Tag: bharat

bharat

  • Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এই কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য সময়োপযোগী বার্তা। তিনি বললেন, “ভারত হল নানান বৈচিত্র্যময়তার দেশ। এখানে পরস্পর কোনও সমাজের সঙ্গে অন্য কোনও সমাজের বিরোধিতা নেই। নেই কোনও দ্বন্দ্বের অবকাশ। সকলেই নিজের নিজের যোগদান, অংশগ্রহণ এবং অর্পণ ভাবের মাধ্যেম বিশ্বকে বিশেষ বার্তা দিয়ে থাকেন। এটাই হল ভারত আত্মার মূলবস্তু।”

    কী বললেন সর সংঘ চালক (Mohan Bhagwat)?

    বৃহস্পতিবার আরএসএসের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন রাও ভাগবত (Mohan Bhagwat) কেরলে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, বিশেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারত আজ থেকে শুধু নয়, প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, পন্থ নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রবীণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাঙা হরি লিখিত “পৃথ্বী সূক্ত-এন ওড টু মাদার আর্থ” নামক এক বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, ভারত ভূমি এবং পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরসংঘচালক এই এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই প্রসঙ্গে দেশের নাগরিকদের মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসা এবং উৎসর্গ করার ভাবকে নিবেদন করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের জন্য মাতৃভূমির ভূমিকা অপরিহার্য। আমাদের দেশে তত্ত্বজ্ঞানের পরম্পরা, সংস্কৃতি এবং বিশ্লেষণ ধর্মের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতা (পন্থ নিরপেক্ষতার) বিষয় প্রথম থেকেই ছিল। সমগ্র বিশ্ব হল একটি বৃহৎ পরিবারের মতো। এই ভাবনা একটি বৃহৎ অনুভূতির সমষ্টি। ধর্মনিরপেক্ষতাকে কোনও তত্ত্ব দিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। অনুভবে আচরণে তা স্পষ্ট হয়।”

    ভারত সম্পর্কে কী বলেন?

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) এই দিন বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে ভারত সম্পর্কে আরও বলেন, “ভারত এক কল্যাণ ময়তার প্রতীক। দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের জন্য কল্যাণ কামনাই একমাত্র আমাদের কর্ম। সামাজকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যেন জ্ঞানের আলো দিয়ে দেশের শেষতম ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো যায়। আমরাই বিশ্বের ম্যাক্সিকো থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত জ্ঞানের মন্ত্র নিয়ে গিয়েছি। বসুধৈব কুটুম্বকম’- একটি এমন মন্ত্র, যা আমাদের বিশ্বকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছে।”

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “একতাই ভারতের একটি বড় ভাবনা” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে কানাডা (Canada)। আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই শুধুমাত্র এমন অভিযোগ আনা হতো। সম্প্রতি নানা ঘটনায় ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে কানাডার মাটি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এনিয়ে জাস্টিন ট্রুডোদের দেশকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নয়া দিল্লি। কানাডা সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ দিল্লির। সন্ত্রাসবাদীরা ভারত ছেড়ে পালানোর পর তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে কানাডাকে। ভারত বিরোধী জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের আস্তানা এখন তাই কানাডা (Canada)। ইতিমধ্যে এনআইএ তরফে বুধবারই ৩৩ জন মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকা কানাডা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সন্ত্রাসবাদীরা প্রত্যেকেই কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। তারই মধ্যে বুধবার কানাডায় মৃত্যু হয়েছে এক খালিস্তানি জঙ্গির। 

    কানাডাতে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের ছবি সহ নাম প্রকাশ এনআইএ-এর 

    কানাডাতে (Canada) আশ্রয় নেওয়ার জঙ্গিদের লিস্ট নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে এনআইএ, ছবি সহ ওই লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে  লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিংহ, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের মতো কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও অপরাধীদের। অন্যদিকে গতকালই খালিস্তানি জঙ্গি সুখদল সিং-এর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গ্যাংস্টারদের এই আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পালায় সুখা

    জানা গিয়েছে, কানাডা (Canada) নিবাসী অন্যতম মাফিয়া অর্শদীপ সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সুখা। জাল নথিপত্র বানিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে যায় সে। ২০১৭ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় আশ্রয় নেয় সুখা। অন্যদিকে এর আগেই কানাডার মাটিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং। এই ঘটনায় কানাডা সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের ভূমিকা রয়েছে বলে সোমবারই অভিযোগ করে। যার পরে ভারত এবং কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। শুধু তাই নয় এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। তারপরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার (Canada) এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেয় দিল্লি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: ‘‘দেশভাগ ভুল ছিল’’, জি২০-এর জাঁকজমক দেখে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের

    G20 Summit: ‘‘দেশভাগ ভুল ছিল’’, জি২০-এর জাঁকজমক দেখে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে (G20 Summit) ঘিরে সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতের প্রশংসা। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের নাগরিকদের মুখে এবার শোনা গেল, দেশ যদি ভাগ না (G20 Summit) হত তাহলেই হয়তো ভালো হতো। ভারতের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে (G20 Summit) ঘিরে পাকিস্তানের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সে দেশের নাগরিকদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। সেখানেই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে এবং মোদি সম্পর্কে প্রশংসা সূচক মন্তব্যও তাঁদের করতে শোনা যায়। তাঁরা বলতে থাকেন, ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের থেকে (G20 Summit)।

    পাকিস্তানের নাগরিকরা কী বললেন

    সে দেশের এক নাগরিক জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit) প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভারত যেভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী দিনে চিনকেও টক্কর দেবে তারা। এবং ভারতের যেকোনও পণ্যের উৎপাদন চিনের থেকেও বেশি হবে।’’ অপর একজন নাগরিকের সংযোজন, ‘‘বাংলাদেশকেও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হল, তারা পরমাণু শক্তিধর দেশ নয় তবুও! কিন্তু এটা আমাদের লজ্জার বিষয় যে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার সত্ত্বেও আমাদেরকে কেউ পাত্তা দিল না।’’

    দেশভাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল 

    পাকিস্তানের এক বর্ষীয়ান নাগরিকের কথায়, ‘‘পাকিস্তানের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ ভুল ছিল এবং তার খেসারতই এখন আমাদের দিতে হচ্ছে। সেই সময় দেশ ভাগ হওয়া কোনওভাবেই উচিত ছিল না।’’ অন্যদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একজন বলেন, ‘‘ভারত আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছে। ভারতের কাশ্মীরের মানুষরা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী (G20 Summit)।’’ 

    ভারত চাঁদে চলে গেল অথচ পাকিস্তানে অস্থিরতা কমছে না

    অপর একজন নাগরিক বলেন,‘‘পাকিস্তানের উন্নতি করতে চাইলে ভারতের সঙ্গে আগে সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে হবে (G20 Summit)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান একটি গরিব দেশ, বর্তমানে ব্যাপক আর্থিক সংকটে ভুগছে। তার সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এমন দেশের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখতে চায় না। যে দেশের কাছেই পাকিস্তান যায় তারা ভাবে পাকিস্তান টাকা চাইতে এসেছে। ভারত চাঁদে চলে গেল আর পাকিস্তানে অস্থিরতা কোনোভাবে কমছে না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Bharat: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হয়েছে পঁচাত্তর বছর আগে। এখনও গায়ে লেগে রয়েছে ঔপনিবেসিকতার তকমা। দেশের নাম রয়ে গিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। দেশের গা থেকে ঔপনিবেসিকতার তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিচয় হিসেবে লেখা ছিল ‘ভারত’ (Bharat)। শুধু তাই নয়, ওই সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেজন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রণপত্র। সেখানেও ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছিল ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।  

    ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেশের নাম ‘ভারত’

    এসব নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে মোদি সরকার যে দেশের নাম ‘ভারত’ই (Bharat) চাইছেন, তার প্রমাণ মিলেছিল সেদিনই। আগামিদিনেও যে দেশের নাম ‘ভারত’ চাইছে মোদি সরকার, ফের প্রমাণ মিলল তার। রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবের ওপর সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দিন কয়েক আগে রেলের তরফে সরকারের কাছে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার তাতেই সিলমোহর দেয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, এভাবেই ধাপে ধাপে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    সরকার পক্ষের যুক্তি 

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই কারণেই দেশের নাম ‘ভারত’ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিরোধীদের মতে, এটা মোদি সরকারের কাছে শাঁখের করাতের মতো। কারণ দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’, আবার বিরোধী জোটের নামও ‘ইন্ডিয়া’। তাই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ করার তোড়জোড়। তাঁদের কটাক্ষ, জোটের নাম ‘ভারত’ করা হলে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ করা হবে। যদিও সরকার পক্ষের পাল্টা যুক্তি, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ একই। তাই মন্ত্রিসভায় পেশ করা প্রস্তাবনার ইংরেজি নথিতে ‘ভারত’ থাকায় কোনও ত্রুটি নেই।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    বাদ-বিসম্বাদের এই আবহে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’কে মুছে ফেলে তার জায়গায় ‘ভারত’ (Bharat) করার সুপারিশ করেছে এনসিইআরটি। সেই চর্চা চলতে চলতেই রেলের নথি থেকে থেকে মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’। নয়া নাম হল ‘ভারত’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসে ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই আবহে জল্পনার পালে নতুন করে হাওয়া জোগাল জি২০-এর (G20 Summit 2023) শীর্ষ সম্মেলন।

    পোডিয়ামে লেখা ‘ভারত’ 

    এই সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চের পোডিয়ামে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘ভারত’। জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তাতেও ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। এতদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির তরফে কাউকে কোনও চিঠি লেখা হলে, তাতে লেখা থাকত ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’। অথচ এবার আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের যে সূচি এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানেও মোদির পদ হিসেবে লেখা হয়েছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই বিরোধীদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য

    জি২০ সম্মেলন (G20 Summit 2023) উপলক্ষে যে বুকলেট বিলি করা হয়েছে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে, তাতেও লেখা হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের প্রসূতি। এই দেশের অফিসিয়াল নাম ভারত। এটি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৪৬-৪৮-এর আলোচনায়ও এর উল্লেখ রয়েছে’। ভারত প্রয়োজনীয় সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করলে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে ‘ভারত’ লেখা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংঘের তরফে। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “নাম পরিবর্তনের জন্য ভারত যখন সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করবে, তারা আমাদের জানাবে। তখন রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে আমরা নাম পরিবর্তন করে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন শেষ হবে ২২ তারিখে। এই অধিবেশনেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির যুক্তি, দেশের নাম এক সময় ‘ভারতবর্ষ’ ছিল। পরে ইংরেজ আমলে দেশের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। ওয়াকিবহালমহলের মতে, গা থেকে ঔপনিবেশকতার গন্ধ ঝেড়ে ফেলতে দেশের (G20 Summit 2023) নাম বদলে ‘ভারত’ করতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নক্ষত্রদের একটা বড় অংশ। সিংহভাগ দেশবাসীও মনে করেন দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়াই শ্রেয়। জন সুরজ পার্টির প্রধান তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকেও শর্ত সাপেক্ষে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত পোষণ করেছেন। যদিও বিরোধীরা চান, দেশের নাম থাকুক অপরিবর্তিতই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া না ভারতবর্ষ, এই বিতর্কে বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সংবিধান যেখানে বলছে যা ইন্ডিয়া তাই ভারত, তাহলে বিরোধীদের এত জল ঘোলা করার কী দরকার। বিতর্ক না বাড়িয়ে আমি তাঁদের বলতে চাই সংবিধানটা একবার ভালো করে পড়ুন, তাহলেই ভুল ভেঙে যাবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’দেখেই জল্পনা তাহলে কি ইন্ডিয়া নাম বদলে শুধুই ভারত হয়ে গেল? এই বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি ৷ এ বিষয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন  ভারত নাম উচ্চারণ করলে যে ছবি ও ধারণা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সেই একই প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে দেশের সংবিধানে।

    প্রসঙ্গত, এদেশের সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দু’টি শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “India that is Bharat”। ‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত, বলে মনে করেন দেশের অনেকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গা থেকে মুছে যেতে চলেছে ঔপনিবেশিকতার তকমা! সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম (Republic of Bharat)! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই একথা জানা গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে হচ্ছে ‘ভারত’। ইংরেজ শাসনের আগে দেশের নাম ছিল ভারতবর্ষ। নয়া নাম হতে চলেছে ভারত। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই দেশের নাম বদলে যাচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।

    জি২০ সম্মেলন

    ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দু’ দিনের জি২০ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলি করা হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (Republic of Bharat)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

    তিনি লিখেছেন, “তাহলে খবরটা সত্যি ছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজের একটি নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা নেই। যা সাধারণভাবে থাকার কথা। বদলে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত (Republic of Bharat)। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “সংসদের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া হল ইউনিয়ন অফ স্টেটস । কিন্তু, এবার এই ইউনিয়ন অফ স্টেটস ধ্বংসের মুখে।”

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস

    পাল্টা পোস্ট করে কংগ্রেসের জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার প্রবর্তকরা কেন ভারত মাতা কি জয় নিয়ে আপত্তি করেন? কংগ্রেসের না দেশের প্রতি সম্মান রয়েছে, না এরা সংসদকে সম্মান করে। না সংসদের ধারাগুলি মেনে চলে। একটি পরিবারের প্রশংসা করেই এদের দিন কেটে যায়। গোটা দেশে এখন এই পরিবার ও এই দলের দেশদ্রোহী এবং সংসদ বিরোধী কার্যকলাপ সকলের সামনে চলে এসেছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ট্যুইটারে (অধুনা এক্স  হ্যান্ডেল) লিখেছেন “রিপাবলিক অফ ভারত (Republic of Bharat)। আমাদের সভ্যতা সাহসের সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share