Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ ২০২৫-এর (Maha kumbh 2025) ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জয়গান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় চেতনার প্রমাণ (PM Modi)

    তিনি একে ভারতের আধ্যাত্মিক ও জাতীয় চেতনার প্রমাণ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল সমাবেশের সুন্দর ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন, যা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু ও মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভকে বিভিন্ন “অমৃত”-এর উৎস বলে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে “ঐক্য” হল সবচেয়ে পবিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল সেই বিশেষ মুহূর্ত যখন মানুষ সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের জাত, ভাষা, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পক্ষপাত ভুলে গিয়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন। এই ভাবনা প্রচার করেছিলেন যে এটি কখনও “আমি” এর জন্য নয়, বরং সর্বদা “আমরা” এর জন্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা মহাকুম্ভের পরিমাণ ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পেয়েছে দেশজুড়ে দেখা গেছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে।”

    রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহ

    মহাকুম্ভে রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫-এ জাতীয় সচেতনতার একটি অসাধারণ প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রয়াগরাজে একত্রিত হয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্ম গভীর আবেগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মহাকুম্ভ আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সামাজিক সীমা অতিক্রম করে একটি সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের মহিমা হল ভারতের ঐক্যের ক্ষমতার প্রতিফলন, যা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সাধারণ লক্ষ্যের দিকে কাজ করে।”

    প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর মরিশাস সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল গঙ্গা তালাবে উৎসর্গ করেছিলাম, তখন তা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এক গভীর ভক্তির অনুভূতি জাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, “ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, এবং এই একত্রিত হওয়ার চেতনাকে আরও লালন করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

    মহাকুম্ভে অমৃত স্নান

    চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভে অমৃত স্নান। শেষ হয়েছিল ৪৫ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। তিন পক্ষের এই মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের প্রভাব ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডকে মহাকুম্ভের গঙ্গাজল উপহার দেন। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন ৭৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, এটি এই গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সমাবেশের বৈশ্বিক সচেতনতা প্রদর্শন করে।

    ভারতের ঐক্যের শক্তি

    বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বের অনেক অংশ বিভক্ত থাকলেও, ভারত ঐক্য ও সম্মিলিত ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই ঐক্যই আমাদের আশীর্বাদ ও আমাদের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক প্রথাগুলি ঐক্যবদ্ধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। মহাকুম্ভ, যা বিশ্বাসীদের এক বিশাল সমাবেশ, এটি লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের অনুভূতি পুনরায় জাগ্রত করে।” তিনি বলেন, “এই ধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এবং ঐতিহ্য রক্ষার পথে দেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।”

    পরিবেশগত গুরুত্বে জোর

    প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভের পরিবেশগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনি একটি বৃহত্তর নদী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বানও জানান। জল সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ‘নদী উৎসব’ প্রসারিত করার অনুরোধও জানান। তিনি (PM Modi) বলেন, “কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম টেকসই উন্নয়নে জন আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।” নদী দূষিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি জোর দিয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলাশয় সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো প্রয়োজনের ওপর। তাঁর মতে, নদী উৎসবের প্রসার ভারতের বিশাল নদী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত ও সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (Maha kumbh 2025)।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়

    এদিন তিনি ফের বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড় বুঝতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহাকুম্ভের মতো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক বিশ্বে, যেখানে অনলাইন শক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গর্বিত হয়েছেন এই ভেবে যে যখন দেখলেন তরুণরা তাদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহাকুম্ভের মতো উৎসবগুলি কেবল ধর্মীয় সমাবেশই নয়, বরং ভারতের ঐতিহাসিক সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরনের উৎসবগুলি যেন অক্ষুণ্ন রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী পালন নিয়ে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবার হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রামনবমী (Ram Navami) পালনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম গালি!’’ একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ করেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।’’

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন কিছু যুবক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে বলেন, তাঁকে গালি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে সেই ঘটনার কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই সময় উস্কানি আসে রাজ্যের শাসক দল পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম হল গালি। যোগেশচন্দ্র, হরিণঘাটায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। দোলপূর্ণিমায় সাঁইথিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’’

    প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রামনবমীর (Ram Navami) পালন নিয়ে প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামনবমীর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাইকে আবেদন করব, আপনারা প্রোটোকল মেনে, গত বছরের অনুমতির কাগজ সহ, পুলিশকে দেবেন। নতুন করে কোনও মমতা পুলিশের পাঠানো প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার লোককে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি এমএলএ-রা আপনাদের সম্পূর্ণভাবে আইনি সুরক্ষা দেব। আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছরে যা হয়েছিল, একইভাবে এবারে উৎসব পালন করা হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘ প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।’’

    পুজো আয়োজকদের মধ্যে ঝামেলা কারা করতে পারে? জানতে চাইছে পুলিশ

    এখানেই না থেমে আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইছে। একইসঙ্গে ওই পুজোতে কারা গন্ডোগোল-ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর চাইছে। মানে পুজোর আয়োজকদের মধ্যে যাঁরা ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর চাইছে। একইসঙ্গে পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডদের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইছে।’’ এরপরই পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে যদি পড়েন তাহলে খেসারত আপনাকে দিতে হবে।’’

    রামনবমী আটকাতে পারবেন না মমতা

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। এবার মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না। প্রত্যেকে রাস্তায় থাকব, রামনবমীর মিছিলে সামিল হব। হাওড়ায় শ্যামপুরে ৭ এপ্রিল মিছিল করব, ক্ষমতা থাকে আটকান। যাঁরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁরাই চেয়ারে থাকবে।’’

    রামনবমী ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ

    বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে তোষণের রাজনীতির ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা শুরু করেছে বিজেপি। এপ্রিল মাসে রয়েছে রামনবমী। এমন সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপির দেওয়াল লিখনও দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব ইস্যুতে। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী (Ram Navami) নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।’’

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণ আন্দোলনে উত্তাল নাগপুর। এই আবহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান  বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান। যাঁরা এটা করছেন তাঁদেরকে কখনও ক্ষমা করা হবে না। ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন শুধুমাত্র ধ্বংসলীলা চালাতে এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করা উচিত নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমাদের বিরোধীদের আমরা দেখছি, তাঁরা এমন ভাবে আচরণ করছেন যেন ঔরঙ্গজেব তাঁদের আত্মীয় হতেন। যাঁরা ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লজ্জিত হওয়া দরকার।’’

    ঔরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Eknath Shinde) ব্রিটিশ শাসনেরও উদাহরণ দেন নিজের বক্তব্যে। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশরা এই দেশে আক্রমণ করেছিল। এই দেশকে শাসন করেছিল। ব্রিটিশরা ২০০ বছরে ভারত শাসন করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরে এই দেশ থেকে ব্রিটিশদের চিহ্ন মোছার কাজ শুরু হয়। কারণ তা ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। একইভাবে এই দেশের ওপরে যিনি অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন সেই রকমই একজন হলেন ঔরঙ্গজেব। যাঁর সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে গত সোমবার উত্তাল হয় নাগপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নামাতে হয় সরকারকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সেই আন্দোলনে পরে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ নিয়ে। আগেই এই দুই সংগঠন ঘোষণা করেছিল, ঔরঙ্গজেবের সমাধি হল আসলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং নৃশংসতার প্রতীক। যে কোন মূল্যে এই সমাধি সরাতে হবে।

    নাগপুর হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখেন শিণ্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, নাগপুরের হিংসা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১০০ থেকে ১৫০টি দুই চাকার গাড়ি নাগপুরে প্রতিদিন পার্কিং করা থাকে। কিন্তু সোমবার দেখা যায় যে সেখানে কোনও গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সোমবারে যে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। একইসঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য দু’চার এবং চার চাকার গাড়িগুলিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পাথর ছোড়াও হতে থাকে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্যজনকভাবে হাসপাতালকেও টার্গেট বানানো হয়। এই হিংসার হাত থেকে বাদ দেওয়া হয়নি পাঁচ বছরের শিশুকেও। হাসপাতালে দেব-দেবীদের ছবিগুলিকেও জ্বালিয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। দমকল বাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    টেনে আনেন লাদেনের উদাহরণও

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন ওসামা বিন লাদেনের কথাও। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা। শিণ্ডে (Eknath Shinde) জানিয়েছেন যে লাদেনকে মহিমান্বিত করতে কোথাও তাঁর কবরস্থান তৈরি করেনি আমেরিকা। এরকম সন্ত্রাসীর দেহ সমুদ্রেই ফেলে দেয় তারা।’’ নাগপুর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকেও (ইউবিটি) এক হাত নেন। বিধান পরিষদের সদস্য অনিল পরবের প্রশ্নের জবাবে শিণ্ডে (Eknath Shinde) বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এত চর্চা চলছে কেন? কেন তাঁকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে! আমাদের দেশের ইতিহাসে উনি একজন নৃশংসতম ব্যক্তি।’’

    সম্ভাজিরাজকে হত্যা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব

    একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) আরও বলেন, ‘‘মুঘল সম্রাট মারাঠা ছত্রপতি রাজা সম্ভাজিরাজেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সেই প্রস্তাব না মানার জন্য সম্ভাজিরাজেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মুঘল সম্রাট।’’ এই প্রসঙ্গে একনাথ শিণ্ডে কড়া নিশানা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকালকে। ঔরঙ্গজেবের শাসন এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের শাসনের তুলনা করেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এখনও পর্যন্ত কি সেই রকমের কোনও অত্যাচার তাঁর বিরোধীদের ওপরে করেছেন? যেটা ঔরঙ্গজেব করতেন, তাঁর শত্রুদের সঙ্গে!’’ কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে বলেন, ‘‘এটা ছিল সেই কংগ্রেস, যারা বছরের পর বছর ধরে ঔরঙ্গজেবের সমাধিকে রক্ষা করে এসেছে।’’ বিরোধীদের ওপরে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে আরও বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনার সদস্য অনিল পরবের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমি ঠিক কী করেছি? আমি যা করেছি প্রকাশ্যে করেছি। আমি যেটা করেছি সেটা শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি। আমি যা করেছি সেটা ঔরঙ্গজেবের প্রতি যাঁরা সহানুভূতি জানায়, তাঁদের হাত থেকে শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি।’’

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • Sunita Williams: ন’মাসের অপেক্ষার অবসান, পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা

    Sunita Williams: ন’মাসের অপেক্ষার অবসান, পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৯ মাসের অপেক্ষার অবসান। নিরাপদেই পৃথিবীতে ফিরলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। আজ, ১৯ মার্চ বুধবার, ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) তাঁদের নিয়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনীতাদের এই প্রত্যাবর্তনে কোনও রকম ত্রুটি হয়নি বলেই জানিয়েছে নাসা। সুনীতাদের (Sunita Williams) সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে সুনীতারা মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেসময় সফর ছিল ৮ দিনের। পরে মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায়, আটকে পড়েন সুনীতারা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) সুনীতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ছাড়ে স্পেসএক্সের ড্রাগন যান। পরে বুধবার অতলান্তিক মহাসাগরের ফ্লোরিডা উপকূলে মহাকাশচারীরা নিরাপদে অবতরণ করেন। তাঁদের জন্য আগে থেকেই রাখা ছিল মার্কিন নৌসেনা বাহিনীর বোট।

    পরিবারের সঙ্গে এখনই দেখা নয় (Sunita Williams)

    এর পরেই মডিউল-সহ সুনীতাদের একেবারে জাহাজের কাছে নিয়ে আসে নৌবাহিনী। মহাকাশচারীদের হাইড্রলিক পদ্ধতিতে তোলা হয় জাহাজের ভিতর। সেখানে ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলা হয়। প্রথমে বেরিয়ে আসেন নিক হগ। তার প্রায় ৫ মিনিট পরে ভারতীয় সময় ভোর ৪টে ২২ নাগাদ হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস। এর পরেই জাহাজ পাড়ি দেয় স্থলভাগের উদ্দেশে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। তাঁদের থাকতে হবে ক্রু- কোয়ার্টারে। সেখানেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তার পরে সুনীতা (Sunita Williams) ও বুচের সঙ্গে দেখা করার সম্মতি মিলবে পরিবার ও আত্মীয়দের। সুনীতাদের অবতরণের পরেই ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও দেখা দিয়েছে উন্মাদনা।

    নাসার সাংবাদিক বৈঠক

    মহাকাশচারীদের অবতরণের পরেই এদিন নাসার পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ভারতীয় সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিট নাগাদ এই সাংবাদিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। নাসার উপ সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো ও কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, ‘‘নাসার গর্বের সঙ্গীরা নিরাপদ ভাবে অবতরণ করেছেন। ৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ১৫০টি বিষয়ের গবেষণা করা হয়েছে।’’

    কীভাবে ফেরত মহাকাশ থেকে

    নিরাপদে ফিরে এসেছেন সুনীতারা। প্রথমেই তাঁদের স্পেসক্রাফটের (SpaceX Crew 9) ইঞ্জিন চালু করা হয়। তা পৃথক হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে। এরপর তা ধাপে ধাপে নীচের কক্ষপথে নেমে আসে। এর গতিবেগকে কমিয়ে দেওয়া হয়। তার কারণ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে এই যানের গতি এমনিতেই বেশি হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই এই মহাকাশযানের সর্বোচ্চ গতি হয়ে যায় প্রতি ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এই বিপুল গতিতে ফিরতে স্বাভাবিকভাবে তীব্র ঘর্ষণ শুরু হয় মহাকাশযানে। এর ফলে এর তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এই কারণে তাপ প্রতিরোধক ব্যবস্থাও করা হয় যন্ত্রে। এই সময়ে মহাকাশচারীরা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পাঁচগুণ বেশি টান অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরে মহাকাশযান থেকে ক্যাপসুল ও বড় প্যারাসুটের মাধ্যমে সমুদ্রে সফট ল্যান্ডিং করানো হয় স্পেসএক্স-র যানকে।

    রবিবার মহাকাশে পৌঁছায় ইলন মাস্কের যান (SpaceX Crew 9)

    প্রসঙ্গত, ৫ জুন সুনীতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার। কিন্তু পরে এই মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে সেখানেই আটকে পড়েন সুনীতারা। তার পর থেকে একাধিক বার তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বার বার তা নানা কারণে পিছিয়ে গিয়েছে। আট দিনের সফর দীর্ঘায়িত হয়েছে ন’মাসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেন গত জানুয়ারিতে। এরপরেই তিনি ইলন মাস্ককে সুনীতাদের বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছিলেন। তার পর মহাকাশে স্পেসএক্সের যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করা হয়। গত শনিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে ডকিং করে। তাতে ছিলেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ। তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে এরপর পৃথিবীতে ফিরে এলেন সুনীতারা (Sunita Williams)।

  • Nagpur: ১৯২৭ সালে নাগপুরে মৌলবাদীদের তাণ্ডব রুখে দেয় আরএসএস

    Nagpur: ১৯২৭ সালে নাগপুরে মৌলবাদীদের তাণ্ডব রুখে দেয় আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯২৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নাগপুরের (Nagpur) ঘটনা নিয়েই এই প্রতিবেদন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মধ্যপ্রদেশ এবং বেরারের অংশ ছিল নাগপুর, বর্তমানে যা মহারাষ্ট্রে অবস্থান করছে। জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর মহালক্ষ্মী পুজোর একটি বিশাল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সে সময় হিন্দুদের শোভাযাত্রা যখন নাগপুরের বিভিন্ন রাস্তার ধরে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই মৌলবাদীরা এতে অতর্কিত হামলা চালায়। ১৯২৭ সালে ৪ সেপ্টেম্বরের সেই সন্ধ্যায় মৌলবাদী আক্রমণের দৃশ্য অনেকটা ফুটে উঠেছে লেখক এমজি চিকারার লেখা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ – এক জাতীয় উত্থান বইতে। এই বইতে লেখক লিখছেন, ‘‘লক্ষ্মী পুজোর দিন দুপুরে প্রসাদ গ্রহণ করার পরে হিন্দুরা বিশ্রাম নিতে শুরু করে। কারণ সারাদিন ধরে তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। এরপরেই ঠিক বিকেলে শোভাযাত্রা বের হয়। তখনই প্রাণঘাতী অস্ত্র হাতে নিয়ে পাল্টা মিছিল করতে দেখা যায় মৌলবাদীদের। এই মিছিল অতর্কিত আক্রমণ চালায়। নাগপুরের হিন্দু পরিবারগুলিকে আক্রমণও করা হয়। তাদের ঘরবাড়ি লুট করা হয়।’’

    সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর প্রকাশিত হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসে

    প্রসঙ্গত, ১৯২৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর যে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নাগপুরে (Nagpur), তা ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনেও প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ বোঝাই যায়, এই ঘটনা সেসময় আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও খবরের শিরোনামে চলে আসে। নাগপুরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়ে ওঠে এক আন্তর্জাতিক ইস্যু। লেখক এমজি চিকারা তাঁর বইতে আরও লিখছেন, ‘‘মৌলবাদীরা হামলা শুরু করলে পাল্টা প্রতিরোধ করেন স্থানীয় হিন্দু যুবকরা। তখনই প্রমাণ হয় যে হিন্দুরাও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে।’’

    সিপি ভিসিকর নিজের বইতে কী লিখেছিলেন?

    আর একজন লেখক সিপি ভিসিকর ১৯৭৯ সালে একটি বই লেখেন। যার নাম “কেশব: সংঘ নির্মাতা”। এই বইয়ের ৪৩ এবং ৪৪ পাতায় তিনি নাগপুরের (Nagpur) ওই ঘটনা উল্লেখ করেন। সিপি ভিসিকর তাঁর বইতে লিখছেন, ‘‘মৌলবাদীরা ৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ সালে একটি বিশাল মিছিল বের করে এবং সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিকল্পনা শুরু করে। তারা বিকেলের সময়ে মিছিলটি আয়োজন করেছিল। কারণ তারা জানত যে হিন্দুরা দুপুরে খাবারের পরে বিশ্রাম নেবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরা সেই পরিকল্পনা বুঝতে পেরেছিলেন। স্বয়ংসেবকরা জানতেন, ওই মিছিল থেকে হিংসা ছড়াবে। সংঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার হেডগেওয়ার সেদিন ব্যক্তিগত কাজে নাগপুরের বাইরে ছিলেন। মৌলবাদীদের ওই মিছিল নাগপুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত এলাকাগুলি দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যে পথ দিয়ে ওই মিছিল যাচ্ছিল, তার আশেপাশে অনেক সরু গলি ছিল। মৌলবাদীদের হাতে লাঠি ,বর্শা, ছুরি – এই সমস্ত কিছুই ছিল। এই আবহে তারা একটি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করার উদ্দেশে জড়ো হয়, কিন্তু সেখানে ঢোকার মুহূর্তেই তাদেরকে প্রতিহত করা হয়।’’

    আরএসএস প্রচারক বসন্তরাও ওকের বিবৃতি

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বরিষ্ঠ প্রচারক বসন্তরাও ওক ওই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নিয়ে যা মন্তব্য করেছিলেন, তা লিপিবদ্ধ আছে এমজি চিকারার লেখা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও জাতীয় উত্থান বইয়ের ২৪৯ নম্বর পৃষ্ঠায়। বসন্তরাও ওকের বিবৃতি অনুযায়ী, ১৯২৭ সালে নাগপুরে ভয়ঙ্কর সম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছিল এবং হিন্দুরা মৌলবাদীদের প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছিল।

    কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের ভূমিকা

    প্রসঙ্গত, ১৯২০র দশক থেকেই মৌলবাদীরা নাগপুরের (Nagpur) রাস্তাঘাটে ব্যাপক তাণ্ডব চালাত। এই সময় থেকেই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার উপলব্ধি করেছিলেন, কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি, ভারতে খিলাফত আন্দোলন – এসব কিছুই যেন হিন্দুদের দুর্বল করার জন্য। হিন্দুরা ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগী হন হেডগেওয়ার। এই সময় কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের কাছে মৌলবাদীরা বিভিন্ন হুমকির চিঠিও পাঠাতে থাকে। এমনকি তাঁর ওপর একাধিক হামলারও প্রচেষ্টা করা হয়। তবে নাগপুরে (Nagpur) শহরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের নেতৃত্বে আরএসএস গোটা হিন্দু সমাজকে এক করতে সমর্থ হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগপুরে ১৯২৭ সালের পরে গোটা বিংশ শতাব্দীজুড়ে কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

  • Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ভুয়ো কলসেন্টার জানার পরেই সেখানে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ল্যাপটপ, মনিটর লুঠ করতে শুরু করেন। এতে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেতেই! সেদেশের জনগণের ভিখারি মানসিকতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি। ইতিমধ্যে ওই লুটের ভিডিও সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানা মজার কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানে এমন চিত্র আগেও দেখা গিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সদ্য চালু হওয়া একটি মলে কয়েকশো মানুষ ঢুকে পোশাক লুট করে পালিয়েছিল।

    ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি

    জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি। তদন্তে উঠে এসেছে ওই কলসেন্টার থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। চিনের নাগরিকরাই নাকি ওই কল সেন্টারটি চালাতেন। এরপরেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(FIA) ওই কলসেন্টারে হানা দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার স্থানীয় মানুষজন ওই কলসেন্টারের সামনে ভিড় করেন। এফআইএ আধিকারিকরা ওই কলসেন্টারে ঢুকতেই স্থানীয় মানুষজনও হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করে। তারপরই শুরু হয় জিনিসপত্র লুট। খুশির মেজাজে কলসেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সবাইকে। শুধু কী তাই! অনেকে আবার কিছু না পেয়ে কী বোর্ডও নিয়ে আসে। কাউকে কাউকে ফার্নিচারও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    গ্রেফতার ২৪জন কল সেন্টার কর্মী

    এদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কলসেন্টারে হানা দিয়ে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তল্লাশির সময় কয়েকজন কলসেন্টার ছেড়ে পালিয়েও যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের এমন চিত্র গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুঠের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল সেসময়। ফের একবার সেই রকমই ছবি সামনে এল পাকিস্তানে (Pakistan)। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শয়ে শয়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছিলেন। যে যেমনভাবে পেরেছিল, জিনিসপত্র লুঠ করেছিলেন। কেউ কেউ হাসিনার শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। ছাগল, হাঁস-ও নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল সেসময়।

  • Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ৯৫ কেজি সোনা এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার করল গুজরাট (Gujarat News) পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা বা এটিএস এবং ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আহমদাবাদের পালদি এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানে চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে যান আধিকারিকরা।

    কী জানাল গুজরাট পুলিশ (Gujarat News)

    গুজরাটের (Gujarat News) এটিএস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে পালদি এলাকার ওই ফ্ল্যাটে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং নগদ টাকা রয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই এটিএস এবং ডিআরআই-র আধিকারিকরা ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন। কিন্তু ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর সেই ফ্ল্যাট ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই ৯৫ কেজি সোনার বিস্কটু এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম মেঘ। তাঁরা বাবার নাম মহেন্দ্র শাহ। তাঁরা দু’জনেই বর্তমানে পলাতক। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি বাক্সে ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল। ফ্ল্যাটে থাকা একটি আলমারি থেকে তাড়া তাড়া টাকার বান্ডিলও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই টাকার পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা (Gold Biscuits)। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী জানাল গুজরাট এটিএসের (Gujarat News) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    এটিএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) এসএল চৌধরি বলেন, ‘‘৯৫ কেজির বেশি সোনার বিস্কুট, গয়না এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।’’ এসিপি আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা বড়সড় কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দু’জনই বর্তমানে পলাতক। তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি চলছে। তবে এটাই প্রথম নয়, আহমদাবাদে এর আগেও ২০২০ সালে একটি গুদামঘর থেকে ১০০ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। সুরাতের একটি ফ্ল্যাট (Gujarat News) থেকে নগদ ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়।

  • ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে যে জওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাজনের মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের কারণে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ঠিক এই আবহে পাল্টা আন্দোলনে নামল এবিভিপি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ডাক দেওয়া হয় একাত্মতা যাত্রার। এই কর্মসূচিতে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী জানাল এবিভিপি (ABVP)?

    এবিভিপির-র (ABVP) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হল, ভারতের প্রাচীনতম সনাতন সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে রক্ষা করা। সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিভাজনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গঙ্গা ধাবা থেকে এই একাত্মতা যাত্রা শুরু হয় এবং তা চলে বারাক হস্টেল পর্যন্ত।

    আগেও এমন আন্দোলন করেছে এবিভিপি (ABVP)

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়, এর আগেও বাম সংগঠনগুলির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবিভিপি রাষ্ট্রীয় একতা যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এবিভিপি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) শাখা জানিয়েছে, তারা যে কোনও ধরনের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এরপাশাপাশি তারা বামেদের এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পথে নামাতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির জেএনইউ-র সভাপতি?

    অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) জেএনইউ শাখার সভাপতি রাজেশ্বর কান্ত দুবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেএনইউ-র একটা পরিচয় রয়েছে। এটি বিবিধতার মধ্যে ঐক্যের কথা বলে। এখানে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই। জেএনইউ-র একাত্মতা যাত্রার মাধ্যমে আমরা এইবার তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এই বার্তা দিতে চাইলাম যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করেনা।’’

LinkedIn
Share