Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিজেপি (BJP MLAs Suspended) বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সেই কারণে রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া বিধায়করা। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ওই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন অশোক লাহিড়ি।

    অশোকের বক্তব্য (West Bengal Assembly)

    তিনি বলেন, “কোন আইনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল, তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে।” অধ্যক্ষের বদলে এর জবাব দিতে শুরু করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মনোজ। তাঁকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনোজ এবং অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন এবং শঙ্কর ঘোষকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

    কী বললেন শঙ্কর

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগে মনোজ টিগ্গা, দেবলীনা হেমব্রম, আবদুল মান্নানদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও আমাদের হাসপাতালে পাঠাতে চায়। মার্শাল দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হল! বাংলার এই অপশাসন থেকে যদি মুক্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বিজেপি কর্মীই নই।” তিনি বলেন, “ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে (BJP MLAs Suspended)। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে (West Bengal Assembly)। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।”

    তুমুল হট্টগোল

    জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্করকে ‘মেনশন’ পর্বে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই স্পিকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। এই সময় স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, এই সময় কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। তার পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি অধিবেশনের জন্য বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

    ডাকা হল মার্শাল

    সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দিতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার। সেই সময় বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলির চোটে বিধানসভা কক্ষেই পড়ে যান বিধায়ক শঙ্কর। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (West Bengal Assembly)। এরই মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন অরূপ এবং বিজেপি বিধায়করা। এই হট্টগোলের মধ্যেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। তিনি নিশানা করেন পদ্ম শিবিরকে (BJP MLAs Suspended)। এই সময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রাখেন বিজেপি বিধায়কদের। আলোচনা শুরু হয় নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে।

    আসরে শুভেন্দু

    বিধানসভায় যখন এই সব কাণ্ড চলছে, তখন বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Assembly)। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের একটি কর্মসূচিতে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের খবর পেয়ে বিধানসভায় চলে আসেন তিনি। এরপর পুরো ঘটনাটি শোনেন বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে। তারপর তিনি বিধায়কদের ভাঙা চশমা, ঘড়ি নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় শুভেন্দুকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন অধ্যক্ষ। সে কথা কানে না তুলে নিজের বক্তব্যই পেশ করতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal Assembly)। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের হাতে তখন ধরা, ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ লেখা পোস্টার (BJP MLAs Suspended)।

    বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “সিকিউরিটি মার্শাল আমাকে গোল করে ঘিরে রেখেছিল। ২০ জন মহিলা সিকিউরিটি দিয়ে সার্কেল করে রাখা হয়। ওরা চেয়েছিল আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি। কিন্তু হাতদুটো ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম, হাত বের করব না। ১৫ মিনিট ধরে ধর্না চালিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করা হয়েছিল মনোজকে।

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

  • Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা সমস্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ (Anemia in Bengal)। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রনের ঘাটতি থেকেই এই রোগ। যা সুস্থ জীবন যাপন ব্যহত করে। পাশপাশি, নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের এই ঘাটতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তে আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বাড়ছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ শিশু এবং ৫৯ শতাংশ কিশোরী অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছে। দেশের প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে তিনজন রক্তাল্পতা সমস্যায় ভুগছেন। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুক্তভোগীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Tops Anemia List)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা অ্যানিমিয়ার শিকার। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলার এই রক্তাল্পতার সমস্যা অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যে কেন রক্তাল্পতার (Anemia in Bengal) সমস্যা বাড়ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিনটে কারণে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের অসচেতনতা এ রাজ্যের মহিলাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাব। বহুক্ষেত্রে মহিলারা নিয়মিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। তাই এ রাজ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশপাশি অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল এমনকি ধনী পরিবারের মহিলাদেরও অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। আর এই কারণেই রক্তাল্পতা (Anemia in Bengal) বাড়ছে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমিণে আয়রন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় থাকছে না। এ রাজ্যের অধিকাংশ শহুরে কিশোরীর নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় মাছ, ডাল, কাঁচকলা, মোচা জাতীয় খাবার থাকে না। এগুলো থেকে শরীর সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু নিয়মিত অনেকেই এই ধরনের খাবার খায় না। বরং এমন অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, যেগুলোর কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ফলে ওজন বাড়ছে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    বায়ুদূষণ!

    পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছরে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি বাড়ার অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ (Anemia in Bengal)। তাঁরা জানাচ্ছেন, বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় না। শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। নানান দূষিত কণা শরীরে পৌঁছে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন নষ্ট করে। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ রাজ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাল্পতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের বিশেষত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এগুলো না হলে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি শারীরিক বিকাশ ও ঠিকমতো হয় না। এর ফলেও অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Anemia in Bengal)।

    রক্তাল্পতা কেন উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের আয়রনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে নানান কারণে প্রতি বছর ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু এ রাজ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার দাপট বাড়ছে, তাতে সুস্থ জীবন যাপন আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমলে যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ ছাড়া মহিলাদের অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় আরও জটিলতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ সন্তানের জন্মদান করার জন্য মায়ের সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। মায়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে সন্তানের শরীরে তার প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। মায়ের জীবনের ঝুঁকিও বাড়বে। ফলে গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও তৈরি হবে। তাই অ্যানিমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) রুখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খাওয়া জরুরি। মুসুর, মুগ কিংবা ছোলার ডাল, যেকোনও রকমের ডাল শরীরের জন্য উপকারি। পাশপাশি মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ থেকে শরীর সহজেই আয়রন পায়। তাই নিয়মিত মাছ খেলে আয়রনের জোগান সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, কলা, আপেল, বেদানার মতো ফল সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলগুলো আয়রনে ভরপুর। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে (Bengal Tops Anemia List)‌। ডুমুর, থোড়, মোচার মতো সব্জি সপ্তাহে অন্তত একবার কিংবা দু’বার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই অ্যানিমিয় মোকাবিলায় সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ জুড়ে‌ই রাজ্যে হবে ঝড়-বৃষ্টি, এমন সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Rain Forecast)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal)।

    মঙ্গল ও বুধবারে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে (Rain Forecast)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি মঙ্গল, বুধবারেও ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্তই চলবে এমন ঝড়-বৃষ্টি। অন্যদিকে, এই আবহাওয়ায় তাপমাত্রার পারদও কিছুটা কমছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি।

    উত্তরবঙ্গে সোমবার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা সময় আগে, এই ২৯ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা (West Bengal)। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Rain Forecast) প্রবেশ ১৭ জুন ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে মাঝেমাঝে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা শক্তি বাড়িয়ে পরে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে এই বর্ষা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেও ভরসা গরম বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

  • Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি পালিত হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করার জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। নিজেদের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেছে (Constitution Murder Day)। এই কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে মশাল মিছিল, বিভিন্ন প্রদর্শনী, স্কুল ও কলেজে গণপ্রচার প্রভৃতি রয়েছে।

    এক বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি

    একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সাংবিধানিক নীতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রসঙ্গত, ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) উপলক্ষে এই কর্মসূচি এক বছর ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২৬ সালের মার্চে মশাল যাত্রার সমাপ্তি, হাজির থাকবেন মোদি

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গৃহীত (National Emergency) এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৫ জুন এবং চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে মশাল যাত্রা বা টর্চ মার্চ। ২০২৫ সালের ২৫ জুন দিল্লি থেকে গণতন্ত্রের চেতনার প্রতীক হিসেবে ছয়টি মশাল নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ২০২৬ সালের ২১ মার্চ দিল্লির কর্তব্যপথে এই যাত্রার সমাপ্তি হবে (Constitution Murder Day) বলে জানা গিয়েছে।

    কর্মসূচি সফলে বেশ কিছু স্লোগানও বানিয়েছে সরকার

    এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আরও রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান (National Emergency)। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিকে সফল করতে কেন্দ্রীয় সরকার নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্রশাসিত ও অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। এই উপলক্ষে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হবে। নির্ধারিত স্লোগানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গণতন্ত্রের জননী ভারত’, ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতন্ত্রের চেতনায় সেঙ্গলকে জানাই প্রণাম’।

  • India Oil Price: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, বাড়বে তেলের দাম! ‘ভারতে প্রভাব পড়বে না’, ফের জানাল কেন্দ্র

    India Oil Price: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, বাড়বে তেলের দাম! ‘ভারতে প্রভাব পড়বে না’, ফের জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে শিক্ষা দিতে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ইরান। বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের (India Oil Price) ২৫ শতাংশেরও বেশি এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। তাই ইরান এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে চিন্তা নেই ভারতের। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ভারত তার তেলের উৎস বহুমুখীকরণ করেছে। ভারতে তেলের সরবরাহ এখন পুরোপুরি হরমুজ প্রণালী নির্ভরশীল নয়।

    হরমুজ প্রণালীর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব

    হরমুজ প্রণালী ওমান ও ইরানের মাঝখানে অবস্থিত। এটি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। এই প্রণালীটি প্রায় ৩০ মাইল চওড়া এবং সম্পূর্ণভাবে ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। দক্ষিণাংশটি ওমানের অধীনে। ফলে এটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। ইরানের সংসদে পাশ হয়েছে হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত। এখন এই সরু প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ কেবল সময়ের অপেক্ষা। সরু জলপথ হলেও এর গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ তেল সরবরাহই হয় এই প্রণালী পথ ধরে।

    হু হু করে বাড়বে তেলের দাম

    ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে ঢুকে পড়ছে আমেরিকা। রাতের অন্ধকারে ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আর এরপরই রবিবার ইরানের সংসদ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করে। যদিও এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়—এটি কার্যকর হতে গেলে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু আপাতত ইরানের এই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বেই কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সকলেরই আশঙ্কা একটাই, এবার বিশ্বজুড়ে তেলের সঙ্কট দেখা যাবে। হু হু করে বাড়বে তেলের দাম।

    ভারতের কি অবস্থা

    ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দেওয়ার পর থেকেই ভারত তেলের দাম ওঠানামার উপরে বিশেষ নজর রাখছে। রবিবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই মধ্য প্রাচ্যের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজির নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে আমরা তেলের আমদানি আরও বিভাজিত করেছি। বর্তমানে আমদানি করা তেলের একটা বড় অংশই হরমুজ প্রণালী থেকে আসে না।” এই সংঘাতের জেরে কি ভারতেও তেলের দাম বাড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমাদের ওয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলির কাছে বেশ কয়েক সপ্তাহের জ্বালানি মজুত রয়েছে। একাধিক অন্য রুট থেকেও তেল ও শক্তি সরবরাহ হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ জ্বালানি পান, তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করব।”

    বেশিদিন হরমুজ প্রণালী বন্ধ সম্ভব নয়

    বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালী সামরিকভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করলে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে ইরানকে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ফিফথ ফ্লিট বাহরিনে মোতায়েন রয়েছে। এই অঞ্চলে তাদের স্থায়ী উপস্থিতি রয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তিও এই জলপথে নিয়মিত নজরদারি চালায়। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ইরান এক সপ্তাহের জন্যও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তবে তার অভিঘাত গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন হামলার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে চড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলের দাম। একদিকে যখন ব্রেন্ট ব্যারেল প্রতি ৭৭ ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে, তেমনই মার্কিন ডব্লুটিআই পৌঁছেছে ৭৪.০৪ ডলারে। হরমুজ প্রণালী বন্ধের পর তেলের দাম ৪০০ ডলার প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক

    বিশ্বে সবথেকে বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করে ভারত— প্রতিদিন ৫১ লক্ষ ব্যারেল। নজর করার মতো বিষয় হল, জুন মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে রাশিয়ার থেকে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ব্যারেল থেকে বেড়ে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ ব্যারেলে। আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দেশ আমেরিকা। আগে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৮০ হাজার ব্যারেল মার্কিন ডব্লুটিআই তেল আমদানি করত ভারত। জুন মাসে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ব্যারেলে। এটা অবশ্যই নয়াদিল্লির একটা কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক। কেন? যে দেশগুলির থেকে ভারত তেল আমদানি করে, তাদের মধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে আসে ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থেকে প্রথমেই রাশিয়া এবং আমেরিকার থেকে আমদানির বহর বাড়িয়ে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। কারণ, এই দু’টি দেশকেই ভারতীয় উপমহাদেশে তেল সরবরাহের সময় হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করতে হয় না। বরং তারা ইয়েমেন ও আফ্রিকার জিবুতি সংলগ্ন বাব-আল-মান্দেব প্রণালী ব্যবহার করে আরব সাগরের রুট নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হরমুজ বন্ধ হলে প্রথম ধাক্কা নয়াদিল্লি খাবে না।

  • Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন জম্মু-কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্য়ু হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mookerjee)। দেশজুড়ে এই দিনটি বিজেপি পালন করে বলিদান দিবস হিসেবে। চলতি বছরে তাঁর ৭৩তম প্রয়াণ দিবস। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও আন্দোলন সম্পর্কে।

    জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই (Syama Prasad Mookerjee)

    বিজেপির পূর্বতন ভারতীয় জনসংঘ গঠন, পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানে যেতে না দেওয়া, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবিতে আন্দোলন-এই সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাঙালি নাম। তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই। ‘বাংলার বাঘ’ বলে খ্যাত আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও যোগমায়াদেবীর পুত্র একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, অন্যদিকে একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর জন্মস্থান কলকাতার ৭৭ রসা রোডে (বর্তমানে আশুতোষ মুখার্জি রোড)।

    শিক্ষাজীবন ও বিবাহ (Syama Prasad Mookerjee)

    – ১৯০৬ সালের ২৩ জুলাই কলকাতার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।

    – ১৯১৭ সালে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় মেধা বৃত্তি (১০ টাকা প্রতি মাসে) সহ উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আর্টসে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন, ইংরেজি অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    – ১৯২২ সালের ১৬ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডাঃ বেণীমাধব চক্রবর্তীর কন্যা সুধাদেবীর সঙ্গে।

    – ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো

    ১৯২৪ সালের ২৫ মে বিহারের পাটনায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই ঘটনা গভীর রেখাপাত করে যুবক শ্যামাপ্রসাদের মনে। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, পিতার মৃত্যুতে তাঁর জীবন থেকে সমস্ত আনন্দ উধাও হয়ে যায়। এরপরেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে আইন পড়তে তিনি ইংল্যান্ড যান। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্মেলনে ওই বছরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। কলকাতায় ফিরে আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে যোগদান করেন। তবে হাইকোর্টের কর্মজীবনকে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। ১৯৩৩ সালে তাঁর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে, প্রয়াত হন স্ত্রী সুধাদেবী।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই সময়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। নতুন কোর্স হিসেবে এগ্রিকালচারের ওপর ডিপ্লোমা তিনিই চালু করেন। চিনা ও তিব্বতীয় ভাষাশিক্ষার ওপরে কোর্স চালু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর আমলে নতুনভাবে তৈরি হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি হল। তিনি উপাচার্য থাকাকালীন প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতেন। ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথমবারের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমন্ত্রণ জানান বক্তব্য রাখতে।

    হিন্দু মহাসভায় যোগদান

    ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ওই বছরেই হিন্দু মহাসভায় যোগদান করেন তিনি। ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি-লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৩৯ সালে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের সভাপতিত্বে কলকাতায় বসে হিন্দু মহাসভার অধিবেশন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee)। ১৯৪০ সালে তিনি হিন্দু মহাসভার কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন।

    শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা

    ১৯৪১ সালে সাম্প্রদায়িক মুসলিম লিগকে বাংলার ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য হিন্দু মহাসভার সঙ্গে জোট হয় ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির। এই জোট জনপ্রিয় ছিল শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা নামে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ওই মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।

    দাঙ্গা বিধ্বস্ত বাংলায় উদ্বাস্তুদের পাশে

    ১৯৪৪ সালে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে বসে হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় অধিবেশন। ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সে বছর থেকেই চালু করেন ‘ন্যাশনালিস্ট’ পত্রিকা। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এবং নোয়াখালি দাঙ্গা করে মুসলিম লিগ। সে সময় আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে থাকা, উদ্বাস্তুদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, সবটাই তিনি নিজে হাতে করেছিলেন। সে সময় তিনি তৈরি করেছিলেন হিন্দুস্থান ন্যাশনাল গার্ড।

    পশ্চিমবঙ্গ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা

    ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় এক ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গ। বাঙালি হিন্দু পায় তার নিজস্ব বাসভূমি। মুসলিম লিগের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে এই দিনটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’। হিন্দু সংখ্যাগুরু পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের ৫৮-২১ ভোটে বাংলা ভাগ করার পক্ষে রায় যায়। পৃথক হয় পশ্চিমবঙ্গ। সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণাও করে।

    স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নেহরুর মন্ত্রিসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর হিন্দু মহাসভাকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। ভারতের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন শিল্প উন্নয়ন নিগম, প্রথম শিল্পনীতি প্রণয়ন, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ স্থাপন, সিন্ধ্রি সার কারখানা-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। খড়্গপুরে ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি স্থাপনা, কলকাতার প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্থাপনার ভাবনা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে চলে। হত্যা, লুন্ঠন, নারীর সম্ভ্রমহানি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৫০ সালের ১৪ এপ্রিল নেহরু মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হয়েও এর প্রতিবাদে লোকসভায় গর্জে ওঠেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পদত্যাগ করেন।

    ভারতীয় জনসংঘ গঠন

    দেশভাগের পরবর্তীকালে হিন্দু শরণার্থীদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের বন্দোবস্ত তিনিই করেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। একমাত্র জাতীয়তাবাদী সাংসদ হিসেবে তিনিই আইনসভায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতেন। এমন সময় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল স্থাপনের উদ্দেশ্যে গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। রাজনীতি ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ংসেবককে পাঠান, তাঁরা হলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, জগদীশ মাথুর, সুন্দর সিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির রাঘোমাল গার্লস স্কুলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় জনসংঘ। তিনিই ছিলেন প্রথম সভাপতি। প্রতীক ছিল প্রদীপ। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসঙ্ঘ তিনটি আসন পায়। যার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজে।

    জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু

    দেশের প্রধান বিরোধী কণ্ঠস্বর তখন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলোপের জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন। দাবি ছিল ‘এক প্রধান-এক নিশান-এক বিধান’। কারণ কাশ্মীরের জন্য ছিল তখন আলাদা পতাকা। কাশ্মীরে চালু ছিল না ভারতের সংবিধানও। বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারার মাধ্যমে। এই ধারা কার্যত কাশ্মীরকে পৃথক করে রেখেছিল ভারত থেকে। কাশ্মীরে প্রবেশ করতে ভারতীয়দের লাগত অনুমতিও। এর প্রতিবাদ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিনা পারমিটে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে গেলে ফারুক আবদুল্লার সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে ১৯৫৩ সালের ১১ মে।জম্মু ও কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day) হয় ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন।

LinkedIn
Share