Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক অভিনব বিদ্রূপের চিত্র ফুটে উঠেছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মঞ্চে। যেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation) ভারতের অর্থনীতিকে “মৃত” বলে অভিহিত করেছিলেন, সেখানেই সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ভারত ৭.৮% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর বিপরীতে, ট্রাম্পের প্রশংসায় ভরপুর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একই সময়ে মাত্র ৩.৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক (Indian Economy) এই সাফল্য মূলত ভর করেছে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, পরিষেবা খাতের দৃঢ়তা এবং উৎপাদন খাতের পুনরুজ্জীবনের উপর। নতুন প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল দেখিয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

    বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফ ইতিমধ্যেই আগামী কয়েক বছরে ভারতের প্রবৃদ্ধিকে ৬.৩% থেকে ৬.৪% হারে থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেখানে ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসছে, সেখানে ভারত নিজের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর শুল্কের মধ্যেও। ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যে শুধু ভারতেই নয়, অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশের মধ্যেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে “অসাধারণ সম্ভাবনার দেশ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের অর্থনীতি কোনওভাবেই ধ্বংসের মুখে নয় – বরং ২০৩৮ সালের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী (PPP) দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে, যেখানে জিডিপি হবে প্রায় ৩৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    মোদি সরকারের কৌশলী নীতি

    ভারতে জিডিপি-র (Indian Economy) প্রবৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। সরকারের পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদন-ভিত্তিক ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন সফল হচ্ছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) অবশ্য মার্কিন সুরক্ষা নীতিকে ঝুঁকি হিসেবে দেখলেও, বলেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা যথেষ্ট শক্তিশালী, যা বাইরের চাপ সামাল দিতে সক্ষম। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় অর্থনীতিই আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। গত ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। পূর্ব ইউরোপের ওই সংঘাত শুরু হওয়া ইস্তক মস্কোর থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি করে চলেছে নয়াদিল্লি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পেয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন। আর তাই রাশিয়াকে ‘ভাতে মারতে’ ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করে ভারত জানিয়েছে, কোনওভাবেই মাথা নোয়াবে না দিল্লি। দেশের মানুষের স্বার্থে যা করা উচিত তাই করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত

    ট্রাম্পের এ-হেন শুল্কনীতির অবশ্য আমেরিকার ভিতরেই শুরু হয়ে গিয়েছে কড়া সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক এডোয়ার্ড প্রাইস বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট অর্থনীতির কিছুই বোঝেন না। ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের নামে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ করছেন তিনি। অবিলম্বে নয়াদিল্লির পণ্যে ৫০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করুক হোয়াইট হাউস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ২১ শতকের পৃথিবী কৌশলগত অংশীদারদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেখানে ভারতের মতো বন্ধুকে হারানো চরম মূর্খামি।’’

    ট্রাম্পের বোকামি

    গত ৩০ জুলাই নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিশানা করে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ওরা ‘মৃত অর্থনীতি’কে একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। আমি সব কিছুর জন্য চিন্তা করি। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, নয়াদিল্লির শুল্ক অনেক বেশি। একে বিশ্বের সর্বোচ্চ বলা যেতে পারে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে প্রায় কোনও ব্যবসা নেই বললেই চলে।’’ তাঁর এই পোস্টের পরেই শুরু হয় হইচই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অগাস্টের একেবারে শেষে চলতি আর্থিক বছরের (২০২৫-’২৬) এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপির হার প্রকাশ করে কেন্দ্র। মোদি সরকারের দেওয়া সেই তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে সূচক। পরে ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।’’ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লির নাম। সমীক্ষক সংস্থা ‘ইওয়াই ইকোনমিক ওয়াচ’ আবার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১৩ বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) দেশ হয়ে উঠবে ভারত। পাশাপাশি, তালিকায় এক নম্বর স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (India US Relation) গদি টলমল হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সেখানে চিনের উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

     

     

     

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) মন্দির ট্রাস্ট নয়া নিয়মাবলীতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে ট্রাস্টের কর্মচারীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীর মর্যাদা পাবেন। এই মর্যাদা পরিবর্তনের সঙ্গে মন্দিরের কর্মচারী ও পুরোহিতদের বেতনও তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কাউন্সিলের ১০৮তম সভায়।

    কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত (Kashi Vishwanath)

    ডিভিশনাল কমিশনার এস রাজালিংহামের সভাপতিত্বে কমিশনার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রায় ২৪টি প্রস্তাব-সহ কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত হয়। ডিভিশনাল কমিশনার জানান, এর আগে পুরোহিতদের দেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা করে। এখন তাঁদের বেতন হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। ট্রাস্টের মতে, ম্যানুয়াল বাস্তবায়নের পর বেতনের পাশাপাশি ভাতা, পদোন্নতি, ছুটি ও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, পুরোহিত, কর্মচারী ও সেবাদার নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ম্যানুয়ালে চারটি ক্যাটাগরি নির্ধারিত হয়েছে। রাজ্য কর্মচারীদের মতোই পুরোহিতদের গ্রেড এবং ম্যাট্রিক্সও দেওয়া হবে।

    সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে

    গত অর্থবর্ষের বাজেট শ্রী কাশী বিশ্বনাথ বিশেষ ক্ষেত্র উন্নয়ন পরিষদ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। পরিষদের অধীনে নিযুক্ত বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীর সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে তাতে বলা হয়। পূর্ণকালীন কর্মচারীদের ডিএ গত বছরের মতো বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বনাথ ধামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হবে (Kashi Vishwanath)। ব্যবসায়িক কার্যকলাপ আরও দ্রুত করার জন্য এম্পোরিয়াম-সহ অন্যান্য সম্পত্তি পরিচালনার জন্য নয়া ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হবে। আয় বৃদ্ধির নতুন বিকল্প নিয়ে পরামর্শ দিতে পরিষদ একটি নতুন পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে।

    প্রসঙ্গত, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ১৯৮৩ সালে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে পরিষেবা ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বহুবার চেষ্টা করা হলেও, কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০১ এর অধীনে ১৩ই অক্টোবর ১৯৮৩ সালে কার্যকর হয় (Kashi Vishwanath)।

  • UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪-’২৫ প্রতিবেদন (UDISE Report) প্রকাশ করেছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক (Dropouts) উন্নতির দিকটি। জানা গিয়েছে, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস চালু হয়েছে ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে। তার পর এই প্রথম দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটির গণ্ডি। এটি ২০২২-’২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

    শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার (UDISE Report)

    শিক্ষকের এই বৃদ্ধির জেরে উন্নত হয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার। ২০২৪–’২৫ সালের হিসেবে প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিক্ষক ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রিপারেটরি স্তরে ১৩ জন, মিডিল লেভেলে ১৭ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০-এর সুপারিশ করা সর্বোচ্চ ৩০ শিক্ষার্থী প্রতি শিক্ষক সীমার অনেক নীচে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষকের হার বেড়ে যাওয়ায় ২০২২–’২৩ সালের তুলনায় ড্রপআউটের হারও কমেছে। প্রিপারেটরি স্তরে ড্রপআউটের হার ২০২২–’২৩ সালের ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মধ্য স্তরে এই হার ৫.২ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আর মাধ্যমিক স্তরে ১০.৯ শতাংশ থেকে ৮.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বেড়েছে।

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (GER) বা মোট ভর্তি অনুপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–’২৫ সালে মধ্য স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯০.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও পৌঁছেছে ৬৮.৫ শতাংশে, যা শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিক নির্দেশ করে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে প্রিপারেটরি, প্রিপারেটরি থেকে মধ্য এবং মধ্য থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির শক্তিশালী ধারা নির্দেশ করে (Dropouts)। রিপোর্টে এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় এবং ছাত্র শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০২২–’২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০৪ হাজার ১২৫-এ। পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ (UDISE Report)।

    ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে

    পরিকাঠামোগত উন্নতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬৪.৭ শতাংশে কম্পিউটার এবং ৬৩.৫ শতাংশে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে ৯৩.৬ শতাংশে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ, এবং হাত ধোয়ার সুবিধা ৯৫.৯ শতাংশে। র‌্যাম্প ও হাতল-সহ সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ৫৪.৯ শতাংশে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা উন্নতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.২ শতাংশে, আর মেয়েদের ভর্তি সামান্য বেড়ে ২০২৪–’২৫ সালে হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশে। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪–’২৫ রিপোর্ট ভারতে বিদ্যালয় শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মান ও অন্তর্ভুক্তির উন্নতিকেও তুলে ধরেছে, যা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস প্রতিটি অনবোর্ডেড স্কুলকে একটি অনন্য ১১-সংখ্যার ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড এবং লগইন শংসাপত্র প্রদান করা হয় যাতে রিয়েল-টাইমে ডেটা এন্ট্রি এবং এর পরিবর্তন সম্পন্ন করা যায় (Dropouts)। স্কুল ব্যবহারকারী ডিরেক্টরি মডিউল স্কুলগুলিকে অনবোর্ডিং এবং ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসে ডেটা জমা দিতে পারে এমন মনোনীত ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করে। এই মডিউলটি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসের (UDISE Report) ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। স্কুল প্রোফাইল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের তথ্য তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু সমন্বিত মডিউলে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    স্কুল প্রোফাইল এবং সুযোগ-সুবিধা, এই মডিউলে স্কুলগুলিতে উপলব্ধ পরিকাঠামোগত বিবরণ এবং পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী মডিউল প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাধারণ এবং অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ-সহ এই মডিউলে স্থায়ী শিক্ষা নম্বর (Dropouts) ব্যবহার করে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শিক্ষকের প্রোফাইল, এই মডিউলে সকল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ, অ্যাকাডেমিক এবং নিয়োগের বিবরণ পৃথকভাবে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় (UDISE Report)।

  • Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহারাষ্ট্র, কিংবা, কেরল থেকে উত্তরপ্রদেশ, ভারতের সর্বত্র নারকেল খুব সহজলভ্য একটি ফল। বাড়ির একটুকরো উঠোনেও নারকেল গাছ নিজের জায়গা সহজেই করে নেয়। একঘেয়ে তরকারির স্বাদ বাড়াতে কিংবা উৎসবের মিষ্টির তৈরির উপাদান হিসাবে নারকেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও একাধিক শুভ কাজে নারকেল ব্যবহারের রীতি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদের নিরিখেই নয়। স্বাস্থ্যের জন্যও নারকেল খুবই উপকারি! নিয়মিত নারকেল খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। নারকেলের পুষ্টিগুণ প্রচুর।

    কোন রোগ মোকাবিলায় নারকেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ব্রেন ফগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে!

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা। পাশাপাশি হঠাৎ করেই সাধারণ বিভিন্ন বিষয়, নাম, ঠিকানা ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা ও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ব্রেন ফগ। এর জেরেই এই ধরনের ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত নারকেল খেলে ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমবে‌। কারণ, নারকেলে আছে ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক খনিজ পদার্থ। এই খনিজগুলো মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এর ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা আর থাকছে না। ভারতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারকেল বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নারকেল খেলে বিশেষ উপকার পাবেন বলেই মত পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    যে কোনও জীবাণু সংক্রমণ রুখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নারকেল নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ ভোগান্তি এড়াতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই নারকেল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস ঘটিত অসুখ কাবু করা সহজ‌ হয়।

    ফাইবার হজমে সাহায্য করে!

    নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নারকেল খেলে হজম সহজে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের বেশিরভাগ সময় গরমের নাজেহাল হতে হয়। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। তার ফলে নানান শারীরিক ঝুঁকিও তৈরি হয়। নারকেল কিংবা ডাবের জল এই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত নারকেল কিংবা ডাবের জল খেলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। আবার ডাব কিংবা নারকেলের জলে থাকে একাধিক উপকারি খনিজ‌ পদার্থ। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি। দূর্বলতা কমাতেও এগুলো বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে নারকেলের একাধিক গুণ থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেল অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে থাকে ফ্যাট। তাই অতিরিক্ত নারকেল নিয়মিত খেলে স্থুলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। তাই পরিমিত পরিমাণে নারকেল খেলে শরীরে উপকার হয়। বাড়তি সমস্যা তৈরি হয় না। বরং একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আদমশুমারি, আর এই আদমশুমারি (Census 2027) ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে বড় তথ্য সংগ্রহ প্রকল্প হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই আদমশুমারিতে শুধুমাত্র দেশের বিপুল জনসংখ্যার গণনা করা হবে, এমনটাই নয়—এই জনগণনার সময়ে প্রত্যেকটি বাড়ি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জিও-ট্র্যাগিং (Geo Tag) করারও পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    এতদিন ব্যবহার হত হাতে আঁকা মানচিত্র

    এই অভিনব উদ্যোগটিকে (Census 2027) ঐতিহাসিক মাইলফলকও বলা যায়। কারণ, এর মাধ্যমে সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য উঠে আসবে। এর আগে সাধারণভাবে হাতে আঁকা মানচিত্রের উপর নির্ভর করতে হত, এবং এগুলো ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ হত। কিন্তু এবার জিও-ট্র্যাগিংয়ের ফলে সে সমস্যা আর থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যখন আদমশুমারি হতো, তখন কর্মীরা গ্রাম ও শহরগুলিতে ঘুরে হাতে আঁকা মানচিত্র ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে বর্তমান আমলে, যখন দ্রুত নগরায়ন ঘটছে, সেখানে উন্নয়নের গতি দেখে এই সমস্ত হাতে আঁকা মানচিত্র একেবারেই কার্যকর ছিল না।

    নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে

    ২০২৭ সালের মধ্যে এই পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল লেআউট ম্যাপিং চালু হবে এবং জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে। এ নিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Census 2027) পূর্বের ভুল আর হবে না এবং গ্রাম ও শহরের প্রতিটি আবাসনের স্বচ্ছ রেকর্ড রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বাড়িগুলিকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হবে—যেমন, যেখানে মানুষ বসবাস করেন সেগুলি আবাসিক, যেখানে কেউ থাকেন না সেগুলি অনাবাসিক, আংশিকভাবে বসবাসযোগ্য বাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সরকারি ভবন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল

    ২০১১ সালের আদমশুমারির সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি পরিবার মানে একসঙ্গে থাকা এবং একই রান্নাঘর ব্যবহার করা কয়েকজন মানুষকে বোঝানো হয়। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল। এর মধ্যে ৩০.৬১ কোটি ছিল বসবাসযোগ্য এবং বাকি ২.৪৬ কোটি বাড়ি ছিল খালি। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে বাড়ির সংখ্যা ছিল ২২.০৭ কোটি এবং শহরাঞ্চলে ছিল ১১.০১ কোটি। কিন্তু বিগত দশকে দ্রুত বেড়েছে নগরায়ন। ফলে ২০২৭ সালের আদমশুমারিতে শহরাঞ্চলে বাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে, যাতে শহর পরিকল্পনা, পরিকাঠামো এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সঠিকভাবে নেওয়া যায়।

    দুটি ধাপে হবে আদমশুমারি

    জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের আদমশুমারি সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এই পর্যায়ে হাউস লিস্টিং অপারেশন (Geo Tag) চলবে। এই ধাপে যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তাঁরা বিভিন্ন আবাসন, আবাসনের মালিকানা ও জিও-ট্যাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে হবে আসল জনগণনা, যেটি ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশের বেশিরভাগ অংশে অনুষ্ঠিত হবে।

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি টিকা। তাতেই কমবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া (Russian Scientists)। মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) ঝুঁকি কমাতে পারবে। টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ১০০ শতাংশ সফল বলে দাবি রাশিয়ার।

    এন্টেরোমিক্স টিকা (Cancer Vaccine)

    চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এন্টেরোমিক্স টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ভাইরাসগুলি কম ক্ষতিকারক, তবে শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার কোষের বারোটা বাজাতে পারবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, টিকাটি ত্বকের সব চেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। অগ্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে এই টিকা। টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। শরীরে যদি কোনও বিজাতীয় প্রোটিন ঢোকে, তা হলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা। ক্যান্সারের সময় শরীরের নিজস্ব কোষগুলি শত্রুর মতো আচরণ করে। সেগুলির অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে যায়। ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে হলে প্রয়োজন অ্যান্টিবডি ও ইমিউনোসাইট।

    অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি

    এই ইমিউনোসাইট হল সেই সব কোষ, যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে (Cancer Vaccine)। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর তৈরিই হবে না। যদিও রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি। টিকাটির আরও কয়েক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলের জন্যই অপেক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তার পর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার (Russian Scientists) দাবি, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব সামান্যই হয়েছে (Cancer Vaccine)।

  • Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup) (পুরুষ) হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে (Hockey Final) উঠল ভারত। ভারতের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গোল করেছেন শিলানন্দ লাকড়া, দিলপ্রীত সিং, মানদীপ সিং, রাজ কুমার পাল, সুখজিৎ সিং, এবং অভিষেক। এই জয়ে ভারত সুপার ৪ পর্যায়ের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সাত পয়েন্ট নিয়ে। এবার তাকে খেলতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার সঙ্গে। চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোরিয়াও।

    কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত (Asia Cup)

    ভারত আগামী বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার স্থান নিশ্চিত করতে রবিবার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। চিন ও মালয়েশিয়া তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও রবিবার মুখোমুখি হবে। কোরিয়া আগেই গুরুত্বপূর্ণ সুপার ৪ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। শনিবার চিনের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয়দের আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ভারতীয়রা তাদের আধিপত্য প্রমাণ করতে শুরু থেকেই জোরালোভাবে খেলে গিয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয় চতুর্থ মিনিটের মাথায়, যখন শিলানন্দ গোলটি করেন। এটি ছিল অধিনায়ক হারমনপ্রীত সিংয়ের সুনিপুণ বল, যা হাফলাইন থেকে জারমনপ্রীত সিংয়ের পায়ে পৌঁছয় ডান ফ্ল্যাঙ্কে, যাঁর পাসটি নিখুঁতভাবে শিলানন্দ থামিয়ে গোল করেন (Asia Cup)।

    চিনকে পর্যুদস্ত করল ভারত

    গোল করার পরেও ভারতীয়রা থেমে (Hockey Final) থাকেনি। বরং কয়েক মিনিটের মধ্যে শিলানন্দ তাঁর দলের পক্ষে একটি পেনাল্টি কর্নার করেন। হরমনপ্রীতের প্রাথমিক শট চিনা গোলরক্ষক ওয়েইহাও ওয়াং রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু দিলপ্রীত সঠিক স্থান থেকে পুনরুদ্ধার করে গোল করে ভারতের লিড দ্বিগুণ করেন। ভারত ১৮তম মিনিটে তাদের দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। ভারতীয় আক্রমণকারীরা চিনা সার্কেলে একেবারে আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। ম্যাচের সাইড পরিবর্তনের পর ভারত একই ধরনের আক্রমণ চালিয়ে গেল (Hockey Final) এবং গোলের খুব কাছে গিয়ে দিলপ্রীতের শক্তিশালী উচ্চ শট চিনা গোলরক্ষকের প্রসারিত হাত দ্বারা আক্রোব্যাটিকভাবে রক্ষা করা হয়। তার পরের গোলগুলি করে চিনকে কার্যত পর্যুদস্ত করে ভারত (Asia Cup)।

  • Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই এই নির্যাতন পরিণত হচ্ছে গণহত্যায়। দশকের (Roundup Week) পর দশক ধরে বিশ্ব এই হামলাগুলির প্রকৃত গভীরতা ও বিস্তৃতি উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তির অবমাননা, হিংসাত্মক বক্তব্য, যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সংবিধানগত ও আইনি বৈষম্য এসব হামলার মাধ্যমে হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্রমশ কঠোর প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহে বিশ্বের ছবিটা।

    ভারত (Hindus)

    কোলাপুরে ২২ অগাস্ট রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন ১০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। কোলাপুরের এই হিংসা কেবল দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। এখানে ইসলামি উগ্রপন্থীরা এসসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সাঙ্গলির মিরাজ থানা পুলিশ বৈভব রাজারাম অবলের বিরুদ্ধে বরাহ জয়ন্তী মিছিল আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে। যদিও বৈভবের কাছে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বরেলি থানা একটি আন্তঃরাজ্য ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য কন্যা নয়, যুবক। তদন্তকারীরা একে লাভ জিহাদ ২.০ বলে উল্লেখ করেছেন। এই চক্র হিন্দু পুরুষদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত বিবাহ, মনস্তাত্ত্বিক প্রলোভন এবং এমনকি মাদকাসক্তির মাধ্যমে।

    লাভ জিহাদ

    সাধ্বী প্রাচী জানান, মুসলিম বিউটি পার্লার, স্কুল, কলেজ, সেলাইয়ের দোকান এবং দরগাগুলি এখন লাভ জিহাদ কার্যক্রমের আখড়া হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, যতক্ষণ না ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে উৎসাহদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপ করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই কার্যকলাপ চলতেই থাকবে (Hindus)। এদিকে, ইসলামি জোরপূর্বক ধর্মান্তরের পরে নিখোঁজ এসসি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে হরিয়ানার নুহে। উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া থেকে ধর্মীয় প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্ত গহ্বর আনসারি জনৈক লক্ষ্মী সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গহ্বর মেয়েটিকে প্রলোভিত করে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে (Roundup Week)।

    মুসলমানদের ওপর হামলা

    মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার কানওয়াদ গ্রামে অক্ষয় কোলি ও তাঁর পরিবারের ওপর প্রায় ১৫ জন মুসলমান হামলা চালায়। এক দম্পতিকে কানওয়াদ থেকে পালাতে সাহায্য করায় অক্ষয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অভিযোগ তুলে মুসলিমদের একটি দল অক্ষয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার মউ থানার আহিরি গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ফুলচন্দ্র নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে খ্রিস্টান ধর্মান্তর কার্যকলাপ চলছিল। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে। আগ্রার শাহগঞ্জ থানা একটি বড় ধর্মান্তকরণ চক্রের চাঁই রাজকুমার লালওয়ানির বাড়িতে অভিযান চালায়। লালওয়ানি নিয়মিত রবিবার প্রার্থনা সভার আয়োজন করত। সেখানে লোকদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করা হত (Hindus)।

    হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা

    উত্তরপ্রদেশের বাগপতে এক হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা, ধর্ষণ করা এবং তাকে বিয়ে করতে ব্ল্যাকমেল করার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবেশী হাসিম কিশোরীটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশেরই মৈনপুরিতে উবেশ খান নামে এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিশোরীটি তার ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ডিকে শিবকুমার ঘোষণা করেছেন, চামুন্ডি পাহাড় শুধু হিন্দুদের (Roundup Week) সম্পত্তি নয়। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র শক্তি পীঠের মর্যাদা হানি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মন্দিরে চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদ রাব্বি, মহম্মদ ইউসুফ ও মহম্মদ বাবুকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২২টি মূর্তি, মন্দিরের জিনিসপত্র এবং প্রায় ৬.৫ লক্ষ টাকার একটি অটোরিকশা।

    বাংলাদেশ

    গাইবান্ধা জেলায় দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুর। সদরুলপুর উপজেলার হামিন্দপুর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু হিন্দু ব্যক্তি দুর্গা মন্দিরের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় মূর্তিগুলি। যশোর জেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিচিত মুখ ছিলেন বিজন কুমার দে। দিন দুয়েক আগে একটি ভেড়িতে মেলে তাঁর মৃতদেহ (Hindus)।

    বিশ্বের ছবি

    নেপালের মধেশ প্রদেশের রাজধানী জনকপুরধাম শহরে গণেশের মূর্তি বিসর্জনের সময় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের (Roundup Week) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমেরিকার পিটার নাভারো সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রণয়নের জন্য ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রম্যাট’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ব্রাহ্মণরা ভারতীয় জনগণের শোষণে মুনাফা অর্জন করছে (Hindus)।

  • Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভুম জেলার গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল মাওবাদীদের জোনাল কমান্ডার অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ (Maoist)। দীর্ঘদিন ধরে সে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল এবং তার মাথার দাম ঘোষিত হয়েছিল দশ লক্ষ টাকা।

    রবিবার ভোরের অভিযানেই খতম আপ্তন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার ভোরে রেলাপারাল বনাঞ্চলে যৌথ অভিযানে নামে ঝাড়খণ্ড পুলিশ, সিআরপিএফ, কোবরা এবং ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনী। অভিযান শুরু হতেই, মাওবাদীরা (Maoist) নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে শেষে নিহত হয় ‘আপ্তন’। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় একটি SLR রাইফেল, প্রচুর গুলি ও অন্যান্য সামগ্রী।

    বোকাড়োর বাসিন্দা ছিল এই মাওবাদী নেতা (Maoist)

    বোকাড়োর (Jharkhand) বাসিন্দা অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিম সিংভুম, খুঁটি ও সেরাইকেলা-খারসাওয়ান এলাকায় সক্রিয় ছিল। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, তোলাবাজি ও গ্রামীণ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার মূল কার্যকলাপ। ঝাড়খণ্ড পুলিশের মতে, তার মৃত্যু মাওবাদীদের ওপর বড় আঘাত।

    কী বলছে পুলিশ?

    কলহান রেঞ্জের ডিআইজি অনুরঞ্জন কিসপোত্তা বলেন, ‘‘আপ্তনের মৃত্যুর ফলে মাওবাদীদের সংগঠন দুর্বল হবে। বহুদিন ধরেই তাকে ধরার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে আজকের অভিযানে তা সফল হল।’’ পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জনও জানিয়েছেন, অভিযান এখনও চলছে। এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান জোরদার করা হবে। প্রসঙ্গত, অমিত হাঁসদার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, বিস্ফোরণ ও অস্ত্র মামলার অভিযোগ ছিল। তাকে ঝাড়খণ্ডের উদীয়মান মাওবাদী নেতাদের (Maoist) অন্যতম হিসেবে মনে করা হত। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, তার খতম হওয়া মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

    ৩ সেপ্টেম্বরের অভিযান

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পালামৌ জেলার মানাতু থানার কেদাল জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশকর্মী শহিদ হন এবং গুরুতর জখম হন আরও এক পুলিশ কর্মী। সেদিন, মাওবাদী সংগঠন তৃতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি (টিএসপিসি)–র কুখ্যাত জোনাল কমান্ডার শশীকান্ত গঞ্জুর অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পরই বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শশীকান্ত গঞ্জুর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। অভিযানের সময় হঠাৎই শশীকান্ত ও তার সশস্ত্র দল নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। তবে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান দুই পুলিশকর্মী, আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

  • Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল, ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা (Madrasa)। এই বিলটি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের নীতিগত কাঠামো সংস্কারের একটি প্রচেষ্টা,  যেটি মূলত মাদ্রাসাগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিল এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অগ্রাহ্য করেছিল (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন (Uttarakhands Minority Education Bill)

    ১ জুলাই ২০২৬ থেকে এই বিল কার্যকর হয়ে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং উত্তরাখণ্ড বেসরকারি আরবি ও ফার্সি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বিধিমালা, ২০১৯ বাতিল করবে। যা এই বিলটিকে পূর্ববর্তী আইনগুলির থেকে আলাদা করে তা হল এর অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সংশোধনাত্মক চরিত্র। উত্তরাখণ্ড বিল মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও স্বীকৃতি দেয় এবং সংখ্যালঘু মর্যাদার সুবিধা দেয়। এখানে শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শি এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের শাসনকালে এগুলিকেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিলটির মূল লক্ষ্য হল, উত্তরাখণ্ডের সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। পূর্ববর্তী আইনগুলি মাদ্রাসার জন্য একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, যা বিদ্যালয় ব্যবস্থার অনুরূপ হলেও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে আইনগত স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রেখেছিল।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    মাদ্রাসার ঘাটতি এবং অ-মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবহেলার মূল কারণ উত্তরাখণ্ডের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্কার করার পরিবর্তে কংগ্রেস সরকার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়ম ও অপূর্ণ সম্ভাবনায় ভরপুর একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ইসলামি মৌলবাদীদের ক্ষোভের ভয়ে কংগ্রেস সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সমতা প্রতিষ্ঠার প্রতি নজর দেয়নি (Uttarakhands Minority Education Bill)। এরই ফলস্বরূপ মাদ্রাসায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে ছিল বৃত্তি বিতরণে অনিয়ম, মিড-ডে মিল কর্মসূচিতে অসঙ্গতি এবং মাদ্রাসা পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাব। এই কারণে সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছিল (Madrasa)।

    মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ

    সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় বেআইনি মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেক মাদ্রাসা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, অননুমোদিত নির্মাণ হচ্ছে অথবা শিক্ষার আড়ালে উগ্রপন্থী মতবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ। এনসিপিসিআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মাদ্রাসার কার্যক্রমের মূল সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হল, ইসলাম ধর্মের উচ্চতা প্রচারে অতিরিক্ত জোর, শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে এনসিইআরটির বই অন্তর্ভুক্তি, প্রায়ই অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার অভাবে পুরনো শিক্ষাদান পদ্ধতি, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, যা ছাত্রছাত্রীদের মূলধারার সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহুবিধ পদক্ষেপ

    নয়া এই বিলটি শিক্ষার আড়ালে ছড়িয়ে পড়া উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহু দিক থেকে পদক্ষেপ করেছে। প্রথমত, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রচারের জন্য গুরুমুখী ও পালি ভাষা পড়াশোনার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার তদারকির জন্য উত্তরাখণ্ড স্টেট অথরিটি ফর মাইনরিটি এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই বিলে ইউএসএমইএ নামে একটি নতুন ১২ সদস্যের সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে ছ’জন করে শিক্ষাবিদ এবং একজন সমাজকর্মীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত

    শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে এই বিলটি অবশ্যই উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিধান দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা পদ্ধতি এবং পাঠ্যক্রমের মান একরকমভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি সরাসরি এনসিপিসিআর রিপোর্টে উল্লিখিত উদ্বেগগুলি মোকাবিলা করে। নয়া কাঠামোর আওতায় ইউএসএমইএ এবং ইউবিএসই দ্বারা প্রণীত নিয়মাবলী সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত শিক্ষাগত, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও গুণগত মান উন্নত হবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    বিলটিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা

    বিজেপি সরকারের আনা এই বিলটি ধর্মীয় স্বাধীনতার সংরক্ষণ ও সমন্বিত শিক্ষাগত মান বজায় রাখার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ ও ২৬ ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশ এবং পালন করার অধিকার সুরক্ষিত করেছে। তবে দুটিই যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধের আওতায় থাকে। আনজুম কাদারি বনাম ভারত সংঘ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য করেছে। এটি হল, একদিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নির্দেশনা ও প্রবর্তন অনুচ্ছেদ ২৮-এর কারণে সীমিত (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ডের এই বিলটি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি ধর্মীয় শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করছে না, বরং এনসিইআরটি এবং রাজ্য বোর্ডের মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত দিয়ে তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করছে। বিলটি সংখ্যালঘু অধিকার হরণ করছে এমন দাবি থেকে বহু দূরে, বরং এটি (Madrasa) নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা শিক্ষাগত মানের সঙ্গে সুসঙ্গতভাবে বজায় থাকবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

LinkedIn
Share