Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তুরস্ককে ‘বেইমানি’র জবাব দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে প্রথম ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দূরে থাক, উল্টে ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নির্লজ্জভাবে মুসলমান রাষ্ট্র তুরস্ক আর এক ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়! অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে ইসলামাবাদকে। যদিও তুরস্কের সেই সব ‘হাতিয়ার’কে মাঝ আকাশেই ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘বিকশিত ভারতে’র উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র।

    মোদির সাইপ্রাস তাস (PM Modi)

    আপাতত (Cyprus) যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে পাকিস্তানের বন্ধুদেশকে জব্দ করতে এবার ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। যে সাইপ্রাসের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে তুরস্ক, সেই সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েই আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)-কে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেরা যাক খবরে। জি৭ সামিটে যোগ দিতে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জ্বালানি ভরতে তাঁর বিমান থামবে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাস হল ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক পাক-বন্ধু তুরস্কের। ২৩ বছর পরে তৃতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশে পা রাখছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন কূট চালে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুরস্ক। এর একটা কারণও আছে। কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে বরাবর সমর্থন করে এসেছে তুরস্ক। এই তুরস্কই অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছে সাইপ্রাসের একাংশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে পা রেখে তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে মোদির দেশ।

    সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব

    দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটির একদিকে রয়েছে তুরস্ক, অন্যদিকে গ্রিস। তাই সাইপ্রাস কব্জা করতে পারলেই কেল্লাফতে। কারণ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সাইপ্রাস থেকে। এখানে বসেই নজরদারি চালানো সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েল, লেবানন এবং সিরিয়ার ওপর। তাই সাইপ্রাসের ওপর শ্যেনদৃষ্টি তুরস্কের পাশাপাশি গ্রিসেরও। ১৯৬০ সালে (PM Modi) ব্রিটিশ জমানার অবসান শেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাইপ্রাস। তার পরেই তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করে গ্রিস। ১৯৭৪ সালে চরমপন্থীদের অভ্যুত্থানে রাতারাতি ক্ষমতাবদল হয় সাইপ্রাসে। এই অভ্যুত্থানে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে গ্রিসের জান্তা সরকার। এথেন্সের (গ্রিসের রাজধানী) এই আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে তুরস্ক। তাই দেরি না করে ওই বছরেরই ২০ জুলাই সাইপ্রাস আক্রমণ করে তুরস্ক।

    সাইপ্রাসের একাংশ দখল করে তুরস্ক

    সদ্য স্বাধীন হওয়া সাইপ্রাসের পক্ষে এই আক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাইপ্রাসের এক তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নেয় আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সাইপ্রাসের দখল করা এলাকা থেকে সেনা সরায়নি তুরস্ক। এই এলাকার পোশাকি নাম টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস। একে স্বশাসিত এলাকা বলে তুরস্ক। আঙ্কারার দখলে থাকা এই এলাকাকে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। সাইপ্রাসও একে তুরস্কের অবৈধভাবে কব্জা করা এলাকা বলে মনে করে। তবে এলাকাটি তাদের বলেই দাবি করে তুরস্ক। তাদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তাই এর ওপর একমাত্র অধিকার থাকা উচিত কেবল আঙ্কারারই (Cyprus)।

    আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইপ্রাস। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বরাবর পাশে রয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার সাইপ্রাসে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৬২ সালে সাইপ্রাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নয়াদিল্লি। ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০২ সালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সে দেশে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারত-সাইপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সাইপ্রাস থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক

    সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় এই ইউনিয়নের সভাপতি হবে সাইপ্রাস। সেক্ষেত্রে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে আরও মজবুত হতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সফরে আসেন সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “আধুনিক যুগে আমাদের সম্পর্কের শেকড় প্রাক-স্বাধীনতা যুগে পৌঁছায়, যখন আমাদের জাতির পিতারা সাইপ্রাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন। আর সাইপ্রাসও সব সময়ই বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সম্পর্কের প্রতিদান দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সব সময় সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে ভারত দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারত সাইপ্রাসে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য পাঠিয়েছে। ভারত থেকে তিনজন ফোর্স কমান্ডার এই দায়িত্ব পালন করেছেন (Cyprus), এবং এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাদের সবাইকে সাইপ্রাসে আজও সস্নেহে স্মরণ করা হয় (PM Modi)।”

  • Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন সে দেশেরই সেনা প্রধান! ইউনূস (Md Yunus) মনে করেছিলেন ভারতের সঙ্গে সীমান্তে ছোটখাট সংঘর্ষ লাগিয়ে রেখে দেশের ভেতরের গুরুতর সমস্যাগুলি থেকে বাংলাদেশবাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। এভাবে জনমতকে তাঁর পক্ষে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী। ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সীমিত পরিসরের একটি সীমান্তসংঘর্ষ কেবল তাঁর সমস্যাগুলো দূর করবে না, বরং তাঁকে আগাম নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে। তাঁর ধারণা ছিল, এই পরিকল্পিত সংঘর্ষের সময় সব পক্ষ— এমনকি সাধারণ মানুষও— জাতীয়তাবাদের চেতনায় নিজেদের বিভেদ ভুলে তাঁকে সমর্থন করবেন। সূত্রের খবর, ইউনূস এই পরিকল্পনা করেন জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছু নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে। এনসিপিকে বাংলাদেশে ‘রাজপন্থী দল’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। কারণ এটি ইউনূসের আশীর্বাদপুষ্ট। তাঁর সক্রিয় সমর্থনও পেয়েছে এই দল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় এই দল। ছাত্রবিক্ষোভের অগ্রণী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) কয়েকজন নেতা যাঁরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়েই গঠিত হয়েছে এই দল।

    ইউনূসের শলা (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ভারত যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নাকি ইউনূস (Md Yunus) পরিকল্পনাটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) খালিলুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ ফইজুর রহমানের সঙ্গে শলা করে চূড়ান্ত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, কিউএমজি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অল্প কিছু উগ্র ইসলামপন্থীর একজন, যিনি সেনাপ্রধানের বিরোধিতা করেন সব সময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। চলতি বছরের (Bangladesh) মার্চে সেনাপ্রধানকে সরাতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। যদিও ব্যর্থ হন। তার পর থেকেই তাঁকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখতে পারেন না।

    ঢাকা ব্রিগেড

    এই কারণেই ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত এবং সেনা সদর দফতরের অধীন ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের (‘ঢাকা ব্রিগেড’ নামেও পরিচিত) সঙ্গে যুক্ত কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিককে সেনাপ্রধানের সামনে গোটা পরিকল্পনাটি তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কর্নেল অন্তর্বর্তী সরকারের দুই প্রাক্তন এডিএসএম নেতার ঘনিষ্ঠ বলে সন্দেহ করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর সদর দফতরের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যখন পাকিস্তানকে জব্দ করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভেবেছিলেন, ভারত ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানিমূলক কাজকর্মের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারবে না। ঢাকার এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা ছিল বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-কে সীমান্তে একটি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিতে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এই পরিকল্পনার অংশ ছিল সীমান্তের কিছু পেছনের এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করা, যাতে বিজিবি সদস্যদের ব্যাকআপ দেওয়া যায়।”

    ঢাকায় সরকার পরিবর্তন

    প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh) বছরের অগাস্টের শুরুতে ঢাকায় সরকার পরিবর্তনের পরপরই বিজিবি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর খুবই আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তারা ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার বসানো ও অন্যান্য নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করতে শুরু করে। বিজিবি (Md Yunus) এমনটা শুরু করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে। তখন বিজিবির জওয়ানরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণকারী একটি নদী পেরিয়ে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারা অসমের শ্রীভূমি জেলার একটি মন্দিরের সংস্কার কাজও বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “গত বছরের অগাস্ট থেকে এ বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তের অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশি অপরাধীদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। তবে তারা এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় ইতি টেনেছে।”

    ইউনূসের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, এর কারণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান নাকি বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকে বিজিবির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে আসার নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান নাকি বিজিবি প্রধানকে এ নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন। বিজিবি প্রধান নাকি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বলেছিলেন, তিনি ‘যমুনা’ (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন) থেকে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলতাফ হুসেন, যিনি বর্তমান সেনা প্রধানের ঘনিষ্ঠ, তিনি বলেন, “ইউনূসের পরিকল্পনা ছিল, এমন ছোটখাটো সংঘর্ষকে বাংলাদেশের অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদী মিডিয়ার একটি অংশ ব্যবহার করবে জনরোষ ও জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দিতে। ইউনূস ও তাঁর সহকর্মীরা সেই জাতীয়তাবাদী আবেগকে উসকে দেবে যুদ্ধংদেহি বক্তব্য ও আগ্রাসী অবস্থানের মাধ্যমে। এর ফলে গোটা দেশ ইউনূসের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। চাপা পড়ে যাবে তাঁর আমলে সৃষ্টি হওয়া সব অভ্যন্তরীণ সমস্যা (Bangladesh)।”

    সেনাবাহিনীর ব্যাকআপ

    এই পরিকল্পনার সফলতার জন্য সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত, তাহলে সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিজিবিকে সাহায্য করতে পারত। হুসেন বলেন, “সেনাবাহিনীকে ব্যাকআপ হিসেবে না পেলে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার সাহস পেত না। বিএসএফ সংযম দেখায়, কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত। ইউনূস যেটা চেয়েছিলেন তা হল, বিজিবি যেন সেই রেড লাইন অতিক্রম করে, যেটা করলে বিএসএফের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হত। সেই জন্যই সেনাবাহিনীকে পেছনে মোতায়েন (Md Yunus) করা হয়েছিল, যাতে বিএসএফ বিজিবি-র বিরুদ্ধে কড়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে (Bangladesh)।”

    কী বললেন সেনাপ্রধান?

    ইউনূসের এই ষড়যন্ত্রের কথা দ্রুত পৌঁছে যায় সেনাপ্রধানের কানে। বাংলাদেশ সেনা সদর দফতরের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর সহকর্মীদের, বিশেষ করে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং অপর দুই বাহিনীর প্রধান — এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নজমুল হাসানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করেন। সকলেই ইউনূসের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন।” এর পরেই সেনাপ্রধান ইউনূস এবং এনএসএ-কে জানিয়ে দেন যে এই পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করা হলে, তা হবে অবিবেচকের মতো কাজ। তাই এটি কার্যকর করা হবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং ভারতকে উসকানি দেওয়া চলবে না। ভারতকে নিয়ে এমন সীমানা উত্তেজনার খেলা বুমেরাং হতে পারে। কারণ সীমান্তে যে কোনও ভুল পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। তিনি এও জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামর্থ্য কিংবা মনোভাব কোনওটিই ভারতের সঙ্গে শত্রুতায় জড়ানোর নয় (Bangladesh)।

    বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আরও জানিয়ে দেন, সীমান্তে কোনও সেনা তিনি মোতায়েন করবেন না। বিজিবি-র প্রধানকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন কারও কাছ থেকে সরাসরি কোনও নির্দেশ না নেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূসের এই ‘ধান্ধা’র খবর জেনে যায় বিএনপি-ও। এর পরেই বিএনপি নেতৃত্বও দ্রুত ইউনূসকে জানিয়ে দেন (Md Yunus), এমন করা হলে তাঁরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করবেন এবং এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য ব্যাপক প্রচারও করবেন। সূত্রের খবর, তার পরেই ভয়ে ষড়যন্ত্র কার্যকর করা থেকে বিরত থাকেন ইউনূস (Bangladesh)।

  • Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) সঙ্গে সমুদ্রতলের সবুজ বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানান, প্রায় ১,৭০০ কিমি দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল সৌদি আরবে এবং ১,৪০০ কিমি দীর্ঘ কেবল আমিরশাহী-তে হাইড্রোজেন থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হবে। অতীতে তেল-গ্যাস আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভর করত ভারত। আর এখন সেই মধ্যপ্রাচ্যে ভারত বিদ্যুৎ রফতানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাও আবার সমুদ্রতলের নিচে কেবল বসিয়ে। এটিই এক নতুন শক্তিশালী ভারতের পরিচয়, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি (Undersea Power Link) পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হল একটি বড় পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের বিনিময় সহজ করা। এটি “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” ধারণার প্রথম অফশোর উপাদান, যা প্রধানমন্ত্রী মোদি আন্তর্জাতিক সৌর জোটের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রস্তাব করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ও সৌদি আরব বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারবে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “সৌদি আরব ও আমিরশাহী-তে ২ গিগাওয়াট করে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ রফতানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সৌদি আরব পর্যন্ত সাবমেরিন কেবলের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭,০০০ কোটি টাকা এবংআমিরশাহী পর্যন্ত কেবলের জন্য ব্যয় হতে পারে ৪৩,৫০০ কোটি টাকা।” এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে ছয় বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের একটি শক্তিশালী আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।

    প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য:

    ভারত-সৌদি আরব আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৭০০ কিমি
    ব্যয়: ৪৭,০০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    ভারত-আমিরশাহি আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৪০০ কিমি
    ব্যয়: ₹৪৩,৫০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    এই প্রকল্পের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পগুলির (Undersea Power Link) মধ্যে অন্যতম – যা এক দেশ থেকে আরেক দেশের মধ্যে বিশাল জলসীমা পেরিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
    ভারতের সবুজ জ্বালানির (Green Energy) আন্তর্জাতিক রফতানির সূচনা – সৌদি আরব ও আমিরশাহীর মতো তেলনির্ভর দেশ এখন ভারতের থেকে বিদ্যুৎ নিতে রাজি।
    “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” (‘One Sun, One World, One Grid’) উদ্যোগের বাস্তবায়ন – ভারত এই বৈশ্বিক শক্তি-গ্রিড ধারণার নেতৃত্বে রয়েছে।
    প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ – গভীর সমুদ্রে এত দীর্ঘ ও উচ্চ ক্ষমতার সাবমেরিন কেবল বসানো প্রযুক্তিগত দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং, এবং ভারত এটি নিজেই করতে যাচ্ছে।
    স্ট্র্যাটেজিক সফট পাওয়ার বৃদ্ধি – শক্তি রফতানির মাধ্যমে ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত হচ্ছে।

    দেশে মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামো

    বিদ্যুৎমন্ত্রী এদিন আরও জানান, স্টোরেজ প্রকল্পগুলোর জন্য ইন্টার-স্টেট ট্রান্সমিশন সিস্টেম (ISTS) চার্জের ছাড় ৩০ জুন ২০২৮ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যেসব পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং যেসব ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম এই সময়ের মধ্যে কমিশন হবে, তারা এই সুবিধা পাবে।” ২০২৫ সালের ৯ জুন, ভারত সর্বোচ্চ ২৪১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা সফলভাবে মেটাতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই অর্জন দেশের মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর প্রমাণ। যেখানে কোনও পিক বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল না।”

    বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ট্রান্সমিশন লাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও রাইট অব ওয়ে (RoW) সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ বাড়িয়েছে। টাওয়ার বসানোর জন্য জমির মূল্য ৮৫% থেকে বাড়িয়ে ২০০% করা হয়েছে এবং রাইট অব ওয়ে করিডরের জন্য ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হয়েছে, যা এখন বাজার মূল্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।” তিনি জানান, জমি ও অনুমতির জটিলতার কারণে ট্রান্সমিশন প্রকল্পের অগ্রগতিতে অনেক সময় নষ্ট হয়, কারণ এগুলো বনভূমি, প্রতিরক্ষা এলাকা, ব্যক্তিগত বা কৃষিজমি অতিক্রম করে। তাঁর দাবি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত সর্বোচ্চ ৩৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত করেছে, যার মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকেই এসেছে ২৯.৫ গিগাওয়াট। দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ৪৭২.৫ গিগাওয়াট, যা ২০১৪ সালে ছিল ২৪৯ গিগাওয়াট।

  • Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লিভারের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ১২ জুন গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার ডে (Global Fatty Liver Day)! আর সেই উপলক্ষে দেশ জুড়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন।

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া। তার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে এর গভীর প্রভাব পড়ে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন মুশকিল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ বেড়ে যাওয়া, যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর আগেও মূলত নিয়মিত মদ্যপান করলে, তবেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। নিয়মিত মদ্যপানে আসক্ত নন, এমন বহু মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) বলা হচ্ছে। এই রোগের কবল থেকে বাদ নেই শিশুরাও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই রোগের মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র সচেতনতা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে একটি সমীক্ষা চালায়। আর তাতেই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পাওয়া যায়। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন‌। প্রায় ৬৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় (Urban Indians) নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) সমস্যায় আক্রান্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এমনকি আক্রান্তের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

    কেন প্রকোপ বাড়াচ্ছে ফ্যাটি লিভার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের এই সমস্যা দেখা যায়। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো সমস্যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাবার খাওয়া, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এই দুই সমস্যা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) অন্যতম কারণ। আর এই দুই সমস্যার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস সরাসরি ভাবে যুক্ত। অতিরিক্ত ওজন‌ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। ফ্যাটি লিভারেরও কারণ স্থুলতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। অনিয়মিত খাদ্যাভাস শরীরে প্রভাব ফেলে। আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ, যেসব খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিক দেওয়া মাংস ব্যবহার হয়, সেই ধরনের খাবার নিয়মিত খান। যার ফলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, পরিবারের কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে, পরবর্তী প্রজন্মের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি থাকে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো রোগের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করা চলবে না। তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ রুখতে শরীরের ওজন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। স্থুলতা যাতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দিনের অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা কিংবা আধ ঘণ্টা যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকি কমে। হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। আবার দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায়। ফলে, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ফ্যাটি লিভারের রুখতে ‘ওষুধ’-এর মতো কাজ করবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার রুখতেও বিশেষত নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো রোগ মোকাবিলা করবে খাবার। নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ রুখতে সাহায্য করবে। তাঁদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কম তেল মশলার সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে লিভার সুস্থ থাকে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয়। নিয়মিত ডাব, লাউ, পেঁপে, কাঁচকলা, আপেল, পালং শাকের মতো ফল এবং সব্জি খাওয়া দরকার। এতে লিভার সুস্থ থাকে। অতিরিক্ত মেদ জমে না। মাছ, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার, ঠিকমতো রান্না হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত তেল মশলা যাতে ব্যবহার না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।‌ প্রানীজ প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই প্রোটিন পায়। সেই প্রোটিন যাতে ঠিকমতো শরীরে কাজে লাগে, তাই রান্না নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চটজলদি প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি, পিৎজা, হটডগ‌, বার্গার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) মোকাবিলা সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে শিক্ষাবর্গ শিবিরে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের সংকল্প নিতে পারি?” তিনি বলেন, “এই সংকল্প নিজের কাছ থেকে শুরু হোক, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ুক পরিবার, প্রতিবেশী এবং শেষ পর্যন্ত পুরো জাতিকে অনুপ্রাণিত করুক। আমাদের দেশের অর্থ দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং তা আমাদের নিজেদের অগ্রগতির জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত।” এদিনের অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করা যায়, কীভাবেই বা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আহ্বানও তিনি জানান ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী এবং আমজনতাকে। ভাগবত বলেন, “প্রতিদিনের জীবনে যদি গভীর দেশপ্রেমের বোধ থাকে, তবেই ব্যক্তি ও দেশ – উভয়েরই সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব।”

    কী বললেন সরসংঘচালক? (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “এই সংকল্প আমাদের নিজেদের জীবন থেকে শুরু হওয়া উচিত এবং তা পরিবার, পাড়া, শহর ও রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উচিত। আমাদের দেশে যা আয় হয়, তা দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত। আমাদের জীবন এই মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হওয়া উচিত।” ভাগবতের গলায় এদিন শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী (RSS) নরেন্দ্র মোদির আহ্বানের প্রতিধ্বনি (Mohan Bhagwat)। তিনিও বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    ছাত্রদের আহ্বান ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষের পর।আরএসএস প্রধান এদিন ছাত্রদের আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে আদর্শ পেশাজীবী ও অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অবদানও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “আমাদের সবারই ভাবা উচিত, আমরা (RSS) দেশের কল্যাণে কী করতে পারি (Mohan Bhagwat)।”

  • Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না। আমরা যখন দরকার যাব। প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে এফআইআর করানো, নিরাপত্তা দেওয়া, হিন্দুদের জন্য আমরা আছি। ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব।” মহেশতলাকাণ্ডের (Maheshtala Chaotic Situation) প্রেক্ষিতে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

    রণক্ষেত্র মহেশতলা (Maheshtala Chaotic Situation)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর। রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে রাখা পুলিশের একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ইট-পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ।

    মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মহেশতলার পরিস্থিতিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। এলাকায় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) প্রশ্নোত্তর-পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যায় ভবানীভবনে ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শুভেন্দু। মহেশতলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দাও করেন তিনি। এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না।” শুভেন্দু বলেন, “মহেশতলার মেটিয়াবুরুজ। পুলিশের গাড়িও ভেঙেছে। প্রচুর পুলিশ রক্তাক্ত। হিন্দুরা রক্তাক্ত। আমি ও আমার পাঁচ কলিগ দেখা করতে এসেছিলাম মহামান্য ডিজির সঙ্গে। উনি থেকেও মিট করেননি। মিট করেননি মমতার নির্দেশে। কারণ আমরা জানি, সবাই ল্যাম্পপোস্ট। একটা পোস্ট। হিন্দু বিরোধী সরকার। মুসলিম লিগের সরকার। অত্যাচারীর সরকার। ধূলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়ির পরে কলকাতার কাছে ১০ কিলোমিটার দূরে অত্যাচার।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikary) বলেন, “রাজীব কুমার ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে পারে না। ৩৫টা পুলিশ মার খেয়েছে। পুলিশের ১২টা গাড়ি ভেঙেছে। মুসলমানদের সরকার। জঙ্গিদের সরকার। জেহাদিদের সরকার।” শুভেন্দু বলেন, “আগামী বছর রাজীব কুমার চাকরি করতে হবে। পালাতে তোমাকে দেব না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। এই সময়, ২০২৬, আজ ১১ জুন লিখে রাখুন মমতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তিনি বলেন, “এই সরকার মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দির আদর্শের সরকার। কমপ্লিট মুসলমানের সরকার (Maheshtala Chaotic Situation)। এক চোখ বন্ধ। আর আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছেন। পুলিশের ছেলেরা মার খাচ্ছে। মহিলারা মার খাচ্ছেন (Suvendu Adhikary)।”

  • AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা (AC Temperature)। চড়া গরমেও এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। আবার ২৮ ডিগ্রির ওপরেও করা যাবে না। এমনই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি (Modi Govt) জানান, এটা আপাতত একটা পরীক্ষামূলক ভাবনা।

    বিশ্ব উষ্ণায়ণ কমানোই লক্ষ্য! (AC Temperature)

    এই নিয়ম শুধু বাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, এমন এসির জন্য প্রযোজ্য হবে, তা নয়। গাড়ির এসির তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। বাড়ানো যাবে না ২৮ ডিগ্রির ওপরেও। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়ণ বা জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির ওপর রাশ টানতে ছোট ছোট পদক্ষেপ করছে ভারত সরকার। আর আমরা তো জানি, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়।” জানা গিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে হঠাৎ চাহিদা বাড়ে, তাও কমে যাবে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল কমবে।

    এসির তাপমাত্রা

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে যে এসি পাওয়া যায়, তা সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কাজ করে। যদিও ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলছে, এসি সর্বোত্তম কাজ (AC Temperature) করে যদি তা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা থাকে (Modi Govt)। এ ছাড়াও এসির তাপমাত্রা যদি ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে তা ব্যবহারকারীর আরাম ও বিদ্যুৎ খরচের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখে। মন্ত্রী জানান, ইচ্ছে মতো আর এসির তাপমাত্রা কমানো বা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শীঘ্রই এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সীমা বেঁধে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।

    ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি আগেই জানিয়েছিল, বিদ্যুতের সর্বাধিক সাশ্রয়ের জন্য ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকা উচিত এসির তাপমাত্রা। তাপমাত্রা তার যত নীচে নামানো হবে, ততই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচে। বিদ্যুৎ বাঁচার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। ফলে কমবে (Modi Govt) পরিবেশ দূষণ (AC Temperature)।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে এবার ছোট ছোট গ্রুপেও ভয়েসচ্যাট, নতুন ফিচার কীভাবে ব্য়বহার করবেন?

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে এবার ছোট ছোট গ্রুপেও ভয়েসচ্যাট, নতুন ফিচার কীভাবে ব্য়বহার করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেটা তাদের জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) একটি নতুন ফিচার চালু করল ৷ যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গ্রুপ চ্যাটে লাইভ অডিওর সাহায্য়ে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন ৷ গ্রুপ চ্যাটে কথা বলার সময় সহজেই ভয়েস কলে স্যুইচ করতে পারবেন। এতদিন এটি শুধু বড় গ্রুপের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন থেকে যেকোনও গ্রুপেই এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এটি এক ধরনের গ্রুপ কলের মতো হলেও, আলাদা করে সবাইকে কল করে বিরক্ত না করেই চুপচাপ চ্যাটে একটি পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এতে যোগ দিতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভয়েস চ্যাটে নতুন কী?

    হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) জানিয়েছে, আপডেটের ফলে এখন সব গ্রুপেই সদস্যরা লাইভ অডিও চ্যাটে যুক্ত হতে পারবেন এবং একইসঙ্গে লিখিত বার্তাও পাঠাতে পারবেন। যে কেউ সহজেই গ্রুপ চ্যাটে স্ক্রিনের নিচের দিক থেকে ওপরের দিকে সোয়াইপ করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখলেই ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারবেন। এতে কারও ফোনে রিং বাজবে না বা বিরক্তিকর নোটিফিকেশন আসবে না, ফলে কম-বিরক্তির একটি অভিজ্ঞতা দেবে এই ফিচার। ভয়েস চ্যাটেও টেক্সট চ্যাটের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে। চ্যাটটি শুরু হলে, এটি গ্রুপ চ্যাটের নিচে পিন হয়ে থাকবে। এতে সহজেই দেখা যাবে কারা অংশ নিচ্ছেন এবং কেউ চাইলেই মাঝখানে জয়েন বা বের হতে পারবেন। ভয়েস চ্যাটে অংশ নেওয়ার জন্য চ্যাট থেকে বের হয়ে আলাদা কোনও কল স্ক্রিনে যাওয়ার দরকার হবে না।

    এই ফিচারটি কীভাবে ব্যবহার করবেন

    স্টেপ ১: হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে

    স্টেপ ২: যে গ্রুপে ভয়েস চ্যাট শুরু করতে চান সেই গ্রুপে ট্যাপ করতে হবে

    স্টেপ ৩: চ্যাটের নীচের অংশে আসতে হবে

    স্টেপ ৪: উপরে সোয়াইপ করে এবং কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে, যতক্ষণ না নীচে ”Keep holding to talk” এই মেসেজটি দেখা যায় ৷

    স্টেপ ৫: কানেক্ট বোতাম এবং নীচে ‘Release to talk’ লেখা একটি মেসেজ দেখতে পাবেন, তখন হোল্ডটি ছেড়ে দিতে হবে।

    স্টেপ ৬: এখন আপনি বৈশিষ্ট্যটি সেট আপ করতে পারেন এবং ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারেন

    হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) এই ভয়েস চ্যাট ফিচার গ্রুপ কমিউনিকেশনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। নতুন বৈশিষ্ট্যটি হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় সংস্করণেই উপলব্ধ। ব্যবহারকারীদের তাদের অ্যাপটি আপডেট রাখতে এবং যদি এটি ইতিমধ্যেই চালু না থাকে তবে বৈশিষ্ট্যটির জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপির ওয়াকআউট! ডিজিপিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপির ওয়াকআউট! ডিজিপিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এক পুলিশ অফিসারকে দেওয়া বীরভূমের ওই তৃণমূল নেতার সাম্প্রতিক হুমকির ঘটনায় বিধানসভায় আলোচনা দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, এই যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিজেপির বিধায়করা বিক্ষোভে শামিল হন। ওয়াকআউট করেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে, বুধবার এই দাবিতে উত্তাল হয় বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

    কেন নিশানায় অনুব্রত

    বোলপুরের আইসি-কে ফোন করে হুমকি, কদর্য ভাষায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কথা- গোটা বিষয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ঘরে-বাইরে চাপে পড়তে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। দলের নির্দেশে ক্ষমাও চেয়েছেন, দিয়েছেন হাজিরাও। কিন্তু বিষয়টি থিতিয়ে পড়তে দিতে নারাজ বিজেপি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিধানসভা উত্তাল করেন বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ইস্যুতে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। অধিবেশনের শুরুতেই মহিলা বিজেপি বিধায়করা অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, অনুব্রত মোবাইলে যেভাবে পুলিশ অফিসার ও তাঁর মা এবং স্ত্রীর প্রতি কদর্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, তাতে মহিলা সমাজ অপমানিত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের

    আইসিকে কদর্যভাষায় হুমকি দিয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে কেষ্ট। বুধবার বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) কীভাবে সরকারি কর্মচারীকে গালি দিয়েও রুরাল ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন? বিজেপি একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়করা তখন বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় ওয়াকআউট। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিজেপির হাত ধরে একটি অডিও ক্লিপ সামনে আসে। তাতেই শোনা যায় বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন অনুব্রত। ছেড়ে কথা বলা হয়নি তাঁর পরিবারের মহিলা সদস্যদেরও। এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।

     বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্ন

    এদিন অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রস্তাব পাঠ করেন ডাবগ্রাম – ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। কেন এখনও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপির মহিলা বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে শিখাদেবী বলেন, ‘যে ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের মা ও স্ত্রীর প্রতি যে নোংরা ভাষা অনুব্রত মণ্ডল প্রয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাত তাঁর মাথায় থাকায় এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কোনও মহিলার মান সম্মান বলে কিছু জানেন না উনি। অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তৃণমূল কংগ্রেস করে বলে সে সব দিক থেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে।’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অনুব্রতর অডিওকাণ্ডে (Anubrata Mondal Viral Audio Controversy) এবার রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল জাতীয় মহিলা কমিশন। ৫ দিনের মধ্যে তথ্য-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। অডিওকাণ্ডে এর আগেই পুলিশের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে অসন্তোষপ্রকাশ করেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে দেওয়া হয়নি কোনও এফআইআর কপি। রিপোর্টের সঙ্গে দেওয়া হয়নি অভিযুক্তর মেডিক্যাল রিপোর্টও।

    রিভিউ অ্যাকশন রিপোর্ট তলব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অডিও ভাইরাল হওয়ার পর ডিজিকে চিঠি পাঠায় কমিশন। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়। মহিলা কমিশনের চিঠির উত্তর দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। আর এবার রিভিউ অ্যাকশন রিপোর্ট চাওয়া হল। জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশ, অবিলম্বে অভিযুক্তর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে হবে। গোটা ঘটনায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। যা ধারা আছে তার সঙ্গে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯, ৩৫২ ও ৭৪ নম্বর ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এর মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪ নম্বর ধারা জামিন অযোগ্য। চিঠিতে জাতীয় মহিলা কমিশন উল্লেখ করেছে, ‘আইসি-র মোবাইল বাজেয়াপ্ত, অথচ অভিযুক্তর কোনও ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত হয়নি! একই অপরাধ কোনও সাধারণ নাগরিক করলে, তাকে থাকতে হত জেলে এক্ষেত্রে অভিযুক্ত খোলামেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে, আইন প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে বিপরীত হতে পারে না। উর্দি পরা বাহিনী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা অপরাধীদের থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে না পারলে, তাতে বিপজ্জনক বার্তা যায়।’

  • PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের তৃতীয় দফার প্রথম বর্ষপূর্তি (Modi 3.0 Anniversary)। গত দুই মেয়াদের তুলনায় কম সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ তাদের তৃতীয় মেয়াদ শুরু করে। তাই সরকার গড়তে বিজেপিকে নির্ভর করতে হয় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর মতো জোটসঙ্গীদের ওপর। তার পর অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই সরকার এক বছরও টিকবে না। অনেকে আবার বলেছিলেন, ২০২৫ সালেই অকাল নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু ‘বিজ্ঞ’দের সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে তৃতীয় দফায়ও দিব্যি একটা বছর অতিক্রান্ত করে ফেলল মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, এই পর্বে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে, গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়ে এবং বড় কোনও বাধা ছাড়াই জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করে রাখতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোড় ঘুরিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    তৃতীয় দফার মেয়াদে গত এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লির মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন ওয়াকফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে। বড় কোনও বিপর্যয় ছাড়াই তারা জোটসঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। তৃতীয় মোদি সরকার যখন প্রথম বর্ষপূর্তি পালনের উদ্যোগ করছিল, তখন সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ একপ্রকার আইসিংয়ের মতো কাজ করেছে, যা জনমতকে কেন্দ্রের পক্ষে আরও দৃঢ় করেছে (Modi 3.0 Anniversary)।

    একের পর এক নির্বাচনে জয়

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য পদ্ম-পার্টি সম্পর্কে একটি দুর্বল দলের ধারণা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওই বছরই জুন মাসে হরিয়ানায় ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জেতে বিজেপি। অথচ, অক্টোবর মাসে ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসন জিতে নেয় গেরুয়া শিবির। নভেম্বরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি একাই দখল করে ১৩২টি আসন। শতাংশের বিচারে সাফল্যের হার ৮৯ (PM Modi)। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। সেখানে তারা আম আদমি পার্টির এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৭০টির মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়লাভ করে। এটি ছিল দিল্লিতে ১৯৯৮ সালের পর বিজেপির প্রথম জয়।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গত এক বছরে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব আইন পাশ করেছে, তা তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সদিচ্ছার প্রমাণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে লোকসভায় ২৮৮ ভোট ও রাজ্যসভায় ১২৮ ভোটে বিলটি পাস করায় মোদি সরকার। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল, ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং ভারতীয় বায়ু যান বিধেয়ক, বিল ২০২৪ (Modi 3.0 Anniversary)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের এনডিএ সঙ্গীদের, বিশেষ করে টিডিপি এবং জেডিইউকে পরিচালনা করেছে। প্রথমদিকে জোটসঙ্গীরা ওয়াকফ বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরে সরকার আলোচনার মাধ্যমে এবং যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই সমস্যার সমাধান করে। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমার উভয় নেতাই বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁরা এনডিএ ছাড়বেন না (PM Modi)।

    বিজেপির ক্রেডিট

    মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর জোটে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয় যখন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে আচমকাই নিজের গ্রামে ফিরে যান। তখন গুজব ছড়ায় যে দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে। শিন্ডে শুরুতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছিলেন না। তবে বিজেপি দ্রুত দিল্লিতে শিন্ডে ও অজিত পওয়ারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসে এবং শহর উন্নয়ন ও জন নির্মাণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব শিন্ডের দলকে দিয়ে সমর্থন নিশ্চিত করে। প্রশমিত হয় উত্তেজনা। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। মোদি সরকারের (Modi 3.0 Anniversary) এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী হিসেবে প্রমাণিত হয় (PM Modi)।

    মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের দরবারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ় সংকল্পই প্রদর্শন করে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে মোদি সরকারকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন করে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল। কারণ শশী থারুর ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো বিরোধী দলের নেতারাও ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’-র পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে ভারতের তরফে বিভিন্ন (Modi 3.0 Anniversary) দেশে পাঠানো প্রতিনিধিদলে যোগ দেন। ভারতের এই পদক্ষেপে মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে (PM Modi)।

LinkedIn
Share