Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Harichand Thakur: মতুয়া ধর্মের প্রবর্তকের আবির্ভাব তিথি, শুরু বারুণীর স্নান, জানুন হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনকথা

    Harichand Thakur: মতুয়া ধর্মের প্রবর্তকের আবির্ভাব তিথি, শুরু বারুণীর স্নান, জানুন হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) ২১৪তম আবির্ভাব তিথি। এই উপলক্ষ্যেই শুরু হচ্ছে বারুণী মেলার পুণ্যস্নান। জানা যায়, ১৮১২ খ্রীষ্টাব্দে বাংলাদেশের ওড়াকান্দির নিকটবর্তী সাফলিডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মতুয়া ধর্মাবলম্বী মানুষরা বাস করেন। এঁদের সকলের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুর। বিগত কয়েক বছর ধরে মতুয়া সম্প্রদায় নিয়ে আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে। সামাজিক আন্দোলনে হরিচাঁদ ঠাকুরের কৃতিত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। জানা যায়, নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন যশোবন্ত ঠাকুর ও অন্নপূর্ণা দেবী। দুজনেই ছিলেন পরম বৈষ্ণব। এঁদের ঘরেই জন্ম নেন হরিচাঁদ ঠাকুর। অনেকেই তাঁকে গৌতম বুদ্ধ ও চৈতন্যদেবের অবতার হিসেবে মনে করেন। কেউ কেউ তাঁকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার মানেন।

    সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত হরিচাঁদ ঠাকুর (Harichand Thakur)

    সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত হরিচাঁদ ঠাকুর (Harichand Thakur) ছোট থেকে সেভাবে পড়াশোনার সুযোগ পাননি। তিনি নিজেই স্বশিক্ষিত হয়েছেন। হিন্দু, বৌদ্ধশাস্ত্র, দেশীয় চিকিৎসা, ভূমি ব্যবস্থাসহ একাধিক বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। পরবর্তীকালে অবতার পুরুষ হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয়। নিজের ব্যক্তিত্ব, কাজ, জনসেবা, ধর্মকথা এসবের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এরপর থেকেই হরিচাঁদ ঠাকুরের ভক্তদের মতুয়া বলার প্রচলন হয় এবং ওড়াকান্দি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। বর্তমান বাংলাদেশের এই ওড়াকান্দি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় প্রতি বছর।

    হরিচাঁদ ঠাকুরের সরল ধর্মীয় দর্শন মতুয়া সম্প্রদায়কে জনপ্রিয় করে তোলে

    হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) সরল ধর্মীয় দর্শন খুব তাড়াতাড়ি মতুয়া সম্প্রদায়কে জনপ্রিয় করে তোলে। তাঁর অন্যতম বাণী ছিল, ‘হাতে নাম মুখে কাজ’। এই মূলমন্ত্রকে সঙ্গী করে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সদা সচেষ্ট ছিলেন জীবনভর। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হয়। তাঁর মহাপ্রয়াণের আগেই নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করে যান জ্যেষ্ঠপুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরকে (Matua Sect)। মতুয়া সম্প্রদায়ের সশক্তিকরণের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর।

    মতুয়াদের পরবর্তীকালে সংগঠিত করেন গুরুচাঁদ ঠাকুর

    পরবর্তীকালে, পিতার দেখানো পথেই গুরুচাঁদ ঠাকুর হিন্দু সমাজের অবহেলিতদের একত্র করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে একথা উল্লেখ করতেই হবে যে, হরিচাঁদ ঠাকুর এবং ওঁর পুত্র গুরুচাঁদ দুজনেই হিন্দু সমাজের নমঃশূদ্রদের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি। হিন্দু ধর্মের অন্যান্য সম্প্রদায় বরং তেলি, মালি, মাহিষ্যসহ সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে গিয়েছেন পিতা-পুত্র। দুজনেই মতুয়া ভাবাদর্শ প্রচারের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। জানা যায়, দলিত সমাজের মানুষ হয়ে নিজের পিতার স্বপ্নপূরণ করেন গুরুচাঁদ ঠাকুর। জানা যায়, বর্ণহিন্দুদের জন্য ১৮৮০ সালে গুরুচাঁদ ঠাকুর ওড়াকান্দিতে প্রথম স্কুল স্থাপন করেন এবং ১৯০৮ সালে সরকারি সহায়তায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে রূপান্তরিত হয় সেটি।

    হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে শুরু হয় বারুণী মেলা

    প্রতি বছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) জন্মতিথি উপলক্ষে শুরু হয় বারুণী মেলা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পূণ্য স্নান করেন লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত। দূর দূরান্ত থেকে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়। এই আবহে ঠাকুরনগরে বসে মতুয়া ধর্ম মহামেলা। সাত দিন ধরে চলা এই মেলাতে মতুয়া সম্প্রদায় ছাড়াও অন্যান্য অনেক মানুষ ভিড় করেন। মতুয়া (Matua Sect) ভক্তরা জানাচ্ছেন, পুরাণেও উল্লেখ পাওয়া যায় বারুণী কথার। তাঁদের মতে, স্কন্দপুরাণে লেখা আছে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত হয়।

    বহুশত গঙ্গাস্নানের ফল মেলে বলে বিশ্বাস ভক্তদের

    মতুয়া ধর্মের ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত গঙ্গাস্নানের ফল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। মতুয়া ভক্তদের কাছে বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাংলা বছর অনুযায়ী, প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে, কোনও বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ওই বারুণী স্নানের মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, বারুণী স্নানে মেলে পুণ্য, দূর হয় পাপ। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি যেন মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা।

  • Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে চিনের দাদাগিরি একেবারে মুখ বুজে মেনে নেবে না ভারত (Indian Naval Diplomacy)। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্ষমতাবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা। এপ্রিলের গোড়ায় আফ্রিকা মহাদেশের ১০টি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত মহাসাগরে নৌযুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় নৌসেনা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ১০টি দেশের অনেকগুলিই ‘চিনের সহযোগী’ বলে চিহ্নিত।

    ভারত-আফ্রিকা নৌ মহড়া

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি ভারতীয় নৌসেনা এবং তানজানিয়ার ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ যৌথ ভাবে ভারত মহাসাগরে ‘আইকেম’ নামের ওই নৌমহড়ার আয়োজন করবে। উদ্বোধন কর্মসূচি হবে তানজানিয়ার দার-এস-সালামে। নৌযুদ্ধের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষা এবং জলদস্যুর মোকাবিলা। কমোরোস, জিবুতি, এরিট্রিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মোজাম্বিক, সেশেলস্ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ওই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি জিবুতিতে নৌঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিন।

    অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ়করণ

    ভারত-আফ্রিকা (Indian Naval Diplomacy) বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তার গুরুত্বকে তুলে ধরে। ভারতের বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং তার শক্তির আমদানি অধিকাংশই ভারত মহাসাগর দিয়ে চলে। অধিকাংশ আফ্রিকান দেশে প্রায়  ৮ বিলিয়ন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট (LoCs) প্রদান করেছে ভারত, যার মাধ্যমে নৌ বন্দরের আধুনিকীকরণ, উপকূলীয় নজরদারি রাডার নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং বাণিজ্য সুবিধা প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর উপ প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল তারুণ সোবটি, আইকেম-কে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং নৌ সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

    ভারত মহাসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারত মহাসাগর (Indian Naval Diplomacy) বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। এই পথে বিশ্বের ৮০ শতাংশ তেল বাণিজ্য হয়। চিন ও ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে এই ভারত মহাসাগর। কৃটনৈতিক মহলের অনুমান, ভারত মহাসাগরের ভূরাজনীতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো যখন প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন ভারতের উচিত সুস্পষ্ট কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। নৌ-শক্তি বৃদ্ধি, আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও বহুপাক্ষিক সামুদ্রিক উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারত তার স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে পারে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারে।

    চিনের সামুদ্রিক সম্প্রসারণ মোকাবিলা

    এ বার সরাসরি ‘বেজিংয়ের প্রভাব বলয়ে’ হানা দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার দেশগুলিতে প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে চিন। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আফ্রিকার অনেকগুলি দেশের। ভারতের আফ্রিকার সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে চিনের আগ্রাসী এবং আধিপত্যবাদী নৌ ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে। চিনের মারাত্মক সামুদ্রিক অবকাঠামো বিনিয়োগ, বিশেষত জিবুতি এবং কেনিয়ায়, ঋণের স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। চিনের প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি, পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (PLAN)-এর ঘাঁটি, জিবুতি, বৈশ্বিক অপারেশনাল উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যা আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ভারত তো বটেই, আমেরিকাও ভারত মহাসাগরে প্রভাব বৃদ্ধির এই খেলায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল চিনের চেয়ে। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশের ১০টি দেশকে নিয়ে ভারতের নৌমহড়া চিনের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই অনেকে মনে করছেন।

    আফ্রিকার দৃষ্টিভঙ্গি

    আফ্রিকার দেশগুলো সাধারণভাবে ভারতের সামুদ্রিক উদ্যোগে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চিনের থেকে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ নীতিই তাদেরকে আপাতত বেশি আকৃষ্ট করেছে। যেখানে গঠনমূলক ও মজবুত অংশীদারিত্ব, স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং সক্ষমতা তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি চিনের সমালোচিত মডেল থেকে পৃথক। চিনা মডেলে রয়েছে উচ্চ ঋণের বোঝা, পরিবেশগত প্রভাব এবং স্থানীয় সুবিধার অভাব। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস (MP-IDSA) এর মতো শীর্ষ চিন্তনক্ষত্রগুলো ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কৌশলকে প্রশংসা করেছে, যা আফ্রিকার জন্য কৌশলগতভাবে লাভজনক এবং ভারতের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

    ভারত এবং চিনের (Indian Naval Diplomacy) ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক কূটনীতি আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে এক মহৎ বিকল্প হিসেবে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, ভারতের সামুদ্রিক কূটনীতি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করবে এবং আফ্রিকান দেশগুলিকে চিনের বিস্তৃত প্রভাবের বিকল্প একটি কৌশলগত পথ সরবরাহ করবে। ভারতীয় কৌশল, যা প্রকৃত অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়, তা আফ্রিকায় দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবলে সোনা জিতল ভারতের ছেলেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে বিশ্বকাপে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় ভারত ৭টি পদক জিতেছে। যার মধ্যে পুরুষদের রেগু ইভেন্টে প্রথম সোনা জিতেছে ভারত। সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবল, মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার পাটনায় ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপে সোনার পদক জিতেছে ভারত। ঘরের মাঠে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেগু ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতের ছেলেরা।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি এই সাফল্যকে “চমৎকার পারফরম্যান্স” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য ভারতকে আরও এগিয়ে দেবে। ভারতের জন্য সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্ব মঞ্চে একটি “প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ” নির্দেশ করছে। তিনি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের দলকে অভিনন্দন জানাই ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য। এই চমৎকার পারফরম্যান্স ভারতকে সেপাক তাকরাও বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।” সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) ভারতে খুব একটা পরিচিত নয়। ১৯৮২ সালের দিল্লি এশিয়ান গেমসে এটি একটি প্রদর্শনী ক্রীড়া হিসেবে খেলা হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক এই খেলাকে স্বীকৃতি দেয়।

    অভিনন্দন ক্রীড়ামন্ত্রীর

    ক্রীড়া মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্যও ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্বকাপে ভারতের সাতটি পদক জয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে পুরুষদের দলের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য প্রশংসিত করেন। তাঁর কথায়, “ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে ৭টি পদক জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষত পুরুষদের দলকে অভিনন্দন জানাই প্রথম সোনার পদক জেতার জন্য। আপনারা যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তারা আমাদের জাতির যুবকদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য কামনা করছি।

  • Sukanta Majumdar: যাদবপুরে ইফতার সেকুলার, সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক? বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যাদবপুরে ইফতার সেকুলার, সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক? বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির ভিডিও ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এবার এই আবহে ভিডিও পোস্ট করে বাম-তৃণমূলকে একযোগে তীব্র আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সরস্বতী পুজোর কথা উঠলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠে। আর এই সব ক্ষেত্রে (ইফতার) ছদ্ম ধর্মনিরেপক্ষতা। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে বামপন্থী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়ার। এনিয়ে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ইফতার পার্টি কি সেকুলার, আর সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক! সুকান্ত মজুমদারের দাবি, হিন্দু বিরোধী মতাদর্শে বাম এবং তৃণমূল একজোট হয়েছে।

    কী লিখলেন সকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    নিজের এক্স মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘এটাই লিবারাল বামপন্থীদের মুক্তচিন্তার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র যাদবপুর! বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেখানে বাগদেবী মা সরস্বতীর আরাধনার কথা হলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠানো সিউডো-সেক্যুলারদের ভ্রু কুঞ্চিত হয় কিন্তু এসব কেবলই ধর্মনিরপেক্ষতা মাত্র।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও সংযোজন, ‘‘সম্প্রতি বাংলাদেশকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া তৃণমূল পন্থীদের কাছেও বাড়তি অক্সিজেন! সনাতন হিন্দু বিরোধী মতাদর্শ অক্ষুন্ন রেখে বাম-তৃণমূল অজৈব জোটের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে দেবী সরস্বতীর প্রবেশ নিষিদ্ধ কিন্তু এসবে মুখে কুলুপ।’’

    সংসদের বাইরেও এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন সুকান্ত

    নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্টের পাশাপাশি এই ইস্যুতে সংসদের বাইরেও সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বামপন্থীরা কতটা হিপোক্রিট, এটা তার প্রমাণ। যারা সরস্বতী পুজো হতে দেয় না, তারা সর্বতোভাবে সাহায্য করে। এখানে কিন্তু দু’জনের মধ্যে কোনও শত্রুতা নেই! একসঙ্গে মিলে করছে। সব ছদ্ম সেকুলাররা একসঙ্গে ইফতার পার্টি করছে। ইফতার পার্টি কি সেকুলার, আর সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক। এরা কমিউনিস্ট সেজে থাকে। এই কি ধর্মনিরপেক্ষতা! এদের একটাই কাজ, ইসলামিকরণ, জেহাদিকরণ।’’

  • EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইপিএফও (EPFO) গ্রাহকদের জন্য সুখবর। বদলে যাচ্ছে পিএফের (PF Withdrawal) গোলকধাঁধা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন আনতে চলেছে যুগান্তকারী এক নতুন সিস্টেম। এবার ইউপিআই (UPI)-র মাধ্যমেও তোলা যাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফও সদস্যরা ইউপিআই এবং এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি তুলতে পারবেন ইপিএফের টাকা। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা।

    নতুন ব্যবস্থায় কী কী পরিবর্তন

    ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া সুপারিশে সম্মতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফে (EPFO) নতুন সিস্টেম বা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। কেন্দ্র ইপিএফও-৩.০ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে ইপিএফও-র নিয়মে অনেক পরিবর্তন হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, চলতি বছরের মে মাসের শেষ ভাগ বা জুন মাসের শুরু থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ইউপিআই ও এটিএম থেকে তোলা যাবে। সরাসরি ইউপিআই অ্যাপ থেকেই পিএফ অ্যাকাউন্টের (PF Withdrawal) ব্যালেন্স দেখা যাবে। তিনি আরও জানান, অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে পিএফের গ্রাহকরা তৎক্ষণাৎ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। গ্রাহকরা চাইলে অন্য ব্যাঙ্কেও পিএফের ফান্ড ট্রান্সফার করা যাবে।

    মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা

    ক্লেম প্রসেসিংয়ের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পিএফের (PF Withdrawal) টাকা তোলার আবেদন করলে, মাত্র তিনদিনের মধ্যে তা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে পিএফের টাকা তোলার ক্ষেত্রে অনলাইন বা অফলাইনে অ্যাপ্রুভালের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আবেদন করলেই দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে। এই কার্ডে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকবে। টাকা তুলতে গেলে মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিলেই টাকা তোলা যাবে। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ ক্লেমই অটোমেটেড হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে। শ্রম মন্ত্রকের সেক্রেটারি জানান, গ্রাহকদের আরও সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার থেকে পিএফ গ্রাহকরা সহজেই বাড়ি তৈরি, উচ্চশিক্ষা ও বিয়ের জন্য টাকা তুলতে পারবেন।

     

     

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মমতা সরকারকে ফের একবার তোষণ ইস্যুতে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংবিধান মেনে কাজ করছে না এবং ওবিসি সমীক্ষার নামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওবিসির রি-সার্ভে করতে হলে সবার হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের দিয়ে শুধুমাত্র মুসলিমদের সার্ভে করানো হচ্ছে। এমনকি ইমামদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।’’ এর আগে, রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর বিরাট রায় দেয় হাইকোর্ট। ২০১০ সালের ২২ মে পর থেকে জারি করা রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মমতার সরকার। সেখানে এই মামলা এখন বিচারাধীন।

    মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে

    বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানান, মামলায় জাতীয় ওবিসি কমিশনকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনও আদালতে জানানো হবে। বিরোধী দলনেতার মতে, এই বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। শুভেন্দু অধিকারীর মতে, রাজ্যে সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, তবে ওবিসি সংরক্ষণের জটিলতার কারণে তা আরও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘ওবিসিতে মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শুধু চাকরি নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে হিন্দু ওবিসিরা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।’’

    মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রামনবমীর পর রাজ্যজুড়ে হিন্দু ওবিসিদের বাঁচাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার শুধু সার্টিফিকেট দিচ্ছে, কিন্তু চাকরি দিচ্ছে না। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। এজন্যই আমরা এই সরকারকে ‘মুসলিম লিগ-২’ বলে থাকি!’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন উনি, তাঁদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরিতে তাঁদের যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা আছে, মেধা নিয়ে লড়াই করতে পারত, যাদের মেধা আছে, শিক্ষা আছে, তাঁদেরকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে ললিপপ ধরিয়েছিলেন। একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়ে, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য়, কর্মসংস্থান না দিয়ে, শুধুমাত্র ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তুষ্টিকরণ করছেন, এটা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’’

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

  • MGNREGA Corruption: বাংলায় মনরেগা তহবিল দুর্নীতিতে তছরুপ হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশ উদ্ধার, সংসদে কেন্দ্র

    MGNREGA Corruption: বাংলায় মনরেগা তহবিল দুর্নীতিতে তছরুপ হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশ উদ্ধার, সংসদে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের (MGNREGA Corruption) আওতায় ৪৪টি কাজে বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়ে। সেই কাজে তছরুপ হওয়া ৫.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে লোকসভায় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির (MGNREGA Corruption) অভিযোগ সামনে আসে। ভুয়ো কাজ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি একই কাজকে দু-তিনবার দেখিয়ে টাকা আদায় করা, ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে টাকা আদায়- এমন ভুরি ভুরি অভিযোগে কারণে তিন বছর আগে এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয় মোদি সরকার। এরপরেই রাজ্যে একাধিকবার আসে কেন্দ্রীয় টিম। অডিটে ধরা পড়ে বিরাট দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রীর (Chandra Sekhar Pemmasani) পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্যও এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন মমতা সরকারকে।

    অনিয়ম হওয়া অর্থের ৪০ শতাংশেরও বেশি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্র

    মঙ্গলবারই দেশের সংসদ ভবনে এ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি সরকারের গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে (MGNREGA Corruption) ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে তহবিল। তখনই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, এই অপব্যবহার হওয়া তহবিলের ৪০ শতাংশেরও বেশি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্র। নিজের বক্তব্যে এনিয়ে পরিসংখ্যানও পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আনুমানিক ৫.৩৭ কোটি টাকার মধ্যে ২.৩৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩.০২ কোটি টাকা আদায় করতে বাকি আছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত দুর্নীতি ইস্যুতে অপব্যবহার নিয়ে এত সুনির্দিষ্ট বিবরণ লোকসভায় পেশ করল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য

    এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। মঙ্গলবার তিনি এনিয়ে একটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। সেখানেই এই ইস্যুতে মমতা সরকারেক তুলোধোনা করেন মালব্য। সমাজমাধ্যমে বিজেপি নেতা লেখেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্য সরকার ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। একাধিক অনিয়ম সামনে এসেছে। চরম অব্যবস্থা রয়েছে এই প্রকল্পে। এই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে তহবিল আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দুর্নীতির তদন্তে চার জেলায় আসে কেন্দ্রীয় দল

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শন করে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। নিজের পোস্টে এই ঘটনা উল্লেখ করে অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘২০১৯ এবং ২০২১ সালে একাধিক কেন্দ্রীয় দল পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছে। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি তদন্ত করেছে তারা। কেন্দ্রীয় দল চারটি জেলায় এই পরিদর্শন করে। এই জেলাগুলি হল, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দার্জিলিং, মালদা। পরিদর্শনের পরেই ব্যাপক অনিয়ম এবং আর্থিক অপব্যবহারের দিকটি সামনে আসে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক কর্তার নামও উঠে আসে। এর পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধেও দুর্নীতিযোগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।’’

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

    অন্যদিকে মঙ্গলবার সংসদে একই ধরনের কথা বলতে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানিকে। নিজের বিবৃতিতে মঙ্গলবার সংসদে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু একাধিক অনিয়ম (MGNREGA Corruption) সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় অনিয়ম-দুর্নীতি চোখে পড়েছে। আমরা অডিটর পাঠিয়েছিলাম এবং মোট ৪৪টি জায়গাতে অনিয়ম ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৩৪টি জায়গা থেকে আমরা অর্থ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি। বাকি দশটি জায়গা থেকে অর্থ উদ্ধার বাকি রয়েছে। লোকসভাতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই সমস্যাগুলির শীঘ্রই সমাধান করা হবে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে এই সমস্যাগুলির সমাধান করবেন।

    ২০২২ সালের মার্চে তহবিল বন্ধ কে কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, ৩ বছর আগেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের মার্চ মাসেই পশ্চিমবঙ্গে এর তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় ৭৫০৭.৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী তিনটি অর্থ বছরে তহবিল বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী লোকসভাতে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগেও ব্যাপক অনিয়ম সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের তহবিল স্থগিত থাকায়, এখানে গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন, দুর্নীতি করার স্বার্থে তৃণমূল উন্নয়নকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে এভাবেই। তৃণমূলের এই দুর্নীতির কারণে ফল ভুগতে হচ্ছে গ্রামের গরিব মানুষদের। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

    রাজ্যের কারণেই আটকে ১০০ দিনের কাজ, তো মালব্যর

    অন্যদিকে, অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমে দাবি করছেন, ‘‘কেন্দ্র সরকারের বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার দোষী এবং অভিযুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিতে চাইছে না বলেই বাংলায় ১০০ দিনের কাজ আটকে পড়েছে।’’ বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর মতে, ‘‘১০০ দিনের কাজের বিপুল দুর্নীতির কারণেই তহবিল আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার।’’ ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে এই তহবিল আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালব্য। নিজের পোস্টে অমিত মালব্য আরও বলেন, ‘‘২০০৫ সালে ১০০ দিনের কাজের যে প্রকল্প চালু হয়, তার ২৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তহবিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’’ বিজেপি নেতার মতে, যা হয়েছে তা আইনিভাবেই হয়েছে।

    রাজ্য সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, তোপ মালব্যর

    এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন অমিত মালব্য। বিজেপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র মানুষ এবং প্রান্তিক শ্রমিকদেরকে। তাঁদের জীবনযাত্রার মূল্যে দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামের গরিব মানুষের অনেকেরই জীবিকা নির্বাহের জন্য ১০০ দিনের কাজের ওপর নির্ভর করতে হয়।’’ অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘এভাবে তহবিল বন্ধ করার জন্য সম্পূর্ণ দায় বর্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ওপর। যারা জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের রাজনৈতিক লুটকেই বেশি অগ্রাধিকার দেয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের যাবতীয় দুর্নীতি তদন্ত হবে এবং যে সমস্ত অর্থ অপব্যবহার করা হয়েছে তার পুরোটা উদ্ধার করা হবে।’’ এর পাশাপাশি দোষী অভিযুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছেন অমিত মালব্য।

LinkedIn
Share