Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-প্রধান রাষ্ট্র নেপাল—সেখানে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
    শনিবার, নেপালের (Nepal News) জনকপুরধামে (Janakpurdham) গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই সময়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণেশের মূর্তিটি একটি মুসলিম-প্রধান এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় কিছু মানুষ শোভাযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

    গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর নিক্ষেপ (Nepal News)

    এরপর মৌলবাদীরা গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর ছুড়লে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। নেপালের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

    থমথমে পরিবেশ মোতায়েন পুলিশ

    জানা যাচ্ছে, এর পরেও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বাহাদুর সিং জানিয়েছেন, জনকপুরধাম (Janakpurdham) থেকে দেবপুরা এবং যাতাহি থেকে জনপ্রধান যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে (Nepal News) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার। ভারত তো বটেই, বিদেশেও চলছে হিন্দু ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, ঘৃণামূলক বক্তব্য (Roundup Week), যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য — হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত (Hindus Under Attack) চলছেই।

    সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদের বক্তব্য (Hindus Under Attack)

    এক ঝলকে দেখে নিই গত এক সপ্তাহের ঘটনা। প্রথমে আসা যাক দেশের খবরে। মানবাধিকারকর্মী সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদ, যিনি মনমোহন সিং সরকারের সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশিদের ভারতে থাকার অধিকার রয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “আল্লাহ মানুষের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছেন এবং তারাও মানুষ।” ইভিআর (পেরিয়ার) আয়াপ্পা ভক্তদের অপবিত্রতা ও রোগের এজেন্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। উদয়নিধি আবার সনাতন ধর্মকে উচ্ছেদ করার ডাক দিয়েছিলেন। কর্নাটকের অন্যতম বড় উৎসব মাইসুরু দশরা কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে চলে আসা একটি হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য। মুসলিম কর্মী বানু মুস্তাককে দশরা উদ্বোধনের দায়িত্ব দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    গণেশ মূর্তি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ডিম

    গুজরাটের ভাদোদরায় গণেশের মূর্তি ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকায় মূর্তি লক্ষ্য করে ডিম ছোঁড়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বেটমার কাছে দৌলতাবাদ গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে একদল চরমপন্থী মুসলমান যুবক মাথা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি থেকে একটি বিশাল বেআইনি ইসলামিক ধর্মান্তর চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিল (Hindus Under Attack) বছর পঁয়ত্রিশের মাদ্রাসা পরিচালক আবদুল মাজিদ। অন্তত দশ বছর ধরে তারা সক্রিয় এবং ১৩টি রাজ্য ও ২০টিরও বেশি ভারতীয় শহরে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। ভান্নিয়ারাসুর ভগবান রাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর, আরও এক দ্রাবিড়বাদী কণ্ঠ আক্রমণ শুরু করেছে। দ্রাবিড় নাত্পু কাজগম – দ্রাবিড় বন্ধু সংঘের বক্তা শ্রীবিদ্যার দাবি, সনাতন ধর্ম পথভোলা কুকুরের চেয়েও বিপজ্জনক।

    তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রের বচন

    তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঘোষণা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শিরশ্ছেদ করা উচিত। তাঁর কাটা মাথা প্রদর্শনের জন্য টেবিলে রাখা উচিত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ অবৈধ বাইবেল কলেজের মাধ্যমে এক বৃহৎ শিক্ষাগত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, জেসুইট প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই (Roundup Week) চেন্নাইয়ের থিরুভানমিয়ূরের সৎয নিলয়ম জেসুইট সেন্টারে তাদের এমএ দর্শনশাস্ত্র পড়াচ্ছিল।

    লাভ জিহাদের খবর

    উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে লাভ জিহাদের খবর (Hindus Under Attack) মিলেছে। এখানে এক মুসলমান যুবক কাশেম, নিজেকে হিন্দু যুবক ভিকি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে টার্গেট করে। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেল করার পর সে তাকে জোর করে ইসলামি বিয়েতে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে। উত্তর প্রদেশের রামপুরেও লাভ জিহাদের খবর মিলেছে। এখানে আমান সিদ্দিকি নামের এক মুসলিম যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো হিন্দু পরিচয় তৈরি করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে সে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শেষমেশ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

    অত্যাচার বাংলাদেশেও

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশেও। পটুয়াখালি জেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে নিখিল কর্মকারের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতরা হামলা চালায়। ডাকাতরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেঁধে ফেলে সব লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫০ গ্রাম সোনা ও ৫০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা) লুট হয়। ডাকাতরা বাড়ির মহিলাদেরও মারধর এবং নির্যাতন করে। মারধর করা হয় নিখিলের স্ত্রী ও কন্যাকেও (Roundup Week)।

    শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ ছবি

    উত্তর জাফনার একটি শান্ত গ্রাম বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্বল ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার প্রমাণ সামনে আনছে। এই ঘটনাগুলি দীর্ঘদিন ধরে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। জাফনার তামিল অধ্যুষিত অঞ্চলের চেম্মানিতে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এই গণকবরগুলি সংঘর্ষের বছরগুলিতে নিহত ও কবর দেওয়া শ্রীলঙ্কান হিন্দুদের (Hindus Under Attack)।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ পরিচালিত হয় হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা, যা কিছু ধর্মীয় শিক্ষায় ও রাজনৈতিক মতাদর্শে সযত্নে প্রোথিত। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হলেও, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে, যা (Roundup Week) হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম প্রতিদিনের বৈষম্য অনেক সময় ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও প্রবণতাগুলি খুঁটিয়ে দেখা হয় (Hindus Under Attack)।

  • Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariffs) আরোপ করার পর থেকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল আমেরিকা- বিরোধী মনোভাব। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর এই শুল্ক চাপানো হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক। এর ফলে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে বর্জন করার আওয়াজ উঠেছে ভারতে (Swadeshi Heat)।

    মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক (Trump Tariffs)

    যোগগুরু বাবা রামদেব ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কের জবাবে যেন তাঁরা সব মার্কিন পণ্য বর্জন করেন। তিনি বলেন, “একজনও ভারতীয়কে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডসের কাউন্টারে দেখা যাবে না। ব্যাপক বর্জন হওয়া উচিত।”  তিনি বলেন, “যদি এমনটা হয়, তাহলে আমেরিকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।” বিশ্বের অন্যান্য অংশে যেমন ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং কানাডায় ইতিমধ্যেই আমেরিকা-বিরোধী বয়কট চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত যদি মার্কিন কোম্পানিগুলিকে বয়কট করে, তবে তা বিপুল ক্ষতি এবং গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভারতীয়দের “স্বদেশি” বা দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

    তিনি বলেন, “যে কেউ ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করতে চায় — যে কোনও রাজনৈতিক দল, যে কোনও নেতা — তাদের উচিত দেশের স্বার্থে কথা বলা এবং জনগণের মধ্যে এই বোধ জাগানো যে তাদের ‘স্বদেশি’ পণ্য কেনার সংকল্প নিতে হবে। আমরা যখন কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেব, তখন একটি মাত্র মানদণ্ড থাকা উচিত। আমরা সেই জিনিস কিনব, যা একজন ভারতীয় শ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন। যা ভারতের মানুষ তৈরি করেছেন, ভারতের মানুষের দক্ষতা দিয়ে, ভারতের মানুষের ঘামের বিনিময়ে, সেটিই আমাদের কাছে ‘স্বদেশি’ (Trump Tariffs)। আমাদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্র গ্রহণ করতেই হবে।” ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার রাজনীতি চলছে এবং প্রত্যেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত (Swadeshi Heat)।”

    ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, ৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফের একবার অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। করা হয় জরিমানাও। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “ভারত শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে তাই নয়, বরং সেই তেলের একটি বড় অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফাও করছে।” তিনি বলেন, “রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে কত মানুষকে হত্যা করছে, সে ব্যাপারে ভারতের কোনও পরোয়া নেই। এই কারণে আমি আমেরিকায় ভারত যে শুল্ক দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছি।” উচ্চবাচ্য না করে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অমূলক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা

    আপ পার্টির সাংসদ অশোক কুমার মিত্তল ট্রাম্পকে একটি খোলা চিঠি লিখে ৭ আগস্ট ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যদি আজ ১৪৬ কোটি ভারতীয় সেই চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং মার্কিন ব্যবসার ওপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তবে এর প্রভাব ভারতের থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে (Trump Tariffs)।” ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড লিমিটেড, যা পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা করে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২,৩৯০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি (Swadeshi Heat)।

    ভারতের অবস্থান

    এদিকে, পেপসিকো ইন্ডিয়া ২০২৪ অর্থবর্ষে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে। ভারতের অবস্থান পেপসিকোর জন্য বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ ১৫টি বাজারের মধ্যে। গত তিন বছরে পেপসিকো ভারতের বাজারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন আগেই আমেদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতাই উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার একমাত্র পথ। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বিদেশি পণ্য কেন দরকার হবে? নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবই দেশীয় সংস্থা উৎপাদন করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে হবে যে, যদি বিদেশি পণ্য বিক্রি না করলে আর্থিক ক্ষতিও হয়, জাতীয় স্বার্থে বিদেশি পণ্য বয়কট করতে হবে। কেউ যেমন বিদেশি পণ্য ক্রয় করব না, তেমন বিক্রিও করবে না।” তিনি বলেন (Swadeshi Heat), “গণপতির মূর্তি পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসছে। তাও আবার সেই গণপতির চোখ অর্ধনিমীলিত। ক্ষুদ্র চোখ। এটা কেন হবে (Trump Tariffs)?”

  • PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দীর্ঘ ১০ মাস পর এই সফরে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈঠকে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, সংবেদনশীলতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জবাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    বৈঠকের সূচনায় মোদি (PM Modi) বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ইতিবাচক দিশায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের প্রতিনিধিরাও পারস্পরিক বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন। নতুন করে কৈলাস-মানসসরোবর যাত্রাও চালু হয়েছে।” তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হবে। তাঁর কথায়, “ভারত ও চিনের বন্ধুত্ব কেবল দুই দেশেরই নয়, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মিলিয়ে ২৮০ কোটির বেশি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই সম্পর্কে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের (Jinping) বক্তব্য কী?

    প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বিশ্বজুড়ে নানা পরিবর্তন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে চিন ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বের দুই প্রাচীন সভ্যতা, দুই বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, এবং গ্লোবাল সাউথের প্রধান দুই অংশীদার। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকা উচিত। আমরা যেন ভালো প্রতিবেশীর মতো পাশে থাকি।” তিনি আরও বলেন, “ড্রাগন ও এলিফ্যান্টকে আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে।”

    সম্পর্কের ৭৫ বছর

    চলতি বছর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এই উপলক্ষে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও স্থায়ী করে তুলতে কূটনৈতিক স্তরে জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শি জিনপিং। তাঁর মতে, এশিয়ায় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারত ও চিনকে (Jinping) একসঙ্গে পথ চলতে হবে।

  • Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন ছিল বাগু খান। হিউম্যান জিপিএস নামেও পরিচিত ছিল সে। বাগু (Terrorist Bagu Khan) এবং আর এক জঙ্গি নওশেরা যখন নার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

    কে এই বাগু খান? (Terrorist Bagu Khan)

    প্রশ্ন হল, কে এই বাগু খান? বাগু খান সমন্দর চাচা নামেও পরিচিত ছিল। সে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে গুরেজ সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে ১০০ও বেশি জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়িত ছিল। তার অধিকাংশ চেষ্টাই সফল হয়েছিল। কারণ সে এই অঞ্চলটির দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও গোপন রুটগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল। সে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাতায়াতকারীদের অন্যতম প্রবীণ হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষতার কারণে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হত। কখনও কোনও জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকাতে হলে ডাক পড়ত বাগুর।

    হিজবুল কমান্ডার

    বাগু মূলত হিজবুল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তবে সে আরও কয়েকটি সংগঠনকেও সাহায্য করেছিল। গুরেজ ও আশপাশের সেক্টরগুলি দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও সাহায্য করেছে সে। কুখ্যাত এই জঙ্গির মৃত্যু এই অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যদানকারী লজিস্টিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক যে সংঘর্ষটি নৌশেরা নার এলাকায় হয়েছে, তার নাম “অপারেশন নৌশেরা নার চতুর্থ”। এখানে সেনারা ভারী অস্ত্রসজ্জিত একদল অনুপ্রবেশকারীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। নিকেশ হয় বাগু-সহ দুজন। বাকিরা পালিয়ে যায় (Terrorist Bagu Khan)।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু ঘাঁটি গেড়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তার প্রধান কাজই ছিল, ভারতে জঙ্গি ঢোকানো। বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার গুরেজে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি (Jammu Kashmir)। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এরপর ফের একবার অভিযান চালানো হয় গুরেজে। তাতেই খতম হয় বাগু (Terrorist Bagu Khan)।

  • Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কয়েকদিনের ভিজে আবহাওয়ার পর সাময়িকভাবে বৃষ্টি থেকে (Kolkata) বিরতি পেতে চলেছে কলকাতা। যদিও আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, শহরে রবিবার ৩১ আগস্ট এবং সোমবার ১ সেপ্টেম্বর হালকা বৃষ্টি হবে। এতে সাময়িক স্বস্তি পাবেন কলকাতাবাসী। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে এবং হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বড় কোনও সতর্ক বার্তা নেই। দিনের তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই ছোট্ট বিরতিটুকু অনেকটাই স্বস্তি দেবে শহরবাসীকে।

    বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Weather Update)

    তবে এই স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হবে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার ৩ সেপ্টেম্বরও আবহাওয়া থাকবে একই রকম। তবে এই দু’দিনের বৃষ্টি ও ঝড় আগের শান্ত আবহাওয়ার তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বঙ্গ জীবনে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শহর থাকবে মূলত মেঘাচ্ছন্ন। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে সতর্কবার্তাগুলি কিছুটা হ্রাস পাবে। যদিও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কলকাতার বাসিন্দারা কিছুক্ষণের জন্য শরতের পরিষ্কার আকাশের মুখ দেখতে পারবেন। যদিও আবারও হাতের কাছে ছাতা রাখতে হবে। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে ফের শুরু হবে বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টি (Weather Update)।

    মঙ্গলে বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবি ও সোমবার বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। মঙ্গলে বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। বুধবার বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি (Kolkata) ও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। বাকি জেলাগুলিতেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)।

  • Bharat Forecast System: আবহাওয়া পূর্বাভাসে নতুন যুগের সূচনা হল ‘ভারত ফোরকাস্ট সিস্টেম’-র মাধ্যমে

    Bharat Forecast System: আবহাওয়া পূর্বাভাসে নতুন যুগের সূচনা হল ‘ভারত ফোরকাস্ট সিস্টেম’-র মাধ্যমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে ‘ভারত পূর্বাভাস ব্যবস্থা’ (Bharat Forecasting System)। এই উন্নত প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করেছে আইআইটি এম-পুনে (IITM Pune), আইএমডি (IMD), এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থিত এনসিএমআরডব্লিউএফ (NCMRWF)।

    অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভুলভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে পূর্বাভাস

    এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার (Bharat Forecasting System) পূর্বাভাস অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভুলভাবে প্রদান (Weather Forecasting) করা সম্ভব হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের ২৬ মে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতেই এই প্রযুক্তির পুরো উন্নয়ন হয়েছে, যা দেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তির ফলে দেশের অর্থনৈতিক খরচ অনেকটাই কমে আসবে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো এলাকার আবহাওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বিশেষভাবে উপকারে আসবে। বিশেষ করে কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠী, যাদের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও সতর্কবার্তা নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখছে

    কয়েক দশক আগে ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস (Bharat Forecasting System) দেওয়ার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত, তা ছিল ‘২৫ বাই ২৫’ মডেল। এর অর্থ, একটি কাল্পনিক ২৫ কিলোমিটার লম্বা ও ২৫ কিলোমিটার চওড়া বর্গাকার অঞ্চলকে ভিত্তি ধরে সেই এলাকার আবহাওয়া কেমন হবে, তার পূর্বাভাস দেওয়া হত। পরবর্তীকালে পূর্বাভাস আরও নির্ভুল করতে চালু হয় ‘১২ বাই ১২’ মডেল। এতে ২৫ কিলোমিটারের জায়গায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বর্গক্ষেত্র ব্যবহৃত হতে থাকে। ফলে একসময় যেখানে ৬২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য একটিমাত্র পূর্বাভাস দেওয়া হতো, নতুন মডেলে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১৪৪ বর্গকিলোমিটারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে যায়, আরও নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে হলে এই মডেলগুলো যথেষ্ট নয়। দরকার আরও উচ্চ রেজোলিউশনের গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম। সেই লক্ষ্যেই শুরু হয় ‘৬ বাই ৬’ মডেলের উন্নয়ন কাজ। এরফলে ১৪৪ বর্গকিলোমিটারের বদলে মাত্র ৩৬ বর্গকিলোমিটারের ব্লকে বিশ্লেষণ করা হয়। এলাকা যত ছোট হয়, সেই অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে আরও বেশি শক্তিশালী কম্পিউটারের দরকার হয়। এই অত্যাধুনিক মডেল কেবল দৈনিক আবহাওয়া পূর্বাভাসেই নয়, বরং বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও সতর্কবার্তা নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখছে।

  • Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কহার (Trumps Tariffs) প্রযোজ্য হয়েছে আমেরিকার। এমতাবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন (India China) পৌঁছেছেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই চড়া শুল্ক হার ভারতের রফতানি খাত এবং উচ্চভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। চিনের ওপরও চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটি এমন একটি সময়ে করেছেন, যখন চিনের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রত্যাশিতভাবেই মোদি-জিনপিং সম্পর্কে নয়া মোড় দেখা দিতে পারে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ট্রাম্পের শুল্ক-গুঁতোর ধাক্কায় দুই দেশই এবার আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ (Trumps Tariffs) 

    সাম্প্রতিক এক সম্পাদকীয়তে চ্যাথাম হাউসের চিয়েটিগজ বাজপাই ও ইউ জিয়ে লিখেছেন, “ভারত কখনওই চিনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরক্ষার প্রাচীর হতে যাচ্ছিল না, যেটি পশ্চিমী বিশ্ব (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ভেবেছিল। তাই মোদির (India China) চিন সফর একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।” ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ। চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারত চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি যদি ৬ শতাংশের ওপরে থাকে, এবং দেশটির ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি ও ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টক মার্কেটে পৌঁছয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে।

    সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং

    বেজিং-ভিত্তিক উসায়া অ্যাডভাইসরির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ কিয়ান লিউ বলেন, “তামাম বিশ্ব এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, চিন ও ভারত, কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার (Trumps Tariffs)।” যদিও এ সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ও দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এটি গত চার দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। এর জেরে বাতিল করা হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, ভিসা ও চিনা বিনিয়োগ স্থগিত থাকে। ফলে পরিকাঠামো প্রকল্পের গতি ধীর হয়ে যায়, এবং ভারত ২০০–রও বেশি চিনা অ্যাপ, যার মধ্যে টিকটকও ছিল, নিষিদ্ধ করে (India China)।

    ভারত–চিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

    আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় প্রতিরক্ষা, কৌশল ও কূটনীতি বিষয়ক প্রবীণ গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্ক বলেন, “দুই দেশের আলোচনা প্রয়োজন, যাতে অন্য শক্তিগুলির প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ এশিয়ার বৃহত্তর স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ভারত–চিন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (Trumps Tariffs)।” সীমান্তের পাশাপাশি দুই দেশের বিরোধ রয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়ে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বত, দালাই লামা, এবং যৌথ নদীর ওপর চিনের পরিকল্পিত বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। তবে ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জেরে আপাতত দুই দেশই এসব বিরোধ এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন করে সব শুরু করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে, ভিসা সংক্রান্ত কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চুক্তিও আসতে পারে।

    অবস্থান বদলেছে ভারত

    বর্তমান প্রেক্ষিতে অবস্থান বদলেছে ভারত। গবেষণা সংস্থা এশিয়া ডিকোডেডের  প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোর বলেন, “মনে রাখবেন, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এক জোট চিনকে চাপে রাখতে।” কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে ভারত সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। কিশোরের মতে, তাই এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ এবং মাল্টিপোলার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে, যেটি ভারত ও চিন উভয় দেশই বিশ্বাস করে (Trumps Tariffs)।

    এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    চিনে আয়োজিত দু’দিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং রাশিয়া। আগে ভারত এই সংস্থার গুরুত্বকে খাটো করে দেখেছে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে এটি উল্লেখযোগ্য কোনও ফল প্রসব করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের অবনতিই ভারতকে এসসিওর গুরুত্ব নতুন করে আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক সংঘাতের মধ্যে চিন বৈশ্বিক দক্ষিণের সংহতির প্রতীকী (India China) দিকটিকেও মূল্য দেবে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের স্বার্থেই ক্রমেই কাছাকাছি আসছে নরেন্দ্র মোদির ভারত ও শি জিনপিংয়ের চিন (Trumps Tariffs)।

  • SSC: ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে ঠেলার নাম বাবাজি! ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের (Tainted Candidates) তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। বৃহস্পতিবারই দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী সাত দিনের মধ্যেই দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারপর তড়িঘড়ি শনিবার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় তালিকা। এই তালিকায় নাম রয়েছে মোট ১ হাজার ৮০৪ জনের। প্রকাশ করা হয়েছে তাঁদের রোল নম্বরও।

    নাটকীয় পরিস্থিতি (SSC)

    এদিন দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ ঘিরেও নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এসএসসির দফতরে। প্রথমে একটি তালিকা প্রকাশ করার পরে পরেই তা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। খানিক পরেই এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও পৌঁছে যান কমিশনের দফতরে। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। তারপর ফের নতুন করে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে এসএসসির। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, দাগি অযোগ্য প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেই মতো প্রকাশ হল তালিকা। তালিকায় প্রথম নাম অবনীনাথ মণ্ডলের। তবে ওই তালিকায় প্রার্থীরা কোনও স্কুলে চাকরি করেন কিংবা কোন বিষয়ের শিক্ষক, তা বলা হয়নি বলে অভিযোগ।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আমরা সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করিনি। তার পরেও কেন তালিকা প্রকাশ হল না? এদিন দাগি অযোগ্যদের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা নেই যে এঁদের মধ্যে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কতজন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তা আলাদাভাবে উল্লেখ করা নেই। উল্লেখ্য, এর আগে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ১৮০ জন দাগি অযোগ্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন। তাঁরা কারা (SSC), সেই তথ্যও জানানো হয়নি কমিশনের তালিকায়। দাগিদের তালিকা প্রকাশের পরে যোগ্য শিক্ষকদের প্রতিনিধি সুমন বিশ্বাস বলেন, “এই তালিকা আগে প্রকাশ করা হলে, এত করুণ অবস্থা হত না। আমাদের জীবন্ত লাশ হয়ে ঘুরতে হত না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।”

    এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আদালত যা বলছে, আমরা সেটা মেনেই চলছি। বিরোধীরা (Tainted Candidates) কী বলছে কিংবা আগে কী হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই (SSC)।”

  • First Bullet Train: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে ছুটবে বুলেট ট্রেন! শুরু সমীক্ষা

    First Bullet Train: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে ছুটবে বুলেট ট্রেন! শুরু সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে বুলেট ট্রেন করিডরের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। এ খবর জানিয়েছে মেট্রো রেল টুডে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১২ ঘণ্টার যাত্রা সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে (First Bullet Train)। সমীক্ষাটি পরিচালনা করছে সরকারি মালিকানাধীন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাইটস লিমিটেড। এটি ভারতের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, পশ্চিম ভারতের বাইরে বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা (High Speed Rail Corridor)। ইতিমধ্যেই মুম্বই আমেদাবাদ করিডরের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, রাইটসকে ডিপিআর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ট্রাফিক বিশ্লেষণ, রুট সমীক্ষা এবং ভূ-প্রকৃতি মূল্যায়নও করবে। প্রাথমিক নকশা তৈরিও এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, যা দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ করিডরের ভিত্তি স্থাপন করবে।

    লাইন হবে সম্পূর্ণ পৃথক উঁচু ট্র্যাকে (First Bullet Train)

    প্রস্তাবিত ৭০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইন হবে সম্পূর্ণ পৃথক উঁচু ট্র্যাকে নির্মিত। যেখানে ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা। যদিও ট্রেনগুলি চলবে ৩২০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এই করিডর বিমান ভ্রমণের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। কারণ দুটি রাজ্যের রাজধানীর মধ্যে যাত্রার সময় কমে হবে ২ ঘণ্টার সামান্য বেশি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতীয় রেলের প্রচলিত ট্রেনে এই রুটে সময় লাগে ১২–১৪ ঘণ্টা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বুলেট ট্রেন চালু হলে শুধু যাত্রার সময়ই কমবে না, লাইনের ভিড়ও কমবে, বাড়বে আঞ্চলিক সংহতি, ত্বরান্বিত হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এমআরটি রিপোর্টে ওই কর্তারা অনুমান করেছেন যে মুম্বই – আহমেদাবাদ করিডরের সময়সীমার ভিত্তিতে এই প্রকল্প নির্মাণে কমপক্ষে ১৫ বছর লাগবে (First Bullet Train)।

    বুলেট ট্রেন ত্রিভুজ প্রকল্পের অংশ

    হায়দরাবাদ – চেন্নাই রেল সংযোগ দক্ষিণ ভারতের একটি বৃহত্তর বুলেট ট্রেন ত্রিভুজ প্রকল্পের অংশ, যেখানে একইসঙ্গে হায়দরাবাদ – বেঙ্গালুরু রুটেরও একটি সমান্তরাল সমীক্ষা চলছে। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের (High Speed Rail Corridor) মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ঘোষণা করেন যে দক্ষিণ ভারতে শীঘ্রই বুলেট ট্রেন সংযোগ স্থাপন করা হবে, যা হায়দরাবাদ, অমরাবতী, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু জুড়ে ভ্রমণে আমূল পরিবর্তন আনবে (First Bullet Train)।

LinkedIn
Share