Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Sunil Gavaskar: এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান! পহেলগাঁও হামলা প্রভাব ফেলবে পাক ক্রিকেটে, দাবি গাভাসকরের

    Sunil Gavaskar: এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান! পহেলগাঁও হামলা প্রভাব ফেলবে পাক ক্রিকেটে, দাবি গাভাসকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা পাক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, এমনই দাবি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar)। এমনকী তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে ফেলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন।

    কী বললেন গাভাসকর?

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে গাভাসকর (Sunil Gavaskar) বলেন, ‘‘বিসিসিআই সবসময় ভারত সরকারের কথা অনুযায়ী চলে। তাই আমি মনে করি না এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও এর কোনও বদল হবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক। তাই এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হবে তার উপর। আমি তো কোনওভাবেই পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের অংশ হতে দেখছি না। আসলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেমন থাকে, তার উপর অনেককিছু নির্ভর করছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যা ঘটছে তাতে যদি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে যায়, তবে মোটেও অবাক হব না। যদি দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির থাকে, তবে দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন।’’

    কী বললেন গাভাসকর?

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করছেন। কিন্তু এর পরিণতি পাকিস্তানকে ভোগ করতে হতে পারে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিসিসিআই-ও পাহেলগাঁও আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পারে। আসলে, এশিয়া কাপ এই বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং এর আয়োজক দেশ ভারত। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। সন্ত্রাস আর ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না বলে অভিমত সানির। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহ দুই দেশের ক্রিকেটের ওপরেও বড়ো প্রভাব ফেলেছে। এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে লড়াই করতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই আসন্ন এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) আয়োজনের বিষয়টিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে ভারত। এইরকম আবহে সুনীল গাভাস্কারের (Sunil Gavaskar) গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে চাপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। তার করা বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত হিন্দুরা কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না। তাঁরা বাড়িতে কালো পতাকা তুলবেন।’’

    লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর। একটু আগে ডুমুরজেলায় বলেছেন, দুটো ওয়ার্ডে গোলমাল হয়েছে। কে দেয় আপনাকে এই তথ্য। আপনি গেছেন ফিল্ডে?’’ বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘‘হিন্দু বলেই হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে বাড়ি থেকে টেনে এনে পশুকাটার ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আপনি তুলনা করছেন, দাঙ্গাবাজ গুলি খেয়ে মরেছে! সব মৃত্যু দুঃখ্যজনক। দাঙ্গা করতে গিয়েছে, গুলি করেছে। পুলিশ করুক, বিএসএফ করুক, সেতো কমিশন তদন্ত করছে, তাঁরা বুঝবে।’’

    নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশমন্ত্রী

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ নয়, নিরাপত্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এটা বলছে ওখানের মানুষ। আপনি পুলিশমন্ত্রী, আপনাকে (Mamata Banerjee) তো বলবেই, আপনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বেলডাঙায় ইমামদের সামনে বলে এসেছিলেন, হিন্দুরা সংখ্যালঘু। হিন্দুদের দেখতে বলেছিলেন ইমামদের, তাই হরগোবিন্দ-চন্দন খুন হয়েছেন। আপনি ওদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলেন, আপনাকে তো শুনতেই হবে। দাঙ্গাকারীদের উপরেই আপনি ভরসা করেছিলেন, আপনাকে শুনতেই হবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে গেছেন নিহতের পরিবার। হরগোবিন্দ দাসের ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফআইআর করিয়েছেন।’’

    ভারত বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই

    এরপরই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই জেহাদি, জঙ্গি, ভারত-বিরোধীদের বিরুদ্ধে। যারা মানবতার শত্রু, তারা আমাদের শত্রু। তারা কারা, তা সবাই জানে। লড়াইটা এই লোকেদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিদের ছবি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ার শান্তিপুরে বসে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়, লড়াইটা তাদের বিপক্ষে।’’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘আমি ঝন্টু আলি শেখের বাবার হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে এসেছি। আমি কখনওই এক ব্র্যাকেটে সবাইকে ফেলতে পারি না। আমাদের আদর্শ ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।’’

  • India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India Pakistan Conflict) আবহে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরে কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা সমাজমাধ্যম প্রভাবী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মনে করছে সরকার। সম্প্রতি এমনটাই বলল সংসদীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই কমিটির মাথায় আছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই ধরনের ইনফ্লুয়েন্সার এবং প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে দুটি মন্ত্রকের কাছে বিশদ বিবরণ চেয়েছে প্যানেল।

    জাতীয় ঐক্যে ফাটল নয়

    কমিটির আশঙ্কা, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও প্রভাবশালী (influencers) এমন কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে এবং জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড বর্তমান সাইবার আইন এবং নৈতিক মিডিয়া নীতিমালার লঙ্ঘন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে কমিটির তরফে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির মাধ্যমে আইটি আইন, ২০০০ এবং তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) বিধি, ২০২১-এর অধীনে এই ইন্ফুলেন্সারদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পিটিআই সূত্রে খবর, চিঠিটি দুই মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ৮ মে-র মধ্যে বিশদ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

    ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ

    সংসদীয় কমিটির এই পদক্ষেপ সরকারের ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার অভিপ্রায় স্পষ্ট করছে, বিশেষ করে জাতীয় সংকটের (India Pakistan Conflict) সময়ে। ব্যবহারকারীদের পোস্ট ছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর কনটেন্ট মডারেশন নীতি, প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা ও ভারতীয় আইনের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের একাধিক ইউটিউব চ্যানেল, সংবাদ পোর্টাল, ইনফ্লুয়েন্সারদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভারতে। তথ্য যুদ্ধে পাকিস্তানকে মাত দিতে ভারতীয় মিডিয়ার উদ্দেশে নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। তাতে বলা হয়েছে, কোনও ভাবে যেন সেনার কোনও অবস্থান বা গতিবিধি সোশ্যাল মিডিয়া বা খবর আকারে প্রকাশ না করা হয়। এর ফলে শত্রুপক্ষেরই সুবিধা হবে। এছাড়া ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে যাতে ‘ভারত বিরোধী’ পাক অতিথিদের আমন্ত্রণ না জানানো হয়, এই জন্যে নির্দেশিকা জারি করেছে এনবিডিএ।

  • Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ (Jagannath Dham) রাখা নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা (Puri Gajapati) দিব্যসিংহ দেব। সোমবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরকে কোনওভাবেই ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যায় না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান হলেন দিব্যসিংহ দেব। নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘পুরীর দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরটিকেই একমাত্র শাস্ত্র অনুসারে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে।’’

    ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই বোঝায়

    ভগবান জগন্নাথদেবের প্রথম সেবক হিসেবে পরিচিত হলেন গজপতি (Puri Gajapati)। তিনি জানিয়েছেন, দিঘার শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার বিষয়টি তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। এরপরেই তিনি মুক্তিমুণ্ডুপ পুন্ডিতা সভার মতামত চান এই বিষয়ে। গজপতির নিজের ভাষায়, ‘‘মুক্তিমুন্ডুপা পুণ্ডিতা সভা বলেছে যে শ্রী জগন্নাথের মূল স্থানটি ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’ এবং ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই (Jagannath Dham) বোঝায় এবং অন্য কোনও জায়গার উল্লেখ করতে ব্যবহার করা যাবে না যেখানে ‘চতুর্ধা দারু বিগ্রহ’ পবিত্র করা হয়েছে।’’

    বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের উল্লেখ করেন গজপতি রাজা মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এখানে যোগ করতে চাই যে শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর মহিমা অত্যন্ত খাঁটি এবং বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন মহর্ষি বেদ ব্যাস স্কন্দ পুরাণের ‘বৈষ্ণব খণ্ড’-এ অন্তর্ভুক্ত ‘শ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যম’-এ। এই শাস্ত্রটি সরল পাঠ করলে কোনও সন্দেহ থাকবে না যে এটি কেবলমাত্র পুরীকেই ‘শ্রী জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়, কারণ এটি পুরী (Puri Gajapati) যা সর্বোচ্চ ভগবান শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’

    মহাঋষি জৈমিনির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিব্যসিংহ দেব

    দিব্যসিংহ দেবের আরও সংযোজন, ‘‘শ্রী পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যমে, মহাঋষি জৈমিনি পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র পুরীর মহিমা বর্ণনা করেছেন।’’ জৈমিনির ব্যাখ্যা হুবহু তুলে ধরেন দিব্য়সিংহ এবং বলেন,‘‘যদিও ভগবান জগন্নাথ সর্বব্যাপী এবং সকলের উৎস। তিনি অন্যান্য পবিত্র স্থানেও রয়েছেন। তবুও এই পবিত্র স্থানটি (পুরী) শ্রেষ্ঠ। কারণ এটি এই পরম সত্তার দেহ হয়ে উঠেছে। তিনি স্বয়ং একটি রূপ ধারণ করে সেখানে উপস্থিত আছেন এবং প্রকৃতপক্ষে সেই স্থানকে তাঁর নিজের নামে পরিচিত করেছেন।’’

    পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান

    গজপতির মতে, ‘‘ব্রহ্ম-পুরাণ, নীলাদ্রি মহোদয় এবং অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলিতে যা নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত করে যে শ্রী পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চতুর্ধা বিগ্রহ (জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা এবং সুদর্শন) শুধুমাত্র কাঠের মূর্তিতেই পূজিত হওয়া উচিত, ধাতু বা পাথরে নয়।’’ ধর্মীয় শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছন, ‘‘শুধুমাত্র শ্রীমন্দিরে প্রস্তুত ভোগই মহাপ্রসাদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’’

    প্রাচীন আধ্যাত্মিক নেতারা পুরীকেই শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন

    গজপতি দিব্যসিংহ দেব (Puri Gajapati) আরও বলেন, ‘‘পদ্মপুরাণে যেমন বলা হয়েছে, এটি ভগবানের পবিত্র শাশ্বত বাসস্থান যাকে ধাম বলা হয় এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন বৈদিক ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য যেমন ভগবতপদ আদি শঙ্করাচার্য, শ্রী রামানুজাচার্য, শ্রী নিম্বার্কাচার্য, শ্রী মাধবাচার্য, শ্রী রামানন্দাচার্য, শ্রী চৈতন্য এবং শ্রী বল্লভাচার্য পুরীকে শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন।’’

    মমতা সরকারের কাছে নাম বদলের অনুরোধ

    শাস্ত্র ধরে এমন ব্যাখার পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গজপতি (Puri Gajapati) বলেন, ‘‘উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমি দিঘা জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করা থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’’ দিব্যসিংহ দেব বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে শ্রী জগন্নাথের মন্দিরগুলির শ্রী জগন্নাথ ধাম পুরীর মূল-পীঠ শ্রীমন্দিরের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের ঘোষণার বিষয়ে ভগবান জগন্নাথের গৌরবময় ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো ও সমর্থন করা উচিত। মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথের কালজয়ী ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান বিশ্বের অগণিত ভক্তদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে।’’

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু যুদ্ধ-প্রস্তুতি! ১৯৭১-এর পরে এই প্রথম! একাধিক রাজ্যকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহরা চালানোর নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA Orders for Mock Drill)৷ আগামী ৭ মে, বুধবার ওই সমস্ত রাজ্যকে মহড়া (India Pakistan Conflict) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য রাজ্য প্রশাসন ঠিক কতখানি প্রস্তুত তা যাচাই করার জন্যই এই নির্দেশ বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রের খবর৷ কার্যত কোনও হামলা হলে তার জন্য কী করতে সেটাই জানা যাবে এই মক ড্রিলে। সেটাই শিখে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তার জন্যই আগাম অনুশীলন।

    কোন কোন রাজ্যকে নির্দেশ

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে (MHA Orders for Mock Drill) খবর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অমিত শাহের মন্ত্রক বেশ কয়েকটি রাজ্যকে আগামী ৭ মে, অর্থাৎ বুধবার মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্ত এলাকায় এই মহড়া চালানো হতে বারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। গত সপ্তাহে নৌসেনা এবং বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন সরকারি সূত্রে দাবি, জঙ্গিদমনে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি হিসাবেই প্রতিরক্ষা বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, তার পরেই কয়েকটি রাজ্যকে মহড়ার নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। বুধবারের মক ড্রিলের আগে, আজ অর্থাৎ, মঙ্গলবার ৬ মে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলির অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারাও যোগ দেবেন। এছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রেল বোর্ডের কর্তারা এবং আকাশ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী কী হবে এই মক ড্রিলে?

    ১) এয়ার রেড সাইরেনকে কার্যকরী করতে হবে।

    ২) যে কোনও সময় ব্ল্যাক আউট করে এই মকড্রিল করা হতে পারে।

    ৩) বিশেষ বিশেষ কারখানাকে, সংস্থাকে ক্যামোফ্লেজের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

    ৪) যে কোনও হামলার সময় নিজেদের নিরাপদে সরিয়ে বাঁচানোর জন্য সাধারণ নাগরিক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া

    ৫) সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্ল্যান তৈরি ও তার রিহার্সাল

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় (MHA Orders for Mock Drill) বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর শুধু জঙ্গি নয়, যারা সন্ত্রাসবাদের মদত দেয়, তাদেরও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘যারা বন্দুকের ট্রিগার চেপেছিল এবং যারা সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল— কাউকে রেয়াত করা হবে না!’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘জঙ্গি হামলার কঠোর জবাব দেবে ভারত। আমার বিশ্বাস পহেলগাঁওয়ের ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে।’’ সোমবার, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ফিরোজপুরে মকড্রিল

    ইতিমধ্যেই গত রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্য়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য় পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সব আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। সেই সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যতক্ষণ এই ড্রিল চলে ততক্ষণ হুটার বাজছিল। এই সময়ের মধ্য়ে কোথাও ইনভার্টার বা জেনারেটর চালানো হয়নি। পুরো অন্ধকারে ডুবে ছিল এলাকা। আগাম অনুরোধ করেই এটা করা হয়। রাস্তায় গাড়ির আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ছিল পুলিশের পাহারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকেই এ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন আলোকিত বা দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও বস্তু বা আলো ব্যবহার না করেন ওই সময়টুকু। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস

    পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব কড়া ভাবেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। রবিবার দিল্লিতে আয়োজিত সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসব অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানেন, ওঁর কাজের ধরন ও দৃঢ়তার সঙ্গেও সকলে পরিচিত। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যা আপনারা চাইছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই হবে।’’ পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পহেলগাঁও হামলার কড়া জবাব দেওয়া তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও দাবি করেছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সেনার সঙ্গে মিলে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা এবং যারা আমাদের দেশে হামলা করার সাহস দেখায়, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া।’’

    যুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা!

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India Pakistan Conflict) চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে৷ গত ২২ এপ্রিল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ‘ব্ল্যাকআউট’ ড্রিলের পরে বাসিন্দারা স্বাভাবিক ভাবেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। তাহলে কি যুদ্ধ যে কোনও সময়েই লাগতে পারে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷

  • Pahalgam Attack: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে,” বললেন তসলিমা নাসরিন

    Pahalgam Attack: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে,” বললেন তসলিমা নাসরিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বাংলাদেশের এই নির্বাসিত লেখিকা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। দিল্লির সাহিত্য উৎসবের মঞ্চ থেকে পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করলেন তসলিমা। তিনি বলেন, “১৪০০ বছর ধরে ইসলামের কোনও পরিবর্তন হয়নি। যতদিন না এই ধর্মের পরিবর্তন হচ্ছে, এটি সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিতেই থাকবে।” পহেলগাঁও হামলার ঘটনাকে তিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজেন বেকারি হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। নির্বাসিত এই লেখিকা বলেন, “ঢাকায় মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছিল কারণ তাঁরা কলমা পড়তে পারেননি। এমনটাই হয় যখন ভক্তি মানবতার থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়।”

    চতুর্দিকে মসজিদ (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিন্দু পর্যটকদের কলমা পড়তে বলা হয়। যাঁরা পড়তে পারেননি, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয় (Pahalgam Attack)। তসলিমা বলেন, “ইউরোপে গির্জাগুলিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। আর মুসলমানরা চতুর্দিকে মসজিদ নির্মাণ করে চলেছেন। হাজার হাজার মসজিদ রয়েছে, অথচ তাঁদের আরও চাই।” তিনি (Taslima Nasrin) বলেন, “মাদ্রাসা তুলে দেওয়া উচিত। একটা নয়, শিশুদের সমস্ত বই পড়ার অধিকার থাকা উচিত।”

    ‘আই লভ ইন্ডিয়া’

    বিতর্কিত এই লেখিকা বলেন, “আমি আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক, ১০ বছর সেখানে ছিলাম। তবে সব সময়ই বহিরাগত বলে মনে হত নিজেকে। কলকাতায় এসে ঘরে ফিরেছি বলে মনে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমায় বের করে দেওয়া হলেও, দিল্লিই দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে যায়। আমার নিজের দেশ আমায় যা দিতে পারেনি, ভারত তা দিয়েছে। আই লভ ইন্ডিয়া। এটাই আমার ঘর।” তসলিমা বলেন, “প্রত্যেক সভ্য দেশে একটি (Pahalgam Attack) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা উচিত। ভারতেও থাকা উচিত। আমি বিষয়টিকে সমর্থন করি (Taslima Nasrin)।”

  • Pahalgam Attack: “পহেলগাঁও হামলায় দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে”, মোদিকে আশ্বাস পুতিনের

    Pahalgam Attack: “পহেলগাঁও হামলায় দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে”, মোদিকে আশ্বাস পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) দোষীদের বিচারের (Russia) কাঠগড়ায় আনা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাফ জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রেই এ খবর মিলেছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের মৃত্যুতে পুতিন সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

    কী বললেন জয়সওয়াল? (Pahalgam Attack)

    এক্স হ্যান্ডেলে জয়সওয়াল বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তিনি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে তাঁর পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।” তিনি বলেন, “এই নৃশংস হামলার অপরাধী ও তাদের সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে (Russia)।”

    রাশিয়ার বিজয় দিবস

    জয়সওয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে রাশিয়ার বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের শুভেচ্ছা জানান এবং বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাশিয়ার বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে পহেলগাঁও হামলার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি রাশিয়া সফর করবেন না বলে জানানো হয়েছে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও সম্ভবত রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নেবেন না। এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় সেথ। ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে রাশিয়া সফরে আসার কথা স্বীকার করে প্রেসিডেন্ট পুতিন জোর দিয়েছেন যে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়নি এবং গতিশীলভাবে বিকশিত হচ্ছে (Pahalgam Attack)।

    রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট এই বছরের শেষের দিকে ভারত সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদী দুবার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন – একবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে (Russia)। এর আগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে পুতিন “নৃশংস অপরাধ” বলে নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন জানিয়েছিলেন (Pahalgam Attack)।

  • Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের হাতে এসে গেল ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্র (Igla-S Missiles)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে সেনার জন্য রাশিয়ার নির্মিত এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের অর্ডার দেয়। সেই মতো, বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা হাতে পেয়ে গেল নতুন এই মিসাইল। যার জন্য মোদি সরকারের খরচ হল ২৬০ কোটি টাকা। রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে আসায় আকাশপথে হামলার বিরুদ্ধে এক লাফে অনেকটা শক্তিশালী হল ভারতের ঢাল।

    যুদ্ধবিমান, ড্রোন লক্ষ্য করে নির্ভুল আঘাত

    রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন করা যায়। এটি নিক্ষেপ করার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যাটফর্মও লাগে না। কোনও ব্যক্তি কাঁধে করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবেন। নীচ দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলিকে নির্ভুল ভাবে আঘাত করার মতো করেই নকশা করা হয়েছে ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Igla-S missiles)। সম্প্রতি এই অতি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর জন্য জরুরি ক্রয় ক্ষমতার অধীনে রাশিয়ার সঙ্গে ২৬০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে ইগলা-এস বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সরবরাহ। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন হুমকির মোকাবিলা করার জন্য এগুলি সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনা সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে।

    কীভাবে কাজ করে

    নতুন এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় সেনা কাঁধে চাপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে বাঁধলে যদি পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা চপার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে কাঁধে চাপিয়ে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে মিসাইল ফায়ার করা যায়। বহুদিন ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপক কদর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পোর্টেবল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। আকাশে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে একবার ‘লক’ করতে পারলে সিস্টেমের ইনফ্রারেড টার্গেটের হিট সিগনেচার লক্ষ্য করে ধেয়ে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরের ও প্রায় ৪ কিলোমিটার উপরের উড়ন্ত টার্গেটকেও নিখুঁত নিশানায় আঘাত করে নিকেশ করতে পারে।

    সহজে বহনযোগ্য, দুর্গম এলাকায়ও নিয়ে যাওয়া যায়

    এটি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (Igla-S missiles) বা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ‘ইনফ্রারেড হোমিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বস্তুর ‘হিট সিগনেচার’ শনাক্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তার পর সেটিতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য বলে, দুর্গম এলাকায় যেখানে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কাজে আসবে। একবার নিক্ষেপ করা হলে, লক্ষ্যবস্তুর ইঞ্জিনের তাপকে অনুসরণ করে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ছোটমাপের এবং দ্রুতগতির আকাশযানের বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর।

    ইগলা সিরিজের মিসাইল নতুন নয়, আরও আধুনিক

    ১৯৯০-থেকেই দেশে বিদেশে অনেক যুদ্ধে রুশ নির্মিত ইগলা সিরিজের মিসাইল (Igla-S missiles) ব্যবহার হয়। ‘ইগলা-এস’ হল একটি উন্নততর সংস্করণ। উড়ন্ত ড্রোন, চপার বা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রাকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে ব্যর্থতার হার প্রায় শূন্য শতাংশ। ভারতীয় সেনা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে অর্থাৎ পাক সীমান্তের কাছে এই সিস্টেম মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এক দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেগুলিরও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ ইগলা-এস

    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নতুন ইগলা-এস সিস্টেমগুলিকে এখন দ্রুত পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (India Pakistan Conflict) এবং আইএসআই ক্রমে হামলার জন্য ড্রোনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইগলা-এসের মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি, সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে দেশি প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্ক ওয়ান ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেমও। সম্প্ৰতি জম্মুতে সেনার ১৬ কোর-এর এলাকায় এই ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেই পাক ড্রোন নামিয়েছে সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে এই মিসাইলের কদর ও সক্ষমতা এতটাই যে ভারতীয় বায়ুসেনাও ইনফ্রারেড নির্ভর এই একই মিসাইলের জন্য দরপত্র জারি করেছে। পাশাপাশি, পদাতিক বাহিনী আরও ৪৮টি লঞ্চার ও ৯০টি ইনফ্রারেড নির্ভর মিসাইলের নতুন বরাত দিয়েছে। সেগুলিও দ্রুতই চলে আসবে।

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

LinkedIn
Share