Tag: Bengal BJP

Bengal BJP

  • Bengal BJP: ঠিকানা বদল! মুরলীধর সেন লেন থেকে সল্টলেক যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য দফতর

    Bengal BJP: ঠিকানা বদল! মুরলীধর সেন লেন থেকে সল্টলেক যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে নতুন ঠিকানা বঙ্গ বিজেপির। ৬ মুরলিধর সেন লেন থেকে বিজেপি রাজ্য দফতরের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। চলতি জানুয়ারি মাসের শেষর দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বিজেপির নয়া অফিসের উদ্বোধন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে নিউটাউনে জমি কিনে ঝা চকচকে আধুনিক রাজ্য অফিস বানানোর আগে পর্যন্ত আপাতত সেক্টর ফাইভেই ভাড়া বাড়ি নিয়ে রাজ্য বিজেপি দফতর শুরু করা হবে।

    স্মৃতি বিজড়িত পুরনো অফিস

    বিজেপির রাজ্য দফতরের ঠিকানা বদলের পরিকল্পনা নতুন নয়। আসলে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের (Murlidhar Sen Lane) পুরনো বাড়িতে জায়গার বড় অভাব। রাজ্য নেতাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর বরাদ্দ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা এলে তাঁদেরও পর্যাপ্ত স্থান দেওয়া যাচ্ছে না। হেভিওয়েট নেতারা রাজ্যে এলে তাঁদের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য হয় কোনও হল ভাড়া নিতে হচ্ছে, না হলে হোটেলের ঘরেই কাজ সারতে হচ্ছে। তাই বহু স্মৃতি, বহু আড্ডাকে পিছনে ফেলে রেখে মুরলীধর সেন লেনের পুরনো দলীয় কার্যালয় ছাড়তে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। মুরলীধর সেন লেনের বাড়ির সঙ্গে বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিজেপির। ১৯২৫ সালে এই বাড়িটি ভাড়া নেয় জনসংঘ। তারপর জনতা পার্টি। এবার ভাড়া বাড়ি থেকে স্থায়ী ঠিকানার খোঁজে গেরুয়া শিবির। তবে মুরলীধর সেন লেনের বাড়িটি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হবে না। এটা হবে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির দফতর।

    আরও পড়ুন: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    জানা গিয়েছে, নিউটাউনে স্থায়ী ভবন তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই মর্মে সঠিক জমি খোঁজার কাজও চলছে। তাই আপাতত সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে নতুন অফিস ভাড়া নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। আগামী, ১৫ জানুয়ারির পরই স্বাস্থ্য ভবনের পাশে ভাড়া নেওয়া ওই জায়গায় বিজেপির কার্যালয় স্থানান্তরিত হতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে একটি স্থায়ী ঠিকানা করার পরিকল্পনা করছিল। শুধু তাই নয়, জেলায় জেলায় স্থায়ী পার্টি অফিস তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই মতো কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই তা হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা পেতে কিছুটা দেরি হবে বলেই আপাতত সল্টলেকে অস্থায়ী ঠিকানায় নিয়ে আসা হচ্ছে কার্যালয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুক্রবার। এদিন বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সফরকে ঘিরে সাজো সাজো রব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে হাতিয়ার করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। তাতে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে লেখা ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’।

    মোদি মানেই…

    কেন এভাবে প্রচার? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মোদি মানেই উন্নয়ন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। নানা কারণে বাংলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন। মোদি যদি মিস্টার ক্লিনের প্রতীক হন, তবে রাজ্য সরকারের গায়ে লেগেছে কেলেঙ্কারির পাঁক। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার। তিনি এখনও বন্দি রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। বন্দিদশা ঘোঁচেনি তাঁরও। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে বঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্যাশ করতেই দলের তরফে এহেন উদ্যোগ।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের। এদিনই উদ্বোধন করবেন জোকা-তারাতলা মেট্রো রেলের। এছাড়া নমামি গঙ্গার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের দুপাশে যেসব হোর্ডিং, ফেস্টুন লাগানো হবে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশেই থাকবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, তা স্থির করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিজেপির বঙ্গ শিবির। বৈঠকে সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য প্রমুখ। এই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, আমি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম জানাতে যাব। তবে কোথায়, সেটা দলই ঠিক করব।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ নাড্ডার! বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের সাংসদদের

    Bengal BJP: সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ নাড্ডার! বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর ২০২৪ লোকসভা ভোট। এই দুই নির্বাচনে ভাল ফল করার লক্ষ্যে সোমবার দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সব সাংসদদের ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোমবার রাতের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, শান্তনু ঠাকুর-সহ উপস্থিত ছিলেন বাংলার সব সাংসদেরা।  বিজেপি সূত্রে খবর, দলগতভাবে গেরুয়া শিবির রাজ্যে কোন পথে এগোবে, সেই নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী ভোটগুলোয় যাতে বিজেপি ভাল ফল করতে পারে, তার দিকে লক্ষ্য রেখেই আলোচনা হয়।

    বৈঠকে শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বহু নেতার উপরে অনেক মামলার চাপ রয়েছে। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলায় জড়িয়েছেন জেলা স্তরের নেতা থেকে বুথকর্মীরা। সে সব মামলা লড়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাহায্য চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লিতে দলের এ রাজ্যের সাংসদদের বৈঠকে হাজির হয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সংসদে অধিবেশন চলায় এখন বাংলার বিজেপি সাংসদেরা সকলেই দিল্লিতে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাড়িতে হওয়া ওই বৈঠকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি বলেই জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ শাহী দরবারে শুভেন্দু, সুকান্তরা! দেখা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও

    নাড্ডার পরামর্শ

    দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল ছাড়াও ছিলেন এই রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং আশা লকড়া। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানান। কী কী সমস্যার মুখে দলকে পড়তে হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য সাংসদেরাও। সকলের কথাই মন দিয়ে শুনেছেন নাড্ডা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে রাজ্য বিজেপিকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সব বিরোধ মিটিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করার পরামর্শও দেন। যেখানে যত বিক্ষুব্ধ নেতা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং ক্ষোভের কারণ জানারও পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একইসঙ্গে বলেছেন, পরিষদীয় দল তথা বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে কাজ করতে হবে। নিয়মিত ভাবে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক এবং সাংসদদের একসঙ্গে বসার উপরেও জোর দিয়েছেন নাড্ডা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: আজ শাহী দরবারে শুভেন্দু, সুকান্তরা! দেখা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও

    Bengal BJP: আজ শাহী দরবারে শুভেন্দু, সুকান্তরা! দেখা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য বিজেপির সভাপতির সঙ্গে শাহী বৈঠকে বঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি রাজ্যে সিএএ লাগু নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। কয়লাপাচার,গরুপাচার থেকে আবাস দুর্নীতি, একশো দিনের প্রকল্প। সব নিয়েই কথাবার্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি এদিন রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনা নিয়ে দিল্লিতে দরবার করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সে বৈঠক থাকলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সময় হলে সে বৈঠক হতে পারে। আবাস যোজনার বরাদ্দ এসে পৌঁছনোর পর থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহপ্রাপকদের তালিকা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। আর সেই কাজ শুরু হতেই সামনে আসছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কোথাও চারতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম থাকছে তৃণমূল উপপ্রধানের স্ত্রীয়ের, কোথাও আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কপালে জুটছে হুমকি। মাটির বাড়িতে বসবাস করলেও আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেও ওয়েব পোর্টাল চালু করা হোক। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীরা এই আবেদনও করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে  আবেদন করে  প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি সম্মানের মতো পোর্টাল চালু করে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদনের ব্যবস্থা করার কথাও বলতে পারেন পদ্ম শিবিরের দুই নেতা। পাশাপাশি পুরনো তালিকা বাতিল করার দাবিও জানানো হতে পারে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে আবাস তালিকায় দুর্নীতি! বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল পুরুলিয়া-বাঁকুড়া

    সব মিলিয়ে বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দিল্লির দরবারে বাংলার পদ্ম শিবিরের দুই প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই সফর নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে তরজাও চলছে। এই বৈঠকের দিকে নজর রাখছে শাসকদল তৃণমূলও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: লক্ষ্য পঞ্চায়েত! দিল্লিতে বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির নেতারা

    Bengal BJP: লক্ষ্য পঞ্চায়েত! দিল্লিতে বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট(Panchayat Election)। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ সুভাষ সরকারের বাড়িতে এই বৈঠকে থাকবেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ রাজ্যের সব সাংসদরা। থাকবেন শুভেন্দু অধিকারীও। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে।

    বৈঠকের বিষয় 

    বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ১৬ জন দলীয় সাংসদের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বিএল সন্তোষ এবং দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও মঙ্গল পাণ্ডে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে শুভেন্দু-সুকান্তর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে শুভেন্দুদের।  সেই বৈঠকে ১০০ দিনের কাজের পোর্টাল চালুর আবেদন জানানো হতে পারে। প্রকৃত অর্থে ১০০ দিনের কাজ করলে তাদের দ্রুত পারিশ্রমিক প্রদানের আর্জিও জানানো হতে পারে। পাশাপাশি কিষাণ সম্মান নিধির আদলে কৃষকদের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছনোর দাবি,জানানো হতে পারে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুঠ করে রাজ্যের অর্থনীতি চলছে।”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    আমজনতার কাছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলার ব্যাপারেও চলতে পারে আলোচনা। গতবারের জেতা আসন ও জেতার সম্ভাবনা ছিল এমন বুথ কমিটি নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে। পঞ্চায়েত ভোটে সাংসদদের দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদদের নিজের নির্বাচনি এলাকায় প্রচারে নামানো এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিশ্চিত করার ভার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তুলে দিতে চলেছেন সাংসদদের ওপর। তবে এই কৌশলে কতদূর কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরেই। কারণ সংসদীয় দলের সঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক নেতাদের সমন্বয়ের অভাব নিয়ে একাধিকবার চর্চা হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • JP Nadda: অমিত শাহের পর জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: অমিত শাহের পর জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের (Amit Shah) সফরের পর রাজ্যে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। অন্তত তেমন একটা সম্ভাবনার আভাস মিলেছে রাজ্য বিজেপি (West Bengal BJP) সূত্রে। গতমাসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছিলেন সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নিজেই আগামী জুনে রাজ্যে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষের কাছে। 
     
    মে মাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই জুনে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির বাংলায় আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ইঙ্গিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই রাজ্যে আসবেন সর্বভারতীয় সভাপতি।

    ৫ মে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফের দফতর ঘুরে দেখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গে যাবেন। শিলিগুড়িতে সভা রয়েছে শাহের। ৬ তারিখ কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সাংসদ-বিধায়করা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন, বিজেপির জেলা সভাপতিরা। সেদিন রাতেই দিল্লি ফিরে যাবেন অমিত শাহ।

    মে মাসের শুরুতে অমিত শাহ, জুনে জেপি নাড্ডা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না হওয়ায় এবার সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি। প্রাথমিক লক্ষ্য, ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করা। পাশাপাশি মমতা (Mamata) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে চাইছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে কারণেই পরপর দু’মাসে দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্য সফর।

     

  • BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (BJP Youth wing) বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ী। স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teachers recruitment scam) প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বিজেপি। কর্মসংস্থানের দাবি তুলে এবং পুলিস নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

    প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের (heatwave) মধ্যেও মঙ্গলবার দলের যুব মোর্চার তরফে বিকাশ ভবন অভিযান শুরু হয়। কলকাতা ও সল্টলেকের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের  পাশাপাশি লাগোয়া জেলাগুলি থেকেও বিজেপির বহু কর্মী এসে ভিড় জমিয়েছিলেন করুণাময়ী চত্বরে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির মিছিলে যোগ দেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP Youth national President) তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya), মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছিলেন দলীয় নেত্রী তথা মহিলা বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

    বিকাশ ভবনের আগেই যুব মোর্চা কর্মীদের মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বিকাশ ভবনের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল। যুব মোর্চা কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের তুমুল বচসা শুরু হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

    এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP State President)। সুকান্ত মজুমদার বলেন,  কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বহু পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। নবান্নের ১৪ তলায় বসে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পুলিস-সিআইডি সবটা জেনেও চুপ করে বসেছিল। কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের দয়ায় ‘বেঁচে’ রয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal) নিশানা করেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা কথা ঢাকতে গিয়ে উনি আর একটা মিথ্যা কথা বলছেন। এবার বললেন, ৪০ লক্ষ চাকরি হয়েছে! কোথায় চাকরি? শ্বেতপত্র বার করুন। আমরা খুশি হব। চাকরি কেউ পাচ্ছে না। যারা যোগ্য, তারা ওই গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশন করছে। আর যারা অযোগ্য, তারা টিএমসির সাপোর্টার, পিছনের দরজা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”

     

  • Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন  (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম। 

    কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।

    জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।

    এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’

    জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।

    “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

  • Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র একের পর এক প্রকল্প চালু করছে। উপকৃত হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে যাচ্ছে মমতার (Mamata) সরকার। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central projects) বিরুদ্ধেই বিষোদগার করছে। যার ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। যুক্তি দিয়ে এভাবেই তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের ভ্রান্ত সমালোচনার বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে জনগণের কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি চালু করার দাবি— এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার জানান, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পকে মেনে নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় মানুষ বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গে ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু রাজ্যের বাধায় তা কাজে আসেনি। এরাজ্যের সরকার আজ না হয় কাল এই প্রকল্পে যোগদান দিতে বাধ্য হবে বলেই মত তাঁর। এর পিছনে যুক্তিও দেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়ে তিনি বলেন, “মানুষ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এই বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কও হতে দিচ্ছে না।” একে স্বাস্থ্যসাথী না বলে অস্বাস্থ্য সাথী বা ব্যর্থ সাথী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

    এই কার্ড নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যেভাবে নাজেহাল হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ফুঁসে উঠছেন, তার জন্য সরকারি দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষকেই দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হবেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    এর পাশাপাশি, মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ১১ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ নিয়ে। তিনি জানান, কেন্দ্র গোটা দেশজুড়েই আয়ুষ্মান ভারত ওয়েলনেস সেন্টার (Ayushman Bharat Wellness Centre) খুলছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এখানেও কোন অভিসন্ধি নিয়ে তৃণমূল সরকার হাঁটতে চলেছে তা প্রকাশ্যে এনেছেন সুকান্ত। প্রকল্পটির নাম বদলে রাজ্য নাম দিয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পিছনে আর এক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তারাও সতর্ক থাকছে। দুর্নীতি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। দরকারে খোলা রাখা হচ্ছে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে যাওয়ার রাস্তা। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টির প্রতি কড়া নজর রাখতে। 

    এরই পাশাপাশি জ্বালানি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর (Fuel cess) কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) দিতে হবে।

LinkedIn
Share