Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

    মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

    ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

    রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

    ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

    চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

    পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

    এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

    সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

  • India-US Relationship: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ নিয়ে করা ট্রাম্পের জোড়া দাবি ওড়াল ভারত

    India-US Relationship: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ নিয়ে করা ট্রাম্পের জোড়া দাবি ওড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা হোক বা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিতে সায় দিলেন না বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar to Donald Trump)। সরাসরি বিরোধিতাও করলেন না। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক শুল্ক নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার জটিল আলোচনাপর্ব চলছে।’’ এখনও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি বলেই বিদেশমন্ত্রীর দাবি। আর পাকিস্তান প্রসঙ্গে বারবার ট্রাম্পের অভিমত প্রকাশ নিয়েও প্রত্যক্ষভাবে কিছু বলেননি জয়শঙ্কর। তবে তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের (India-US Relationship) সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক।’’

    শুল্ক মকুবের প্রস্তাব প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি

    বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতের ‘শুল্ক মকুবের প্রস্তাব’ সম্পর্কে ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে সব ধরনের শুল্ক বাতিল করার বার্তা দিয়েছে ভারত (India-US Relationship)! তিনি বলেন, ‘‘ভারতে শুল্কের হার খুব বেশি। তাই ভারতে পণ্য বিক্রি করা খুব কঠিন। তবে ভারত আমাদের জন্য এমন একটি নীতি নিয়েছে যেখানে তারা আসলে কোনও শুল্কই নিতে চায় না।’’ এই মর্মে আমেরিকাকে নাকি প্রস্তাবও দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেও বিশদে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি ট্রাম্প।

    জয়শঙ্করের জবাব

    ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar to Donald Trump) সাফ জানান, এখনও বাণিজ্যনীতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “ভারত এবং আমেরিকার (India-US Relationship) মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো অত্যন্ত জটিল আলোচনা। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত পুরোটা বলা কঠিন। তবে যে কোনও বাণিজ্য চুক্তি দুপক্ষের কাছেই লাভবান হওয়া উচিত। অন্তত এই চুক্তি থেকে আমরা সেটাই আশা করি। তাই যতক্ষণ না চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে ততক্ষণ এই বিষয়ে মতামত দেওয়া উচিত নয়।” প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই শুল্কবাণে গোটা পৃথিবীকে নাজেহাল করেছেন ট্রাম্প। এপ্রিল মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এর পরে ট্রাম্প তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। আগামী ৯ জুলাই ওই সময়সীমা শেষ হবে। তার আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে।

    ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক

    বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে হন্ডুরাসের দূতাবাস উদ্বোধনের ফাঁকে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা আমেরিকার (India-US Relationship) কথা না বললেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে দিল্লি যে তৃতীয় পক্ষের কথা শুনবে না তা-ও স্পষ্ট করে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ৷ গোটা দেশ এমনটাই মনে করে৷ বহু বছর ধরে এটা চলে আসছে এবং সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি৷” জয়শঙ্কর জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মধ্য দিয়ে ভারত সেটাই করে দেখিয়েছে৷ ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ এরপর ৮, ৯ ও ১০ মে পাকিস্তানও ভারতীয় সেনাঘাঁটি এবং সাধারণ মানুষের বসবাসের জায়গাগুলিকে নিশানা করে৷ ভারত তার যথাযোগ্য জবাবও দিয়েছে ৷ এরপরই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আর্জি জানায়। ভারত কখনওই যুদ্ধের পক্ষে নয় তাই সম্মত হয়।

    সন্ত্রাস বন্ধই একমাত্র পথ

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিষয়গুলি পরিষ্কার৷ এই আবহে আমাদের বিরোধীদেরও আমি আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিতে চাই৷ পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক, কাজকর্ম সবকিছু দ্বিপাক্ষিক এবং কঠোরভাবেই দ্বিপাক্ষিক৷ বিগত বহু বছর ধরে এই বিষয়ে দেশে ঐকমত্য আছে৷ এর কোনও বদল হয়নি৷” জয়শঙ্করের কথায়, ভারতের একটাই দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের অধিকৃত ভারতের জমি ছেড়ে দিতে হবে পাকিস্তানকে৷ পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে৷ এদিন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রয়েছে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রী৷ গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরদিন মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি বৈঠক করে৷ সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচটি পদক্ষেপ করে ভারত৷ এর ফলে পাকিস্তান জল সংকটের সম্মুখীন হবে৷ এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রয়েছে৷ পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ না করা পর্যন্ত তা স্থগিতই থাকবে৷”

  • Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করল দিল্লি। সেলেবি এভিয়েশন ভারতের ৯টি বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিত বলে জানা গিয়েছে। এগুলি হল- দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, কোচি, কান্নুর ও গোয়া। তুরস্কের এই সংস্থাটি ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর এই ছাড়পত্র পেয়েছিল বলে জানা যায় (India Turkey Relation)। প্রসঙ্গত, ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। এই আবহে বাতিল হল সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র।

    কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্র (Operation Sindoor)

    তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে ড্রোন ও সেনা দিয়েও সাহায্য করেছে তুরস্ক। খবরে প্রকাশ, সেলেবি এভিয়েশনের অন্যতম সত্ত্বাধিকারী হলেন এরদোয়ানের মেয়ে। সেই কারণেই ভারত সরকার এমন কড়া অবস্থান নিল বলে মনে করা হচ্ছে (Operation Sindoor)। জানা যাচ্ছে, সেলেবি এভিয়েশন ২০০৯ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে কাজ শুরু করে এবং পরে দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুসহ অন্যান্য বড় শহরে কাজ ছড়িয়ে দেয়। এই সংস্থা যাত্রী পরিষেবা, কার্গো, সার্ভিস, বিমানের লোড কন্ট্রোল ইত্যাদি পরিচালনা করত।

    বাতিল রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, তুরস্ক সমেত বাংলাদেশ ও তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি ভবনে। কিন্তু তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল বিদেশ মন্ত্রক। এই অনুষ্ঠানেই তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলি মুরাদ এরসয় ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র উপস্থাপন করতেন। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই বদলে গিয়েছে ভারত ও তুরস্কের সম্পর্ক। এই আবহে দেশজুড়ে তুরস্কের পণ্য বয়কটের ব্যাপক দাবি উঠেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে তুরস্কের (India Turkey Relation) এমন এমন অবস্থান। জানা যাচ্ছে, তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত চ্যাভানার্ট থাংসুমফ্যান্ট এবং বাংলাদেশি হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহরও ওই একই অনুষ্ঠানে নিজেদের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করার কথা ছিল। তবে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দিল কেন্দ্র।

  • India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) কথা বললেন তালিবানের (India-Afghanistan Relation) ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে। এই প্রথম ভারতের কোনও মন্ত্রী তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তেই কৌশলে কূটনৈতিক চাল দিল মোদি সরকার। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছিল কাবুল। তার জন্যই আফগানিস্তানকে ধন্যবাদ জানান বিদেশমন্ত্রী।

    তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা

    আফগান (India-Afghanistan Relation) মুলুকে তালিবান ফের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কথা হল। চলতি ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই মন্ত্রীর এই কথোপকথনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তার নিন্দায় সরব হয়েছিল তালিবান সরকার। সমাজমাধ্যমে বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানানোর জন্য তাঁকে (তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী) ধন্যবাদ জানাই।” এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ‘চিরন্তন’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের বোঝাপড়া আরও নিবিড় করার বার্তাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের তরফে এই চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই প্রচেষ্টাকে আমল দেয়নি আফগানিস্তান।

    কী বলল আফগানিস্তান

    ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট তালিবান (India-Afghanistan Relation) ফের একবার দখল নেয় আফগানিস্তানের। শুরু হয় তালিবান শাসন। এখনও পর্যন্ত ভারত এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেখানেই এবার সরাসরি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। তালিবানের জনসংযোগ আধিকারিক হাফিজ জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, আফগান বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন যে আরও আফগান নাগরিকদের যেন ভিসা দেওয়া হয়, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা করাতে ভারতে আসতে চান। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভারতে বন্দি আফগানদের মুক্তি দেওয়া এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে জয়শঙ্করের কথা হয়েছে।

    কৌশলী চাল ভারতের

    নয়া তালিবান শাসনে পাকিস্তানের (Pakistan) মাথাব্যথা বেড়েছে আফগানিস্তানকে (India-Afghanistan Relation) নিয়ে। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ একাধিক বার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান -এর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে। তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে, এখনও কূটনৈতিক স্বীকৃতি না-দিলেও তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়নি ভারত। এই আবহে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে নয়াদিল্লি কাবুলকে কাছে টানতে চাইছে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

  • Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে (Pakistan) সরাসরি সমর্থন করেছে তুরস্ক। এই আবহাওয়া এ দেশে তুরস্কের পণ্য বর্জনের দাবি জোরদার হয়েছে। এই আবহে তুরস্কের সঙ্গে ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ সালে তুরস্কে ভারতের রফতানির পরিমাণ ছিল ৫.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যা এদেশের মোট রফতানির দেড় শতাংশ। অন্যদিকে তুরস্ক থেকে ভারত আমদানি করেছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার যা মোট আমদানির ০.৫%।

    তুরস্কে আমদানি ও রফতানি কী কী হয়?

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তুরস্কে ভারতের (Operation Sindoor) রফতানি করে তেল, খনিজ জ্বালানি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, রাসায়নিক, ওষুধ, ট্যানিং এবং ডাইং আইটেম, প্লাস্টিক, রাবার, তুলা, কৃত্রিম তন্তু এবং ফিলামেন্ট, লোহা, ইস্পাত, অটো এবং এর উপাদান। অন্যদিকে ভারত তুরস্ক থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে রয়েছে মার্বেল, তাজা আপেল, সোনা, শাকসবজি, চুন, সিমেন্ট, খনিজ তেল, রাসায়নিক, প্রাকৃতিক মুক্তা, লোহা এবং ইস্পাত। তুরস্ক কোম্পানিগুলি মেট্রো রেল, টানেল নির্মাণ, বিমানবন্দর পরিষেবা, শিক্ষা, মিডিয়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    বুধবার জেএনইউ তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে

    কিন্তু এই পুরো চিত্রটি এবার বদলে যেতে পারে (Operation Sindoor) বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানকে যেভাবে তুরস্ক সেনা এবং ড্রোন সরবরাহ করেছে, তাতেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের একবার পুনর্বিবেচনার জায়গাতে চলে এসেছে। গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। ২০২৩ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ভারত সেখানে ত্রাণ সরবরাহ করে, অপারেশন দোস্ত নামে। তারই প্রতিদান স্বরূপ অকৃতজ্ঞ তুরস্ক পাকিস্তানকে সেনা ও ড্রোন সরবরাহ করল (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হয়েছিল মুজিব। এবার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য (Operation Sindoor) । ধরা পড়ল তার পাকিস্তানি যোগ। মুজিবের সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা একাধিক পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের সঙ্গে তার যোগ পেয়েছেন (Pak Extremist)। এই প্রোফাইলগুলিতে সর্বদাই ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয় বলে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, instagram-এর একাধিক পাকিস্তানি অ্যাকাউন্টকে মুজিব ফলো করে, যেগুলি পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা চালায়। এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সে মাদকাসক্তও বটে। তাকে ফের একবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পরবর্তী তদন্তের (Pak Extremist) জন্য।

    সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করে মুজিব (Operation Sindoor)

    পুলিশ জানিয়েছে যখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়, তখনই মুজিব অস্বীকার করে তার সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয় প্রশাসনের। এরপরেই তার সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক পাকিস্তানি উগ্রপন্থী প্রোফাইলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। বর্তমানে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন এই পাকিস্তানি উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সে কীভাবে যোগাযোগ রাখত।

    আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান 

    প্রসঙ্গত, কোচি হারবার পুলিশ স্টেশন মুজিবকে আগেই গ্রেফতার করে। কারণ সে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে কোচি নৌ ঘাঁটিতে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান ঠিক কোন জায়গায় সেটা জানতে চেয়েছিল। এক্ষেত্রে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল যে সে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে ফোন করছে এবং নিজের নাম বলেছিল রাঘবন। ফোন কল ভুয়ো জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এমন ফোন কল আসায় বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় প্রশাসন। মুজিবকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করে কোচি পুলিশ। এরপরেই মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান।

  • IPL 2025: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং কেন জানেন?

    IPL 2025: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক উঠল আইপিএলে (IPL 2025)। আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #boycottdelhicapitals। আইপিএলে কোনও দলকে বর্জন করার ডাক উঠছে, এরকম ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। তাহলে এরকম ঘটার কারণ। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালস জানায়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-মার্গক বাকি আইপিএলে খেলতে না পারায় তার বদলি হিসেবে বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুরকে নেওয়া হয়েছে। ব্যাস চটে লাল ভক্তরা।

    দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের কারণ

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। ১৭ মে থেকে ফের শুরু হতে চলেছে টুর্নামেন্ট। বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে। তবে আইপিএলের এই চূড়ান্ত পর্যায়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে সমস্যায় অনেক দলই । অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই আইপিএলের শেষ পর্বে খেলতে আসতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সেই আবহে কপাল খুলে গিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের। দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএলের শেষ পর্বে পাবে না অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে (Australian opener Jake Fraser-McGurk)। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে তারা ৬ কোটি টাকায় সই করিয়েছে বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে (Mustafizur Rahman)। যিনি এর আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালে।

    মুস্তাফিজুরের খেলা নিয়ে সংশয়

    আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়েই আগ্রহ দেখায়নি কোনও দল। অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। তবে আইপিএলের চূড়ান্ত পর্বে বিদেশি ক্রিকেটারদের না যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর দরজা খুলতে শুরু করল বাংলাদেশের। সুযোগ পেলেন মুস্তাফিজুর। যদিও বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন আর তারপর সে দেশে প্রবল ভারত বিদ্বেষী হাওয়ায় মুস্তাফিজুরকে আইপিএলে নেওয়ার দিল্লি ক্যাপিটালসের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেননি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিরক্ত হয়ে তাই দিল্লি ক্যাপিটালস বয়কটের ডাক উঠেছে। তবে মুস্তাফিজুরের আইপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলতে সে দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই দলে রয়েছেন মুস্তাফিজুরও।

  • Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা কি আদৌ নিরাপদ? শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যান তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর রাজনাথ এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

    পাকিস্তানের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন

    জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আজ শ্রীনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই। দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্ত মানসিকতাসম্পন্ন কোনও দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকাটা কি আদৌ নিরাপদ? আমার মনে হয় আইএইএ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)র উচিত পাকিস্তানের সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্রের উপর নজর রাখা।” প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আর মোটেও মেনে নেবে না ভারত। উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনী ভেঙে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্রের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা দুনিয়া। তাই রাজনাথের দাবি, পরমাণু ভাণ্ডারের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা বিশেষ করে সতর্ক হোক পাকিস্তানকে নিয়ে।

    সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা

    এদিন সেনাবাহিনীর সাহসিকতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। সেনার উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।” বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি ঘুরে দেখেন রাজনাথ। এই সেনাছাউনিতেই ধেয়ে এসেছিল পাকিস্তানের গোলা। সেই গোলার অংশ দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কাশ্মীরকে ভারতের মাথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের মাথায় মেরেছিল, আমরা ওদের ছাতি ফালাফালা করে দিয়েছি।”

    সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই লক্ষ্য

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিহত সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) একটা অঙ্গীকার। ওরা ধর্ম দেখে নিরীহ মানুষদের মেরেছে কিন্তু আমরা কর্ম দেখে জঙ্গিদের মেরেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় অভিযান। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে আমরা যে কোনও সীমা পর্যন্ত যাব। পাকিস্তানকে অবিলম্বে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।” ইসলামাবাদের দাবি মোতাবেক, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ক‌োনও আলোচনা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন রাজনাথ। বলেন, “কথা হবে সন্ত্রাসবাদ আর পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে।”

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

LinkedIn
Share