Tag: bharat

bharat

  • Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) যখন তামাম ভারতের দুঃস্বপ্ন, তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! (Mamata Banerjee) এমনই অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ দেশের শান্তি বিঘ্নিত করে। পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে একটি নতুন যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”

    বাড়ছে অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকে উত্তরোত্তর বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। দেশ চালাতে একটা তদারকি সরকার গঠিত হয়েছে ঠিকই, তবে তার পরেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বাংলাদেশিদের একটা অংশ। মূলত তাঁরাই সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন ভারতে। বাংলাদেশের সংকট প্রতিদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে অনুপ্রবেশের হারও নিত্যদিন বাড়ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) মাথাব্যথার কারণ অসমেরও। তবে অসম সরকার ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও নাকে সর্ষের তেল দিয়েই ঘুমোচ্ছে বলে অভিযোগ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, গত দু’মাসে অসম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত দুমাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে কোনও ব্যক্তি বা একটি দলকে ধরছি। এই সমস্যার সমাধানে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। অসম ও ত্রিপুরা এক যোগে কাজ করলেও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীরও সহযোগিতা করা দরকার।”

    কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট

    ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশিরাই সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এরপর পাকিস্তানিরা। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল যে, বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হওয়ায় অসম, ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের জনগণের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ২০০৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট বাংলাদেশি এক নাগরিকের বিতাড়নের বিরুদ্ধে পিটিশন খারিজ করার সময় বলেছিল, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি-স্বরূপ (Illegal Bangladeshi Migrants)। বাংলায় মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৯৫১ সালের ১৯.৮৪ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ২৭.০১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    চোখে ঠুলি বেঁধে রয়েছে শাসক!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্র বারবার এই সমস্যাটি উত্থাপন করলেও, বাংলার শাসকরা (Mamata Banerjee) কানে তুলো এবং চোখে ঠুলি বেঁধে বসে রয়েছেন। তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে, কুর্সি নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, মুসলিম এই ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই রাজ্য সরকার গরু পাচার, জাল নোটের কারবার এবং মাদক ব্যবসার বিষয়ে নরম মনোভাব গ্রহণ করেছে। বর্ধমানে অনুপ্রবেশকারীদের একটি দল ১ হাজারটিরও বেশি বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার পরেও কঠোর কোনও ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    সমস্যা যখন অনুপ্রবেশ

    প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বাম সরকারের আমলেও অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) হয়েছে। তবে তা এত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যেহেতু একটি ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছে, তাই তাঁর দলের সদস্যরা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কল্যাণে এই ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ডও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর তালিকার দিকে তাকালেই বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং যাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল অথচ এ দেশে রয়ে গিয়েছে, তাদের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ হাজার ৯৪২, ৪৯ হাজার ৬৪৫ এবং ৩৫ হাজার ০৫৫।

    কী বলছে নিরাপত্তা সংস্থা

    দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বারবার বলেছে যে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলা খেলছে। তারা এই ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দিচ্ছে। এটা নিয়ে তারা সারা দেশ ভ্রমণ করছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে বসতি স্থাপন করছে তারা ওই পরিচয়পত্র নিয়েই। কেবল তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের মতো জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তারা স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের সম্পত্তি। ব্যাপক অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাচ্ছে এলাকার জনবিন্যাস (Mamata Banerjee)। রমরমা কারবার চলছে জাল নোটের। মাদক পাচার, গরু পাচার এসব কাজও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে তারা (Illegal Bangladeshi Migrants) শাসকদলের নেতাদের প্রশ্রয়ে।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখে।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    ‘বিকশিত ভারত’ (S Jaishankar)

    ভোটমুখী মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদে আমরা দ্রুতগতিতে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য হল ‘বিকশিত ভারত’। এ জন্য ‘বিকশিত মহারাষ্ট্র’ও প্রয়োজন।” এর পরেই তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র সব সময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে প্রধান রাজ্য।” মন্ত্রীর মুখে এদিনও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে।

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    তিনি বলেন, “আমরা চাই মহারাষ্ট্রেও ডাবল ইঞ্জিন সরকার হোক। এটি অন্যান্য অনেক রাজ্যে সফল হয়েছে।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে নেতা, তাও মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুম্বই ভারত ও বিশ্বের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রতীক। যখন আমরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিলাম, তখন আমরা সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সভাপতি ছিলাম। আমরা মুম্বইয়ের সেই হোটেলে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।”

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “যখন বিশ্ব দেখে এই সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের সামনে কে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তখন মানুষ বলে, ভারত। সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে আজ আমরা নেতা। আমরা চাই না মুম্বইয়ের ঘটনা আবারও ঘটুক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সত্য উন্মোচন আমাদের করতেই হবে।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম এবং ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে অস্থিরতার বিষয়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী মোদি

    জয়শঙ্কর বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা হোক কিংবা সন্ত্রাসবাদ-বিরোধিতা বা আমাদের প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা— আমরা ভালোভাবে এসবেরই মোকাবিলা করছি। বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে উত্তেজনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি রাশিয়া গিয়েছেন, ব্রিকস সম্মেলনের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও দেখা করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভার ২৮৮টি আসনেই নির্বাচন হবে ওই দিন। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল (Viksit Bharat) ১০৫টি আসনে। তার আগের ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১২২টি আসন (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

       

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারির ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে কেরলে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর এই চক্রান্তের মূল কুচক্রী হল নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) শাখা সংগঠন সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে জুড়েছে আরও কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু ঘোষণা করাই নয়, এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দুটোই শুরু করে দিয়েছে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচারও (Kerala)। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) ২০৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। এনিয়ে চলছে রীতিমতো প্রচারও। ভয়ঙ্কর এই চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ (NIA)। 

    সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চলছে প্রচার (NIA)

    সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (Kerala) এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেরলে তারা শাসন করতে চায় ২০৩১ সালের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তারা ধ্বংস করতে চায় ২০৪০ সালের মধ্যে, ভারতকে তারা শাসন করতে চায় ২০৪৭ সালের মধ্যে এবং ভারতবর্ষকে ইসলামিক রিপাবলিক দেশ হিসেবে তারা ঘোষণা করবে ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি।

    এমন অ্যাজেন্ডা (RSS) দীর্ঘদিনের, তদন্তে এনআইএ

    এনআইএ-র (NIA) দাবি, মৌলবাদীদের যে অ্যাজেন্ডা সামনে এনেছে তা এখনকার নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার বক্তব্য এবং সে সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণও করতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চলতি বছরের ২৬ জুন এনআইএ-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেরলের আরএসএস (RSS) নেতা শ্রীনিবাসনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পিছনে যুক্ত থাকতে দেখা যায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে।

    গোটা পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ

    এনআইএ (NIA) কেরল হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা করে সেখানে তারা ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির যাবতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে। এনআইএ আরও জানায়, ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা (মৌলবাদী সংগঠন) ভারতবর্ষে ইসলামিক শাসনকে কায়েম করতে চায় এবং সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আরএসএস (RSS) নেতাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এসডিপিআই-এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আট পাতার একটি ইস্তাহার। এখানেই লেখা ছিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার ১০ বছর পূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই উদ্যোগ। সেই উপলক্ষে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত। এই উদ্যোগে সরকার কোম্পানিগুলিকে ভারতে পণ্যের বিকাশ, উৎপাদন ও উৎপাদনে উৎসর্গীকৃত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথচলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”

    সাফল্যের খতিয়ান

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলের ৯৯ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ভারত উঠে এসেছে দুনম্বরে।” খেলনা উৎপাদনেও ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দশ বছরে খেলনা রফতানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    ইস্পাত শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে দেশে ইস্পাতের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দেশে দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি চিপ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, গত দশ বছরে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে (Make In India) না। একই সঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (Bharat) ক্রমশই রাম রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে, নেতৃত্বে রয়েছেন মোদি, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার এ কথা বলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জাতীয় নেতৃত্বে তত্ত্বাবধানে গত ১০ বছরে। নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, ‘‘অনেক নেতার নাম রয়েছে কিন্তু নর যুক্ত ইন্দ্র, নরেন্দ্র সমস্ত কিছুকেই সম্ভব করেছেন এদেশে।’’ মোদি সরকারের এমন ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় উপরাষ্ট্রপতিকে নয়াদিল্লিতে।

    জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে (Jagdeep Dhankhar) 

    তিনি (Jagdeep Dhankhar) আরও বলেন, ‘‘বিগত ১০ বছরে দেশজুড়ে অসংখ্য পাকা বাড়ির দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, গ্য়াস কানেকশন পেয়েছেন দরিদ্র মানুষরা, ঘরে ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎ। ১০ বছরে এমনই অগ্রগতির সাক্ষী রয়েছে দেশের মানুষ। তাঁরা বলছেন যে এবার সঠিক মানুষকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে।’’ নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, একমাত্র জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার যে, দেশ রাম রাজ্যের পথে এগিয়ে চলেছে। সরকার যা কিছু ভাবে করে সেটাই সম্ভব হয়। দেশের মানুষের পক্ষে কল্যাণকর এত কাজ কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? এটা সম্ভব হচ্ছে এই দেশের সেই ব্যক্তিটার জন্যই যিনি দেশকে (Bharat) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’

    শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

    প্রসঙ্গত বিগত বছরগুলিতে মোদি সরকারের অন্যতম প্রয়াস দেখা গিয়েছে যে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিভাবানরা যাতে সম্মান পায়। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেশে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। শিক্ষা নিয়েও এদিন উল্লেখযোগ্য বিবৃতি দেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব যে আপনারা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদান করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার কয়েকজন কুটনীতিক ও কয়েকটি গোষ্ঠীর দ্বারা চালিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাহুল সম্প্রতি পার্টির বিদেশী ইউনিট, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (IOC) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আইওসি আহ্বায়ক রাজবিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে একদল এনআরআই এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে বলেন খবর। যদিও কংগ্রেসের (Rahul in US) তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়,২০২৩ সালে রাহুল তাঁর শেষ মার্কিন সফরের সময় হোয়াইট হাউজে ‘গোপন’ বৈঠক করেছিলেন। বহু গণ্য মান্য মার্কিনদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই খবর অস্বীকার করা হয়।

    রাহুল গান্ধীর  সফর (Rahul Gandhi)

    রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন সীমা সিরোহি। তাঁর কথায়, “হোয়াইট হাউসের বৈঠকটি গোপন রাখার ক্ষেত্রে মত দিয়েছিল দুই পক্ষই। রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা সামনে আনতে চায়নি মার্কিন প্রশাসন। আর রাহুলও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে অস্বস্তিত্ পড়তে চাননি।” সীমা আরও জানান, তাঁকে এই বৈঠকের কথা বলেছিল, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী। যদিও প্রবীণ পরে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। প্রবীণ বলেন, “হোয়াইট হাউসে কোনও গোপন বৈঠক হয়নি।” তবে, রাহুল গান্ধী তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় সেনেটর এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে। 

    ডিপ স্টেটের ভূমিকা (Rahul in US) 

    সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা এবং তার সন্দেহজনক এনজিও, গ্লোবাল নলেজ ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সংস্থা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং রকফেলার ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ পায়। এনজিওটি স্যাম পিত্রোদা, রকফেলার ফাউন্ডেশনের বর্তমান ভিপি এবং মার্কিন সরকারের (Rahul in US) প্রাক্তন উপদেষ্টা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এতেই বোঝা যায় যে, কংগ্রেস মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে সমঝোতায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বরাবর ভারতে কোনও কাজের জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করেন। যা আত্মনির্ভর ভারতের বিপরীত। এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী ওপিইন্ডিয়াকে হুমকি দেন। প্রবীণ চক্রবর্তী দাবি করেন যে হোয়াইট হাউসের “গোপন” বৈঠকের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে কংগ্রেস বুঝতে পারে এই খবর প্রকাশ্যে এলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। এই ধরনের বৈঠক ভারতের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। প্রবীণ প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করলেও কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তিনি রিপোর্টে উল্লেখিত অন্য কোনও লিঙ্ককে অস্বীকার করেননি। তিনি মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে স্যাম পিত্রোদা এবং রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক নিয়েও কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে আত্মনির্ভর ভারত (Bharat 2047) গড়ার পরিকল্পনা ছকা হল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের (Swadeshi Jagran Manch) বৃহত্তম কাউন্সিল বৈঠকে। রাষ্ট্রীয় পরিষদ বৈঠকে কেবল যে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা ছিলেন তাই নয়, কর্মীরাও ছিলেন যাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার কার্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৩৪০জন কার্যকর্তা।

    মেগা বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (Bharat 2047)

    দেশের ভালো কীভাবে করা যায়, তা ছকে ফেলতে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে যোগ দেন ৪৭ জন মহিলাও। বৃহত্তম এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূতপূর্ব জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি তথা বর্তমান জাতীয় এক্সিকিউটিভ সদস্য ভি ভাগ্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন সংগঠনও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, উদ্যোগ ভারতী, অখিল ভারতীয় গ্রাহক পঞ্চায়েত, সহকার ভারতী, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এনভায়রনমেন্টাল অ্যাক্টিভিটি এবং অক্ষয় কৃষি পরিবার। গায়ত্রী পরিবারের মতো আরও কয়েকটি সংগঠনও যোগ দিয়েছিল এই বৈঠকে।

    আলোচনার বিষয়

    ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হয়। তাতে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলি হয়, স্বদেশি, আত্মনির্ভরতা এবং গবেষণা। দুটো তাৎপর্যপূর্ণ প্রস্তাবও গৃহীত হয়। এগুলি হল, ইমপ্যাক্ট অফ পপুলেশন অন দ্য ইকনোমি এবং প্রসপারাস অ্যান্ড গ্রেট ইন্ডিয়া বাই ২০৪৭। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ এবং আত্মনির্ভর ভারত ক্যাম্পেনের বিভিন্ন কোর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। যেসব ভারতীয় জাতীয় (Bharat 2047) স্তরে বিকাশের সঙ্গে যুক্ত, অর্গানিক পাথ অফ এন্টারপ্রেনিউরশিপ এবং পঞ্চ ট্রানসফর্মেশনের ওপর জোর দিচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও আলোচনা হয়। আদর্শায়ন এবং প্রশিক্ষণ, অল ইন্ডিয়া অফিসার ভিজিট, এন্টারপ্রেনিউরশিপ প্রমোশন কনফারেন্স, অর্গানিক এন্টারপ্রেনিউরশিপ নিয়ে গণসচেতনতার প্রসার এবং স্বদেশি মেলা আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন’’, ‘মন কী বাত’-এ বললেন মোদি

    বৈঠকের আগে অযোধ্যায় ভগবান রামলালার দর্শন সেরেছেন কার্যকর্তারা। এটা তাঁদের বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকের পরে তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও হয়। অংশ নিয়েছিলেন ৩৯ জন পূর্ণ সময়ের কর্মী। সংগঠনে তাঁদের (Swadeshi Jagran Manch) ভূমিকা কী, কীভাবে তাঁরা কর্মীদের উৎসাহিত করবেন, সেসব নিয়েও আলোচনা হয় (Bharat 2047)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণিতে বেসামাল ইংল্যান্ড, ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    T20 World Cup 2024: অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণিতে বেসামাল ইংল্যান্ড, ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র সাত মাসের ব্যবধান, আবারও বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) ফাইনালে ভারত।  গত নভেম্বরে দেশের মাটিতে অপরাজিত থেকে একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল রোহিতরা। এবার সুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের বরাবরের শক্তি স্পিন আক্রমণেই হারিয়ে গেল ইংরেজরা। অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না জস বাটলার, ফিল সল্ট, লিভিং স্টোনরা। সঙ্গে তো রয়েইছেন বুম বুম বুমরা। মনের জোরকে সম্বল করে অ্যাডিলেডের বদলা নিয়ে নিলেন রোহিতরা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অ্যাডিলেডে রোহিতের ভারতকে ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইংরেজরা। সেই দলের আট জন ক্রিকেটার এই ম্যাচেও প্রথম একাদশে ছিলেন। কিন্তু এ বার ফলাফল বদলাতে পারলেন না তাঁরা। সেই ম্যাচের নায়ক জস বাটলার এদিন খলনায়ক হলেন। টসে জিতেও আগে বল করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে গেল। আগে ব্যাট করে ১৭১/৭ তুলেছিল ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড থেমে গেল ১০৩ রানে। ভারত জিতল ৬৮ রানে। 

    বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে টস-ফ্যাক্টর

    টসের আগেই ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, কোনও অধিনায়কই জিততে চাইবেন না। বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় উইকেট ঢাকা থাকায় পিচ কেমন আচরণ করবে তা কেউই বুঝতে পারছিলেন না। তবে নিশ্চিত ভাবেই প্রথমে ব্যাট করা দলের সমস্যা বেশি হত। টসে হেরে রোহিত শর্মাদের সেই আগে ব্যাটই করতে হল। যদিও রোহিত স্বীকার করলেন, তাঁরা আগে ব্যাট করতেই চেয়েছিলেন। এদিনও রাজকীয় ভঙ্গিতেই শুরু করেন রোহিত।  টপলিকে ছয় মেরে আশা জাগিয়েছিলেন কিং কোহলিও। কিন্তু না এবারও ব্যর্থ বিরাট। টপলির বলের লাইন বুঝতেই পারলেন না বিরাট। যা কোনওভাবেই তাঁকে মানায় না। পন্থ, সূর্যকুমারও ফিরলেন দ্রুত। কিন্তু একদিন আগলে রেখে অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন রোহিত। কিন্তু চালিয়ে খেলার তাড়নায় আদিল রশিদের গুগলির সামনে ঠকে যান রোহিত। হার্দিকও চালিয়ে খেলেন। তখন স্কোরবোর্ডে রানের দরকার ছিল। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর  প্যাটেলের সৌজন্যে ১৭১/৭ তোলে ভারত।

    ঘূর্ণিতে বেসামাল

    ভারতের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন সল্ট ও বাটলার। ইংরেজ অধিনায়কের (T20 World Cup 2024) আগ্রাসী মনোভাব দিকে ফিরে আসছিল অ্যডলিডের স্মৃতি। কিন্তু না তা হয়নি। পিচ বুঝে চতুর্থ ওভারেই অক্ষরকে নিয়ে আসেন রোহিত। ওভারের প্রথম বলেই বাটলার-কাঁটা উপড়ে নিলেন অক্ষর। প্রথম বলেই কাট করতে গিয়ে পন্থের হাতে ক্যাচ দিলেন বাটলার। পরের ওভারে বুমরা তুলে নিলেন সল্টকে। ষষ্ঠ ওভারে সেই অক্ষরই তুলে নেন জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কুলদীপ ও অক্ষর ৩টি করে উইকেট পান। বুমরা নেন ২টি উইকেট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share