Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠক। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আরএসএস নেতা সুনীল আম্বেকর। ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের বিজয়াদশমী পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শতবর্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এই অনুষ্ঠান শুরু হবে নাগপুরে একটি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে সংঘের সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত ভাষণ দেবেন। আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, শতবর্ষের উদযাপনে দেশজুড়ে স্বয়ংসেবকরা পথসঞ্চালন করবেন এবং বছর জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে- হিন্দু সম্মেলন, সামাজিক সদ্ভাবনা সভা, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রম। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংঘের কর্মকাণ্ডকে সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর (RSS) কথাও এদিন বলেন সুনীল আম্বেকর

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সংঘের ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয় এনিয়েও আলোচনা চলবে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে। এই ইস্যুতে কর্মসূচি চলবে আগামীদিনে। প্রসঙ্গত, এই ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ হল-

    সামাজিক সম্প্রীতি (Social Harmony)

    পারিবারিক জাগরণ (Family Awakening)

    পরিবেশ সচেতনতা (Environmental Awareness)

    আত্মনির্ভরতা (Self-Reliance)

    নাগরিক কর্তব্য (Civic Duty)

     কী কী আলোচনা হবে অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak)?

    সংঘের (RSS) বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পর্যালোচনা চলবে। একইসঙ্গে  ২০২৫-২৬ সালের শতবর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রসঙ্গে।

    কারা অংশ নেবেন বৈঠকে?

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, ড. মোহন ভাগবত (সরসংঘচালক), দত্তাত্রেয় হোসাবলে (সরকার্যবাহ), সমস্ত সহ-সরকার্যবাহগণ, সংঘের ৩২টি সংগঠনের ৩২০ জন কার্যকর্তা। উপস্থিত সংগঠনগুলোর (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) মধ্যে রয়েছে-রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কিষান সংঘ, বিদ্যা ভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ, বিজেপি ইত্যাদি।

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

    এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

    এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

  • Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত বিধানসভা, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পর এবার বিধানসবার বিশেষ অধিবেশনে সাসপেন্ড বিজেপির শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। নজিরবিহীন ঘটনা বিধানসভায়। চলল শাসকের তুঘলকি শাসন। মার্শাল ডেকে বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বার করে দেওয়া হল শঙ্কর ঘোষকে। শঙ্কর ঘোষের পর সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। মিহির গোস্বামীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে বার করা হয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।

    নেত্রীর নির্দেশেই হেনস্থা!

    বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলছিল। প্রশ্নত্তোর পর্ব এর আগে বয়কট করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময় সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। দু পক্ষই একে অপর পক্ষকে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় বিরোধীদের উদ্দেশে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, বিধানসভার মর্যাদা রক্ষা করতে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে আসনে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন স্পিকার। ‘শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল, এমন প্রশ্নই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন শঙ্কর ঘোষ। পরিস্থিত জটিল দেখে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, তারা যেন বিধানসভার বাইরে গিয়ে স্লোগান তোলেন। শুধু স্পিকার নন নিজের দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে তখন কাউকে বলতে দেবে না।” তাই হয়, গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে দলনেত্রীর কথামতো চলতে থাকে বিধানসভা।

    বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড অযৌক্তিক

    এদিন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাসপেনশন নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’রকমের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “স্পিকারের ভয়েস রেকর্ডিংও তো তাই বলেছে যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাসপেনশন। পরে টাইপ করে দিয়েছে। আসলে নেত্রীর নির্দেশ বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখবেন। আমাদের বিধায়করা ভিতরে ঢুকবে, বুঝিয়ে দেবে, বিজেপিতে একজন শুভেন্দু নেই।” বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার অধিবেশনের শেষ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট ওই দিনের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু পরে স্পিকার বাইরে এসে জানান, এই সেশন যতদিন চলবে, ততদিন পর্যন্তই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজেপির বক্তব্য, স্পিকার কীভাবে বিধানসভার ভিতরে এক কথা বলতে পারেন, বাইরে আরেক কথা বলতে পারেন? এই গোটা বিষয়টিই পরিষ্কার নয়। । যদিও বিধানসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া হয়েছে এবার, কেবল ওই দিনের জন্য নয়, গোটা অধিবেশন পর্বের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    গণতন্ত্রের হত্যা!

    বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা (West Bengal Assembly) কক্ষে পৌঁছনোর আগে থেকেই বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে পৌঁছনোর পরে বিরোধিতা আরও জোরাল হয় বিজেপির। শঙ্কর ঘোষকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা হয়। পড়ে যান তিনি। বিধানসভা কক্ষে অশান্তি যখন তুঙ্গে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্লোগান দিতে হলে বাইরে বেরিয়ে যান, বাইরে গিয়ে স্লোগান দিন। মার্শালকে অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন, যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁদের বাইরে বের করে দিতে হবে। এর পরেই মার্শালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। প্রবল অশান্তি, ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান শঙ্কর ঘোষ। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মেঝেতে শুয়ে পড়েন শঙ্কর। শঙ্কর ঘোষের পড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করলো মমতা ও তাঁর প্রশাসন।’ শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা। জানা গিয়েছে, শঙ্করকে জে এন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ দেশিয় মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ‘বিক্রম ৩২০১’ (Vikram 3201) লঞ্চ করল ইসরো (ISRO)। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাইক্রোচিপকে ‘ডিজিটাল হিরে’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, “যদি বিগত শতক তেলের দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে, তবে এই শতক গঠিত হবে মাইক্রোচিপ দ্বারা।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিপ উপহার

    মঙ্গলবার ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ তুলে দেন। অশ্বিনী জানান, “ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন চালুর পর থেকে গোটা বিশ্বের আস্থা ভারতের প্রতি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ উপহারও দেন। মন্ত্রী আরও জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি নতুন উৎপাদন ইউনিট চালু হতে চলেছে।

    সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’

    ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025) সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “গত শতক গড়ে উঠেছিল তেলের উপর। আর বর্তমান যুগ দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি চিপের উপর (Oil Was Black Gold, Chips Are Digital Diamonds)।” তিনি বলেন, তেলকে যেমন একসময় ‘কালো সোনা’ (Black Gold) বলা হত, তেমনই সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’ (Digital Diamond)। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব আজ ভারতের উপর আস্থা রাখছে, বিশ্বাস রাখছে। ইতিমধ্যেই ২০২১ সালের পর থেকে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। “ভারতই গড়ে তুলবে ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর দুনিয়া,” জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫ সম্মেলন আগামী তিন দিন ধরে চলবে এবং দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গতি দিতে গবেষণা, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং নীতিনির্ধারণী দিক থেকে এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলাবে দুনিয়া

    মোদি আরও জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের পরবর্তী ধাপে কাজ শুরু করেছে। নতুন ‘ডিজাইন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (DLI)’ প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। তাঁর কথায়, “দূরে নয় সেই দিন, যেদিন ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলে দেবে গোটা দুনিয়া।” শুধু চিপ উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সেমিকন্ডাক্টরকে ঘিরে গোটা এক ইকোসিস্টেম তৈরি করছে ভারত। এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, এই উদ্যোগ ভারতের শিল্পকে করবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক এবং আত্মনির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনে উপযুক্ত খনিজ পদার্থের জোগান নিশ্চিত করতে ভারত ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেলস মিশন’-এর উপর কাজ করছে।

    মাইক্রোচিপ ‘বিক্রম’ আদতে কী?

    ‘বিক্রম-৩২০১’ একটি ৩২-বিট মাইক্রোপ্রসেসর, যার নিজস্ব ইনস্ট্রাকশন সেট আর্কিটেকচার রয়েছে। এটি একসঙ্গে ৩২ বিট ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ পালন করতে সক্ষম। প্রসেসরটি বিশেষভাবে সমর্থন করে এডিএ প্রোগ্রামিং ভাষাকে—যা উপগ্রহ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, লঞ্চ ভেহিকলসহ উচ্চ-নির্ভরযোগ্য সিস্টেমে বহুল ব্যবহৃত। কঠিন পরিবেশ মাথায় রেখেই এটি তৈরি হয়েছে। মাইনাস ৫৫ থেকে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে এটি। এর ফলে মহাকাশ মিশনের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

    আত্মনির্ভরতার পথে এক ধাপ

    শুধু তাই নয়, এই অগ্রগতি বেসামরিক খাতেও দেশিয় চিপ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। স্থানীয়ভাবে উচ্চমানের চিপ পাওয়া গেলে বিদেশি ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইল জায়ান্টরা ভারতেই উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত হবে। ফলে এটিকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় ভারতের এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটি আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রেও এটি দেশকে এগিয়ে রাখবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ছিল প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৪৫-৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাজার আরও দ্বিগুণ হয়ে ১০০-১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে জানানো হয়েছে, ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025)  এই মহাসম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২০,৭৫০ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪৮টি দেশের ২,৫০০-র বেশি প্রতিনিধি। বক্তব্য রাখছেন ১৫০-রও বেশি বক্তা, তার মধ্যে ৫০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পনেতা। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান।

     

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

  • Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ মমতা সরকারের। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষতা বলে কোনও জিনিস আছে? একসময় মৌলবাদীদের ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সামনে মাথা নত করত রাজ্যের তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বামফ্রন্টের সরকার—সে চিত্র আমরা দেখেছি। ২০০৭ সালে মৌলবাদীদের চাপের মুখে পড়ে কিভাবে তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই বামেরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রোখার ডাক দিত, কিন্তু ২০০৭ সালে অসহায়ভাবে মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই বামফ্রন্ট কার্যত তাড়িয়ে দেয় তসলিমা নাসরিনকে। সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলিকে। এতদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ১৮ বছর আগের সেই ঘটনা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—পশ্চিমবঙ্গে শাসনব্যবস্থায় বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূল এলেও মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নজরে পড়ছে না।

    মৌলবাদীদের হুমকি, বন্ধ জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান

    গত সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল খ্যাতনামা কবি তথা গীতিকার জাভেদ আখতারের। কিন্তু তাঁকে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না—এই হুমকি দেয় কয়েকটি কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন। আর সেই মৌলবাদী সংগঠনগুলির চাপের কাছে মাথা নোয়াতে হয় রাজ্য সরকারকে, এবং শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় (Javed Akhtar)।

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই বিষয়টি নিয়ে (Javed Akhtar) সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। কলকাতায় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার কট্টরপন্থী। এরা সুরাবরর্দীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা বারবার প্রমাণিত, ভোটব্যাঙ্ক-ধর্মীয় পরিচিতি ইত্যাদি দেখে হয়। বাংলা, বাঙালি নিয়ে যা চলছে, বিধানসভাতেও যে প্রস্তাব আসবে, এটা কাদের জন্য? যারা আকাশকে আসমান বলে, মাকে আম্মা বলে, বাবাকে আব্বা বলে, জলকে পানি বলে। এই সরকার নামেই তৃণমূল কংগ্রেস, কার্যত মুসলিম লিগ-২।’’

    জাভেদের অনুষ্ঠানের আগে হুমকি দেয় মৌলবাদী সংগঠনগুলি

    জানা যাচ্ছে, জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) আমন্ত্রণ জানানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’। এ ছাড়াও ‘ওয়াহাবি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি মৌলবাদী সংগঠনও এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় শামিল ছিল। এদের সবার দাবি ছিল, জাভেদ আখতার নাকি ইসলাম-বিরোধী কথা বলেন, তাই তার মতো একজন ব্যক্তিকে বাংলার কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়। এই বক্তব্যের সাথে তারা রীতিমতো ‘ফতোয়া’ জারি করে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি চাপে পড়ে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয়।

    তসলিমাকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনটা করার হুমকি

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদী সংগঠনগুলি এই অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের যোগদান হলে ২০০৭ সালের তসলিমা নাসরিনকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতির হুমকি দেয়। জানা যাচ্ছে, ‘উর্দু ইন হিন্দি সিনেমা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি। সেখানে হিন্দি সিনেমায় উর্দু ভাষার ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হতো। গান, কবিতা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই খ্যাতনামা কবিকে। তবে এই অনুষ্ঠান রুখে দিল মৌলবাদীরা।

    তোষণের চূড়ান্ত পরিণতি হলেই কি এমনটা হয়? প্রশ্ন সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন— “এই পরিণতি কি তখনই হয়, যখন তোষণের কোনও সীমা থাকে না? মৌলবাদীদের কথাই কি চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়ায়? এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র একজনই দিতে পারেন—পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল মুশায়রা’ নামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি (Urdu Academy), যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত বিখ্যাত কবি জাভেদ আখতার। মৌলবাদীদের লাগাতার চাপে শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়। এমনকি রাজ্য সরকারের উপর চরম চাপ তৈরি করা হয়েছিল, যেন জাভেদ আখতার বাংলায় ঢুকতেই না পারেন। এই ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ্যে আনতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) ও তাঁর গানের দল ‘হুলি গান ইজম’। গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মনে ছাপ ফেলেছে। তবে গানের মাধ্যমে তিন ঘোষকে বিঁধলেও, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে। তার পরেই অনির্বাণকে একহাত নিলেন বিজেপির তারকা-রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

    সনাতন ধর্মকে আক্রমণ (Rudranil Ghosh)

    তিন ‘ঘোষ’কে নিয়ে ছড়া কেটে বাজার মাত করেছে অনির্বাণের দল। এই তিন ঘোষ হলেন কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ। এঁদের বিঁধতে গিয়েই গায়করা টেনে এনেছেন সনাতন ধর্মকে। গাইছেন, “সনাতন এসে গেছে… আর সনাতনী?… সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলেছি… আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে…সবাই এগিয়ে যায়…আমরা পিছিয়ে যাব।” ছড়া-গানটির এই অংশ শুনেই অনির্বাণকে তোপ দাগল বিজেপি।

    ক্ষমা চাওয়ার দাবি রুদ্রনীলের

    দলের তারকা-নেতা রুদ্রনীলের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অনির্বাণকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনির্বাণকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসচেতন, জ্ঞানহীন বক্তব্যের। …ভাই অনির্বাণ, পৃথিবীর চূড়ান্ত মুর্খ ব্যক্তিও জানেন সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদিতম ধর্ম বা জীবনচর্চা। তারপর বাকি সব ধর্মের জন্ম। আর আপনি বললেন, সনাতন এসে গেছে? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে! আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে, তাঁরা এতক্ষণে আপনাকে কোন জায়গায় রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন!” রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) সাফ কথা, “ভাই অনির্বাণ (Anirban Bhattacharjee), যদি সত্যিই নিজের অজ্ঞানতা থেকে এই বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে জানান। দেখবেন সনাতনীরা দল-মত-ঝান্ডা ভুলে আপনাকে ক্ষমা করবেন ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার অনুরোধ করবেন। আর যদি সজ্ঞানে থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সনাতন ধর্ম আদি ও অনন্ত। আপনি আমি দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, সনাতন-সনাতনী ছিল, আছে এবং থাকবেও। ভালো থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।”

    অনির্বাণকে আক্রমণ রুদ্রনীলের

    অনির্বাণের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়ও করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে এবার এই একটি শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। রুদ্রনীল লেখেন, “সবাই জানে, টলিউড মাফিয়ারা আপনার কাজ কেড়ে নিয়েছে, তাই গান গেয়ে আপনাকে পেটের ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক!! কিন্তু যে হুলি গানরা আপনার পেটের ভাত কেড়ে নিল, তা নিয়ে বা আরজি কর ডাক্তার হত্যা নিয়ে বা শিক্ষক পেটানো-শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আপনার মুখে কুলুপ! অথচ অকারণ ছোট করছেন নিজের ধর্মকে? সনাতন ও সনাতনীকে? কাকে খুশি করতে?”

    অনির্বাণকে বয়কটের ডাক

    ‘গোঁত্তা’ (Rudranil Ghosh) খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ। তবে তাঁকে বয়কটের ডাক উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একজন লিখেছেন, “এদের শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন (Anirban Bhattacharjee)। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে করুক, ওকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে, সনাতন ধর্ম নিয়ে এসব করা খুবই সহজ, বয়কট অনির্বাণ।” অন্য একজন আবার লিখেছেন, “শহিদ দিবসের মঞ্চে পিসির পাশে চেয়ার নেবার জন্য অনির্বাণ এইসব বলছে। ঠিক যেমনটা নচিকেতা করেছে।” আর একজন লিখেছেন, “বাঁমঘেঁষা আঁতেলদের এই একটা সমস্যা। নিজেদের চূড়ান্ত শিক্ষিত মনে করে। সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ভালোভাবে জানতে মার্কস পড়ার আগে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত পড়ুন ভাই। টেক্সট পড়ে বুঝতে না পারলে, পণ্ডিতরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেগুলি পড়ুন।”

    থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    এদিকে, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,  ‘হুলি গান ইজম’-এর সদস্যরা ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সনাতন ধর্মের উপাসক হিসেবে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। ওই কথাগুলোর জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ও সনাতনীদের আবেগে আঘাত লেগেছে।” এতে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপওটিও সেঁটে দিয়েছেন।

    এর আগে তরুণজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অনির্বাণের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতার মধ্যে ততক্ষণ পড়ে, যতক্ষণ না আপনি (Anirban Bhattacharjee) কাউকে আঘাত করছেন। কিন্তু গানের মধ্যে সনাতনী টানার মানে কী ছিল? এগুলি নিয়ে খিল্লি করার কারণ কী?” তাঁর প্রশ্ন, “সাহস হবে নাকি ইসলাম নিয়ে বলার? বললে স্লোগান হবে সর তন…। আর বললাম না (Rudranil Ghosh)!”

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমে বড় উপহার মোদি সরকারের। ১০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। বুধবার জিএসটি (GST) কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট স্বস্তিতে দেশবাসী। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন কৃষক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত, মহিলা এবং যুব সমাজ। তিনি (PM Modi on GST Reforms) এই সিদ্ধান্তকে ‘আগামী প্রজন্মের জিএসটি’ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি কাউন্সিল তা অনুমোদন করেছে। বুধবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন। আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন স্ল্যাব।

    আগামী প্রজন্মের জিএসটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসেই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জিএসটিতে সংস্কারের কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিপাবলীতে এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপহার হতে চলেছে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ঘোষণা। তুলে দেওয়া হল জিএসটির দুটি স্ল্যাব। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের জিএসটি তুলে নেওয়া হল। ৩ সেপ্টেম্বরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করেন। বুধবার একে ‘নেক্সট-জেনারেশন রিফর্ম’ (Next Gen GST) বলে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্টে লেখেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য হল জিএসটিতে পরবর্তী প্রজন্ম পরিবর্তন আনা। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিস্তীর্ণ জিএসটি হার বিভাজন ও প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাবনা এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।” তিনি আরও লেখেন, “জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে এই প্রস্তাবনায় রাজি হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষ, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত মানুষ, মহিলা ও যুব প্রজন্ম উপকৃত হবে। এই বিশাল পরিবর্তন নাগরিকদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে এবং ব্যবসা করতে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আরও সুবিধা করে দেবে।” নতুন জিএসটি-কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    অর্থমন্ত্রী নির্মলার ঘোষণা

    বুধবার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা স্ল্যাব কমিয়ে এনেছি। এখন থেকে দু’টি স্ল্যাব থাকবে এবং আমরা ক্ষতিপূরণ সেসের সমস্যাগুলিরও সমাধান করছি।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর প্রতিটি করের কঠোর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রও উপকৃত হবে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যেসব পণ্যের উপর জিএসটি ৫% নামানো হয়েছে- চুলের তেল, টয়লেট সাবান, সাবানের বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, টেবিলওয়্যার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্র।” তবে বিলাসবহুল কিছু পণ্যের জন্য থাকছে বিশেষ উচ্চ হার। যেমন দামি গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এই নতুন হার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রতিটি কর খতিয়ে দেখা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক, শ্রমনির্ভর শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

    স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার

    বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে বিমা না করিয়ে উপায় নেই। আর সেই বিমার সঙ্গে জিএসটি দিতে দিতে নাজেহাল হতে হত সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্বস্তি। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় দিতে হবে না কোনও জিএসটি। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। অর্থাৎ কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। এই পুরো বোঝাটাই এবার কমে যাবে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। এছাড়া এবার থেকে লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবনবিমার মধ্যেই পড়বে ইউনিট লিংকড ইনসিওরেন্স ও এনডাওমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিমা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসছে।

    কোন কোন জিনিসের দাম কমল

    দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    কনডেন্‌সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চি়জ় এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে জিএসটি করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। একই হার প্রযোজ্য বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে।

    পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি এবং বিভিন্ন সব্জির দাম কমছে। জিএসটি এ সব ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে।

    জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সরষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হল পাঁচ শতাংশ।

    মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর থেকে জিএসটি কমানো হয়েছে। এত দিন ১৮ শতাংশ জিএসটি ছিল এই সমস্ত পণ্যে। কমে হয়েছে পাঁচ শতাংশ।

    যাবতীয় জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    দাম কমছে থার্মোমিটার, ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের।

    বিড়ির দাম কমছে। বিড়ির পাতার উপর ১৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। বিড়ির উপর ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে ১৮ শতাংশ।

    সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    টিভি, এসি, ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকের দাম কমছে। এখন থেকে এই পণ্যগুলিতে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।

    কোন কোন জিনিসে দাম বাড়ল

    বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং কারের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে।

    পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের দাম বাড়ছে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি করা হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

    সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে।

    কয়লার দাম বাড়ছে। পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ হচ্ছে কয়লার উপর জিএসটি।

  • New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি কাউন্সিলের (New GST Regime) প্রথম দিনের বৈঠকেই মিলল সুখবর। দু’দিনের এই বৈঠক শুরু হয়েছে বুধবার। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (Insurance Premiums)। এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপর আর আরোপ করা হবে না জিএসটি। এদিন এই ঘোষণাটি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্বয়ং। ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রি উৎসবের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নয়া নিয়ম।

    সরকারি বিজ্ঞপ্তি (New GST Regime)

    সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “সমস্ত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমা এবং তার পুনঃবিমা এবং সমস্ত ব্যক্তিগত জীবনবিমা এবং তার পুনঃবিমাকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” বর্তমানে স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্স পণ্যে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি আরোপ করা হয়। অর্থাৎ, কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। জিএসটি অব্যাহতির ফলে এখন স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আরও সস্তা হবে বলেই আশা। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। প্রশ্ন হল, বিমাকারীর প্রিমিয়াম কতটা কমবে? এইচএসবিসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেটস (ইন্ডিয়া)-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরোপুরি জিএসটি মুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তবে বিমা সংস্থাগুলির খরচের অনুপাতও এই হ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    বিমা কোম্পানির বক্তব্য

    স্কোয়ার ইন্স্যুরেন্সের সিইও আকাশ পারওয়াল বলেন, “স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার ওপর থেকে জিএসটি তুলে দিলে সরাসরি প্রিমিয়ামের খরচ কমবে। ফলে বিমা পণ্যগুলো আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হবে। বর্তমানে ১৮ শতাংশ জিএসটি থাকায় একটি ২৫,০০০ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পলিসির খরচ প্রায় ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়, যা মধ্যবিত্ত পরিবার ও তরুণ ক্রেতাদের বিমা করা থেকে নিরুৎসাহিত করে। এই কর তুলে দেওয়ায় গ্রাহক উৎসাহিত হবেন এবং এতে দেশে বিমা কভারেজ বৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ অনায়াস হবে।” তবে এইচএসবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি এই ছাড় দেওয়া হয় তবে সরকার বছরে প্রিমিয়ামের জিএসটি থেকে ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে পারে। যদিও প্রিমিয়াম কমলে চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। তবুও বিমা কোম্পানিগুলির ধারণা, খুচরো স্বাস্থ্যখাতে যৌথ অনুপাতের ওপর ৩ থেকে ৬ শতাংশ প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রধান কারণ হল নবায়নের পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরে চলবে, যা সম্পূর্ণ হতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে (New GST Regime)।

    সহমত পোষণ

    গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স অন হেল্থ অ্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সদস্যরা এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছিলেন যে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার ওপর জিএসটির বোঝা কমানো প্রয়োজন। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সব ব্যক্তিগত জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা পলিসিকে জিএসটির (Insurance Premiums) আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তবে কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মত হল, এই ছাড় দেওয়ার উদ্দেশ্য তখনই পূর্ণ হবে, যখন বিমা সংস্থাগুলি সরাসরি উপভোক্তাদের ওপর বোঝা কমাবে। এখন বিমা সংস্থাগুলি যদি প্রিমিয়াম না কমায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না (New GST Regime)।

    জিএসটি প্রত্যাহার এসবেও

    এদিকে, স্বাস্থ্যবিমার পাশাপাশি দাম কমছে মেডিক্যাল সরঞ্জামেও। সস্তা হচ্ছে থার্মোমিটার, অক্সিজেন, ডায়গানাস্টিক কিট, রিএজেন্ট, গ্লুকোমিটার, টেস্ট স্ট্রিপ। ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধের জিএসটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনটি ওষুধ যাদের জিএসটি ছিল ৫ শতাংশ, তাও শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এতদিন এসব ক্ষেত্রে জিএসটি নেওয়া হত ১২ শতাংশ হারে। এবার তা কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এবার থেকে দেশে দু’টি হারে কার্যকর হবে জিএসটি – ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্ল্যাব ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায় (Insurance Premiums)।

     ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি

    দেশব্যাপী যে জিএসটির বোঝা কমতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই। তিনি জানিয়েছিলেন, নয়া প্রজন্মের জন্য জিএসটি সংস্কার করা হবে। এর ফলে কমবে করের বোঝা, জিনিসপত্রের দাম। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী দিপাবলীতে ডাবল উপহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, “দেওয়ালিতে বড় উপহার পাবেন। কর ব্যবস্থাকে সরল করা হয়েছে, জিএসটি আনা হয়েছে। আট বছর বাদে আবার রিভিউ করা হচ্ছে (Insurance Premiums)।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর বলা পথেই হাঁটল জিএসটি কাউন্সিল (New GST Regime)।

LinkedIn
Share