Tag: bangla khabarv

  • Eshan Chattopadhyay: তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক সাফল্য, বাঙালি বিজ্ঞানী ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেলেন গডেল পুরস্কার

    Eshan Chattopadhyay: তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক সাফল্য, বাঙালি বিজ্ঞানী ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেলেন গডেল পুরস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি-উদ্ভাবনীর যুগে কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিশেষ সম্মান পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি গবেষক ঈশান চট্টোপাধ্যায় (Eshan Chattopadhyay)। নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ঈশান চট্টোপাধ্যায় ২০২৫ সালের গডেল পুরস্কার জিতে নিলেন। এই পুরস্কারটি (Godel Prize in Maths) তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ সম্মানগুলোর একটি, যা যুগান্তকারী গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়। এই কৃতী বিজ্ঞানী এমন একটি সমস্যা সমাধান করেছেন, যা প্রায় ৩০ বছর ধরে গবেষকদের ভাবিয়ে রেখেছিল। দুইটি দুর্বল র‍্যান্ডম উৎস থেকেও কীভাবে নির্ভরযোগ্য র‍্যান্ডম সংখ্যা তৈরি করা যায়, সেই সমস্যারই যুগান্তকারী সমাধান এনে দিয়েছেন ঈশান।

    ঈশানের সাফল্যের যাত্রা

    ভারতে বড় হয়ে ওঠা ঈশান পড়াশোনা করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান আইআইটি কানপুরে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিনে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণার পথপ্রদর্শক ছিলেন বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডেভিড জুকারম্যান। পরবর্তী সময়ে তিনি ইউসি বার্কলে, মাইক্রোসফট রিসার্চ এবং প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে গবেষণা করেছেন। ২০১৮ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ঈশান। ২০২৪ সালে সেখানে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হন।

    গডেল পুরস্কার, কেন এত মর্যাদাপূর্ণ?

    বিশ্ববিখ্যাত গণিতজ্ঞ কার্ট গডেলের নামানুসারে এই পুরস্কারটি প্রদান করে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর এসআইজিএসিটি এবং ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর থিওরেটিকাল কম্পিউটার সায়েন্স। এই পুরস্কার এমন গবেষণাকে স্বীকৃতি দেয়, যা কম্পিউটিংয়ের মৌলিক চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলে। একজন গবেষকের শীর্ষস্থানীয় অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এই সম্মান।

    ঈশানের কাজের গুরুত্ব

    ঈশান (Eshan Chattopadhyay) এমন একটি এলগরিদম তৈরি করেছেন, যা দুইটি দুর্বল বা অসম্পূর্ণ র‍্যান্ডম উৎস থেকেও শক্তিশালী র‍্যান্ডম সংখ্যা তৈরি করতে পারে। এই কাজ শুধু তাত্ত্বিক নয়, ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও বিপ্লব আনবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে ক্রিপ্টোগ্রাফি, সিকিওর কমিউনিকেশন এবং ডেটা কম্প্রেশন-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে এই গবেষণা প্রভাব ফেলবে। বহু বছর ধরে গবেষকরা মনে করতেন, এই শর্তে নির্ভরযোগ্য র‍্যান্ডমনেস তৈরি করা সম্ভব নয়। ঈশান সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে সাহসী গবেষণা কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

    ডেভিড জুকারম্যান-ই প্রেরণা

    ঈশানের (Eshan Chattopadhyay) গবেষণা তাঁর পিএইচডি গাইড ডেভিড জুকারম্যানের তত্ত্ব ও ভাবনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। দুজন মিলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করেছেন। গডেল পুরস্কার (Godel Prize in Maths) ছাড়াও ঈশান চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন স্লোয়ান রিসার্চ ফেলোশিপ (Sloan Research Fellowship) এবং এনএসএফ কেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড (NSF CAREER Award)। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বিষয় পড়ান এবং ছাত্রদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন। তার গবেষণা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (FOCS, STOC, SODA) স্থান পায়।

    ভারতীয়দের জন্য গর্ব

    এই পুরস্কার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকদের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। যদিও আজকের দিনে প্রযুক্তি জগতের আলোচনায় এআই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, ঈশানের অর্জন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মৌলিক তাত্ত্বিক গবেষণা আজও প্রযুক্তির ভিত নির্মাণে অপরিহার্য। ঈশানের কৃতিত্ব বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে।

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

LinkedIn
Share