Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ লড়াই ধর্ম বনাম অধর্মের। একজোট হতে হবে। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat On Pahalgam)। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে। আমরা প্রত্যেকে এই ঘটনায় ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে ধ্বংস করতে গেল পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। যেমন রাবণ নিজেকে শোধরাতে অসম্মত ছিলেন। তাই রামের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তবু রাবণ শোধরানোর একটা সুযোগ দিয়ে তার পরই হত্যা করেছিলেন রাম।’ ভাগবতের কথায়, “একজন প্রকৃত হিন্দু কখনও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা রাক্ষসোচিত আচরণ—মানবতাবিরোধী ও ধর্মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

    ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে হিন্দুদের

    ‘হিন্দু’ শব্দটির উল্লেখ না করেও আরএসএস প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সংখ্যাগুরুদের। তবে একই সঙ্গে মোদি সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এবার কড়া জবাব দিতেই হবে। বৃহস্পতিবার আরএসএস প্রধান পহেলগাঁও ইস্যুতে মুখ খুলে বললেন, “ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের।” সংঘপ্রধান বলছেন, “আমাদের হৃদয় ব্যাথিত। আমরা ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।” ভাগবত বলেন, “আজকের রাবণ ধ্বংসে দরকার মা দুর্গার মতো শক্তি—অষ্টাদশ ভুজা শক্তি। সেই শক্তি আমাদের ঐক্য, আমাদের সংগঠন, আমাদের নৈতিক অবস্থান।”

    একত্রিত হওয়ার ডাক

    সরসংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat On Pahalgam) বলছেন, “এবার আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা একত্রিত থাকলে কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তাহলে সেই চোখ গেলে দেওয়া হবে। ঘৃণা বা নৃশংসতা কোনওটাই আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু চুপচাপ নিজের ক্ষতি সহ্য করাও যাবে না। অহিংসদেরও শক্তিশালী হতে হয়। শক্তি না থাকলে কোনও বিকল্প থাকে না। আর শক্তি থাকলে সেটা দৃশ্যমান হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “এটি কোনো ধর্মীয় সংঘর্ষ নয়, এটি ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। রাবণও শিবের ভক্ত ছিলেন, পণ্ডিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অধর্মের পথে চলেছিলেন—তাই রামের হাতে নিহত হন। তেমনি যারা আজ ঘৃণা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরও নির্মূল করতে হবে ধর্ম রক্ষার তাগিদে।”

    জোরালো প্রতিক্রিয়া

    আরএসএস প্রধান ভাগবতের মতে, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা, শয়তানি শক্তিকে আটকাতে হলে আমাদের আরও শক্ত হবে। আমরা দেশবাসীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই। তাহলে কেউ আমাদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকাতেও সাহস পাবে না। আর কেউ যদি সে সাহস করে তার চোখ যেন উপড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার জোরালো প্রতিক্রিয়া দরকার।’ মোহন ভাগবতের কথায়, ভারতবাসীর স্বভাবে হয়তো শত্রুতা ঘৃণা নেই। কিন্তু তা বলে তাঁরা নীরবেও ক্ষতি সহ্য করবে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নয়। এটি ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে একটি যুদ্ধ। কারণ যারা নিহত হয়েছে তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কোনও হিন্দু বা আমাদের সৈন্য কখনও তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করেনি। কিছু চরমপন্থী তাদের নিজস্ব ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং এই ধরনের কাজ করেছে। সবার মধ্যে ক্রোধ এবং শোক রয়েছে। তবে গোটা জাতিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’

    সরছে পর্যটকরা

    জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন। পহেলগাঁও হামলার পরে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক ইতিমধ্যেই সরে গেছেন। ২৪ এপ্রিল শুধুমাত্র শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ১১০টি ফ্লাইটে ১৪,০০০-এরও বেশি যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইবি ও র’ প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গোপনে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে পাকিস্তান।’’ এমনই স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) খাজা আসিফ। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে এবং তাদেরকে অর্থায়ন করছে। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবি সিলমোহর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন কাজ করেছে পাকিস্তান, দাবি আসিফের

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) আসিফের আরও দাবি, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর দেশ এই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তিনি (Khawaja Asif) আরও বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ৯/১১-র পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম। তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করত।’’

    লস্করের নাকি অস্তিত্ব নেই তাদের দেশে (Pakistan Defence Minister)

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) ওই সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে তাদের দেশে নাকি লস্কর-ই-তৈবা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংগঠনের বেশ খানিকটা সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব আর নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও স্বীকারোক্তি, ‘‘পাকিস্তানের (Pakistan Defence Minister) সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যখন কোনও সম্পর্কই নেই, তখন আমরা কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করব?’’ এ সময় তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, লস্করের একটি শাখা সংগঠন নাকি পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে। তখন আসিফ (Khawaja Asif) উত্তর দেন, ‘‘যখন তাদের মূল সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, তখন ছায়া সংগঠন কোথা থেকে আসছে।’’

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হবে না। নদীগুলির অবস্থান ভারতে হওয়ার কারণে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এদেশের ওপরেই নির্ভর করতে হত পাকিস্তানকে। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। পাকিস্তান বর্তমানে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি রয়েছে যেমন সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোন বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়াতে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছু বন্ধ হল। এতে বেশ বিপাকে পড়বে পাকিস্তান (Indus Water Treaty)। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    জলশক্তি মন্ত্রকের উচ্চ আধিকারিক দিলেন ব্যাখ্যা

    এ নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Indus Water Treaty) একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে বন্ধ হল তথ্য আদান প্রদান। দৈনিক তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জলের নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিতই থাকছে। যেহেতু এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত, তাই এদেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানকে চলতে হত এবং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তির অধীনে ভারত রবি, বিপাশা এবং শতদ্রু- এই তিন নদীর সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির মধ্যে আছে চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলাম। সিন্ধু প্রণালীর প্রধান নদী- সিন্ধু এবং পাঁচটি উপনদী: রবি, বিপাশা, শতদ্রু, ঝিলাম এবং চেনাব। এই পাঁচটি উপনদীই বাঁদিক দিয়ে ভারত হয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে এই প্রণালীর ডান তীরের উপনদীগুলি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয় এবং চেনাব, ঝিলাম এবং সিন্ধুকে পশ্চিম নদী বলা হয়।

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় গতি পাবে এদেশে জল বিদ্যুতের কাজ

    পাকিস্তানের সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে তাদের আশি শতাংশ জল সরবরাহ হয় সিন্ধু ব্যবস্থার মাধ্যমে। জানা যায়, সিন্ধু প্রণালীর এই জল তাদের ৯৩ শতাংশ কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আরও গতি পেতে পারে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নালিশ করে। সেই রায়ের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আর সেইরকম বাধা কোনও রইল না।’’

    কোন কোন প্রকল্পের কাজে গতি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার ফলে কিষাণগঙ্গা এবং রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( ৩৩০ মেগাওয়াট) নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতি মঞ্চেও গিয়েছে। অন্যদিকে, রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধের কাজও এরফলে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, চেনাব অববাহিকায় কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট), কীরথাই I এবং II (১৩২০ মেগাওয়াট) এবং সাওয়ালকোট (১,৮৫৬ মেগাওয়াট) প্রকল্পগুলিও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করে ভারত আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কারণ, এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে কখনও এই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। এবারে মোদি সরকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে দিল।

    সিন্ধুর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে ভারত?

    অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বর্তমানে সিন্ধুর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের (Indus Water Treaty) কথাও বিবেচনা করতে পারে। ঠিক ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চিন যেমন বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি এবং কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও যাবে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরদার আওয়াইস ভারতের পদক্ষেপকে জল‌ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনার মতে, পাকিস্তান প্রায় ভারতের উন্নয়নকে থামানোর জন্য এই চুক্তিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

    প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার কী জানাচ্ছেন?

    ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এটি চুক্তি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কোনও সুস্পষ্ট বিধান নেই, তবে চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৬২-তে পর্যাপ্ত পরিসর দেওয়া আছে। যা বলে, পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তিনদিন পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে এসেছে। সূত্রের মারফত আরও জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি, যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণ করে (Pahalgam Attack)। এরপর ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পরে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তাতে এ কথা বলা যায় যে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তান জুড়েও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে পলাতক এক সন্ত্রাসী আহত হয়েছে এই গুলির লড়াইয়ে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় উচ্চ পদস্থ পুলিশকর্তা সহ দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

    বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে তল্লাশি, গুলির লড়াই (Pahalgam Attack)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে, এমন খবর নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে পায়। এরপরেই তাঁরা সেই জঙ্গলকে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা উত্তর দেয় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই উধমপুর জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এক সেনা নিহত হন। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে নিরাপত্তা বাহিনী সেই জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার (Pakistan) পিছনে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন তিন সন্দেহবাজনের ছবি ও প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ, আবু তালহার। এই সন্ত্রাসবাদীদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে কুড়ি লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

  • India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে পৌঁছেছে। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) সহ ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে।

    সিমলা চুক্তি কী

    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি (India-Pak Simla Agreement) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি মূলত একটি শান্তিচুক্তি, যার আওতায় নিয়ন্ত্রণরেখার দুই তরফে শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দুই দেশ। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই, হিমাচলপ্রদেশের সিমলায় ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর ভুট্টোর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে গণ্য হয় এই চুক্তি। এর ফলে যুদ্ধ ভুলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার পাশাপাশি, সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি টিকিয়ে রাখতে সম্মত হয় দুই দেশ।

    চুক্তিতে কী ছিল

    ● দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    ● যাবতীয় সংঘাত, মতানৈক্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে মেটাবে দুই দেশ, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

    ● কোনও পক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাবে না, কোনও সংগঠন বা গোষ্ঠী শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করতে চাইলে, তা রুখবে।

    ● প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান, পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমিকতাকে সম্মান জানাবে দুই দেশ। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    ● রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে কেউ কাউকে হুমকি দেবে না, কেউ কারও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার উপর বলপ্রয়োগ করবে না।

    ● ওই চুক্তি মেনে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যে ১৩০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা ভারত দখল করেছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ টুরটুক এবং চালুঙ্কা ধরে রাখে ভারত।

    ● আর এই সিমলা চুক্তির পরই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, যার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত।

    চুক্তির পরবর্তী প্রভাব 

    চুক্তিটি (India-Pak Simla Agreement) একটি কূটনৈতিক কাঠামো তৈরি করলেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরস্থায়ী শান্তি দেখেনি। সিয়াচেন সংঘর্ষ (১৯৮৪), কারগিল যুদ্ধ (১৯৯৯) এবং নিয়মিত সীমান্ত উত্তেজনা প্রমাণ করে যে, সিমলা চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত আজও সিমলা চুক্তিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। পাকিস্তান কখনো কখনো কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায়, যা এই চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি করে।

    চুক্তির স্থগিতকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    পাকিস্তানের তরফ থেকে সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে একটি বড় ধাক্কা। এটি একদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে থাকা একটি ঐতিহাসিক চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও চুক্তিটি অনেক সময়েই উপেক্ষিত হয়েছে, তবু এটি দুই দেশের সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গণ্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ ও উপযোগিতা নিয়ে ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে।

  • Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রতিবাদে পাক সরকারকে প্রচারমাধ্যমও বয়কট করল নয়াদিল্লি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে আর দেখা যাবে না পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল। অ্যাকাউন্টটি ব্লক করার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে কোনও দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে।

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশ

    পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। বৃহস্পতিবার থেকে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ করেছে ওই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে নারকীয় হত্যালীলা (Pahalgam Terror Attack) চলেছে, তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এর পাশাপাশি বাতিল হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না।

    পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক আঘাত

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রত্যাঘাতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিকভাবে আঘাত এনেছে নয়াদিল্লি। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তও। আর এইসবের পর পাকিস্তানের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকসেসও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিককে সাদ আহমেদ ওয়ারিচকে তলব করেছে ভারত। পার্সোনা নন গ্রাটা অর্থাৎ তিনি অবাঞ্ছিত বলে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি গ্রাহক রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রহণযোগ্য ও অবাঞ্চিত ঘোষিত হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি অবাঞ্চিত বলে ঘোষিত হলেই ওই দেশ থেকে ‘প্রত্যাহারযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবে। দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মরত সাপোর্ট স্টাফদেরও সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিক্রম মিশ্রি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১ মে ২০২৫ থেকে দুই দেশের হাই কমিশনের মোট জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে। ভারতের এই পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই পাকিস্তানের প্রতি একটি শক্ত বার্তা, যে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের বিরুদ্ধে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না।

     

     

     

     

     

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

LinkedIn
Share