Tag: Bengaluru

Bengaluru

  • Pulwama Attack: পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ, ৫ বছরের জেল বেঙ্গালুরুর ছাত্রের

    Pulwama Attack: পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ, ৫ বছরের জেল বেঙ্গালুরুর ছাত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের মর্মান্তিক পুলওয়ামা হামলা (Pulwama Attack) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করে গ্রেফতার বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক যুবক। তাঁকে ৫ বছরের জেলের সাজা শোনালো বিশেষ আদালত। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। এর পরেই ২২ বছর বয়সী ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ, অবমাননাকর পোস্ট করে। সেই মামলাতেই ৫ বছরের সাজা শোনালো বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। যুবকের নাম ফয়েজ রশিদ।   

    যখন এই পোস্ট করে তখন ওই যুবকের বয়স ছিল ১৯ বছর। সেই সময়ে কলেজে পড়াশোনা করত সে। বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে সেই মামলা বিচারাধীন। জেল হেফাজতে রয়েছে সে। আদালত অভিযুক্তকে ধারা ১৫৩ এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করা) -এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারার মামলা এখনও বিচারাধীন। আইপিসির ১৫৩এ ধারার অধীনে আদালত এর আগে অভিযুক্তকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। পরে আইপিসির ২০১ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। সেনাবাহিনীকে উপহাস করে কমেন্ট করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: কিং খানের মুক্তির দিন ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে         

    আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, ধর্মীয় অশান্তি সৃষ্টি করার মতলবেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলাকে সমর্থন করেছিল ওই যুবক। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একের পর এক অবমানকর পোস্ট করে সে। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও ছিল বলে দাবি আদালতের। 

    ফাইয়াজের আইনজীবী তার পক্ষে সওয়াল করে বলেন, অভিযুক্তের বয়স কম। আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই। তাই তাকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলে, ফাইয়াজ যা করেছে তা ভেবেচিন্তেই করছে। অভিযুক্ত ফেসবুকের সব পোস্টেই পুলওয়ামা হামলা নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
  • Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল স্বাধীনতার (Independence) পঁচাত্তর বছর পূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডাকে পালিত হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। স্বাধীনতা দিবসে সর্বত্রই উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা (National Flag)। ছোট জনপদেও পালিত হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। স্বাধীনতার ৭৬ তম বর্ষে সৃষ্টি হল আরও একটি ইতিহাসের। সেটি হল, এই প্রথম জাতীয় পতাকা উড়ল কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে (Idgah Maidan)। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এখানেও স্বাড়ম্বরে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।

    স্বাধীনতা দিবসে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উড়লেও, এতদিন এই পতাকা ওড়ানো হত না বেঙ্গালুরুর এই ইদগাহ ময়দানে। কারণ এই ময়দানের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক থাকায় এতদিন এখানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হত না। ছামারাজপতের এই ইদগাহ ময়দানের মালিকানা কার, তা নিয়ে ছিল বিতর্ক। তাই স্বাধীনতা দিবসে অতি ছোট মহল্লায় জাতীয় পতাকা উড়লেও, এই ময়দানে উড়ত না। এতদিন এ নিয়ে কেউ কোনও উচ্চবাচ্য না করলেও, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি গোষ্ঠী ঘোষণা করে, স্বাধীনতা দিবসে এই ইদগাহ ময়দানে উড়বে জাতীয় পতাকা। মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। ঠিক হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পর্যায়ের কোনও আধিকারিক। সেই মতো স্বাধীনতা দিসবের আগেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা তল্লাট। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে মোতায়েন করা হয় র‌্যাফ, সিটি আর্মড রিজার্ভ এবং কর্নাটক স্টেট রিজার্ভ পুলিশ। তার পরেই ওড়ে তেরঙা পতাকা।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    কেন এতদিন এই ময়দানে উত্তোলন করা হত না জাতীয় পতাকা? জানা গিয়েছে, কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ড ১৯৬৫ সালের একটি গেজেট নোটিফিকেশন দেখিয়ে দাবি করে, জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। যদিও ১৯৭৪ সালের সিটি সার্ভে রেকর্ড এবং অন্যান্য সিভিক রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যায়, জমিটি একটি খেলার মাঠ। সম্প্রতি কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দেয় সিটি সিভিক বডি বৃহৎ  বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (Brihat Bengaluru Mahanagara Palike)। তারা জানিয়ে দেয়, জমিটি কর্নাটক সরকারের রাজস্ব দফতরের। তার পরেই অবসান হয় কয়েক দশক ধরে চলা বিতর্কের। পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস।

    আরও পড়ুন :ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

  • Bengaluru: মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে পাঁচ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন দন্ত চিকিৎসক মা, গ্রেফতার

    Bengaluru: মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে পাঁচ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন দন্ত চিকিৎসক মা, গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কুপুত্র যদি বা হয়, কুমাতা কখনও নয়।” হ্যাঁ মাতৃ স্নেহের পবিত্রতাকে এভাবেই বর্ননা করা হয়। আর এতে যে সত্যিই কোনও মিথ্যে নেই সেই প্রমাণ প্রজন্মের পর প্রজন্মে ধরে মিলেছে। অতিবড় খল নায়কও মায়ের স্নেহে প্রশ্ন তোলে না। সন্তানের জন্যে মা জীবন দিয়েছেন এমন বহু উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু মা নিজের সন্তানকে পাঁচতলা থেকে ঠেলে ফেলে দিচ্ছেন কেউ শুনেছেন কখনও? বিশ্বাস হচ্ছে না তো! বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে(Bengaluru)। 

    আরও পড়ুন: ভাইজাগে সমুদ্রে নেমে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী, তিনদিন পর দেখা মিলল বেঙ্গালুরুতে! তারপর…

    সুষমা ভরদ্বাজ (Sushma Bharadwaj) নামের পেশায় দন্ত চিকিৎসক (Dentist) এক মহিলা নিজের মানসিক ভারসাম্যহীন (Mentally challenged) সন্তানকে (Daughter) পাঁচতলা (4th Floor) থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করেছেন। পরবর্তীতে মহিলার স্বামী কিরণ অভিযোগ জানান স্থানীয় থানায়। আর এরপরেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: আইআইটিদের ছাপিয়ে বিশ্ব তালিকায় নজর কাড়ল আইআইএসসি ব্যাঙ্গালুরু  

    পুলিশের দাবি, সন্তানকে খুন করার পর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। কিন্তু প্রতিবেশীরা উদ্ধার করেন তাঁকে। ওই মহিলাকে এমন কাণ্ড করার কারণ জিজ্ঞেস করলে, তিনি জানা মূক-বধির সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অসমের যুবক

    বেঙ্গালুরুর সিকেসি গার্ডেনের আদভেইথ আশ্রয়া অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলায় সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি।

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের  

    সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা নিজের মেয়েকে নিয়ে বারান্দায় এলেন এবং বারান্দা থেকে নীচে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন শিশুটিকে। 

    এর আগেও শিশুটিকে রেল স্টেশনে ফেলে আসতে চেয়েছিলেন মহিলা। তাঁর স্বামী খবর পেতেই ছুটে যান স্টেশনে এবং উদ্ধার করেন শিশুটিকে। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হল না। 

  • Vizag Missing Woman: ভাইজাগে সমুদ্রে নেমে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী, তিনদিন পর দেখা মিলল বেঙ্গালুরুতে! তারপর…

    Vizag Missing Woman: ভাইজাগে সমুদ্রে নেমে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী, তিনদিন পর দেখা মিলল বেঙ্গালুরুতে! তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। স্বামীর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। চোখে চোখ-হাতে-হাত। হঠাতই অফিস থেকে ফোন। কথা বলার জন্য একটু দূরে চলে যান স্বামী। জলের কাছে ছিলেন স্ত্রী। বড় বড় ঢেউ তখন আছড়ে পড়ছে পাথরের উপর। ফোন করে ফিরে এসে স্বামী দেখেন স্ত্রী নেই। তন্য তন্য করে খোঁজ চলে।

    তিনদিন ধরে পুলিশ, সেনা থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী সবাই খোঁজ চালায়। তল্লাশি অভিযানে ব্যবহার করা হয় দুটি জাহাজ, চেতক হেলিকপ্টারও। তবু খোঁজ মেলে না। স্বামী হতাশ। এত করেও খোঁজ মিলছিল না প্রিয়তমার। তাহলে কি সে আর নেই? তলিয়ে গিয়েছে জলার তলায়? মনের কোণে উঁকি মারছিল নানান দুশ্চিন্তা। অবশেষে খোঁজ মিলল। ভাঙল মন। পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। দুজনে এখন বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।

    আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর

    এনএডি কোঠা রোডের সানিভায়া নাগতের রাপিরেডি সাই প্রিয়া নামে ২১ বছরের ওই মহিলা তাঁর স্বামী আপ্পালা রাজু ওরফে শ্রীনিবাসের সঙ্গে বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে (Vizag beach) বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকেই সাই প্রিয়াকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন রাজু। পুলিশ জানায়, ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় থানা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাঁকে খুঁজতে গত কয়েকদিনে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

    এর পরে সাই প্রিয়ার বাবা-মার কাছ থেকে খবর পেয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়তে পড়তেই একজনের প্রেমে পড়েছিল সাই প্রিয়া। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তার কয়েকটি পোস্ট থেকে জানা যায় সাই প্রিয়া এখন বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর প্রেমিকও। কিন্তু কীভাবে সাই প্রিয়া ওখানে গেলেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাই প্রিয়া ২০২০ সালের জুলাই মাসে শ্রীনিবাস রাওকে বিয়ে করেন। শ্রীনিবাস হায়দ্রাবাদের একটি ফার্মেসি কোম্পানিতে কাজ করেন। 

  • Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীর (jammu & kashmir) ও কর্নাটক পুলিশের যৌথ অভিযানে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ধরা পড়ে তালিব হুসেন নামের ওই জঙ্গি। ৫ জুন গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। যদিও গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমকে জানায় মঙ্গলবার পুলিশ।

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে বেড়ছে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ। বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে হিন্দুদের। এর মধ্যে কাশ্মীর হিন্দু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে কর্মসূত্রে সে রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক, ব্যাঙ্ক কর্মী, স্কুল শিক্ষিকা সহ নানা পেশার মানুষ। ১ মে থেকে এপর্যন্ত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন ৯ জন। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে আঁটসাঁট করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের দুই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি। এদের মধ্যে এক জঙ্গি তুফায়েল পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    কাশ্মীরের এই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুনে নাম জড়ায় তালিবের। তার খোঁজে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে গা ঢাকা দেয় সন্দেহভাজন এই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। এখানকার একটি মসজিদে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। এখানেই শ্রমিকের কাজ করে দিন গুজরান করত তালিব। অটোও চালাত।

    গ্রেফতারির সময় তার কাছে আধার কার্ডও ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ হানা দেয় বেঙ্গালুরুতে। গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। তবে তালিব যে জঙ্গি কাজকর্মে জড়িত, তা জানতেন না অটোর মালিকও। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকায় বহু নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত তালিব। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিল সে। ২০১৬ সাল নাগাদ হিজবুল মুজাহিদিনে নাম লিখিয়েছিল সে।

    আরও পড়ুন : “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    এদিকে, বেঙ্গালুরু থেকে জঙ্গি ধরা পড়ায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই  বলেন, রাজ্যে কারা কারা আসছে, সেদিকে কড়া নজর রাখবে পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। এর আগে সিরসি এবং ভাটকলেও দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বেঙ্গালুরুতেও একজনকে গ্রেফতার করল। আমরা তাদের সাহায্য করেছি।  

     

  • Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের ( Yogi Adityanath) পদাঙ্ক অনুসরণ কি করতে চলেছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার? সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে লাউডস্পিকার (loudspeaker) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের(Basavraj Bommai) প্রশাসন। 

    সম্প্রতি, রাজ্যের সব মন্দির-মসজিদ থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যানাথের সরকার। মাইকে আজান মৌলিক অধিকার নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এবার সেই একই পথে হেঁটে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার বন্ধে উদ্যোগী হল কর্নাটক সরকার। সোমবার কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্গা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, লাউডস্পিকার নিয়ে রাজ্যের প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

    রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে আজান হয় লাউডস্পিকারে। তার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শ্রীরাম সেনার কর্মীরা মাইকে হনুমান চালিশা পাঠ করতে শুরু করেন। দুই লাউডস্পিকারের কান ফাটানো আওয়াজের জেরে কান পাতা দায় হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এর পরেই বেআইনি লাউডস্পিকার ( illegal loudspeakers) বন্ধে উদ্যোগী হয় সরকার। জ্ঞানেন্দ্র জানান, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের সব বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। প্রত্যেককেই আদালতের রায়কে সম্মান করতে হবে। তা না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা (শ্রীরাম সেনা) কী করছে আমি জানি না। তবে সরকার কী করছে, তা আমি আপনাদের জানাচ্ছি।

    খোদ মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, আদালতের (supreme court) রায়কে সম্মান করতেই হবে। কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। সবাই আদালতের রায় মানলে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি জানান, উত্তর প্রদেশেও এই একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও অবিলম্বে এই ব্যবস্থা চালু হবে, আশাবাদী বাসবরাজ।

     

LinkedIn
Share