Tag: Bangladesh Crisis

  • Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (VIF) “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus) ওপর অন্তহীন নিপীড়ন” শীর্ষক (Bangladesh Crisis) একটি প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছিল। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত আক্রমণ হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরা হয়। নয়াদিল্লির ভিআইএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলা ব্যাপক জাতি হিংসা, ভূমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনাগুলি উন্মোচিত হয়।

    গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্য (Bangladesh Crisis)

    ফাউন্ডেশন এগেইনস্ট কন্টিনিউয়িং টেররিজম (FACT)-এর দ্বারা আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্যমান ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এদিনের প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছে হিন্দু গ্রামগুলির পোড়া অবশেষ এবং পবিত্র মন্দিরগুলি ছন্নছাড়া দশা, যেগুলি উগ্র ইসলামপন্থীদের টার্গেট হয়েছে। বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে। এখানে যৌন হিংসা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিবরণও রয়েছে। সংগঠিত জমি দখলের অভিযানের ছবিও রয়েছে। এটাই হিন্দুদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

    কমছে হিন্দু জনসংখ্যা

    পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে (এখন যেটা বাংলাদেশ) হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটাই নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশেরও নীচে। প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন কোনও হিংসা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ব একে উপেক্ষা করছে। কারণ এটি তাদের পছন্দসই বর্ণনার সঙ্গে মেলে না।”

    প্যানেল আলোচনা

    এদিনের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা তীব্র সংকটের (Bangladesh Crisis) আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই প্যানেলে অংশ নিয়েছিলেন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভিআইএফের সহ সভাপতি সতীশ চন্দ্র, বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার বীণা সিক্রি, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে। প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ভিআইএফের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত। আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী (Bangladesh Crisis) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এটি দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করছে (Hindus)।

    অজিত ডোভাল

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে নয়াদিল্লি যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টির উল্লেখ করেন ডোভাল। তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধে কর্মরত চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মাথা তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করছে। এর পাশাপাশি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। হাসিনার অনুপস্থিতিতে, বিদেশি প্রভাব দ্বারা সমর্থিত চরমপন্থী দলগুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসের স্টিম রোলার চালিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ এবং হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাগুলি ১৯৭১ সালের আগের পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

    ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-বিরোধী উপাদান সম্পর্কে সতর্কবার্তার জবাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে যে আমরা পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্ম-সম্পর্ক চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই (Hindus)।” তবে, ইসলামি উপাদানকে আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। ভারতের অন্যতম প্রধান কৌশলগত থিংক ট্যাঙ্ক ভিআইএফের সুপারিশগুলি হল, বাংলাদেশের সরকারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যতক্ষণ না সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়, ততক্ষণ। রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ, যাতে জাতিগত নিধনযজ্ঞের তদন্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে মানবাধিকার সংকট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া।

    গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিশ্ব ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী দুদশকের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।” বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কেবল একটি স্থানীয় বিষয় নয় – এটি একটি মানবিক সংকট, যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া গঠনে আঞ্চলিক (Hindus) শক্তি হিসেবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খুলে দিয়েছে বেজিং। এহেন আবহে আওয়ামি লিগ বিরোধী বাংলাদেশের ৮টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের অশান্তি পৌঁছেছে চরমে। এমতাবস্থায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা গলিয়ে কার্যোদ্ধার করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    সেই একই ‘গেম’ (Bangladesh Crisis)

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। অভিযোগ, তার পরেই বাংলাদেশে ক্রমশ বেড়েছে অশান্তির আগুন। সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘরদোর-দোকানদানি। উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হয়েছেন মূলত হিন্দুরা। বাংলাদেশের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। এবার সেই একই ‘গেম’ খেলতে ময়দানে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ চিন।

    বেজিং যাচ্ছে ৮টি রাজনৈতিক দল

    জানা গিয়েছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সোমবার বেজিং যাচ্ছে বিএনপি-সহ ৮টি রাজনৈতিক দল। এই দলে আওয়ামি লিগের কেউ নেই। যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির চার নেতা রয়েছেন। বুধবার এই দুই সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নয়া রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ঘোষণা করবে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিনের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি।

    ২২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। প্রতিনিধি দলে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচজন নেতা রয়েছেন। রয়েছেন দুই সাংবাদিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সদস্যরা। এদিকে, জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশে দাঁড়াল প্রয়াত মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, “সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানাতে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে এটাই বলব যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা (China) সরকার গড়বে, তারাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে (Bangladesh Crisis)।”

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নয়া দল গঠনের উদ্যোগ, শীর্ষ পদে কারা, মতান্তর নেতাদের মধ্যেই

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নয়া দল গঠনের উদ্যোগ, শীর্ষ পদে কারা, মতান্তর নেতাদের মধ্যেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে নয়া দল (New Party) গঠিত হতে চলেছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। নতুন দলের নাম ঘোষণা হওয়ার কথা ২৬ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত হবে দল। দলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হওয়ার আগেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। কে কোন পদে বসবেন, কার পদের গুরুত্ব কতটা, তা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেননি নেতারা। সূত্রের খবর, সমঝোতাসূত্র বের করতেই বাড়ানো হচ্ছে শীর্ষ পদের সংখ্যা। প্রথমে ঠিক ছিল শীর্ষ পদে থাকবেন চারজন। পরে সেটাই বাড়িয়ে করা হয় ছয়। সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলেই সূত্রের খবর।

    ক্রমেই বাড়ছে শীর্ষ পদের সংখ্যা (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নয়া দলে শীর্ষপদ থাকতে পারে ১০ থেকে ১২টি। তবে তা নিয়েও একমত হতে পারেননি যাঁরা দল গঠন করছেন, তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শীর্ষ পদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নয়া দলে আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠক এই চারটি শীর্ষপদ থাকবে বলে প্রথমে ঠিক ছিল। পরে বাড়ানো হয় আরও দুটি পদ – জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব। আরও দুটি মুখপাত্রের পদ সৃষ্টি করা হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনে যাঁরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন, নতুন দলে তাঁরা যাতে কম গুরুত্ব না পান, তা নিশ্চিত করতেই বাড়ানো হচ্ছে দলের শীর্ষপদের সংখ্যা। বুধবার দলের সদস্যদের যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই প্রস্তাব পাশ হয় শীর্ষ পদ বৃদ্ধির সংখ্যা (Bangladesh Crisis)।

    কে কোন পদে

    প্রথমে যে চারটি শীর্ষ পদ ঠিক করা হয়েছিল, তাতে আহ্বায়ক পদে বসানো হয়েছে ইউনূস প্রশাসনের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সাধারণ সচিব পদে থাকবেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে বসানো হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারসিজ আলম ও হাসনাত আবদুল্লা। বাকি পদে কারা থাকবেন, পদের সংখ্যাই বা বাড়ানো হবে কিনা, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, নয়া দল গঠনের নেপথ্যে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তবে তিনি কোন পদে (New Party) বসবেন, আদৌ তিনি কোনও পদে থাকবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাফান ঝাঁপান শেষ। এবার নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি লেগে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) ছাত্রদের মধ্যে। আওয়ামি লিগকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) প্রশাসন। এবার এই দুই নেতা-নেত্রীর অনুগামী ছাত্ররাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।

    নয়া সঙ্কটে ইউনূস প্রশাসন (Muhammad Yunus)

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ছাত্রদের আন্দোলন (পড়ুন পরিকল্পিত) ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তারপর থেকে নতুন খেলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই খেলা খেলতে গিয়েই নয়া সঙ্কটের সম্মুখীন ইউনূস প্রশাসন। ফেরা যাক খবরে, খুলনার একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জেরে জখম হয়েছেন ১৫০ পড়ুয়া। সংঘর্ষ হয়েছে শেখ হাসিনাকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠন ও তার বিরোধী গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন

    জানা গিয়েছে, বিএনপির যুব শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল (জেসিডি) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার চেষ্টা করেছিল। বাধা দেয় ইউনূস সমর্থিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন স্টুডেন্টস এগেইনস্ট কোরাপশন (এসএডি)-এর সদস্যরা। এরাই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল। যার জেরে দেশ ছাড়তে হয় আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোকে। এই ঘটনার পরে পরেই জেসিডি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন আয়োজন এবং ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ মাসুদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এসএডি এই দুই দাবিরই বিরোধিতা করেছে। তার জেরেই হয় সংঘর্ষ। জখম হন দেড়শো জন।

    ছাত্র সংঘর্ষ

    সংঘর্ষের পরে ৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা চাপাতি হাতে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে (Muhammad Yunus)। সংঘর্ষের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে দুই গোষ্ঠীই (Bangladesh Crisis)। জেসিডি প্রধান নাসিরউদ্দিন নাসির বলেন, “সাম্প্রতিক হিংসায় উসকানি দিয়েছে এসএডি। জামাতে ইসলামি এসএডিকে সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত হতে সমর্থন জোগাচ্ছে।” জেসিডির আরও অভিযোগ, এসএডি ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়ে এসেছে। তারা বলছে যে তারা ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু এসএডি তা হতে দেয়নি।

    খসে পড়েছে ঐক্যের মুখোশ

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্ব একটি ঐক্যবদ্ধ চিত্র তুলে ধরেছিল। তখন মনে হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস, বিএনপি এবং জামাত সবাই এক জোট হয়েছে। তাদের এই ঐক্য তখনই পর্যন্ত টিকে ছিল, যতক্ষণ তারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে হাসিনা সরে যাওয়ার পরেই খসে পড়ে ঐক্যের মুখোশ। বিএনপি ইউনূসের প্রতি অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে, ইউনূস এখনই দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে আগ্রহী নন। বিএনপির অভিযোগ, ইউনূস সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা করছেন যাতে তিনি নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেন।

    মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে (Bangladesh Crisis), ইউনূস জামাত এবং এসএডি উভয়ের ওপরই যথেষ্ট জোর দিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি এসএডিকে এমন এক মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন তৈরি করতে সমর্থন করছেন, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। এই নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডাটি পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইউনূস প্রশাসনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত করে একটি ইসলামপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করা। দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষটি আরও একটি ইঙ্গিত দেয়। সেটা হল, ইউনূস সমর্থিত ছাত্র শাখা এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বিভেদ কতটা গভীর। উভয় পক্ষই প্রতিটি স্তরে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং এটি স্পষ্ট যে বিএনপি ইউনূসের (Muhammad Yunus) স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা অনিবার্যই ছিল। দুই সংগঠনের বিভেদের রেখাগুলো স্পষ্ট এবং ঐক্যের মুখোশ খুলে পড়েছে। যার জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগের ক্যাডাররা। এতদিন বিএনপি এবং ইউনূসের অনুগামীদের কমন শত্রু ছিল হাসিনার দল। আর এখন বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুপক্ষই কমন শত্রু হিসেবে দেখছে ইউনূসকে। ক্ষমতার চিটে গুড়ে ইউনূসের পা আটকে যেতেই, বিপত্তি বেঁধেছে বাংলাদেশে। আজ বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুই দলই ইউনূসকে (Bangladesh Crisis) কমন শত্রু হিসেবে দেখছে। তার কারণ দুই দেশই চায়, অবিলম্বে দেশে হোক সাধারণ নির্বাচন। তাদের আশঙ্কা, ইউনূস যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তিনি হস্তক্ষেপ করবেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজীবনের জন্য শাসনের রাস্তা পরিষ্কার করবেন।

    ইউনূসের অনুগামীরা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করলেও, ইউনূস স্বয়ং এখনও আওয়ামি লিগকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখনই যদি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সাধারণ নির্বাচন হয়, তাহলে কোনও সন্দেহ নেই যে আওয়ামি লিগই দেশের ক্ষমতায় ফিরবে। প্রসঙ্গত, ইউনূস (Muhammad Yunus) যাদের টার্গেট করেছেন, তাঁদের দাবি, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের বিষয়টি আমি বন্ধু মোদির ওপরই ছেড়ে দিলাম।” দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক মহলে।

    মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Bangladesh Crisis)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে ইসলামপন্থী শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি এবং এটি কীভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

    বাংলাদেশের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত যেভাবে দেশটিকে পরিচালিত করতে চায়, সেটিকেই সমর্থন করবে। ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউনূস সরকার এবং বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের কৌশল নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা ভারত-বিরোধী এবং পাকিস্তানের সাহায্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা অংশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকদের, যেমন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিলেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় আরও বেশি দিন (Donald Trump) থাকতে পারেন।

    নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা

    বাংলাদেশের নতুন সরকার, বিশেষ করে (Bangladesh Crisis) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (ADSM) নেতারা, যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছেন এবং নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছে, তারা আমেরিকার সমর্থন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (OSF) সাহায্যের আশায় ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক প্রভাব কমানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলেন। এর পরেই ইউনূস, এডিএসএম নেতারা এবং বাংলাদেশি ইসলামপন্থীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এডিএসএমের নেতারা যখন শুনেছেন আমেরিকা বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত ভারতের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছে, তখনই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ওএসএফের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আর অন্যদিকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভারতের হাতে ছেড়ে দেওয়া – জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা।

    ভারতের সাফ কথা

    ভারত অবশ্য প্রথমেই বাংলাদেশকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও গঠনমূলক আলোচনা কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন ঢাকায় একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে (Bangladesh Crisis)। ভারতের এই অবস্থানে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা। কারণ নয়াদিল্লির এই অবস্থান তাদের বৈধতাই অস্বীকার করেছে। ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা মূলত ভারত-বিরোধী। কারণ তারা ইসলামপন্থী। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা করতেই তারা বেশি আগ্রহী। ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের এই ভারত-বিরোধী পরিকল্পনায়ও বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা এখন বুঝতে পারছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও অপচেষ্টা করলে নয়াদিল্লি কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে (Donald Trump)।

    জোট বাঁধছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ

    ট্রাম্পের বক্তব্যে খুশি বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ। বিএনপি চায় বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন হোক। আর ইউনূস নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। বিএনপি বারবার বলেছে, নির্বাচনের আগে মৌলিক কিছু সংস্কার করা যেতে পারে, তবে ব্যাপক সংস্কারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারেরই ম্যান্ডেট থাকা উচিত (Bangladesh Crisis)। বিএনপির দৃঢ় সন্দেহ, ইউনূস শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং এডিএসএম নেতাদের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের সময় দিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই তারা এডিএসএম নেতাদের সংগঠিত হওয়ার সময় দিতে চায় না। ফলে বিএনপি ও ইউনূস সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে (Donald Trump)।

    ইউনূস সরকারের প্রস্তাব

    বিএনপিকে দুর্বল করতে ইউনূস সরকার দুটি নতুন প্রস্তাব এনেছে— প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং জাতীয় সংসদের জন্য একটি প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ তৈরি করে তাতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সদস্য মনোনীত করা। প্রত্যাশিতভাবেই বিএনপি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কারণ এগুলি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে এবং জাতীয় নির্বাচন আরও পিছিয়ে যাবে। ভারতও চায়, দ্রুত নির্বাচন হোক বাংলাদেশে। কারণ নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা শুধুমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেই গঠনমূলক আলোচনা করবে। ইউনূস সরকার যারা দেশের চরমপন্থী ইসলামপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তারা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামিকে তাদের পাশে পেয়েছে। জামাত স্থানীয় নির্বাচন আগে করা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। এর জেরেও বিলিম্বত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন।

    বিএনপি-জামাতের মধ্যে বিভেদ

    জামাতের এই অবস্থান বিএনপি এবং জামাতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। একসময় বন্ধুত্ব থাকলেও, এখন তাদের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামাত অতীতেও জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বিএনপি ও জামাত নির্বাচনের পক্ষে এবং সংস্কার নিয়ে পরস্পরবিরোধী ও বিপরীত অবস্থান নিচ্ছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছে। বিএনপির আশঙ্কা, ইউনূস শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে এডিএসএম নেতারা, গোপনে তাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে (Donald Trump)। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিএনপিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। আওয়ামি লিগ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। আর জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মতো অন্যান্য দলগুলি জনসমর্থনহীন প্রান্তিক দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতা!

    বিপদে পড়ে বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতার পথে এগোতে পারে। তারা বলছে, এই জোট গঠন জরুরি, কারণ তারা (বিএনপি নেতারা) মনে করছে যে ইউনুস শাসনব্যবস্থা বিএনপির বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি, জামাত ও ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতেও এটি প্রয়োজন। কারণ পাকিস্তান ও অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোর সহায়তায় তারা বাংলাদেশে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেত্রী (Bangladesh Crisis) বলেন, “আওয়ামি লিগ নেতৃত্বশূন্য এবং সংগঠনগতভাবে বিশৃঙ্খল হলেও, তাদের অনেক বাংলাদেশির সমর্থন রয়েছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না। তাই আওয়ামি লিগকে একেবারে বাতিল করা যাবে না। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বাঁধলে আমাদের লাভ হবে।”

    এছাড়া, বিএনপি বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা মুছে ফেলার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করেছে। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি এখন বাংলাদেশে দ্রুত সংসদীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দেবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “যত দেরি হবে, ইসলামপন্থীরা তত শক্তিশালী হবে। আমরা ওয়াশিংটনের নতুন প্রশাসনকে এটি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বিলম্বিত হলে পাকিস্তান ও চিনের মতো শক্তিগুলো সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা (Donald Trump) এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায় (Bangladesh Crisis)।”

  • Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ঐতিহাসিক বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে তার ছাদে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং ইসলামিক স্টেটস-এর পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। তখনই স্লোগান উঠেছিল ‘এ বার চলো টুঙ্গিপাড়া’। এখানেই রয়েছে মুজিবুর রহমানের সমাধিভবন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ‘মুক্তিযুদ্ধপন্থী’-দের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই সমাধিভবনও গুঁড়িয়ে দিতে চায় জামাত। এই ভবন ভেঙে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের মনোবল এবং আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টাও ধরাশায়ী হবে।

    কী পরিকল্পনা

    গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, টুঙ্গিপাড়ায় হামলা চালাতে রীতিমতো বাহিনী তৈরি করছে মৌলবাদীরা। ভারতের বসিরহাট সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরায় জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের একটি দলকে এ জন্য গোপালগঞ্জের অদূরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। একই ভাবে ফরিদপুরের একটি বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। সেই বাহিনীটি সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি শিবিরে প্রাক্তন সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। বিস্ফোরক তৈরি এবং বসানোর পাশাপাশি পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্রের ব্যবহার শেখানো হয়েছে তাদের। সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখা হয়েছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে, যাতে খুব কম সময়ে তারা ট্রাকে চড়িয়ে কয়েকশো মারমুখি লোককে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসতে পারে।

    আওয়ামী লীগের ঘাঁটি

    ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট শেখ মুজিবকে (Sheikh Mujibur Rahman) হত্যার পরে বিদ্রোহী সেনারা হেলিকপ্টারে করে দেহ এনে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছিলেন। পরে শেখ হাসিনা সরকার এই কবরকে ঘিরে মনোরম একটি সমাধিভবন ও কমপ্লেক্স তৈরি করেছে, বাংলাদেশ সফরে আসা রাষ্ট্রপ্রধানেরা যেখানে এসে মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। পাশেই শেখ পরিবারের বাসভবন। কিন্তু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের এই সমাধিস্থলে আক্রমণ করাটা যে সহজসাধ্য নয়, তা ভালোই জানে জামাত ও কট্টর ইসলামপন্থীরা। আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনেও গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় এখনও খুবই শক্তিশালী এই দলের সংগঠন। তাই ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চাইছে জামাত।

  • Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশনের নাম ‘ডেভিল হান্ট’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘শয়তানের খোঁজ’ (Operation Devil Hunt)। এই অপারেশনের ব্যানারেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করল মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। শনিবার রাতে শুরু হয় অপারেশন। চলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত। এই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৮ জনকে। এদিন দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য।

    গ্রেফতার আওয়ামি লিগের সমর্থক (Operation Devil Hunt)

    জানা গিয়েছে, কেবল গাজিপুরেই ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সবাই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। গাজিপুরের পুলিশ সুপারের কথায়, “আটক ব্যক্তিরা সকলেই ফ্যাস্টিস্ট সরকারের লোকজন”। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অভিযোগ, তার পরেই হাসিনার দলকে একেবারে শেষ করে দিতে কোমর কষে নেমেছে ইউনূস প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটির একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলে উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করা হয় হাসিনার বাড়ি। তাঁর কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা

    বাংশাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে চালানো হয় হামলা, অগ্নিসংযোগ। শুক্রবার রাতে গাজিপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও চড়াও হয় একদল জনতা। প্রতিরোধ করেন স্থানীয়রা। দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই শনিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানেই জানানো হয় অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’র খবর। সেই সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তারাই গ্রেফতার হবে (Operation Devil Hunt)।”

    ওয়াকিবহালের মতে, হাসিনার দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের রাশ করায়ত্ত করতে চাইছেন ইউনূস। কারণ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। চিকিৎসার কারণে বিএনপি সুপ্রিম খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডনে। এহেন ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস। জানা গিয়েছে, নয়া রাজনৈতিক দল গড়তে চাইছেন ইউনূস। তার মোক্ষম সময় এটাই। কারণ ধরপাকড়ের জেরে যেমন গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-নেত্রীরা, তেমনি ভয়ে ফোঁস করতে পারছেন নাম বিএনপির নেতা-নেত্রীরা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই (Bangladesh) কাজে লাগাতে চাইছেন ইউনূস (Operation Devil Hunt)।

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে গেল ‘ইতিহাস’! এবং সেটাও হল এমন সময় যখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তদারকি সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই মহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য! ফেরা যাক খবরে। বুধবার রাতে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (Sheikh Hasina)। প্রথমে মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। গভীর রাতে বুলডোজার নিয়ে এসে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় ‘ইতিহাস’।

    বাংলাদেশে তাণ্ডব (Bangladesh Crisis)

    এদিন বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ শুরুর আগেই তাণ্ডব চালানো হয় হাসিনার বাবার বাড়িতে। এই ধানমন্ডিতেই বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। বাড়ির নাম সুধা সদন। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভোলা সদরের গাজিপুর সড়কে প্রিয় কুটির নামে একটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি। রাত ১টা নাগাদ কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায় প্রাক্তন সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুনও।

    অগ্নিসংযোগ শেখ হাসিনার বাড়িতেও

    হাসিনা-বিরোধী জনতার রোষের আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি খুলনায় শেখ বাড়িও (Bangladesh Crisis)। এই বাড়িটি হাসিনার কাকার। এদিন রাত ৯টা নাগাদ তাণ্ডব শুরু হয় এই বাড়িতে। প্রথমে বাড়িটি ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায়ও বুলডোজার চলেছে প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব উল আম হানিফের বাড়িতে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও মুজিব ও হাসিনার ম্যুরালও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি!

    বাংলাদেশের ‘ইতিহাস’ যে এদিন ধুলোয় মিশিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এদিন বিকেল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি (এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ি) গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল (Sheikh Hasina) সংবাদ মাধ্যমকেও। বলা হয়েছিল, কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

    ধুলোয় মিশল ইতিহাস

    ধানমন্ডির এই বাড়িটিই পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সাক্ষী। সেই সময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। ইতিহাসের সেই সাক্ষীই এখন মিশে গেল ধুলোয়। গত ৫ অগাস্ট আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই সময়ও ভাঙচুর চালানো হয় মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে। তার পর থেকে বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়ই। এবার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা হল সেই বাড়ি।

    কী বললেন হাসিনা

    পৈত্রিক ভবনের এই দুর্দশার প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণেও। তিনি বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার (Bangladesh Crisis) কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।” স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “শেখ মুজিব কখনও দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি। তিনি ছিলেন এই ছোট্ট বাড়িটিতেই। আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো বলেন, “এই বাড়িতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিশ্বের বড় বড় নেতারা এসেছেন। আজ এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটির কী অপরাধ? এই বাড়িটিকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন (Sheikh Hasina)?”

    পাকিস্তানিদের পদলেহন করাটাই পছন্দ!

    এদিন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসিনার ৫২ মিনিটের অডিও বার্তায় বাংলাদেশবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা দুই বোন যে স্মৃতিটুকু নিয়ে বেঁচেছিলাম, আজ সেই স্মৃতিটুকুও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। আজ ভেঙে ফেলা হল।” গলা ধরে এল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। হাসিনা বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি – তা কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারেন না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীনন্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা ও পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

    বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে

    মুজিব কন্যা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। হাসিনা বলেন, “কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এদের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলা বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।” তাঁর ধারণা, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনও আসলে একটি ষড়যন্ত্র।

    ইউনূসকে নিশানা হাসিনার

    এদিন ইউনূসকেও নিশানা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলবে, এই শক্তি তাদের হয়নি। তারা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারবে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারবে না।” এদিন রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শিলেট, বরিশাল এবং রংপুরেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।

    মধ্যরাতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত যে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু হয়েছিল, তা চলেছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িটির সিংহভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটির সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের বক্তব্য, স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন তাঁরা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার পর উল্লাসও করতে দেখা গিয়েছে তাদের।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে মুছে ফেলতে চায় ইউনূস প্রশাসন। তার জেরে ‘ইতিহাস’ ভাঙচুর শুরু (Sheikh Hasina) হলেও, গদি বাঁচাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের নোবেল জয়ী প্রধান (Bangladesh Crisis)!

LinkedIn
Share