Tag: Bengal

Bengal

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনার জন্যই চিঠি লেখা হয়েছে তাঁকে।

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, দিনের পর দিন এই দুর্নীতি চলছে। একশো দিনের কাজ দিয়ে গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনও কাজ না দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ভুল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাঁচ পাতার ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নথিতে রাজ্য সরকার দেখিয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ ও অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় ইয়াস, আমপান এবং অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলিকে দেখিয়ে দাবি করা হয় একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই সে সব গাছ রোপণ করা হয়েছে। কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র, জয়নগর-২ ব্লক সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুন : এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এই দুর্নীতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে টাঁকশালে পরিণত করেছেন।গরিব চাকরি প্রার্থীদের হয় টাকা দেওয়া হয়নি, নয় তো জব কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতারা। ওই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। বদলে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তদারকি করতে গেলে রাতারাতি সেসব নামের ফলক, সাইনবোর্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে করা হয়েছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকার বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন শুভেন্দু।

     

  • Ranji Trophy: ভাঙল ১২৯ বছরের রেকর্ড! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনন্য কীর্তি বাংলার

    Ranji Trophy: ভাঙল ১২৯ বছরের রেকর্ড! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনন্য কীর্তি বাংলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ২০২১-২২ এর কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় দিনে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে অনন্য কীর্তি গড়ে তুলল বাংলার ছেলেরা। রঞ্জি ট্রফির প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ৯ ব্যাটারই পঞ্চাশ বা তাঁর বেশি রান করেছেন। ১৮৯৩ সালে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ইংল্যান্ড সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের প্রথম ৮ ব্যাটার সকলেই ৫০-র বেশি রান করেছিলেন। এবার সেই রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল বাংলা। প্রথম ৯ ব্যাটারই পঞ্চাশের বেশি রান করলেন।

    আরও পড়ুন:আজ শুরু ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ সিরিজ, নজরে কারা?

    অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অভিষেক রমণ দুজনেই ধীরগতিতে খেলতে শুরু করলেও পরে সুদীপ ঘরামি (Sudip Kumar Gharami) ও অনুষ্টুপ মজুমদার দুজনেই শতরান করেন। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সুদীপ ঘরামী। ১৮৬ রান করেন তিনি। অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar) করেন ১১৭ রান। এর পাশাপাশি আরও ৭ ব্যাটার অর্ধশতরান করেন। অভিষেক রমণ (Abhishek Raman) ৬১, অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ৬৫, মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) ৭৩, অভিষেক পোড়েল (Abhishek Porel) ৬৮, শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) ৭৮, সায়নশেখর মণ্ডল (Sayansekhar Mondal)  ৫৩ রান এবং আকাশদীপ (Akash Deep) ৫৩ রান করেন। তিনি আটটি ছক্কা মারেন। আকাশ দীপের দুর্দান্ত পারফরমেন্স এদিন সবার নজর কেড়েছে। আকাশ দীপ ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে ৫৩ রান করেন। সায়ন ৫৩ রানের পর ৩টি উইকেট নিতে পেরেছেন ও বাকি দুটি উইকেট নেন শাহবাজ। এদিন বাংলা, কোয়ার্টার ফাইনালে সাত উইকেট হারিয়ে ৭৭৩ রান করে। 

    আরও পড়ুন: জোড়া গোল সুনীল ছেত্রীর, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জয় ভারতের

    আগামী ১৪-১৮ জুনের মধ্যে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আর ২২-২৬ জুন  রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে (Chinnaswamy Stadium) আয়োজন করা হবে। তবে এবারের রঞ্জি ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে বাংলার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আর সেদিকে তাকিয়েই দেশের মানুষ।

     

     

  • Monsoon: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    Monsoon: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে কেরালায় (Kerala) প্রবেশ করল বর্ষা (Monsoon)। রবিবার, ২৯ জুন কেরালায় পৌঁছে গেল দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (southwest monsoon)। সাধারণ ভাবে ভারতে বর্ষা ঢোকার দিন হিসেবে জুন মাসের ১ তারিখকেই ধরা হয়। তবে সব সময় দিনক্ষণ মেনে বর্ষা আসে না। সে চলে তার মর্জিতে। বঙ্গোপসাগরের উপরে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভর করে বর্ষা আসে। কখনও সে তিথি মেনে ঢোকে। কখনও অপেক্ষা করিয়ে রাখে। কখনও আবার সময়ের আগেই এসে হাজির হয়।

    মৌসম ভবনের রেকর্ড বলছে, গত ১০ বছরে ১ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছে দু’বার। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে প্রায় এক সপ্তাহ দেরি করে বর্ষা এসেছে। আবার মে মাসেই বর্ষা চলে এসেছে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে। শেষ ২০১৮ সালে ২৯ মে বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। যেমনটি এ বার হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

    চলতি বছর আগেই আন্দামানে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তখনই ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়ে দেয দেশেও তাড়াতাড়ি বর্ষা চলে আসবে। সেই পূর্বাভাস মেনেই কেরলে বর্ষার প্রবেশ ঘটল। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (‌আইএমডি)‌–র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, রবিবারই উপসাগর থেকে ভারতের স্থলভাগে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কেরালায় বর্ষা আগে ঢুকেছে তাই সারা দেশেই এর কম-বেশি প্রভাব পড়বে। তবে কি বাংলাতেও বর্ষা আগেই আসবে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনই মেলেনি। আবহাওয়া দফতর এখনও নিশ্চিত নয়, যে কেরালায় বর্ষা আগে এসেছে বলে দেশের বাকি অংশেও আগেই আসবে। 

    বাংলায় সাধারণত বর্ষা ঢোকে উত্তরবঙ্গ হয়ে। প্রথমে উত্তরবঙ্গ তার পর ধীরে ধীরে এগোয় দক্ষিণবঙ্গের দিকে। ৮ থেকে ১০ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এ বছর একটু আগে আগেই পৌঁছে যাচ্ছে সর্বত্র। যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে বাংলায় এক সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা চলে আসবে।

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

LinkedIn
Share