Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে (Mali) তিন ভারতীয় নাগরিকের অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে এই দেশটির একাধিক অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয় হিংসা’ অভিহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অপহৃতদের উদ্ধার ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে মালির সরকারকে (Al Qaeda)।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Mali)

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির কায়েসে অবস্থিত ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন  ভারতীয় শ্রমিককে ১ জুলাই অপহরণ করা হয়। ওইদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে অপহরণ করে তিন ভারতীয় নাগরিককে। খবর পাওয়ার পরেই অপহরণকারীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। ভারত মালির সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের “নিরাপদ ও দ্রুত” মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “মালি প্রজাতন্ত্রের কায়েস শহরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১ জুলাই, যখন একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানাটিতে হামলা চালায় এবং জোর করে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় (Mali)।”

    যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাআত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (JNIM) নামে এক সংগঠনের।  মঙ্গলবার এরাই মালির বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই নিন্দনীয় সহিংস ঘটনার কঠোর নিন্দা করছে (Al Qaeda) এবং মালি সরকার যাতে দ্রুত ও নিরাপদে অপহৃত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, সেই আহ্বানও জানাচ্ছে (Mali)।”

  • Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয় এবার আমেরিকা। ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (Iskon Temple Attack) চলল গুলি। আমেরিকার ইউটাহ্ প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্ক শহরের ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (ISKCON Sri Sri Radha Krishna Temple in Spanish Fork) গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি চলেছে এই বিখ্যাত মন্দির চত্বরে। পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, এটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ প্রদেশে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে গুলি চালানোর ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভক্তদের উপস্থিতিতেই গুলি

    ইসকনের (Iskon Temple Attack) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে মন্দির চত্বরে ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্দিরের বেশ কিছু মূল্যবান কাঠের কারুকার্য ও স্থাপত্য। ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতরে ভক্ত ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও, বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। ইসকনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৮ জুন রাতে মন্দির চত্বর থেকে বিকট শব্দ ও ধোঁয়া লক্ষ্য করেন মন্দিরে উপস্থিত সকলে। পরের দিনে মন্দিরের জানালা এবং আর্চের অংশে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ঠিক বাইরে থেকে ২০টিরও বেশি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিদ্বেষমূলক এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। এর আগে একাধিক ঘটনায় আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই খালিস্তানিরা কালি দিয়ে মন্দিরের দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখেছে বা ভাঙচুর চালিয়েছে। এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা এর আগে সাম্প্রতিককালে ঘটেনি।

    ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া

    সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতের কনস্যুলেট এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, “আমরা ইউটাহ্ শহরের স্প্যানিশ ফর্কের ইসকন মন্দিরে (Iskon Temple Attack) গুলি চালানোর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা সকল ভক্ত ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এর আগেও, চলতি বছরের মার্চ মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসের বিখ্যাত বিএপিএস (Bochasanwasi Akshar Purushottam Swaminarayan Sanstha) মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে ‘খালিস্তান গণভোট’-এর যোগ ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো বারবার এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে এসেছে। কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই হামলা পরিকল্পিত এবং এটি সরাসরি ঘৃণার ফলাফল।” উল্লেখ্য, দুই দশকের পুরনো এই ইসকন মন্দির দোল-খেলার জন্য পরিচিত।

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

  • BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের দায়িত্ব পেতে চলেছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। সর্বসম্মতিক্রমে দলের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে বুধবার, মনোনয়ন দাখিল করেন শমীক। রাজ্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (BJP) পুরনো মুখ হিসেবেই তাঁর পরিচয়।

    শমীকের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP)

    সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য এবং পাকিস্তানের কর্তৃক ভারতের পহেলগাঁও-এ যে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদদের একটি দল পৃথিবীর নানা দেশে গিয়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ, এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন। সেই দলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হিসেবে জায়গা পান শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বিদেশে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ হিসেবে তাঁর নাম যাওয়ায় অনেকেই সে সময় মনে করেছিলেন, এবার হয়তো গুরু দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শমীক ভট্টাচার্যকে। অবশেষে মিলেও গেল সেই অনুমান। শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে বিজেপি।

    বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য, প্রথম বিধায়ক হন ২০১৪ সালে

    রাজ্য বিজেপিতে অন্যতম বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। তিনি নানারকম দায়িত্ব সামলেছেন। বঙ্গ বিজেপির কঠিন সময়ে তিনি দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪-র এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেন শমীক ভট্টাচার্য। একক ক্ষমতায় বিজেপি প্রথমবারের জন্য বিধানসভায় জয়লাভ করে। বিধায়ক হন শমীক (BJP)।

    জন্ম ১৯৬৩ সালে, সংগঠনের হাতেখড়ি এবিভিপি-তে, বিজেপিতে যোগদান ১৯৮২ সালে

    শমীক ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৫ নভেম্বর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি বিএ পাশ, পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শমীক ভট্টাচার্য নিজেই জানিয়েছেন যে ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, অর্থাৎ আজ থেকে ৪৩ বছর আগে। প্রসঙ্গত, বিজেপি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার আগে তাঁর সংগঠনের হাতেখড়ি হয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ-এর মাধ্যমে। ছাত্র সংগঠনের মধ্য দিয়েই তিনি রাজনীতির পাঠ প্রথম শেখেন। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি সামলেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর বক্তব্য মুগ্ধ করেছে মানুষকে। এ হেন শমীক ভট্টাচার্যের হাতেই এবার ব্যাটন তুলে দিল বিজেপি। তাঁর নেতৃত্বেই বঙ্গ বিজেপি লড়বে ‘২৬-এর মহারণ।

    সোমবারই বৈঠক হয় নাড্ডার সঙ্গে

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, শমীক ভট্টাচার্য ও রবিশঙ্কর প্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে শমীকের নাম ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দিলীপ ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদেও রয়েছেন। তবে বিজেপির ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ফলে রাজ্য সভাপতি পদের পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

    বুধবারই মনোনয়ন জমা দেন শমীক

    এর মধ্যেই, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশও চলে আসে কলকাতায়। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বললেন দিল্লির নেতৃত্ব। এর পরেই, দুপুর ২টা নাগাদ সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। এরফলে তিনি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হলেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালেই তিনি দিল্লি রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে পড়াশোনা করতে ভালোবাসেন

    বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত জীবনটা কীরকম? তা নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, পড়াশোনা করতে তিনি খুব ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য প্রচুর পড়াশোনা করেন। লেখেন কবিতাও। একের পর এক কবিতার বই তিনি নিমেষে শেষ করে ফেলেন। যে কোনও বিষয় নিয়েই তিনি অধ্যবসায় করতে ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য আজও পর্যন্ত যে কোনও বড় রাজনৈতিক বিতর্কসভায় বিজেপির তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীও এই মন্তব্য করেন যে, দেশের পাঁচ জন সাংসদের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্য একজন। রাজ্যসভায় তাঁর বাগ্মিতা মুগ্ধ করেছে সকলকে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস প্রভৃতি ইস্য়ুতে বেশ ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই রাজনৈতিক আবহে বিজেপি তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে। গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে ২০২৬-এর মহারণে, রাজ্যের মসনদ দখলের লক্ষ্যে। রাজ্য জুড়ে গেরুয়া শিবিরের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে শাসকবিরোধী আন্দোলনে। তারই মধ্যে বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য।

  • Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বম বম ভোলে” ও “হার হার মহাদেব” ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুরের জের কাটিয়ে পরম শান্তির খোঁজে বুধবার সকালে জম্মুর ভাগবতী নগরের যাত্রী নিবাস বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra 2025) প্রথম দল রওনা দিল। এই যাত্রার সূচনা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। মোট ৫,৮৯২ জন তীর্থযাত্রী ও ৩১০টি গাড়ির কনভয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যাত্রা শুরু হয়। আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সিআরপিএফের গাড়ি এই কনভয়কে পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছে।

    বেস ক্যাম্পে পুজো

    এদিন হালকা বৃষ্টির মধ্যে ভক্তরা শঙ্খ বাজিয়ে, ভজন-স্তোত্রে পরিবেশকে ধন্য করে তুলেছিলেন। যাত্রা শুরু আগে মনোজ সিনহা বেস ক্যাম্পে পুজো করেন এবং যাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। ডোগরা ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরে, মুখে হাসি নিয়ে তিনি তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। পহেলগাঁও রুটে ১৪৪টি গাড়িতে ৩,৪০৩ জন তীর্থযাত্রী যাত্রা শুরু করেন, যাঁদের মধ্যে ২,৬৪৭ জন পুরুষ, ৪৬৭ জন মহিলা, ৮ জন শিশু, ১৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রী, ২০০ জন সাধু এবং ৬৫ জন সাধ্বী ছিলেন। অন্যদিকে, বালতাল রুটে ১৬৬টি গাড়িতে ২,৪৮৯ জন তীর্থযাত্রী যান—যাঁদের মধ্যে ছিলেন ১,৭৪৮ জন পুরুষ, ৫৭৬ জন মহিলা, ২৩ জন শিশু, ১৩৫ জন সাধু এবং ৭ জন সাধ্বী।

    কড়া নিরাপত্তায় যাত্রার শুরু

    এদিন অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025) শুরুর সময় মনোজ সিনহা বলেন, “এই পবিত্র যাত্রা আত্ম-অনুসন্ধানের এক পরম পথ। আশা করি প্রতিটি ভক্তের জন্য এই যাত্রা এক গভীর আত্মিক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। জম্মু শহর এখন এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে। ভক্তদের উৎসাহ অসাধারণ। সন্ত্রাসী হামলার ভয় উপেক্ষা করে ভোলেবাবার ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হচ্ছেন। আশা করি এই বছরের যাত্রা অতীতের যে কোনও বছরের চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক হবে।” সিনহা আরও জানান, প্রশাসন, জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী সবদিক দিয়ে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা করেছে। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর থেকে আগত ৩৭ বছর বয়সি তীর্থযাত্রী মনোজ কুমার বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ভয় নেই। ভোলের বাহিনী আনন্দেই থাকবে। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলা আমাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছেন। আমাদের সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শত্রুরা আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।” আজমগড়ের ৫১ বছর বয়সি রাম প্রসাদ বলেন, “এটাই যাত্রার প্রথম দিন, কিন্তু দেখুন, ভক্তদের মধ্যে কী উন্মাদনা! দিন যত যাবে, সংখ্যাও ততই বাড়বে।” শিরডির ৪৭ বছর বয়সি আশিস কাম্বলি, যিনি তৃতীয়বার অমরনাথ যাত্রায় এসেছেন, বলেন, “এবারের আয়োজনে আরও উন্নতি হয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়িনি। প্রশাসন আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য করছে।”

  • BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার ঘটনায় এবার সক্রিয় হল লোকসভার সচিবালয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, তাঁকে একাধিকবার ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পুলিশ তাঁকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করেছে। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয় এদিন। আদালত থেকে মামলা দায়েরের অনুমতিও মিলেছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশ হয়রানি করছে

    এর আগে, কখনও বজবজে, আবার কখনও খাস কলকাতার বুকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমনকি, তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন পুলিশের হাতে। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশি হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। গেরুয়া শিবির মনে করছে, এর সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    ১৯ জুন বজবজে আক্রান্ত হন সুকান্ত, ভিডিও পাঠানো হয় ওম বিড়লাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এক আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই সময় তাঁর কনভয় প্রথমে আটকে দেওয়া হয়, এরপর তিনি রাস্তায় নামতেই ইট-পাটকেল, এমনকি জুতো ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ-সহ বিবরণ পাঠানো হয় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। সেই সঙ্গে ‘স্বাধিকারভঙ্গ’-এর অভিযোগও তোলা হয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (BJP) চিঠি দেয় লোকসভার সচিবালয়। ওই চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত বিবরণ (ফ্যাকচুয়াল নোট) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোট তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করার কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিবেদন হাতে এলেই তা স্পিকারের কাছে পেশ করবে লোকসভার সচিবালয়।

    কী বলছেন সুকান্তর আইনজীবী?

    অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়েরের সময় সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি (BJP) নেতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে এই বিষয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে, কোনও জবাব না পাওয়ায় আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর বিজেপি সূত্রে।

    ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

    এছাড়া ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। তাঁরা হলেন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), এবং স্থানীয় এসডিপিও। সুকান্ত যে চিঠিটি ২০ জুন স্পিকারকে পাঠিয়েছিলেন, তাতে এই তিন জনের বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে। সুকান্তর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর কনভয় ঘিরে হামলা চালায়, ইট-পাটকেল ছোড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে। তাঁর অনেক অনুগামী এতে আহত হন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনওরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসডিপিও ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। লোকসভার সচিবালয় এবার ওই তিন অফিসারের ভূমিকাতেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছেও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার

    অন্যদিকে, কসকাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত শনিবারই গড়িয়াহাট মোড়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করে বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সেদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। কিন্তু বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশ জোর করে বিজেপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপি। তাদের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই বারবার রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করছে শাসকদল। সুকান্ত নিজেও এই ঘটনার পরে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেন, “এক মাসে চারবার আমাকে রাস্তায় আটক করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে লালবাজারে এনে বসিয়ে রাখছে।” এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই এবার তিনি (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হলেন হাইকোর্টে।

  • Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি। বয়স কুড়ির চৌকাঠ পার হলেই অনেকে রক্তচাপ ওঠানামার সমস্যায় ভুগছেন‌। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি (Stroke Symptoms)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক অনেক সময়েই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। আবার অনেক সময়ে প্রাণ বাঁচানো গেলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে‌ যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা দেখা দিচ্ছে। স্ট্রোকের জেরে অনেকেই পরবর্তী জীবনে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। কথা বলতেও নানান জটিলতা তৈরি হয়। দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে ও নানান বাধা তৈরি হয়। কিন্তু সতর্কতাই বাঁচাতে পারে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্ট্রোকের এই ভয়ঙ্কর বিপদ কমাতে পারে সতর্কতা।‌ ইংল্যান্ডের একদল চিকিৎসক-গবেষক জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীর জানান দেয়। একদিন কিংবা দুইদিন নয়, প্রায় মাস খানেক ধরে শরীর ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs) দেয়। বড় বিপদ হওয়ার আগে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে মূলত পাঁচটি ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। যা থেকে সতর্ক হয়ে ওঠা যেতে পারে। স্ট্রোকের মতো‌ বড় বিপদ আটকানো যেতে পারে।

    কোন পাঁচ ইঙ্গিতের কথা বলছেন চিকিৎসক-গবেষকের দল?

    বারবার বমি ও মাথা ঘোরা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার বমি ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্কতা জরুরি। হঠাৎ করেই কেউ যদি অনুভব করেন তাঁর মাথা ঘুরছে। কয়েক দিন ধরে খেয়াল করেন, হয়তো যে কোনও সাধারণ কাজ করতে গেলেও‌ মাথা ঘুরছে, কিংবা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরে, ওঠার সময় বারবার মাথা ঘুরছে, তাহলে সতর্ক থাকা জরুরি। পাশপাশি স্ট্রোকের আরেক ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs)  হলো‌ বমি। শরীরের মধ্যে অস্বস্তি, হজম করতে না পারার জেরে বারবার বমি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ মস্তিষ্ক ইঙ্গিত দেয়। সেই কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। যার ফলেই বারবার বমি হয়।

    চোখের দৃষ্টিতে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। যদি যেকোনও একটি চোখে হঠাৎ ঝাপসা লাগে, যেকোনও জিনিস লক্ষ্য করতে অসুবিধা হয়, তাহলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেক সময়েই একটি জিনিস দুটি বা তিনটি মনে হয়। এই ধরনের উপসর্গ একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের স্নায়ুর কারণে হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠিকমতো কাজ না করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যাবে। তখন সতর্ক হলে‌ বড় বিপদ আটকানো সম্ভব।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা!

    মাথার পিছনে অসহ্য যন্ত্রণা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন বা অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা থাকলে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা না থাকলে হঠাৎ লাগাতার যদি মাথা যন্ত্রণা হয়, তাহলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথার পিছনে কয়েকদিন ধরে তীব্র যন্ত্রণা হলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। যা স্ট্রোকের অন্যতম ইঙ্গিত।

    মুখ কিংবা শরীরের যে কোনও অংশে অসাড়তা!

    মস্তিষ্কের জন্য শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সঙ্গে শরীরের সমস্ত পেশি ও স্নায়ুর সমন্বয় থাকে। তবেই শরীর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে তাই কোনো সমস্যা হলে, গোটা শরীর তাই টের পায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ মুখ, ঠোঁটের কোনো অংশ কিংবা শরীরের যেকোনও অংশে অসাড়তা দেখা দিলে তা নিয়ে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটি স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    হঠাৎ করেই স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া!

    বয়সজনিত কারণ কিংবা অন্যকোন মানসিক চাপ না থাকলেও হঠাৎ করেই খুব সাধারণ জিনিস মনে রাখতে না পারলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের অন্যতম উপসর্গ এই স্মৃতিভ্রষ্ট। কারণ মস্তিষ্ক ঠিকমতো সক্রিয় থাকতে পারে না।‌ তাই স্মৃতিশক্তিতেও তার জোরালো প্রভাব পড়ে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি (Stroke Warning Signs) । বড় বিপদ এড়াতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি। যাতে ঝুঁকি কতখানি সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যায়। পাশপাশি তরুণ বয়স থেকেই খাদ্যাভাস ও জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর হলে স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকি (Stroke Symptoms) সহজেই এড়ানো সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

LinkedIn
Share