Tag: bangladeshi

bangladeshi

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

  • Bangladeshi: অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক গুজরাট পুলিশের, আটক ৫৫০ অবৈধ বাংলাদেশি

    Bangladeshi: অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক গুজরাট পুলিশের, আটক ৫৫০ অবৈধ বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের তাড়াতে নির্দেশ দেন অমিত শাহ। ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই গুজরাট (Gujarat) পুলিশ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। অভিযানের মাধ্যমে ৫৫০ জনের বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi) আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি না দেখাতে পারার কারণে তাঁদেরকে আহমেদাবাদ এবং সুরাট থেকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশ।

    কী বলছে আহমেদাবাদের পুলিশ (Gujarat)

    আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি অজিত রাজিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এসওজি, ইওডব্লু, জোন ৬ এবং সদর দফতরের দলগুলির সঙ্গে আহমেদাবাদ শহরে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি অভিবাসীদের ধরতে একটি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযানের সময় ৪০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন বাংলাদেশি (Bangladeshi) অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।’’ অন্যদিকে, সুরাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিককে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    পহেলগাঁও হামলার পরে এমন অভিযান তাৎপর্যপূর্ণ

    আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের জেসিপি শারদ সিংহল বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি, ডিজিপি-র তথ্য অনুসারে আহমেদাবাদের চান্দোলার আশেপাশে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladeshi) অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। আমরা ৪৫৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে ধরেছি, সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা তাদের নির্বাসিত করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এবং ১২৭ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বাকিদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে। এই অবৈধ অভিবাসীদের কাছে বেশিরভাগেরই জাল ভারতীয় নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। কার সাহায্যে এই নথিগুলি তৈরি করা হয়েছে তা আমরা তদন্ত করছি। আটক অবৈধ অভিবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ঘটে। এরপর সর্বদলীয় বৈঠকও করে মোদি সরকার। এরপরেই শনিবার গুজরাটের বুকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারীর পরিচয় জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতী বাংলাদেশের (Bangladeshi) নাগরিক। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নিজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয় নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে বিজয় দাস নাম নিয়েছে। তার কাছে কোনও বৈধ পরিচয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতের বাংলাদেশি পরিচয়ে এখন এই হামলাকাণ্ড নয়া মোড় নিল। 

    ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত (Saif Ali Khan)

    লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহত অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan)  সম্পর্কে জানিয়েছেন, তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অপর দিকে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক শাহজাদকে রবিবার বান্দ্রা আদালত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতের আইনজীবী বলেন, “এই গ্রেফতার সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। আগে থেকে পুলিশ কোনও রকম নোটিশ দেয়নি। আমার মক্কেল অনেক দিন যাবত মুম্বই শহরে বসবাস করছেন। সেই জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করেছি আদালতে। তিনি কোনও পেশাদারি দুষ্কৃতী (Bangladeshi) নন। তাঁর একটি অল্পবয়স্ক ছেলে রয়েছে। মামলাটি যেহেতু বলিউড অভিনেতা সম্পর্কিত, তাই চক্রান্ত চলছে।” অপর দিকে তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানিয়েছেন, “ঘটনায় যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তার একটি অংশ অভিনেতার ঘাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে, একটি অংশ অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে এবং বাকি আর একটি অংশ কোথাও ফেলে দিয়েছে অভিযুক্ত।” মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালেও পাওয়া গিয়েছে।

    একাধিক অপরাধকাণ্ডে জড়িত বাংলাদেশিরা

    ভারতের নানা প্রান্তে বাংলাদেশি (Bangladeshi) অনুপ্রবেশকারীরা নানা রকম অপরাধ কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি তামিলনাড়ু থেকে ৩১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। আবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। বর্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-ও বাংলাদেশি ছিল। মালদায় তৃণমূল পঞ্চায়েতর এক প্রধানের পরিচয় জানা গিয়েছে। তিনিও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi: অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র এটিএস

    Bangladeshi: অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এই আবহের মধ্যে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে টানা তল্লাশি চলছে সারা ভারতে। এ বার মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ধরা পড়ল ১৩ জন বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক। বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে লুকিয়ে থাকার অভিযোগে তাদের ধরা হয়েছে। মহারাষ্ট্র এটিএস (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড) তল্লাশি চালিয়ে মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    ভুয়ো নথি দিয়ে আধার কার্ড (Bangladeshi)

    মহারাষ্ট্র এটিএস জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। নভি মুম্বই, থানে ও শোলাপুর এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে অভিযান চলেছে। মোট ৭ জন পুরুষ এবং ৬ জন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং আরও নানা ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটিএস জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিকরা ভারতে এসে ভুয়ো নথি দিয়ে আধার কার্ড বানিয়েছিলেন। এটিএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, তল্লাশির সময়ে তারা দেখেছে যে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে আসা নাগরিকরা নানাভাবে ভারতের নথি জোগাড় করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নানাভাবে ভুয়ো নথি জোগাড় করে ভারতীয় কোনও ঠিকানায় আধার কার্ড বের করছে। আধার ভারতীয় নাগরিকদের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র। একাধিক নথি যাচাই করার পরে তবেই একজনকে আধার কার্ড দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জেরা করছে এটিএস। অসমেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ধরার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে। বাংলাদেশ থেকে যে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছে, এমনটা ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। সেই কারণেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী রুখতে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতের পুলিস। অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে নানাভাবে তল্লাশি চলছে ভারতের নানা জায়গায়।

    এর আগে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেফতার

    এর আগে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) রাজধানী মুম্বই সহ রাজ্যের চারটি ভিন্ন শহর নভি মুম্বই, থানে এবং নাসিক শহরে অভিযান চালিয়ে ১৭ বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিককে ভারতে অবৈধ প্রবেশ এবং অনুমতি ছাড়া থাকার জন্য গ্রেফতার করেছিল। এরমধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে বাংলাদেশি পুরুষরা সাধারণত শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আর নারীরা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। একজন আধিকারিক বলেন, ধৃত বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলারা ২০২৩ সাল থেকে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন। তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব বা ভ্রমণ নথির কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Police) অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণের কাজে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গত ১২ ঘণ্টায় দিল্লি পুলিশ ১৭৫ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে, যারা কোনও রকম নথি ছাড়াই বসবাস করছিল দিল্লিতে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এই অভিযান শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। গত পরশু অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর নতুন করে ফের একবার অভিযানে নামে দিল্লি পুলিশ।

    চলতি মাসের গোড়ার দিকেই নির্দেশিকা জারি করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর 

    চলতি মাসের গোড়ার দিকে দিল্লির (Delhi Police) লেফটেন্যান্ট গভর্নর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়েছিল যে অবৈধভাবে যে সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছে দিল্লিতে, তাদের শনাক্ত করতে হবে। এরপরেই অপারেশনে নামে পুলিশ।

    কী বলছেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) উচ্চ পদস্থ কর্তা 

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই ধরনের অভিযান করতে স্থানীয় থানা থেকেও পুলিশ আধিকারিকদের যেমন প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে, তেমনি জেলার স্তরেও প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে ফরেন সেলকেও। এই সব কিছু মিলিয়ে একটা টিম তৈরি করা হয়। পুলিশের এই দল প্রত্যেক বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে এবং তাদের বৈধ নথিপত্র পরীক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ইনফর্মারদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আগামীদিনেও চলবে এমন অভিযান

    তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা (Delhi Police) এই সব ডকুমেন্টগুলি পরীক্ষা করেন। পরে ক্রস চেকিং করা হয় সেগুলিকে। তথ্য নেওয়া হয় সন্দেহভাজনদের (Bangladeshi) প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ইনফরমারদের কাছ থেকেও। জানা গিয়েছে, যে ১৭৫ জন অনুপ্রবেশকারী বৈধ কোনও কাগজপত্রই দেখাতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের কর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে এও জানিয়েছেন যে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কারণ যেখানে দেশের স্বার্থ জড়িয়ে আছে, সেই সেই সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। এই অপারেশন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: ‘‘জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর”! প্রাণভয়ে ভারতে দুই বাংলাদেশি বৃদ্ধা

    North Dinajpur: ‘‘জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর”! প্রাণভয়ে ভারতে দুই বাংলাদেশি বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। মৌলবাদীদের লাগাম ছাড়া অত্যাচার চলছে। কয়েকদিন আগে চোপড়ায় বাংলাদেশি নাবালিকার প্রাণভয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা মনে আছে? সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের হাতে আটক হলেন দুই বৃদ্ধা। লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি ও অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা ভারতে এসেছে বলে দাবি করেছেন। সীমান্তে বিএসএফ আটক করার পর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর, মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে! (North Dinajpur)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই বৃদ্ধার নাম আধো বর্মন (৮০) ও কাঞ্জু বালা (৭৪)। আধো বর্মনের বাড়ি বাংলাদেশের পীরগঞ্জ এলাকায়। আর কাঞ্জু বালার বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর এলাকায়। তাঁদের রাধিকাপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করে কালিয়াগঞ্জ থানার (North Dinajpur) পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পরে,তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। তাঁরা বলেন, “ওই এলাকায় অনেক সংখ্যালঘু মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, বাড়িঘর লুটপাট ও গবাদি পশুও নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। এলাকায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। এলাকায় মিছিল করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর ওদেশে ফিরব না। চরম আতঙ্কে প্রাণ হাতে নিয়ে এদেশে চলে এসেছি। এখানে আমাদের সন্তানরা রয়েছে।” আদো বর্মনের ছেলে  সুরেন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, “আমার মা খুব আতঙ্কে ছিলেন। ওখানে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। ওপারে সব ঠিক কবে হবে জানি না। তাই মা সব ছেড়ে আমার কাছে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অপর ধৃত বৃদ্ধা কাঞ্জু বালা বলেন, “ওখানে খুব অত্যাচার চলছে। বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে। থাকার জায়গা নেই। তাই এদেশে চলে এসেছি। এখানে মেয়ের বাড়ি।”  এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রী সরকার বলেন, “অনুপ্রবেশের দায়ে দুই বৃদ্ধাকে আটক করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Immigrants: অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরতে অভিযান দিল্লি পুলিশের, চিহ্নিত ৩২

    Bangladeshi Immigrants: অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরতে অভিযান দিল্লি পুলিশের, চিহ্নিত ৩২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত বাংলাদেশ। ডামাডোলের বাজারে দেশ ছেড়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে বহু মানুষ। সেই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে অভিযান শুরু করল দিল্লি পুলিশ (Bangladeshi Immigrants)। বুধবারই অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। দিল্লি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তার পরেই শুরু হয়েছে অভিযান।

    চিহ্নিত ৩২ সন্দেহভাজন (Bangladeshi Immigrants)

    কালিন্দীকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অভিযান চালানো হয়েছে সীমাপুরী এলাকায়ও। সেখানে ৩২ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের নথিপত্র পাঠানো হবে অভিবাসন দফতরে। শাহিনবাগ, উত্তম নগর এবং জামিয়া নগরের মতো এলাকায়ও বস্তি, ফুটপাত এবং কলোনিতে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বাসিন্দাদের। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যাঁদের সঠিক নথি নেই, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের থানায় তলব করা হয়েছে। যদি তাঁদের মধ্যে কেউ অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত হন, তাহলে সংশ্লিষ্টদের নির্বাসিত করা হবে।” তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারে, এমন সন্দেহভাজন এলাকায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে। যাঁদের নথি রয়েছে, সেক্ষেত্রেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অসম বা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনও এলাকার কিনা।”

    আরও পড়ুন: দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

    অভিযান দিল্লি পুলিশের

    জানা গিয়েছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের (Bangladeshi Immigrants) চিহ্নিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সীমাপুরী এলাকায় একের পর এক গড়ে ওঠা বসতিতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রতিটি ঘরে ঢুকে জানতে চাওয়া হয় প্রত্যেকের পরিচয়। সেখানেই চিহ্নিত করা হয় সন্দেহভাজন ৩২ জন বাংলাদেশিকে। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, অনেকেই প্রমাণ হিসেবে পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। কেউ কেউ আবার পরিচয়পত্রের প্রমাণ হিসেবে কেবল আধার কার্ড দেখিয়েছে পুলিশকে। আধার কার্ডগুলি জাল বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশের দাবি, যে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা হয়েছে, জেরায় তারা জানিয়েছে, তাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশ থেকেই দিল্লিতে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নথিপত্র যাচাইয়ের সময় যদি দেখা যায় সেগুলি ভুয়ো, তাহলে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠানো হবে বাংলাদেশে (Bangladeshi Immigrants)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura Hotels: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    Tripura Hotels: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছেই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশিদের জন্য বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দিল অল ত্রিপুরা হোটেল (Tripura Hotels) অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। সমিতির তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতির অফিস সেক্রেটারি ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, “২ ডিসেম্বর আমরা আমাদের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এদিন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কোনও হোটেলে পরিষবা সেবা উপলব্ধ থাকবে না। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রতি একটি কঠোর প্রতিক্রিয়া।

    রেস্তরাঁ মালিক সমিতির ঘোষণা (Tripura Hotels)

    অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতির ঘোষণা, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে সেবা প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বাড়তে থাকা নির্যাতনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি বলেন, “এহেন সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি দেখানো অসম্মান। বাংলাদেশের হাই কমিশনকে ঘিরে ঘটনার ঘটনাও এই সিদ্ধান্ত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন (Tripura Hotels) করেছে।”

    বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা

    তিনি বলেন, “আর একটি কারণ হল এখানে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যা কোনও বাংলাদেশি অতিথির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার হোটেল মালিকের ওপর পড়বে। এমন জটিলতা এড়ানোর জন্য, আমরা চলতি মাসের ২ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর দেব না।”
    তিনি বলেন, “২ ডিসেম্বরের আগে যারা এখানে চেক-ইন করেছেন, তাঁরা থাকতে পারবেন। কিন্তু আমরা নতুন করে আর বুকিং নেব না। এও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যদি কেউ চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-সহ জরুরি পরিস্থিতিতে আসে, তাহলে তাদের ঘর দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হিংসা বাড়ছে। শুক্রবার ও শনিবারের মাঝে রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরে। এসব কারণে বাংলাদেশিদের (Bangladeshi Citizens) জন্য দ্বার বন্ধ হয়ে গেল ত্রিপুরার হোটেলে (Tripura Hotels)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share