Tag: benjamin netanyahu

benjamin netanyahu

  • Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের মধ্যে  যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। টানা চার দিন ধরে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। এই সংঘাতের আবহে রবিবার ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেম। এর মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করা হলেই যুদ্ধ শেষ হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে খামেনেই কোনও এক অজানা জায়গায় নিরাপদ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।

    খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, ইজরায়েল কি খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? জবাবে তিনি (Netanyahu) বলেন, ‘‘যা করতে হবে, আমরা তাই করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁকে সরাতে পারলে এই সংঘাত শেষ হবে।’’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল আগেও ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে টার্গেট করতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় বাধা দেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “ইরান কি এখনও কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে? এর উত্তর হল, না। তাই, যতক্ষণ না তারা এধরনের কাজ করছে, আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশানা করার কথাও ভাবছি না।”

    মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে ইরান

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) মতে, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে। তাঁর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছর ধরে এই শাসনব্যবস্থা গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এরা সবাইকে ভয় দেখায়। এরা সৌদি আরবের আরামকো তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। এরা সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।” ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয়, ইজরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক। এই বিপদ খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকাতেও পৌঁছাতে পারে।”

    নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, চড়ছে উত্তেজনার পারদ

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইজরায়েল সত্যিই খামেনেইকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এতে শুধু ইরান ও ইজরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলিও জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর হামলা হলে সেটি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয় পুরো ইরান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর

    অন্যদিকে, ইজরায়েল লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের উপর। ইহুদিদের চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সরকারি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। প্রসঙ্গত, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে হামলা চালানো হবে, এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর ধ্বংস হয়েছে। এর জেরে গোটা ইরানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানের নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানান, তাঁরা যেন দ্রুত শহর ছেড়ে দেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তেহরানে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চলবে।

    আতঙ্কিত ইরানবাসী

    হামলার ফলে তেহরানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিদেশি দূতাবাসের দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে। এই সংখ্যা ইরানের মোট মিসাইল লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে, তারা ইজরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। ইরান ও ইজরায়েলের এই সংঘাতের আবহে আকাশে বিস্ফোরণের ধোঁয়া পর্যন্ত দেখা গেছে। দুই দেশের এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলায় ইজরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইজরায়েলের হামলায় ইরানের ২২৪ জন নাগরিক মারা গেছেন।

  • Israel: চলবে অভিযান, তেহরানের আকাশে থাকবে শুধু ইজরায়েলের বিমান, ইরানকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    Israel: চলবে অভিযান, তেহরানের আকাশে থাকবে শুধু ইজরায়েলের বিমান, ইরানকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান চলবেই—শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এমন হুঁশিয়ারি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইজরায়েল (Israel), ইরানের প্রতিটি স্থান ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে তেহরানের আকাশে শুধুমাত্র ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানই দেখা যাবে।

    কল্পনার বাইরে আঘাত হানবে ইজরায়েল, ইরানকে চরম হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর (Israel)

    তিনি (Benjamin Netanyahu) বলেন, “আমরা আয়াতুল্লাহদের শাসনের প্রতিটি ঘাঁটি ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানব।” ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা কেন প্রয়োজন—তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আজ ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরেও স্বাধীনতা রক্ষা করছে। আমরা এমন এক অত্যাচারী ইরানি শাসনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়, পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নিজেদের রক্ষা করে আমরা অন্যদেরও রক্ষা করছি—আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে, ইউরোপকে এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও, যারা সবসময় আমাদের প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে। এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন।”

    অসামরিক এলাকাতে হামলা চালাচ্ছে ইরান, অভিযোগ ইজরায়েলের

    নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।”

    দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন ইরানের নেতারা!

    ভিডিও বার্তার ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তেহরানের আকাশে আমাদের বিমানবাহিনীর পাইলটরা এমন আঘাত হানবে, যা কল্পনারও বাইরে।” তিনি (Benjamin Netanyahu) আরও দাবি করেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট তথ্য আছে—ইরানের নেতারা দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন, কারণ তারা বুঝতে পারছেন কী ঘটতে চলেছে।”

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) গাজায় অভিযানকে আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে গাজাতে ইজরায়েলের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতেই এক ভিডিও বার্তা জারি করা হয়। সেখানেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্প নেই। শুধু আমাদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যতক্ষণ না আমরা জিতছি ততক্ষণ।’’

    হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ নয় (Benjamin Netanyahu)

    এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি এখন হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী যে সমস্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেটাকে অসম্মান জানানো হবে। অসম্মান জানানো হবে আমাদের সেই সমস্ত বীরদের প্রতিও, যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছেন এবং তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন।’’

    হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত

    ইজরায়েরেল প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) আরও জানান, রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ও হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার,সম্প্রতি ইজরায়েল মধস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান হবে।

    ইজরায়েলের হামলায় ৫২ জন নিহত, দাবি  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার

    এদিকে গত শনিবার দিনভর ইজরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসির এক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনারা।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সেই শুরু। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে যুদ্ধ।

  • Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা। এমনই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের (Israel-Hamas Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, গাজাকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলা হবে। গাজা ভূখণ্ড থেকে প্যালেস্তিনীয়দের স্থায়ীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন করার কথাও ভাবা হচ্ছে, বলে জানান তিনি। তবে গাজায় ঠিক কী করবেন, কীভাবে গাজা দখল করবেন, সেইসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবশ্য কিছু জানাননি ট্রাম্প। গাজাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সেনা নামানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এখন আমেরিকা সফরে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয়ই ছিল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas Conflict) পরিস্থিতি। সেই বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই গাজা দখলের হুঁশিয়ারি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমেরিকা গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে। আমরা ওই ভূখণ্ডের মালিক হব। সেখানে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব। আমরা গাজাতে উন্নতি করব। সেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এমন কিছু হবে, যার জন্য পশ্চিম এশিয়া গর্ববোধ করবে। বিশ্বের মানুষের বাসস্থল হবে গাজা।’’

    গাজায় আর্থিক উন্নয়ন

    পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম কূটনৈতিক ‘সঙ্গী’ ইজরায়েল। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধে (Israel-Hamas Conflict) প্রথম থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজরায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিহতদের দেহের সন্ধানও শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন থেকে ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেন, গাজায় যে সব আবাসন-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তা পরিষ্কার করে সেখানে আর্থিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে আমেরিকা। যে আর্থিক উন্নয়নের কারণে গাজার মানুষের সামনে প্রচুর চাকরির দরজা খুলে যাবে। তবে হামাসকে কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    হামাসকে রেয়াত নয়

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) জানিয়েছেন যে জঙ্গি সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস যদি থাকে, তাহলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসবে না। যিনি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে থাকা ‘সবথেকে বড় বন্ধু’ হিসেবে চিহ্নিত করে দাবি করেন যে হামাসকে হারিয়ে যে জয়লাভ করবে ইজরায়েল, সেটা আমেরিকারও জয় হবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প সাধারণ ধারণার খোলস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন।’’

    হামাসের সঙ্গে নাৎজি বাহিনীর তুলনা

    হামাস নিধনে একমত আমেরিকা ও ইজরায়েল। এই জঙ্গি সংগঠনকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যদি এই বিষাক্ত ও হত্যাকারী সংগঠন থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কথা বলতে পারবেন না।’’ বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎজি বাহিনী যদি থাকত, তাহলে শান্তি ফেরানো যেমন কঠিন হত, হামাসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম।

    হামাসের ‘টাকার পথ’ বন্ধ 

    হামাস-বিরোধী (Israel-Hamas Conflict) মনোভাবের রেশ ধরেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে প্যালেস্তাইনের উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ এজেন্সিকে অর্থপ্রদান করবেন না। কারণ সেই অর্থ হামাসের কাছে চলে যায়। যে জঙ্গি সংগঠন মানবতার প্রতি কলঙ্ক। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকেও আমেরিকা নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

    গাজায় মার্কিন সেনা!

    প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ড গাজা স্ট্রিপ। আগে হামাসের ঘাঁটি ছিল এই জায়গা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইজরায়েল (Israel-Hamas Conflict) এই ভূখণ্ড দখলের লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছে। যুদ্ধের সবথেকে বেশি অভিঘাতও সয়েছে এই গাজা স্ট্রিপই। আমেরিকা গাজায় সেনা পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “যা প্রয়োজনীয়, আমরা তাই করব।” ট্রাম্পের (Donald Trump) পাশে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও বলেন, “এমন কিছু হতে চলেছে যা ইতিহাস বদলে দেবে। ট্রাম্প গাজার জন্য অন্য এক ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেছেন। চিরাচরিত ধারণার বাইরে ভাবনা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।”

  • Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি পশ্চিম এশিয়ায়। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণা করল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল ও লেবানন সমর্থিত হিজবুল্লা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ যদিও হামাসও একই পথে হাঁটবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ নেই এই চুক্তিপত্রে৷

    যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

    প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার, ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। আপাতত হিজবুল্লার উপরে হামলা (Israel Hezbollah Ceasefire) চালাবে না ইজরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, তা নির্ভর করছে লেবাননে কী হচ্ছে, তার উপরে। যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। লেবাননের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ মধ্যস্থতা করেছেন। যুদ্ধবিরতিতে একাধিক শর্ত রেখেছে ইজরায়েল। 

    কেন যুদ্ধবিরতি

    হঠাৎ যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণার পিছনে তিনটি কারণ ব্যাখা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ইরানের হুমকিতে মনোনিবেশ করা। দ্বিতীয়ত, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য সময় দেওয়া এবং তৃতীয়ত, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকেই হামাস হিজবুল্লার উপরে নির্ভর করেছে। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে হামাসকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়াই লক্ষ্য ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইজরায়েলের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাও হাবিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়া পরিকাঠামোগুলি পুনর্গঠনে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরের পর ফের নভেম্বর। আবারও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) হত্যার চেষ্টা। তাঁর বাড়িতে (War In Israel) বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পর পর দুটি বোমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাগানে। সেই সময় অবশ্য ওই বাড়িতে ছিলেন না নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

    আত্মঘাতী ড্রোন (War In Israel)

    অক্টোবরে আত্মঘাতী ড্রোন উড়ে গিয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। সেদিনও বাড়িতে ছিলেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ফের হল আক্রমণ। রবিবার সকাল পর্যন্তও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী। তবে কারা এই হামলা চালাল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইজরায়েল প্রশাসন।

    এবার ছোড়া হল বোমা

    প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পর বিবৃতি জারি করেছে ইজরায়েল পুলিশ। তারা জানায়, শনিবার দুটি বোমা ছোড়া হয় কেসারিয়া শহরে প্রধানমন্ত্রী বাড়ি লক্ষ্য করে। দুটি বোমাই পড়ে (War In Israel) তাঁর বাড়ির বাগানে। বাড়িটিতে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। তাই কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সমস্ত দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ইরান ও তার সহযোগী দেশগুলি এক দিক থেকে যখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করছে, তখন ঘরের ভিতরেও তিনি একই হুমকির মুখোমুখি হবেন, এটা হতে পারে না। নিরাপত্তারক্ষী ও বিচারবিভাগীয় সংস্থাগুলিকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জগ। জনসাধারণের ক্ষেত্রে হিংসা বৃদ্ধি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি শিন বেটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত তদন্ত ও দমন করতে জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    প্যালেস্তাইনের হামাসের পর ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে। এরই মধ্যে (Benjamin Netanyahu) মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুবার টার্গেট করা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগে ইজরায়েলি সেনা (War In Israel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। মঙ্গলবারই ইজরায়েলে (Israel Iran War) হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইজরায়েলও। এহেন আবহে মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত যে যারপরনাই উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত যে এই যুদ্ধে জড়াবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “ভারত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই যুদ্ধে জড়াবে।” ইজরায়েলের দাবি, ইরান সব মিলিয়ে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তার আগেই ইরান-ইজরায়েল সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “জটিল পরিস্থিতিতে কমিউনিকেশনের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “যদি কিছু বলার ও আদান-প্রদান করার থাকে, তবে আমি মনে করি সেগুলোই আমাদের কনট্রিবিউশন হতে পারে এবং আমরা তা করি…।” জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা সংঘাতের বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেবল লেবাননে যা ঘটেছে, তা নয়, বরং হুথিদের সঙ্গে রেড সি পর্যন্ত, এবং ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যা কিছু ঘটতে পারে, তা-ও।”

    অসামরিক জনগণের ক্ষতি নয়

    তিনি বলেন, “যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হতে হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অসামরিক জনগণের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরকে আমরা সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা বুঝতে পারি যে ইজরায়েলকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা বিবেচনা করতে হবে। অসামরিক জনগণের ক্ষতি বা তাদের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি সেনার দাবি, ইরান ইজরায়েলে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছুড়েছে। তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে (Israel Iran War) ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। বেইরুটে (লেবাননের রাজধানী) হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা (Benjamin Netanyahu)। পাশাপাশি, সোমবার থেকে লেবাননে ঢুকে গিয়েছে ইজরায়েলি পদাতিক বাহিনীও। হিজবুল্লার তৈরি করা সুড়ঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই আবহে, দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    শবিবার, বেইরুটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। তাতেই খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। অন্যদিকে, সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনি হুথিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এহেন আবহে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সেই সময়ই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই বলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করতে হবে।” তিনি লিখেছেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (PM Modi) এ-ও জানান, পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ করে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হামাসরা। পরে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুসলিম সংগঠন হামাস। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা। হামাসকে নিয়মিত মদত জুগিয়ে যাচ্ছিল লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লা। হামাস ‘বধে’র পর বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হানা চালায় ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    বিমান হানা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে গ্রাউন্ড অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার দাবি, চলতি বছরে তাদের ন’জন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধানও। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” আর মোদি বার্তা দিলেন, “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।”

    বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে (Benjamin Netanyahu) দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গলায় একই সুর (PM Modi)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন! পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি রকেট বর্ষণ। হিজবুল্লার ১১০০টি ঠিকানা লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। তার আগে ইজরায়েলের তরফে লেবাননের বাসিন্দাদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) রেকর্ড করা ভয়েস-মেসেজ পাঠানো হয় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ফোনে। তারপরই শুরু হয় হামলা। সোমবারের এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত প্রায় ৫০০ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক।

    ছিন্নভিন্ন লেবানন

    সোমবার থেকে লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) উপর রকেট বর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা ইতিমধ্যেই প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা প্রাণ হাতে করে বাঁচছেন সন্তান-পরিবার নিয়ে, না জানি কখন বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে বোমা। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে বেইরুটের দিকে পালাচ্ছেন। ঘরছাড়া মানুষকে ঠাঁই দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু লেবনানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন হিজবুল্লারা তাঁদের ব্যবহার করছে। তাঁরা এটা না বুঝলে আরও মৃত্যু হবে। এদিন প্রায় ৬০০ রকেট হামলা চালায় ইজরায়েল। শয়ে শয়ে রকেট দুরমুশ করে দিয়ে গিয়েছে লেবাননের একাধিক বাড়ি। শিশু থেকে বৃদ্ধ-মহিলা অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    কেন হামলা

    লেবাননের উপর ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) এই হামলার কারণ গাজা। প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্তাইন এবং হামাসকে সমর্থন করছে লেবানন। এর ফলে লেবাননের উপর খেপেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা। প্রায় ৮০০ হিজবুল্লা জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লেবাননে। তাঁরা লেবাননের বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করছে। এক কথায় লেবাননের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যববার করেছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা।

    পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

    হিজবুল্লার (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও পাল্টা রকেট ফেলা হয়েছে ইজরায়েলের পাঁচটি জায়গায়। জানা গেছে, লেবানন থেকে রকেট উড়ে আসতে দেখেই সাইরেন বেজে ওঠে উপকূলবর্তী হাইফাতে। একদিন আগেও সেখানে হামলা হয়। ইজরায়েলেকে জবাব দিতে প্রায় ৩০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল এবং লেবানন, দু’পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইজরায়েল লেবাননকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share