

    ট্রেডসম্যান

    নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট

    সিপাহী ফার্মা

    অনলাইন মোডে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই এর মধ্যে।

    প্রতিটি পোস্ট অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন এবং পূর্ণমান ভিন্ন ছিল।

    কিছু পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ৫০ নম্বর, যার জন্য ১ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত ছিল।

    আবার কিছু পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ১০০ নম্বর, সেক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।

    আবেদন ও প্রবেশপত্র (Agniveer Result)

    অগ্নিবীর নিয়োগের আবেদন শুরু হয় ১২ মার্চ ২০২৫ থেকে।

    জানা যাচ্ছে, প্রায় ২৫,০০০ শূন্যপদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

    ১৬ জুন তারিখে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হয়।

    এই নিয়োগে পুরুষ প্রার্থীদের পাশাপাশি মহিলাদের (Agniveer Result 2025) জন্যও কিছু পদ সংরক্ষিত ছিল। এই পরীক্ষা ১৩টি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ছিল:
    ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, কান্নড়, তামিল, তেলুগু, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া, উর্দু, গুজরাটি, মারাঠি এবং অসমীয়া।

    উত্তরপত্র ও ফলাফল যাচাই (Agniveer Result)

    পরীক্ষার উত্তরপত্র (Answer Key) খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা উত্তর মিলিয়ে বুঝতে পারবেন, তারা কতগুলি উত্তর সঠিক করেছেন। ফলাফল প্রকাশের সময় পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর ও জন্মতারিখ (Date of Birth) দিয়ে লগইন করতে হবে।

    কিভাবে রেজাল্ট চেক ও ডাউনলোড করবেন:

    ১. প্রথমে ইন্ডিয়ান আর্মির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট joinindianarmy.nic.in এ যান।
    ২. হোমপেজে ‘Indian Army Agniveer Result 2025’ লিংকে ক্লিক করুন।
    ৩. এরপর একটি নতুন লগইন পেজ আসবে। সেখানে আপনার রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করুন। (Agniveer Result)
    ৪. লগইন হয়ে গেলে আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।
    ৫.  সবশেষে এটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।

  • Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোঁতা হয়ে গিয়েছে মুসলমানদের নিয়ে তৃণমূলের তৈরি করা হাতিয়ার। তাই এবার নয়া অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাব্বিশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবারই ছিল শেষ ২১ জুলাই। এদিন ধর্মতলার জনসভায় (পোশাকি নাম শহিদ দিবস। তবে এটা বললে যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অপমান করা হয়। কারণ যেদিনের ঘটনা নিয়ে এদিন তর্পণ (!) করা হল, সেটি ছিল আদতে একটি নিখাদ রাজনৈতিক কর্মসূচি, তাও তৃণমূলের নয়, যুব কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দাবি, তাদের কর্মসূচিকে হাইজ্যাক করা হয়েছে।) আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস বাঙালির অস্মিতা (Shamik Bhattacharya)

    ওই নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস যে হতে যাচ্ছে বাঙালির অস্মিতা, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। ধর্মতলার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বরং এজন্য তৃণমূল নেত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শমীক। এদিন রোদ ঝলমলে দিনে যখন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা, তখন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের (মায়ানমারের মুসলমান) আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের আমরা তাড়াবই।”

    কী বললেন শমীক?

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নিশানা করে শমীক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বন্দে মাতরমকে আক্রমণ করেছেন। আক্রমণ করেছেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টিকে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের যে হিন্দু সাংসদরা নিজেদের অবস্থান বদল করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” তৃণমূল নেত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী না কি ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছেন! বেকারত্ব কমেছে কীভাবে? চপ শিল্প, চায়ের দোকানকে এমএসএমই-র মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিসংখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে।”

    মমতাকে গুচ্ছের প্রশ্ন শমীকের

    তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে এদিন এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Shamik Bhattacharya)। শমীক বলেন, “কত পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কেন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন?” তিনি বলেন, “সামান্যতম আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবকরা তাকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কেন বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা? কেন সেখানে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি করছে? তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন?”

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে তুলোধনা

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শমীক (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “যাঁরা এক সময় এ দেশ ছেড়ে ও দেশে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। যাঁরা এই দেশটাকে ‘দার ইল হর্ব’ বলতেন, ‘নাপাক’ বলতেন, যাঁরা ওপারে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে আবার এখানে এসে ঢুকেছেন, আমরা তাঁদের চিহ্নিত করতে চাই। তাঁদের ফেরত পাঠাতে চাই (TMC)।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিপিএমের সময় থেকে যেভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছিল, রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, খাস জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই পথ অনুসরণ করে সেটাকে আরও কদর্যভাবে বাস্তবায়িত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রোহিঙ্গাদের ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় বস্তিতে বসানো হয়েছে। কলকাতার ভিতরে বসানো হয়েছে। বিধাননগরে বসানো হয়েছে।”

    রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়

    তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় রোহিঙ্গাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল, সেখানকার কক্সবাজারের কী অবস্থা? ওপারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, আর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় সংখ্যালঘুরা উৎসব পালন করছেন!” এদিন ধর্মতলার সমাবেশে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সে প্রসঙ্গে শমীক বলেন, “যেখানে বিজেপির সরকার রয়েছে, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা হয়। ধর্মতলায় একটি লাইন থেকে যেভাবে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ছড়ানো হয়েছিল, সেই জন্যই সংযোগ কাটা হয়েছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরবঙ্গ রওনা (Shamik Bhattacharya) হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তৃণমূলের শহিদ দিবসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওটা সভা নয়, ওখানে পাগলু ডান্স হবে।” শুভেন্দু বলেন, “দেখছেন না নাচতে নাচতে আসছে। জলঙ্গি থেকে বাসের ভেতরে (TMC) নাচতে নাচতে আসছে বাজনা বাজিয়ে। পুরুলিয়া থেকে জোর করে যাদের আনা হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যেই পালিয়েছে।”

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • India vs Pakistan: পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নারাজ ধবন-হরভজন-পাঠান

    India vs Pakistan: পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নারাজ ধবন-হরভজন-পাঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জায়গায় বয়কট পাকিস্তান (India vs Pakistan)। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কোনওভাবেই ২২ গজের মহারণে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চায় না ভারত। তা সে এশিয়া কাপ হোক বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কিংবা ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’ (World Championship of Legends)। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ২ অগাস্ট পর্যন্ত। বেসরকারি টি২০ প্রতিযোগিতা, যেখানে নামজাদা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু এবছর চলতি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে অস্বীকার করল ভারত। ভারতীয় ক্রিকেটারদের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকেরা। রবিবার, বাতিল হয়ে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।

    আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নয়

    পহেলগাঁও কাণ্ডের পর নিজের নিজের দেশের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। ভারতীয়দের মধ্যে সকলেই পাকিস্তানের নিন্দা করেছিলেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ভারতকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। তার জবাবে শিখর ধাওয়ান লিখেছিলেন, “কার্গিলেও তোমাদের হারিয়েছিলাম। এত নীচে নেমেছ, আর কত নামবে? উল্টোপাল্টা মন্তব্য করার চেয়ে নিজের দেশের ভাল হয় এমন কোনও কাজ করো। ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আমরা গর্বিত।” আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা নিয়েই সরব হন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে হরভজন সিং, সুরেশ রায়না, ইরফান ও ইউসুউ পাঠান জানিয়ে দেন, তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন না। ভারতের আর এক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানও সমাজমাধ্যমে জানান যে, তিনি এই ম্যাচ খেলবেন না। ফলে ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

    স্পনসররাও বয়কট করেছে পাকিস্তানকে

    এরপর প্রতিযোগিতার স্পনসররাও বয়কট করেছে পাকিস্তানকে। তাদের কোনও ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না ভারতীয় স্পনসর। এই প্রতিযোগিতার অন্যতম মালিক বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগণ। প্রতিযোগিতার অন্যতম স্পনসর ‘ইজমাইট্রিপ ডট কম।’ তারা জানিয়েছে, “দু’বছর আগে এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। তার পরেও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের কোনও ম্যাচের সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। আমরা ভারত চ্যাম্পিয়ন্সকে সমর্থন করি। ওদের পাশে আমরা রয়েছি। নীতিগত ভাবে পাকিস্তানের কোনও ম্যাচের প্রচার আমরা করব না।”

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share