Tag: Bangladesh Crisis

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Crisis) বুলডোজার চালিয়ে দুর্গামন্দির ভেঙে দিল ইউনূস প্রশাসন। হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিল সেনাবাহিনী (Bangladesh Army), র‍্যাব (Rapid Action Battalion), বিজিবি (Border Guard Bangladesh), রেল (Bangladesh Railway)। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) খিলক্ষেত (Khilkhet) অঞ্চলে দুর্গামন্দির (Shri Shri Durga Mandir) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশের হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) ঠিক আগেই বাংলাদেশে এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আতঙ্কিত হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা। দুর্গা মন্দির ধ্বংসের নিন্দায় ভারত বলেছে, এই ঘটনা সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অক্ষমতারই প্রতিফলন।

    হিন্দু হলে রেহাই নেই

    বাংলাদেশে এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়। আওয়ামি লিগ (Awami League) সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এখন ফের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু সেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মেয়ে সরাসরি যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতেই থাকুন না কেন, হিন্দু হলে রেহাই নেই। ঢাকার এই মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গা ও কালীপুজো হত। নিয়মিত দেবীর নিত্যসেবা হত। গত ২৪ জুন রাতে সেই মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেই চাপে পড়েই মন্দির ভেঙে ফেলা হল।

    কেন দুর্গামন্দির ধ্বংস?

    বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের খিলক্ষেতের ওই মন্দিরের কাছে মোতায়েন করা হয়। তখনই স্থানীয়রা আঁচ পায়, বড় কিছু হতে চলেছে। তারই মধ্যে ঢাকার পূর্বাচল সেনা ক্যাম্প থেকে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে বুলডোজার আনা হয়। আর বুঝতে বাকি থাকেনি হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের। তারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে তুলে মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সাফাই, রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই দুর্গামন্দির তৈরি করা হয়েছিল। খিলক্ষেত থানার ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী মন্দিরের চারপাশে টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেওয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে এই মন্দির ভেঙে দিতে হবে। সোমবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষপর্যন্ত এই মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হল।

    ভারতের তীব্র প্রতিবাদ

    মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। আগে থেকেই বাংলাদেশের মৌলবাদী-উগ্রপন্থীরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিল। সেই মন্দিরকে রক্ষা করার পরিবর্তে অন্তর্বতীকালীন সরকার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ যে এমন ঘটনা বারবার হচ্ছ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’’

    বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ

    হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। তবে নিজের মতো করে যুক্তি সাজিয়ে সেই সবের থেকে দায় ঝেরে ফেলছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সে দেশে কয়েক হাজারের খুনে দায়ী রাজাকার বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। যে কি না আবার ফাঁসির আসামী। তবে সেখানেই জোর করে ভুয়ো মামলার আছিলায় আটকে রাখা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু সন্ন্যাসীকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা। কখনও ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে, কখনও মন্দির। কখনও আবার প্রকাশ্যেই খুন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বারংবার ইউনূস সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ।

  • Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফের হামলা মন্দিরে। ঢাকায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। দুর্গা মন্দির ভাঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হল। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় মুসলিমদের একটি দল হঠাৎ মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হিন্দু ভক্তদের (Hindus Attack in Bangladesh) হুমকি দেয়—মন্দির না সরালে তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দিরের সেবায়েত সুমন সুদা জানান, উগ্রপন্থীরা রাতেই বলে,—পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির তুলে নিতে হবে। নইলে মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এরপরই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করেন। খিলক্ষেত থানার ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।” পরে তিনি ঘটনাটিকে ‘তর্কাতর্কির’ ফল বলে উল্লেখ করে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, “পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”

    অন্যান্য সাম্প্রতিক মন্দির দখলের ঘটনা

    ২১ জুন: কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ১৪০০ বছরের পুরাতন শিব চণ্ডী মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালান এক মুসলিম ব্যক্তি, আবদুল আলী। তিনি মন্দিরের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে দাবি করেন, এটি তার বংশগত সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক সাহা বলেন, “এই জমির মালিকানা মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার আবদুল আলী এসে ওই জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।” এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দনা রাহুত,নামে এক মহিলা ভক্তের ওপর হামলা চালানো হয়।

    ১৭ জুন: নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় সন্ন্যাস মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা এবং হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক স্থানীয় চরমপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করেন, মন্দির ও তার আশেপাশের জমি তাদের। প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগের দিন ১৬ জুন হিন্দু মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের উপর হামলা চালানো হয়।

  • Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ন্যূনতম সম্মান পেলেন না কবিগুরুও। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore Ancestral Home) পৈত্রিক ভিটেয় ভাঙচুর চালাল উন্মত্ত জনতা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রবীন্দ্র যাদুঘর। অশান্তি, ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ প্রশাসন আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে বসেই রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’-র মতো কালজয়ী উপন্যাস। তাঁর অনেক কবিতা ও চিঠিপত্রেও শাহজাদপুরের জীবনের ছাপ স্পষ্ট। অথচ সেই ঐতিহাসিক বাড়িতে আজ নিরাপত্তা নেই, নেই সম্মান।

    কী হয়েছিল সেই দিন?

    গত ৮ জুন রবিবার, এক পর্যটক পরিবার নিয়ে শাহজাদপুরের কাছারিবাড়ি দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গেটের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর পার্কিং ফি সংক্রান্ত বচসা হয়। অভিযোগ, তাঁকে অফিসঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে নামে। মানববন্ধনের পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং এক পরিচালকের উপর শারীরিক হেনস্থা করে। এই হামলার পরেই বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাঁচদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশও বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কাছাড়িবাড়ির-গুরুত্ব

    বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়ি (Rabindranath Tagore Ancestral Home)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন। সেই সময়ই কাছারিবাড়ি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। জমিদারি দেখভাল করতে এসে এখানেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’ সহ বহু কালজয়ী সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, চিঠিপত্র, রোজনামচায় শাহজাদপুর ও কাছারিবাড়ির জীবন, প্রকৃতি, মানুষ উঠে এসেছে। তাই এই বাড়ি শুধু এক সাহিত্যিকের বাসস্থান নয়, এটি দুই বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের স্মারক। ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। পরে তা মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।

    হামলা নয়, এটি ঐতিহ্যের অবমাননা

    এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব দফতর যতই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলুক, বাস্তব হল—তাঁদের এই উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনা না থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। একটি আন্তর্জাতিক মানের হেরিটেজ সাইটে সঠিক নিরাপত্তা ও টুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট না থাকাটাই বড় ব্যর্থতা। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এত বড় ঘটনার পরেও দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক নিন্দা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। এমনকী, বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালি সাহিত্যিক-শিল্পী মহলও এই বিষয়ে গলার জোরে কিছু বলছেন না। একটা সামান্য গেটকিপার-পার্কিং বিতর্ক থেকে যেভাবে জনতা হিংসাত্মক হয়ে উঠল, তা একমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয়। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবির বাড়িতে ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা কেন করা হল না? উন্মত্ত জনতা যখন ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল, তখন পুলিশ-প্রশাসন কী করছিল?

    সংস্কৃতি মহলের উদ্বেগ

    এই হামলার ঘটনায় দুই বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সরকার বা সংস্কৃতি জগতের শীর্ষমহল থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। স্থানীয়দের একাংশ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। কাছারিবাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনা দুঃখজনক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাছারিবাড়ি বন্ধ থাকবে। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।” তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ানো হবে নজরদারি ও ট্যুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে সুরক্ষিত রাখা, কাছারিবাড়িকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি উঠেছে নতুন করে।

    অবাক বাংলাদেশ!

    রবীন্দ্রনাথ কোনও একটি দেশের কবি নন। তিনি বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, ভারতেরও জাতীয় গৌরব। তাঁর প্রতি এমন অবমাননা আসলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপরই আঘাত। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, সঙ্গীত এবং সমাজভাবনা দুই বাংলার সংস্কৃতিতে মিশে আছে। ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানে এমন ঘটনায় ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তবে লজ্জা নেই বোধহয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশেরই। যারা জাতির পিতার স্মৃতি মুছতে পারে, তারা কবিগুরুর স্মৃতি ধ্বংস করবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!

  • Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন করতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) ওপর। বুধবার ইউনূস সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় বিশ্বাস করছে না অধিকাংশ বাংলাদেশিই। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তাঁরা বলছেন সাধারণ নির্বাচন হবে হয় চলতি মাসের ডিসেম্বরেই, নয়তো তা পিছিয়ে করা হতে পারে ২০২৬ সালের শেষে।

    বিএনপির সংশয় (Bangladesh Crisis)

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইউনূসের জুনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সংশয় প্রকাশ করছে। তাদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার ওপর আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির পক্ষে ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। তাই তারা চাইছে নির্বাচন হোক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই। যদিও তাদের আশঙ্কা, নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছে।

    নানা অছিলায় সময় নষ্ট!

    বিএনপির দাবির আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদতে বেলা গড়াতে চাইছেন ইউনূস। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক তাঁর দলের পায়ের নীচের মাটিটা অন্তত শক্ত করার সময় পাওয়া যাবে। শহরাঞ্চলে ইউনূসের নবগঠিত দলের একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও, গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও পানি পায়নি তাঁর দল। অথচ এই গ্রামীণ বাংলাদেশের ভোট না পেলে ক্ষমতায় ফেরা ইউনূসের পক্ষে মুশকিল। তাই নানা অছিলায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, নির্বাচিত সরকারের পতন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়।

    জুনে নির্বাচন কীভাবে

    আগামী বছরের জুনে যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তা মালুম হয় বাংলাদেশে উৎসবের ক্যালেন্ডার দেখলেই। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধজুড়ে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, রমজান, ইদ, কালবৈশাখী, ঝড়, মৌসুমি বৃষ্টি এবং কোরবানির ইদের মতো উৎসব। এই উৎসবের জেরে সৃষ্টি হতে পারে লজিস্টিক জটিলতা। তাই জুনের মধ্যে নির্বাচন করা আদতেই সম্ভব নয় বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দিন কয়েক (Bangladesh Crisis) আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট করাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, তাঁরা হতাশ এবং বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এমন কঠিন আবহাওয়ার সময়ই নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর?

    বিএনপির বক্তব্য

    বিএনপির প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন (Bangladesh Crisis), “আমরা আগেই বলেছি যে ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সঠিক সময়, এবং আমরা সেই অবস্থানেই অটল আছি। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হবে। তারপর বর্ষাকাল। এসএসসি ও এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলিও রয়েছে এই সময়। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের পর আর কোনও সময় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে। বাকি আর সব জাতীয় নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    ঝড়-বৃষ্টি

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে। মে বা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল। এই সময় প্রায়ই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ঝড়ের দাপটে গৃহহীন হন বহু মানুষ। রমজান মাস উপবাস ও আত্মিক সাধনার মাস। এই সময় বাংলাদেশে কাজের সময়সীমা কমে যায়। তাই এই সময় নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন। পাবলিক পরীক্ষাগুলির সময় (সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) অধিকাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষক পরীক্ষার তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং ফল প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই এই সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের পাওয়া যায় না। হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রেস সেক্রেটারির দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের স্পষ্ট অভাব প্রতিফলিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

    জাতীয় পার্টির বক্তব্য

    আওয়ামি লিগের পূর্বতন মিত্র জাতীয় পার্টি, যেটি অগাস্ট ২০২৫-এ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলার শিকার হয়, তারাও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচি দাবি করছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা মাসরুর মাওলা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ডাক দিয়ে বলেন, “যতক্ষণ না নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগ আসবে না।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলি, তারা শুধু নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন করে। তারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ শুনতে চায়। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগকারীরাও —মানে যারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন — তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।” ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মাওলা বলেন, “গত ছ’-সাত মাস ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আমরা কোনও উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিদিন অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না (Muhammad Yunus)।” এদিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই আছে (Bangladesh Crisis)।”

    ইউনূস জমানায় ব্যাপক অত্যাচার

    ২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মন্দির-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়েও হামলা চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘরে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামি লিগকে। এই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার করা হয় (Muhammad Yunus)। তার পরেও ঠুঁটো হয়ে বসে থাকেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস। তা নিয়ে দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমালোচিত হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

    জল্পনা ছড়িয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    এহেন আবহে দিন কয়েক আগে হঠাৎই জল্পনা ছড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইউনূস। গত শনিবার দুপুরে আচমকাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডাকেন তিনি। তারপরেই জল্পনার জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। বৈঠক শেষে পরিষদের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। উনি বলেননি উনি পদত্যাগ করবেন (Bangladesh Crisis)।”

    ক্ষমতার লোভ বোধহয় এমনই হয়!

  • Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ছুতোয় দেশে সাধারণ নির্বাচন না করিয়ে দিব্যি ক্ষমতায় বসে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)! সূত্রের খবর, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সম্ভাব্য সব বিকল্প পথের সন্ধান করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনূসের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন সেনাপ্রধান। তিনি চান, নির্বাচন সম্পন্ন হোক চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। সূত্রের খবর, সেনা প্রধান বিভিন্ন বিকল্পের সন্ধান করছেন, যাতে সংবিধানের ফোকর গলে চ্যালেঞ্জ করা যায় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

    বাংলাদেশের সংবিধান (Bangladesh)

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও সরকার ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান পরিকল্পনা করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচন হোক। দেশের এই দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিক বাংলাদেশবাসী। ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতার রশি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একটি ‘সফট টেকওভার’ করতে পারেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মনে করে নির্বাচনে দেরি করার অর্থ সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবউদ্দিনকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল!

    এই জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার দেয় তখনই, যখন দেশে সাংবিধানিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে এই ধারা প্রয়োগ করে ইউনূসের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনাপ্রধান এখন সামরিক ঐক্য রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সমর্থন আদায় করে তার প্রভাব দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে (Muhammad Yunus) জনমত গড়ে তুলছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন (Bangladesh)।

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

  • Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বন্দিদশা ঘুঁচল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das)। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এদিন জামিনে ছাড়া পেলেন এই হিন্দু সন্ন্যাসী।

    জামিনের আবেদনের শুনানি (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের হাইকোর্টে এদিন চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি আয়োতার রহমান ও আলি রেজার ডিভিশন বেঞ্চ। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সেদিন আদালত জানায়, শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। সেই মতো এদিন হয় শুনানি। এবং জামিনে ছাড়া পান হিন্দু এই সন্ন্যাসী।

    চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় গণঅভ্যুত্থান ঘটে বাংলাদেশে। পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর শুরু হয় চরম অত্যাচার। হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বিচারে চলতে থাকে খুন-জখম-রাহাজানি। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। এর পরেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। এর পরেই (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হিন্দু এই সন্ন্যাসীকে।

    চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় ওপার বাংলায়। এই হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ভারতেরও নানা জায়গায় মিছিল হয়। ২৭ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার সময় আদালত চত্বরে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করতে চাননি কোনও আইনজীবীই। কারণ তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ছ’মাস পরে এদিন মিলল বহুকাঙ্খিত জামিন (Bangladesh Crisis)।

  • India Bangladesh Relation: ভারত বিরোধিতাই কাল হল বাংলাদেশের! ঘোর বিপাকে ইউনূস সরকার

    India Bangladesh Relation: ভারত বিরোধিতাই কাল হল বাংলাদেশের! ঘোর বিপাকে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিরোধিতাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation)! যতই দিন যাচ্ছে ততই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা ভালোই বুঝতে পারছেন ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করায় কী খেসারতটাই না দিতে হচ্ছে! বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই হল রেডিমেড পোশাক শিল্প। এটিই একমাত্র শিল্প যা দেশের মোট রফতানির প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং (India) মোট জিডিপির ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এই পোশাক শিল্পে কাজ করেন। এঁদের সিংহভাগই নারী।

    করোনা পর্যায়ে বাংলাদেশকে সাহায্য ভারতের (India Bangladesh Relation)

    করোনা অতিমারির সময় যখন সারা বিশ্বে মাস্ক, মেডিক্যাল টেক্সটাইল, গ্লাভস এবং হাসপাতালের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা ছিল, তখন বাংলাদেশের কাছে বিক্রির জন্য পণ্য মজুত থাকলেও, বিশ্ববাজারে সরবরাহের উপায় ছিল না। ভারতেরও বিশ্বব্যাপী পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কোনও উপায় ছিল না। তা সত্ত্বেও পড়শি দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল ভারত। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সরবরাহ শৃঙ্খলা সংশোধনের জন্য নয়াদিল্লির কাছে সাহায্য চেয়েছিল। এরপর ভারত বাংলাদেশকে সাহায্যের পাশাপাশি তার জন্য নিজেদের সরবরাহ শৃঙ্খলার দরজাও খুলে দেয়। ভারত বাংলাদেশকে নিজ বন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দেয়, অতিমারির বাজারে যা বাংলাদেশকে বিশেষ মাইলেজ দেয়।

    পণ্য সরবরাহের পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই

    বাংলাদেশের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলির বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহের পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই। তাছাড়া, বাংলাদেশ যদি নিজেদের বিমানবন্দর ও বন্দর থেকে পণ্য বিক্রি করে, তাহলে এর খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। উল্টোদিকে, কলকাতা থেকে পণ্য পাঠানোর খরচ পড়ে কিলোগ্রাম প্রতি মাত্র ২ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার। কিন্তু সরাসরি বাংলাদেশ থেকে একই পণ্য পাঠালে কিলোগ্রাম প্রতি ৫ থেকে ৬ মার্কিন ডলার খরচ হয়। তাই ভারত (India) যখন বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দিয়েছিল, তা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। সেই সময় ভারত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নামমাত্র ফি নিয়েছিল (India Bangladesh Relation)।

    ভারতের মাটি ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি

    বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতের মাটি ব্যবহার করে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতেন। ভারতীয় রুটে পণ্য ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দরে আনা হত, তারপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে পাঠানো হত। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে পেট্রাপোল-বেনাপোলের মতো ভারতের স্থল বন্দরে পণ্য আনতেন। পরে সেগুলি কলকাতা, হলদিয়া, নহবা শেভার মতো বড় বড় বন্দর বা দিল্লি ও কলকাতার বিমানবন্দরে পাঠানো হতো। সেখান থেকে সমুদ্রপথে বা আকাশপথে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ করা হত। অর্থাৎ, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যদি নিজ দেশ থেকে কোনও পণ্য ইউরোপের দেশে পাঠাতেন, তাহলে ভারতের মাধ্যমে পাঠানোর তুলনায় খরচ তিন গুণ বেড়ে যেত।

    ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল

    ভারত বাংলাদেশকে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিলের কারণ হিসেবে নিজেদের বন্দর ও বিমানবন্দরে বাড়তে থাকা জটিলতার উল্লেখ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা একে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত অকারণে এমন ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বন্ধ করেনি। এর আগে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে স্থলবন্দরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং ভারত থেকে সুতা (India) আমদানিকে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশের এহেন আচরণ ভারত পছন্দ করেনি। তাছাড়া, মহম্মদ ইউনূস যখন বেইজিংয়ে ভারতের ‘চিকেন নেক’কে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিলেন, বস্তুত তখনই ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। ভারতের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ টানা প্রয়োজন হয়ে পড়ে এবং তারা সেটিই করেছে। তবে ভারত ইউনূসকে তাঁর ভুল সংশোধনের শেষ একটি সুযোগ দিয়েছিল। ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু তার পরেও যখন ইউনূস নিজেকে সংশোধন করেননি, তখনই ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল করে দেয় (India Bangladesh Relation)।

    ১৭০টি কারখানা বন্ধ

    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বেক্সিমকো শিল্প পার্কে ইতিমধ্যেই ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র এই একটি শিল্পাঞ্চলেই চাকরি খুইয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। এখন বাংলাদেশকে তার পণ্য প্রথমে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে তারপর রফতানি করতে হবে। এটি ব্যয়বহুল হবে। যার ফলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাবে বিক্রি (India)। বাংলাদেশ ভারতীয় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। ইউনূস প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রফতানিকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে অনেক কম দামে সুতা কিনতেন। বাংলাদেশের সুতা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি ছিল। এই সুতা আমদানির ৯৫ শতাংশই আসে ভারত থেকে। কিন্তু এখন তাকে অন্যান্য দেশ থেকে কিনতে হবে। যার জন্য গুণতে হবে চড়া দর (India Bangladesh Relation)।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share