Tag: BCCI

BCCI

  • ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)-এর মধ্যে বিতর্কের সমাধান করলেন আইসিসি সিইও সঞ্জয় গুপ্তা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয় গুপ্তা (Sanjay Gupta) একক নেতৃত্বে সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দেন এবং কঠোর বার্তা দেন যে, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া অফিসিয়ালদের অপসারণের দাবি মানা হবে না।

    সঞ্জয় গুপ্তার দৃঢ় অবস্থান

    ১৪ই সেপ্টেম্বর, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচের পরে বিতর্ক শুরু হয়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করে ভারতীয় দল। এই ঘটনার পর, পিসিবি অভিযোগ করে যে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট নাকি দুই অধিনায়ককে টিমশিট বিনিময় করতে বাধা দেন এবং সালমানকে করমর্দনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন। এরপর পাকিস্তান আইসিসি-কে লিখিতভাবে পাইক্রফটকে সরিয়ে রিচি রিচার্ডসনকে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। আইসিসি সূত্রে খবর, পিসিবি’র দাবির বিপরীতে কড়া অবস্থান নেন সঞ্জয়। আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কোনও কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘন করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দুপক্ষের মধ্যে ৬টি ইমেল বিনিময় হয়, যার মধ্যে তিনটি করে ইমেল পাঠানো হয় দুই পক্ষ থেকে। অন্তর্দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু কর্মকর্তা ১৭ সেপ্টেম্বর আরব-আমিরশাহী ম্যাচে শুধু এক ম্যাচের জন্য পাইক্রফটকে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সঞ্জয় গুপ্ত তা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, “এভাবে চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে ভুল বার্তা যাবে।”

    কে এই সঞ্জয় গুপ্তা?

    ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আইসিসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন সঞ্জয় গুপ্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতের ক্রীড়া সম্প্রচার মহলের পরিচিত নাম। ২০০২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক ডিগ্রি (অনার্স)। ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এরপর একে একে কনটেন্ট, সম্প্রচার, বিপণন স্ট্র্যাটেজি—একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালে সঞ্জয় ডিজনি ও স্টার ইন্ডিয়ার স্পোর্টস বিভাগের সিইও পদে বসেন। কেবল শহরেই নয়, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাকে পৌঁছে দিতে চান। তাই তাঁর নেতৃত্বেই উঠে আসে স্লোগান: ‘স্পোর্টস ফর অল’! ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভায়াকম ১৮ (Viacom 18) ও ডিজনি স্টার (Disney Star) মিলেমিশে গড়ে ওঠে জিওস্টার (JioStar)। সঞ্জয় সেখানে স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপিয়িয়েন্সেস বিভাগের সিইও হন। এরপর আগে-পরে আইপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো, আইসিসি ইভেন্টের সম্প্রচারে নতুনত্ব আনা, প্রো কাবাডি লিগ (PKL)-এর উত্থান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর প্রতিষ্ঠা, উইম্বলডন ও ভারতে প্রিমিয়ার লিগ-এর মত আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এবং ক্রীড়া সম্প্রচারের পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সঞ্জয় গুপ্তা।

    ক্রিকেট দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা

    পাইক্রফট বিতর্কে সঞ্জয় গুপ্তের দৃঢ় এবং পেশাদারী পদক্ষেপ ক্রিকেট মহলে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক চাপের মুখেও তিনি যে নিরপেক্ষতা ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন, তা স্পষ্ট। সঞ্জয় বুঝিয়ে দিয়েছেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, তবে প্রমাণ ছাড়া কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ন্যায়বিচার, প্রোটোকল ও পেশাদারিত্বকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া হবে।

  • Team India New Sponsor: অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে চুক্তি, ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

    Team India New Sponsor: অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে চুক্তি, ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীনই স্পনসর (Team India New Sponsor) পেয়ে গেল বিসিসিআই। ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ ভারতীয় ক্রিকেট দলের (BCCI Tie Wth Apollo Tyres) নতুন স্পনসর। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিসিআইয়ের। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ করার পর ভারতের জার্সি স্পনসর হিসাবে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল ‘ড্রিম ১১’। ফলে কোনও জার্সি স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। তবে প্রতিযোগিতার মধ্যেই নতুন স্পনসর পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘ড্রিম ১১’ সরে যাওয়ার পর ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর হয়েছে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’।

    মোট ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি

    এশিয়া কাপে সূর্যকুমার যাদবদের জার্সিতে কোনও স্পনসরের নাম নেই। অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজেও ভারতের মহিলা দল স্পনসরহীন জার্সি পরে খেলছে। এশিয়া কাপ চলাকালীন হয়তো আর নতুন জার্সি তৈরি হবে না ভারতের। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে জার্সি স্পনসর হিসাবে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’-এর নাম দেখা যাবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর ছিল ‘ড্রিম ১১’। তারা প্রতি ম্যাচের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ৪ কোটি টাকা করে দিত। মোট ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল তাদের। জানা গিয়েছে, ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ প্রতি ম্যাচের জন্য বোর্ডকে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা করে দেবে। বোর্ডের সঙ্গে মোট ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে নতুন স্পনসরের। অর্থাৎ, বোর্ডের লাভ হয়েছে অনেকটাই।

    ২০২৭ সাল পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার চুক্তি

    ‘ড্রিম ১১’ সরে যাওয়ার পরেই নতুন দরপত্র দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ ছাড়াও দরপত্র জমা দিয়েছিল ‘ক্যানভা’ ও ‘জেকে টায়ার’। ‘বিড়লা ওপটাস’ আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়নি। দুই সংস্থাকে হারিয়ে বাজিমাত করেছে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’। অর্থাৎ, ‘সাহারা’, স্টার গোষ্ঠী’, ‘ওপো’, ‘বাইজুস’, ‘ড্রিম ১১’-এর পর এ বার ভারতের স্পনসর হল এক টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। বিসিসিআই মঙ্গলবার অ্যাপোলো টায়ার্সকে (Apollo Tyres) ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন জার্সির স্পনসর হিসাবে ঘোষণা করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল জার্সি স্পনসরার এই বিখ্যাত টায়ার কোম্পানি। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ১২১টি ও আইসিসির প্রতিযোগিতায় কমপক্ষে ২১টি ম্যাচ খেলবে। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া বলেন, ‘‘আমাদের দল ধারাবাহিক ভাবে যে ভাল পারফরম্যান্স করছে, তার প্রমাণ অ্যাপোলো টায়ারের মতো নতুন স্পনসরের আসা। ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রথম প্রধান স্পনসর হিসেবে যুক্ত হল অ্যাপোলো টায়ার।’’

  • India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন-বিতর্কে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দাবি খারিজ করল আইসিসি। এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। না হলে বুধবার আমিরশাহি ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আইসিসির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘‘সোমবার রাতে আইসিসি জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবিকে যে, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। তাদের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’’

    পাকিস্তানের দাবি অযৌক্তিক

    আইসিসি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কোনও দাবি মানা হবে না। আইসিসি কর্তারা পাকিস্তান (India vs Pakistan) ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্কে পাইক্রফ্টের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তিনি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘাকে একটি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন। টসের সময় হ্যান্ডশেককে কেন্দ্র করে যাতে প্রকাশ্যে কোনও অপ্রীতিকর বা লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে। জিম্বাবোয়ের ৬৯ বছর বয়সি পাইক্রফ্ট আইসিসির এলিট প্যানেলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের অন্যতম। সব মিলিয়ে তিনি ৬৯৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রবিবারের ম্যাচের ঘটনায় পাইক্রফ্টের কোনও দোষ খুঁজে পাননি আইসিসি কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সে দিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের।

    পাক ক্রিকেট কর্তাকেই সরানো হল

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নির্দোষ, আইসিসি-র এই চিঠি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মহসিন নকভির বোর্ড থেকে। সেই নির্দেশ পেয়েই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফ্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান নকভি। দু’টি দায়িত্বই সামলান তিনি। সূত্রের খবর, পিসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস উসমান ওয়ালহা তাঁর দলের অধিনায়ককেই জানাননি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর পরেই নাকি ক্ষুব্ধ পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, যিনি আবার বর্তমান এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও, জাতীয় দল ও অধিনায়ক এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য ওয়ালহাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওয়ালহারই নাকি দায়িত্ব ছিল পাক অধিনায়ক সলমন আঘাকে ‘‘নো-হ্যান্ডশেক’’ নীতি জানানোর। কিন্তু তিনি তা জানাননি। পাকিস্তান অধিনায়ককেও দেখে তাই মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু জানেন না। পিসিবির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘টসের সময় ওয়ালহার জানানো উচিত ছিল যখন দুই অধিনায়ক করমর্দন করেননি। তিনি যে ভাবে ওই পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষুব্ধ নকভি।’’

    পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানো অসম্ভব

    পিসিবির এক সূত্রের দাবি, ‘পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। সেটা করলে, জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি পিসিবিকে বড় জরিমানা করতে পারে। সেটা আমাদের বোর্ড হতে দিতে পারবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বোর্ডের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না।’ গত পরশু থেকেই পিসিবি (PCB) একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft)। অভিযোগ ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ (Spirit of Cricket) লঙ্ঘনের। এমনকি, পাইক্রফটকে সরানো না হলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও শুনিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন দাঁড়িয়েছে, যে বয়কট না করলেও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছুটি হয়ে যেতে পারে। পাক শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে পয়েন্ট তালিকা। গ্রুপ এ–তে ভারতের অবস্থান নির্ভেজাল নিরাপদ। শুভমান–সূর্যরা ইতিমধ্যেই সুপার ফোরের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অন্যদিকে ওমানকে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) এখন চাঙ্গা মেজাজে। ফলে আগামী বুধবার দুবাইয়ে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচ কার্যত নকআউট। দুই দলের ঝুলিতেই এখন ২ পয়েন্ট। জয়ী দল ৪ পয়েন্টে নিশ্চিত করবে সুপার ফোরের টিকিট। হেরে যাওয়া টিম ছিটকে যাবে।

    রবিবার ফের ভারতের সামনে!

    মঙ্গলবার আইসিসি অ্যাকাডেমিতে ভারত এবং পাকিস্তানের ট্রেনিং করার কথা। সময় আলাদা হলেও, পরের ম্যাচের জন্য একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সন্ধে ৬টা থেকে রান ৯টা পর্যন্ত ভারতের ট্রেনিং। রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করবে পাকিস্তান। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাকিস্তানের। জিতলে রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিভাগেই সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি সলমন আঘার দল। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য গাভাসকর কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দল এখন পোপটওয়াড়ি দলের (Pakistan Popatwadi team) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মারাঠি ভাষায় পোপট মানে হল টিয়া পাখি আর ওয়াড়ি মানে মাঝারি। গাভাসকর আদতে মুম্বই নিবাসী। মুম্বইয়ের দুর্বল দলকে বলা হয় পোপটওয়াড়ি দল। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ভারত একতরফাভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। ভারত ২৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে পরাজিত করে বর্তমান টুর্নামেন্টে তাদের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে। জবাবে, ভারত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। ভারতীয় বোলারদের পর, ব্যাটাররাও হতাশ করেননি এবং সহজেই লক্ষ্য অর্জন করেন।

    হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক

    হ্যান্ডশেক বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা করেই চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দল ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর পাক বোর্ডকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সরকারি ভাবে বিসিসিআই কোনও বিবৃতি না দিলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্যকুমার যাদবেরা যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “দেখুন, ক্রিকেটের নিয়মে খেলা শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নিয়ে কিছু লেখা নেই। সাধারণত সম্মান জানাতে দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান। বিশ্ব জুড়ে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এর তো কোনও নিয়ম নেই। তা হলে পাকিস্তান কোন ভিত্তিতে অভিযোগ করছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক হত। সূর্যেরা ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, “যদি কোনও নিয়মই না থাকে তা হলে সূর্যেরা একদম ঠিক করেছে। যে দেশের সঙ্গে আমাদের এত খারাপ সম্পর্ক, যে দেশ সব সময় আমাদের খারাপ চেয়েছে তাদের সঙ্গে হাত কেন মেলাব। কোনও রকম সম্পর্ক রাখব না। সূচি অনুযায়ী ভারত খেলেছে। তার বেশি কোনও সম্মান দেখানো হবে না।”

  • Asia cup 2025: রেকর্ডের পর রেকর্ড! এশিয়া কাপে সহজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    Asia cup 2025: রেকর্ডের পর রেকর্ড! এশিয়া কাপে সহজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই দাপটে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ (Asia cup 2025) শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আরব আমিরশাহীর (India vs UAE) বিরুদ্ধে ভারত যে সহজ জয়লাভ করবে, সেই প্রত্যাশা আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু, এতটাও সহজে যে তারা জয়লাভ করতে পারবে, সেকথা ভাবা যায়নি। মাত্র ২৭ বল ব্যাট করেই ম্যাচ জিতেছে সূর্যকুমাররা। শুধু দাপুটে জয় না, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আরও একাধিক নজির গড়েছে ভারত। এশীয় দল হিসাবে টি-২০ ক্রিকেটে নজির গড়েছে টিম ইন্ডিয়া।

    ম্যাচ আপডেট

    এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট তুলে নেন কুলদীপ, মাত্র ৭ রান দিয়ে। অন্যদিকে শিবম দুবে মাত্র ৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। আমিরশাহীকে ৫৭ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। মাত্র ৫৮ রানের টার্গেট ভারত হাসতে হাসতে তুলে দেয়। ওপেন করতে নেমে মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করে অভিষেক। মাত্র ৯ বলে ২০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল।

    ৯৩ বল বাকি থাকতে জয়

    ৯৩ বল বাকি থাকতে এদিন ম্যাচ জেতে ভারত। এশিয়ার (Asia cup 2025) ক্রিকেট খেলা দেশগুলির মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৯০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এশিয়ার কোনও পূর্ণ সদস্য দেশ এত বেশি বল বাকি থাকতে টি-২০ ম্যাচ জেতেনি। সেই রেকর্ড এশিয়া কাপে এসে ভেঙে দিল ভারত। কেবল এশিয়া নয়, বল বাকি থাকতে টি-২০ ম্যাচ জেতার নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রেকর্ডেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। গতবছর ১০১ বল বাকি থাকতে ওমানকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।

    টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে কম বল খেলা

    কোনও টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে কম বল খেলা হওয়ার তালিকাতেও ঢুকে পড়ল বুধবারের ম্যাচ। সবচেয়ে কম বল খেলার নজির রয়েছে ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডস বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। মাত্র ৯৩ বল খেলা হয়েছিল। এদিন ভারত বনাম সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ম্যাচে ১০৬ বল খেলা হয়েছে, রেকর্ডের নিরিখে যা চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম টি-২০ ম্যাচ।

    প্রথম বলেই ছক্কা

    বুধবার ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন অভিষেক শর্মা। টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এই নজির গড়লেন। প্রথম বার এই কাজ করেছিলেন রোহিত শর্মা, ২০২১-এ আহমেদাবাদে আদিল রশিদের বলে। ২০২৪-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিকান্দার রাজার প্রথম বলে ছয় মারেন যশস্বী জয়সওয়াল। এ বছর ইংল্যান্ডের জফ্রা আর্চারের প্রথম বলে ছয় মারেন সঞ্জু স্যামসন।

    কুলদীপের ৪ উইকেট

    এশিয়া কাপের (Asia cup 2025) ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং কুলদীপ যাদবের। বুধবার ৭ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। মাত্র ১৩ বলের ব্যবধানে আউট করেন মুহম্মদ ওয়াসিম, রাহুল চোপড়া, হর্ষিত কৌশিক এবং হায়দা আলিকে। এশিয়া কাপে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ভুবনেশ্বর কুমারের। ২০২২-এ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।

  • Dream11 To BCCI: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে নেই ড্রিম ১১, স্পনসরশিপের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করবে বিসিসিআই

    Dream11 To BCCI: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে নেই ড্রিম ১১, স্পনসরশিপের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করবে বিসিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২৫ পাস হওয়ার পরই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসেবে সরে দাঁড়ালো ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম ড্রিম১১ (Dream11)। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলা এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ঠিক আগেই এই সিদ্ধান্তে সাময়িক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। সূত্রের খবর, নতুন স্পনসরের খোঁজ করতে শুরু করেছে বোর্ড। একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে, এশিয়া কাপের আগে কোনও কোনও সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা না হলে সূর্যকুমার যাদবের দলকে খেলতে হতে পারে টাইটেল স্পনসর ছাড়াই।

    ফ্রি-টু-প্লে সামাজিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম

    নতুন অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ আইনে রিয়েল মানি বা অর্থের বিনিময়ে খেলা অনলাইন গেম নিষিদ্ধ হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। গত ২০ অগাস্ট লোকসভা এবং ২১ অগাস্ট রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিলটিতে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি মিলেছে শুক্রবার। এই আইন কার্যকর হওয়ার পরই ড্রিম১১ তাদের সব পেইড কনটেস্ট বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে, এখন থেকে তারা শুধুমাত্র ফ্রি-টু-প্লে সামাজিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

    কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মতোই চলবে বোর্ড

    বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছেন, “যা অনুমোদিত নয়, আমরা তা করব না। কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি প্রণয়ন করবে, বিসিসিআই তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলবে।” ভারতীয় দলের টাইটেল স্পনসর হিসাবে ২০২৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ‘ড্রিম ইলেভেন’। তিন বছরের জন্য ভারতীয় বোর্ডকে ৩৫৮ কোটি টাকা দিয়েছে তারা। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি হোম ম্যাচে ৩ কোটি এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। চুক্তি কার্যকর থাকার কথা ছিল ২০২৬ পর্যন্ত। কিন্তু নতুন আইনের ফলে সংস্থার আয়ের প্রধান উৎসই এখন বন্ধ। তাদের মূলত মুনাফা হত রিয়েল মানি ফ্যান্টাসি গেমিং থেকে। ফ্যানকোড, ড্রিম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের মতো অন্য সংস্থাগুলো চালু থাকলেও আর্থিক দিক থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে তারা।

    ঝুঁকির কারণে বন্ধ এই অ্যাপগুলি

    অনলাইন এই সমস্ত গেমগুলোতে টাকা পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝুঁকি থাকে। অনলাইনে গেমে বিপুল লেনদেন, প্রতারণা এবং আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে নয়া বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ নামের বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে বসেছে ড্রিম ১১, মাই ১১ সার্কেলের মতো ফ্যান্টাসি অ্যাপগুলি। তাই যে সব জার্সিতে ড্রিম১১-এর লোগো মুদ্রিত হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করা হবে না বলে বিসিসিআই নিশ্চিত করেছে। এখন খুব শীঘ্রই নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বান করবে বোর্ড।

  • Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি যশস্বী জয়সওয়াল এবং শ্রেয়স আয়ারের। দেশের অন্যতম সেরা এই দুই ব্যাটার বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বর্তমান দলে ইনিংস শুরু করতে পারেন এমন তিনজন রয়েছেন—শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। সহ-অধিনায়ক শুভমনের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই। সঞ্জু উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ওপেনারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অভিষেক এবং যশস্বীর মধ্যে। এখানে পিছিয়ে পড়েছেন যশস্বী (Asia Cup)।

    যশস্বীর বাদ পড়া নিয়ে কী বলছেন আগরকর

    এ বিষয়ে আগরকর বলেন, “যশস্বীর না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। তবে অভিষেকের পারফরম্যান্স অগ্রাহ্য করা কঠিন ছিল। আমরা জানি টি-টোয়েন্টিতে ওর পারফরম্যান্স কতটা ভালো। অভিষেক বল করতে পারে, যা অধিনায়কের জন্য একটি বাড়তি বিকল্প। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বসতেই হত।” অর্থাৎ, অভিষেকের অলরাউন্ডার দক্ষতা যশস্বীর থেকে তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। যশস্বীর বল না করতে পারার বিষয়টি তাঁর পক্ষে যায়নি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, যখন অক্ষর পটেলের মতো একজন বাঁহাতি স্পিনার দলে রয়েছেন, তখন আরেকজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন আদৌ আছে কি না। তাছাড়া, আইপিএল ২০২৫-এ যশস্বী ১৪ ম্যাচে ৪৩ গড় এবং ১৫৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৯ রান করেন। এই পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের মন জিততে পারেনি।

    শ্রেয়স বাদ পড়ায় কী যুক্তি দিচ্ছেন আগরকর (Asia Cup 2025)

    শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় আগরকর কোনও যুক্তি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “শ্রেয়সকে দলে না রাখা আমাদের দোষ নয়, আবার ওরও দোষ নয়। কারণ ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখা যায় না। কার জায়গায় ওকে নিতাম?” শ্রেয়স দেশের সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি গত দুই আইপিএলে সফল অধিনায়ক হিসেবেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। ২০২৫ আইপিএলে তিনি ১৭টি ম্যাচে ৫০.৩৩ গড় এবং ১৭৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ৬০৪ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি অর্ধশতরান। এত কিছু সত্ত্বেও জাতীয় দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় বিস্মিত ক্রিকেট মহলের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন ব্যাটারকে আর কী করলে জাতীয় দলে নেওয়া হবে?

    ১৫ সদস্যের স্কোয়াড (Asia Cup 2025)

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ভারতের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড: সূর্য কুমার যাদব (সি), শুভমান গিল (ভিসি), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (ডব্লিউকে), জসপ্রিত বুমরা, আরশদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (ডব্লিউকে), হর্ষিত রানা ও রিঙ্কু সিং। ভারতীয় দল তাদের (Asia Cup) প্রথম ম্যাচ ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে।

  • Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত-কোহলি জমানা অতীত। সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ভারত। প্রত্যাশামতোই ইংল্যান্ড সফরের জন্য টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হল শুভমন গিলকেই (Shubman Gill)। অতীতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। ওয়ান ডে টিমে তাঁকে ডেপুটি করা হয়েছিল। তেমনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রোহিতের ডেপুটি ছিলেন। সেই শুভমন গিলকেই ক্যাপ্টেন করা হল। ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে ঋষভ পন্থকে। টিমে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির। তরুণ ব্রিগেডেই ভরসা রেখেছে কোচ গৌতম গম্ভীর।

    কেন সুযোগ পেলেন না শামি

    মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য শনিবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর পরিষ্কার করে দেন, গত কয়েক মাস ধরেই শুভমনকে (Shubman Gill) ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হল। স্কোয়াডে মহম্মদ শামির জায়গা না পাওয়ার কারণ হিসেবে, ফিটনেস সমস্য়াকেই তুলে ধরেছেন নির্বাচক প্রধান। বলেন, ‘গত কয়েক মাসে প্রচুর চোটে ভুগেছে। আমাদের মনে হয় না, ও পাঁচ ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় রয়েছে। আশা করেছিলাম, কয়েক টেস্ট হলেও পাব। কিন্তু ওর মতো বোলারকে না পাওয়া খুবই কষ্টের।’ ভারত এ টিমে থাকলেও টেস্টের দরজা খোলেনি ঈশান কিষাণের। ঋষভ পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে স্কোয়াডে ধ্রুব জুরেল জায়গা করে নিলেন। টেস্ট টিমের দরজা খুলল বাঁ হাতি তরুণ পেসার অর্শদীপ সিংয়ের। তেমনই প্রত্যাবর্তন হল করুণ নায়ার এবং শার্দূল ঠাকুরের।

    কে কোথায় খেলবে

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে প্রথমেই আসবে যশস্বী জয়সওয়ালের নাম। তবে তাঁর সঙ্গে বাংলার অভিমন্যু নাকি সাই সুদর্শন, কে নামেন সেটাই দেখার। তিন নম্বরে শুভমান গিল, চতুর্থ স্থানে কেএল রাহুল। তারপর আসতে পারেন ঋষভ পন্থ। আবার শুভমন ওপেনিংয়ে গিয়ে সুদর্শনকেও চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে খেলতে পারেন। এরপর আসবেন নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি স্পিনের কাজটিও সামলে দেবেন। পিচ বুঝে ঢুকতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর বা করুণ নায়ার। যিনি সাত বছর পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করলেন। ইংল্যান্ডের পিচে তিন পেসারেই যেতে পারেন গম্ভীর। সেক্ষেত্রে সিরাজ, বুমরা তো থাকবেনই। পরে পেসারদের ‘ওয়ার্কলোড’ বা ফর্ম বুঝে ঢুকতে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ।

    কবে কবে খেলা

    ২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারতের পাঁচ টেস্টের সফর। প্রথম টেস্ট লিডসে। ২ জুলাই থেকে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট। লর্ডসে তৃতীয় টেস্ট হবে ১০ জুলাই থেকে। ২৩ জুলাই থেকে চতুর্থ টেস্ট ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। শেষ টেস্ট ৩১ জুলাই থেকে, ওভালে। এছাড়া ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি টেস্টও খেলবে টিম ইন্ডিয়া।

    ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাডেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণ, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ।

  • Sikkim: প্রথমবার দিন রাতের ম্যাচ সিকিমে, অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট বসানো হল মাইনিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে

    Sikkim: প্রথমবার দিন রাতের ম্যাচ সিকিমে, অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট বসানো হল মাইনিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় ঘেরা সবুজে মোড়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ধর্মশালার পর এবার সিকিম (Sikkim)। রংপোর মাইনিং-এ অবস্থিত সিকিম ক্রিকেট গ্রাউন্ডটি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে অত্যাধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট লাগানো হয়েছে। গত ১৮ মে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। এর ফলে সিকিমে প্রথমবারের মতো দিন রাতের ম্যাচ খেলা হবে। এর ফলে দিন রাতের ম্যাচের লাইভ সম্প্রচারও সম্ভব।

    প্রকল্পের ব্যায় ও সুবিধা

    সিকিম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (SICA) ও সিকিম সরকারের সহায়তায় ১২.২ কোটি টাকা মূল্যের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং চলতি বছর ১৮ এপ্রিল সম্পন্ন হয়। এই ফ্লাড লাইটে চারটি ৪৪ মিটার উঁচু মাস্ট রয়েছে, প্রতিটিতে ৬৪টি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন এলইডি আলো লাগানো রয়েছে। যাতে মোট ২৫৬টি আলো রয়েছে। প্রতিটি আলোর ক্ষমতা ১.২ কিলোওয়াট। এই আধুনিক আলোর ফলে স্টেডিয়ামে আয়োজিত ক্রিকেট ম্যাচ টেলিভিশনে প্রচারিত করতে অসুবিধা হবে না। এই আলোর সূচনা লগ্নে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, মন্ত্রী, বিধায়ক, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অগ্রগতির পথে সিকিম

    এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সিকিম ক্রিকেট অ্যাশোসিয়েশনের সভাপতি টিকা সুব্বা রাজ্য সরকার এবং বিসিসিআই উভয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “সরকারকে ধন্যবাদ, সরকার জানান, শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী মোদি সিকিম সফরে আসবেন। তার আগে রাজ্যকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের বিষয়ে সিকিম সরকার নিশ্চিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে…২৯ মে সম্ভাব্য তারিখ, যদিও এটি এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়।” তার আগে সিকিম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ রাজ্যকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত উত্তেজনার রেশ ফের বাইশ গজে। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) আসন্ন প্রতিযোগিতাগুলি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। ইতিমধ্যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

    কেন সরছে ভারত

    আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় মহিলাদের এমার্জিং এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হতে চলেছে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পুরুষদের এশিয়া কাপের আসর বসবে। এই দুটো টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের শীর্ষপদে রয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসিন নকভি। তিনি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (PCB) চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দল এমন কোনও টুর্নামেন্ট খেলবে না যেটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজন করবে। কারণ এই কাউন্সিলের শীর্ষপদে একজন পাকিস্তানের মন্ত্রী রয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে এসিসি-কে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি। বলে দিয়েছি যে আসন্ন মহিলা এমার্জিং এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এমনকী, ভবিষ্যতেও অন্য টুর্নামেন্টে ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি।’

    ভারত না থাকলে প্রভূত ক্ষতি

    আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যে পুরুষদের এশিয়া কাপে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা খেলতে নামার কথা। গোটা বিষয়টা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিসিসিআই খুব ভালো করেই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন কার্যত দুষ্কর ব্যাপার। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অধিকাংশ স্পনসরই ভারত থেকে আসে। তার উপরে এশিয়া কাপে যদি ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচেরই আয়োজন করা না হয়, তাহলে সম্প্রচারকারী সংস্থাকেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ত্ব আগামী ৮ বছরের জন্য সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির জন্য সোনি পিকচার্সকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যদি এই বছর এশিয়া কাপে ভারত না খেলে, তাহলে এই চুক্তি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।

  • IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরে আবার শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL 2025)। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ। তবে আইপিএল শুরু হলেও মন ভার কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের। আইপিএল ফাইনাল হচ্ছে না ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে। হচ্ছে না কোয়ালিফায়ার ম্যাচও। পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী অবশ্য ইডেনেই ওই দুটো ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত নতুন সূচিতে ইডেনে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। অনেকের মতে, ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির ভালোরকম পূর্বাভাস রয়েছে, তাই বোর্ড কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি।

    কবে থেকে শুরু খেলা

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জানিয়েছে, ১৭ মে, শনিবার থেকে আবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল ৩ জুন, মঙ্গলবার। প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে ২৯ মে, বৃহস্পতিবার। এলিমিনেটর ৩০ মে, শুক্রবার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১ জুন, রবিবার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলির মাঠ জানালেও, প্লে-অফের খেলা কোথায় হবে তা জানায়নি বোর্ড। আইপিএল বন্ধ হওয়ার সময়ই বোর্ড ১০ দলকে জানিয়ে দিয়েছিল, যে সব ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ দেশে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা যেন ভারতে ফিরে আসার জন্য তৈরি থাকেন। বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পেলেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই আশাবাদী বিদেশি ক্রিকেটাররাও নিশ্চিন্তে দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

    কোথায় কোথায় হবে ম্যাচ

    সোমবার ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে টুর্নামেন্টের বাকি ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়। সেখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়, ফাইনাল-সহ টুর্নামেন্টের বাকি সতেরো ম্যাচ হবে ছ’টা শহরে। সেই তালিকায় নেই ইডেন। যে ছ’টা শহরে ম্যাচ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাক্রমে- বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই আর আমেদাবাদ। গ্রুপ পর্বে কেকেআরের আর কোনও ম্যাচ নেই ইডেনে। ফলে কলকাতায় এবারের মতো আইপিএল যজ্ঞ শেষই বলা যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, কেকেআর ১৭ মে খেলবে আরসিবির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে। অজিঙ্ক রাহানের টিমের গ্রুপের শেষ ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে দেওয়া হয়নি। তা হবে দিল্লিতে।

LinkedIn
Share