Tag: Beijing

Beijing

  • Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সমীকরণ। চিনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসতে চাইছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই শ্রীলঙ্কায়ই দেশের বৃহত্তম হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport) গড়ে উঠেছিল চিনের সহায়তায়। বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পেই গড়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরেরই রাশ এবার যৌথভাবে হাতে নিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা।

    ড্রাগনের দেশকে বার্তা! (Sri Lanka)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) যে ক্রমেই নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকছে, ড্রাগনের দেশকে সেই বার্তা দিতেই বিমানবন্দরটির (Hambantota Airport) পরিচালনার রাশ তুলে দেওয়া হল ভারত ও রাশিয়ার দুই কোম্পানির হাতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে শৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) এবং এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়া। এই দুই সংস্থাই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে আগামী তিরিশ বছর।

    হাম্বানটোটা বিমানবন্দর

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের (Hambantota Airport)। এই বিমানবন্দর নির্মাণের সিংহভাগ খরচ দিয়েছে চিন। বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে (Sri Lanka) চড়া সুদে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ড্রাগনের দেশের এক ব্যাঙ্ক। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকেই বিমানবন্দরটি দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও লাভের মুখ দেখেনি বিমানবন্দরটি। বরং যত দিন গিয়েছে, ততই সব চেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দরের তকমা পেয়েছে শ্রীলঙ্কার এই বিমানবন্দরটি। শেষমেশ ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব নিল বিমানবন্দরটি পরিচালনার।

    বিমানবন্দরের বেহাল দশা

    জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থই পরিশোধ করা হবে চিনের ব্যাঙ্ককে। বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল পাঁচটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটিকে। শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র বন্দুলা গুণবর্ধন বলেন, “ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাশিয়ান সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট।” উদ্বোধনের প্রায় পর থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport)। প্রথম দিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। সংখ্যায় কম হলেও, সচল ছিল বিমানবন্দর। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বিমান ওঠানামা। এক সময় বন্ধই হয়ে যায়। ধু ধু প্রান্তরে পরিণত হয় সাজানো গোছানো আস্ত বিমানবন্দর।

    আরও পড়ুুন: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    চিনা ঋণের ফাঁদ

    জানা গিয়েছে, একের পর এক দেশকে ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলছে চিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চিন ঋণ দিয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫টি দেশকে। মার্কিন ডলারের অঙ্কে এর পরিমাণ হল ১.৩৮ ট্রিলিয়ন। চিনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে রাশিয়া। দেনার পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছে ভেনেজুয়েলা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের দেশগুলির অভিযোগ, চিনা ঋণের ফাঁদ আসলে মৃত্যু ফাঁদ।

    আরও পড়ুুন: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    চাইলেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চড়া সুদে ঋণ দেয় বেজিং। দেনা মেটাতে না পেরে যখন ভেঙে পড়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলির অর্থনীতির কোমর, তখনই হাত গুটিয়ে নেয় চিন। উপায়ান্তর না দেখে ড্রাগনের দেশের কাছে সারেন্ডার করে ঋণগ্রস্ত দেশগুলি। এভাবেই একের পর এক দেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রের জলবন্দর হাম্বানটোটার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চিন (Sri Lanka)। সেখান থেকে এই বিমানবন্দরের (Hambantota Airport) দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেদিক থেকে দেখলে, ড্রাগনের দেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল ভারত ও রাশিয়া।

    বিমানবন্দরটির হাল ফেরে কিনা, এখন তা-ই দেখার (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিং (Beijing)-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর (Asia’s billionaire capital) শিরোপা ছিনিয়ে নিল মুম্বই (Mumbai)। সেই সঙ্গে ঢুকে পড়ল আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের প্রথম তিনটি শহরের তালিকাতেও। সম্প্রতি হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ (Hurun Global Rich List 2024) প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে শতকোটি ডলার সম্পদের মালিকের সংখ্যায় বেজিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মুম্বই।

    এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    কেন্দ্রে মোদি (PM Modi) সরকারের হাত ধরে ভারতের অর্থনীতি যে এগোচ্ছে এই তালিকা তার প্রমাণ। হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ অনুযায়ী, রেকর্ড গতিতে উত্থান হয়েছে ভারতের কোটিপতিদের। গতবছরের তুলনায় এই বছর প্রায় ১০০ জন বিলিওনিয়ার বেরিয়েছে দেশ থেকে। আর বেজিং-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই (Mumbai)। বর্তমানে চিনের রাজধানী বেজিংয়ে যখন ৯১ জন বিলিওনিয়ার রয়েছেন তখন ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে বসবাস করছেন ৯২ জন।

    আর্থিকভাবে এগিয়ে মুম্বই

    বিশ্বে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা শহরগুলির মধ্যে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে মুম্বই (Mumbai)। বিশ্বে সবথেকে বেশি বিলিওনিয়ারের বাস নিউ ইয়র্কে। ১১৯ জন কোটিপতির ঠিকানা হল এই শহর। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে লন্ডন (৯৭)। এর পরের স্থানে আছে মুম্বই। এই সাফল্যের সৌজন্যে চিন ও আমেরিকার পর ভারত বিলিওনিয়ারদের তৃতীয়তম স্থানে থাকা দেশ। ভারতের ধনকুবেরদের মধ্যে শীর্ষে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। যাঁর মোট সম্পদের মূল্য ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ-সহ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। মাত্র এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষেই তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চড়ছে পারদ

    দিল্লির রেকর্ড

     নয়াদিল্লিও ইতিহাসে প্রথমবারের মতন ঢুকে পড়েছে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের টপ ১০টি শহরের মধ্যে। সেখানে প্লাম বিচ, ইস্তানবুল, মেক্সিকো সিটি এবং মেলবোর্ন স্থান পেয়েছে প্রথম ৩০টি শহরের মধ্যে। গত বছরের তুলনায় মুম্বইয়ের সম্পদ যেখানে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে বেজিং-এর কমেছে ২৭ শতাংশ। এই বছর চিনে যেখানে ৫৫ জন নতুন বিলিওনিয়ার উঠে এসেছেন সেখানে ভারত সাক্ষী থেকেছে নতুন ৯৪ জন বিলিনিয়ারের উত্থানের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল। মাঝে কোভিড এর কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভারত। বেজিং থেকেই চিনকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    সেনা সরানোর দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।”  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত নিয়ে বুধবার বেজিংয়ে ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    ২০২০ সালের মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’ সক্রিয় করা হয়। একাধিকবার দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছুটা বরফ গললেও স্থায়ী সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের সমাধান না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকত্ব ফিরবে না। যদিও চিনের বরাবরের দাবি, সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। অবশেষে বহুবার আলোচনার পর লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষ। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে চিন (China Covid)। শি জিনপিং- এর ‘জিরো কোভিড পলিসি’, তাঁর বিরুদ্ধে দেশের জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। বন্দিদশায় আর থাকতে চান না চিনা নাগরিকরা। রাজপথে ‘হয় স্বাধীনতা দাও, না হলে মৃত্যু” শ্লোগান তুলেছেন দেশের তরুণরা। জিংজিয়াং, বেজিং সর্বত্রই একই ছবি। বিক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে চিন প্রশাসন। এই বিক্ষোভের প্রথম সারির মুখ তরুণ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভের আগুনে জল ঢালতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    শেষ কয়েক দশকে এই প্রথম বারের মতো চিনের (China Covid) কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। চিনের হাজার হাজার মানুষ চিনা কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ‘গদি ছাড়া’র দাবি তুলেছে। তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। চিনের জনতাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রশাসন। শি জিনপিং- এর পদত্যাগ দাবিতে সরব হয়েছে চিনের নাগরিক। 

    তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা, কড়া লকডাউন বিধির ভার, কঠোর সেন্সরশিপ এবং সব কিছুর উপর কমিউনিস্ট পার্টির হস্তক্ষেপ—এই সব থেকেই মুক্তির দাবি তুলেছেন সে দেশের মানুষ। এদের মধ্যে তরুণ-যুব পড়ুয়াদের সংখ্যাই বেশি। স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে যেন অনেকটা সাহস বুকে ভর করে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের তরুণ প্রজন্ম।  তাই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে চায় জিনপিং (China Covid) প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    সাধারণ মানুষের (China Covid) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।

    সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Covid)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ইতিমধ্যেই সে দেশের সমস্ত বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China: বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    China: বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল ড্রাগনের দেশ। বর্তমানে সেটাই কাল হয়েছে চিনের। এক সময় যে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল তারা, সে সব দেশেই আক্রান্ত হচ্ছে চিন।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো যেসব দেশ চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে, সেসব দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন চিনা নাগরিকরা। গত মাসে পাকিস্তানে হামলায় অন্তত তিনজন চিনা নাগরিক খুন হন। ২৬ এপ্রিল বোরখা পরা বালুচ লিবারেশন আর্মির আত্মঘাতী বাহিনীর এক সদস্যের হামলায় নিহত হন তিন চিনা শিক্ষক। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একটি যাত্রিবাহী বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে মারা যান তাঁরা। ওই ঘটনায় জখমও হন এক চিনা নাগরিক। এই বালুচ লিবারেশন আর্মি চিন পাকিস্তান ইকনমিক করিডর নির্মাণের ঘোরতর বিরোধী। তার প্রমাণ ২০২১ সালের একটি ঘটনা। ওই বছর পাকিস্তানের ডাসু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন ৯ জন চিনা প্রযুক্তিবিদ। ওই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ওই বছরেরই শেষের দিকে অপ্রয়োজনীয় চেক পয়েন্ট অপসারণের দাবি এবং চিনা মাছ ধরার ট্রলার দেওয়ার বিরোধিতায় গদর এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। করিডরের বিরোধিতা করেও সংগঠিত হয়েছিল ব্যাপক আন্দোলন।

    অন্য একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহেন্দ্র রাজাপক্ষে চিনপন্থী। কিছুদিন আগেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। এর পরেই শ্রীলঙ্কায় কর্মরত চিনা নাগরিকদের সতর্ক করে দেয় ড্রাগন প্রশাসন।

    আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    শ্রীলঙ্কাবাসীর সিংহভাগই মনে করে চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে দেশকে টেনে তুলতে বেজিংয়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অভিযোগ, সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বেজিং। তাতেই আরও ক্ষোভ বেড়েছে কলম্বোর। যার জেরে চিনা নগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন ড্রাগন প্রশাসন।

     

  • Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা না মেলায় চিনে (China) যেতে না পারার ফলে সেদেশে  আগে থেকে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian students) ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে চিনকে বারবার বলেও লাভ হয়নি। এবার পাল্টা পদক্ষেপ করল ভারত (India)। চিনা নাগরিকদের (Chinese Citizens) পর্যটক ভিসা (Tourist Visa) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। 

    আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সবকটি সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তর কথা জানিয়ে দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএটিএ (‌‌IATA)।
     
    চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (chinese university) পড়াশোনা করে প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় ছাত্র। ২০২০ সালের প্রথমে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় চিন। এর পর থেকে তাঁদের আর সেদেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফলে এই পড়ুয়াদের শিক্ষা থমকে যাচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আইএটিএ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ‘‌চিনের নাগরিকদের যে পর্যটন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে।’‌ তাই এখন থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, মলদ্বীপের নাগরিকরাই শুধু ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। ভারত যাঁদের রেসিডেনশিয়াল পারমিট দিয়েছে,নয়তো ভিসা বা ই–ভিসা দিয়েছে, যাঁদের ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া কার্ড (‌OCI card)‌ রয়েছে বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত (PIO) বা কূটনৈতিক ছাড়পত্র রয়েছে,তাঁরাই ভারতগামী বিমান চাপতে পারবেন।

    আইএটিএ এ-ও বলেছে, যেসব চিনা নাগরিককে ১০ বছরের পর্যটন ভিসা দিয়েছিল ভারত,তাঁদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভারতীয় পড়ুয়াদের সে দেশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখছে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সদুত্তর দেয়নি। ভারত এখনও আর্জি জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের কথা ভেবে যেন সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে একটি বৈঠকের সময় এই নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে তাজিকস্তানের রাজধানী শহরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, তারপরও সমস্যা একচুলও মেটেনি। আর, সেই কারণেই যে বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। তবে, চিন বাদে নতুন করে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করা হয়নি।

     

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

LinkedIn
Share