Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর নিরবচ্ছিন্ন অতিবৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত কলকাতা (Kolkata Heavy Rain)। একটানা পাঁচ ঘণ্টা বৃষ্টি! শেষ কবে এরকম দেখেছিল, ভাবছে কলকাতাবাসী। এক ধাক্কায় শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গলি, চত্বর, সব জায়গায় হাঁটুজল (Kolkata Flooded)। কলকাতা ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু বাড়ির একতলা ভেসে গিয়েছে জলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে, কোথাও ভেসে গিয়েছে সাজসজ্জার সামগ্রী। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন দুর্যোগের সাক্ষী হননি তাঁরা। ফলে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কি না (Kolkata Weather), তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাতভর তুমুল বৃষ্টি

    রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন। শহরের বহু জায়গা জলের তলায়। ব্যাহত যান চলাচল। অধিকাংশ রাস্তায় যানজটে ভোগান্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এক রাতে কলকাতায় প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে এই বৃষ্টি দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও মধ্যরাতের পর তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দ্রুতই নীচু এলাকাগুলি ডুবে যায়।

    জেলায় জেলায় বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস তরফে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টির মূল প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সেই সংলগ্ন জেলায়। প্রভাব পড়েছিল হাওড়া, হুগলিতেও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের আর জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলদু সতর্কতা। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    দক্ষিণে বেশি বৃষ্টি

    পুর প্রশাসনের হিসাবে, দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার তুলনায় বেশি। তাই দক্ষিণ শহরতলির জীবনযাত্রা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবারও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই অনুমান। তবে ভারী বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে কলকাতার মানুষের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। গত তিন ঘণ্টায় কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা গিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাত। সঙ্গী হয়েছে প্রবল বজ্রবিদুৎ। তার সঙ্গে আবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে দমকা হাওয়াও। পুরসভার একটি সূত্রের বক্তব্য, ভোর ৪টে থেকে লকগেট খোলা হয়েছে। তাতে জল নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পুরসভাস লকগেটগুলি বন্ধ থাকবে গঙ্গায় জোয়ার আসার কারণে। ওই সময়ে আবার এমন ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

    ব্যাহত রেল-মেট্রো পরিষেবা

    রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। লাইনে জল জমে থাকার কারণে চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। একই ভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরাও। ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়াতেও বেশি রাতের দিকে বেশ কিছু জায়গায় রেল লাইনে জল জমে গিয়েছে। কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে মহানায়ক উত্তম কুমার এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের মাঝে জল জমে গিয়েছে। সেই কারণে আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙাপথে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।

    শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা

    সকালের আলো ফোটার পরে বৃষ্টির বেগ কমেছে। কিন্তু বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে যে এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই বানভাসি, সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুর-প্রশাসন ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করেছে। কিন্তু জমা জলের পরিমাণ এত বেশি যে, পাম্প চালিয়েও দ্রুত সে জল নামানোর পরিস্থিতি নেই। সময় লাগবে বলে পুর প্রশাসকেরাই জানাচ্ছেন। ফলে বৃষ্টি একেবারে না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেককেই অতীতের বন্যার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকেই ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বানভাসি পরিস্থিতির সঙ্গে সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরের তুলনাও করতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতার অনেক এলাকায় সেই বন্যার সময়েও জল জমেনি। এ বার জমেছে। যার প্রেক্ষিতে আবার শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে  

    কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মিলিমিটারে

    যোধপুর পার্ক- ২৮৫ মিলিমিটার

    কালিঘাট- ২৮০.২ মিলিমিটার

    তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার

    বালিগঞ্জ- ২৬৪ মিলিমিটার

    চেতলা- ২৬২ মিলিমিটার

    মোমিনপুর- ২৩৪ মিলিমিটার

    চিংড়িহাটা- ২৩৭ মিলিমিটার

    পামার বাজার- ২১৭ মিলিমিটার

    ধাপা- ২১২ মিলিমিটার

    সিপিটি ক্যানেল- ২০৯.৪ মি.মি

    উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার

    কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার

    পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মি. মি

    কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬মি.মি

    ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার

  • Durga Puja 2025: দেবীর দশ হাতে থাকা ১০ অস্ত্র আসলে বাস্তব জীবনের নানা প্রতীক! জেনে নিন তাদের অর্থ

    Durga Puja 2025: দেবীর দশ হাতে থাকা ১০ অস্ত্র আসলে বাস্তব জীবনের নানা প্রতীক! জেনে নিন তাদের অর্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। শক্তিরূপিণী মহামায়াকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই মায়ের অনেক রূপ। তিনি মা দুর্গতিনাশিনী রূপে পূজিতা (Durga Puja 2025) হন। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) আরও এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র (Weapons of Goddess Durga) বিদ্যমান থকে। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভশক্তিকে সংহার করতে মর্তধামে আসেন। মানব-জাতির ওপর নেমে আসা অন্ধকার দূর করতে, অশুভশক্তির বিনাশ করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। তিনি আবার সকল সৃষ্টি-স্থিতি-লয়কে একত্রে ধারণ করেন। দশভূজা দেবীর দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্যকথা কেমন জানেন? আসুন একবার মায়ের দশ অস্ত্রের উৎস এবং শক্তির প্রকার জেনে নিই।

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025) ত্রিশূল দান করেছিলেন। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার। তিন গুণের ধারক-বাহক দেবী দুর্গা।

    চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গার সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন (Weapons of Goddess Durga)। এই চক্রের নির্দেশে বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয়। দেবীর ব্রহ্মাণ্ড শক্তি আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে। অধর্মের মাত্রা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে মা চক্র দিয়ে সমূলে বিনাশ করেন।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে। পরিপূর্ণ জ্ঞণা বা প্রজ্ঞার আধার হল এই পদ্ম। পুজোতে তাই ১০৮টা পদ্ম নিবেদন করা হয়।

    তির ধনুক: পবনদেব-সূর্যদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে ওই ক্ষমতার গতিময়তাকে। একই সঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস। শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে এই অস্ত্র।

    ঘণ্টা: বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গে দেবীর হাতে থাকে ঘণ্টা (Weapons of Goddess Durga)। পুরাণে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দুর্গাকে এই ঘণ্টা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা ধ্বনি অসুরদের তেজকে দুর্বল করে।

    বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয়, তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই। এই শক্তি দিয়ে অসুর দমন করা যায়।

    সর্প: মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025), মহাদেব অস্ত্র হিসেবে সাপ প্রদান করেছিলেন। এই সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ হল—চেতনার নিম্নস্তর থেকেও সাধনাকে উচ্চতরে পৌঁছানোর প্রতীকী আধার।

    শঙ্খ: জলদেবতা বরুণদেব মহামায়াকে দিয়েছিলেন শঙ্খ (Weapons of Goddess Durga)। যার ধ্বনি মঙ্গলময় এবং সংকেতবহ। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যুদ্ধের প্রধান প্রারম্ভিক অস্ত্র হিসেবও ব্যবহার হয় শঙ্খ।

    তলোয়ার: তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    গদা: যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2025) গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ, নবরাত্রির দ্বিতীয়াতে পূজিতা হন দেবী ব্রহ্মচারিণী, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ, নবরাত্রির দ্বিতীয়াতে পূজিতা হন দেবী ব্রহ্মচারিণী, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী (Devi Brahmacharini), দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    নবদুর্গার অবিবাহিত রূপ…

    নবরাত্রির (Durga Puja 2025) দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, সঠিক নিয়ম মেনে মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে সব ইচ্ছা পূরণ হয়। মা ব্রহ্মচারিণীকে প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও জ্ঞানের প্রতীক বলে মানা হয়। তাঁর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে সুখ-শান্তি আসে। দেবী ব্রহ্মচারিণীকে (Devi Brahmacharini) জবা এবং পদ্মফুলও প্রদান করা হয়। দেবীর এই রূপে এক হাতে মালা এবং অন্য হাতে কমণ্ডলু ধারণ করা অবস্থায় দেখা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস (Durga Puja 2025) অনুযায়ী, দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন নবদুর্গার (Nabadurga) অবিবাহিত রূপ। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর ভোগে চিনি নিবেদন করতে হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এর ফলে দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনি (Durga Puja 2025) অনুসারে, দেবী পার্বতী ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পেতে ব্রহ্মচারিণী হয়ে কয়েক হাজার বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। মায়ের এই তপস্যার কারণেই তাঁর নাম হয় দেবী ব্রহ্মচারিণী। কথিত আছে, সতী পরবর্তীকালে পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম হয় পার্বতী বা হেমাবতী। পার্বতী ভগবান শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। পুরাণ অনুসারে, তখন ব্রহ্মার মানসপুত্র নারদ তাঁকে কঠোর তপস্যা করার পরামর্শ দেন। নারদ মুনির কথা শুনে তিনি কঠোর তপস্যা করতে শুরু করেন। তপস্যার ফলে তিনি ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পান পরবর্তীকালে।

    কীভাবে করবেন মাতা ব্রহ্মচারিণীর (Devi Brahmacharini) পুজো

    ১) নবরাত্রির (Durga Puja 2025) দ্বিতীয় দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠুন।

    ২) স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন।

    ৩) নিয়ম অনুযায়ী, মা ব্রহ্মচারিণীর পুজোর আগে যথাযথভাবে কলস দেবতা এবং ভগবান গণেশের পুজো করুন।

    ৪) মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো শুরু করুন। প্রথমে মাকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। তারপর মাকে ফুল, অক্ষত, কুমকুম, সিঁদুর দিয়ে সাজান।

    ৫) পান, সুপারি, মিষ্টি ইত্যাদি প্রদান করুন।

    ৬) মা ব্রহ্মচারিণীর (Devi Brahmacharini) ব্রতকথা পাঠ করুন।

    ৭) মায়ের আরতি করুন।

  • Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষের অবসান শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই দেবীপক্ষেই বাংলায় দেবীমূর্তির (Durga Puja) আবরণ উন্মোচন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থীর দিন দুপুরের মধ্যে কলকাতায় আসবেন শাহ। তার পরে শহরের দু’টি নামী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দেবেন তিনি। একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, অন্যটি ইজেডসিসির দুর্গাপুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামেই বিখ্যাত।

    থিমের অভিনবত্ব সজল ঘোষের পুজোয় (Amit Shah)

    থিমের অভিনবত্বের কারণেই ফি বছর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সজল ঘোষের পুজো। কখনও অযোধ্যার রামমন্দির, কখনও আবার দিল্লির লালকেল্লা করে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এবার এই পুজোর থিম হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। মূলত এই থিমেরই উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো এবার পা দিল ৯০ বছরে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করে শাহ (Amit Shah) যাবেন ইজেডসিসির পুজোর উদ্বোধন করতে। এই পুজোর আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামের এক সংগঠন। এই পুজো শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি তখন ছিলেন বিজেপিতে। পরে তৃণমূলেই ফিরে যান দলবদলু মুকুল। পুজো হয়েছিল তার পরের বছরও। পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের হচ্ছে সেই পুজোর আয়োজন। খুঁটিপুজোর দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপ উদ্বোধনেও যাবেন শাহ

    বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপ উদ্বোধনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেটি কোন মণ্ডপ কিংবা উদ্যোক্তাই বা কারা, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রটি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর লাগোয়া এলাকায়, তা নিশ্চিত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এ বছর তড়িঘড়ি করে পিতৃপক্ষেই ‘হিজাব’ পরে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার (Durga Puja) শাহকে এনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিমের উদ্বোধন করিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছে পদ্মশিবির (Amit Shah)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানকার মানুষই।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Rajnath Singh)

    দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সেখানে তিনি দেখা করেন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই বলবেন, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।” রাজনাথ বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।”

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    ভারত বরাবরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গত বছর এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, “পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) কখনওই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজোলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল, তা আলোচনার বিষয়।”

    কী বললেন রাজনাথ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালানোর সময় পিওকে দখলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু নেতা সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে ভারত একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পরেও যখন ভারতের প্রাধান্য ছিল, তখন কেন্দ্র কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল। তাঁদের দাবি ছিল, তখন পাকিস্তান অধিকৃত ভূখণ্ড দখল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল।”

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    প্রসঙ্গত (Rajnath Singh), মরক্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেরেশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের নয়া উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করবেন। এখানে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম ৮*৮ তৈরি হবে। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজনাথ মরক্কোর নয়া (POK) উৎপাদন কেন্দ্রটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য, এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মরক্কো সফরের প্রথম ঘটনা। তিনি মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেলতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।

    মউ স্বাক্ষর

    রাজনাথের এই সফরে ভারত ও মরক্কো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও প্রসারিত ও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেবে, যার মধ্যে থাকবে বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও শিল্পখাতের সংযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে কাসাব্লাঙ্কা বন্দরে নোঙর করছে। এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহলেগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য হত্যা করিনি। হত্যা করেছি তাদের কাজকর্মের জন্য।” অপারেশন সিঁদুর ফের যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি জঙ্গি হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না (POK)।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। বেহাল দশা শিক্ষা ব্যবস্থার। তার ওপর চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের কর। তাই তাঁরা পাক সরকারের শাসনে থাকতে রাজি নন (Rajnath Singh)।

  • PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলপ্রদেশের ইটানগরের জনসভা থেকে অরুণাচল ও উত্তর-পূর্বের অনুন্নয়নের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Arunachal)। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫,১২৭ কোটিরও বেশি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১,৮৪০ কিমি দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (NH-913)। প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই দুই লেনের হাইওয়ে ঐতিহাসিক ম্যাকমাহন লাইন বরাবর নির্মিত হবে, যা ভারত-চিন সীমান্তকে চিহ্নিত করে। চিনের পক্ষ থেকে এখনও অরুণাচলের কিছু অংশ নিয়ে দাবি তোলা হচ্ছে, এই প্রেক্ষিতে মোদির এই সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    অরুণাচল নিয়ে মোদির অবস্থান

    এদিন ইটানগরে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, অরুণাচল প্রদেশ শুধুমাত্র ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এটি দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও সরলতার এক অপূর্ব উদাহরণ। এই ভূমি যেন জাতীয় পতাকার গেরুয়া রঙের প্রতিচ্ছবি—অগ্রগামী, উৎসাহী ও দেশপ্রেমে ভরপুর। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্বের কোনও শক্তিই অরুণাচলকে ভারতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” চিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চিন যদি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তবে সম্প্রসারণের চিন্তা ত্যাগ করে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) বলেন, “আক্ষেপের কথা, সূর্যের কিরণ অরুণাচলে সবার আগে এলেও, বিকাশের কিরণ পৌঁছাতে কয়েক দশক লেগে গেল। এখানে এত সম্পদ, এত দক্ষ মানুষ কিন্তু আগের আমলের দিল্লির শাসকেরা বারবার অরুণাচলকে অবহেলা করেছে। কংগ্রেস ভাবত অরুণাচলে মাত্র দু’টো আসন, তাই এখানে নজর দিয়ে লাভ নেই।’’ তিনি আরও জোড়েন, ‘‘গোটা উত্তর-পূর্বই তাদের এই মনোভাবের জন্য পিছিয়ে পড়েছে। ২০১৪ সাল ক্ষমতায় এসেই আমি প্রথম এই কংগ্রেসের চিন্তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে মন দিই।” তাঁর আরও দাবি, “আমরা ভোট আর আসনের অঙ্ক করি না, আমাদের কাছে দেশই প্রথম। আমাদের মন্ত্র নাগরিক দেব ভব! যাঁদের কেউ কখনও পাত্তা দেয়নি, মোদী তাঁদের পুজো করে। বিস্মৃত উত্তর-পূর্ব এখন উন্নয়নের কেন্দ্র। বিজেপির আমলে আট শতাধিকারবার কেন্দ্রের মন্ত্রীরা এখানে এসেছেন। রাত কাটিয়েছেন। আমি নিজেও সত্তর বারের বেশি এসেছি। আট রাজ্যকে অষ্টলক্ষ্মী হিসেবে পুজো করে বিজেপি এখানকার উন্নয়নের বরাদ্দ বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি করা হয়েছে।’’

    মেড ইন চায়না নয় ঘরের জিনিস কিনুন

    চিনের বরাবরের দাবি তাওয়াং-সহ অরুণাচলের উপরে। প্রধানমন্ত্রী এক দিকে অরুণাচলবাসীর তীব্র দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করলেন বারবার। সেই সঙ্গে তাওয়াং থেকে শুরু করে রাজ্যের সব শহরের বাজারে ভরে থাকা ‘মেড ইন চায়না’ সামগ্রী বাদ দেওয়ার অনুরোধও রাখলেন, নাম না করেই। তিনি এ দিন সভার আগে স্থানীয় দোকানদার, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশা, দাবি, প্রতিক্রিয়া জেনে নেন। পরে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নবরাত্রির প্রথম দিনেই জিএসটি উৎসবের সূচনা হল অরুণাচল থেকে। জিএসটি কমায় রান্নাঘরের সামগ্রী, বাচ্চাদের পড়ার জিনিস, কাপড়, জুতো সস্তা হল। এখন আপনারা নিশ্চিন্তে নতুন বাড়ি বানান। বাইক কিনুন। বেড়াতে যান। খেতে যান। এখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উৎসাহ অনুভব করতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, জিএসটির নতুন হার বলবৎ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম জনসভা করলেন অরুণাচলপ্রদেশের রাজধানী ইটানগরে। বলাই বাহুল্য, ভাষণের অনেকটা জুড়েই থাকল জিএসটি কমার সুফলগাথা ও স্বদেশী জিনিস ব্যবহারের আহ্বান।

    অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি

    আজ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। এই হাইওয়ে পশ্চিমে তাওয়াং জেলার নাফরা থেকে শুরু হয়ে পূর্বে চাংলাং জেলার বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। এটি কেবলমাত্র সীমান্তে সেনাবাহিনীর দ্রুত চলাচলকে সহজতর করবে না, বরং পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জন্য বহু প্রতীক্ষিত সংযোগের সুযোগ এনে দেবে।

    হাইড্রো পাওয়ার-এর অগ্রগতি

    ইটানগরে প্রধানমন্ত্রী ৩,৭০০ কোটির দুইটি প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। হেও (Heo) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (২৪০ মেগাওয়াট) ও তাটো-I (Tato-I) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (১৮৬ মেগাওয়াট)। এই দুটি প্রকল্প সিয়ম (Siyom) নদীর উপ-খাতে অবস্থিত এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের হাইড্রো পাওয়ার সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে, যা ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অরুণাচলের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং টেকসই শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করা হবে। পাশাপাশি, এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে বলে কেন্দ্রের আশা।

    তাওয়াং-এ পর্যটন ও সংস্কৃতির উন্নয়নে আধুনিক কনভেনশন সেন্টার

    তাওয়াং-এ প্রায় ৯,৮২০ ফুট উচ্চতায় একটি আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের শিলান্যাস করেন মোদি। যেখানে একসঙ্গে ১,৫০০ প্রতিনিধি বসতে পারবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হবে এবং এই সীমান্ত জেলার পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যেগুলির মোট মূল্য ১,২৯০ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে: যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, ফায়ার সেফটি সিস্টেম, কর্মরত নারীদের জন্য হোস্টেল। এই প্রকল্পগুলি অরুণাচলের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করবে, বলে বিশ্বাস উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের।

    চিনের জন্য কূটনৈতিক বার্তা?

    চিন বর্তমানে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেডোগ হাইড্রো প্রজেক্ট নির্মাণ করছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হতে চলেছে। এতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও জলনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। মোদির সফরকে তাই বিশেষজ্ঞরা চিনের প্রতি একটি “নীরব কৌশলগত বার্তা” হিসেবে দেখছেন। এদিন অরুণাচল প্রদেশের শি ইয়োমি জেলার চিন সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে দুইটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সোমবার এই প্রকল্পগুলির সূচনা করে তিনি বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল লাভ পাচ্ছে উত্তর-পূর্ব।” চিন সীমান্ত সংলগ্ন অরুণাচলের প্রায় ৪৫০টি গ্রামের উন্নয়নে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান মোদি।

    ‘লাস্ট ভিলেজ’ নয় ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যেসব সীমান্তবর্তী গ্রামকে ‘লাস্ট ভিলেজ’ বলে অবজ্ঞা করা হত, আজ সেগুলিকে ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত করা হয়েছে। ভাইব্রেন্ট ভ্যালেজেস প্রোগ্রাম-এর অধীনে অরুণাচলের ৪৫০টিরও বেশি সীমান্ত গ্রামে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, রাস্তা ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এখন এই এলাকাগুলি পর্যটনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে এবং সেখানে আর আগের মতো মানুষ শহরে চলে যাচ্ছেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তে কৌশলগত স্থিতিশীলতার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও মজবুত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের প্রসঙ্গে বলেন, গত এক দশকে অরুণাচল প্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং এই প্রবৃদ্ধি আগামী দিনে আরও জোরদার হবে। নতুন কনভেনশন সেন্টার ও উন্নত বিমান যোগাযোগের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণও বাড়বে।

    উত্তর-পূর্বে নয়া গতি

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেটি পারনাইক (অবসরপ্রাপ্ত), মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু-সহ একাধিক মন্ত্রী ও আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই লক্ষ্য তখনই পূরণ হবে, যখন প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো দূরবর্তী এলাকাগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এদিনের সফর অরুণাচল প্রদেশের জন্য যেমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, তেমনই গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নকেও এক নতুন গতি প্রদান করল বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।

     

     

     

     

  • Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি (Navratri) উৎসব। হিন্দু চান্দ্র-সূর্য ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে সূচনা হয় নবরাত্রি উৎসবের। শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন। এই উৎসব পালিত (RSS) হবে ঘটস্থাপন, ব্রত, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ, উপোস এবং আঞ্চলিক রীতিনীতি মেনে।

    হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ (Navratri)

    নবরাত্রি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ – একটি আচার, একটি দর্শন এবং কর্মে আহ্বান। ন’রাত ধরে হিন্দুরা মা দুর্গা, মা চণ্ডী এবং মা ভবানীর উপাসনা করেন। এর মাধ্যমেই আহ্বান করা হয় সেই চিরন্তন শক্তিকে, যা সমাজকে পরাধীনতা ও নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করেছে। এই আহ্বান আধ্যাত্মিক এবং অস্তিত্বময় উভয়ই। এটি মনে করিয়ে দেয় যে পরিচয়, সাহস এবং ধর্মকে সচেতনভাবে রক্ষা করতে হবে এবং কাজে প্রতিফলিত করতে হবে।

    হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা

    গত এক হাজার বছরের ভারতীয় ইতিহাস প্রমাণ করে মুঘল আক্রমণ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পর্যন্ত, এবং আধুনিক যুগে মতাদর্শগত আক্রমণ থেকে সাংস্কৃতিক বিকৃতি পর্যন্ত হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। তা সত্ত্বেও হিন্দু পরিচয়ের সূত্র কখনও ছিন্ন হয়নি। রাজা ও ঋষি উভয়েই দেবীর আহ্বান করেছেন সম্মিলিত চেতনায় শক্তি জাগ্রত করতে। এই শক্তিই রক্ষা করেছেন মহারানা প্রতাপের মেবারের সার্বভৌমত্ব, প্রাণিত করেছেন গুরু গোবিন্দ সিংজি খালসাকে। এই শক্তির সাহায্যেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আত্মমর্যাদা ও ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছেন। এসব কাজ কেবল যুদ্ধজয়ের ঘটনা নয়, বরং সভ্যতার স্থিতিশীলতা, নৈতিক সাহস এবং ধর্মনির্ভর জাতীয়তাবাদের ঘোষণাপত্র।

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে আরএসএসের পদক্ষেপ

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে গত ১০০ বছর ধরে এর চারা গাছে নিত্য জল দিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএস (RSS)। তাদের লক্ষ্য শুধু সমাজকে সুসংগঠিত করা নয়, বরং হিন্দু সভ্যতার চিরন্তন শক্তিকে পুনর্জাগরণ করা – শৃঙ্খলা, নৈতিক সাহস, সাংস্কৃতিক আত্মসচেতনতা এবং সমষ্টিগত পরিচয় (Navratri)। এটাই হিন্দু জাতীয়তাবাদের মূল সত্তা। এটি একটি দৃঢ়, আত্মসচেতন এবং নৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চেতনা, যা আক্রমণাত্মক না হয়ে বা আপোস না করেই নিজের পরিচয়কে রক্ষা ও উদযাপন করে চলেছে। এ বছরের নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরএসএস প্রতি বিজয়া দশমীতে মা ভারতীকে আহ্বান করেছে শক্তি, সাহস ও ধর্মীয় কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে।

    শতবর্ষে আরএসএস

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করবে আরএসএস। এটি হিন্দু সভ্যতা রক্ষায়, পরিচয়, মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ সংরক্ষণে এক শতাব্দীর নিবেদিত সেবার প্রতীক। এই শতবার্ষিকী আমাদের প্রাণবন্তভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তির চিরন্তন দর্শন হল সত্যকে রক্ষা করা, অত্যাচারের বিরোধিতা করা এবং শুভের দ্বারা অশুভের জয় নিশ্চিত করা – চিরকালীন ও প্রতিটি প্রজন্মে জীবন্ত। নবরাত্রি নিজেই শক্তিবোধের এক গভীর পাঠ। এটি অন্তর্নিহিত ও সামষ্টিক শক্তির জাগরণ। শৈলপুত্রী থেকে সিদ্ধিদাত্রী পর্যন্ত দেবীর ন’টি রূপ শুধু আধ্যাত্মিক গুণের প্রতীকই নন, বরং সাহস, প্রজ্ঞা ও কর্মের বাস্তব নীতিরও প্রতিফলন। নির্ভীক কালরাত্রি শেখান যে অন্ধকার, অজ্ঞতা ও অন্যায়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কল্যাণময়ী মহাগৌরী শেখান ন্যায়, পবিত্রতা ও শৃঙ্খলাই মজবুত কোনও শক্তির ভিত্তি। এই প্রতীকগুলির মাধ্যমে নবরাত্রি এক সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে টিকে থাকা, আত্মসম্মান ও পরিচয় রক্ষার জন্য অন্তরের শক্তি যেমন প্রয়োজন, তেমনি অপরিহার্য জগতের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততাও (Navratri)।

    মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব

    বিজয়া দশমী দেবীর মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব। এটি হল সেই প্রতীক যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি যুগে যখনই হিন্দু সমাজ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখনই সে বিজয়ী হয়েছে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পরিচয়ের সংরক্ষণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা সাহস, কর্ম এবং ঐক্যের থেকে অবিচ্ছেদ্য। যে শক্তি এক সময় ঐতিহাসিক যোদ্ধাদের প্রাণিত করেছিল, সেই একই শক্তিই আজ সমাজকে প্রাণিত করছে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে, জাতীয় আত্মসম্মানে এবং নৈতিক স্পষ্টতায় (RSS)। আধুনিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু পরিচয় এবং জাতীয়তাবাদ চাপের মুখে রয়েছে। কখনও অভ্যন্তরীণ বিভাজন, কখনও বা বহিরাগত বর্ণনার জেরে। তবুও, নবরাত্রির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো আমাদের স্থিতিশীলতার একটি বার্তা দেয়। সেটি হল শক্তির আহ্বান, নৈতিক সাহসের বিকাশ, ধর্মের মাধ্যমে ঐক্য, এবং সত্য রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ।

    হিন্দু জাতীয়তাবাদ

    অতএব, হিন্দু জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সভ্যতাগত, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক। এটি ঘোষণা করে (RSS) যে, যে জাতি তার শেকড়, তার ধর্ম এবং তার শক্তিকে জানে, তাকে কখনও দমন করা, বিকৃত করা বা মুছে ফেলা যায় না (Navratri)।

  • GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর উপহার দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন নয়া জিএসটি কাঠামো (New GST Structure)। ২২ সেপ্টেম্বর দেবীপক্ষ থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) (GST 2)। এতদিন জিএসটির স্তর ছিল চারটি – ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় বাতিল করা হয়েছে ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্তর। তাই আজ, সোমবার থেকে সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি থাকবে ৫ কিংবা ১৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এদিন থেকেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দামই। প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেটাই এবার চালু হচ্ছে এদিন থেকে।

    আজ থেকেই কমছে দাম (GST 2)

    সোমবার থেকেই নবরাত্রি উৎসবে মেতেছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। জিএসটি সংস্কারের ফলে উৎসবের মরশুমে আমআদমির হেঁশেলে স্বস্তি ফিরবে তো বটেই, অনেকটা ছাড় মিলবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মায় সাজসজ্জার মতো সরঞ্জামেও। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া জিএসটি ব্যবস্থার কথা দেশবাসীকে মনেও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জিএসটি সংস্কারকে দ্বিগুণ দীপাবলি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, জিএসটি বদলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আর পুরানো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। যদি কোনও পণ্য পুরনো স্টকের হয় এবং এমআরপি বেশি লেখা থাকে, তাও স্টিকার বসিয়ে নয়া দামই নিতে হবে।

    সস্তা হচ্ছে এই সব জিনিস

    এবার দেখে নেওয়া যাক এদিন থেকে কমছে কোন কোন জিনিসের দাম। বাড়ছেই (GST 2) বা কোন কোন পণ্যের দাম। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় দুধ, ছানা, পনির, রুটি এবং পাউরুটির মতো পণ্যে এখন আর কোনও কর দিতে হবে না (New GST Structure)। কারণ এই সব পণ্য কিনলে জিএসটি দিতে হত ৫ শতাংশ। সোমবার থেকে এগুলি কিনলে আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। জিএসটি মুক্ত হচ্ছে পেন্সিল, শার্পনার, ছবি আঁকার রং, খাতা, মানচিত্র, চার্ট এবং গ্লোবের মতো প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম। জিএসটি দিতে হবে না জীবনবিমা এবং যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও।

    দাম কমছে এসবেরও

    দাম কমছে কনডেন্সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, পশুচর্বি, সসেজ, প্রিজার্ভড বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডলস, স্প্যাগোটি, চিজ এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যেরও। এতদিন এসব জিনিস কিনলে জিএসটি দিতে হত ১২ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। সস্তা হচ্ছে (GST 2) বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম-সহ অন্যান্য ফলও। কারণ এসব ক্ষেত্রেও জিএসটির হার কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিয়েই কেনা যাবে জ্যাম, জেলি, মাশরুম, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতল। এতদিন এগুলি কিনতেই দিতে হত ১২ শতাংশ জিএসটি। সস্তা হচ্ছে মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম এবং জিলেটিনও। ২২ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত এগুলি কিনতে গেলে গুণতে হত ১৮ শতাংশ জিএসটি (New GST Structure)। এখন তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, থার্মোমিটার, অক্সিজেন এবং গ্লুকোমিটার কিনলে। ২২ তারিখ থেকেই যাতে দাম কমে, তা নিশ্চিত করতে মূল্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মেসিগুলিতে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতেও জিএসটি নেওয়া হবে ৫ শতাংশ।

    সস্তায় মিলবে এই সব জিনিসও

    দাম কমছে (GST 2) টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং রেফ্রিজারেটরেরও। এতদিন এগুলি কিনতে গেলে জিএসটি দিতে হত ২৮ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। ১৮ শতাংশ জিএসটি গুণতে হবে ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে বাইকের দাম। ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে জুতো, জামাকাপড়, টুথপেস্ট, ব্রাশ, ট্যালকম পাউডার, শেভিং ক্রিম, চুলের তেল, সাবান, বাসনকোসন, ছাতা, বাইসাইকেল এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনতে গেলে। খরচ কমবে স্পা, জিম, যোগব্যায়াম কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লাবের। দাম কমছে সিমেন্ট, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সার ট্রাক্টরের সরঞ্জাম এবং সেলাই মেশিনেরও (New GST Structure)।

    দাম বাড়ছে যে সব জিনিসের

    এদিকে, দাম (GST 2) বাড়ছে বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিংকার, পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বন যুক্ত পানীয়, সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের। এসব কিনতে গেলে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি।

  • India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে সেলিব্রেশন করেন। গান (বন্দুক)-এর জবাব রানে দিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাহিবজাদার বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করলেন অভিষেক ও গিল, এমনই অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য দেশে-বিদেশে নিন্দিত হচ্ছে পাকিস্তান দল। সৌজন্যে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উচ্ছ্বাসের একটি ধরন। অর্ধশতরানের পর ব্যাটটিকে নিয়ে বন্দুক ধরার মতো একটি বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাস করেছেন তিনি, যা সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস

    দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ‘গান সেলিব্রেশন’ করেছিল পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বন্দুক যেমনভাবে ধরে, সেরকম কায়দায় ব্যাট করে গুলি চালানোর মতো সেলিব্রেশন করেছিল। আর সেই অদৃশ্য ‘গুলিটা’ ফারহানদের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে গেল। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস মিসাইলে যেরকমভাবে পাকিস্তানি অসংখ্য সামরিক ছাউনির অবস্থা হয়েছিল, ফারহানদের হাল সেরকমই করে দিলেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলরা। রবিবার দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। ভারত যদি ঠিকঠাক ক্যাচ ধরত, তাহলে সলমন আঘাদের রান এতটা হত না। কিন্তু ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নেন তাঁরা। ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৯০ রান। পাকিস্তানেরর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন গান-সেলিব্রেশন করা ফারহান। যদিও ব্যাট করতে নেমেই তাঁর এই আচরণের জবাব দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শাহিন আফ্রিদিকে ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। গিল-অভিষেকের ইনিংসের প্রশংসা করে পাক স্পিনার কানেরিয়া বলেন, “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করেছেন অভিষেকরা।”

    বিতর্কিত উচ্ছ্বাস

    পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক, বুমরার উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এশিয়া কাপে দুই দেশ মুখোমুখি হবে কি না, তা নিয়েই নিশ্চয়তা ছিল না। তার উপর প্রথম ম্যাচের পর করমর্দন-বিতর্কে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। সে সবের মাঝে ফারহানের এই উচ্ছ্বাস বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কটাক্ষ করতেই এই উচ্ছ্বাস করেছেন ফারহান। সাধারণ সমর্থকরা তো বটেই, ধারাভাষ্যকারেরাও এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    ম্যাচের শুরুতেই অভিষেক শর্মা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। এই শটের মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ভারতের হয়ে একাধিকবার ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটার হন। ম্যাচে অভিষেক ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এবং গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৯.৫ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। গিলও নিজের ইনিংসে ৮টি চার মারেন। অভিষেক তাঁর ৫০তম টি-টোয়েন্টি ছক্কাটি হাঁকান নিজের ৩৩১তম বল খেলার মধ্যেই, যা তাকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটার করে তোলে। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তিনি যুবরাজ সিং-এর রেকর্ড (২৯ বল) ভেঙে দেন। প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া মনে করেন, ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এমনকি অর্ধশতরানের পর অভিষেকে ‘ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন’ নিয়ে কানেরিয়া বলেন, “ভালোবেসে মুখের উপর জবাব দিয়েছে ভারত।”

    গিল-অভিষেকের ট্যুইট ভাইরাল

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায়। অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ এবং গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার সৌজন্যে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন অভিষেক ও গিলের সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিষেক শর্মা যখন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তখন রউফ রেগে যান এবং অভিষেককে স্লেজ করতে শুরু করেন। অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। পাকিস্তানি প্লেয়াররা তাদের গালি দিচ্ছিল বলেও ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিষেক শর্মা। মাঠে বিপক্ষকে নিজেদের ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। যেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনেই এক্সে চার শব্দের বার্তা দিয়ে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান দলকে। গিল লেখেন, “খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়” (Game speaks, not words) এবং অভিষেক লেখেন, “তোমরা কথা বলো, আমরা জয় করি” (You talk, we win)। চলতি প্রতিযোগিতাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।

  • Brain Eating Amoeba: ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবা! কতখানি বিপজ্জনক?

    Brain Eating Amoeba: ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবা! কতখানি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গাপুজো। আনন্দে মাতোয়ারা আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ।‌ কিন্তু ঠিক তার আগেই অ্যামিবার চোখ রাঙানিতে আতঙ্ক বাড়ছে। জলে নামলেই কি মস্তিষ্কে প্রবেশ করবে অ্যামিবা! এমন আতঙ্কও তৈরি হয়েছে।

    কী এই অ্যামিবা আতঙ্ক?

    কয়েক সপ্তাহ আগে কেরলে হঠাৎ এই অ্যামিবা সংক্রমণ শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেরলে এই পর্যন্ত প্রায় ১৯ জন এই অ্যামিবা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। কয়েক মাসের শিশু থেকে প্রৌঢ়, আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সংক্রমণের নাম প্রাইমারি অ্যামিওবিক মেনিঞ্জিওএনসেফেলাইটিস। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই এককোষী প্রাণী অ্যামিবা খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। তাই এই সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে এই অ্যামিবা সংক্রমণ হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল থেকেই এই অ্যামিবা সংক্রমণ হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অ্যামিবা মিষ্টি জলে থাকে। সাধারণত পুকুরের জলে স্নান করার সময় কিংবা সাঁতার কাটার সময়ে নাকের ভিতর দিয়ে অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করছে। আর তারপরেই অ্যামিবা মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। মস্তিষ্কে প্রবেশের পরেই ওই অ্যামিবা কোষে ধাক্কা দিচ্ছে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও নষ্ট হচ্ছে। স্নায়ুর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যার জেরেই প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই সংক্রমণ?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে এই অ্যামিবা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি নয়। শ’পাঁচেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই রোগে আক্রান্তের ৯৫ শতাংশের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অ্যামিবাকে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবাও বলা হয়। কারণ, এই এককোষী প্রাণী শরীরে প্রবেশ করার পরেই মস্তিষ্কের সমস্ত কোষ ধ্বংস করা শুরু করে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। তার জেরেই আক্রান্তের মৃত্যু হয়। তাই এই অ্যামিবা প্রাণঘাতী! অধিকাংশ সময়েই এই রোগে আক্রান্তের চিকিৎসার সুযোগ ও পাওয়া যায় না। তবে দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ সময় মতো শরীরে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে এই সংক্রমণ মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে চারশোর বেশি অ্যামিবা প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র দুটি প্রজাতি মানুষের মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়ায়। এই রোগে জ্বর, হঠাৎ করেই খিঁচুনি, হাত-পা শিথিল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়‌। তাই সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাওয়ার জলের পাশপাশি স্নানের জলের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন জলেই এই ধরনের অ্যামিবা থাকে। সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়ে। তাই পুকুর পরিষ্কার জরুরি। যারা পুকুরে নিয়মিত স্নান করেন, এই সময়ে সেটা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। আবার সাঁতার কাটার সময়েও জলের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই সাধারণ মানুষের পাশপাশি প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে হবে। পুকুর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি বাড়ানো দরকার।

    জ্বর, হাত-পায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ‌ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব। দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে পারলে কিছু প্রয়োজনীয় স্টেরয়েড, ওষুধ দিলে এই অ্যামিবার ক্ষমতা রোধ করা যায়। ধীরে ধীরে অ্যামিবাকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। যাতে আক্রান্তের দ্রুত অবস্থার অবনতি না হয়, সেটা চেষ্টা করা সম্ভব হয়। কিন্তু তার জন্য প্রাথমিক পর্বে রোগ নির্ণয় জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তবেই রোগী চিকিৎসকের কাছে আসেন। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share