Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    Rajasthan: সত্যিই বইত সরস্বতী! ঋগ্বেদে উল্লিখিত নদীর হদিশ পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলল ঋগ্বেদে উল্লিখিত সরস্বতী নদীর! ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) রাজস্থানের দীগ জেলার বাহাজ গ্রামে ২৩ মিটার গভীরে একটি পুরানো নদীধারা (এএসআইয়ের ভাষায়, পালিওচ্যানেল) খুঁড়ে বের করেছে। ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একাংশ একে ঋগ্বেদে উল্লিখিত (Rajasthan) পৌরাণিক সরস্বতী নদী বলে উল্লেখ করেছেন। খনন কার্য শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। শেষ হয় চলতি (Saraswati River) বছরের মে মাসে। এই খনন কার্যের ফলে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ে এই নদীর তীরে জনবসতিরও প্রমাণ মিলেছে।

    সরস্বতী অববাহিকা (Rajasthan)

    এখানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তার অধিকাংশই কুষাণ, মগধ এবং শুঙ্গ রাজবংশের সময়ের। এদের মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল পালিওচ্যানেলটি। এএসআইয়ের জয়পুর বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট বিনয় গুপ্ত বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “এই প্রাচীন নদী ব্যবস্থা প্রাথমিক মানব বসতিগুলিকে পুষ্টি জুগিয়েছিল এবং বাহাজকে বৃহত্তর সরস্বতী অববাহিকা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছিল।” পালিওচ্যানেলটিকে একটি অভূতপূর্ব আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চলে প্রাচীন জল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে একটি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল।”

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা

    মথুরা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বাহাজ গ্রাম। এই জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংস্কৃতিমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাটির খুঁটি সহ আবাসিক কাঠামোর অবশিষ্টাংশ, প্রাচীরযুক্ত খাত, চুল্লি এবং নানা ধরণের লোহা ও তামার নিদর্শন। ইতিহাসবিদদের মতে, মাইক্রোলিথিক সরঞ্জাম বা ক্ষুদ্র পাথরের যন্ত্রপাতি থেকে বোঝা যায় যে এই বসতির শেকড় প্রাক-হোলোসিন যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত (Rajasthan)। গত মাসে দীগে এক প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী চলাকালীন গুপ্ত বলেন, “চুল্লি ও ধাতব বস্তু আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যায়, এখানকার বাসিন্দারা ধাতুবিদ্যায় যথেষ্ট উন্নত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।”

    খননকারী দলের খুঁজে পাওয়া আধ্যাত্মিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫টি যজ্ঞকুণ্ড, শক্তি উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত মানতের জলাধার এবং শিব ও পার্বতীর টেরাকোটার মূর্তি, যেগুলির ইতিহাস কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত। পুরাতত্ত্ববিদরা চারটি সিলও খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ব্রাহ্মী লিপিতে (Saraswati River) খোদাই করা। এগুলিকে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন বলে মনে করা হয়। গুপ্ত বলেন, “বাহাজের এই খননকার্য ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে ফের লেখার দাবি রাখে (Rajasthan)।”

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • Ramakrishna 391: নরেন্দ্রের উপর যত ব্যাকুলতা হয়েছিল এর উপর (ছোট নরেনের) তত হয় নাই

    Ramakrishna 391: নরেন্দ্রের উপর যত ব্যাকুলতা হয়েছিল এর উপর (ছোট নরেনের) তত হয় নাই

    ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন। রাখাল এখন দক্ষিণেশ্বরে আসেন না। কয় মাস বলরামের সহিত বৃন্দাবনে ছিলেন। ফিরিয়া আসিয়া এখন বাটিতে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – রাখাল এখন পেনশন খাচ্ছে। বৃন্দাবন থেকে এসে এখন বাড়িতে থাকে। বাড়িতে পরিবার আছে। কিন্তু আবার বলেছে হাজার টাকা মাহিনা দিলে ও চাকরি করবে না। এখানে শুয়ে শুয়ে বলত, তোমাকেও ভালো লাগেনা। এমনই তার একটি অবস্থা হয়েছিল।

    ভবনাথ বিয়ে করেছে কিন্তু সমস্ত রাত্রি স্ত্রীর সঙ্গে কেবল ধর্মকথা কয়। ঈশ্বরের কথা নিয়ে দুজনে থাকে, আমি বললাম পরিবারের সঙ্গে একটু আমোদ আহ্লাদ করবি। তখন রেগে রোক করে বললে কি আমরাও আমদ আহ্লাদ নিয়ে থাকব।

    ঠাকুর এইবার নরেন্দ্রের কথা কহিতেছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ ভক্তদের প্রতি- কিন্তু নরেন্দ্রের উপর যত ব্যাকুলতা হয়েছিল এর উপর (ছোট নরেনের) তত হয় নাই।

    (হরিপদর প্রতি)- তুই গিরিশ ঘোষের বাড়ি যাস?

    হরিপদ- আমাদের বাড়ির কাছে বাড়ি প্রায় যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- নরেন্দ্র চায়

    হরিপদ- আজ্ঞে হ্যাঁ। কখন কখন দেখতে পায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- গিরিশ ঘোষ যা বলে তাতে ও কি বলে।

    হরিপদ- তর্কে হেরে গেছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আসে বললে, গিরিশ ঘোষের এখন এত বিশ্বাস। আমি কেন কোন কথা বলবো।

    জজ অনুকূল মুখোপাধ্যায় জামাইয়ের ভাই আসিয়াছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ- তুমি নরেন্দ্র কে জানো?

    জামাইয়ের ভাই- আজ্ঞে হ্যাঁ নরেন্দ্র বুদ্ধিমান ছোকরা।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)- ইনি ভালো লোক। যে কালে নরেন্দ্রের সুখ্যাতি করেছেন, সেদিন নরেন্দ্র এসেছিল। ত্রৈলোকের সঙ্গে সেদিন গান গাইলে কিন্তু ও গানটি সেদিন আলুনি লাগলো।

  • JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল (Result 2025) ঘোষণা করল জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি, সংক্ষেপে জোসা (JoSAA)। আজ, ২৫ জুন ঘোষণা হয় ফল। আইআইটি এবং এনআইটি আসনে ভর্তির ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

    জোসা (JoSAA)

    শিক্ষামন্ত্রক ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য যৌথ আসন বরাদ্দ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জোসা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের ২৩টি আইআইটি, ৩১টি এনআইটি, আইআইইএসটি শিবপুর, ২৬টি আইআইআইটি এবং ৪৭টি অন্যান্য-সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রদত্ত অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের জন্য একটি সিঙ্গল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

    অনলাইনে শুরু ফি জমা

    জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বণ্টনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর আবেদনকারীরা এদিনই বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে ফি জমা দেওয়া, নথি আপলোড করা এবং রেসপন্স করতে পারবেন। আবেদনকারীরা ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসা আসন বণ্টন প্রক্রিয়া থেকে আসন প্রত্যাহার ও প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার কাজ শুরু করতে পারবেন। রবিবার ২৯ জুনের মধ্যে প্রার্থীদের দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দের জন্য ফি দিতে হবে। আসন প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার শেষ দিন ১ জুলাই।

    কীভাবে দেখবেন ফল

    জোসা ২০২৫ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল, কীভাবে দেখবেন? অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান – জোসা.এনআইসি.ইন। হোমপেজে ক্যান্ডিডেট অ্যাক্টিভিটি বোর্ড-এ যান (JoSAA)। রাউন্ড ২ সিট অ্যলোটমেন্ট রেজাল্ট লিংকে ক্লিক করুন। আপনার জেইই মেইন ২০২৫ এর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি পিন দিন। সমস্ত তথ্য জমা দিন। আপনার আসন বরাদ্দের ফল স্ক্রিনে দেখানো হবে। নির্বাচিত হলে বরাদ্দ অর্ডারটি ডাউনলোড করুন এবং প্রিন্ট করে রাখুন (Result 2025)। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ছটি রাউন্ডে হবে জোসা কাউন্সেলিং। ষষ্ঠ রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দ হবে ১৬ জুলাই। এদিনই বিকেল ৫টায় ঘোষণা করা হয় জোসার দ্বিতীয় রাউন্ডের ফল (JoSAA)।

  • PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। আজ, বুধবার ওই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের একটি প্রধান উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের (Emergency) অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে শুধু সংবিধানের আত্মাকেই লঙ্ঘন করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।”

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটিতে লেখেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২তম সংশোধন তাদের (কংগ্রেসের) ষড়যন্ত্রের এক প্রধান নিদর্শন। দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাঁদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ – এই একুশ মাস দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই পর্বে দেশে এক দমনপীড়নের ঢেউ নেমে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষকে বিনা কারণে কারাবন্দি করা হয়। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ। এই ‘এমার্জেন্সি’র সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘনের, মৌলিক অধিকার স্থগিত করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করার এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের জেলে পাঠানোর জন্য কাঠগড়ায় তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয়েছিল — এমার্জেন্সি জারি করা হয়েছিল। দেশবাসী এই দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মূল্যবোধকে পদদলিত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এবং বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র ও সাধারণ নাগরিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। যেন সেই সময়ের কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকেই বন্দি করে ফেলেছিল!”

    প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অটল ছিলেন! এঁরা ছিলেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী —যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করা এবং সেই আদর্শগুলিকে সংরক্ষণ করা, যাঁদের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হয়েছিল, যাতে তারা বিপুল ভোটে হেরে যায় (Emergency)।”

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলোকে ফের একবার আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করছি। আমরা যেন উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি এবং গরিব ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।” প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে অভ্যন্তরীণ অশান্তির আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার নেপথ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচার বিভাগের কিছু পদক্ষেপ, যা শাসক দলের নেতৃত্বের বৈধতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে আদেশ অমান্য করতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা। পূর্ববর্তী দুটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল চিন (১৯৬২) ও পাকিস্তানের (১৯৭১) সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময় (PM Modi)।

    জরুরি অবস্থা

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ছ’বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেই দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনিও এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন (PM Modi)।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

  • US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়লেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (White House)। ইরানের তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি (US Iran Conflict)। কিন্তু সে দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কোমর ভেঙে দেওয়া যায়নি। বরং যে গতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল ইরানে, তাকে কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের দেশেই প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশবাসীর নজর ঘোরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা রিপোর্ট কীভাবে ফাঁস হল, তা নিয়ে। গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস হওয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘দেশদ্রোহ’ বলে দেগে দিয়েছেন।

    কি বলছে রিপোর্ট (US Iran Conflict)

    দিন কয়েক আগে ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে দেশের সামরিক বিভাগ পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি সে দেশের ইউরেনিয়ামের ভান্ডারও। মার্কিন হামলার আগেই ইরান মজুত রাখা ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    সিএনএনের বক্তব্য

    ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা স্বীকার করলেও, হামলায় ইরানের যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তা অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোসিন লেভিট বলেন, “ওই রিপোর্ট ভুল। রিপোর্টটি গোপন থাকার কথা। কিন্তু নিম্নস্তরের কেউ সেটি ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাটো করা (US Iran Conflict), তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, যুদ্ধবিমানের বীর পাইলটদের অপমান করা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিশ্চিহ্ন করতে নিপুণ হাতে কাজ করেছেন তাঁরা। ৩০ হাজার পাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করলে কী হয়, তা সকলেই জানেন।” গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস করাকে দেশদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফও। তিনি বলেন, “অত্যন্ত জঘন্য বিষয় (White House)। এটি দেশদ্রোহ। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত (US Iran Conflict)।”

  • Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অ্যাবেটাবাদ থেকে মুজফ্ফরবাদ হয়ে পুঞ্চ-রাজৌরি রুটে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack)। পুঞ্চের ‘দেহরা কি গলি’ দিয়েই তারা পাকিস্তান থেকে ঢুকেছিল ভারতে। পহেলগাঁও হামলার সময় তারা সড়কপথের বদলে পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করে এসেছিল। এতে তাদের দূরত্ব কমে গিয়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ (Terrorist)। তবে পাহাড়ি রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের সাহায্য করতে পারে স্থানীয়দের কেউ কেউ। অপারেশন শেষে জঙ্গিদের পালাতে বা গা-ঢাকা দিতে তারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন এনআইএর তদন্তকারীরা।

    জঙ্গিদের পরিচয় (Pahalgam Terrorist Attack)

    জঙ্গিদের পরিচয় নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এনআইএর রিপোর্টে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে জঙ্গিরা পাকিস্তানের নাগরিক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল জঙ্গিরা পাকমদতপুষ্ট। ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেছিলেন, প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করছে ভারত। জঙ্গি হানা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্তের দাবিও করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের অভিযোগ যে নিছক সন্দেহের বশে নয়, বরং তা যে সত্য, জঙ্গিদের যারা সাহায্য করেছিল, সে কথা কবুল করল তারাই।

    হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সুলেমান

    পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর একাধিক অ্যাকাডেমি রয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ভারতে ঢোকার আগে একাধিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরে পুরানো জঙ্গি হামলার সঙ্গে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্রগুলি খতিয়ে দেখছেন এনআইএর আধিকারিকরা। এনআইএর এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সুলেমান নামে এক পাক নাগরিকের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার যোগ মিলেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তার ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্ট খোঁজার চেষ্টা করছে। জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack) নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কোনও উন্নতমানের বিকল্প মাধ্যম ব্যবহার করত। তাই কাজটা সহজ নয়।’

    তদন্তকারীদের দাবি, জঙ্গিদের পরিচয় সম্পর্কে এনআইএর তরফে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রযুক্তিগত প্রমাণ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত স্কেচ। প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে সাংবাদিক হেমির দেশাই লিখেছেন (Terrorist), “দুই কাশ্মীরি মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পাহেলগাঁওয়ে হামলার তারিখ ও সময় জানত। পাকিস্তানি জঙ্গিদের পালানোর পথ ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল। এখন তারা এনআইএ হেফাজতে আছে (Pahalgam Terrorist Attack)।”

  • Ramakrishna 390: ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন, ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন

    Ramakrishna 390: ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন, ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

    মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে আনন্দে বসিয়া আছেন। বাবুরাম ছোট নরেন, পল্টু, হরিপদ, মোহিনী মোহন ইত্যাদি ভক্তেরা মেঝেতে বসে আছেন। একটি ব্রাহ্মণ যুবক দুই-তিন দিন ঠাকুরের কাছে আছেন। তিনিও বসিয়া আছেন। আজ শনিবার ২৫ শে ফাল্গুন ৭ মার্চ ১৮৮৫। বেলা আন্দাজ তিনটা আর চৈত্র কৃষ্ণা সপ্তমী।

    শ্রী শ্রী মা, নহবতে আজকাল আছেন তিনি মাঝে মাঝে ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া থাকেন। শ্রীরামকৃষ্ণের সেবার জন্য। মোহিনী মোহনের সঙ্গে স্ত্রী। নবীন বাবুর মা গাড়ি করিয়া আসিয়াছেন। মেয়েরা নহবতে গিয়া শ্রী শ্রী মাকে দর্শন ও প্রণাম করিয়া সেই খানেই আছেন। ভক্তেরা একটু সরে গেলে ঠাকুরকে আসিয়া প্রণাম করিবেন। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন। রাখাল এখন দক্ষিণেশ্বরে আসেন না। কয় মাস বলরামের সহিত বৃন্দাবনে ছিলেন। ফিরিয়া আসিয়া এখন বাটিতে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – রাখাল এখন পেনশন খাচ্ছে। বৃন্দাবন থেকে এসে এখন বাড়িতে থাকে। বাড়িতে পরিবার আছে। কিন্তু আবার বলেছে হাজার টাকা মাহিনা দিলে ও চাকরি করবে না। এখানে শুয়ে শুয়ে বলত, তোমাকেও ভালো লাগেনা। এমনই তার একটি অবস্থা হয়েছিল।

    ভবনাথ বিয়ে করেছে কিন্তু সমস্ত রাত্রি স্ত্রীর সঙ্গে কেবল ধর্মকথা কয়। ঈশ্বরের কথা নিয়ে দুজনে থাকে, আমি বললাম পরিবারের সঙ্গে একটু আমোদ আহ্লাদ করবি। তখন রেগে রোক করে বললে কি আমরাও আমদ আহ্লাদ নিয়ে থাকব।

  • Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

    Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

     এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?

    কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি কি বলো?

    মাস্টার- আজ্ঞা আমারও তাই মনে হয়। যেমন চৈতন্যদেব ছিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- পূর্ণ না অংশ? না কলা? ওজন বলোনা।

    মাস্টার- আজ্ঞে ওজন বুঝতে পারছি না। তবে তাঁর শক্তি অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি তো আছেনই।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- হ্যাঁ চৈতন্যদেব শক্তি চেয়েছিলেন (Kathamrita)।

    ঠাকুর কিন্তু চুপ করিয়া রহিলেন। পরেই বলিতেছেন- কিন্তু ষড়ভুজ

    মাস্টার ভাবিতেছেন। চৈতন্যদেব ষড়ভূজ হয়েছিলেন। ভক্তরা দেখিয়াছিলেন ঠাকুর একথা উল্লেখ কেন করিলেন!

    (পূর্বকথা- ঠাকুরের উন্মাদ ও মার কাছে ক্রন্দন, তর্ক বিচার ভালো লাগেনা)

    ভক্তেরা অদূরে ঘরের ভেতর বসিয়া আছেন। নরেন্দ্র বিচার করিতেছেন। রাম সবে অসুখ থেকে সেরে এসেছেন। তিনিও নরেন্দ্র সঙ্গে (Kathamrita) ঘোরতর তর্ক করছেন। ঠাকুর দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

    মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

LinkedIn
Share